Ajker Patrika

ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব

সরকারি-আধা সরকারি-স্বায়ত্তশাসিত সব প্রতিষ্ঠানের দপ্তর থাকবে সমন্বিত ভবনে

  • ভূমির কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।
  • এটি হলে অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় ও ভূমি অধিগ্রহণের খরচ কমবে।
  • ভূমির কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত হবে। সেবা-প্রত্যাশীদের কষ্ট কমবে।
  • চিকিৎসকদের জন্য সংখ্যাতিরিক্ত আরও ১,৮৫৩ পদ সৃষ্টির প্রস্তাব।
শহীদুল ইসলাম, ঢাকা
আপডেট : ২৩ আগস্ট ২০২৫, ১৬: ৫২
সরকারি-আধা সরকারি-স্বায়ত্তশাসিত সব প্রতিষ্ঠানের দপ্তর থাকবে সমন্বিত ভবনে

সরকারি দপ্তরগুলো যে যার মতো অফিস ভবন নির্মাণ করায় একদিকে আবাদি-অনাবাদি জমি কমছে, অন্যদিকে বাড়ছে ভূমি অধিগ্রহণের ব্যয়। এসব এড়াতে সারা দেশে সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিসের জন্য একই স্থানে সমন্বিত অফিস ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হলে ভূমির কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করা যাবে। অবকাঠামো তৈরি এবং ভূমি অধিগ্রহণের খরচ কমবে। সরকারি সেবা পেতে মানুষকে এক ভবন থেকে আরেক ভবনে দৌড়াতে হবে না।

উপজেলা, জেলা, বিভাগ এবং ঢাকায় কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সরকারি, আধা সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিসের জন্য একই স্থানে পরিকল্পিতভাবে সমন্বিত অফিস ভবন নির্মাণের প্রস্তাব ২৪ আগস্ট প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় উত্থাপনের কথা রয়েছে। সভায় চিকিৎসকদের জন্য তৃতীয় ধাপে আরও ১ হাজার ৮৫৩টি সংখ্যাতিরিক্ত পদ এবং জাতীয় বেতন কমিশনের ৫২টি পদ সৃষ্টির প্রস্তাবও অনুমোদনের জন্য তোলার কথা। সভায় সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রিপরিষদের সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ।

অপরিকল্পিত শিল্পায়ন, যত্রতত্র বসতভিটা নির্মাণ, অপরিকল্পিত অবকাঠামো উন্নয়ন, জনসংখ্যা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে দিন দিন কৃষিজমিসহ অন্যান্য জমির পরিমাণ কমছে। রাষ্ট্রীয় উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের প্রয়োজনেও কৃষি-অকৃষিজ জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে।

স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ম্যানুয়ালে বলা হয়েছে, অধিগ্রহণ প্রস্তাবে মূল্যবান জমি থাকলে তা যথাসম্ভব বাদ দিয়ে তার পরিবর্তে অনাবাদি, পতিত বা কম মূল্যবান জমি অধিগ্রহণের চেষ্টা করতে হবে। এ ছাড়া ঘনবসতি, শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্য এলাকা এবং শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যবহৃত সম্পত্তিও অধিগ্রহণের জন্য যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে।

২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় কৃষি ব্যবহার কমিটির সভায় মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বহুতল কমপ্লেক্স ভবন বা গুচ্ছাকারে এক বা একাধিক বহুতল ভবন নির্মাণের মাধ্যমে একই মন্ত্রণালয় বা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস বা আবাসিক ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা মানা হয়নি। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ নিজেদের কার্যালয় স্থাপনের জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন নিয়ে ভূমি অধিগ্রহণ প্রস্তাব দাখিল করছে।

সূত্র জানায়, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারের সভাপতিত্বে গত ১ জুন কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এরপর সিদ্ধান্ত হয়, জমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি অফিসের জন্য পৃথক ভবন নির্মাণ না করে সমন্বিত ভবন নির্মাণ করে বিভিন্ন দপ্তরের কার্যালয় একই ছাতার নিচে আনার বিষয়ে কার্যক্রম নিতে কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটির সুপারিশ প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটিতে পাঠানো হবে। এরপর ভূমি মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রস্তাব তৈরি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠায়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, সরকারি দপ্তরগুলোর জন্য সমন্বিত অফিস ভবন নির্মাণের প্রস্তাব প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটিতে অনুমোদন পেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি নিতে হবে। এরপর সরকার নির্বাহী আদেশে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভূমির কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে আমরা এই প্রস্তাব করেছি। একেক অফিস একেক জায়গায় হলে কেউ বেশি জায়গায় অফিস করে। আবার অনেকে জায়গা নিয়ে সঠিকভাবে ব্যবহার করে না। অনেক সময় প্রয়োজনের চেয়ে বেশি জমি অধিগ্রহণ করা হয়। পরে ওই জায়গা সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর নিজেদের বলে দাবি করে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সব জায়গাই সরকারের। অনেক জায়গা অব্যবহৃত পড়ে থাকে, কিছু জায়গা অন্যরা দখল করে। অনেক সময় ব্যয় নির্বাহে ইজারাও দেয়। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সব অফিস এক জায়গায় থাকলে অল্প ভূমিতে সবার সংস্থান হবে।’

চিকিৎসকদের জন্য আরও ১,৮৫৩ পদ

স্থায়ী পদ না থাকায় অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক পদে চিকিৎসকদের পদোন্নতি দিতে তৃতীয় পর্যায়ে আরও ১ হাজার ৮৫৩টি সংখ্যাতিরিক্ত (সুপারনিউমারারি) পদ সৃষ্টি করতে যাচ্ছে সরকার।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, পদের অভাবে পদোন্নতির সুযোগ না থাকায় স্বাস্থ্য ক্যাডারে বিপুলসংখ্যক চিকিৎসককে মেডিকেল অফিসারের পদ থেকে অবসরে যেতে হচ্ছে। সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপকের স্থায়ী পদ কম থাকায় মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ ও বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসা শিক্ষা এবং সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এ জন্য অধ্যাপকের ১৮৭ টি, সহযোগী অধ্যাপকের ৪০৪টি এবং সহকারী অধ্যাপকের ১ হাজার ২৬২টি পদসহ রাজস্ব খাতে ১ হাজার ৮৫৩টি পদ অস্থায়ীভাবে সৃষ্টির প্রস্তাব করা হয়েছে।

অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ এক বছরের জন্য ১ হাজার ৮৫৩টি সংখ্যাতিরিক্ত পদ সৃষ্টিতে সম্মতি দিয়ে এসব পদের বেতন স্কেলও নির্ধারণ করে দিয়েছে।

চিকিৎসকদের জন্য গত ২৭ এপ্রিল প্রথম ধাপে ৩ হাজার ৩০ টি, ২৫ মে দ্বিতীয় ধাপে ২ হাজার ৫৯টি সংখ্যাতিরিক্ত পদ সৃষ্টি করেছে সরকার। তৃতীয় ধাপ মিলিয়ে চিকিৎসকেরা ৬ হাজার ৯৪২টি সংখ্যাতিরিক্ত পদ পাচ্ছেন।

স্থায়ী পদ কম থাকায় সংখ্যাতিরিক্ত পদ সৃষ্টি করে প্রশাসন এবং পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিচ্ছে সরকার। এখন স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তারাও এই সুবিধা পাচ্ছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় বিভিন্ন শ্রেণিতে চিকিৎসকদের জন্য ৩৬ হাজার ৯২১টি ক্যাডার পদ রয়েছে। এর মধ্যে সহকারী অধ্যাপকের ৩ হাজার ৫৯ টি, সহযোগী অধ্যাপকের ১ হাজার ৯৬০ ও অধ্যাপকের ১ হাজার ৫৯টি পদ রয়েছে।

প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটির ২৪ আগস্টের সভায় জাতীয় ভূ-স্থানিক তথ্য-উপাত্ত অবকাঠামো নীতিমালা, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (কর্মকর্তা-কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের অধীন রেলওয়ে হিসাব বিভাগের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা এবং কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালাসহ বেশ কয়েকটি প্রস্তাব পাসের জন্য উত্থাপনের কথা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাগেরহাটের ৪টি আসন বহাল, ফিরল না গাজীপুর ৬

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বাগেরহাটের ৩টি আসন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিতে এ আদেশ দেন।

এর ফলে বহাল থাকল বাগেরহাটের চারটি আসন। বাদ পড়েছে গাজীপুর-৬ আসনটিও।

এর আগে বাগেরহাটের আসন একটি কমিয়ে তিনটি করা এবং গাজীপুরে একটি বাড়ানো-সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের গেজেট চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত বাতিল করে গত ১০ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন।

হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পরপরই তা স্থগিত চেয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এবং গাজীপুর-৬ আসন থেকে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ড. হাফিজুর রহমান ও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মো. সালাহ উদ্দিন সরকার আপিল বিভাগে পৃথক আবেদন করেন।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ড. হাফিজুর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বঙ্গভবনে সিইসি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ১৪
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন সিইসি। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন সিইসি। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন।

বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের সার্বিক প্রস্তুতি ও তফসিল ঘোষণা বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে আলোচনা করতে বঙ্গভবনে গেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। সিইসি দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বঙ্গভবনে পৌঁছান।

এর আগে ১০টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে বঙ্গভবনের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে রয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ (অবসরপ্রাপ্ত), তাহমিদা বেগম, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও আব্দুর রহমানেল মাছউদ এবং ইসি সচিব আখতার আহমেদ।

উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। তফসিল-সংক্রান্ত ভাষণ রেকর্ড করতে ইতিমধ্যে বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারকে চিঠিও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশের ‘টাঙ্গাইল শাড়ি বুনন শিল্প’ অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ইউনেসকোর স্বীকৃতি

বাসস, ঢাকা  
টাঙ্গাইল শাড়িতে অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। ছবি: ফেসবুক
টাঙ্গাইল শাড়িতে অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। ছবি: ফেসবুক

টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এই কনভেনশনের আওতায় এটি বাংলাদেশের ষষ্ঠ একক নিবন্ধন। সভায় প্রথমবারের মতো সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর বিগত চার বছরে এটি দ্বিতীয় নিবন্ধন।

সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান এবং ইউনেসকো সাধারণ পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য অসামান্য গৌরবের বিষয়। দীর্ঘ দুই শতকের বেশি সময় ধরে টাঙ্গাইলের তাঁতিদের অনবদ্য শিল্পকর্মের বৈশ্বিক স্বীকৃতি এটি।’

তিনি আরও বলেন, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের সকল নারীর নিত্য পরিধেয়, যা এই শাড়ি বুনন শিল্পের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের পেছনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।’

এই অর্জনকে বাংলাদেশের সকল তাঁতি ও নারীদের প্রতি উৎসর্গ করেছেন রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা।

বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সামগ্রিক সুরক্ষায় এই স্বীকৃতি নতুন মাত্রা যোগ করবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত তালহা বলেন, ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেসকোর স্বীকৃতি অর্জনের মতো বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক উপাদান রয়েছে।

নথি প্রস্তুত করার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কনভেনশন সংক্রান্ত অভিজ্ঞ জনবল তৈরি করার মাধ্যমে আরও অনেক ঐতিহ্যের ইউনেসকো-স্বীকৃতি অর্জনের সুযোগ রয়েছে।

এর আগে, গত ৭ ডিসেম্বর আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের চলমান ২০তম সভা উদ্বোধন করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শংকর। অনুষ্ঠানে ইউনেসকোর নবনিযুক্ত মহাপরিচালক খালেদ এল. এনানি উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজ সংবাদ সম্মেলনে আসছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ৩৪
ভারতকে হারানোর পর ২ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।ছবি: ফাইল ছবি
ভারতকে হারানোর পর ২ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।ছবি: ফাইল ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তোড়জোড়ের মধ্যে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

সমসাময়িক বিষয়ে আজ বুধবার বেলা ৩টায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলনকক্ষে আসিফ মাহমুদের সংবাদ সম্মেলন হবে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

সমসাময়িক কোন বিষয়ে আসিফ মাহমুদ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলবেন, মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণপত্রে তা উল্লেখ করা হয়নি। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজকের সংবাদ সম্মেলন থেকে উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন তিনি।

আজ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার পর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য ভাষণের রেকর্ড করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। আজ সন্ধ্যায় বা আগামীকাল বৃহস্পতিবার এই তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমও আজ পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন বলে আলোচনা রয়েছে।

উপদেষ্টার পদে থেকে নির্বাচন করতে আইনি বাধা না থাকলেও তফসিল ঘোষণার আগে সরকারে থাকা দুজন ছাত্র উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ। তাঁদের আন্দোলন একপর্যায়ে সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে রূপ নেয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। এরপর ওই বছরের ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন আসিফ মাহমুদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত