নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনারের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রথমবারের মতো আইন প্রণয়নের পর সার্চ কমিটি গঠন করে দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সেই সার্চ কমিটির সুপারিশ থেকেই আগামী পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন করে দিলেন রাষ্ট্রপতি। এ কমিশনের প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল।
স্বাধীনতার পরে এখন পর্যন্ত ১২ জন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাম্প্রতিককালে সিইসিদের নিরপেক্ষতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। যদিও বরাবরই তাঁরা নিজেদের সফল বলেই দাবি করেছেন।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত ১২ সিইসি ও ২৭ জন নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বিচারপতি ও আমলা।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সিইসির দায়িত্ব পান বিচারপতি মো. ইদ্রিস। এরপর পাঁচজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি পরপর সিইসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত সাতজন বিচারপতি সিইসির দায়িত্ব পালন করেন। আমলাদের মধ্যে মোহাম্মদ আবু হেনা সিইসির দায়িত্ব পালন করেন। তিনিসহ মোট পাঁচজন আমলা সিইসির দায়িত্ব পালন করেন।
দেশের প্রথম সিইসি মো. ইদ্রিস সিইসি হিসেবে নিয়োগ পান ১৯৭২ সালের ৭ জুলাই। তাঁর অধীনেই ১৯৭৩ সালের সাতই মার্চ প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরবর্তীও এই কমিশন দায়িত্ব পালন করে। ১৯৭৭ সালের ৭ জুলাই পর্যন্ত তাঁরা দায়িত্বে ছিলেন।
সামরিক শাসকের আমলে ১৯৭৭ সালের ৮ জুলাই দ্বিতীয় সিইসি হিসেবে বিচারপতি একেএম নূরুল ইসলাম দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর অধীনেই ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তিনি প্রায় আট বছর সিইসি ছিলেন। ১৯৮৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব ছাড়েন।
তৃতীয় সিইসি হিসেবে ১৯৮৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব পান বিচারপতি বিচারপতি চৌধুরী এটিএম মসউদ। এই সিইসির অধীনে ১৯৮৬ সালে তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই দুই নির্বাচনেই বিজয়ী হয় সামরিক শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি। তিনি দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
১৯৯০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ সিইসি হিসেবে দায়িত্ব নেন বিচারপতি সুলতান হোসেন খান। তিনিই প্রথম সিইসি যাঁর অধীনে কোনো জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদ ক্ষমতা ছাড়ার পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পরে বছরের ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
দেশের পঞ্চম সিইসি হিসেবে বিচারপতি আবদুর রউফ ১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর দায়িত্ব নেন। তাঁর অধীনে ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে বিজয়ী হয় বিএনপি। তিনি দায়িত্বে থাকাকালেই মাগুরা ও মিরপুরের দুটি বিতর্কিত উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৮ এপ্রিল ১৯৯৫ পর্যন্ত সিইসির দায়িত্ব পালন করেন বিচারপতি আবদুর রউফ।
ওই বছরের ২৭ এপ্রিল বিচারপতি একেএম সাদেক সিইসি হিসেবে ইসিতে যোগ দিয়ে ৬ এপ্রিল ১৯৯৬ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর অধীনে ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগসহ বিরোধীদের আন্দোলনের মুখে সরকার গঠনের পরেও নির্বাচন দিতে বাধ্য হয় বিএনপি।
১৯৯৬ সালের ৩০ মার্চ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পরামর্শে সংসদ ভেঙে দেন তখনকার রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান বিশ্বাস। পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরে ১৯৯৬ সালের ৬ এপ্রিল বিদায় নেন বিচারপতি একেএম সাদিকের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।
আমলাদের মধ্যে প্রথম মোহাম্মদ আবু হেনাকে সিইসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৯৬ সালের ৯ এপ্রিল তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করেন। হেনা কমিশনের অধীনে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনের মাধ্যমে ২১ বছর পরে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। আবু হেনা কমিশন ২০০০ সালের ৮ মে পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে।
২০০০ সালের ২৩ মে দেশের অষ্টম সিইসি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন সাবেক সচিব এমএ সাঈদ। এ কমিশনের অধীনে ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় জোট। ২০০৫ সালের ২২ মে পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে সাঈদ কমিশন।
২০০৫ সালের ২৩ মে সিইসির দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিচারপতি এমএ আজিজ। তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের বিরোধিতা করে আন্দোলনের ডাক দেয় তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট। আজিজ কমিশন ২০০৭ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলও ঘোষণা করে। কিন্তু ব্যাপক আন্দোলনের মুখে সেই সময় রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয়। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়। যেটি সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার নামেই পরিচিত। ২১ জানুয়ারি বিদায় নেয় আজিজ কমিশন।
২০০৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি দেশের ১০ম সিইসি হিসেবে দায়িত্ব নেন সাবেক আমলা ড. এটিএম শামসুল হুদা। শামসুল হুদা কমিশনের অধীনেই ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। শামসুল হুদা কমিশনের মেয়াদ শেষ হয় ২০১২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি।
১১ তম সিইসি হিসেবে ২০১২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেন কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ। রকিব কমিশনের অধীনে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ১০ তম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যে নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৩ জন সংসদ সদস্য বিজয়ী হন। ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মেয়াদ শেষ হয় রকিব কমিশনের।
২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেন কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। চলতি মাসের ১৪ তারিখে তাঁদের মেয়াদ শেষ হয়। হুদা কমিশনের অধীনেই ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে দেশের সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে। নিরঙ্কুশভাবে জয় পেয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা ধরে রাখে আওয়ামী লীগ। বিএনপিসহ বিরোধী দলের অভিযোগ ছিল, ভোটে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। আগের রাতেই অধিকাংশ ভোট কেটে নেওয়ার অভিযোগ করে দলগুলো। যদিও মেয়াদের শেষাবধি পর্যন্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে হুদা কমিশন। চলতি মাসের ১৪ তারিখ তাঁদের মেয়াদ শেষ হয়। শেষ পর্যন্ত দায়িত্ব পালনে নিজেদের সফলই দাবি করেছে হুদা কমিশন।

কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনারের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রথমবারের মতো আইন প্রণয়নের পর সার্চ কমিটি গঠন করে দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সেই সার্চ কমিটির সুপারিশ থেকেই আগামী পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন করে দিলেন রাষ্ট্রপতি। এ কমিশনের প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল।
স্বাধীনতার পরে এখন পর্যন্ত ১২ জন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাম্প্রতিককালে সিইসিদের নিরপেক্ষতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। যদিও বরাবরই তাঁরা নিজেদের সফল বলেই দাবি করেছেন।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত ১২ সিইসি ও ২৭ জন নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বিচারপতি ও আমলা।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সিইসির দায়িত্ব পান বিচারপতি মো. ইদ্রিস। এরপর পাঁচজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি পরপর সিইসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত সাতজন বিচারপতি সিইসির দায়িত্ব পালন করেন। আমলাদের মধ্যে মোহাম্মদ আবু হেনা সিইসির দায়িত্ব পালন করেন। তিনিসহ মোট পাঁচজন আমলা সিইসির দায়িত্ব পালন করেন।
দেশের প্রথম সিইসি মো. ইদ্রিস সিইসি হিসেবে নিয়োগ পান ১৯৭২ সালের ৭ জুলাই। তাঁর অধীনেই ১৯৭৩ সালের সাতই মার্চ প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরবর্তীও এই কমিশন দায়িত্ব পালন করে। ১৯৭৭ সালের ৭ জুলাই পর্যন্ত তাঁরা দায়িত্বে ছিলেন।
সামরিক শাসকের আমলে ১৯৭৭ সালের ৮ জুলাই দ্বিতীয় সিইসি হিসেবে বিচারপতি একেএম নূরুল ইসলাম দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর অধীনেই ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তিনি প্রায় আট বছর সিইসি ছিলেন। ১৯৮৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব ছাড়েন।
তৃতীয় সিইসি হিসেবে ১৯৮৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব পান বিচারপতি বিচারপতি চৌধুরী এটিএম মসউদ। এই সিইসির অধীনে ১৯৮৬ সালে তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই দুই নির্বাচনেই বিজয়ী হয় সামরিক শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি। তিনি দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
১৯৯০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ সিইসি হিসেবে দায়িত্ব নেন বিচারপতি সুলতান হোসেন খান। তিনিই প্রথম সিইসি যাঁর অধীনে কোনো জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদ ক্ষমতা ছাড়ার পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পরে বছরের ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
দেশের পঞ্চম সিইসি হিসেবে বিচারপতি আবদুর রউফ ১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর দায়িত্ব নেন। তাঁর অধীনে ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে বিজয়ী হয় বিএনপি। তিনি দায়িত্বে থাকাকালেই মাগুরা ও মিরপুরের দুটি বিতর্কিত উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৮ এপ্রিল ১৯৯৫ পর্যন্ত সিইসির দায়িত্ব পালন করেন বিচারপতি আবদুর রউফ।
ওই বছরের ২৭ এপ্রিল বিচারপতি একেএম সাদেক সিইসি হিসেবে ইসিতে যোগ দিয়ে ৬ এপ্রিল ১৯৯৬ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর অধীনে ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগসহ বিরোধীদের আন্দোলনের মুখে সরকার গঠনের পরেও নির্বাচন দিতে বাধ্য হয় বিএনপি।
১৯৯৬ সালের ৩০ মার্চ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পরামর্শে সংসদ ভেঙে দেন তখনকার রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান বিশ্বাস। পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরে ১৯৯৬ সালের ৬ এপ্রিল বিদায় নেন বিচারপতি একেএম সাদিকের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।
আমলাদের মধ্যে প্রথম মোহাম্মদ আবু হেনাকে সিইসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৯৬ সালের ৯ এপ্রিল তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করেন। হেনা কমিশনের অধীনে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনের মাধ্যমে ২১ বছর পরে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। আবু হেনা কমিশন ২০০০ সালের ৮ মে পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে।
২০০০ সালের ২৩ মে দেশের অষ্টম সিইসি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন সাবেক সচিব এমএ সাঈদ। এ কমিশনের অধীনে ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় জোট। ২০০৫ সালের ২২ মে পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে সাঈদ কমিশন।
২০০৫ সালের ২৩ মে সিইসির দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিচারপতি এমএ আজিজ। তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের বিরোধিতা করে আন্দোলনের ডাক দেয় তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট। আজিজ কমিশন ২০০৭ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলও ঘোষণা করে। কিন্তু ব্যাপক আন্দোলনের মুখে সেই সময় রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয়। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়। যেটি সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার নামেই পরিচিত। ২১ জানুয়ারি বিদায় নেয় আজিজ কমিশন।
২০০৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি দেশের ১০ম সিইসি হিসেবে দায়িত্ব নেন সাবেক আমলা ড. এটিএম শামসুল হুদা। শামসুল হুদা কমিশনের অধীনেই ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। শামসুল হুদা কমিশনের মেয়াদ শেষ হয় ২০১২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি।
১১ তম সিইসি হিসেবে ২০১২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেন কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ। রকিব কমিশনের অধীনে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ১০ তম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যে নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৩ জন সংসদ সদস্য বিজয়ী হন। ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মেয়াদ শেষ হয় রকিব কমিশনের।
২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেন কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। চলতি মাসের ১৪ তারিখে তাঁদের মেয়াদ শেষ হয়। হুদা কমিশনের অধীনেই ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে দেশের সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে। নিরঙ্কুশভাবে জয় পেয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা ধরে রাখে আওয়ামী লীগ। বিএনপিসহ বিরোধী দলের অভিযোগ ছিল, ভোটে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। আগের রাতেই অধিকাংশ ভোট কেটে নেওয়ার অভিযোগ করে দলগুলো। যদিও মেয়াদের শেষাবধি পর্যন্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে হুদা কমিশন। চলতি মাসের ১৪ তারিখ তাঁদের মেয়াদ শেষ হয়। শেষ পর্যন্ত দায়িত্ব পালনে নিজেদের সফলই দাবি করেছে হুদা কমিশন।

জুলাই অভ্যুত্থানের জেরে বিপর্যস্ত পুলিশ বাহিনীকে ধীরে ধীরে গুছিয়ে এনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। তবে এ নিয়ে পর্যবেক্ষক মহল বা জনমনে স্বস্তি এখনো ফেরেনি। এমন অবস্থায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগে
মাথায় গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, বাঁ কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেনস্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে...
১০ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর...
১০ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১৩ ঘণ্টা আগেশাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

জুলাই অভ্যুত্থানের জেরে বিপর্যস্ত পুলিশ বাহিনীকে ধীরে ধীরে গুছিয়ে এনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। তবে এ নিয়ে পর্যবেক্ষক মহল বা জনমনে স্বস্তি এখনো ফেরেনি। এমন অবস্থায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সম্ভাব্য নেতিবাচক তৎপরতা, জামিনে বের হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীদের আবার সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা, রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতর মতবিরোধ, লুট হওয়া অস্ত্র এখনো উদ্ধার না হওয়া—এ সব মিলিয়ে নির্বাচন-পূর্ব সময়ে উত্তেজনা ও নিরাপত্তাহীনতা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিশেষজ্ঞ ও নির্বাচনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে ওপরের চিত্র পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) শুরু থেকেই কঠোর অবস্থান নিতে পারলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। অন্যথায় তা অবনতির দিকে যেতে পারে।
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন-সংক্রান্ত গণভোটও নেওয়া হবে। গত বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন ভোটের তফসিল ঘোষণা করার পর তরুণদের দল এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী একে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি এ সময় অভিযোগ করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সংশ্লিষ্ট বাহিনীর উদাসীনতা রয়েছে এবং অস্ত্রের ঝনঝনানি শোনা যাচ্ছে। এর ২৪ ঘণ্টা না যেতেই গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীতে দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হয়েছেন নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদী। মাথায় গুলি লাগার পর বাঁচা-মরার সন্ধিক্ষণে রয়েছেন এই জুলাই যোদ্ধা।
নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ থাকায় আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলেও দলটির নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা সক্রিয় আছে। তারা যেকোনোভাবে নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করতে পারে—এমন আশঙ্কা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট মহলে রয়েছে। ইতিমধ্যে দলটির সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এক বিদেশি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন হলে তা ‘প্রতিহত করা হবে’। এই ‘প্রতিহত করার’ জন্য দলটি তফসিল ঘোষণার পর বড় ধরনের কর্মসূচি বা সহিংস কার্যক্রমের পথেও যেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। নির্বাচন চলাকালেও বড় ধরনের নাশকতা বা সংঘর্ষের ঝুঁকি রয়েছে। তবে ইসি এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিইসি। তিনি সম্প্রতি গণমাধ্যমকে বলেন, কেউ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুধু কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ নয়, অন্যান্য দলসংশ্লিষ্ট বিষয়ও পরিস্থিতি অস্থির করতে পারে। বিএনপি ও জামায়াতের ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব, অন্যান্য দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা, নতুন জোট গঠন ও মতবিরোধও জটিলতা বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. আব্দুল আলীম মনে করছেন, বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মানদণ্ড অনুযায়ী পর্যাপ্ত নয়; তাই তফসিলের পর ইসিকে আরও কঠোর ও দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের দিনে দেশের বিভিন্ন থানা ও কারাগার থেকে বিপুল অস্ত্র লুট হয়। এসব অস্ত্রের সব এখনো উদ্ধার করা যায়নি। প্রায় ১ হাজার অস্ত্র এখনো বেহাত রয়েছে। লুট হওয়া অস্ত্র ব্যবহার করে ঘটেছে খুন-খারাবিসহ বিভিন্ন অপরাধ। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনকালীন পরিবেশের জন্য বড় ধরনের হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে বেহাত অস্ত্রকে। বিষয়টি আমলে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে এ পর্যন্ত কয়েক দফা বৈঠক করেছে ইসি।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় নির্বাচনকে লক্ষ্য করে নিরাপত্তা প্রস্তুতি চার ধাপে ভাগ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার প্রথম ধাপ শেষ হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর আজ থেকে দ্বিতীয় ধাপ শুরু হবে, যা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার পর্যন্ত চলবে। রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ সংঘাত ও প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর পরস্পরের বিরোধ বিবেচনায় নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণা, মিটিং-মিছিল থেকে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ বাহিনী সব সময় প্রস্তুত থাকবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে এ নিয়ে আগেই সতর্ক করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলে অবস্থিত মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ উমর ফারুক বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বড় চ্যালেঞ্জ। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ভোটের বাইরে থাকায় তারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করতে পারে। পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর মাঝেও মতবিরোধ রয়েছে। তাই এবারের নির্বাচন আগের তুলনায় আলাদা ও বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে। ইসিকে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা নিতে হবে।’
তবে সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা মনে করেন, আওয়ামী লীগ চেষ্টা চালালেও নির্বাচন বানচালে সফল হতে পারবে না। তাঁর ভাষায়, ‘দেশে বিপুল মানুষ ভোট দিতে চাস। তাই একটি পক্ষ চাইলেই বড় প্রভাব ফেলতে পারবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম।’
পুলিশপ্রধান, মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বলেন, ‘বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে। দেশে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে পুলিশ সর্বদা তৎপর।’

জুলাই অভ্যুত্থানের জেরে বিপর্যস্ত পুলিশ বাহিনীকে ধীরে ধীরে গুছিয়ে এনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। তবে এ নিয়ে পর্যবেক্ষক মহল বা জনমনে স্বস্তি এখনো ফেরেনি। এমন অবস্থায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সম্ভাব্য নেতিবাচক তৎপরতা, জামিনে বের হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীদের আবার সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা, রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতর মতবিরোধ, লুট হওয়া অস্ত্র এখনো উদ্ধার না হওয়া—এ সব মিলিয়ে নির্বাচন-পূর্ব সময়ে উত্তেজনা ও নিরাপত্তাহীনতা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিশেষজ্ঞ ও নির্বাচনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে ওপরের চিত্র পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) শুরু থেকেই কঠোর অবস্থান নিতে পারলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। অন্যথায় তা অবনতির দিকে যেতে পারে।
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন-সংক্রান্ত গণভোটও নেওয়া হবে। গত বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন ভোটের তফসিল ঘোষণা করার পর তরুণদের দল এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী একে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি এ সময় অভিযোগ করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সংশ্লিষ্ট বাহিনীর উদাসীনতা রয়েছে এবং অস্ত্রের ঝনঝনানি শোনা যাচ্ছে। এর ২৪ ঘণ্টা না যেতেই গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীতে দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হয়েছেন নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদী। মাথায় গুলি লাগার পর বাঁচা-মরার সন্ধিক্ষণে রয়েছেন এই জুলাই যোদ্ধা।
নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ থাকায় আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলেও দলটির নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা সক্রিয় আছে। তারা যেকোনোভাবে নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করতে পারে—এমন আশঙ্কা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট মহলে রয়েছে। ইতিমধ্যে দলটির সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এক বিদেশি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন হলে তা ‘প্রতিহত করা হবে’। এই ‘প্রতিহত করার’ জন্য দলটি তফসিল ঘোষণার পর বড় ধরনের কর্মসূচি বা সহিংস কার্যক্রমের পথেও যেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। নির্বাচন চলাকালেও বড় ধরনের নাশকতা বা সংঘর্ষের ঝুঁকি রয়েছে। তবে ইসি এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিইসি। তিনি সম্প্রতি গণমাধ্যমকে বলেন, কেউ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুধু কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ নয়, অন্যান্য দলসংশ্লিষ্ট বিষয়ও পরিস্থিতি অস্থির করতে পারে। বিএনপি ও জামায়াতের ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব, অন্যান্য দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা, নতুন জোট গঠন ও মতবিরোধও জটিলতা বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. আব্দুল আলীম মনে করছেন, বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মানদণ্ড অনুযায়ী পর্যাপ্ত নয়; তাই তফসিলের পর ইসিকে আরও কঠোর ও দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের দিনে দেশের বিভিন্ন থানা ও কারাগার থেকে বিপুল অস্ত্র লুট হয়। এসব অস্ত্রের সব এখনো উদ্ধার করা যায়নি। প্রায় ১ হাজার অস্ত্র এখনো বেহাত রয়েছে। লুট হওয়া অস্ত্র ব্যবহার করে ঘটেছে খুন-খারাবিসহ বিভিন্ন অপরাধ। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনকালীন পরিবেশের জন্য বড় ধরনের হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে বেহাত অস্ত্রকে। বিষয়টি আমলে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে এ পর্যন্ত কয়েক দফা বৈঠক করেছে ইসি।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় নির্বাচনকে লক্ষ্য করে নিরাপত্তা প্রস্তুতি চার ধাপে ভাগ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার প্রথম ধাপ শেষ হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর আজ থেকে দ্বিতীয় ধাপ শুরু হবে, যা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার পর্যন্ত চলবে। রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ সংঘাত ও প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর পরস্পরের বিরোধ বিবেচনায় নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণা, মিটিং-মিছিল থেকে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ বাহিনী সব সময় প্রস্তুত থাকবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে এ নিয়ে আগেই সতর্ক করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলে অবস্থিত মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ উমর ফারুক বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বড় চ্যালেঞ্জ। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ভোটের বাইরে থাকায় তারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করতে পারে। পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর মাঝেও মতবিরোধ রয়েছে। তাই এবারের নির্বাচন আগের তুলনায় আলাদা ও বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে। ইসিকে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা নিতে হবে।’
তবে সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা মনে করেন, আওয়ামী লীগ চেষ্টা চালালেও নির্বাচন বানচালে সফল হতে পারবে না। তাঁর ভাষায়, ‘দেশে বিপুল মানুষ ভোট দিতে চাস। তাই একটি পক্ষ চাইলেই বড় প্রভাব ফেলতে পারবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম।’
পুলিশপ্রধান, মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বলেন, ‘বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে। দেশে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে পুলিশ সর্বদা তৎপর।’

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সিইসির দায়িত্ব পান বিচারপতি মো. ইদ্রিস। এরপর পাঁচজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি পরপর সিইসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত সাতজন বিচারপতি সিইসির দায়িত্ব পালন করেন। আমলাদের মধ্যে মোহাম্মদ আবু হেনা সিইসির দায়িত্ব পালন করেন। তিনিসহ মোট পাঁচজন আমলা সিইসির দায়িত্ব পালন করেন।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২
মাথায় গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, বাঁ কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেনস্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে...
১০ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর...
১০ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মাথায় গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, বাঁ কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেনস্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা চিকিৎসাশাস্ত্রে ‘ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি’ হিসেবে বিবেচিত। তাঁর মতে, আগামী ৭২ ঘণ্টা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং এ সময়ে কোনো নতুন ইন্টারভেনশন করা হবে না।
আজ শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাদির শারীরিক অবস্থা পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সায়েদুর রহমান এসব তথ্য জানান।
সায়েদুর রহমান বলেন, হাদি এখন খুবই ক্রিটিক্যাল অবস্থায় আছেন এবং আগামী ৭২ ঘণ্টাই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। তাঁকে আপাতত কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসে রাখা হয়েছে, যদিও চিকিৎসকেরা এখনো আশার কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না।
সায়েদুর রহমান আরও জানান, গুলি বাঁ কানের ঠিক ওপর দিয়ে মাথায় ঢুকে ডান দিক দিয়ে বেরিয়ে গেছে। এই পথ বরাবর মস্তিষ্কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ব্রেনস্টেমেও ইনজুরি হয়েছে, যা জীবনরক্ষাকারী কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। তিনি বলেন, ‘এটা আমরা ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি হিসেবে বিবেচনা করছি। এখন কোনো ধরনের ইন্টারভেনশন সম্ভব নয়। রোগীকে কেবল লাইফ সাপোর্টে ধরে রাখার চেষ্টা চলছে।’
সায়েদুর রহমানের ভাষায়, রোগীকে এখন কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। তবু একটুখানি আশার জায়গা আছে, ‘রোগীর শরীরে এখনো সাইন অব লাইফ আছে। অপারেশনের সময় তাঁর নিজের শ্বাস নেওয়ার কিছু প্রচেষ্টা দেখা গিয়েছিল।’
তবে পথটা সহজ নয় বলেও জানান ডা. সায়েদুর। তাঁর মতে, হাদি অস্ত্রোপচারের আগেই একবার শকে চলে গিয়েছিলেন। পরে অ্যাম্বুলেন্সে স্থানান্তরের সময় তাঁর নাক ও গলা দিয়ে প্রবল রক্তক্ষরণ শুরু হয়। যদিও আপাতত সেটি নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে।
বিশেষ সহকারী আরও জানান, এখনই আশার কথা বলার মতো পরিস্থিতি নেই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, দুপুরে পল্টনের বিজয়নগর এলাকায় ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা।

মাথায় গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, বাঁ কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেনস্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা চিকিৎসাশাস্ত্রে ‘ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি’ হিসেবে বিবেচিত। তাঁর মতে, আগামী ৭২ ঘণ্টা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং এ সময়ে কোনো নতুন ইন্টারভেনশন করা হবে না।
আজ শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাদির শারীরিক অবস্থা পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সায়েদুর রহমান এসব তথ্য জানান।
সায়েদুর রহমান বলেন, হাদি এখন খুবই ক্রিটিক্যাল অবস্থায় আছেন এবং আগামী ৭২ ঘণ্টাই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। তাঁকে আপাতত কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসে রাখা হয়েছে, যদিও চিকিৎসকেরা এখনো আশার কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না।
সায়েদুর রহমান আরও জানান, গুলি বাঁ কানের ঠিক ওপর দিয়ে মাথায় ঢুকে ডান দিক দিয়ে বেরিয়ে গেছে। এই পথ বরাবর মস্তিষ্কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ব্রেনস্টেমেও ইনজুরি হয়েছে, যা জীবনরক্ষাকারী কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। তিনি বলেন, ‘এটা আমরা ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি হিসেবে বিবেচনা করছি। এখন কোনো ধরনের ইন্টারভেনশন সম্ভব নয়। রোগীকে কেবল লাইফ সাপোর্টে ধরে রাখার চেষ্টা চলছে।’
সায়েদুর রহমানের ভাষায়, রোগীকে এখন কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। তবু একটুখানি আশার জায়গা আছে, ‘রোগীর শরীরে এখনো সাইন অব লাইফ আছে। অপারেশনের সময় তাঁর নিজের শ্বাস নেওয়ার কিছু প্রচেষ্টা দেখা গিয়েছিল।’
তবে পথটা সহজ নয় বলেও জানান ডা. সায়েদুর। তাঁর মতে, হাদি অস্ত্রোপচারের আগেই একবার শকে চলে গিয়েছিলেন। পরে অ্যাম্বুলেন্সে স্থানান্তরের সময় তাঁর নাক ও গলা দিয়ে প্রবল রক্তক্ষরণ শুরু হয়। যদিও আপাতত সেটি নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে।
বিশেষ সহকারী আরও জানান, এখনই আশার কথা বলার মতো পরিস্থিতি নেই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, দুপুরে পল্টনের বিজয়নগর এলাকায় ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা।

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সিইসির দায়িত্ব পান বিচারপতি মো. ইদ্রিস। এরপর পাঁচজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি পরপর সিইসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত সাতজন বিচারপতি সিইসির দায়িত্ব পালন করেন। আমলাদের মধ্যে মোহাম্মদ আবু হেনা সিইসির দায়িত্ব পালন করেন। তিনিসহ মোট পাঁচজন আমলা সিইসির দায়িত্ব পালন করেন।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২
জুলাই অভ্যুত্থানের জেরে বিপর্যস্ত পুলিশ বাহিনীকে ধীরে ধীরে গুছিয়ে এনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। তবে এ নিয়ে পর্যবেক্ষক মহল বা জনমনে স্বস্তি এখনো ফেরেনি। এমন অবস্থায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর...
১০ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি জরুরি বৈঠকে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির হামলা অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদকালে অন্যতম উদ্বেগজনক ঘটনা। এই হামলা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার ওপর সুপরিকল্পিত আঘাত। এর মাধ্যমে পরাজিত শক্তি দেশের অস্তিত্বকে চ্যালেঞ্জ করার দুঃসাহস দেখিয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই ধরনের হামলার চেষ্টাকে আমরা যেকোনো মূল্যে ব্যর্থ করে দিব। জাতির ওপর এই ধরনের অপশক্তির আঘাত কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না।
এই হামলার মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে বানচাল করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো অবস্থাতেই এই ধরনের ষড়যন্ত্রকে সফল হতে দিব না। আঘাত যা-ই আসুক, যত ঝড়-তুফান আসুক, কোনো শক্তিই আগামী নির্বাচনকে বানচাল করতে পারবে না।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা দেশের আপামর জনগণকে সাথে নিয়ে আমাদের সম্মিলিত শক্তি দিয়ে জাতির জন্য একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করব।’
সভায় বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান জানান, ওসমান হাদির অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। তাঁর পরিবারের ইচ্ছায় ইতোমধ্যে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যে করেই হোক, দ্রুততম সময়ের মধ্যে হাদির ওপর হামলা এবং হামলার পরিকল্পনাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’ তিনি দেশবাসীকে ওসমান হাদির দ্রুত আরোগ্য কামনায় মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করতে আহ্বান জানান।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এরই মধ্যে হামলার স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ এবং অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে সীমান্তে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘হামলাকারীরা যাতে কোনোভাবেই দেশ ছাড়তে না পারে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত থাকার কারণে যাঁরা সম্ভাব্য টার্গেটে পরিণত হয়ে থাকতে পারেন, তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।’
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, নির্বাচনকালীন যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে একটি বিশেষ হটলাইন নম্বর চালু করা হবে।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সম্ভাব্য যেসব স্থানে অপরাধীরা লুকিয়ে থাকতে পারে, সেখানে অভিযান জোরদারের সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে। প্রধান উপদেষ্টা উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে শিগগির প্রধান প্রধান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
বৈঠকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী মো. সায়েদুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এবং পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি জরুরি বৈঠকে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির হামলা অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদকালে অন্যতম উদ্বেগজনক ঘটনা। এই হামলা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার ওপর সুপরিকল্পিত আঘাত। এর মাধ্যমে পরাজিত শক্তি দেশের অস্তিত্বকে চ্যালেঞ্জ করার দুঃসাহস দেখিয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই ধরনের হামলার চেষ্টাকে আমরা যেকোনো মূল্যে ব্যর্থ করে দিব। জাতির ওপর এই ধরনের অপশক্তির আঘাত কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না।
এই হামলার মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে বানচাল করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো অবস্থাতেই এই ধরনের ষড়যন্ত্রকে সফল হতে দিব না। আঘাত যা-ই আসুক, যত ঝড়-তুফান আসুক, কোনো শক্তিই আগামী নির্বাচনকে বানচাল করতে পারবে না।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা দেশের আপামর জনগণকে সাথে নিয়ে আমাদের সম্মিলিত শক্তি দিয়ে জাতির জন্য একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করব।’
সভায় বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান জানান, ওসমান হাদির অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। তাঁর পরিবারের ইচ্ছায় ইতোমধ্যে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যে করেই হোক, দ্রুততম সময়ের মধ্যে হাদির ওপর হামলা এবং হামলার পরিকল্পনাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’ তিনি দেশবাসীকে ওসমান হাদির দ্রুত আরোগ্য কামনায় মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করতে আহ্বান জানান।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এরই মধ্যে হামলার স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ এবং অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে সীমান্তে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘হামলাকারীরা যাতে কোনোভাবেই দেশ ছাড়তে না পারে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত থাকার কারণে যাঁরা সম্ভাব্য টার্গেটে পরিণত হয়ে থাকতে পারেন, তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।’
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, নির্বাচনকালীন যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে একটি বিশেষ হটলাইন নম্বর চালু করা হবে।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সম্ভাব্য যেসব স্থানে অপরাধীরা লুকিয়ে থাকতে পারে, সেখানে অভিযান জোরদারের সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে। প্রধান উপদেষ্টা উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে শিগগির প্রধান প্রধান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
বৈঠকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী মো. সায়েদুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এবং পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সিইসির দায়িত্ব পান বিচারপতি মো. ইদ্রিস। এরপর পাঁচজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি পরপর সিইসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত সাতজন বিচারপতি সিইসির দায়িত্ব পালন করেন। আমলাদের মধ্যে মোহাম্মদ আবু হেনা সিইসির দায়িত্ব পালন করেন। তিনিসহ মোট পাঁচজন আমলা সিইসির দায়িত্ব পালন করেন।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২
জুলাই অভ্যুত্থানের জেরে বিপর্যস্ত পুলিশ বাহিনীকে ধীরে ধীরে গুছিয়ে এনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। তবে এ নিয়ে পর্যবেক্ষক মহল বা জনমনে স্বস্তি এখনো ফেরেনি। এমন অবস্থায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগে
মাথায় গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, বাঁ কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেনস্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে...
১০ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১৩ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আজ রাত ৯টার দিকে এই টেলিফোন কলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় উপদেষ্টা পরিষদ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও ব্যথিত।’
সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার নিশ্চয়তা দিয়ে ওসমান হাদির ভাইকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি কয়েকজন উপদেষ্টাসহ পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠক করেছি। হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুততম সময়ে গ্রেপ্তার করতে বৈঠক থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, হাদির চিকিৎসার সকল ব্যয় সরকার বহন করবে। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় দেশে-বিদেশে যেখানে প্রয়োজন হয়, সেখানেই সর্বোত্তম চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘হাদি আমাদের সবার অতি আপন ও স্নেহের মানুষ। আমরা তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। আমরা তার জন্য দোয়া করছি, আশা করি তিনি দ্রুতই আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আজ রাত ৯টার দিকে এই টেলিফোন কলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় উপদেষ্টা পরিষদ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও ব্যথিত।’
সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার নিশ্চয়তা দিয়ে ওসমান হাদির ভাইকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি কয়েকজন উপদেষ্টাসহ পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠক করেছি। হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুততম সময়ে গ্রেপ্তার করতে বৈঠক থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, হাদির চিকিৎসার সকল ব্যয় সরকার বহন করবে। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় দেশে-বিদেশে যেখানে প্রয়োজন হয়, সেখানেই সর্বোত্তম চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘হাদি আমাদের সবার অতি আপন ও স্নেহের মানুষ। আমরা তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। আমরা তার জন্য দোয়া করছি, আশা করি তিনি দ্রুতই আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।’

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সিইসির দায়িত্ব পান বিচারপতি মো. ইদ্রিস। এরপর পাঁচজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি পরপর সিইসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত সাতজন বিচারপতি সিইসির দায়িত্ব পালন করেন। আমলাদের মধ্যে মোহাম্মদ আবু হেনা সিইসির দায়িত্ব পালন করেন। তিনিসহ মোট পাঁচজন আমলা সিইসির দায়িত্ব পালন করেন।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২
জুলাই অভ্যুত্থানের জেরে বিপর্যস্ত পুলিশ বাহিনীকে ধীরে ধীরে গুছিয়ে এনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। তবে এ নিয়ে পর্যবেক্ষক মহল বা জনমনে স্বস্তি এখনো ফেরেনি। এমন অবস্থায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগে
মাথায় গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, বাঁ কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেনস্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে...
১০ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর...
১০ ঘণ্টা আগে