ডব্লিউএমওর প্রতিবেদন
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারে জলবায়ু পরিবর্তন, এল নিনোর প্রভাবে বিপর্যস্ত আবহাওয়া। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) পানিসম্পদ নিয়ে নতুন তথ্য হাজির করেছে। সংস্থাটি বলছে, বিশ্বজুড়ে পানিচক্র অস্থিতিশীল এবং ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। এতে করে বড় পরিবর্তন এসেছে বন্যা ও খরায়। ফলে বিশ্বজুড়ে ভুগছে অর্থনীতি ও সমাজ। গতকাল বৃহস্পতিবার সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি জটিল পদ্ধতিতে পানি পৃথিবীর এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রবাহিত হয়। সাধারণভাবে দেখা যায় পানি বাষ্প হয়ে আকাশে উড়ে যাচ্ছে নদী, লেকসহ বিভিন্ন জলাধার থেকে। এই জলীয় বাষ্প এক স্থান থেকে উড়ে অন্য স্থানে যাচ্ছে এবং বৃষ্টি কিংবা তুষার হয়ে ঝরে পড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই তুষারপাত ও বৃষ্টিতেও এসেছে বড় পরিবর্তন। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের কারণে বাড়ছে জলবায়ু পরিবর্তন। আর এই পরিবর্তনের কারণে বদলে যাচ্ছে পানিচক্রের স্থিতিশীলতা।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার নতুন এই প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছর বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ নদীতে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক ছিল না। এসব নদীতে হয় পানি একেবারে কম, নয়তো অনেক বেশি ছিল। বিভিন্ন স্থানের স্বাদু পানির উৎস যেমন ঝরনা, নদী, তুষার, বরফ, হ্রদ, জলাধার, ভূগর্ভস্থ জলের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের বেশ কয়েকটি অঞ্চল ব্যাপক পানির সংকটে ভুগেছে। বছরটি ছিল উষ্ণতম বছর। গত বছর আমাজন বনাঞ্চলের নদীগুলোতেও পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে নেমে গিয়েছিল। অন্যদিকে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চল ভয়ংকরভাবে খরার মুখোমুখি হয়েছিল। এই অঞ্চলের দেশগুলোর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে হাতিসহ বিভিন্ন প্রাণী হত্যা করা তাদের জন্য অনিবার্য হয়ে পড়েছিল। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের তিন প্রতিবেশী অঙ্গরাজ্য টেক্সাস, ওকলাহোমা ও কানসাসের ফসল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পানির অভাবে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বাদু পানির জলাধার হিসেবে বিবেচনা করা এমন লেক রয়েছে ৭৫টি। অধিক তাপমাত্রার কারণে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ৭৫টি লেকে পানির মান খারাপ হয়েছে গত বছর।
গত বছরের আবহাওয়াকে অস্বাভাবিক হিসেবেই বিবেচনা করছেন বিজ্ঞানীরা। এ প্রসঙ্গে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার জলবিদ্যা, জল এবং ক্রায়োস্ফিয়ার বিভাগের পরিচালক স্টেফান উহলেনব্রুক বলেন, অধিক গরম ও খরার পরও বিভিন্ন স্থানে প্রচুর বন্যা হয়েছে। এমনকি অন্যান্য বছরের তুলনায় গত বছর বন্যা বেশি হয়েছে।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুসারে, ২০১৩ সালের পর গত বছর ইউরোপে সবচেয়ে বড় বন্যা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে হারিকেনের পর বন্যায় মৃত্যু হয়েছে ২৩০ জনের। পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায় বন্যায় প্রায় দেড় হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে গত বছর।
এদিকে বিশ্লেষকেরা বলছেন, গত বছরের বিরূপ আবহাওয়ায় ভুগেছে বিভিন্ন অঞ্চলের হিমবাহগুলো। তিন বছর ধরেই হিমবাহ ব্যাপক পরিমাণে গলছে। তবে গত বছরই গলেছে প্রায় ৪৫০ গিগাটন বরফ। আকারের দিক থেকে বিবেচনা করলে ৪ দশমিক ৩ মাইল লম্বা, ৪ দশমিক ৩ মাইল প্রস্থ এবং ৪ দশমিক ৩ মাইল গভীরতার বরফ গলেছে গত বছর। আবহাওয়া সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এলাকার বরফ যেমন গলেছে, তেমনি স্বালবার্ড এলাকার এবং উত্তর এশিয়ার বরফও গলেছে।
গবেষকেরা বলছেন, বরফ গলার কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে এবং ঝুঁকি বাড়ছে বন্যার। এ ছাড়া বিদ্যুৎ, সেচ এবং পানীয় জলের জন্য হিমবাহের ওপর নির্ভরশীল দেশগুলোকেও হুমকির মুখে ফেলেছে এই বরফগলা।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার কর্মকর্তা স্টেফান উহলেনব্রুক বলেন, পানিচক্রের এই অস্বাভাবিক পরিবর্তনের কারণে ঠিক কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা আসলে নিরূপণ করা কঠিন। তবে এটুকু বলা যেতে পারে, অস্বাভাবিক বন্যার কারণেই কয়েক শ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া স্বাদু পানির উৎস কমে যাচ্ছে এমন পরিবর্তনের কারণে।

জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারে জলবায়ু পরিবর্তন, এল নিনোর প্রভাবে বিপর্যস্ত আবহাওয়া। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) পানিসম্পদ নিয়ে নতুন তথ্য হাজির করেছে। সংস্থাটি বলছে, বিশ্বজুড়ে পানিচক্র অস্থিতিশীল এবং ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। এতে করে বড় পরিবর্তন এসেছে বন্যা ও খরায়। ফলে বিশ্বজুড়ে ভুগছে অর্থনীতি ও সমাজ। গতকাল বৃহস্পতিবার সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি জটিল পদ্ধতিতে পানি পৃথিবীর এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রবাহিত হয়। সাধারণভাবে দেখা যায় পানি বাষ্প হয়ে আকাশে উড়ে যাচ্ছে নদী, লেকসহ বিভিন্ন জলাধার থেকে। এই জলীয় বাষ্প এক স্থান থেকে উড়ে অন্য স্থানে যাচ্ছে এবং বৃষ্টি কিংবা তুষার হয়ে ঝরে পড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই তুষারপাত ও বৃষ্টিতেও এসেছে বড় পরিবর্তন। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের কারণে বাড়ছে জলবায়ু পরিবর্তন। আর এই পরিবর্তনের কারণে বদলে যাচ্ছে পানিচক্রের স্থিতিশীলতা।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার নতুন এই প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছর বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ নদীতে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক ছিল না। এসব নদীতে হয় পানি একেবারে কম, নয়তো অনেক বেশি ছিল। বিভিন্ন স্থানের স্বাদু পানির উৎস যেমন ঝরনা, নদী, তুষার, বরফ, হ্রদ, জলাধার, ভূগর্ভস্থ জলের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের বেশ কয়েকটি অঞ্চল ব্যাপক পানির সংকটে ভুগেছে। বছরটি ছিল উষ্ণতম বছর। গত বছর আমাজন বনাঞ্চলের নদীগুলোতেও পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে নেমে গিয়েছিল। অন্যদিকে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চল ভয়ংকরভাবে খরার মুখোমুখি হয়েছিল। এই অঞ্চলের দেশগুলোর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে হাতিসহ বিভিন্ন প্রাণী হত্যা করা তাদের জন্য অনিবার্য হয়ে পড়েছিল। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের তিন প্রতিবেশী অঙ্গরাজ্য টেক্সাস, ওকলাহোমা ও কানসাসের ফসল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পানির অভাবে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বাদু পানির জলাধার হিসেবে বিবেচনা করা এমন লেক রয়েছে ৭৫টি। অধিক তাপমাত্রার কারণে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ৭৫টি লেকে পানির মান খারাপ হয়েছে গত বছর।
গত বছরের আবহাওয়াকে অস্বাভাবিক হিসেবেই বিবেচনা করছেন বিজ্ঞানীরা। এ প্রসঙ্গে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার জলবিদ্যা, জল এবং ক্রায়োস্ফিয়ার বিভাগের পরিচালক স্টেফান উহলেনব্রুক বলেন, অধিক গরম ও খরার পরও বিভিন্ন স্থানে প্রচুর বন্যা হয়েছে। এমনকি অন্যান্য বছরের তুলনায় গত বছর বন্যা বেশি হয়েছে।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুসারে, ২০১৩ সালের পর গত বছর ইউরোপে সবচেয়ে বড় বন্যা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে হারিকেনের পর বন্যায় মৃত্যু হয়েছে ২৩০ জনের। পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায় বন্যায় প্রায় দেড় হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে গত বছর।
এদিকে বিশ্লেষকেরা বলছেন, গত বছরের বিরূপ আবহাওয়ায় ভুগেছে বিভিন্ন অঞ্চলের হিমবাহগুলো। তিন বছর ধরেই হিমবাহ ব্যাপক পরিমাণে গলছে। তবে গত বছরই গলেছে প্রায় ৪৫০ গিগাটন বরফ। আকারের দিক থেকে বিবেচনা করলে ৪ দশমিক ৩ মাইল লম্বা, ৪ দশমিক ৩ মাইল প্রস্থ এবং ৪ দশমিক ৩ মাইল গভীরতার বরফ গলেছে গত বছর। আবহাওয়া সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এলাকার বরফ যেমন গলেছে, তেমনি স্বালবার্ড এলাকার এবং উত্তর এশিয়ার বরফও গলেছে।
গবেষকেরা বলছেন, বরফ গলার কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে এবং ঝুঁকি বাড়ছে বন্যার। এ ছাড়া বিদ্যুৎ, সেচ এবং পানীয় জলের জন্য হিমবাহের ওপর নির্ভরশীল দেশগুলোকেও হুমকির মুখে ফেলেছে এই বরফগলা।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার কর্মকর্তা স্টেফান উহলেনব্রুক বলেন, পানিচক্রের এই অস্বাভাবিক পরিবর্তনের কারণে ঠিক কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা আসলে নিরূপণ করা কঠিন। তবে এটুকু বলা যেতে পারে, অস্বাভাবিক বন্যার কারণেই কয়েক শ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া স্বাদু পানির উৎস কমে যাচ্ছে এমন পরিবর্তনের কারণে।
ডব্লিউএমওর প্রতিবেদন
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারে জলবায়ু পরিবর্তন, এল নিনোর প্রভাবে বিপর্যস্ত আবহাওয়া। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) পানিসম্পদ নিয়ে নতুন তথ্য হাজির করেছে। সংস্থাটি বলছে, বিশ্বজুড়ে পানিচক্র অস্থিতিশীল এবং ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। এতে করে বড় পরিবর্তন এসেছে বন্যা ও খরায়। ফলে বিশ্বজুড়ে ভুগছে অর্থনীতি ও সমাজ। গতকাল বৃহস্পতিবার সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি জটিল পদ্ধতিতে পানি পৃথিবীর এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রবাহিত হয়। সাধারণভাবে দেখা যায় পানি বাষ্প হয়ে আকাশে উড়ে যাচ্ছে নদী, লেকসহ বিভিন্ন জলাধার থেকে। এই জলীয় বাষ্প এক স্থান থেকে উড়ে অন্য স্থানে যাচ্ছে এবং বৃষ্টি কিংবা তুষার হয়ে ঝরে পড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই তুষারপাত ও বৃষ্টিতেও এসেছে বড় পরিবর্তন। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের কারণে বাড়ছে জলবায়ু পরিবর্তন। আর এই পরিবর্তনের কারণে বদলে যাচ্ছে পানিচক্রের স্থিতিশীলতা।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার নতুন এই প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছর বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ নদীতে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক ছিল না। এসব নদীতে হয় পানি একেবারে কম, নয়তো অনেক বেশি ছিল। বিভিন্ন স্থানের স্বাদু পানির উৎস যেমন ঝরনা, নদী, তুষার, বরফ, হ্রদ, জলাধার, ভূগর্ভস্থ জলের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের বেশ কয়েকটি অঞ্চল ব্যাপক পানির সংকটে ভুগেছে। বছরটি ছিল উষ্ণতম বছর। গত বছর আমাজন বনাঞ্চলের নদীগুলোতেও পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে নেমে গিয়েছিল। অন্যদিকে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চল ভয়ংকরভাবে খরার মুখোমুখি হয়েছিল। এই অঞ্চলের দেশগুলোর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে হাতিসহ বিভিন্ন প্রাণী হত্যা করা তাদের জন্য অনিবার্য হয়ে পড়েছিল। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের তিন প্রতিবেশী অঙ্গরাজ্য টেক্সাস, ওকলাহোমা ও কানসাসের ফসল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পানির অভাবে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বাদু পানির জলাধার হিসেবে বিবেচনা করা এমন লেক রয়েছে ৭৫টি। অধিক তাপমাত্রার কারণে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ৭৫টি লেকে পানির মান খারাপ হয়েছে গত বছর।
গত বছরের আবহাওয়াকে অস্বাভাবিক হিসেবেই বিবেচনা করছেন বিজ্ঞানীরা। এ প্রসঙ্গে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার জলবিদ্যা, জল এবং ক্রায়োস্ফিয়ার বিভাগের পরিচালক স্টেফান উহলেনব্রুক বলেন, অধিক গরম ও খরার পরও বিভিন্ন স্থানে প্রচুর বন্যা হয়েছে। এমনকি অন্যান্য বছরের তুলনায় গত বছর বন্যা বেশি হয়েছে।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুসারে, ২০১৩ সালের পর গত বছর ইউরোপে সবচেয়ে বড় বন্যা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে হারিকেনের পর বন্যায় মৃত্যু হয়েছে ২৩০ জনের। পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায় বন্যায় প্রায় দেড় হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে গত বছর।
এদিকে বিশ্লেষকেরা বলছেন, গত বছরের বিরূপ আবহাওয়ায় ভুগেছে বিভিন্ন অঞ্চলের হিমবাহগুলো। তিন বছর ধরেই হিমবাহ ব্যাপক পরিমাণে গলছে। তবে গত বছরই গলেছে প্রায় ৪৫০ গিগাটন বরফ। আকারের দিক থেকে বিবেচনা করলে ৪ দশমিক ৩ মাইল লম্বা, ৪ দশমিক ৩ মাইল প্রস্থ এবং ৪ দশমিক ৩ মাইল গভীরতার বরফ গলেছে গত বছর। আবহাওয়া সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এলাকার বরফ যেমন গলেছে, তেমনি স্বালবার্ড এলাকার এবং উত্তর এশিয়ার বরফও গলেছে।
গবেষকেরা বলছেন, বরফ গলার কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে এবং ঝুঁকি বাড়ছে বন্যার। এ ছাড়া বিদ্যুৎ, সেচ এবং পানীয় জলের জন্য হিমবাহের ওপর নির্ভরশীল দেশগুলোকেও হুমকির মুখে ফেলেছে এই বরফগলা।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার কর্মকর্তা স্টেফান উহলেনব্রুক বলেন, পানিচক্রের এই অস্বাভাবিক পরিবর্তনের কারণে ঠিক কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা আসলে নিরূপণ করা কঠিন। তবে এটুকু বলা যেতে পারে, অস্বাভাবিক বন্যার কারণেই কয়েক শ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া স্বাদু পানির উৎস কমে যাচ্ছে এমন পরিবর্তনের কারণে।

জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারে জলবায়ু পরিবর্তন, এল নিনোর প্রভাবে বিপর্যস্ত আবহাওয়া। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) পানিসম্পদ নিয়ে নতুন তথ্য হাজির করেছে। সংস্থাটি বলছে, বিশ্বজুড়ে পানিচক্র অস্থিতিশীল এবং ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। এতে করে বড় পরিবর্তন এসেছে বন্যা ও খরায়। ফলে বিশ্বজুড়ে ভুগছে অর্থনীতি ও সমাজ। গতকাল বৃহস্পতিবার সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি জটিল পদ্ধতিতে পানি পৃথিবীর এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রবাহিত হয়। সাধারণভাবে দেখা যায় পানি বাষ্প হয়ে আকাশে উড়ে যাচ্ছে নদী, লেকসহ বিভিন্ন জলাধার থেকে। এই জলীয় বাষ্প এক স্থান থেকে উড়ে অন্য স্থানে যাচ্ছে এবং বৃষ্টি কিংবা তুষার হয়ে ঝরে পড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই তুষারপাত ও বৃষ্টিতেও এসেছে বড় পরিবর্তন। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের কারণে বাড়ছে জলবায়ু পরিবর্তন। আর এই পরিবর্তনের কারণে বদলে যাচ্ছে পানিচক্রের স্থিতিশীলতা।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার নতুন এই প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছর বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ নদীতে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক ছিল না। এসব নদীতে হয় পানি একেবারে কম, নয়তো অনেক বেশি ছিল। বিভিন্ন স্থানের স্বাদু পানির উৎস যেমন ঝরনা, নদী, তুষার, বরফ, হ্রদ, জলাধার, ভূগর্ভস্থ জলের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের বেশ কয়েকটি অঞ্চল ব্যাপক পানির সংকটে ভুগেছে। বছরটি ছিল উষ্ণতম বছর। গত বছর আমাজন বনাঞ্চলের নদীগুলোতেও পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে নেমে গিয়েছিল। অন্যদিকে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চল ভয়ংকরভাবে খরার মুখোমুখি হয়েছিল। এই অঞ্চলের দেশগুলোর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে হাতিসহ বিভিন্ন প্রাণী হত্যা করা তাদের জন্য অনিবার্য হয়ে পড়েছিল। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের তিন প্রতিবেশী অঙ্গরাজ্য টেক্সাস, ওকলাহোমা ও কানসাসের ফসল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পানির অভাবে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বাদু পানির জলাধার হিসেবে বিবেচনা করা এমন লেক রয়েছে ৭৫টি। অধিক তাপমাত্রার কারণে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ৭৫টি লেকে পানির মান খারাপ হয়েছে গত বছর।
গত বছরের আবহাওয়াকে অস্বাভাবিক হিসেবেই বিবেচনা করছেন বিজ্ঞানীরা। এ প্রসঙ্গে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার জলবিদ্যা, জল এবং ক্রায়োস্ফিয়ার বিভাগের পরিচালক স্টেফান উহলেনব্রুক বলেন, অধিক গরম ও খরার পরও বিভিন্ন স্থানে প্রচুর বন্যা হয়েছে। এমনকি অন্যান্য বছরের তুলনায় গত বছর বন্যা বেশি হয়েছে।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুসারে, ২০১৩ সালের পর গত বছর ইউরোপে সবচেয়ে বড় বন্যা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে হারিকেনের পর বন্যায় মৃত্যু হয়েছে ২৩০ জনের। পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায় বন্যায় প্রায় দেড় হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে গত বছর।
এদিকে বিশ্লেষকেরা বলছেন, গত বছরের বিরূপ আবহাওয়ায় ভুগেছে বিভিন্ন অঞ্চলের হিমবাহগুলো। তিন বছর ধরেই হিমবাহ ব্যাপক পরিমাণে গলছে। তবে গত বছরই গলেছে প্রায় ৪৫০ গিগাটন বরফ। আকারের দিক থেকে বিবেচনা করলে ৪ দশমিক ৩ মাইল লম্বা, ৪ দশমিক ৩ মাইল প্রস্থ এবং ৪ দশমিক ৩ মাইল গভীরতার বরফ গলেছে গত বছর। আবহাওয়া সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এলাকার বরফ যেমন গলেছে, তেমনি স্বালবার্ড এলাকার এবং উত্তর এশিয়ার বরফও গলেছে।
গবেষকেরা বলছেন, বরফ গলার কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে এবং ঝুঁকি বাড়ছে বন্যার। এ ছাড়া বিদ্যুৎ, সেচ এবং পানীয় জলের জন্য হিমবাহের ওপর নির্ভরশীল দেশগুলোকেও হুমকির মুখে ফেলেছে এই বরফগলা।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার কর্মকর্তা স্টেফান উহলেনব্রুক বলেন, পানিচক্রের এই অস্বাভাবিক পরিবর্তনের কারণে ঠিক কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা আসলে নিরূপণ করা কঠিন। তবে এটুকু বলা যেতে পারে, অস্বাভাবিক বন্যার কারণেই কয়েক শ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া স্বাদু পানির উৎস কমে যাচ্ছে এমন পরিবর্তনের কারণে।

বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহিনুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে চাকরিচ্যুতির আগেই তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
সরকারের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ দিতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সুপারিশ পেশ করা হবে।
৪ ঘণ্টা আগেদুই দশক পর জেইসি বৈঠক
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন অর্থ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আর পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন দেশটির জ্বালানি (পেট্রোলিয়াম বিভাগ) মন্ত্রী আলী পারভেজ মালিক। বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
২০০৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সর্বশেষ জেইসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘ দুই দশক পর আবার বৈঠক বসল, যা দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন গতি এনেছে। বিশেষ করে গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগ উষ্ণ হতে শুরু করেছে।
সভা শেষে সাংবাদিকদের পাকিস্তানের পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী বলেন, ‘দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ এখনো ১ বিলিয়ন ডলারের নিচে, এর পরিমাণ বাড়ানো উচিত। আমরা বাংলাদেশ থেকে পাটসহ কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে চাই। ২০ বছর পর এই জেইসি বৈঠক হলো। একটি ইতিবাচক আলোচনার ধারা সৃষ্টি হয়েছে। দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ সম্প্রসারণে কোথায় সম্ভাবনা আছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও আলোচনা হবে।’
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আকাশ ও নৌপথে সরাসরি যোগাযোগ আবার চালু, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তিনি বৈঠকটিকে ‘অত্যন্ত সফল’ বলে উল্লেখ করেন।
বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, জ্বালানি, উচ্চশিক্ষা, ব্যাংকিং, পর্যটন, ক্রীড়া ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। উভয় দেশই বন্দর ও লজিস্টিক সুবিধা ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবহন ব্যয় হ্রাস ও আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহ প্রকাশ করে।
একই বৈঠকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এবং পাকিস্তান হালাল অথরিটির (পিএইচএ) মধ্যে ‘হালাল বাণিজ্য সহযোগিতা’ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাকসুরা নূর এবং পাকিস্তানের পক্ষে ঢাকায় হাইকমিশনার ইমরান হায়দার।
বৈঠক শেষে উভয় দেশই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার ও অর্থনৈতিক অংশীদারত্বকে নতুন উচ্চতায় নেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে। সিদ্ধান্ত হয়, পরবর্তী (দশম) জেইসি বৈঠক পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন অর্থ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আর পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন দেশটির জ্বালানি (পেট্রোলিয়াম বিভাগ) মন্ত্রী আলী পারভেজ মালিক। বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
২০০৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সর্বশেষ জেইসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘ দুই দশক পর আবার বৈঠক বসল, যা দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন গতি এনেছে। বিশেষ করে গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগ উষ্ণ হতে শুরু করেছে।
সভা শেষে সাংবাদিকদের পাকিস্তানের পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী বলেন, ‘দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ এখনো ১ বিলিয়ন ডলারের নিচে, এর পরিমাণ বাড়ানো উচিত। আমরা বাংলাদেশ থেকে পাটসহ কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে চাই। ২০ বছর পর এই জেইসি বৈঠক হলো। একটি ইতিবাচক আলোচনার ধারা সৃষ্টি হয়েছে। দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ সম্প্রসারণে কোথায় সম্ভাবনা আছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও আলোচনা হবে।’
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আকাশ ও নৌপথে সরাসরি যোগাযোগ আবার চালু, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তিনি বৈঠকটিকে ‘অত্যন্ত সফল’ বলে উল্লেখ করেন।
বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, জ্বালানি, উচ্চশিক্ষা, ব্যাংকিং, পর্যটন, ক্রীড়া ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। উভয় দেশই বন্দর ও লজিস্টিক সুবিধা ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবহন ব্যয় হ্রাস ও আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহ প্রকাশ করে।
একই বৈঠকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এবং পাকিস্তান হালাল অথরিটির (পিএইচএ) মধ্যে ‘হালাল বাণিজ্য সহযোগিতা’ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাকসুরা নূর এবং পাকিস্তানের পক্ষে ঢাকায় হাইকমিশনার ইমরান হায়দার।
বৈঠক শেষে উভয় দেশই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার ও অর্থনৈতিক অংশীদারত্বকে নতুন উচ্চতায় নেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে। সিদ্ধান্ত হয়, পরবর্তী (দশম) জেইসি বৈঠক পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে।

জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারে জলবায়ু পরিবর্তন, এল নিনোর প্রভাবে বিপর্যস্ত আবহাওয়া। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) পানিসম্পদ নিয়ে নতুন তথ্য হাজির করেছে। সংস্থাটি বলছে, বিশ্বজুড়ে পানিচক্র অস্থিতিশীল এবং ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। এতে করে বড় পরিবর্তন এসেছে বন্যা ও খরায়।
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহিনুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে চাকরিচ্যুতির আগেই তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
সরকারের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ দিতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সুপারিশ পেশ করা হবে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে ইসি সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদও উপস্থিত ছিলেন। তবে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে কথা বলেননি ইইউ রাষ্ট্রদূত।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘ইইউ আমাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। এ ছাড়া তারা আগামী সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে। এ জন্য তারা একটি প্রাক-নির্বাচনী মূল্যায়ন দল পাঠাবে।’
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইইউর সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ইসির সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠক শেষে ইসি সচিব জানান, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে ইইউর একটি বড় দল বাংলাদেশে আসবে। প্রায় ১৫০ সদস্যের এই পর্যবেক্ষক দল নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে ধাপে ধাপে বাংলাদেশে আসবে।
ইসি সচিব আরও জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে পর্যবেক্ষক মিশন বাস্তবায়ন করা হবে। পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষে গেজেট প্রকাশ পর্যন্ত তারা পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম চালাবে।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে ইসি সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদও উপস্থিত ছিলেন। তবে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে কথা বলেননি ইইউ রাষ্ট্রদূত।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘ইইউ আমাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। এ ছাড়া তারা আগামী সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে। এ জন্য তারা একটি প্রাক-নির্বাচনী মূল্যায়ন দল পাঠাবে।’
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইইউর সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ইসির সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠক শেষে ইসি সচিব জানান, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে ইইউর একটি বড় দল বাংলাদেশে আসবে। প্রায় ১৫০ সদস্যের এই পর্যবেক্ষক দল নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে ধাপে ধাপে বাংলাদেশে আসবে।
ইসি সচিব আরও জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে পর্যবেক্ষক মিশন বাস্তবায়ন করা হবে। পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষে গেজেট প্রকাশ পর্যন্ত তারা পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম চালাবে।

জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারে জলবায়ু পরিবর্তন, এল নিনোর প্রভাবে বিপর্যস্ত আবহাওয়া। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) পানিসম্পদ নিয়ে নতুন তথ্য হাজির করেছে। সংস্থাটি বলছে, বিশ্বজুড়ে পানিচক্র অস্থিতিশীল এবং ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। এতে করে বড় পরিবর্তন এসেছে বন্যা ও খরায়।
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক
৩ ঘণ্টা আগে
অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহিনুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে চাকরিচ্যুতির আগেই তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
সরকারের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ দিতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সুপারিশ পেশ করা হবে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহিনুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে চাকরিচ্যুতির আগেই তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগারগাঁও বিভাগীয় অফিসের সহকারী পরিচালক শাহিনুর রহমানকে গত বছরের ৩০ মে গোপালগঞ্জের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে বদলি করা হয়। বদলি আদেশের পর কর্মস্থলে যোগদানের জন্য গত বছরের ৮ জুলাই আগের কর্মস্থল থেকে রিলিজ লেটার বা ছাড়পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি বদলি করা কর্মস্থলে যোগদান করেননি।
পরে তিনি ৯ জুলাই চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। আবেদন মঞ্জুর হওয়ার আগেই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন। এ জন্য ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর হতে গত বছরের ৩ আগস্ট কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি নোটিশের জবাব দেননি। এরপর কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে ১৪১ দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, শাহিনুর রহমান বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে কর্মরত থাকাকালে নিজ পেশা ‘সরকারি চাকরি’ গোপন করে ‘শিক্ষক’ পেশা উল্লেখ করে নিজেই নিজের পাসপোর্টের আবেদন করেন। পরে তা নিজেই গ্রহণ করেন। তাঁর এই আচরণ ২০১৮ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ৩(খ) বিধি মোতাবেক ‘অসদাচরণ’ এবং ৩(গ) বিধি মোতাবেক ‘পলায়ন’-এর শামিল। এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি অভিযোগনামা দেওয়া হয়। তিনি অভিযোগনামার জবাব দেননি এবং ব্যক্তিগত শুনানির জন্য আবেদন করেননি।
গত ২৭ এপ্রিল তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আনীত ‘অসদাচরণ’ ও ‘পলায়ন’-এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিধিমালার ৪(৩)(ঘ) অনুযায়ী ‘চাকরি হতে বরখাস্তকরণ’-এর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে পাঠানো হলে সেখান থেকে তাঁকে ‘বরখাস্তকরণ’-এর বিষয়ে একমত পোষণ করে গুরুদণ্ডের পরামর্শ দেওয়া হয়।

অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহিনুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে চাকরিচ্যুতির আগেই তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগারগাঁও বিভাগীয় অফিসের সহকারী পরিচালক শাহিনুর রহমানকে গত বছরের ৩০ মে গোপালগঞ্জের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে বদলি করা হয়। বদলি আদেশের পর কর্মস্থলে যোগদানের জন্য গত বছরের ৮ জুলাই আগের কর্মস্থল থেকে রিলিজ লেটার বা ছাড়পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি বদলি করা কর্মস্থলে যোগদান করেননি।
পরে তিনি ৯ জুলাই চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। আবেদন মঞ্জুর হওয়ার আগেই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন। এ জন্য ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর হতে গত বছরের ৩ আগস্ট কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি নোটিশের জবাব দেননি। এরপর কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে ১৪১ দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, শাহিনুর রহমান বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে কর্মরত থাকাকালে নিজ পেশা ‘সরকারি চাকরি’ গোপন করে ‘শিক্ষক’ পেশা উল্লেখ করে নিজেই নিজের পাসপোর্টের আবেদন করেন। পরে তা নিজেই গ্রহণ করেন। তাঁর এই আচরণ ২০১৮ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ৩(খ) বিধি মোতাবেক ‘অসদাচরণ’ এবং ৩(গ) বিধি মোতাবেক ‘পলায়ন’-এর শামিল। এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি অভিযোগনামা দেওয়া হয়। তিনি অভিযোগনামার জবাব দেননি এবং ব্যক্তিগত শুনানির জন্য আবেদন করেননি।
গত ২৭ এপ্রিল তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আনীত ‘অসদাচরণ’ ও ‘পলায়ন’-এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিধিমালার ৪(৩)(ঘ) অনুযায়ী ‘চাকরি হতে বরখাস্তকরণ’-এর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে পাঠানো হলে সেখান থেকে তাঁকে ‘বরখাস্তকরণ’-এর বিষয়ে একমত পোষণ করে গুরুদণ্ডের পরামর্শ দেওয়া হয়।

জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারে জলবায়ু পরিবর্তন, এল নিনোর প্রভাবে বিপর্যস্ত আবহাওয়া। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) পানিসম্পদ নিয়ে নতুন তথ্য হাজির করেছে। সংস্থাটি বলছে, বিশ্বজুড়ে পানিচক্র অস্থিতিশীল এবং ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। এতে করে বড় পরিবর্তন এসেছে বন্যা ও খরায়।
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
সরকারের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ দিতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সুপারিশ পেশ করা হবে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ দিতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সুপারিশ পেশ করা হবে।
আজ সোমবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে কমিশনের সমাপনী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
সমাপনী বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের পর থেকে চূড়ান্ত সুপারিশ প্রদান পর্যন্ত সব ডকুমেন্ট, আলোচনার ভিডিও, অডিও, ছবি সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এগুলো মহামূল্যবান সম্পদ। জাতি হিসেবে আমরা কোন প্রেক্ষাপটে কী প্রক্রিয়ায় কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছালাম, তা সবার জন্য দীর্ঘ মেয়াদে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং উন্মুক্ত থাকা দরকার। যত বৈঠক হয়েছে, সেগুলোর ছবি ও ভিডিও, যত চিঠি চালাচালি হয়েছে—সব ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করতে হবে এবং ক্যাটাগরি করে রাখতে হবে। টেলিভিশনে যেসব আলোচনা লাইভ প্রচার হয়েছে, সেগুলো খণ্ড খণ্ড আকারে সংরক্ষণ করতে হবে। কারণ, এগুলো হবে ইতিহাসের চিরজীবন্ত দলিল। যারা গবেষণা করতে চায় তারা যেন এগুলো দেখে কাজে লাগাতে পারে। প্রজন্মের পর প্রজন্মে এই ডকুমেন্ট থেকে যাবে। এ দলিলগুলোই ভবিষ্যতের রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।’
এ সময় রাজনৈতিক দল, ঐকমত্য কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী, গবেষক ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রধান উপদেষ্টা।
সমাপনী বৈঠকে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা চূড়ান্ত করার পাশাপাশি অন্য সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়নেও সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কমিশনের সদস্যরা।
‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বাংলাদেশে একটি স্থায়ী জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপনের জন্য কাজ করেছে’ উল্লেখ করে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি আইন বিশেষজ্ঞ, বিচারপতি, শিক্ষাবিদসহ নাগরিক সমাজের বিশিষ্টজনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করা হয়েছে।’
কমিশনের সহসভাপতি আরও বলেন, ‘চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের তিনটি মূল দায়িত্বের (বিচার, সংস্কার, নির্বাচন) একটি কাঠামোগত সংস্কার। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান দায়িত্ব ছিল সংস্কারের একটি রূপরেখা তৈরি করা। মিল-অমিল সত্ত্বেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা দৃশ্যমান ছিল। তারা বরাবরই আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন। দিনের পর দিন অত্যন্ত ধৈর্য ও বিচক্ষণতার সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়েছেন।’
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘চব্বিশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থান আমাদের যে সুযোগ দিয়েছে, সেটা যেন হারিয়ে না ফেলি। কমিশন সংস্কারকেই অগ্রাধিকার দিয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে জনগণ কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন দেখতে পারে। কমিশন দায়িত্ব শেষ করল। কাল আনুষ্ঠানিকভাবে সুপারিশ হস্তান্তর করা হবে। কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে ৩১ অক্টোবর। এরপরও সরকারের প্রয়োজন হলে এ দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা প্রদানের চেষ্টা করব।’
নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান ও কমিশন সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে সবাই সরকারের নিবিষ্টতা ও সাহসিকতা প্রত্যাশা করে। গণ-অভ্যুত্থানে এত তাজা প্রাণ ঝরে গেল, এত মানুষ আহত হলো—এটা স্মরণে রেখে প্রয়োজনীয় সংস্কার যাতে নিশ্চিত হয়। এ সুযোগ যেন না হারাই।’
কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য ছিল একই রকম আন্তরিকতার প্রতিফলন ছিল কমিশনের বৈঠকগুলোতে। এটা খুবই ইতিবাচক দিক।’
পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান ও কমিশন সদস্য সফর রাজ বলেন, ‘প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলো বসে ধৈর্যের সঙ্গে আলোচনা করেছে। ভবিষ্যতেও যেন এ ধরনের সৌহার্দ্য থাকে, এটিই আমাদের প্রত্যাশা।’
দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ও কমিশন সদস্য ড. ইফতেখারুজ্জামান জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পাশাপাশি দুদক সংস্কারেও সরকারকে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার বলেন, ‘যতগুলো শহীদ পরিবারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, তাঁরা প্রত্যেকে আমাদের জানিয়েছেন সংস্কার নিশ্চিত করা না হলে তাঁদের সন্তানদের জীবন উৎসর্গ করা বৃথা যাবে বলে তাঁরা মনে করেন। যারা জুলাইয়ে জীবন দিল তারাই এর মূল ভিত্তি।’
আগামীকাল দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ হস্তান্তর করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

সরকারের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ দিতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সুপারিশ পেশ করা হবে।
আজ সোমবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে কমিশনের সমাপনী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
সমাপনী বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের পর থেকে চূড়ান্ত সুপারিশ প্রদান পর্যন্ত সব ডকুমেন্ট, আলোচনার ভিডিও, অডিও, ছবি সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এগুলো মহামূল্যবান সম্পদ। জাতি হিসেবে আমরা কোন প্রেক্ষাপটে কী প্রক্রিয়ায় কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছালাম, তা সবার জন্য দীর্ঘ মেয়াদে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং উন্মুক্ত থাকা দরকার। যত বৈঠক হয়েছে, সেগুলোর ছবি ও ভিডিও, যত চিঠি চালাচালি হয়েছে—সব ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করতে হবে এবং ক্যাটাগরি করে রাখতে হবে। টেলিভিশনে যেসব আলোচনা লাইভ প্রচার হয়েছে, সেগুলো খণ্ড খণ্ড আকারে সংরক্ষণ করতে হবে। কারণ, এগুলো হবে ইতিহাসের চিরজীবন্ত দলিল। যারা গবেষণা করতে চায় তারা যেন এগুলো দেখে কাজে লাগাতে পারে। প্রজন্মের পর প্রজন্মে এই ডকুমেন্ট থেকে যাবে। এ দলিলগুলোই ভবিষ্যতের রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।’
এ সময় রাজনৈতিক দল, ঐকমত্য কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী, গবেষক ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রধান উপদেষ্টা।
সমাপনী বৈঠকে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা চূড়ান্ত করার পাশাপাশি অন্য সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়নেও সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কমিশনের সদস্যরা।
‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বাংলাদেশে একটি স্থায়ী জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপনের জন্য কাজ করেছে’ উল্লেখ করে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি আইন বিশেষজ্ঞ, বিচারপতি, শিক্ষাবিদসহ নাগরিক সমাজের বিশিষ্টজনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করা হয়েছে।’
কমিশনের সহসভাপতি আরও বলেন, ‘চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের তিনটি মূল দায়িত্বের (বিচার, সংস্কার, নির্বাচন) একটি কাঠামোগত সংস্কার। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান দায়িত্ব ছিল সংস্কারের একটি রূপরেখা তৈরি করা। মিল-অমিল সত্ত্বেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা দৃশ্যমান ছিল। তারা বরাবরই আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন। দিনের পর দিন অত্যন্ত ধৈর্য ও বিচক্ষণতার সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়েছেন।’
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘চব্বিশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থান আমাদের যে সুযোগ দিয়েছে, সেটা যেন হারিয়ে না ফেলি। কমিশন সংস্কারকেই অগ্রাধিকার দিয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে জনগণ কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন দেখতে পারে। কমিশন দায়িত্ব শেষ করল। কাল আনুষ্ঠানিকভাবে সুপারিশ হস্তান্তর করা হবে। কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে ৩১ অক্টোবর। এরপরও সরকারের প্রয়োজন হলে এ দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা প্রদানের চেষ্টা করব।’
নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান ও কমিশন সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে সবাই সরকারের নিবিষ্টতা ও সাহসিকতা প্রত্যাশা করে। গণ-অভ্যুত্থানে এত তাজা প্রাণ ঝরে গেল, এত মানুষ আহত হলো—এটা স্মরণে রেখে প্রয়োজনীয় সংস্কার যাতে নিশ্চিত হয়। এ সুযোগ যেন না হারাই।’
কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য ছিল একই রকম আন্তরিকতার প্রতিফলন ছিল কমিশনের বৈঠকগুলোতে। এটা খুবই ইতিবাচক দিক।’
পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান ও কমিশন সদস্য সফর রাজ বলেন, ‘প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলো বসে ধৈর্যের সঙ্গে আলোচনা করেছে। ভবিষ্যতেও যেন এ ধরনের সৌহার্দ্য থাকে, এটিই আমাদের প্রত্যাশা।’
দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ও কমিশন সদস্য ড. ইফতেখারুজ্জামান জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পাশাপাশি দুদক সংস্কারেও সরকারকে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার বলেন, ‘যতগুলো শহীদ পরিবারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, তাঁরা প্রত্যেকে আমাদের জানিয়েছেন সংস্কার নিশ্চিত করা না হলে তাঁদের সন্তানদের জীবন উৎসর্গ করা বৃথা যাবে বলে তাঁরা মনে করেন। যারা জুলাইয়ে জীবন দিল তারাই এর মূল ভিত্তি।’
আগামীকাল দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ হস্তান্তর করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারে জলবায়ু পরিবর্তন, এল নিনোর প্রভাবে বিপর্যস্ত আবহাওয়া। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) পানিসম্পদ নিয়ে নতুন তথ্য হাজির করেছে। সংস্থাটি বলছে, বিশ্বজুড়ে পানিচক্র অস্থিতিশীল এবং ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। এতে করে বড় পরিবর্তন এসেছে বন্যা ও খরায়।
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহিনুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে চাকরিচ্যুতির আগেই তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগে