রাহুল শর্মা, ঢাকা
প্রশাসনিক অনুমতি এবং টেবিল অব অর্গানাইজেশন অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট (টিওঅ্যান্ডই) ভুক্ত হওয়া ছাড়াই চলছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের ৭৭টি গাড়ি। ফলে এসব গাড়ির জন্য খরচের (জ্বালানি, রক্ষণাবেক্ষণ) আইনি ভিত্তি নেই। ‘গোঁজামিল’ দিয়ে চলছে টাকা বরাদ্দ। যেন মাসে মাসে এসব গাড়ির খরচ জোগাচ্ছে ‘ভূতে’।
আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে এসব তথ্য জানা গেছে। জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি দপ্তর বা সংস্থা কোনো গাড়ি ব্যবহার করলে সে জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন নেওয়া এবং টিওঅ্যান্ডইভুক্তি বাধ্যতামূলক। এসব না থাকলে সংশ্লিষ্ট গাড়ির জ্বালানি, রক্ষণাবেক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয়ের জন্য সুনির্দিষ্ট সরকারি বরাদ্দ রাখার সুযোগ নেই। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাউশির ওই ৭৭ গাড়ির জন্য খরচ নিয়মের মধ্যে হচ্ছে না।
অবশ্য মাউশি সম্প্রতি এই ৭৭টি গাড়ি টিওঅ্যান্ডইভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। এসব গাড়ি ব্যবহারের জন্য ‘ভূতাপেক্ষ’ অনুমোদন চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মজিবর রহমান বলেছেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই, অবশ্যই তিনি খোঁজখবর নেবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর মাউশি দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করে। সারা দেশে এই দপ্তরের অধীন ৯টি আঞ্চলিক কার্যালয় এবং এসব আঞ্চলিক কার্যালয়ের অধীন জেলা শিক্ষা অফিস রয়েছে। নথিপত্র ঘেঁটে এবং মাউশির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে মাউশির প্রধান কার্যালয়, আঞ্চলিক ও জেলা কার্যালয়ে ১০৩টি গাড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে ২৬টি গাড়ি মাউশির সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (সেসিপ) আওতায়। এসব গাড়ির জ্বালানি ও অন্যান্য খরচও এই প্রকল্প থেকে ব্যয় হচ্ছে। বাকি ৭৭টি গাড়ি এরই মধ্যে সমাপ্ত হয়ে যাওয়া একাধিক প্রকল্পের। মাউশি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত দপ্তরটির মাত্র পাঁচটি গাড়ি টিওঅ্যান্ডইভুক্ত করা হয়েছে। বাকি গাড়িগুলো টিওঅ্যান্ডইভুক্তি ছাড়াই ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব গাড়ির বেশির ভাগই টিচিং কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট (টিকিউআই), সেসিপসহ একাধিক প্রকল্প থেকে নেওয়া হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, কোনো প্রকল্প শেষ হলে ৬০ দিনের মধ্যে প্রকল্পটির সব সচল যানবাহন সরকারি পরিবহন পুলে জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। প্রকল্প পরিচালকের প্রতি এমন নির্দেশনা দিয়ে ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি অফিস আদেশ জারি হয়। গাড়িগুলো টিওঅ্যান্ডই তালিকাভুক্ত করারও বিধান রয়েছে। টিওঅ্যান্ডই তালিকাভুক্তির অর্থ হলো সরকারি দপ্তর বা সংস্থার সাংগঠনিক কাঠামোয় অনুমোদিত যানবাহন; যা সাধারণত কোনো কর্মকর্তার পদের বিপরীতে তাঁর যাতায়াতের সুবিধার্থে বরাদ্দ করা হয়। এসব গাড়ি ব্যবহারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত নিয়মকানুন মানা বাধ্যতামূলক এবং এসব গাড়ির জন্য সরকারি অর্থ বরাদ্দ থাকে।
জানতে চাইলে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ তানভীর আজম ছিদ্দিকী ১৫ সেপ্টেম্বর আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারি দপ্তরের চলমান গাড়ি অবশ্যই টিওঅ্যান্ডইভুক্ত হতে হবে। এটা আইনি বাধ্যবাধকতা। কারণ, দপ্তর বা সংস্থার প্রাধিকারভুক্ত পদের বিপরীতেই গাড়ি বরাদ্দ থাকে; যা সাংগঠনিক কাঠামোতে উল্লেখ রয়েছে। টিওঅ্যান্ডইভুক্ত যানবাহন ছাড়া অন্য যানবাহনের জন্য অফিশিয়ালি অর্থ ব্যয়ের (জ্বালানি-রক্ষণাবেক্ষণ ও অন্যান্য খরচ) সুযোগ নেই।
তবে মাউশির ব্যবহার করা ৭৭টি গাড়ির ক্ষেত্রে এসব নিয়ম মানা হয়নি। অবশ্য গত ১৯ আগস্ট এই ৭৭ গাড়ি টিওঅ্যান্ডইভুক্ত করার জন্য অনুমতি চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান। ওই চিঠিতে মাউশির প্রধান কার্যালয়, ৯টি আঞ্চলিক কার্যালয় এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের কর্মপরিধি অনুযায়ী তাঁদের প্রশাসনিক কার্যক্রম সচল রাখার স্বার্থে সদ্য সমাপ্ত তিনটি প্রকল্পের আওতায় কেনা গাড়িগুলো নিয়মিত কার্যক্রমে ব্যবহারের অনুমতি দিতে প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, যে ৭৭টি গাড়ি ব্যবহারের জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন চাওয়া হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ৭৫টি মিতসুবিশি নাটিভা, পাজেরো ও আউটল্যান্ডার ব্র্যান্ডের জিপ। বাকি দুটি মাইক্রোবাস। এসব গাড়ির মধ্যে ৭৪টি গাড়িই টিচিং কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট (টিকিউআই-১ ও ২) প্রকল্পের অধীনে কেনা হয়েছিল। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে ২০০৫ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে। দু্টি গাড়ি ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম অ্যান্ড নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅ্যাবিলিটিজ (নানড) প্রকল্পের। সম্প্রতি এই প্রকল্পের কাজ অসমাপ্ত রেখেই সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি একটি গাড়ি পোস্টগ্র্যাজুয়েট কলেজসমূহের উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে কেনা হয়েছিল। এই প্রকল্প ২০২৪ সালের ৩০ জুন শেষ হয়। এসব গাড়ির মধ্যে প্রধান কার্যালয়ে ৯টি, আঞ্চলিক কার্যালয়ে ৫টি এবং বাকি ৬৩টি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে।
গাড়ির পেছনে ব্যয় কত
মাউশির নথি থেকে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরে (২০২৫-২৬) মাউশির প্রধান কার্যালয়ের মোট ১০টি গাড়ি ব্যবহারের (১ গাড়ির অতিরিক্ত ব্যয় ধরা হয়েছে) জন্য মোট ৪৪ লাখ ২ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বছরে জ্বালানি তেল খরচ ২৭ লাখ ২১ হাজার ৬০০ টাকা, বছরে অতিরিক্ত তেল খরচ ভ্রমণ ৬ লাখ ৮০ হাজার ৪০০ টাকা, বছরে মেরামত খরচ ৭ লাখ ৫০ হাজার এবং অতিরিক্ত খরচ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। অন্যান্য কার্যালয়ের গাড়ির জন্য বার্ষিক বরাদ্দের তথ্য পাওয়া যায়নি।
ঢাকার বাইরের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের প্রতি গাড়ির জন্য মাউশি থেকে মাসিক ১০০-১২০ লিটার জ্বালানি তেল এবং বার্ষিক মেরামত বাবদ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের জন্য মাসিক ১৮০ লিটার জ্বালানি তেল এবং মেরামত বাবদ বার্ষিক ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়।
সূত্র বলছে, প্রকল্প চলমান থাকা অবস্থায় বেশির ভাগ গাড়ির পরিচালন ব্যয় প্রকল্প থেকে দেওয়া হতো। কিন্তু একাধিক প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে গাড়ির খরচ মাউশি থেকে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।
জানতে চাইলে মাউশির বরিশাল আঞ্চলিক পরিচালক অধ্যাপক মো. ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, এত দিন সেসিপ প্রকল্প থেকে গাড়ির জ্বালানি ও অন্যান্য খরচ দেওয়া হতো। এখন মাউশি থেকে খরচ দেওয়া হচ্ছে। যদিও তা প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। বিভিন্নভাবে তা (গাড়ির খরচ) ‘ম্যানেজ’ করা হতো।
মাউশির রাজশাহীর আঞ্চলিক পরিচালক অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বর্তমানে যা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে, তা পর্যাপ্ত নয়। বাড়তি অর্থ ব্যক্তিগতভাবে খরচ করা হয়।
এ বিষয়ে মাউশির সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, টিওঅ্যান্ডইভুক্ত না হওয়ায় ওই ৭৭ গাড়ির জ্বালানি ও অন্যান্য খরচের কোনো বৈধতা নেই। কিন্তু তারপরও বিভিন্ন খাত থেকে তাঁরা অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছেন।
টিওঅ্যান্ডইভুক্ত ছাড়া মাউশির ৭৭টি গাড়ির পেছনে অর্থ ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সরকারি চাকরির বিধিবিধানের বিশেষজ্ঞ ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ফিরোজ মিয়া। দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ১৪ সেপ্টেম্বর আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, টিওঅ্যান্ডইভুক্ত ছাড়া সরকারি কাজে কোনো গাড়ি ব্যবহারের সুযোগ নেই। কারণ, এসব গাড়ি সরকারি নথিভুক্ত বা অনুমোদিত নয়। এসব গাড়ি বাবদ অর্থ ব্যয় (জ্বালানি, রক্ষণাবেক্ষণ ও গাড়িচালকের বেতন) আর্থিক অনিয়ম। কোনো দপ্তর যদি টিওঅ্যান্ডইভুক্তি ছাড়া গাড়ি ব্যবহার করে, তা অবশ্যই তদন্তের আওতায় আনতে হবে।
মাউশির অধীনে সারা দেশে চলমান গাড়িগুলোর পেছনে খরচের বিষয়ে বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তাঁরা অপারগতা জানিয়ে বলেন, এ বিষয়ে তথ্য দিতে নিষেধ আছে।
ওই ৭৭ গাড়ির বিষয়ে মাউশির উপপরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মো. শাহজাহানের কাছে জানতে চাইলে তিনি পরিচালক (অর্থ ও ক্রয়) অধ্যাপক গোপীনাথ পালের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। গোপীনাথ পালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি অল্প কিছুদিন হলো এই বিভাগে এসেছি। এ বিষয়ে পরিষ্কার তথ্য জানা নেই। তবে কিছু জেলায় তেল ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়।’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খানকে একাধিকবার মোবাইলে ফোন করা হলেও ধরা হয়নি। পরে সরাসরি কথা বলতে তাঁর দপ্তরে গিয়েও সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীনকে একাধিকবার মোবাইলে ফোন করে পাওয়া যায়নি। সচিবালয়ে তাঁদের দপ্তরে গিয়েও সাক্ষাৎ মেলেনি।
পরে যোগাযোগ করা হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মজিবর রহমান ১৬ সেপ্টেম্বর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। অবশ্যই খোঁজখবর নেওয়া হবে।’
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ১৬ সেপ্টেম্বর আজকের পত্রিকা'কে বলেন, মাউশির মতো প্রতিষ্ঠান যদি সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটা ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম। এর সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
আরও খবর পড়ুন:
প্রশাসনিক অনুমতি এবং টেবিল অব অর্গানাইজেশন অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট (টিওঅ্যান্ডই) ভুক্ত হওয়া ছাড়াই চলছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের ৭৭টি গাড়ি। ফলে এসব গাড়ির জন্য খরচের (জ্বালানি, রক্ষণাবেক্ষণ) আইনি ভিত্তি নেই। ‘গোঁজামিল’ দিয়ে চলছে টাকা বরাদ্দ। যেন মাসে মাসে এসব গাড়ির খরচ জোগাচ্ছে ‘ভূতে’।
আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে এসব তথ্য জানা গেছে। জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি দপ্তর বা সংস্থা কোনো গাড়ি ব্যবহার করলে সে জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন নেওয়া এবং টিওঅ্যান্ডইভুক্তি বাধ্যতামূলক। এসব না থাকলে সংশ্লিষ্ট গাড়ির জ্বালানি, রক্ষণাবেক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয়ের জন্য সুনির্দিষ্ট সরকারি বরাদ্দ রাখার সুযোগ নেই। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাউশির ওই ৭৭ গাড়ির জন্য খরচ নিয়মের মধ্যে হচ্ছে না।
অবশ্য মাউশি সম্প্রতি এই ৭৭টি গাড়ি টিওঅ্যান্ডইভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। এসব গাড়ি ব্যবহারের জন্য ‘ভূতাপেক্ষ’ অনুমোদন চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মজিবর রহমান বলেছেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই, অবশ্যই তিনি খোঁজখবর নেবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর মাউশি দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করে। সারা দেশে এই দপ্তরের অধীন ৯টি আঞ্চলিক কার্যালয় এবং এসব আঞ্চলিক কার্যালয়ের অধীন জেলা শিক্ষা অফিস রয়েছে। নথিপত্র ঘেঁটে এবং মাউশির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে মাউশির প্রধান কার্যালয়, আঞ্চলিক ও জেলা কার্যালয়ে ১০৩টি গাড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে ২৬টি গাড়ি মাউশির সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (সেসিপ) আওতায়। এসব গাড়ির জ্বালানি ও অন্যান্য খরচও এই প্রকল্প থেকে ব্যয় হচ্ছে। বাকি ৭৭টি গাড়ি এরই মধ্যে সমাপ্ত হয়ে যাওয়া একাধিক প্রকল্পের। মাউশি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত দপ্তরটির মাত্র পাঁচটি গাড়ি টিওঅ্যান্ডইভুক্ত করা হয়েছে। বাকি গাড়িগুলো টিওঅ্যান্ডইভুক্তি ছাড়াই ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব গাড়ির বেশির ভাগই টিচিং কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট (টিকিউআই), সেসিপসহ একাধিক প্রকল্প থেকে নেওয়া হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, কোনো প্রকল্প শেষ হলে ৬০ দিনের মধ্যে প্রকল্পটির সব সচল যানবাহন সরকারি পরিবহন পুলে জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। প্রকল্প পরিচালকের প্রতি এমন নির্দেশনা দিয়ে ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি অফিস আদেশ জারি হয়। গাড়িগুলো টিওঅ্যান্ডই তালিকাভুক্ত করারও বিধান রয়েছে। টিওঅ্যান্ডই তালিকাভুক্তির অর্থ হলো সরকারি দপ্তর বা সংস্থার সাংগঠনিক কাঠামোয় অনুমোদিত যানবাহন; যা সাধারণত কোনো কর্মকর্তার পদের বিপরীতে তাঁর যাতায়াতের সুবিধার্থে বরাদ্দ করা হয়। এসব গাড়ি ব্যবহারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত নিয়মকানুন মানা বাধ্যতামূলক এবং এসব গাড়ির জন্য সরকারি অর্থ বরাদ্দ থাকে।
জানতে চাইলে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ তানভীর আজম ছিদ্দিকী ১৫ সেপ্টেম্বর আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারি দপ্তরের চলমান গাড়ি অবশ্যই টিওঅ্যান্ডইভুক্ত হতে হবে। এটা আইনি বাধ্যবাধকতা। কারণ, দপ্তর বা সংস্থার প্রাধিকারভুক্ত পদের বিপরীতেই গাড়ি বরাদ্দ থাকে; যা সাংগঠনিক কাঠামোতে উল্লেখ রয়েছে। টিওঅ্যান্ডইভুক্ত যানবাহন ছাড়া অন্য যানবাহনের জন্য অফিশিয়ালি অর্থ ব্যয়ের (জ্বালানি-রক্ষণাবেক্ষণ ও অন্যান্য খরচ) সুযোগ নেই।
তবে মাউশির ব্যবহার করা ৭৭টি গাড়ির ক্ষেত্রে এসব নিয়ম মানা হয়নি। অবশ্য গত ১৯ আগস্ট এই ৭৭ গাড়ি টিওঅ্যান্ডইভুক্ত করার জন্য অনুমতি চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান। ওই চিঠিতে মাউশির প্রধান কার্যালয়, ৯টি আঞ্চলিক কার্যালয় এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের কর্মপরিধি অনুযায়ী তাঁদের প্রশাসনিক কার্যক্রম সচল রাখার স্বার্থে সদ্য সমাপ্ত তিনটি প্রকল্পের আওতায় কেনা গাড়িগুলো নিয়মিত কার্যক্রমে ব্যবহারের অনুমতি দিতে প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, যে ৭৭টি গাড়ি ব্যবহারের জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন চাওয়া হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ৭৫টি মিতসুবিশি নাটিভা, পাজেরো ও আউটল্যান্ডার ব্র্যান্ডের জিপ। বাকি দুটি মাইক্রোবাস। এসব গাড়ির মধ্যে ৭৪টি গাড়িই টিচিং কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট (টিকিউআই-১ ও ২) প্রকল্পের অধীনে কেনা হয়েছিল। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে ২০০৫ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে। দু্টি গাড়ি ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম অ্যান্ড নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅ্যাবিলিটিজ (নানড) প্রকল্পের। সম্প্রতি এই প্রকল্পের কাজ অসমাপ্ত রেখেই সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি একটি গাড়ি পোস্টগ্র্যাজুয়েট কলেজসমূহের উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে কেনা হয়েছিল। এই প্রকল্প ২০২৪ সালের ৩০ জুন শেষ হয়। এসব গাড়ির মধ্যে প্রধান কার্যালয়ে ৯টি, আঞ্চলিক কার্যালয়ে ৫টি এবং বাকি ৬৩টি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে।
গাড়ির পেছনে ব্যয় কত
মাউশির নথি থেকে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরে (২০২৫-২৬) মাউশির প্রধান কার্যালয়ের মোট ১০টি গাড়ি ব্যবহারের (১ গাড়ির অতিরিক্ত ব্যয় ধরা হয়েছে) জন্য মোট ৪৪ লাখ ২ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বছরে জ্বালানি তেল খরচ ২৭ লাখ ২১ হাজার ৬০০ টাকা, বছরে অতিরিক্ত তেল খরচ ভ্রমণ ৬ লাখ ৮০ হাজার ৪০০ টাকা, বছরে মেরামত খরচ ৭ লাখ ৫০ হাজার এবং অতিরিক্ত খরচ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। অন্যান্য কার্যালয়ের গাড়ির জন্য বার্ষিক বরাদ্দের তথ্য পাওয়া যায়নি।
ঢাকার বাইরের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের প্রতি গাড়ির জন্য মাউশি থেকে মাসিক ১০০-১২০ লিটার জ্বালানি তেল এবং বার্ষিক মেরামত বাবদ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের জন্য মাসিক ১৮০ লিটার জ্বালানি তেল এবং মেরামত বাবদ বার্ষিক ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়।
সূত্র বলছে, প্রকল্প চলমান থাকা অবস্থায় বেশির ভাগ গাড়ির পরিচালন ব্যয় প্রকল্প থেকে দেওয়া হতো। কিন্তু একাধিক প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে গাড়ির খরচ মাউশি থেকে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।
জানতে চাইলে মাউশির বরিশাল আঞ্চলিক পরিচালক অধ্যাপক মো. ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, এত দিন সেসিপ প্রকল্প থেকে গাড়ির জ্বালানি ও অন্যান্য খরচ দেওয়া হতো। এখন মাউশি থেকে খরচ দেওয়া হচ্ছে। যদিও তা প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। বিভিন্নভাবে তা (গাড়ির খরচ) ‘ম্যানেজ’ করা হতো।
মাউশির রাজশাহীর আঞ্চলিক পরিচালক অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বর্তমানে যা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে, তা পর্যাপ্ত নয়। বাড়তি অর্থ ব্যক্তিগতভাবে খরচ করা হয়।
এ বিষয়ে মাউশির সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, টিওঅ্যান্ডইভুক্ত না হওয়ায় ওই ৭৭ গাড়ির জ্বালানি ও অন্যান্য খরচের কোনো বৈধতা নেই। কিন্তু তারপরও বিভিন্ন খাত থেকে তাঁরা অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছেন।
টিওঅ্যান্ডইভুক্ত ছাড়া মাউশির ৭৭টি গাড়ির পেছনে অর্থ ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সরকারি চাকরির বিধিবিধানের বিশেষজ্ঞ ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ফিরোজ মিয়া। দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ১৪ সেপ্টেম্বর আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, টিওঅ্যান্ডইভুক্ত ছাড়া সরকারি কাজে কোনো গাড়ি ব্যবহারের সুযোগ নেই। কারণ, এসব গাড়ি সরকারি নথিভুক্ত বা অনুমোদিত নয়। এসব গাড়ি বাবদ অর্থ ব্যয় (জ্বালানি, রক্ষণাবেক্ষণ ও গাড়িচালকের বেতন) আর্থিক অনিয়ম। কোনো দপ্তর যদি টিওঅ্যান্ডইভুক্তি ছাড়া গাড়ি ব্যবহার করে, তা অবশ্যই তদন্তের আওতায় আনতে হবে।
মাউশির অধীনে সারা দেশে চলমান গাড়িগুলোর পেছনে খরচের বিষয়ে বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তাঁরা অপারগতা জানিয়ে বলেন, এ বিষয়ে তথ্য দিতে নিষেধ আছে।
ওই ৭৭ গাড়ির বিষয়ে মাউশির উপপরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মো. শাহজাহানের কাছে জানতে চাইলে তিনি পরিচালক (অর্থ ও ক্রয়) অধ্যাপক গোপীনাথ পালের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। গোপীনাথ পালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি অল্প কিছুদিন হলো এই বিভাগে এসেছি। এ বিষয়ে পরিষ্কার তথ্য জানা নেই। তবে কিছু জেলায় তেল ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়।’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খানকে একাধিকবার মোবাইলে ফোন করা হলেও ধরা হয়নি। পরে সরাসরি কথা বলতে তাঁর দপ্তরে গিয়েও সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীনকে একাধিকবার মোবাইলে ফোন করে পাওয়া যায়নি। সচিবালয়ে তাঁদের দপ্তরে গিয়েও সাক্ষাৎ মেলেনি।
পরে যোগাযোগ করা হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মজিবর রহমান ১৬ সেপ্টেম্বর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। অবশ্যই খোঁজখবর নেওয়া হবে।’
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ১৬ সেপ্টেম্বর আজকের পত্রিকা'কে বলেন, মাউশির মতো প্রতিষ্ঠান যদি সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটা ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম। এর সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
আরও খবর পড়ুন:
আসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেপলাতক হিসেবে কারা বিবেচিত হবেন—এ প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে, অথচ হাজির হননি, পরে তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে—তাঁরাই পলাতক বলে গণ্য হবেন।
১ ঘণ্টা আগেআসামিদের কোনো অনুশোচনা হয়নি, তাঁরা উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ
৪ ঘণ্টা আগেঅ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। বিচার যত কঠিনই হোক, বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আগামী দিনে এগোতে পারব না। এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একটি বড় ঘটনা হিসেবে অনেকেই দেখবেন
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গৃহকর্মী ও নাবিকদের শ্রমিকের মর্যাদা দিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সুপারিশে সংশোধিত শ্রম অধ্যাদেশ-২০২৫ পাস করা হয়েছে।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের আজকের বৈঠকে এই অধ্যাদেশ পাস হয়।
আসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, আগে কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে বেতন বৈষম্য ছিল। সেটি তুলে দেওয়া হয়েছে। একই কাজের জন্য আগে নারীরা কম বেতন পেতেন। সেটিও তুলে দেওয়া হয়েছে। এখন তাঁরা সমহারে বেতন পাবেন। কর্মক্ষেত্রে কোনো দুর্ঘটনায় অঙ্গহানি হলে সেখানে ফান্ড গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ফান্ডের সহায়তায় পুনর্বাসন ও চিকিৎসা হবে।
গৃহকর্মী ও নাবিকদের শ্রমিকের মর্যাদা দিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সুপারিশে সংশোধিত শ্রম অধ্যাদেশ-২০২৫ পাস করা হয়েছে।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের আজকের বৈঠকে এই অধ্যাদেশ পাস হয়।
আসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, আগে কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে বেতন বৈষম্য ছিল। সেটি তুলে দেওয়া হয়েছে। একই কাজের জন্য আগে নারীরা কম বেতন পেতেন। সেটিও তুলে দেওয়া হয়েছে। এখন তাঁরা সমহারে বেতন পাবেন। কর্মক্ষেত্রে কোনো দুর্ঘটনায় অঙ্গহানি হলে সেখানে ফান্ড গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ফান্ডের সহায়তায় পুনর্বাসন ও চিকিৎসা হবে।
প্রশাসনিক অনুমতি এবং টেবিল অব অর্গানাইজেশন অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট (টিওঅ্যান্ডই) ভুক্ত হওয়া ছাড়াই চলছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের ৭৭টি গাড়ি। ফলে এসব গাড়ির জন্য খরচের (জ্বালানি, রক্ষণাবেক্ষণ) আইনি ভিত্তি নেই। ‘গোঁজামিল’ দিয়ে চলছে টাকা বরাদ্দ। যেন মাসে মাসে এসব গাড়ির খরচ জোগাচ্ছে ‘ভূতে’।
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫পলাতক হিসেবে কারা বিবেচিত হবেন—এ প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে, অথচ হাজির হননি, পরে তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে—তাঁরাই পলাতক বলে গণ্য হবেন।
১ ঘণ্টা আগেআসামিদের কোনো অনুশোচনা হয়নি, তাঁরা উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ
৪ ঘণ্টা আগেঅ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। বিচার যত কঠিনই হোক, বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আগামী দিনে এগোতে পারব না। এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একটি বড় ঘটনা হিসেবে অনেকেই দেখবেন
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সংসদ নির্বাচনে কোনো পলাতক আসামি অংশ নিতে পারবেন না—এমন বিধান যুক্ত করে নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
আইন উপদেষ্টা জানিয়েছেন, তেজগাঁওয়ে আজ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরপিও সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করে উপদেষ্টা পরিষদ।
পলাতক হিসেবে কারা বিবেচিত হবেন—এ প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে, অথচ হাজির হননি, পরে তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে—তাঁরাই পলাতক বলে গণ্য হবেন।
উপদেষ্টা পরিষদ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রথা বাতিল করেছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের আয়-ব্যয়ের যাবতীয় হিসাব ছাড়াও দেশে-বিদেশে থাকা সব সম্পত্তির বিবরণ হলফনামায় দিতে হবে। এই হলফনামা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে।
সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের জনপ্রতি জামানত বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান আইন উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, আগে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের জনপ্রতি জামানত ছিল ২০ হাজার টাকা। সেটি বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। অধ্যাদেশে ‘না’ ভোটের বিধান রাখা হয়েছে। কোনো নির্বাচনী এলাকায় মাত্র একজন প্রার্থী থাকলে সেখানে ‘না’ ভোট হবে। ‘না’ ভোট বেশি পড়লে ওই আসনে পুনরায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
আসিফ নজরুল বলেন, আগে নির্বাচনী কাজে সম্পৃক্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ হাজারখানেক মানুষ ভোটদানে বিরত থাকতেন। তাঁদের জন্য এবার পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রবাসীদের জন্যও পোস্টাল ব্যালটে ভোটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, আগে কোনো কেন্দ্রে গন্ডগোল হলে সেখানে ভোট বাতিল করা হতো। সংশোধিত আদেশে নির্বাচন কমিশন চাইলে এখন পুরো আসনের ভোট বাতিল করতে পারবে। সে ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে।
সংসদ নির্বাচনে কোনো পলাতক আসামি অংশ নিতে পারবেন না—এমন বিধান যুক্ত করে নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
আইন উপদেষ্টা জানিয়েছেন, তেজগাঁওয়ে আজ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরপিও সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করে উপদেষ্টা পরিষদ।
পলাতক হিসেবে কারা বিবেচিত হবেন—এ প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে, অথচ হাজির হননি, পরে তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে—তাঁরাই পলাতক বলে গণ্য হবেন।
উপদেষ্টা পরিষদ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রথা বাতিল করেছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের আয়-ব্যয়ের যাবতীয় হিসাব ছাড়াও দেশে-বিদেশে থাকা সব সম্পত্তির বিবরণ হলফনামায় দিতে হবে। এই হলফনামা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে।
সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের জনপ্রতি জামানত বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান আইন উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, আগে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের জনপ্রতি জামানত ছিল ২০ হাজার টাকা। সেটি বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। অধ্যাদেশে ‘না’ ভোটের বিধান রাখা হয়েছে। কোনো নির্বাচনী এলাকায় মাত্র একজন প্রার্থী থাকলে সেখানে ‘না’ ভোট হবে। ‘না’ ভোট বেশি পড়লে ওই আসনে পুনরায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
আসিফ নজরুল বলেন, আগে নির্বাচনী কাজে সম্পৃক্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ হাজারখানেক মানুষ ভোটদানে বিরত থাকতেন। তাঁদের জন্য এবার পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রবাসীদের জন্যও পোস্টাল ব্যালটে ভোটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, আগে কোনো কেন্দ্রে গন্ডগোল হলে সেখানে ভোট বাতিল করা হতো। সংশোধিত আদেশে নির্বাচন কমিশন চাইলে এখন পুরো আসনের ভোট বাতিল করতে পারবে। সে ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনিক অনুমতি এবং টেবিল অব অর্গানাইজেশন অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট (টিওঅ্যান্ডই) ভুক্ত হওয়া ছাড়াই চলছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের ৭৭টি গাড়ি। ফলে এসব গাড়ির জন্য খরচের (জ্বালানি, রক্ষণাবেক্ষণ) আইনি ভিত্তি নেই। ‘গোঁজামিল’ দিয়ে চলছে টাকা বরাদ্দ। যেন মাসে মাসে এসব গাড়ির খরচ জোগাচ্ছে ‘ভূতে’।
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেআসামিদের কোনো অনুশোচনা হয়নি, তাঁরা উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ
৪ ঘণ্টা আগেঅ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। বিচার যত কঠিনই হোক, বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আগামী দিনে এগোতে পারব না। এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একটি বড় ঘটনা হিসেবে অনেকেই দেখবেন
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আসামিদের কোনো অনুশোচনা হয়নি, তাঁরা উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বৃহস্পতিবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় এ কথা বলেন তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, সবকিছু অকাট্যভাবে প্রমাণ করা হয়েছে। পৃথিবীর যেকোনো আদালতে এগুলো অকাট্য হিসেবে প্রমাণিত হবে। যাঁদের এখানে আসামি করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা হয়নি। উল্টো কদিন আগে সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে। তবে সেনাবাহিনী সে ফাঁদে পা দেয়নি।
আইনের প্রসঙ্গে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এটি বিশেষ আইন। এটাকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে সংবিধান দ্বারা। আন্তর্জাতিক আদালতের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই আইন সংশোধন করা হয়েছে।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ভবিষ্যতে কোনো শাসক যদি জনগণকে হত্যা করার চেষ্টা করে; এই বিচার তাঁদের জন্য প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করবে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ছাড়া এই মামলার অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন।
শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে মামলায় আজকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এ ছাড়া শেষ দিনে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা পালিয়ে যাননি। তাঁকে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। আর সাবেক আইজিপি নিজে বাঁচার জন্য অন্যের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেছেন। তাঁর বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।’
আমির হোসেন মনে করেন, ন্যায়বিচার হলে আসামিরা খালাস পাবেন।
আরও খবর পড়ুন:
আসামিদের কোনো অনুশোচনা হয়নি, তাঁরা উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বৃহস্পতিবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় এ কথা বলেন তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, সবকিছু অকাট্যভাবে প্রমাণ করা হয়েছে। পৃথিবীর যেকোনো আদালতে এগুলো অকাট্য হিসেবে প্রমাণিত হবে। যাঁদের এখানে আসামি করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা হয়নি। উল্টো কদিন আগে সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে। তবে সেনাবাহিনী সে ফাঁদে পা দেয়নি।
আইনের প্রসঙ্গে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এটি বিশেষ আইন। এটাকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে সংবিধান দ্বারা। আন্তর্জাতিক আদালতের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই আইন সংশোধন করা হয়েছে।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ভবিষ্যতে কোনো শাসক যদি জনগণকে হত্যা করার চেষ্টা করে; এই বিচার তাঁদের জন্য প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করবে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ছাড়া এই মামলার অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন।
শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে মামলায় আজকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এ ছাড়া শেষ দিনে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা পালিয়ে যাননি। তাঁকে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। আর সাবেক আইজিপি নিজে বাঁচার জন্য অন্যের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেছেন। তাঁর বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।’
আমির হোসেন মনে করেন, ন্যায়বিচার হলে আসামিরা খালাস পাবেন।
আরও খবর পড়ুন:
প্রশাসনিক অনুমতি এবং টেবিল অব অর্গানাইজেশন অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট (টিওঅ্যান্ডই) ভুক্ত হওয়া ছাড়াই চলছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের ৭৭টি গাড়ি। ফলে এসব গাড়ির জন্য খরচের (জ্বালানি, রক্ষণাবেক্ষণ) আইনি ভিত্তি নেই। ‘গোঁজামিল’ দিয়ে চলছে টাকা বরাদ্দ। যেন মাসে মাসে এসব গাড়ির খরচ জোগাচ্ছে ‘ভূতে’।
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেপলাতক হিসেবে কারা বিবেচিত হবেন—এ প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে, অথচ হাজির হননি, পরে তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে—তাঁরাই পলাতক বলে গণ্য হবেন।
১ ঘণ্টা আগেঅ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। বিচার যত কঠিনই হোক, বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আগামী দিনে এগোতে পারব না। এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একটি বড় ঘটনা হিসেবে অনেকেই দেখবেন
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ সাজা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেছেন, ‘এই আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা না হলে তাদের হাতে বাংলাদেশের নিরপরাধ মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাবে, পাঁচ বছরের শিশু মারা যাবে, আনাসরা মারা যাবে, পানি বিতরণ করতে গিয়ে মুগ্ধ মারা যাবে, বুক চিতিয়ে আবার রাজপথে দাঁড়িয়ে আবু সাঈদরা মারা যাবে। আমরা যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে না পারি, এই দুজনের বিচার যদি ব্যাহত হয়, এই দুজনের যদি শাস্তি না হয়, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ভীরু-কাপুরুষের উপমা হয়ে রয়ে যাবে। সে কারণে আমরা মনে করি, আমরা যা উপস্থাপন করেছি, তা সন্দেহাতীত।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বৃহস্পতিবার যুক্তি উপস্থাপনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ছাড়া এই মামলার অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন।
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপনকালে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। বিচার যত কঠিনই হোক, বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আগামী দিনে এগোতে পারব না। এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একটি বড় ঘটনা হিসেবে অনেকেই দেখবেন। এই আসামিদের যদি শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারি, তাহলে তাদের হাতে বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন হবে।’
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ন্যায়বিচারের সাক্ষী হতে এসেছি। ১ হাজার ৪০০ লোক মারা গেছে। ৩০ হাজার পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। রাষ্ট্রপক্ষ দেখিয়েছে—কে নির্দেশ দিয়েছে, কাকে দিয়েছে, কে পালন করেছে, কীভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। এই খুনের পর গোটা জাতি জেগে উঠেছে। অপরাধীরা পালিয়ে গেছে। তারা বিচারকাজ প্রতিহত করতে নানা রকম নির্দেশনা দিচ্ছে। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, প্রসিকিউশন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। যে সাক্ষ্যপ্রমাণ এসেছে, তা যেকোনো দেশে, যেকোনো আদালতে উপস্থাপন করলে আসামিদের সাজা ছাড়া বিকল্প কিছু হবে না।’
মানবতাবিরোধী অপরাধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের উদাহরণ এ সময় তুলে ধরেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
তিনি বলেন, ‘এটা দিবালোকের ন্যায় সত্য, এখানে গণহত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে। এখানে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। কারা ঘটিয়েছে, কীভাবে ঘটিয়েছে, তা আমরা প্রমাণ করেছি। আমরা মনে করি, এই আদালতে যদি আসামিদের শাস্তি না হয়, তাহলে এ দেশের খুন হওয়া মানুষ, পঙ্গুত্ব বরণ করা মানুষ, এই রাষ্ট্র অবিচারের শিকার হবে। আমরা দাঁড়িয়েছি ইতিহাসের দায় পরিশোধ করার জন্য। আপনারা ন্যায়বিচার করলে গোটা বিশ্ব দেখবে—এই দেশে ন্যায়বিচার হয়।’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ সাজা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেছেন, ‘এই আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা না হলে তাদের হাতে বাংলাদেশের নিরপরাধ মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাবে, পাঁচ বছরের শিশু মারা যাবে, আনাসরা মারা যাবে, পানি বিতরণ করতে গিয়ে মুগ্ধ মারা যাবে, বুক চিতিয়ে আবার রাজপথে দাঁড়িয়ে আবু সাঈদরা মারা যাবে। আমরা যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে না পারি, এই দুজনের বিচার যদি ব্যাহত হয়, এই দুজনের যদি শাস্তি না হয়, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ভীরু-কাপুরুষের উপমা হয়ে রয়ে যাবে। সে কারণে আমরা মনে করি, আমরা যা উপস্থাপন করেছি, তা সন্দেহাতীত।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বৃহস্পতিবার যুক্তি উপস্থাপনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ছাড়া এই মামলার অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন।
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপনকালে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। বিচার যত কঠিনই হোক, বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আগামী দিনে এগোতে পারব না। এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একটি বড় ঘটনা হিসেবে অনেকেই দেখবেন। এই আসামিদের যদি শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারি, তাহলে তাদের হাতে বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন হবে।’
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ন্যায়বিচারের সাক্ষী হতে এসেছি। ১ হাজার ৪০০ লোক মারা গেছে। ৩০ হাজার পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। রাষ্ট্রপক্ষ দেখিয়েছে—কে নির্দেশ দিয়েছে, কাকে দিয়েছে, কে পালন করেছে, কীভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। এই খুনের পর গোটা জাতি জেগে উঠেছে। অপরাধীরা পালিয়ে গেছে। তারা বিচারকাজ প্রতিহত করতে নানা রকম নির্দেশনা দিচ্ছে। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, প্রসিকিউশন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। যে সাক্ষ্যপ্রমাণ এসেছে, তা যেকোনো দেশে, যেকোনো আদালতে উপস্থাপন করলে আসামিদের সাজা ছাড়া বিকল্প কিছু হবে না।’
মানবতাবিরোধী অপরাধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের উদাহরণ এ সময় তুলে ধরেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
তিনি বলেন, ‘এটা দিবালোকের ন্যায় সত্য, এখানে গণহত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে। এখানে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। কারা ঘটিয়েছে, কীভাবে ঘটিয়েছে, তা আমরা প্রমাণ করেছি। আমরা মনে করি, এই আদালতে যদি আসামিদের শাস্তি না হয়, তাহলে এ দেশের খুন হওয়া মানুষ, পঙ্গুত্ব বরণ করা মানুষ, এই রাষ্ট্র অবিচারের শিকার হবে। আমরা দাঁড়িয়েছি ইতিহাসের দায় পরিশোধ করার জন্য। আপনারা ন্যায়বিচার করলে গোটা বিশ্ব দেখবে—এই দেশে ন্যায়বিচার হয়।’
প্রশাসনিক অনুমতি এবং টেবিল অব অর্গানাইজেশন অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট (টিওঅ্যান্ডই) ভুক্ত হওয়া ছাড়াই চলছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের ৭৭টি গাড়ি। ফলে এসব গাড়ির জন্য খরচের (জ্বালানি, রক্ষণাবেক্ষণ) আইনি ভিত্তি নেই। ‘গোঁজামিল’ দিয়ে চলছে টাকা বরাদ্দ। যেন মাসে মাসে এসব গাড়ির খরচ জোগাচ্ছে ‘ভূতে’।
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেপলাতক হিসেবে কারা বিবেচিত হবেন—এ প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে, অথচ হাজির হননি, পরে তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে—তাঁরাই পলাতক বলে গণ্য হবেন।
১ ঘণ্টা আগেআসামিদের কোনো অনুশোচনা হয়নি, তাঁরা উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ
৪ ঘণ্টা আগে