কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর থেকে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন পক্ষ থেকে নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারও বলছে, সবাইকে নিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা তারা করবে। তবে সেই নির্বাচন কবে হবে, তা জানার আগ্রহ সবার।
বিষয়টি অবশেষে আরও একটু পরিষ্কার করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। গতকাল রোববার তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করবে। তবে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, বেসামরিক প্রশাসন, নিরাপত্তা সংস্থা, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের পর। সেই সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্যও আন্তরিক চেষ্টা করা হবে।
সরকার ও শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও সহযোগিতা করবে—এমন আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।
সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর বিদেশি কূটনীতিকদের উদ্দেশে দেওয়া প্রথম বক্তৃতায় ইউনূস এসব কথা বললেন। ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে গতকাল এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ৬৭ জন মিশনপ্রধান যোগ দেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’ অভিহিত করে ড. ইউনূস বলেন, হাজার হাজার ছাত্র-জনতা শেখ হাসিনার নৃশংস স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছিল। তিনি পালিয়েছেন। কিন্তু সেটা নিরাপত্তা বাহিনী ও তাঁর (হাসিনা) দলের ছাত্রসংগঠন (ছাত্রলীগ) স্বাধীনতার পর দেশে ভয়াবহতম বেসামরিক হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর। শত শত মানুষ খুন হয়েছে। আহত হয়েছে কয়েক হাজার। কয়েক শ শিক্ষার্থী হয় দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে অথবা হারাতে চলেছে। আর কোথাও ছাত্রদের গণতান্ত্রিক, বৈষম্যমুক্ত, ন্যায়সংগত, পরিবেশবান্ধব ও মানবাধিকার সুরক্ষিত থাকবে, এমন একটি দেশের স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে এত মূল্য দিতে হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট ভারতে যান।
ইউনূস বলেন, দেশে পুরোপুরি বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করছে। ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে হাসিনার সরকার গত দেড় দশকে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। বিচারব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে মানুষকে বঞ্চিত করতে নির্মম নিষ্পেষণ চলেছে। নির্বাচনে নগ্ন কারচুপি হয়েছে। তরুণদের কয়েকটি প্রজন্ম কোনোরকম ভোটাধিকার চর্চা ছাড়াই বড় হয়েছে। পূর্ণ রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যাংকগুলো লুট হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রের কোষাগার লুটে নেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষার্থীরা এখন এমন একটি দেশ চায়, যেখানে রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও জাতিগত পরিচয়নির্বিশেষে মানুষ নিজেদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ ও মতপ্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা পাবে। সরকার গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও বাক্স্বাধীনতা সমুন্নত রাখবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা, এমনটি জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, সব ধর্মের ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। আর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে যত দিন লাগবে, তত দিন সশস্ত্র বাহিনী বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করে যাবে।
সহিংসতায় নিহত হওয়ার ঘটনাগুলোর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাও সরকারের অগ্রাধিকার, এমনটা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য তদন্ত ও বিচারের জন্য জাতিসংঘকে সহায়তা দেওয়া হবে। অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনতে সরকার সুদূরপ্রসারী অর্থনৈতিক সংস্কার, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি ও অব্যবস্থা দূর করার কাজও হাতে নেবে বলেও জানান তিনি।
ইউনূস বলেন, এই ক্রান্তিকালে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থবহ ও গভীর সংস্কার চায়। যাতে প্রকৃত ও টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায়। এটা বেশ বড় কাজ। এ ক্ষেত্রে সরকারকে সহযোগিতার জন্য তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি অনুরোধ জানান। সংস্কার শেষ করতে কত দিন লাগতে পারে, সে বিষয়ে অবশ্য কোনো ইঙ্গিত দেননি সরকারপ্রধান।
আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও দ্বিপক্ষীয় ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সই করা চুক্তি ও অঙ্গীকারগুলো সরকার মেনে চলবে, বিদেশি দূতদের এমন বার্তাও দেন ড. ইউনূস। একই সঙ্গে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের নিরাপদে, মর্যাদা ও পূর্ণ অধিকারসহ মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম পরে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, আয়োজনটি মূলত দেখা-সাক্ষাতের হওয়ায় রাষ্ট্রদূতেরা অনুষ্ঠানে কোনো প্রশ্ন করেননি।
গণমাধ্যমে কী সংস্কার আসতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ কিছু বিষয়ে সংস্কার করতে চায় সরকার।
গতকাল বেলা ১১টায় শুরুর কথা থাকায় কূটনীতিকদের বেশির ভাগ তার আগেই পৌঁছে যান হোটেলে। কিন্তু ড. ইউনূস যখন এলেন, তখন বেলা প্রায় ১টা। তার আগেই একাধিক রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে যান। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত প্রভাবশালী একটি দেশের রাষ্ট্রদূত দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে হোটেল ছেড়ে যাওয়ার সময় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে এসেছি। তিনি এখনো এলেন না। হয়তো তাঁর ব্যস্ততা আছে। কিন্তু কেউ আমাদের কিছু বলছে না!’
অনুষ্ঠান দেরিতে শুরু করার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, বিভিন্ন সংগঠনের লোকেরা ২-৩টি গ্রুপে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ছিলেন। তাঁদের কয়েকজন তাঁর সাক্ষাৎ চেয়েছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা মনে করেন, প্রতিবাদের অধিকার সবার আছে। তিনি তাঁদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন। এতে দেরি হয়ে গেছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ব্যক্তিগত সফরে বিদেশে থাকায় অনুষ্ঠানে ছিলেন না। তবে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ স্থানীয় অন্য ঊর্ধ্বতন কূটনীতিকেরাও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর থেকে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন পক্ষ থেকে নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারও বলছে, সবাইকে নিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা তারা করবে। তবে সেই নির্বাচন কবে হবে, তা জানার আগ্রহ সবার।
বিষয়টি অবশেষে আরও একটু পরিষ্কার করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। গতকাল রোববার তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করবে। তবে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, বেসামরিক প্রশাসন, নিরাপত্তা সংস্থা, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের পর। সেই সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্যও আন্তরিক চেষ্টা করা হবে।
সরকার ও শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও সহযোগিতা করবে—এমন আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।
সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর বিদেশি কূটনীতিকদের উদ্দেশে দেওয়া প্রথম বক্তৃতায় ইউনূস এসব কথা বললেন। ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে গতকাল এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ৬৭ জন মিশনপ্রধান যোগ দেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’ অভিহিত করে ড. ইউনূস বলেন, হাজার হাজার ছাত্র-জনতা শেখ হাসিনার নৃশংস স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছিল। তিনি পালিয়েছেন। কিন্তু সেটা নিরাপত্তা বাহিনী ও তাঁর (হাসিনা) দলের ছাত্রসংগঠন (ছাত্রলীগ) স্বাধীনতার পর দেশে ভয়াবহতম বেসামরিক হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর। শত শত মানুষ খুন হয়েছে। আহত হয়েছে কয়েক হাজার। কয়েক শ শিক্ষার্থী হয় দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে অথবা হারাতে চলেছে। আর কোথাও ছাত্রদের গণতান্ত্রিক, বৈষম্যমুক্ত, ন্যায়সংগত, পরিবেশবান্ধব ও মানবাধিকার সুরক্ষিত থাকবে, এমন একটি দেশের স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে এত মূল্য দিতে হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট ভারতে যান।
ইউনূস বলেন, দেশে পুরোপুরি বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করছে। ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে হাসিনার সরকার গত দেড় দশকে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। বিচারব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে মানুষকে বঞ্চিত করতে নির্মম নিষ্পেষণ চলেছে। নির্বাচনে নগ্ন কারচুপি হয়েছে। তরুণদের কয়েকটি প্রজন্ম কোনোরকম ভোটাধিকার চর্চা ছাড়াই বড় হয়েছে। পূর্ণ রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যাংকগুলো লুট হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রের কোষাগার লুটে নেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষার্থীরা এখন এমন একটি দেশ চায়, যেখানে রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও জাতিগত পরিচয়নির্বিশেষে মানুষ নিজেদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ ও মতপ্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা পাবে। সরকার গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও বাক্স্বাধীনতা সমুন্নত রাখবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা, এমনটি জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, সব ধর্মের ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। আর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে যত দিন লাগবে, তত দিন সশস্ত্র বাহিনী বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করে যাবে।
সহিংসতায় নিহত হওয়ার ঘটনাগুলোর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাও সরকারের অগ্রাধিকার, এমনটা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য তদন্ত ও বিচারের জন্য জাতিসংঘকে সহায়তা দেওয়া হবে। অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনতে সরকার সুদূরপ্রসারী অর্থনৈতিক সংস্কার, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি ও অব্যবস্থা দূর করার কাজও হাতে নেবে বলেও জানান তিনি।
ইউনূস বলেন, এই ক্রান্তিকালে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থবহ ও গভীর সংস্কার চায়। যাতে প্রকৃত ও টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায়। এটা বেশ বড় কাজ। এ ক্ষেত্রে সরকারকে সহযোগিতার জন্য তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি অনুরোধ জানান। সংস্কার শেষ করতে কত দিন লাগতে পারে, সে বিষয়ে অবশ্য কোনো ইঙ্গিত দেননি সরকারপ্রধান।
আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও দ্বিপক্ষীয় ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সই করা চুক্তি ও অঙ্গীকারগুলো সরকার মেনে চলবে, বিদেশি দূতদের এমন বার্তাও দেন ড. ইউনূস। একই সঙ্গে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের নিরাপদে, মর্যাদা ও পূর্ণ অধিকারসহ মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম পরে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, আয়োজনটি মূলত দেখা-সাক্ষাতের হওয়ায় রাষ্ট্রদূতেরা অনুষ্ঠানে কোনো প্রশ্ন করেননি।
গণমাধ্যমে কী সংস্কার আসতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ কিছু বিষয়ে সংস্কার করতে চায় সরকার।
গতকাল বেলা ১১টায় শুরুর কথা থাকায় কূটনীতিকদের বেশির ভাগ তার আগেই পৌঁছে যান হোটেলে। কিন্তু ড. ইউনূস যখন এলেন, তখন বেলা প্রায় ১টা। তার আগেই একাধিক রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে যান। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত প্রভাবশালী একটি দেশের রাষ্ট্রদূত দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে হোটেল ছেড়ে যাওয়ার সময় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে এসেছি। তিনি এখনো এলেন না। হয়তো তাঁর ব্যস্ততা আছে। কিন্তু কেউ আমাদের কিছু বলছে না!’
অনুষ্ঠান দেরিতে শুরু করার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, বিভিন্ন সংগঠনের লোকেরা ২-৩টি গ্রুপে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ছিলেন। তাঁদের কয়েকজন তাঁর সাক্ষাৎ চেয়েছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা মনে করেন, প্রতিবাদের অধিকার সবার আছে। তিনি তাঁদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন। এতে দেরি হয়ে গেছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ব্যক্তিগত সফরে বিদেশে থাকায় অনুষ্ঠানে ছিলেন না। তবে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ স্থানীয় অন্য ঊর্ধ্বতন কূটনীতিকেরাও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর থেকে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন পক্ষ থেকে নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারও বলছে, সবাইকে নিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা তারা করবে। তবে সেই নির্বাচন কবে হবে, তা জানার আগ্রহ সবার।
বিষয়টি অবশেষে আরও একটু পরিষ্কার করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। গতকাল রোববার তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করবে। তবে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, বেসামরিক প্রশাসন, নিরাপত্তা সংস্থা, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের পর। সেই সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্যও আন্তরিক চেষ্টা করা হবে।
সরকার ও শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও সহযোগিতা করবে—এমন আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।
সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর বিদেশি কূটনীতিকদের উদ্দেশে দেওয়া প্রথম বক্তৃতায় ইউনূস এসব কথা বললেন। ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে গতকাল এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ৬৭ জন মিশনপ্রধান যোগ দেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’ অভিহিত করে ড. ইউনূস বলেন, হাজার হাজার ছাত্র-জনতা শেখ হাসিনার নৃশংস স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছিল। তিনি পালিয়েছেন। কিন্তু সেটা নিরাপত্তা বাহিনী ও তাঁর (হাসিনা) দলের ছাত্রসংগঠন (ছাত্রলীগ) স্বাধীনতার পর দেশে ভয়াবহতম বেসামরিক হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর। শত শত মানুষ খুন হয়েছে। আহত হয়েছে কয়েক হাজার। কয়েক শ শিক্ষার্থী হয় দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে অথবা হারাতে চলেছে। আর কোথাও ছাত্রদের গণতান্ত্রিক, বৈষম্যমুক্ত, ন্যায়সংগত, পরিবেশবান্ধব ও মানবাধিকার সুরক্ষিত থাকবে, এমন একটি দেশের স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে এত মূল্য দিতে হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট ভারতে যান।
ইউনূস বলেন, দেশে পুরোপুরি বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করছে। ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে হাসিনার সরকার গত দেড় দশকে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। বিচারব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে মানুষকে বঞ্চিত করতে নির্মম নিষ্পেষণ চলেছে। নির্বাচনে নগ্ন কারচুপি হয়েছে। তরুণদের কয়েকটি প্রজন্ম কোনোরকম ভোটাধিকার চর্চা ছাড়াই বড় হয়েছে। পূর্ণ রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যাংকগুলো লুট হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রের কোষাগার লুটে নেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষার্থীরা এখন এমন একটি দেশ চায়, যেখানে রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও জাতিগত পরিচয়নির্বিশেষে মানুষ নিজেদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ ও মতপ্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা পাবে। সরকার গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও বাক্স্বাধীনতা সমুন্নত রাখবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা, এমনটি জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, সব ধর্মের ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। আর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে যত দিন লাগবে, তত দিন সশস্ত্র বাহিনী বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করে যাবে।
সহিংসতায় নিহত হওয়ার ঘটনাগুলোর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাও সরকারের অগ্রাধিকার, এমনটা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য তদন্ত ও বিচারের জন্য জাতিসংঘকে সহায়তা দেওয়া হবে। অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনতে সরকার সুদূরপ্রসারী অর্থনৈতিক সংস্কার, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি ও অব্যবস্থা দূর করার কাজও হাতে নেবে বলেও জানান তিনি।
ইউনূস বলেন, এই ক্রান্তিকালে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থবহ ও গভীর সংস্কার চায়। যাতে প্রকৃত ও টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায়। এটা বেশ বড় কাজ। এ ক্ষেত্রে সরকারকে সহযোগিতার জন্য তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি অনুরোধ জানান। সংস্কার শেষ করতে কত দিন লাগতে পারে, সে বিষয়ে অবশ্য কোনো ইঙ্গিত দেননি সরকারপ্রধান।
আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও দ্বিপক্ষীয় ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সই করা চুক্তি ও অঙ্গীকারগুলো সরকার মেনে চলবে, বিদেশি দূতদের এমন বার্তাও দেন ড. ইউনূস। একই সঙ্গে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের নিরাপদে, মর্যাদা ও পূর্ণ অধিকারসহ মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম পরে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, আয়োজনটি মূলত দেখা-সাক্ষাতের হওয়ায় রাষ্ট্রদূতেরা অনুষ্ঠানে কোনো প্রশ্ন করেননি।
গণমাধ্যমে কী সংস্কার আসতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ কিছু বিষয়ে সংস্কার করতে চায় সরকার।
গতকাল বেলা ১১টায় শুরুর কথা থাকায় কূটনীতিকদের বেশির ভাগ তার আগেই পৌঁছে যান হোটেলে। কিন্তু ড. ইউনূস যখন এলেন, তখন বেলা প্রায় ১টা। তার আগেই একাধিক রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে যান। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত প্রভাবশালী একটি দেশের রাষ্ট্রদূত দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে হোটেল ছেড়ে যাওয়ার সময় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে এসেছি। তিনি এখনো এলেন না। হয়তো তাঁর ব্যস্ততা আছে। কিন্তু কেউ আমাদের কিছু বলছে না!’
অনুষ্ঠান দেরিতে শুরু করার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, বিভিন্ন সংগঠনের লোকেরা ২-৩টি গ্রুপে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ছিলেন। তাঁদের কয়েকজন তাঁর সাক্ষাৎ চেয়েছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা মনে করেন, প্রতিবাদের অধিকার সবার আছে। তিনি তাঁদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন। এতে দেরি হয়ে গেছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ব্যক্তিগত সফরে বিদেশে থাকায় অনুষ্ঠানে ছিলেন না। তবে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ স্থানীয় অন্য ঊর্ধ্বতন কূটনীতিকেরাও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর থেকে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন পক্ষ থেকে নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারও বলছে, সবাইকে নিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা তারা করবে। তবে সেই নির্বাচন কবে হবে, তা জানার আগ্রহ সবার।
বিষয়টি অবশেষে আরও একটু পরিষ্কার করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। গতকাল রোববার তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করবে। তবে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, বেসামরিক প্রশাসন, নিরাপত্তা সংস্থা, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের পর। সেই সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্যও আন্তরিক চেষ্টা করা হবে।
সরকার ও শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও সহযোগিতা করবে—এমন আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।
সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর বিদেশি কূটনীতিকদের উদ্দেশে দেওয়া প্রথম বক্তৃতায় ইউনূস এসব কথা বললেন। ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে গতকাল এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ৬৭ জন মিশনপ্রধান যোগ দেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’ অভিহিত করে ড. ইউনূস বলেন, হাজার হাজার ছাত্র-জনতা শেখ হাসিনার নৃশংস স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছিল। তিনি পালিয়েছেন। কিন্তু সেটা নিরাপত্তা বাহিনী ও তাঁর (হাসিনা) দলের ছাত্রসংগঠন (ছাত্রলীগ) স্বাধীনতার পর দেশে ভয়াবহতম বেসামরিক হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর। শত শত মানুষ খুন হয়েছে। আহত হয়েছে কয়েক হাজার। কয়েক শ শিক্ষার্থী হয় দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে অথবা হারাতে চলেছে। আর কোথাও ছাত্রদের গণতান্ত্রিক, বৈষম্যমুক্ত, ন্যায়সংগত, পরিবেশবান্ধব ও মানবাধিকার সুরক্ষিত থাকবে, এমন একটি দেশের স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে এত মূল্য দিতে হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট ভারতে যান।
ইউনূস বলেন, দেশে পুরোপুরি বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করছে। ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে হাসিনার সরকার গত দেড় দশকে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। বিচারব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে মানুষকে বঞ্চিত করতে নির্মম নিষ্পেষণ চলেছে। নির্বাচনে নগ্ন কারচুপি হয়েছে। তরুণদের কয়েকটি প্রজন্ম কোনোরকম ভোটাধিকার চর্চা ছাড়াই বড় হয়েছে। পূর্ণ রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যাংকগুলো লুট হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রের কোষাগার লুটে নেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষার্থীরা এখন এমন একটি দেশ চায়, যেখানে রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও জাতিগত পরিচয়নির্বিশেষে মানুষ নিজেদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ ও মতপ্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা পাবে। সরকার গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও বাক্স্বাধীনতা সমুন্নত রাখবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা, এমনটি জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, সব ধর্মের ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। আর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে যত দিন লাগবে, তত দিন সশস্ত্র বাহিনী বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করে যাবে।
সহিংসতায় নিহত হওয়ার ঘটনাগুলোর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাও সরকারের অগ্রাধিকার, এমনটা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য তদন্ত ও বিচারের জন্য জাতিসংঘকে সহায়তা দেওয়া হবে। অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনতে সরকার সুদূরপ্রসারী অর্থনৈতিক সংস্কার, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি ও অব্যবস্থা দূর করার কাজও হাতে নেবে বলেও জানান তিনি।
ইউনূস বলেন, এই ক্রান্তিকালে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থবহ ও গভীর সংস্কার চায়। যাতে প্রকৃত ও টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায়। এটা বেশ বড় কাজ। এ ক্ষেত্রে সরকারকে সহযোগিতার জন্য তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি অনুরোধ জানান। সংস্কার শেষ করতে কত দিন লাগতে পারে, সে বিষয়ে অবশ্য কোনো ইঙ্গিত দেননি সরকারপ্রধান।
আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও দ্বিপক্ষীয় ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সই করা চুক্তি ও অঙ্গীকারগুলো সরকার মেনে চলবে, বিদেশি দূতদের এমন বার্তাও দেন ড. ইউনূস। একই সঙ্গে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের নিরাপদে, মর্যাদা ও পূর্ণ অধিকারসহ মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম পরে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, আয়োজনটি মূলত দেখা-সাক্ষাতের হওয়ায় রাষ্ট্রদূতেরা অনুষ্ঠানে কোনো প্রশ্ন করেননি।
গণমাধ্যমে কী সংস্কার আসতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ কিছু বিষয়ে সংস্কার করতে চায় সরকার।
গতকাল বেলা ১১টায় শুরুর কথা থাকায় কূটনীতিকদের বেশির ভাগ তার আগেই পৌঁছে যান হোটেলে। কিন্তু ড. ইউনূস যখন এলেন, তখন বেলা প্রায় ১টা। তার আগেই একাধিক রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে যান। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত প্রভাবশালী একটি দেশের রাষ্ট্রদূত দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে হোটেল ছেড়ে যাওয়ার সময় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে এসেছি। তিনি এখনো এলেন না। হয়তো তাঁর ব্যস্ততা আছে। কিন্তু কেউ আমাদের কিছু বলছে না!’
অনুষ্ঠান দেরিতে শুরু করার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, বিভিন্ন সংগঠনের লোকেরা ২-৩টি গ্রুপে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ছিলেন। তাঁদের কয়েকজন তাঁর সাক্ষাৎ চেয়েছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা মনে করেন, প্রতিবাদের অধিকার সবার আছে। তিনি তাঁদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন। এতে দেরি হয়ে গেছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ব্যক্তিগত সফরে বিদেশে থাকায় অনুষ্ঠানে ছিলেন না। তবে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ স্থানীয় অন্য ঊর্ধ্বতন কূটনীতিকেরাও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

দেশে বেজে উঠেছে নির্বাচনী সুর। রাজনৈতিক দলগুলো হঠাৎ নির্বাচনমুখী হয়ে উঠেছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি সারছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার মধ্যেও দেশজুড়ে এখন নির্বাচনী আমেজ।
১ ঘণ্টা আগে
ফোনে কাউকে অশ্লীল, অশোভন বার্তা পাঠালে হতে পারে দুই বছরের কারাদণ্ড ও দেড় কোটি টাকা জরিমানা। আর কাউকে টেলিফোনে বিরক্ত করার সাজা হতে পারে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং তা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড। ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ায় এসব কথা বলা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তাৎক্ষণিক তদন্তের কথা উল্লেখ করে বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—জনাব এরশাদ উল্লাহ এই হামলার টার্গেট ছিলেন না; বিক্ষিপ্তভাবে ছোড়া একটি গুলি তাঁর শরীরে এসে বিদ্ধ হয়। সরকার এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং গুলিতে আহত জনাব...
৩ ঘণ্টা আগে
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, দুর্ঘটনার মূল কারণ যেটা ছিল, সেটা হলো, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির জন্য এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
৫ ঘণ্টা আগেরেজা করিম, ঢাকা

দেশে বেজে উঠেছে নির্বাচনী সুর। রাজনৈতিক দলগুলো হঠাৎ নির্বাচনমুখী হয়ে উঠেছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি সারছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার মধ্যেও দেশজুড়ে এখন নির্বাচনী আমেজ।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সূত্র বলছে, জুলাই জাতীয় সনদ, গণভোটসহ বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগে পরিস্থিতি ক্রমেই ঘোলা হচ্ছিল। সংশয় ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয় নির্বাচন নিয়ে। এই অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা কয়েকটি দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেন। তাঁদের প্রচেষ্টাতেই দলগুলো মতবিরোধ পাশে রেখে নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করেছে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই সংসদ নির্বাচন।
বিএনপিসহ কয়েকটি দল ইতিমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকাও ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা করেছে। শিগগির তালিকা চূড়ান্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। এ দুই দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা গণসংযোগও শুরু করেছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) প্রাথমিকভাবে কয়েকজনের নাম বলেছে।
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো আগে থেকে প্রার্থী বাছাই, দল গোছানোসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি শুরু করে। বিএনপি গত সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩৭টিতে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে। দলটির নেতারা বলছেন, এটি সম্ভাব্য তালিকা। তফসিল ঘোষণার পর প্রয়োজনে এই তালিকায় অদলবদল হতে পারে। এর মধ্যে মাদারীপুর-১ আসনের প্রার্থীর নাম মঙ্গলবার স্থগিত করেছে দলটি।
বিএনপি প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর এনসিপিও প্রাথমিকভাবে কয়েকজন প্রার্থীর নাম বলেছে। দলটি ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার কথা জানিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী শিগগির প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগবিহীন ভোটের মাঠে এই তিন দলের বাইরেও ৫০ আসনে একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে গণঅধিকার পরিষদ। ১৩৮ আসনে প্রার্থী দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চে থাকা ৬ দল। গণসংহতি আন্দোলন গতকাল বুধবার ৯১টি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। এবি পার্টি ১০৯, খেলাফত মজলিস ২৫৬, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ২৬৮ এবং ইসলামী আন্দোলন প্রায় ৩০০ আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। এর বাইরেও অধিকাংশ দল সম্ভাব্য একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে। নির্বাচনমুখী এসব দলের প্রার্থী, নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের গণসংযোগে সাধারণ মানুষ পাচ্ছেন ভোটের আমেজ।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে আর সংশয় নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। গতকাল চট্টগ্রাম নগরের মেহেদীবাগের বাসভবনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার মাধ্যমে দেশের মানুষ পুরোপুরি নির্বাচনী ট্রেনে উঠে গেছে। ফেব্রুয়ারিতে এই ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছাবে। এখানে আর কোনো সংশয় নেই।’
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জুলাই সনদ নিয়ে আলোচনা করে সময় নষ্ট করার সুযোগ এখন আর নেই। অনেক আলোচনা হয়েছে, যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, তার ওপর ভিত্তি করেই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৮ বছর পর জনগণ ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে উন্মুখ হয়ে আছে।’
নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবিতে এখনো অনড় থাকলেও পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি থেকে সরে এসেছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি এখন ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানকেই যুক্তিযুক্ত মনে করছে। গতকাল সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘সবাইকে নিয়েই আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আদায় করে ছাড়ব। এটা দেরি হলেই বিভিন্ন ধরনের আশঙ্কা ও বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা আছে।’ তিনি বলেন, ‘আমার দাবি বাস্তবায়ন হতে হবে এমনটি নয়। আমি বলব, আমার দাবিটাই মনে করি শ্রেষ্ঠ দাবি, জনগণ এইটা বিবেচনায় নেবে। আমরা যা করি, জনগণকে নিয়ে করব। জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছুই করব না।’
এনসিপিও নড়েচড়ে বসেছে। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ১৫ নভেম্বরের মধ্যে দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত গাজী সালাহউদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে গতকাল সাক্ষাৎ করেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমরা এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্য আমাদের।’
ঘোষিত সময়ে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশনও। কমিশন ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গেও বৈঠক করেছে। সম্প্রতি নির্বাচন ভবনে এক বৈঠক শেষে ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনাসদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন দেড় লাখ পুলিশ সদস্য। এ ছাড়া সারা দেশে দায়িত্ব পালন করবেন সাড়ে ৫ লাখ আনসার সদস্য।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের পক্ষে সেনাবাহিনীও। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাসদরের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং, সদর দপ্তর আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড (জিওসি আর্টডক) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাইনুর রহমান বলেন, ‘দেশের জনগণ যেমন চায়, সেনাবাহিনীও চায় সরকারঘোষিত রূপরেখা অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে আশা করে সেনাবাহিনী।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশের স্থিতিশীলতার জন্য রাজনৈতিক সরকারের বিকল্প নেই। এই অবস্থায় নির্বাচনের প্রশ্নে সবার এক জায়গায় আসাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তাঁরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, একটি রাষ্ট্রের জন্য রাজনৈতিক ব্যবস্থায় যাওয়া খুব জরুরি। দায়বদ্ধতার জায়গা শক্তিশালী করতে হলে দরকার নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার। এই বিবেচনায় নির্বাচনেই স্বস্তি।

দেশে বেজে উঠেছে নির্বাচনী সুর। রাজনৈতিক দলগুলো হঠাৎ নির্বাচনমুখী হয়ে উঠেছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি সারছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার মধ্যেও দেশজুড়ে এখন নির্বাচনী আমেজ।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সূত্র বলছে, জুলাই জাতীয় সনদ, গণভোটসহ বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগে পরিস্থিতি ক্রমেই ঘোলা হচ্ছিল। সংশয় ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয় নির্বাচন নিয়ে। এই অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা কয়েকটি দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেন। তাঁদের প্রচেষ্টাতেই দলগুলো মতবিরোধ পাশে রেখে নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করেছে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই সংসদ নির্বাচন।
বিএনপিসহ কয়েকটি দল ইতিমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকাও ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা করেছে। শিগগির তালিকা চূড়ান্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। এ দুই দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা গণসংযোগও শুরু করেছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) প্রাথমিকভাবে কয়েকজনের নাম বলেছে।
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো আগে থেকে প্রার্থী বাছাই, দল গোছানোসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি শুরু করে। বিএনপি গত সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩৭টিতে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে। দলটির নেতারা বলছেন, এটি সম্ভাব্য তালিকা। তফসিল ঘোষণার পর প্রয়োজনে এই তালিকায় অদলবদল হতে পারে। এর মধ্যে মাদারীপুর-১ আসনের প্রার্থীর নাম মঙ্গলবার স্থগিত করেছে দলটি।
বিএনপি প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর এনসিপিও প্রাথমিকভাবে কয়েকজন প্রার্থীর নাম বলেছে। দলটি ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার কথা জানিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী শিগগির প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগবিহীন ভোটের মাঠে এই তিন দলের বাইরেও ৫০ আসনে একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে গণঅধিকার পরিষদ। ১৩৮ আসনে প্রার্থী দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চে থাকা ৬ দল। গণসংহতি আন্দোলন গতকাল বুধবার ৯১টি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। এবি পার্টি ১০৯, খেলাফত মজলিস ২৫৬, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ২৬৮ এবং ইসলামী আন্দোলন প্রায় ৩০০ আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। এর বাইরেও অধিকাংশ দল সম্ভাব্য একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে। নির্বাচনমুখী এসব দলের প্রার্থী, নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের গণসংযোগে সাধারণ মানুষ পাচ্ছেন ভোটের আমেজ।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে আর সংশয় নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। গতকাল চট্টগ্রাম নগরের মেহেদীবাগের বাসভবনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার মাধ্যমে দেশের মানুষ পুরোপুরি নির্বাচনী ট্রেনে উঠে গেছে। ফেব্রুয়ারিতে এই ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছাবে। এখানে আর কোনো সংশয় নেই।’
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জুলাই সনদ নিয়ে আলোচনা করে সময় নষ্ট করার সুযোগ এখন আর নেই। অনেক আলোচনা হয়েছে, যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, তার ওপর ভিত্তি করেই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৮ বছর পর জনগণ ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে উন্মুখ হয়ে আছে।’
নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবিতে এখনো অনড় থাকলেও পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি থেকে সরে এসেছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি এখন ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানকেই যুক্তিযুক্ত মনে করছে। গতকাল সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘সবাইকে নিয়েই আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আদায় করে ছাড়ব। এটা দেরি হলেই বিভিন্ন ধরনের আশঙ্কা ও বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা আছে।’ তিনি বলেন, ‘আমার দাবি বাস্তবায়ন হতে হবে এমনটি নয়। আমি বলব, আমার দাবিটাই মনে করি শ্রেষ্ঠ দাবি, জনগণ এইটা বিবেচনায় নেবে। আমরা যা করি, জনগণকে নিয়ে করব। জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছুই করব না।’
এনসিপিও নড়েচড়ে বসেছে। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ১৫ নভেম্বরের মধ্যে দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত গাজী সালাহউদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে গতকাল সাক্ষাৎ করেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমরা এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্য আমাদের।’
ঘোষিত সময়ে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশনও। কমিশন ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গেও বৈঠক করেছে। সম্প্রতি নির্বাচন ভবনে এক বৈঠক শেষে ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনাসদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন দেড় লাখ পুলিশ সদস্য। এ ছাড়া সারা দেশে দায়িত্ব পালন করবেন সাড়ে ৫ লাখ আনসার সদস্য।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের পক্ষে সেনাবাহিনীও। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাসদরের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং, সদর দপ্তর আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড (জিওসি আর্টডক) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাইনুর রহমান বলেন, ‘দেশের জনগণ যেমন চায়, সেনাবাহিনীও চায় সরকারঘোষিত রূপরেখা অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে আশা করে সেনাবাহিনী।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশের স্থিতিশীলতার জন্য রাজনৈতিক সরকারের বিকল্প নেই। এই অবস্থায় নির্বাচনের প্রশ্নে সবার এক জায়গায় আসাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তাঁরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, একটি রাষ্ট্রের জন্য রাজনৈতিক ব্যবস্থায় যাওয়া খুব জরুরি। দায়বদ্ধতার জায়গা শক্তিশালী করতে হলে দরকার নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার। এই বিবেচনায় নির্বাচনেই স্বস্তি।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর থেকে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন পক্ষ থেকে নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারও বলছে, সবাইকে নিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা তারা করবে। তবে সেই নির্বাচন কবে হবে, তা জানার আগ্র
১৯ আগস্ট ২০২৪
ফোনে কাউকে অশ্লীল, অশোভন বার্তা পাঠালে হতে পারে দুই বছরের কারাদণ্ড ও দেড় কোটি টাকা জরিমানা। আর কাউকে টেলিফোনে বিরক্ত করার সাজা হতে পারে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং তা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড। ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ায় এসব কথা বলা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তাৎক্ষণিক তদন্তের কথা উল্লেখ করে বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—জনাব এরশাদ উল্লাহ এই হামলার টার্গেট ছিলেন না; বিক্ষিপ্তভাবে ছোড়া একটি গুলি তাঁর শরীরে এসে বিদ্ধ হয়। সরকার এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং গুলিতে আহত জনাব...
৩ ঘণ্টা আগে
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, দুর্ঘটনার মূল কারণ যেটা ছিল, সেটা হলো, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির জন্য এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
৫ ঘণ্টা আগেটেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশের খসড়া
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ফোনে কাউকে অশ্লীল, অশোভন বার্তা পাঠালে হতে পারে দুই বছরের কারাদণ্ড ও দেড় কোটি টাকা জরিমানা। আর কাউকে টেলিফোনে বিরক্ত করার সাজা হতে পারে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং তা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড। ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ায় এসব কথা বলা হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ গতকাল এই খসড়া প্রকাশ করেছে। সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও সাধারণ নাগরিকদের মতামত নেওয়ার জন্য খসড়াটি বিভাগের ওয়েবসাইটে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়ার ধারা ৭০-এ টেলিফোনে বিরক্ত করা সম্পর্কে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে যদি এমনভাবে বারবার ফোন করেন যে তা ওই ব্যক্তির জন্য বিরক্তিকর হয় বা অসুবিধার সৃষ্টি করে, তাহলে বিষয়টি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
অধ্যাদেশে অশ্লীল, অশোভন বার্তা পাঠালে হতে পারে দুই বছরের জেল, দেড় কোটি টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ধারা ৬৯-এ বলা হয়েছে অশ্লীল, অশোভন ইত্যাদি বার্তা পাঠানোর অপরাধ ও এর সাজা বিষয়ে। এতে বলা হয়েছে, টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতির সাহায্যে কোনো অশ্লীল, ভীতি প্রদর্শনমূলক বা গুরুতরভাবে অপমানকর কোনো বার্তা, ছবি বা ছায়াছবি পাঠালে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট যন্ত্র পরিচালনাকারী ব্যক্তির কাছে এ কাজের প্রস্তাবকারী বা প্রেরণকারী কিংবা ক্ষেত্রমতো, উভয়েই অনধিক দুই বছর কারাদণ্ড বা অনধিক দেড় কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন। আইনের দফা (গ)-এর ক্ষেত্রে প্রেরণকারী অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে এবং অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সাইবার সুরক্ষা আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
বেআইনিভাবে আড়ি পাতলে দুই বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক দেড় কোটি টাকা জরিমানা কিংবা উভয় সাজার বিধান রাখা হয়েছে।
অধ্যাদেশের খসড়া অনুযায়ী, ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা—যেমন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, অনলাইন মেসেজিং ও ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ—সবই সরকারের অনুমোদনের আওতায় আসবে। এসব সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে এখন থেকে বাংলাদেশে নিবন্ধন নিতে হবে এবং প্রয়োজনে নিরাপত্তা সংস্থাকে তথ্য সরবরাহ করতে হবে।
খসড়া অধ্যাদেশ অনুযায়ী, এই খাতে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কমিশন গঠন করা হবে, যা লাইসেন্স প্রদান, নীতিনির্ধারণ, স্পেকট্রাম বণ্টন ও প্রযুক্তিগত মান নিয়ন্ত্রণ করবে। কমিশন হবে পাঁচ সদস্যের, যার একজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান থাকবেন।
খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, অনুমতিহীনভাবে টেলিযোগাযোগ সেবা পরিচালনা বা বিদেশি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করা হলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ ছাড়া, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার স্বার্থে সরকার প্রয়োজনে যেকোনো প্ল্যাটফর্ম স্থগিত বা বন্ধ করতে পারবে।
অধ্যাদেশের খসড়ার বিষয়ে মতামত পাঠানো যাবে [email protected] ই-মেইল ঠিকানায় অথবা ডাকযোগে সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা ঠিকানায়। ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত মতামত দেওয়া যাবে।

ফোনে কাউকে অশ্লীল, অশোভন বার্তা পাঠালে হতে পারে দুই বছরের কারাদণ্ড ও দেড় কোটি টাকা জরিমানা। আর কাউকে টেলিফোনে বিরক্ত করার সাজা হতে পারে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং তা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড। ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ায় এসব কথা বলা হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ গতকাল এই খসড়া প্রকাশ করেছে। সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও সাধারণ নাগরিকদের মতামত নেওয়ার জন্য খসড়াটি বিভাগের ওয়েবসাইটে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়ার ধারা ৭০-এ টেলিফোনে বিরক্ত করা সম্পর্কে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে যদি এমনভাবে বারবার ফোন করেন যে তা ওই ব্যক্তির জন্য বিরক্তিকর হয় বা অসুবিধার সৃষ্টি করে, তাহলে বিষয়টি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
অধ্যাদেশে অশ্লীল, অশোভন বার্তা পাঠালে হতে পারে দুই বছরের জেল, দেড় কোটি টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ধারা ৬৯-এ বলা হয়েছে অশ্লীল, অশোভন ইত্যাদি বার্তা পাঠানোর অপরাধ ও এর সাজা বিষয়ে। এতে বলা হয়েছে, টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতির সাহায্যে কোনো অশ্লীল, ভীতি প্রদর্শনমূলক বা গুরুতরভাবে অপমানকর কোনো বার্তা, ছবি বা ছায়াছবি পাঠালে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট যন্ত্র পরিচালনাকারী ব্যক্তির কাছে এ কাজের প্রস্তাবকারী বা প্রেরণকারী কিংবা ক্ষেত্রমতো, উভয়েই অনধিক দুই বছর কারাদণ্ড বা অনধিক দেড় কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন। আইনের দফা (গ)-এর ক্ষেত্রে প্রেরণকারী অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে এবং অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সাইবার সুরক্ষা আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
বেআইনিভাবে আড়ি পাতলে দুই বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক দেড় কোটি টাকা জরিমানা কিংবা উভয় সাজার বিধান রাখা হয়েছে।
অধ্যাদেশের খসড়া অনুযায়ী, ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা—যেমন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, অনলাইন মেসেজিং ও ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ—সবই সরকারের অনুমোদনের আওতায় আসবে। এসব সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে এখন থেকে বাংলাদেশে নিবন্ধন নিতে হবে এবং প্রয়োজনে নিরাপত্তা সংস্থাকে তথ্য সরবরাহ করতে হবে।
খসড়া অধ্যাদেশ অনুযায়ী, এই খাতে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কমিশন গঠন করা হবে, যা লাইসেন্স প্রদান, নীতিনির্ধারণ, স্পেকট্রাম বণ্টন ও প্রযুক্তিগত মান নিয়ন্ত্রণ করবে। কমিশন হবে পাঁচ সদস্যের, যার একজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান থাকবেন।
খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, অনুমতিহীনভাবে টেলিযোগাযোগ সেবা পরিচালনা বা বিদেশি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করা হলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ ছাড়া, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার স্বার্থে সরকার প্রয়োজনে যেকোনো প্ল্যাটফর্ম স্থগিত বা বন্ধ করতে পারবে।
অধ্যাদেশের খসড়ার বিষয়ে মতামত পাঠানো যাবে [email protected] ই-মেইল ঠিকানায় অথবা ডাকযোগে সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা ঠিকানায়। ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত মতামত দেওয়া যাবে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর থেকে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন পক্ষ থেকে নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারও বলছে, সবাইকে নিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা তারা করবে। তবে সেই নির্বাচন কবে হবে, তা জানার আগ্র
১৯ আগস্ট ২০২৪
দেশে বেজে উঠেছে নির্বাচনী সুর। রাজনৈতিক দলগুলো হঠাৎ নির্বাচনমুখী হয়ে উঠেছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি সারছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার মধ্যেও দেশজুড়ে এখন নির্বাচনী আমেজ।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তাৎক্ষণিক তদন্তের কথা উল্লেখ করে বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—জনাব এরশাদ উল্লাহ এই হামলার টার্গেট ছিলেন না; বিক্ষিপ্তভাবে ছোড়া একটি গুলি তাঁর শরীরে এসে বিদ্ধ হয়। সরকার এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং গুলিতে আহত জনাব...
৩ ঘণ্টা আগে
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, দুর্ঘটনার মূল কারণ যেটা ছিল, সেটা হলো, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির জন্য এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চট্টগ্রাম-৮ আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনী প্রচারণা অনুষ্ঠানে সহিংস হামলার ঘটনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তাৎক্ষণিক তদন্তের কথা উল্লেখ করে বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—জনাব এরশাদ উল্লাহ এই হামলার টার্গেট ছিলেন না; বিক্ষিপ্তভাবে ছোড়া একটি গুলি তাঁর শরীরে এসে বিদ্ধ হয়। সরকার এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং গুলিতে আহত জনাব এরশাদ উল্লাহর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছে।
সরকার এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী সকল প্রার্থী এবং নাগরিকের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে।
বিবৃতিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের শনাক্ত, গ্রেপ্তার এবং বিচারের আওতায় আনতে নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস নির্দেশ দিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আরও বলা হয়—‘আমাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শনের কোনো স্থান নেই। সিএমপি ইতিমধ্যেই হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে।’
বিবৃতিতে সকল রাজনৈতিক দল এবং তাদের সমর্থকদের শান্ত থাকার, সংযম প্রদর্শনের এবং ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচন যেন শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায্যতার পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এ ছাড়া সারা দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে।

চট্টগ্রাম-৮ আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনী প্রচারণা অনুষ্ঠানে সহিংস হামলার ঘটনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তাৎক্ষণিক তদন্তের কথা উল্লেখ করে বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—জনাব এরশাদ উল্লাহ এই হামলার টার্গেট ছিলেন না; বিক্ষিপ্তভাবে ছোড়া একটি গুলি তাঁর শরীরে এসে বিদ্ধ হয়। সরকার এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং গুলিতে আহত জনাব এরশাদ উল্লাহর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছে।
সরকার এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী সকল প্রার্থী এবং নাগরিকের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে।
বিবৃতিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের শনাক্ত, গ্রেপ্তার এবং বিচারের আওতায় আনতে নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস নির্দেশ দিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আরও বলা হয়—‘আমাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শনের কোনো স্থান নেই। সিএমপি ইতিমধ্যেই হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে।’
বিবৃতিতে সকল রাজনৈতিক দল এবং তাদের সমর্থকদের শান্ত থাকার, সংযম প্রদর্শনের এবং ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচন যেন শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায্যতার পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এ ছাড়া সারা দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর থেকে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন পক্ষ থেকে নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারও বলছে, সবাইকে নিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা তারা করবে। তবে সেই নির্বাচন কবে হবে, তা জানার আগ্র
১৯ আগস্ট ২০২৪
দেশে বেজে উঠেছে নির্বাচনী সুর। রাজনৈতিক দলগুলো হঠাৎ নির্বাচনমুখী হয়ে উঠেছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি সারছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার মধ্যেও দেশজুড়ে এখন নির্বাচনী আমেজ।
১ ঘণ্টা আগে
ফোনে কাউকে অশ্লীল, অশোভন বার্তা পাঠালে হতে পারে দুই বছরের কারাদণ্ড ও দেড় কোটি টাকা জরিমানা। আর কাউকে টেলিফোনে বিরক্ত করার সাজা হতে পারে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং তা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড। ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ায় এসব কথা বলা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, দুর্ঘটনার মূল কারণ যেটা ছিল, সেটা হলো, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির জন্য এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যে বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল, এর কারণ হিসেবে যুদ্ধবিমানের পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি চিহ্নিত হয়েছে তদন্তে।
ঘটনার তিন মাস পর আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত প্রতিবেদনের কিছু তথ্য ও সুপারিশ তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রেস সচিব বলেন, ‘দুর্ঘটনার মূল কারণ ছিল, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটি। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। এটা হচ্ছে কনক্লুশন। এই পুরো তদন্ত কমিটি ১৫০ জনের সঙ্গে কথা বলেছে। তার মধ্যে এক্সপার্ট আছেন, আই উইটনেস আছেন, ভিকটিমস আছেন। সবার সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছেন। উনারা ১৬৮টি তথ্য উদ্ঘাটন করেছেন এবং তার মধ্যে তাঁরা ৩৩টি রিকমেন্ডেশন করেছেন। প্রতিবেদনে অনেকগুলো ফাইন্ডিংসে অনেকগুলো রিকমেন্ডেশন এসেছে।’
প্রেস সচিব আরও বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে বিমানবন্দর ও আশপাশের ফায়ার স্টেশনগুলোর জন্য বিশেষ সরঞ্জাম ও ফোমের মতো উপকরণ থাকা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে। উড়োজাহাজের উড্ডয়ন ও অবতরণের পথে যে অংশ পড়ে (ফানেল), তার মধ্যে নির্মিত কাঠামোর উচ্চতার বিধিনিষেধ কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এই ওঠানামার পথ বা ফানেলের আশপাশে আন্তর্জাতিক চর্চা অনুযায়ী হাসপাতাল, স্কুল বা বেশি জনসমাগম হয় এমন স্থাপনা নির্মাণের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে ৩৬ জন নিহত হয়, এর অধিকাংশই শিক্ষার্থী। বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামও নিহত হন।
এ ঘটনা নিয়ে ৯ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনকে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিত, কারণ, দায়দায়িত্ব ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং ঘটনাসংশ্লিষ্ট অপরাপর বিষয় চিহ্নিত করতে বলা হয়েছিল।

রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যে বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল, এর কারণ হিসেবে যুদ্ধবিমানের পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি চিহ্নিত হয়েছে তদন্তে।
ঘটনার তিন মাস পর আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত প্রতিবেদনের কিছু তথ্য ও সুপারিশ তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রেস সচিব বলেন, ‘দুর্ঘটনার মূল কারণ ছিল, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটি। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। এটা হচ্ছে কনক্লুশন। এই পুরো তদন্ত কমিটি ১৫০ জনের সঙ্গে কথা বলেছে। তার মধ্যে এক্সপার্ট আছেন, আই উইটনেস আছেন, ভিকটিমস আছেন। সবার সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছেন। উনারা ১৬৮টি তথ্য উদ্ঘাটন করেছেন এবং তার মধ্যে তাঁরা ৩৩টি রিকমেন্ডেশন করেছেন। প্রতিবেদনে অনেকগুলো ফাইন্ডিংসে অনেকগুলো রিকমেন্ডেশন এসেছে।’
প্রেস সচিব আরও বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে বিমানবন্দর ও আশপাশের ফায়ার স্টেশনগুলোর জন্য বিশেষ সরঞ্জাম ও ফোমের মতো উপকরণ থাকা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে। উড়োজাহাজের উড্ডয়ন ও অবতরণের পথে যে অংশ পড়ে (ফানেল), তার মধ্যে নির্মিত কাঠামোর উচ্চতার বিধিনিষেধ কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এই ওঠানামার পথ বা ফানেলের আশপাশে আন্তর্জাতিক চর্চা অনুযায়ী হাসপাতাল, স্কুল বা বেশি জনসমাগম হয় এমন স্থাপনা নির্মাণের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে ৩৬ জন নিহত হয়, এর অধিকাংশই শিক্ষার্থী। বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামও নিহত হন।
এ ঘটনা নিয়ে ৯ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনকে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিত, কারণ, দায়দায়িত্ব ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং ঘটনাসংশ্লিষ্ট অপরাপর বিষয় চিহ্নিত করতে বলা হয়েছিল।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর থেকে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন পক্ষ থেকে নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারও বলছে, সবাইকে নিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা তারা করবে। তবে সেই নির্বাচন কবে হবে, তা জানার আগ্র
১৯ আগস্ট ২০২৪
দেশে বেজে উঠেছে নির্বাচনী সুর। রাজনৈতিক দলগুলো হঠাৎ নির্বাচনমুখী হয়ে উঠেছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি সারছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার মধ্যেও দেশজুড়ে এখন নির্বাচনী আমেজ।
১ ঘণ্টা আগে
ফোনে কাউকে অশ্লীল, অশোভন বার্তা পাঠালে হতে পারে দুই বছরের কারাদণ্ড ও দেড় কোটি টাকা জরিমানা। আর কাউকে টেলিফোনে বিরক্ত করার সাজা হতে পারে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং তা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড। ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ায় এসব কথা বলা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তাৎক্ষণিক তদন্তের কথা উল্লেখ করে বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—জনাব এরশাদ উল্লাহ এই হামলার টার্গেট ছিলেন না; বিক্ষিপ্তভাবে ছোড়া একটি গুলি তাঁর শরীরে এসে বিদ্ধ হয়। সরকার এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং গুলিতে আহত জনাব...
৩ ঘণ্টা আগে