নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীদের বেতন থেকে গত সাত বছরে ২০ কোটি ৪২ লাখ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত নাগরিক সমাবেশে এই অভিযোগ করা হয়। ১৭ দিন ধরে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেওয়া ‘তথ্য আপা’দের দাবির সঙ্গে সংহতি জানাতে এই নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে ‘অবস্থানপত্র’ পাঠ করেন লেখক ও গবেষক ড. মাহা মির্জা। এতে তিনি বলেন, তথ্য আপা প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে তথ্য সেবা কর্মকর্তারা ২৭ হাজার ১০০ টাকা এবং তথ্য সেবা সহকারী কর্মকর্তারা ১৭ হাজার ৪৫ টাকা বেতনে নিয়োগ পান। কিন্তু কোনো লিখিত কারণ দেখানো ছাড়াই ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে তথ্য সেবা কর্মকর্তারা ২৪ হাজার ৭০০ এবং তথ্য সেবা সহকারী কর্মকর্তারা ১৫ হাজার ৬৫০ টাকা হারে বেতন পেতে থাকেন। কেন এভাবে তাঁদের বেতন কাটা হয়েছিল, তার কোনো সুস্পষ্ট উত্তর মন্ত্রণালয় দিতে পারেনি।
অবস্থানপত্রে বলা হয়, গত ৭ বছরে প্রত্যেক তথ্য সেবা কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রায় ১ লাখ ৯২ হাজার এবং তথ্য সেবা সহকারী কর্মকর্তার কাছ থেকে ১ লাখ ১১ হাজার ৬০০ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ১ হাজার ৯৬৮ জন তথ্য আপার কাছ থেকে ৭ বছরে মোট ২০ কোটি ৪২ লাখ ৭৮ হাজার ২০০ টাকা কাটা হয়েছে। প্রকল্পের নির্ধারিত এই অর্থ কোথায় গেল? কেটে নেওয়া টাকা পাওয়ার জন্য ২০২২ সালে তথ্য আপারা আদালতে রিট করেন। আদালতের রায় পক্ষে গেলেও তাঁদের এই টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রকল্পে নিয়োগের শুরু থেকে বারবার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, পদ স্থায়ীকরণ কিংবা রাজস্ব খাতে নতুন পদ সৃজন করে তাঁদের স্থানান্তর করা হবে। উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবেও (ডিপিপি) স্পষ্ট করে এ কথা বলা হয়েছে। অথচ এক ধাক্কায় ১ হাজার ৯৬৮ জন তথ্য আপাকে চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে।
আন্দোলনরত ‘তথ্য আপা’দের সঙ্গে সংহতি জানাতে গতকালের এই সমাবেশে যোগ দেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য হারুন উর রশীদ ও মারজিয়া প্রভা, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য জাকিয়া শিশির, সংস্কৃতিকর্মী বীথি ঘোষ, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সংগঠক সুস্মিতা রায়, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের সভাপ্রধান সীমা দত্ত প্রমুখ। তাঁরা বলেন, দীর্ঘ ১৬ দিন ধরে তথ্য আপারা প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কর্তৃপক্ষ তাঁদের সঙ্গে এসে দেখা করেনি; বরং তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবনের দিকে গেলে পুলিশ ন্যক্কারজনকভাবে হামলা করে, যা গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে প্রত্যাশিত নয়।
সমাবেশে তথ্য আপাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন ঝালকাঠির তথ্য সেবা কর্মকর্তা সংগীতা সরকার এবং কুমিল্লার তথ্য সেবা সহকারী কর্মকর্তা শান্তা ইসলাম। সমাবেশ শেষে চাকরির বিষয়ে স্থায়ী সমাধান এবং কেটে নেওয়া বেতন ফেরত দেওয়ার দাবিতে একটি মিছিল বের করা হয়।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীদের বেতন থেকে গত সাত বছরে ২০ কোটি ৪২ লাখ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত নাগরিক সমাবেশে এই অভিযোগ করা হয়। ১৭ দিন ধরে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেওয়া ‘তথ্য আপা’দের দাবির সঙ্গে সংহতি জানাতে এই নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে ‘অবস্থানপত্র’ পাঠ করেন লেখক ও গবেষক ড. মাহা মির্জা। এতে তিনি বলেন, তথ্য আপা প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে তথ্য সেবা কর্মকর্তারা ২৭ হাজার ১০০ টাকা এবং তথ্য সেবা সহকারী কর্মকর্তারা ১৭ হাজার ৪৫ টাকা বেতনে নিয়োগ পান। কিন্তু কোনো লিখিত কারণ দেখানো ছাড়াই ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে তথ্য সেবা কর্মকর্তারা ২৪ হাজার ৭০০ এবং তথ্য সেবা সহকারী কর্মকর্তারা ১৫ হাজার ৬৫০ টাকা হারে বেতন পেতে থাকেন। কেন এভাবে তাঁদের বেতন কাটা হয়েছিল, তার কোনো সুস্পষ্ট উত্তর মন্ত্রণালয় দিতে পারেনি।
অবস্থানপত্রে বলা হয়, গত ৭ বছরে প্রত্যেক তথ্য সেবা কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রায় ১ লাখ ৯২ হাজার এবং তথ্য সেবা সহকারী কর্মকর্তার কাছ থেকে ১ লাখ ১১ হাজার ৬০০ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ১ হাজার ৯৬৮ জন তথ্য আপার কাছ থেকে ৭ বছরে মোট ২০ কোটি ৪২ লাখ ৭৮ হাজার ২০০ টাকা কাটা হয়েছে। প্রকল্পের নির্ধারিত এই অর্থ কোথায় গেল? কেটে নেওয়া টাকা পাওয়ার জন্য ২০২২ সালে তথ্য আপারা আদালতে রিট করেন। আদালতের রায় পক্ষে গেলেও তাঁদের এই টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রকল্পে নিয়োগের শুরু থেকে বারবার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, পদ স্থায়ীকরণ কিংবা রাজস্ব খাতে নতুন পদ সৃজন করে তাঁদের স্থানান্তর করা হবে। উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবেও (ডিপিপি) স্পষ্ট করে এ কথা বলা হয়েছে। অথচ এক ধাক্কায় ১ হাজার ৯৬৮ জন তথ্য আপাকে চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে।
আন্দোলনরত ‘তথ্য আপা’দের সঙ্গে সংহতি জানাতে গতকালের এই সমাবেশে যোগ দেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য হারুন উর রশীদ ও মারজিয়া প্রভা, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য জাকিয়া শিশির, সংস্কৃতিকর্মী বীথি ঘোষ, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সংগঠক সুস্মিতা রায়, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের সভাপ্রধান সীমা দত্ত প্রমুখ। তাঁরা বলেন, দীর্ঘ ১৬ দিন ধরে তথ্য আপারা প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কর্তৃপক্ষ তাঁদের সঙ্গে এসে দেখা করেনি; বরং তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবনের দিকে গেলে পুলিশ ন্যক্কারজনকভাবে হামলা করে, যা গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে প্রত্যাশিত নয়।
সমাবেশে তথ্য আপাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন ঝালকাঠির তথ্য সেবা কর্মকর্তা সংগীতা সরকার এবং কুমিল্লার তথ্য সেবা সহকারী কর্মকর্তা শান্তা ইসলাম। সমাবেশ শেষে চাকরির বিষয়ে স্থায়ী সমাধান এবং কেটে নেওয়া বেতন ফেরত দেওয়ার দাবিতে একটি মিছিল বের করা হয়।
চিকিৎসক এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স আগের মতো সাধারণ প্রার্থীদের থেকে দুই বছর বেশি (৩৪ বছর) নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে বিভিন্ন করপোরেশন ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে পঞ্চম ও ষষ্ঠ গ্রেডসহ বিশেষায়িত কিছু পদে সরাসরি নিয়োগের বয়সসীমাও আগের মতো...
৭ ঘণ্টা আগেনেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সদস্যদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তী সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আজ মঙ্গলবার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো, নূর আলম এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১০ ঘণ্টা আগেনেপালের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকার। সেখানে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক জানিয়ে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা এবং আহত ব্যক্তিদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছে।
১০ ঘণ্টা আগেনেপালে উদ্ভূত পরিস্থিতি ও নিরাপত্তাজনিত কারণে ঢাকা-কাঠমান্ডু রুটের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট আগামীকাল বুধবার বেলা ২টা পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সংস্থাটির জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে