নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ শান্তির দেশ। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয়। আর দেশের উন্নয়ন মানে প্রতিটি পরিবারের উন্নয়ন। প্রতিটি পরিবার সচ্ছলভাবে জীবন যাপন করুক, সুন্দরভাবে বাঁচুক—সেটাই আমরা চাই। সে জন্য একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখা একান্ত প্রয়োজন।’
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪২তম জাতীয় সমাবেশে আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গাজীপুরের আনসার ভিডিপি একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আনসার ও ভিডিপির ১৬২ জনকে পদক দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এই পদক তুলে দেন।
দেশকে এগিয়ে নিতে সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করবেন বলে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশের এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা যাতে অব্যাহত থাকে, তার জন্য সবাই প্রচেষ্টা চালাবেন, সেটাই আমি আশা করি।’
দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলব। সেই পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে দিয়েছি। তারই ভিত্তিতে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে আমরা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছি। আমরা এখানেই থেমে থাকিনি, আমাদের শতবর্ষের প্রোগ্রামও আমরা নিয়েছি—ডেলটা প্ল্যান ২১০০।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই বদ্বীপ অঞ্চল জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে যেন রক্ষা পায় এবং এ দেশের মানুষ যেন উন্নত জীবন পায়, সেদিকে লক্ষ রেখে সেই পরিকল্পনাটাও আমি দিয়ে গেলাম।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘২১০০ সাল পর্যন্ত পরিকল্পনা দিয়ে যাচ্ছি, যাতে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা কখনো কেউ ব্যাহত করতে না পারে। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে যাব। আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, আমরা প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সক্ষম হয়েছি। অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আমি মনে করি, আপনাদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করবেন, সেটাই আমরা আশা করি।’
আনসার ও ভিডিপির কার্যক্রম তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন,‘ বিএনপি-জামায়াত যখন বাস, গাড়ি, রিকশা, ভ্যান এমনকি রেলগাড়ি ও রেললাইনে আগুন দিয়ে জীবন্ত মানুষদের পুড়িয়ে মারছিল, তখন রেললাইনের নিরাপত্তার দায়িত্ব আনসার ভিডিপিকে দেওয়া হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে তারা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করে। এই ধরনের কার্যক্রম করতে গিয়ে তাদের অনেকের জীবনও দিতে হয়েছে।’
সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ নির্মূলে আনসার সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে আমরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত হিসেবে গড়তে চাই। এ লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি। এ ক্ষেত্রেও আমাদের আনসার ভিডিপি বাহিনী সব সময় সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ, মৌলবাদ নির্মূলে বিশেষ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘বিভিন্ন দায়িত্ব আনসার ও ভিডিপি যোগ্যতার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছে। তাই সদস্যসংখ্যাও যৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি করে দিচ্ছি। এই বাহিনীতে কর্মরতদের পদোন্নতির বিষয়ে যে সমস্যা ছিল, তার সমাধান করে দিয়েছি। আপনাদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে আমার বিশেষ নজর রয়েছে।’
বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট গঠনের ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। কাজ করতে পারেন না। বয়োবৃদ্ধ হয়ে যান। নানা ধরনের অসুবিধায় পড়েন। তখন এই ট্রাস্ট থেকে সহযোগিতা করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের বাঙালির ইতিহাসে আনসার বাহিনীর অবদান সর্বক্ষেত্রে। যেমন ভাষা আন্দোলনে অবদান রয়েছে, ঠিক তেমনি মহান মুক্তিযুদ্ধেও অবদান রয়েছে। এই বাহিনীর ৬৭০ জন অকুতোভয় বীর সৈনিক জীবন দিয়ে গেছেন। ১৯৭১ সালে গঠিত মুজিবনগর সরকারকে গার্ড অব অনার দেওয়ার ক্ষেত্রে আনসার বাহিনী মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিল।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন।

শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ শান্তির দেশ। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয়। আর দেশের উন্নয়ন মানে প্রতিটি পরিবারের উন্নয়ন। প্রতিটি পরিবার সচ্ছলভাবে জীবন যাপন করুক, সুন্দরভাবে বাঁচুক—সেটাই আমরা চাই। সে জন্য একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখা একান্ত প্রয়োজন।’
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪২তম জাতীয় সমাবেশে আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গাজীপুরের আনসার ভিডিপি একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আনসার ও ভিডিপির ১৬২ জনকে পদক দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এই পদক তুলে দেন।
দেশকে এগিয়ে নিতে সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করবেন বলে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশের এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা যাতে অব্যাহত থাকে, তার জন্য সবাই প্রচেষ্টা চালাবেন, সেটাই আমি আশা করি।’
দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলব। সেই পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে দিয়েছি। তারই ভিত্তিতে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে আমরা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছি। আমরা এখানেই থেমে থাকিনি, আমাদের শতবর্ষের প্রোগ্রামও আমরা নিয়েছি—ডেলটা প্ল্যান ২১০০।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই বদ্বীপ অঞ্চল জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে যেন রক্ষা পায় এবং এ দেশের মানুষ যেন উন্নত জীবন পায়, সেদিকে লক্ষ রেখে সেই পরিকল্পনাটাও আমি দিয়ে গেলাম।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘২১০০ সাল পর্যন্ত পরিকল্পনা দিয়ে যাচ্ছি, যাতে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা কখনো কেউ ব্যাহত করতে না পারে। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে যাব। আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, আমরা প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সক্ষম হয়েছি। অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আমি মনে করি, আপনাদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করবেন, সেটাই আমরা আশা করি।’
আনসার ও ভিডিপির কার্যক্রম তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন,‘ বিএনপি-জামায়াত যখন বাস, গাড়ি, রিকশা, ভ্যান এমনকি রেলগাড়ি ও রেললাইনে আগুন দিয়ে জীবন্ত মানুষদের পুড়িয়ে মারছিল, তখন রেললাইনের নিরাপত্তার দায়িত্ব আনসার ভিডিপিকে দেওয়া হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে তারা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করে। এই ধরনের কার্যক্রম করতে গিয়ে তাদের অনেকের জীবনও দিতে হয়েছে।’
সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ নির্মূলে আনসার সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে আমরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত হিসেবে গড়তে চাই। এ লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি। এ ক্ষেত্রেও আমাদের আনসার ভিডিপি বাহিনী সব সময় সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ, মৌলবাদ নির্মূলে বিশেষ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘বিভিন্ন দায়িত্ব আনসার ও ভিডিপি যোগ্যতার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছে। তাই সদস্যসংখ্যাও যৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি করে দিচ্ছি। এই বাহিনীতে কর্মরতদের পদোন্নতির বিষয়ে যে সমস্যা ছিল, তার সমাধান করে দিয়েছি। আপনাদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে আমার বিশেষ নজর রয়েছে।’
বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট গঠনের ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। কাজ করতে পারেন না। বয়োবৃদ্ধ হয়ে যান। নানা ধরনের অসুবিধায় পড়েন। তখন এই ট্রাস্ট থেকে সহযোগিতা করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের বাঙালির ইতিহাসে আনসার বাহিনীর অবদান সর্বক্ষেত্রে। যেমন ভাষা আন্দোলনে অবদান রয়েছে, ঠিক তেমনি মহান মুক্তিযুদ্ধেও অবদান রয়েছে। এই বাহিনীর ৬৭০ জন অকুতোভয় বীর সৈনিক জীবন দিয়ে গেছেন। ১৯৭১ সালে গঠিত মুজিবনগর সরকারকে গার্ড অব অনার দেওয়ার ক্ষেত্রে আনসার বাহিনী মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিল।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ শান্তির দেশ। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয়। আর দেশের উন্নয়ন মানে প্রতিটি পরিবারের উন্নয়ন। প্রতিটি পরিবার সচ্ছলভাবে জীবন যাপন করুক, সুন্দরভাবে বাঁচুক—সেটাই আমরা চাই। সে জন্য একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখা একান্ত প্রয়োজন।’
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪২তম জাতীয় সমাবেশে আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গাজীপুরের আনসার ভিডিপি একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আনসার ও ভিডিপির ১৬২ জনকে পদক দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এই পদক তুলে দেন।
দেশকে এগিয়ে নিতে সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করবেন বলে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশের এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা যাতে অব্যাহত থাকে, তার জন্য সবাই প্রচেষ্টা চালাবেন, সেটাই আমি আশা করি।’
দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলব। সেই পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে দিয়েছি। তারই ভিত্তিতে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে আমরা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছি। আমরা এখানেই থেমে থাকিনি, আমাদের শতবর্ষের প্রোগ্রামও আমরা নিয়েছি—ডেলটা প্ল্যান ২১০০।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই বদ্বীপ অঞ্চল জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে যেন রক্ষা পায় এবং এ দেশের মানুষ যেন উন্নত জীবন পায়, সেদিকে লক্ষ রেখে সেই পরিকল্পনাটাও আমি দিয়ে গেলাম।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘২১০০ সাল পর্যন্ত পরিকল্পনা দিয়ে যাচ্ছি, যাতে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা কখনো কেউ ব্যাহত করতে না পারে। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে যাব। আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, আমরা প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সক্ষম হয়েছি। অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আমি মনে করি, আপনাদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করবেন, সেটাই আমরা আশা করি।’
আনসার ও ভিডিপির কার্যক্রম তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন,‘ বিএনপি-জামায়াত যখন বাস, গাড়ি, রিকশা, ভ্যান এমনকি রেলগাড়ি ও রেললাইনে আগুন দিয়ে জীবন্ত মানুষদের পুড়িয়ে মারছিল, তখন রেললাইনের নিরাপত্তার দায়িত্ব আনসার ভিডিপিকে দেওয়া হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে তারা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করে। এই ধরনের কার্যক্রম করতে গিয়ে তাদের অনেকের জীবনও দিতে হয়েছে।’
সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ নির্মূলে আনসার সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে আমরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত হিসেবে গড়তে চাই। এ লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি। এ ক্ষেত্রেও আমাদের আনসার ভিডিপি বাহিনী সব সময় সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ, মৌলবাদ নির্মূলে বিশেষ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘বিভিন্ন দায়িত্ব আনসার ও ভিডিপি যোগ্যতার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছে। তাই সদস্যসংখ্যাও যৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি করে দিচ্ছি। এই বাহিনীতে কর্মরতদের পদোন্নতির বিষয়ে যে সমস্যা ছিল, তার সমাধান করে দিয়েছি। আপনাদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে আমার বিশেষ নজর রয়েছে।’
বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট গঠনের ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। কাজ করতে পারেন না। বয়োবৃদ্ধ হয়ে যান। নানা ধরনের অসুবিধায় পড়েন। তখন এই ট্রাস্ট থেকে সহযোগিতা করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের বাঙালির ইতিহাসে আনসার বাহিনীর অবদান সর্বক্ষেত্রে। যেমন ভাষা আন্দোলনে অবদান রয়েছে, ঠিক তেমনি মহান মুক্তিযুদ্ধেও অবদান রয়েছে। এই বাহিনীর ৬৭০ জন অকুতোভয় বীর সৈনিক জীবন দিয়ে গেছেন। ১৯৭১ সালে গঠিত মুজিবনগর সরকারকে গার্ড অব অনার দেওয়ার ক্ষেত্রে আনসার বাহিনী মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিল।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন।

শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ শান্তির দেশ। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয়। আর দেশের উন্নয়ন মানে প্রতিটি পরিবারের উন্নয়ন। প্রতিটি পরিবার সচ্ছলভাবে জীবন যাপন করুক, সুন্দরভাবে বাঁচুক—সেটাই আমরা চাই। সে জন্য একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখা একান্ত প্রয়োজন।’
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪২তম জাতীয় সমাবেশে আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গাজীপুরের আনসার ভিডিপি একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আনসার ও ভিডিপির ১৬২ জনকে পদক দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এই পদক তুলে দেন।
দেশকে এগিয়ে নিতে সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করবেন বলে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশের এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা যাতে অব্যাহত থাকে, তার জন্য সবাই প্রচেষ্টা চালাবেন, সেটাই আমি আশা করি।’
দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলব। সেই পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে দিয়েছি। তারই ভিত্তিতে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে আমরা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছি। আমরা এখানেই থেমে থাকিনি, আমাদের শতবর্ষের প্রোগ্রামও আমরা নিয়েছি—ডেলটা প্ল্যান ২১০০।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই বদ্বীপ অঞ্চল জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে যেন রক্ষা পায় এবং এ দেশের মানুষ যেন উন্নত জীবন পায়, সেদিকে লক্ষ রেখে সেই পরিকল্পনাটাও আমি দিয়ে গেলাম।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘২১০০ সাল পর্যন্ত পরিকল্পনা দিয়ে যাচ্ছি, যাতে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা কখনো কেউ ব্যাহত করতে না পারে। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে যাব। আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, আমরা প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সক্ষম হয়েছি। অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আমি মনে করি, আপনাদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করবেন, সেটাই আমরা আশা করি।’
আনসার ও ভিডিপির কার্যক্রম তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন,‘ বিএনপি-জামায়াত যখন বাস, গাড়ি, রিকশা, ভ্যান এমনকি রেলগাড়ি ও রেললাইনে আগুন দিয়ে জীবন্ত মানুষদের পুড়িয়ে মারছিল, তখন রেললাইনের নিরাপত্তার দায়িত্ব আনসার ভিডিপিকে দেওয়া হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে তারা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করে। এই ধরনের কার্যক্রম করতে গিয়ে তাদের অনেকের জীবনও দিতে হয়েছে।’
সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ নির্মূলে আনসার সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে আমরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত হিসেবে গড়তে চাই। এ লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি। এ ক্ষেত্রেও আমাদের আনসার ভিডিপি বাহিনী সব সময় সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ, মৌলবাদ নির্মূলে বিশেষ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘বিভিন্ন দায়িত্ব আনসার ও ভিডিপি যোগ্যতার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছে। তাই সদস্যসংখ্যাও যৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি করে দিচ্ছি। এই বাহিনীতে কর্মরতদের পদোন্নতির বিষয়ে যে সমস্যা ছিল, তার সমাধান করে দিয়েছি। আপনাদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে আমার বিশেষ নজর রয়েছে।’
বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট গঠনের ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। কাজ করতে পারেন না। বয়োবৃদ্ধ হয়ে যান। নানা ধরনের অসুবিধায় পড়েন। তখন এই ট্রাস্ট থেকে সহযোগিতা করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের বাঙালির ইতিহাসে আনসার বাহিনীর অবদান সর্বক্ষেত্রে। যেমন ভাষা আন্দোলনে অবদান রয়েছে, ঠিক তেমনি মহান মুক্তিযুদ্ধেও অবদান রয়েছে। এই বাহিনীর ৬৭০ জন অকুতোভয় বীর সৈনিক জীবন দিয়ে গেছেন। ১৯৭১ সালে গঠিত মুজিবনগর সরকারকে গার্ড অব অনার দেওয়ার ক্ষেত্রে আনসার বাহিনী মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিল।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন।

সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
৩২ মিনিট আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে করা সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই সুপারিশ হস্তান্তর করেন।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর (শনিবার) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে কিছু দুষ্কৃতকারী নির্বাচন ভবনের সামনের ভাস্কর্যের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ভবনটির নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর গভীর ও মৌলিক সংস্কার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন’ পদ্ধতির চূড়ান্ত সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
প্রস্তাবিত আদেশের প্রারম্ভিক ঘোষণায় স্পষ্ট করা হয়েছে, এই পদক্ষেপের মূল ভিত্তি হলো ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-শ্রমিক-জনতার সফল গণ-অভ্যুত্থান। এই অভ্যুত্থানের মাধ্যমেই বাংলাদেশের জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটে।
৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনার পর সংবিধান সংস্কারসহ অন্যান্য সংস্কারের সুপারিশ সংবলিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ প্রণয়ন করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রধান রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো সম্মিলিতভাবে ওই সনদে স্বাক্ষর করে, তা দ্রুত বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের জন্য জনগণের সর্বোচ্চ অনুমোদন প্রয়োজন। এই অনুমোদন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে: সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী জনগণের অনুমোদন গ্রহণের উদ্দেশ্যে গণভোট অনুষ্ঠান অপরিহার্য। সংবিধান সংস্কারের জন্য সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন ও উক্ত পরিষদ কর্তৃক সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন করা অত্যাবশ্যক।
ঐকমত্য কমিশন মনে করে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন সম্পন্ন করার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক আইনি দলিল আবশ্যক ছিল। সেই কারণেই সরকার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে এই বাস্তবায়ন আদেশ জারি করবে।
প্রস্তাবিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ - এ যা বলা হয়েছে:

বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর গভীর ও মৌলিক সংস্কার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন’ পদ্ধতির চূড়ান্ত সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
প্রস্তাবিত আদেশের প্রারম্ভিক ঘোষণায় স্পষ্ট করা হয়েছে, এই পদক্ষেপের মূল ভিত্তি হলো ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-শ্রমিক-জনতার সফল গণ-অভ্যুত্থান। এই অভ্যুত্থানের মাধ্যমেই বাংলাদেশের জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটে।
৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনার পর সংবিধান সংস্কারসহ অন্যান্য সংস্কারের সুপারিশ সংবলিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ প্রণয়ন করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রধান রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো সম্মিলিতভাবে ওই সনদে স্বাক্ষর করে, তা দ্রুত বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের জন্য জনগণের সর্বোচ্চ অনুমোদন প্রয়োজন। এই অনুমোদন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে: সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী জনগণের অনুমোদন গ্রহণের উদ্দেশ্যে গণভোট অনুষ্ঠান অপরিহার্য। সংবিধান সংস্কারের জন্য সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন ও উক্ত পরিষদ কর্তৃক সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন করা অত্যাবশ্যক।
ঐকমত্য কমিশন মনে করে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন সম্পন্ন করার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক আইনি দলিল আবশ্যক ছিল। সেই কারণেই সরকার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে এই বাস্তবায়ন আদেশ জারি করবে।
প্রস্তাবিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ - এ যা বলা হয়েছে:

শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ শান্তির দেশ। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয়। আর দেশের উন্নয়ন মানে প্রতিটি পরিবারের উন্নয়ন।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে করা সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই সুপারিশ হস্তান্তর করেন।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর (শনিবার) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে কিছু দুষ্কৃতকারী নির্বাচন ভবনের সামনের ভাস্কর্যের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ভবনটির নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে করা সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই সুপারিশ হস্তান্তর করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ জমা দেওয়ার পরে বেলা ২টার দিকে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
সেখানে আলী রীয়াজ বলেন, ‘সুপারিশের তিনটি ভাগ আছে। অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশের বাস্তবায়ন দ্রুততার সঙ্গে করা সম্ভব। সংবিধান-সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে দুটো বিকল্প প্রস্তাব আমরা দিয়েছি। প্রস্তাবগুলো হচ্ছে—সরকার যেন অবিলম্বে একটি আদেশ জারি করে। এ আদেশের বিষয় হবে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ। আদেশের অধীনে একটি গণভোট হবে।’
আলী রীয়াজ আরও বলেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ একই সঙ্গে সংবিধান সংস্কার পরিষদের দায়িত্ব পালন করবে। তারা ২৭০ দিন এমন দায়িত্ব পালন করবে।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে করা সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই সুপারিশ হস্তান্তর করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ জমা দেওয়ার পরে বেলা ২টার দিকে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
সেখানে আলী রীয়াজ বলেন, ‘সুপারিশের তিনটি ভাগ আছে। অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশের বাস্তবায়ন দ্রুততার সঙ্গে করা সম্ভব। সংবিধান-সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে দুটো বিকল্প প্রস্তাব আমরা দিয়েছি। প্রস্তাবগুলো হচ্ছে—সরকার যেন অবিলম্বে একটি আদেশ জারি করে। এ আদেশের বিষয় হবে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ। আদেশের অধীনে একটি গণভোট হবে।’
আলী রীয়াজ আরও বলেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ একই সঙ্গে সংবিধান সংস্কার পরিষদের দায়িত্ব পালন করবে। তারা ২৭০ দিন এমন দায়িত্ব পালন করবে।

শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ শান্তির দেশ। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয়। আর দেশের উন্নয়ন মানে প্রতিটি পরিবারের উন্নয়ন।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২
সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
৩২ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর (শনিবার) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে কিছু দুষ্কৃতকারী নির্বাচন ভবনের সামনের ভাস্কর্যের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ভবনটির নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরে আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনে আনসারদের অবদান সবচেয়ে বেশি। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১৩ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। এই ১৩ জনের মধ্যে তিনজন থাকবেন অস্ত্রসহ আর বাকি ১০ জন অস্ত্রবিহীন। অস্ত্রবিহীন ১০ জনের মধ্যে ৬ জন পুরুষ আর ৪ জন থাকবেন নারী। তা ছাড়া এবারই প্রথম প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে অস্ত্রসহ একজন আনসার সদস্য থাকবেন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে মোট ৯ দিন আনসার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। আগামী নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে আনসার সদস্যরা।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি বাহিনী দেশের নিরাপত্তা, শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জাতীয় উন্নয়নের প্রতিটি পর্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। নিজেদের জীবন ও স্বার্থের পরোয়া না করে তারা নিষ্ঠা, দায়িত্ববোধ ও দেশপ্রেমের সঙ্গে জাতির সেবায় নিয়োজিত থাকে। তাই বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের কর্মজীবনের মানোন্নয়ন ও কল্যাণ নিশ্চিত করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব এবং রাষ্ট্রীয় অঙ্গীকারের অংশ। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের নিজস্ব অর্থায়নে মোট ৩১টি যানবাহন কেনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ৯টি ট্রুপস ক্যারিয়ার, ১৪টি কাভার্ড ভ্যান, ৪২ আসনবিশিষ্ট ৪টি বড় বাস, ২৪ আসনবিশিষ্ট ২টি মিনিবাস এবং ২টি অ্যাম্বুলেন্স।’
দেশের সর্ববৃহৎ এই বাহিনীর সদস্যদের ছুটি, বিনোদন ভ্রমণ এবং অন্যান্য বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রায়ই নানা ধরনের যাতায়াতের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তাঁদের এই ভোগান্তি লাঘব ও সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই আজকের এই ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
উপদেষ্টা এ সময় ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসটি সর্বোচ্চ পেশাদারি ও দক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত হবে এবং বাহিনীর বৈধ পরিচয়পত্রধারী সব সদস্যের জন্য নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাইরে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রতিদিনই অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। গত পরশুদিনও আটটি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এ রকম উদ্ধার হতেই থাকবে এবং নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, অস্ত্র উদ্ধার আরও বাড়তে থাকবে এবং একসময় দেখবেন যে বাইরে আর কোনো অস্ত্র বা হাতিয়ার নেই।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরে আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনে আনসারদের অবদান সবচেয়ে বেশি। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১৩ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। এই ১৩ জনের মধ্যে তিনজন থাকবেন অস্ত্রসহ আর বাকি ১০ জন অস্ত্রবিহীন। অস্ত্রবিহীন ১০ জনের মধ্যে ৬ জন পুরুষ আর ৪ জন থাকবেন নারী। তা ছাড়া এবারই প্রথম প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে অস্ত্রসহ একজন আনসার সদস্য থাকবেন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে মোট ৯ দিন আনসার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। আগামী নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে আনসার সদস্যরা।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি বাহিনী দেশের নিরাপত্তা, শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জাতীয় উন্নয়নের প্রতিটি পর্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। নিজেদের জীবন ও স্বার্থের পরোয়া না করে তারা নিষ্ঠা, দায়িত্ববোধ ও দেশপ্রেমের সঙ্গে জাতির সেবায় নিয়োজিত থাকে। তাই বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের কর্মজীবনের মানোন্নয়ন ও কল্যাণ নিশ্চিত করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব এবং রাষ্ট্রীয় অঙ্গীকারের অংশ। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের নিজস্ব অর্থায়নে মোট ৩১টি যানবাহন কেনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ৯টি ট্রুপস ক্যারিয়ার, ১৪টি কাভার্ড ভ্যান, ৪২ আসনবিশিষ্ট ৪টি বড় বাস, ২৪ আসনবিশিষ্ট ২টি মিনিবাস এবং ২টি অ্যাম্বুলেন্স।’
দেশের সর্ববৃহৎ এই বাহিনীর সদস্যদের ছুটি, বিনোদন ভ্রমণ এবং অন্যান্য বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রায়ই নানা ধরনের যাতায়াতের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তাঁদের এই ভোগান্তি লাঘব ও সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই আজকের এই ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
উপদেষ্টা এ সময় ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসটি সর্বোচ্চ পেশাদারি ও দক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত হবে এবং বাহিনীর বৈধ পরিচয়পত্রধারী সব সদস্যের জন্য নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাইরে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রতিদিনই অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। গত পরশুদিনও আটটি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এ রকম উদ্ধার হতেই থাকবে এবং নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, অস্ত্র উদ্ধার আরও বাড়তে থাকবে এবং একসময় দেখবেন যে বাইরে আর কোনো অস্ত্র বা হাতিয়ার নেই।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ শান্তির দেশ। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয়। আর দেশের উন্নয়ন মানে প্রতিটি পরিবারের উন্নয়ন।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২
সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
৩২ মিনিট আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে করা সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই সুপারিশ হস্তান্তর করেন।
১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর (শনিবার) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে কিছু দুষ্কৃতকারী নির্বাচন ভবনের সামনের ভাস্কর্যের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ভবনটির নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ককটেল বিস্ফোরণের পর আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন ভবন ঘিরে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ মঙ্গলবার প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সহিদ আব্দুস ছালাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশের এক চিঠি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর (শনিবার) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে কিছু দুষ্কৃতকারী নির্বাচন ভবনের সামনের ভাস্কর্যের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ভবনটির নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন ভবনের চারপাশে অফিস সময়ের পর ও ছুটির দিনগুলোতে বিভিন্ন ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলমান থাকায় নিরাপত্তা হুমকি আরও বাড়ছে বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এ অবস্থায় ভবনের আশপাশের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ রাখা এবং নির্বাচন ভবনের সামনে ও আশপাশে পুলিশের টহল বাড়ানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অগ্রাধিকার বিবেচনায় নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।

ককটেল বিস্ফোরণের পর আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন ভবন ঘিরে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ মঙ্গলবার প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সহিদ আব্দুস ছালাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশের এক চিঠি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর (শনিবার) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে কিছু দুষ্কৃতকারী নির্বাচন ভবনের সামনের ভাস্কর্যের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ভবনটির নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন ভবনের চারপাশে অফিস সময়ের পর ও ছুটির দিনগুলোতে বিভিন্ন ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলমান থাকায় নিরাপত্তা হুমকি আরও বাড়ছে বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এ অবস্থায় ভবনের আশপাশের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ রাখা এবং নির্বাচন ভবনের সামনে ও আশপাশে পুলিশের টহল বাড়ানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অগ্রাধিকার বিবেচনায় নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।

শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ শান্তির দেশ। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয়। আর দেশের উন্নয়ন মানে প্রতিটি পরিবারের উন্নয়ন।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২
সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
৩২ মিনিট আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে করা সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই সুপারিশ হস্তান্তর করেন।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগে