আয়নাল হোসেন, ঢাকা

বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পেতে দুই মাস আগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান ঢাকার দোহার উপজেলার পুষ্পখালি গ্রামের দিনমজুর মোশারফ হোসেনের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী কণিকা আক্তার । চিকিৎসকেরা তাঁকে কিছু ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট দেন এবং অন্য ওষুধগুলো বাইরে থেকে কিনতে বলেন। শুধু কণিকা আক্তারই নন, তাঁর মতো অসংখ্য দরিদ্র রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান। তাঁরা সেখানে পথ্য পেলেও পান না প্রয়োজনীয় ওষুধ। হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা ওষুধ বলতেই কিছু ভিটামিন, আয়রন, প্যারাসিটামলসহ হাতে গোনা ওষুধের সঙ্গে পরিচিত রোগীরা। বাকি ওষুধ চড়া দামে বাইরে থেকেই কিনতে হয় তাঁদের। অথচ উপজেলা পর্যায়ে সরকারের স্বাস্থ্যব্যয়ের ৭০ শতাংশই খরচ হয় ওষুধ কেনার পেছনে।
স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়হার পুনর্নির্ধারণ করে সম্প্রতি একটি পরিপত্র জারি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওই পরিপত্রে দেশে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে ওষুধপথ্যের ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৫০ শতাংশ। এ ছাড়া জেলা হাসপাতালে এ ব্যয় ধরা হয় ৬৫ শতাংশ এবং উপজেলা হাসপাতালে ৭০ শতাংশ।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. ফরিদ আহমেদ বলেন, দেশের উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে ভারী যন্ত্রপাতি কেনা হয় না। এ জন্য সেখানে ওষুধে ব্যয় বেশি। আর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে ভারী যন্ত্রপাতি ও এমএসআর খাতে বেশি কেনা হয়। এ কারণে ওষুধে কম ব্যয় ধরা হয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানে।
দেশের সরকারি হাসপাতালে ওষুধপথ্যে বিপুল পরিমাণ ব্যয় দেখানো হলেও তা থেকে জনগণ কতটুকু পাচ্ছে, সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। তাঁরা বলছেন, রোগীরা সঠিক ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সরকারি হাসপাতাল থেকে পেয়ে থাকলে ব্যক্তি চিকিৎসাব্যয় বাড়ত না। ওষুধপথ্যে বেশি ব্যয় হওয়ায় মানুষের পকেট থেকে খরচ বেড়েই চলেছে। ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টসের তথ্য অনুযায়ী, ২০১২ সালে মোট স্বাস্থ্যব্যয়ের ৬৩ শতাংশই যেত ব্যক্তির পকেট থেকে। আর বর্তমানে সেটি বেড়ে ৭৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বাস্থ্যব্যয়ের অধিকাংশ ওষুধপথ্যে ধরা হলেও জনগণ কতটুকু পাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে; বিশেষ করে যেসব মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কম, তারা কতটুকু সুবিধা পাচ্ছে, তা বিবেচনায় নেওয়ার সময় এসেছে।
সারা বিশ্বে স্বাস্থ্যব্যয়ের মধ্যে ওষুধে ব্যয় ধরা হয় ৩৫-৪০ শতাংশ। বাংলাদেশে বেশি হওয়ার কারণ হয়তো হাসপাতালগুলো অপ্রয়োজনীয় ওষুধ কিনছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের অধ্যাপক আব্দুল হামিদ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, প্রতি দুই বছর পর ওষুধ রিভিউ করা প্রয়োজন। তাহলে কোনটি দরকার আর কোনটি দরকার না, সেটি চিহ্নিত করা যাবে। তাঁর ভাষ্য, ওষুধ কোম্পানিগুলোর আগ্রাসী বাণিজ্যের কারণেও ওষুধে ব্যয় বেশি। এ জন্য চিকিৎসকেরাও ব্যবস্থাপত্রে অপ্রয়োজনীয় ওষুধ লিখছেন। এতে ব্যক্তির স্বাস্থ্যব্যয় বাড়ছে।
স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে ওষুধে ব্যয় বেশি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. মো. এনামুল হক বলেন, হাসপাতালের বাজেট থেকে যে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো একটি প্রস্তাব। ২০১৭ সালে পাঠানো ওই প্রস্তাবটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। আর বর্তমানে দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে অক্সিজেন বেশি প্রয়োজন হওয়ায় সেখানে ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। তবে তা কোভিড-১৯ যত দিন চলমান থাকবে, তত দিন সে বাজেট বহাল থাকবে।

বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পেতে দুই মাস আগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান ঢাকার দোহার উপজেলার পুষ্পখালি গ্রামের দিনমজুর মোশারফ হোসেনের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী কণিকা আক্তার । চিকিৎসকেরা তাঁকে কিছু ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট দেন এবং অন্য ওষুধগুলো বাইরে থেকে কিনতে বলেন। শুধু কণিকা আক্তারই নন, তাঁর মতো অসংখ্য দরিদ্র রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান। তাঁরা সেখানে পথ্য পেলেও পান না প্রয়োজনীয় ওষুধ। হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা ওষুধ বলতেই কিছু ভিটামিন, আয়রন, প্যারাসিটামলসহ হাতে গোনা ওষুধের সঙ্গে পরিচিত রোগীরা। বাকি ওষুধ চড়া দামে বাইরে থেকেই কিনতে হয় তাঁদের। অথচ উপজেলা পর্যায়ে সরকারের স্বাস্থ্যব্যয়ের ৭০ শতাংশই খরচ হয় ওষুধ কেনার পেছনে।
স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়হার পুনর্নির্ধারণ করে সম্প্রতি একটি পরিপত্র জারি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওই পরিপত্রে দেশে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে ওষুধপথ্যের ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৫০ শতাংশ। এ ছাড়া জেলা হাসপাতালে এ ব্যয় ধরা হয় ৬৫ শতাংশ এবং উপজেলা হাসপাতালে ৭০ শতাংশ।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. ফরিদ আহমেদ বলেন, দেশের উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে ভারী যন্ত্রপাতি কেনা হয় না। এ জন্য সেখানে ওষুধে ব্যয় বেশি। আর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে ভারী যন্ত্রপাতি ও এমএসআর খাতে বেশি কেনা হয়। এ কারণে ওষুধে কম ব্যয় ধরা হয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানে।
দেশের সরকারি হাসপাতালে ওষুধপথ্যে বিপুল পরিমাণ ব্যয় দেখানো হলেও তা থেকে জনগণ কতটুকু পাচ্ছে, সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। তাঁরা বলছেন, রোগীরা সঠিক ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সরকারি হাসপাতাল থেকে পেয়ে থাকলে ব্যক্তি চিকিৎসাব্যয় বাড়ত না। ওষুধপথ্যে বেশি ব্যয় হওয়ায় মানুষের পকেট থেকে খরচ বেড়েই চলেছে। ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টসের তথ্য অনুযায়ী, ২০১২ সালে মোট স্বাস্থ্যব্যয়ের ৬৩ শতাংশই যেত ব্যক্তির পকেট থেকে। আর বর্তমানে সেটি বেড়ে ৭৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বাস্থ্যব্যয়ের অধিকাংশ ওষুধপথ্যে ধরা হলেও জনগণ কতটুকু পাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে; বিশেষ করে যেসব মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কম, তারা কতটুকু সুবিধা পাচ্ছে, তা বিবেচনায় নেওয়ার সময় এসেছে।
সারা বিশ্বে স্বাস্থ্যব্যয়ের মধ্যে ওষুধে ব্যয় ধরা হয় ৩৫-৪০ শতাংশ। বাংলাদেশে বেশি হওয়ার কারণ হয়তো হাসপাতালগুলো অপ্রয়োজনীয় ওষুধ কিনছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের অধ্যাপক আব্দুল হামিদ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, প্রতি দুই বছর পর ওষুধ রিভিউ করা প্রয়োজন। তাহলে কোনটি দরকার আর কোনটি দরকার না, সেটি চিহ্নিত করা যাবে। তাঁর ভাষ্য, ওষুধ কোম্পানিগুলোর আগ্রাসী বাণিজ্যের কারণেও ওষুধে ব্যয় বেশি। এ জন্য চিকিৎসকেরাও ব্যবস্থাপত্রে অপ্রয়োজনীয় ওষুধ লিখছেন। এতে ব্যক্তির স্বাস্থ্যব্যয় বাড়ছে।
স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে ওষুধে ব্যয় বেশি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. মো. এনামুল হক বলেন, হাসপাতালের বাজেট থেকে যে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো একটি প্রস্তাব। ২০১৭ সালে পাঠানো ওই প্রস্তাবটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। আর বর্তমানে দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে অক্সিজেন বেশি প্রয়োজন হওয়ায় সেখানে ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। তবে তা কোভিড-১৯ যত দিন চলমান থাকবে, তত দিন সে বাজেট বহাল থাকবে।
আয়নাল হোসেন, ঢাকা

বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পেতে দুই মাস আগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান ঢাকার দোহার উপজেলার পুষ্পখালি গ্রামের দিনমজুর মোশারফ হোসেনের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী কণিকা আক্তার । চিকিৎসকেরা তাঁকে কিছু ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট দেন এবং অন্য ওষুধগুলো বাইরে থেকে কিনতে বলেন। শুধু কণিকা আক্তারই নন, তাঁর মতো অসংখ্য দরিদ্র রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান। তাঁরা সেখানে পথ্য পেলেও পান না প্রয়োজনীয় ওষুধ। হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা ওষুধ বলতেই কিছু ভিটামিন, আয়রন, প্যারাসিটামলসহ হাতে গোনা ওষুধের সঙ্গে পরিচিত রোগীরা। বাকি ওষুধ চড়া দামে বাইরে থেকেই কিনতে হয় তাঁদের। অথচ উপজেলা পর্যায়ে সরকারের স্বাস্থ্যব্যয়ের ৭০ শতাংশই খরচ হয় ওষুধ কেনার পেছনে।
স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়হার পুনর্নির্ধারণ করে সম্প্রতি একটি পরিপত্র জারি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওই পরিপত্রে দেশে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে ওষুধপথ্যের ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৫০ শতাংশ। এ ছাড়া জেলা হাসপাতালে এ ব্যয় ধরা হয় ৬৫ শতাংশ এবং উপজেলা হাসপাতালে ৭০ শতাংশ।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. ফরিদ আহমেদ বলেন, দেশের উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে ভারী যন্ত্রপাতি কেনা হয় না। এ জন্য সেখানে ওষুধে ব্যয় বেশি। আর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে ভারী যন্ত্রপাতি ও এমএসআর খাতে বেশি কেনা হয়। এ কারণে ওষুধে কম ব্যয় ধরা হয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানে।
দেশের সরকারি হাসপাতালে ওষুধপথ্যে বিপুল পরিমাণ ব্যয় দেখানো হলেও তা থেকে জনগণ কতটুকু পাচ্ছে, সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। তাঁরা বলছেন, রোগীরা সঠিক ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সরকারি হাসপাতাল থেকে পেয়ে থাকলে ব্যক্তি চিকিৎসাব্যয় বাড়ত না। ওষুধপথ্যে বেশি ব্যয় হওয়ায় মানুষের পকেট থেকে খরচ বেড়েই চলেছে। ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টসের তথ্য অনুযায়ী, ২০১২ সালে মোট স্বাস্থ্যব্যয়ের ৬৩ শতাংশই যেত ব্যক্তির পকেট থেকে। আর বর্তমানে সেটি বেড়ে ৭৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বাস্থ্যব্যয়ের অধিকাংশ ওষুধপথ্যে ধরা হলেও জনগণ কতটুকু পাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে; বিশেষ করে যেসব মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কম, তারা কতটুকু সুবিধা পাচ্ছে, তা বিবেচনায় নেওয়ার সময় এসেছে।
সারা বিশ্বে স্বাস্থ্যব্যয়ের মধ্যে ওষুধে ব্যয় ধরা হয় ৩৫-৪০ শতাংশ। বাংলাদেশে বেশি হওয়ার কারণ হয়তো হাসপাতালগুলো অপ্রয়োজনীয় ওষুধ কিনছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের অধ্যাপক আব্দুল হামিদ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, প্রতি দুই বছর পর ওষুধ রিভিউ করা প্রয়োজন। তাহলে কোনটি দরকার আর কোনটি দরকার না, সেটি চিহ্নিত করা যাবে। তাঁর ভাষ্য, ওষুধ কোম্পানিগুলোর আগ্রাসী বাণিজ্যের কারণেও ওষুধে ব্যয় বেশি। এ জন্য চিকিৎসকেরাও ব্যবস্থাপত্রে অপ্রয়োজনীয় ওষুধ লিখছেন। এতে ব্যক্তির স্বাস্থ্যব্যয় বাড়ছে।
স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে ওষুধে ব্যয় বেশি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. মো. এনামুল হক বলেন, হাসপাতালের বাজেট থেকে যে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো একটি প্রস্তাব। ২০১৭ সালে পাঠানো ওই প্রস্তাবটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। আর বর্তমানে দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে অক্সিজেন বেশি প্রয়োজন হওয়ায় সেখানে ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। তবে তা কোভিড-১৯ যত দিন চলমান থাকবে, তত দিন সে বাজেট বহাল থাকবে।

বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পেতে দুই মাস আগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান ঢাকার দোহার উপজেলার পুষ্পখালি গ্রামের দিনমজুর মোশারফ হোসেনের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী কণিকা আক্তার । চিকিৎসকেরা তাঁকে কিছু ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট দেন এবং অন্য ওষুধগুলো বাইরে থেকে কিনতে বলেন। শুধু কণিকা আক্তারই নন, তাঁর মতো অসংখ্য দরিদ্র রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান। তাঁরা সেখানে পথ্য পেলেও পান না প্রয়োজনীয় ওষুধ। হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা ওষুধ বলতেই কিছু ভিটামিন, আয়রন, প্যারাসিটামলসহ হাতে গোনা ওষুধের সঙ্গে পরিচিত রোগীরা। বাকি ওষুধ চড়া দামে বাইরে থেকেই কিনতে হয় তাঁদের। অথচ উপজেলা পর্যায়ে সরকারের স্বাস্থ্যব্যয়ের ৭০ শতাংশই খরচ হয় ওষুধ কেনার পেছনে।
স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়হার পুনর্নির্ধারণ করে সম্প্রতি একটি পরিপত্র জারি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওই পরিপত্রে দেশে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে ওষুধপথ্যের ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৫০ শতাংশ। এ ছাড়া জেলা হাসপাতালে এ ব্যয় ধরা হয় ৬৫ শতাংশ এবং উপজেলা হাসপাতালে ৭০ শতাংশ।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. ফরিদ আহমেদ বলেন, দেশের উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে ভারী যন্ত্রপাতি কেনা হয় না। এ জন্য সেখানে ওষুধে ব্যয় বেশি। আর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে ভারী যন্ত্রপাতি ও এমএসআর খাতে বেশি কেনা হয়। এ কারণে ওষুধে কম ব্যয় ধরা হয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানে।
দেশের সরকারি হাসপাতালে ওষুধপথ্যে বিপুল পরিমাণ ব্যয় দেখানো হলেও তা থেকে জনগণ কতটুকু পাচ্ছে, সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। তাঁরা বলছেন, রোগীরা সঠিক ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সরকারি হাসপাতাল থেকে পেয়ে থাকলে ব্যক্তি চিকিৎসাব্যয় বাড়ত না। ওষুধপথ্যে বেশি ব্যয় হওয়ায় মানুষের পকেট থেকে খরচ বেড়েই চলেছে। ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টসের তথ্য অনুযায়ী, ২০১২ সালে মোট স্বাস্থ্যব্যয়ের ৬৩ শতাংশই যেত ব্যক্তির পকেট থেকে। আর বর্তমানে সেটি বেড়ে ৭৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বাস্থ্যব্যয়ের অধিকাংশ ওষুধপথ্যে ধরা হলেও জনগণ কতটুকু পাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে; বিশেষ করে যেসব মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কম, তারা কতটুকু সুবিধা পাচ্ছে, তা বিবেচনায় নেওয়ার সময় এসেছে।
সারা বিশ্বে স্বাস্থ্যব্যয়ের মধ্যে ওষুধে ব্যয় ধরা হয় ৩৫-৪০ শতাংশ। বাংলাদেশে বেশি হওয়ার কারণ হয়তো হাসপাতালগুলো অপ্রয়োজনীয় ওষুধ কিনছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের অধ্যাপক আব্দুল হামিদ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, প্রতি দুই বছর পর ওষুধ রিভিউ করা প্রয়োজন। তাহলে কোনটি দরকার আর কোনটি দরকার না, সেটি চিহ্নিত করা যাবে। তাঁর ভাষ্য, ওষুধ কোম্পানিগুলোর আগ্রাসী বাণিজ্যের কারণেও ওষুধে ব্যয় বেশি। এ জন্য চিকিৎসকেরাও ব্যবস্থাপত্রে অপ্রয়োজনীয় ওষুধ লিখছেন। এতে ব্যক্তির স্বাস্থ্যব্যয় বাড়ছে।
স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে ওষুধে ব্যয় বেশি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. মো. এনামুল হক বলেন, হাসপাতালের বাজেট থেকে যে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো একটি প্রস্তাব। ২০১৭ সালে পাঠানো ওই প্রস্তাবটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। আর বর্তমানে দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে অক্সিজেন বেশি প্রয়োজন হওয়ায় সেখানে ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। তবে তা কোভিড-১৯ যত দিন চলমান থাকবে, তত দিন সে বাজেট বহাল থাকবে।

সোমবার সকালে উত্তরা মেট্রোরেল ডিপিতে মেট্রোর সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানানোর অনুরোধ করেছে সরকার। এ সময়ের মধ্যে দলগুলোর পক্ষ থেকে দিকনির্দেশনা পেলে সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
২ ঘণ্টা আগে
ড. কামাল সিদ্দিকী ২০০৬ সাল পর্যন্ত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া জাতিসংঘের শিশু অধিকার কমিটির নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ কর্তৃক মনোনীত হন এবং ২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগে
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং পরিকল্পনা বিভাগে নতুন সচিব নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে তিনজন অতিরিক্ত সচিবকে সচিব পদে পদোন্নতি এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত এক সচিবকে পদায়ন করে রোববার রাতে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অনেকগুলো ত্রুটি রেখেই তাড়াহুড়া করে মেট্রোরেল চালু করা হয়েছিল। মেট্রোরেলের কোনো ‘সেফটি অডিট’ (নিরাপত্তা নিরীক্ষা) হয়নি। তাই ইউরোপীয় কোনো প্রতিষ্ঠান দিয়ে সেফটি অডিট করাবে সরকার।
আজ সোমবার সকালে উত্তরা মেট্রোরেল ডিপিতে মেট্রোর সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেল প্রকল্পের নির্মাণকাজে কিছুটা তাড়াহুড়া হয়েছে। আর যেখানে দুর্ঘটনা (ফার্মগেটে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু) ঘটেছিল সেই অংশে অনেক ত্রুটি আছে।’
দ্রুতই সেফটি অডিট করানো হবে জানিয়ে ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, ‘আমাদের কাছে ফ্রান্সের দুটি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। সেফটি অডিট করার জন্য আমরা খুব শিগগিরই টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যাব।’
মেট্রোর বেয়ারিং প্যাড সম্পর্কে ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, ‘মেট্রোর বিয়ারিং প্যাড হঠাৎ করে পড়ে যায়নি। এটা হঠাৎ করে পড়ে যাওয়ার জিনিস না। যেহেতু এটা নিয়ে তদন্ত চলছে ফলে এ বিষয়ে আমি জাজমেন্টাল হতে চাই না। তবে যেটা হতে পারে সেটা বলতে পারি— ডিজাইন ফল্ট হতে পারে। যে জিনিসের ওপর বসানোর কথা বলা হয়েছিল, যা যা দেওয়ার কথা ছিল সেটা বসানো হয়নি। যে ডিজাইনে হওয়ার কথা ছিল সেটা হয়তো ঠিকাদার করেনি। যে পরামর্শককে বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তারা হয়তো ঠিক করে জিনিসটা বুঝে নেয়নি। এই চারটা কারণে হতে পারে অথবা এর মধ্যে কোনো একটি কারণেও হতে পারে।’
ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, ‘দোষ কিন্তু বিয়ারিংয়ের না। বিয়ারিং যে লাগিয়েছে, বাজেভাবে লাগানো হয়েছে কিনা, যার আসলে বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব ছিল সে বুঝে নিয়েছে কিনা—সেগুলো এখন আমাদের দেখতে হবে। আমরা বিদেশি পরামর্শক রেখেছি, বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব তাদের এবং পরামর্শকদের আমাদের বুঝিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব। আর ডিএমটিসিএল পরামর্শকের কাছ থেকে বুঝে নেবে। তখন এই কাজগুলো কিছুটা তাড়াহুড়া হয়েছে। কেন হয়েছে সেটার উত্তর তো আমি দিতে পারব না। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছিল সেই অংশে অনেক ডিফেক্ট (ত্রুটি) আছে। ফলে সেটা এখনো আমরা বুঝে নিইনি।’
বিয়ারিং প্যাডের দুর্ঘটনার বিষয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘যেখানে বিয়ারিং প্যাড পড়ে গিয়েছিল ওই অংশের ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ড আছে ২০২৫ সালের ২৯ জুন পর্যন্ত। কিন্তু আমরা এই ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ড একসেপ্ট করিনি এখনো। কারণ এখনো অনেক মেজর ডিফেক্ট রয়ে গেছে। সেগুলো ঠিক না করা পর্যন্ত ডিফেক্ট লায়াবিলিটির নোটিফিকেশন পিরিয়ড একসেপ্ট করব না। এটা এখনো ডিফেক্ট লায়াবিলিটি নোটিফিকেশন পিরিয়ডে আছে। যত সমস্যা আছে এগুলো ঠিকাদারকে মেরামত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর আমরা আবার সব পিলার পরিদর্শন করছি। আগেও যেসব স্থানে ত্রুটি শনাক্ত করে নোটিফিকেশন দেওয়া হয়েছিল, সেগুলোও পুনরায় যাচাই করা হচ্ছে। আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলো—যেখানে ত্রুটি বা সমস্যা পাওয়া যাবে, সেখানে বিয়ারিং প্যাড অবশ্যই পরিবর্তন করা হবে।’
এমআরটি লাইন-৬ সম্পর্কে ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, ‘প্রকল্পটি চালুর আগে ন্যূনতম ৬ থেকে ৯ মাসের ট্রায়াল রান ও বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আমরা সে সময়টি দিতে পারিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিন বছরে মেট্রো চালু হবে বা পাঁচ বছরে মেট্রো সম্পূর্ণ হবে—এ ধরনের ধারণা আসলে ভুল। কোনো মেট্রোর প্রথম সিভিল কন্ট্রাক্ট থেকে রাজস্ব অপারেশন শুরু করতে সাধারণত ছয় থেকে সাত বছর লাগে।’
মেট্রো প্রকল্প ব্যর্থ হয়নি—সরকার এই প্রকল্প সম্পন্ন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ জানিয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো, দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন এই প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ করতে সক্ষম হয়। বিপুল অর্থ ব্যয়ে লাইন-১-এর কাজ করা হয়েছে, আর এর মান সবাই নিশ্চয়ই উপলব্ধি করেছেন। সরকারের উদ্দেশ্য হলো, একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরি করা, যাতে একাধিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে পারে এবং কম খরচে উন্নতমানের মেট্রো নির্মাণ সম্ভব হয়। মেট্রো আমাদের করতেই হবে—তবে তা হবে স্মার্ট ফাইন্যান্সিংয়ের মাধ্যমে।’

অনেকগুলো ত্রুটি রেখেই তাড়াহুড়া করে মেট্রোরেল চালু করা হয়েছিল। মেট্রোরেলের কোনো ‘সেফটি অডিট’ (নিরাপত্তা নিরীক্ষা) হয়নি। তাই ইউরোপীয় কোনো প্রতিষ্ঠান দিয়ে সেফটি অডিট করাবে সরকার।
আজ সোমবার সকালে উত্তরা মেট্রোরেল ডিপিতে মেট্রোর সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেল প্রকল্পের নির্মাণকাজে কিছুটা তাড়াহুড়া হয়েছে। আর যেখানে দুর্ঘটনা (ফার্মগেটে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু) ঘটেছিল সেই অংশে অনেক ত্রুটি আছে।’
দ্রুতই সেফটি অডিট করানো হবে জানিয়ে ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, ‘আমাদের কাছে ফ্রান্সের দুটি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। সেফটি অডিট করার জন্য আমরা খুব শিগগিরই টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যাব।’
মেট্রোর বেয়ারিং প্যাড সম্পর্কে ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, ‘মেট্রোর বিয়ারিং প্যাড হঠাৎ করে পড়ে যায়নি। এটা হঠাৎ করে পড়ে যাওয়ার জিনিস না। যেহেতু এটা নিয়ে তদন্ত চলছে ফলে এ বিষয়ে আমি জাজমেন্টাল হতে চাই না। তবে যেটা হতে পারে সেটা বলতে পারি— ডিজাইন ফল্ট হতে পারে। যে জিনিসের ওপর বসানোর কথা বলা হয়েছিল, যা যা দেওয়ার কথা ছিল সেটা বসানো হয়নি। যে ডিজাইনে হওয়ার কথা ছিল সেটা হয়তো ঠিকাদার করেনি। যে পরামর্শককে বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তারা হয়তো ঠিক করে জিনিসটা বুঝে নেয়নি। এই চারটা কারণে হতে পারে অথবা এর মধ্যে কোনো একটি কারণেও হতে পারে।’
ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, ‘দোষ কিন্তু বিয়ারিংয়ের না। বিয়ারিং যে লাগিয়েছে, বাজেভাবে লাগানো হয়েছে কিনা, যার আসলে বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব ছিল সে বুঝে নিয়েছে কিনা—সেগুলো এখন আমাদের দেখতে হবে। আমরা বিদেশি পরামর্শক রেখেছি, বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব তাদের এবং পরামর্শকদের আমাদের বুঝিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব। আর ডিএমটিসিএল পরামর্শকের কাছ থেকে বুঝে নেবে। তখন এই কাজগুলো কিছুটা তাড়াহুড়া হয়েছে। কেন হয়েছে সেটার উত্তর তো আমি দিতে পারব না। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছিল সেই অংশে অনেক ডিফেক্ট (ত্রুটি) আছে। ফলে সেটা এখনো আমরা বুঝে নিইনি।’
বিয়ারিং প্যাডের দুর্ঘটনার বিষয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘যেখানে বিয়ারিং প্যাড পড়ে গিয়েছিল ওই অংশের ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ড আছে ২০২৫ সালের ২৯ জুন পর্যন্ত। কিন্তু আমরা এই ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ড একসেপ্ট করিনি এখনো। কারণ এখনো অনেক মেজর ডিফেক্ট রয়ে গেছে। সেগুলো ঠিক না করা পর্যন্ত ডিফেক্ট লায়াবিলিটির নোটিফিকেশন পিরিয়ড একসেপ্ট করব না। এটা এখনো ডিফেক্ট লায়াবিলিটি নোটিফিকেশন পিরিয়ডে আছে। যত সমস্যা আছে এগুলো ঠিকাদারকে মেরামত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর আমরা আবার সব পিলার পরিদর্শন করছি। আগেও যেসব স্থানে ত্রুটি শনাক্ত করে নোটিফিকেশন দেওয়া হয়েছিল, সেগুলোও পুনরায় যাচাই করা হচ্ছে। আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলো—যেখানে ত্রুটি বা সমস্যা পাওয়া যাবে, সেখানে বিয়ারিং প্যাড অবশ্যই পরিবর্তন করা হবে।’
এমআরটি লাইন-৬ সম্পর্কে ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, ‘প্রকল্পটি চালুর আগে ন্যূনতম ৬ থেকে ৯ মাসের ট্রায়াল রান ও বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আমরা সে সময়টি দিতে পারিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিন বছরে মেট্রো চালু হবে বা পাঁচ বছরে মেট্রো সম্পূর্ণ হবে—এ ধরনের ধারণা আসলে ভুল। কোনো মেট্রোর প্রথম সিভিল কন্ট্রাক্ট থেকে রাজস্ব অপারেশন শুরু করতে সাধারণত ছয় থেকে সাত বছর লাগে।’
মেট্রো প্রকল্প ব্যর্থ হয়নি—সরকার এই প্রকল্প সম্পন্ন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ জানিয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো, দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন এই প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ করতে সক্ষম হয়। বিপুল অর্থ ব্যয়ে লাইন-১-এর কাজ করা হয়েছে, আর এর মান সবাই নিশ্চয়ই উপলব্ধি করেছেন। সরকারের উদ্দেশ্য হলো, একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরি করা, যাতে একাধিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে পারে এবং কম খরচে উন্নতমানের মেট্রো নির্মাণ সম্ভব হয়। মেট্রো আমাদের করতেই হবে—তবে তা হবে স্মার্ট ফাইন্যান্সিংয়ের মাধ্যমে।’

বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পেতে দুই মাস আগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান ঢাকার দোহার উপজেলার পুষ্পখালি গ্রামের দিনমজুর মোশারফ হোসেনের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী কণিকা আক্তার । চিকিৎসকেরা তাঁকে কিছু ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট দেন।
২৭ জুলাই ২০২১
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানানোর অনুরোধ করেছে সরকার। এ সময়ের মধ্যে দলগুলোর পক্ষ থেকে দিকনির্দেশনা পেলে সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
২ ঘণ্টা আগে
ড. কামাল সিদ্দিকী ২০০৬ সাল পর্যন্ত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া জাতিসংঘের শিশু অধিকার কমিটির নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ কর্তৃক মনোনীত হন এবং ২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগে
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং পরিকল্পনা বিভাগে নতুন সচিব নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে তিনজন অতিরিক্ত সচিবকে সচিব পদে পদোন্নতি এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত এক সচিবকে পদায়ন করে রোববার রাতে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৫ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদ বাস্তবায়ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানানোর অনুরোধ করেছে সরকার। এ সময়ের মধ্যে দলগুলোর পক্ষ থেকে দিকনির্দেশনা পেলে সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
আজ সোমবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোট বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান উপদেষ্টা।
সকাল ১০টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজধানীর তেজগাঁও কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।
আইন উপদেষ্টা বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনা করে এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে অনুরোধ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আজ জাতীয় ঐক্যমত কমিশন কর্তৃক প্রণীত জুলাই সনদ এবং এর বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য স্থাপনের প্রচেষ্টার জন্য এবং বহু বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়। ’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদের সভায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) আদেশ চূড়ান্তকরণ এবং এতে উল্লেখিত গণভোট আয়োজন ও গণভোটের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে লক্ষ্য করা হয় যে, ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘদিন আলোচনার পরও কয়েকটি সংস্কারের সুপারিশ বিষয়ে ভিন্ন মত রয়েছে। এ ছাড়া, গণভোট কবে অনুষ্ঠিত হবে ও এর বিষয়বস্তু কী হবে এসব প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, সে জন্য সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘এই পরিপ্রেক্ষিতে গণভোটের সময় কখন হবে, গণভোটের বিষয়বস্তু কী হবে, জুলাই সনদে বর্ণিত ভিন্নমতগুলো প্রসঙ্গে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবগুলোর আলোকে জরুরি ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে সভা অভিমত ব্যক্ত করে।’
এসব ক্ষেত্রে ফ্যসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের দীর্ঘদিনের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে দ্রুততম সময়ে (সম্ভব হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে) সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এমন নির্দেশনা পেলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনেক সহজ হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কালক্ষেপণের যে কোনো সুযোগ নাই সেটাও আমাদের সবার বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন। ’
সভায় ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্থে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করা হয় বলে উল্লেখ করেন আইন উপদেষ্টা।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ কবে জারি হতে পারে— এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করেছে। ওনাদের কিছু সময় দিতে চাই। যেসব বিষয় উল্লেখ করেছি সেগুলোতে ওনারা আলোচনা করে একমত হতে পারেন কিনা আমরা দেখি।’ দলগুলে একমত না হলে সরকার কী করবে এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা অপেক্ষা করব, তারপর অবশ্যই সরকার সরকারের মতো অ্যাক্ট (পদক্ষেপ) নেবে।’
সরকার কি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে নতি স্বীকার করেছে— এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমি বলেছিলাম চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদ। এ সিদ্ধান্ত থেকে আমরা মোটেও সরে আসি নাই। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ঐক্যবদ্ধ সুপারিশ প্রত্যাশা করা ইতিবাচক হিসেবে দেখতে পারেন।’
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনার আয়োজন সরকার করে দেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘সরকার আয়োজন করে বহু আলোচনা করেছে। সরকার আর কোনো আয়োজন করতে যাচ্ছে না। ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো গত ১৫ বছর নিজেরা নিজেরা আলোচনা করে বহু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ওনারা অত্যন্ত প্রতিকূল সময়ে একসঙ্গে আন্দোলন করেছেন, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এখন ওনারা নিজ উদ্যোগে আলোচনা করে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত নেবেন, এ প্রত্যাশা করছি। আমি কালকেই দেখলাম, একটি দলের পক্ষ থেকে আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছে—আমরা এটাকে স্বাগত জানাই।’
জুলাই জাতীয় সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘এ প্রসঙ্গে আমাদের এখন কোনো মন্তব্য নেই। দলগুলো এ বিষয়ে একটা ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশা করি। তাঁরা আলাপ-আলোচনা করলে আমাদের কাজটা সহজ হবে। তাঁরা ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারলে, অবশ্যই সরকার সরকারের মতো সিদ্ধান্ত নেবে।’

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানানোর অনুরোধ করেছে সরকার। এ সময়ের মধ্যে দলগুলোর পক্ষ থেকে দিকনির্দেশনা পেলে সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
আজ সোমবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোট বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান উপদেষ্টা।
সকাল ১০টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজধানীর তেজগাঁও কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।
আইন উপদেষ্টা বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনা করে এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে অনুরোধ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আজ জাতীয় ঐক্যমত কমিশন কর্তৃক প্রণীত জুলাই সনদ এবং এর বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য স্থাপনের প্রচেষ্টার জন্য এবং বহু বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়। ’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদের সভায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) আদেশ চূড়ান্তকরণ এবং এতে উল্লেখিত গণভোট আয়োজন ও গণভোটের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে লক্ষ্য করা হয় যে, ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘদিন আলোচনার পরও কয়েকটি সংস্কারের সুপারিশ বিষয়ে ভিন্ন মত রয়েছে। এ ছাড়া, গণভোট কবে অনুষ্ঠিত হবে ও এর বিষয়বস্তু কী হবে এসব প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, সে জন্য সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘এই পরিপ্রেক্ষিতে গণভোটের সময় কখন হবে, গণভোটের বিষয়বস্তু কী হবে, জুলাই সনদে বর্ণিত ভিন্নমতগুলো প্রসঙ্গে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবগুলোর আলোকে জরুরি ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে সভা অভিমত ব্যক্ত করে।’
এসব ক্ষেত্রে ফ্যসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের দীর্ঘদিনের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে দ্রুততম সময়ে (সম্ভব হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে) সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এমন নির্দেশনা পেলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনেক সহজ হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কালক্ষেপণের যে কোনো সুযোগ নাই সেটাও আমাদের সবার বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন। ’
সভায় ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্থে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করা হয় বলে উল্লেখ করেন আইন উপদেষ্টা।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ কবে জারি হতে পারে— এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করেছে। ওনাদের কিছু সময় দিতে চাই। যেসব বিষয় উল্লেখ করেছি সেগুলোতে ওনারা আলোচনা করে একমত হতে পারেন কিনা আমরা দেখি।’ দলগুলে একমত না হলে সরকার কী করবে এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা অপেক্ষা করব, তারপর অবশ্যই সরকার সরকারের মতো অ্যাক্ট (পদক্ষেপ) নেবে।’
সরকার কি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে নতি স্বীকার করেছে— এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমি বলেছিলাম চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদ। এ সিদ্ধান্ত থেকে আমরা মোটেও সরে আসি নাই। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ঐক্যবদ্ধ সুপারিশ প্রত্যাশা করা ইতিবাচক হিসেবে দেখতে পারেন।’
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনার আয়োজন সরকার করে দেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘সরকার আয়োজন করে বহু আলোচনা করেছে। সরকার আর কোনো আয়োজন করতে যাচ্ছে না। ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো গত ১৫ বছর নিজেরা নিজেরা আলোচনা করে বহু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ওনারা অত্যন্ত প্রতিকূল সময়ে একসঙ্গে আন্দোলন করেছেন, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এখন ওনারা নিজ উদ্যোগে আলোচনা করে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত নেবেন, এ প্রত্যাশা করছি। আমি কালকেই দেখলাম, একটি দলের পক্ষ থেকে আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছে—আমরা এটাকে স্বাগত জানাই।’
জুলাই জাতীয় সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘এ প্রসঙ্গে আমাদের এখন কোনো মন্তব্য নেই। দলগুলো এ বিষয়ে একটা ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশা করি। তাঁরা আলাপ-আলোচনা করলে আমাদের কাজটা সহজ হবে। তাঁরা ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারলে, অবশ্যই সরকার সরকারের মতো সিদ্ধান্ত নেবে।’

বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পেতে দুই মাস আগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান ঢাকার দোহার উপজেলার পুষ্পখালি গ্রামের দিনমজুর মোশারফ হোসেনের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী কণিকা আক্তার । চিকিৎসকেরা তাঁকে কিছু ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট দেন।
২৭ জুলাই ২০২১
সোমবার সকালে উত্তরা মেট্রোরেল ডিপিতে মেট্রোর সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ।
১ ঘণ্টা আগে
ড. কামাল সিদ্দিকী ২০০৬ সাল পর্যন্ত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া জাতিসংঘের শিশু অধিকার কমিটির নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ কর্তৃক মনোনীত হন এবং ২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগে
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং পরিকল্পনা বিভাগে নতুন সচিব নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে তিনজন অতিরিক্ত সচিবকে সচিব পদে পদোন্নতি এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত এক সচিবকে পদায়ন করে রোববার রাতে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৫ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

সাবেক মুখ্যসচিব ড. কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন। আজ সোমবার ভোরে গুলশানে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। সকালে এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আজ আছর নামাজের পর গুলশান আজাদ মসজিদে তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হবে।
কামাল সিদ্দিকী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ২০০৬ সাল পর্যন্ত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুখ্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতিসংঘের শিশু অধিকার কমিটির নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ কর্তৃক মনোনীত হন এবং ২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
ড. কামাল সিদ্দিকী ২০০৬ সাল পর্যন্ত এনসাইক্লোপিডিয়া অব ফ্লোরা অ্যান্ড ফাউনা অব বাংলাদেশের প্রধান সম্পাদক ছিলেন। এটির প্রথম খণ্ড ২০০৮ সালে এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত হয়।

সাবেক মুখ্যসচিব ড. কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন। আজ সোমবার ভোরে গুলশানে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। সকালে এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আজ আছর নামাজের পর গুলশান আজাদ মসজিদে তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হবে।
কামাল সিদ্দিকী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ২০০৬ সাল পর্যন্ত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুখ্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতিসংঘের শিশু অধিকার কমিটির নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ কর্তৃক মনোনীত হন এবং ২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
ড. কামাল সিদ্দিকী ২০০৬ সাল পর্যন্ত এনসাইক্লোপিডিয়া অব ফ্লোরা অ্যান্ড ফাউনা অব বাংলাদেশের প্রধান সম্পাদক ছিলেন। এটির প্রথম খণ্ড ২০০৮ সালে এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত হয়।

বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পেতে দুই মাস আগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান ঢাকার দোহার উপজেলার পুষ্পখালি গ্রামের দিনমজুর মোশারফ হোসেনের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী কণিকা আক্তার । চিকিৎসকেরা তাঁকে কিছু ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট দেন।
২৭ জুলাই ২০২১
সোমবার সকালে উত্তরা মেট্রোরেল ডিপিতে মেট্রোর সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানানোর অনুরোধ করেছে সরকার। এ সময়ের মধ্যে দলগুলোর পক্ষ থেকে দিকনির্দেশনা পেলে সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
২ ঘণ্টা আগে
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং পরিকল্পনা বিভাগে নতুন সচিব নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে তিনজন অতিরিক্ত সচিবকে সচিব পদে পদোন্নতি এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত এক সচিবকে পদায়ন করে রোববার রাতে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৫ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং পরিকল্পনা বিভাগে নতুন সচিব নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
এর মধ্যে তিনজন অতিরিক্ত সচিবকে সচিব পদে পদোন্নতি এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত এক সচিবকে পদায়ন করে রোববার রাতে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. নুরুন্নাহার চৌধুরীকে সচিব পদোন্নতি দিয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে পদায়ন করা হয়েছে।
অর্থ বিভাগে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব বিলকিস জাহান রিমিকে পদোন্নতির পর বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শওকত রশীদ চৌধুরী পদোন্নতিকে সচিব পদোন্নতি দিয়ে পেয়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত সচিব এস এম শাকিল আখতারকে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব পদে পদায়ন করা হয়েছে।
গত ৩ আগস্ট পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব এস এম শাকিল আখতারকে সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু ওই পদে যোগ দিতে পারেননি তিনি। এরপর তাঁকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং পরিকল্পনা বিভাগে নতুন সচিব নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
এর মধ্যে তিনজন অতিরিক্ত সচিবকে সচিব পদে পদোন্নতি এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত এক সচিবকে পদায়ন করে রোববার রাতে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. নুরুন্নাহার চৌধুরীকে সচিব পদোন্নতি দিয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে পদায়ন করা হয়েছে।
অর্থ বিভাগে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব বিলকিস জাহান রিমিকে পদোন্নতির পর বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শওকত রশীদ চৌধুরী পদোন্নতিকে সচিব পদোন্নতি দিয়ে পেয়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত সচিব এস এম শাকিল আখতারকে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব পদে পদায়ন করা হয়েছে।
গত ৩ আগস্ট পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব এস এম শাকিল আখতারকে সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু ওই পদে যোগ দিতে পারেননি তিনি। এরপর তাঁকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়।

বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পেতে দুই মাস আগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান ঢাকার দোহার উপজেলার পুষ্পখালি গ্রামের দিনমজুর মোশারফ হোসেনের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী কণিকা আক্তার । চিকিৎসকেরা তাঁকে কিছু ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট দেন।
২৭ জুলাই ২০২১
সোমবার সকালে উত্তরা মেট্রোরেল ডিপিতে মেট্রোর সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানানোর অনুরোধ করেছে সরকার। এ সময়ের মধ্যে দলগুলোর পক্ষ থেকে দিকনির্দেশনা পেলে সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
২ ঘণ্টা আগে
ড. কামাল সিদ্দিকী ২০০৬ সাল পর্যন্ত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া জাতিসংঘের শিশু অধিকার কমিটির নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ কর্তৃক মনোনীত হন এবং ২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগে