নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ শান্তির দেশ। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয়। আর দেশের উন্নয়ন মানে প্রতিটি পরিবারের উন্নয়ন। প্রতিটি পরিবার সচ্ছলভাবে জীবন যাপন করুক, সুন্দরভাবে বাঁচুক—সেটাই আমরা চাই। সে জন্য একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখা একান্ত প্রয়োজন।’
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪২তম জাতীয় সমাবেশে আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গাজীপুরের আনসার ভিডিপি একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আনসার ও ভিডিপির ১৬২ জনকে পদক দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এই পদক তুলে দেন।
দেশকে এগিয়ে নিতে সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করবেন বলে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশের এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা যাতে অব্যাহত থাকে, তার জন্য সবাই প্রচেষ্টা চালাবেন, সেটাই আমি আশা করি।’
দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলব। সেই পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে দিয়েছি। তারই ভিত্তিতে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে আমরা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছি। আমরা এখানেই থেমে থাকিনি, আমাদের শতবর্ষের প্রোগ্রামও আমরা নিয়েছি—ডেলটা প্ল্যান ২১০০।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই বদ্বীপ অঞ্চল জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে যেন রক্ষা পায় এবং এ দেশের মানুষ যেন উন্নত জীবন পায়, সেদিকে লক্ষ রেখে সেই পরিকল্পনাটাও আমি দিয়ে গেলাম।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘২১০০ সাল পর্যন্ত পরিকল্পনা দিয়ে যাচ্ছি, যাতে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা কখনো কেউ ব্যাহত করতে না পারে। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে যাব। আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, আমরা প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সক্ষম হয়েছি। অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আমি মনে করি, আপনাদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করবেন, সেটাই আমরা আশা করি।’
আনসার ও ভিডিপির কার্যক্রম তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন,‘ বিএনপি-জামায়াত যখন বাস, গাড়ি, রিকশা, ভ্যান এমনকি রেলগাড়ি ও রেললাইনে আগুন দিয়ে জীবন্ত মানুষদের পুড়িয়ে মারছিল, তখন রেললাইনের নিরাপত্তার দায়িত্ব আনসার ভিডিপিকে দেওয়া হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে তারা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করে। এই ধরনের কার্যক্রম করতে গিয়ে তাদের অনেকের জীবনও দিতে হয়েছে।’
সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ নির্মূলে আনসার সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে আমরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত হিসেবে গড়তে চাই। এ লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি। এ ক্ষেত্রেও আমাদের আনসার ভিডিপি বাহিনী সব সময় সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ, মৌলবাদ নির্মূলে বিশেষ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘বিভিন্ন দায়িত্ব আনসার ও ভিডিপি যোগ্যতার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছে। তাই সদস্যসংখ্যাও যৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি করে দিচ্ছি। এই বাহিনীতে কর্মরতদের পদোন্নতির বিষয়ে যে সমস্যা ছিল, তার সমাধান করে দিয়েছি। আপনাদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে আমার বিশেষ নজর রয়েছে।’
বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট গঠনের ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। কাজ করতে পারেন না। বয়োবৃদ্ধ হয়ে যান। নানা ধরনের অসুবিধায় পড়েন। তখন এই ট্রাস্ট থেকে সহযোগিতা করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের বাঙালির ইতিহাসে আনসার বাহিনীর অবদান সর্বক্ষেত্রে। যেমন ভাষা আন্দোলনে অবদান রয়েছে, ঠিক তেমনি মহান মুক্তিযুদ্ধেও অবদান রয়েছে। এই বাহিনীর ৬৭০ জন অকুতোভয় বীর সৈনিক জীবন দিয়ে গেছেন। ১৯৭১ সালে গঠিত মুজিবনগর সরকারকে গার্ড অব অনার দেওয়ার ক্ষেত্রে আনসার বাহিনী মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিল।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ শান্তির দেশ। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয়। আর দেশের উন্নয়ন মানে প্রতিটি পরিবারের উন্নয়ন। প্রতিটি পরিবার সচ্ছলভাবে জীবন যাপন করুক, সুন্দরভাবে বাঁচুক—সেটাই আমরা চাই। সে জন্য একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখা একান্ত প্রয়োজন।’
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪২তম জাতীয় সমাবেশে আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গাজীপুরের আনসার ভিডিপি একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আনসার ও ভিডিপির ১৬২ জনকে পদক দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এই পদক তুলে দেন।
দেশকে এগিয়ে নিতে সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করবেন বলে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশের এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা যাতে অব্যাহত থাকে, তার জন্য সবাই প্রচেষ্টা চালাবেন, সেটাই আমি আশা করি।’
দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলব। সেই পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে দিয়েছি। তারই ভিত্তিতে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে আমরা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছি। আমরা এখানেই থেমে থাকিনি, আমাদের শতবর্ষের প্রোগ্রামও আমরা নিয়েছি—ডেলটা প্ল্যান ২১০০।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই বদ্বীপ অঞ্চল জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে যেন রক্ষা পায় এবং এ দেশের মানুষ যেন উন্নত জীবন পায়, সেদিকে লক্ষ রেখে সেই পরিকল্পনাটাও আমি দিয়ে গেলাম।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘২১০০ সাল পর্যন্ত পরিকল্পনা দিয়ে যাচ্ছি, যাতে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা কখনো কেউ ব্যাহত করতে না পারে। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে যাব। আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, আমরা প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সক্ষম হয়েছি। অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আমি মনে করি, আপনাদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করবেন, সেটাই আমরা আশা করি।’
আনসার ও ভিডিপির কার্যক্রম তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন,‘ বিএনপি-জামায়াত যখন বাস, গাড়ি, রিকশা, ভ্যান এমনকি রেলগাড়ি ও রেললাইনে আগুন দিয়ে জীবন্ত মানুষদের পুড়িয়ে মারছিল, তখন রেললাইনের নিরাপত্তার দায়িত্ব আনসার ভিডিপিকে দেওয়া হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে তারা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করে। এই ধরনের কার্যক্রম করতে গিয়ে তাদের অনেকের জীবনও দিতে হয়েছে।’
সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ নির্মূলে আনসার সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে আমরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত হিসেবে গড়তে চাই। এ লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি। এ ক্ষেত্রেও আমাদের আনসার ভিডিপি বাহিনী সব সময় সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ, মৌলবাদ নির্মূলে বিশেষ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘বিভিন্ন দায়িত্ব আনসার ও ভিডিপি যোগ্যতার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছে। তাই সদস্যসংখ্যাও যৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি করে দিচ্ছি। এই বাহিনীতে কর্মরতদের পদোন্নতির বিষয়ে যে সমস্যা ছিল, তার সমাধান করে দিয়েছি। আপনাদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে আমার বিশেষ নজর রয়েছে।’
বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট গঠনের ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। কাজ করতে পারেন না। বয়োবৃদ্ধ হয়ে যান। নানা ধরনের অসুবিধায় পড়েন। তখন এই ট্রাস্ট থেকে সহযোগিতা করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের বাঙালির ইতিহাসে আনসার বাহিনীর অবদান সর্বক্ষেত্রে। যেমন ভাষা আন্দোলনে অবদান রয়েছে, ঠিক তেমনি মহান মুক্তিযুদ্ধেও অবদান রয়েছে। এই বাহিনীর ৬৭০ জন অকুতোভয় বীর সৈনিক জীবন দিয়ে গেছেন। ১৯৭১ সালে গঠিত মুজিবনগর সরকারকে গার্ড অব অনার দেওয়ার ক্ষেত্রে আনসার বাহিনী মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিল।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন।
১১ কোটি নাগরিকের এনআইডির ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস ও বিক্রির অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় দায়ের করা মামলায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রিমান্ডে নেওয়ার এই নির্দেশ দেন।
৯ মিনিট আগেগঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি নবায়নের লক্ষ্যে বৈঠকে বসেছে ইন্দো-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের একটি কারিগরি দল। আজ বৃহস্পতিবার কলকাতায় এই বৈঠক শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা। ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশ গঙ্গা নদীর পানি ভাগাভা
১ ঘণ্টা আগেএবার আটজন ব্যক্তিকে স্বাধীনতা পদক দেবে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ শিগগিরই সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় এই পদকের জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করবে। এই তালিকায় রয়েছেন আবরার ফাহাদ। এ নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে, কেন তাঁকে স্বাধীনতা পদক দেওয়া হবে? এই প্রশ্নের জবাবে মুখ খুলেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা
২ ঘণ্টা আগেজাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস চার দিনের এক সফরে আগামী ১৩ মার্চ বাংলাদেশে আসছেন। এই সময়ে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাবেন তিনি। এ ছাড়াও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন...
৩ ঘণ্টা আগে