Ajker Patrika

মানবতাবিরোধী অপরাধ: ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দিতে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত সময়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ওবায়দুল কাদের, সালমান এফ রহমান ও দীপু মনি। ছবি: সংগৃহীত
ওবায়দুল কাদের, সালমান এফ রহমান ও দীপু মনি। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ আসামির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দিতে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।

আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার এই আসামিদের বিরুদ্ধে আজ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে সময় চেয়ে আবেদন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেন।

শুনানি শুরুর আগে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে যাঁদের হাজির করা হয়, তাঁরা হলেন—গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সাবেক কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব মো. জাহাংগীর আলম, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান মোহাম্মদ সেলিম।

ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় বসা অবস্থায় তাঁদের একে অপরের সঙ্গে গল্প করতে দেখা যায়। সবাইকে উৎফুল্ল দেখাচ্ছিল। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কয়েকজন আসামি পলাতক থাকায় তাঁদের আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি।

শুনানিতে ট্রাইব্যুনালের অনুমতি নিয়ে হাসানুল হক ইনু বলেন, গত জুনে কারাগারে তাঁর কণ্ঠ পরীক্ষা করা হয়, কিন্তু আদালতের কোনো আদেশ দেখানো হয়নি। এটি অসৎ উদ্দেশ্যে করা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

ট্রাইব্যুনাল তখন তাঁকে বলেন, ‘আপনার কিছু বলার থাকলে লিখিত আবেদন করেন। আমরা দেখব।’

এ সময় চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘একটি রেকর্ড ফরেনসিক করতে গিয়ে তাঁর (হাসানুল হক ইনুর) কণ্ঠ পরীক্ষা করতে হয়েছে। এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের আদেশ ছিল।’

সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু আবারও বলেন, ‘আমাকে সেই আদেশ দেখানো হয়নি।’

এর প্রতিক্রিয়ায় চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আইনজীবী থাকার পরও আসামি আদালতে এভাবে কথা বলতে পারেন না।’

এ সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘আমরা ন্যায়বিচারের স্বার্থে যে কারও বক্তব্য শুনতে পারি।’

পরে এই ৪৫ আসামির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন জমা দিতে ১৫ অক্টোবর পরবর্তী দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত