নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভারত নিজেদের তৈরি করোনার টিকা কোভ্যাকসিনের দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের চেষ্টা চালাচ্ছিল। গত ১৮ জুলাই এর জন্য অনুমতি দেয় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি)।
তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে, বিশেষ করে যেসব দেশে করোনা সবচেয়ে বেশি ভয়াবহতা দেখিয়েছে সেসব দেশে এই টিকার ট্রায়ালের অনুমোদন মেলেনি। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের আগে ব্রাজিলের সঙ্গে কোভ্যাকসিনের টিকা বেচা-কেনার চুক্তিও হয়েছিল, কিন্তু সেটি ভেস্তে গেছে। একই সঙ্গে অনুমোদন দেয়নি যুক্তরাষ্ট্রও।
বাংলাদেশে করোনা মোকাবিলায় ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তি ও উদ্যোগে তৈরি এই টিকার ট্রায়ালের জন্য কয়েক মাস আগে বিএমআরসিতে আবেদন করেছিল আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)। বিএমারসির দাবি সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক তথ্য এবং যুক্তির ওপর ভিত্তি করেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আইসিডিডিআরবির বিজ্ঞানী কে জামান এই ট্রায়ালের প্রধান গবেষক। তবে কবে নাগাদ ট্রায়াল শুরু হবে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি।
বিএমআরসির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলছেন, ‘বিএমআরসি যেকোনো ওষুধ বা টিকার নৈতিক অনুমোদন দেয়। মানুষের শরীরে প্রয়োগে বাধা নেই এমন ক্ষেত্রে আমরা শুধুমাত্র নৈতিক অনুমোদন দিয়ে থাকি। প্রথম দুই ধাপে বানর বা শিম্পাঞ্জির দেহে প্রয়োগ করতে হয়। সেগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াসহ নানা তথ্য পর্যালোচনা করে তৃতীয় ধাপে মানুষের দেহে ট্রায়াল দিতে হয়। এসবের ফলাফল ও পর্যবেক্ষণের পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের বিষয়টি চলে আসে।’
ভারতীয় দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমসের অনলাইনে বলা হয়েছে, চলতি মাসের শুরুর দিকে কোভ্যাক্সিন সংক্রান্ত চূড়ান্ত বিশ্লেষণ প্রকাশ করেছে উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ভারত বায়োটেক। এতে বলা হয়েছে, উপসর্গযুক্ত সংক্রমণ রোধে ৭৭ দশমিক ৮ শতাংশ কার্যকর কোভ্যাক্সিন। ভারত, ফিলিপাইন, ইরানসহ বিশ্বের ১৬টি দেশ এই টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। তবে এখনো স্বীকৃতি মেলেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। সংস্থার অনুমোদন পেলে আরও ১২টি দেশে টিকা সরবরাহ হবে বলে দাবি উৎপাদক প্রতিষ্ঠানটির।
সম্প্রতি ভারত বায়োটেকের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে ব্রাজিল ও দুবাই ভিত্তিক দুই প্রতিষ্ঠান। কোভ্যাকসিন টিকার দুই কোটি ডোজ কিনতে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে চুক্তি করে ব্রাজিল। কিন্তু অতিরিক্ত মূল্য, শুল্ক ছাড়সহ নানা অভিযোগ ওঠার পর ব্যাপক জনরোষ তৈরি হয়। যা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। পরে গত ২৩ জুলাই ব্রাজিলের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে ভারত বায়োটেকের দেওয়া এক বিবৃতির পরই চুক্তি বাতিল হয়।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন টিকাটি অনুমোদন দেয়নি। এমনকি নিজ দেশেও কোভ্যাক্সিনের ব্যবহার নিয়েও আছে নানা বিতর্ক। ভারতে সেরাম উৎপাদিত কোভিশিল্ডের আদলে তৈরি এই টিকার ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহী নেই সে দেশের মানুষ।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৬ লাখ টিকা এলটিকার বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের আওতায় জাপান থেকে তৃতীয় দফায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার আরও ছয় লাখের বেশি ডোজ টিকা ঢাকা পৌঁছেছে। এ দফায় এসেছে ৬ লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ ডোজ টিকা। এই নিয়ে জাপান থেকে ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ৩০০ ডোজ টিকা পেল বাংলাদেশ।
ভারত নিজেদের তৈরি করোনার টিকা কোভ্যাকসিনের দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের চেষ্টা চালাচ্ছিল। গত ১৮ জুলাই এর জন্য অনুমতি দেয় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি)।
তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে, বিশেষ করে যেসব দেশে করোনা সবচেয়ে বেশি ভয়াবহতা দেখিয়েছে সেসব দেশে এই টিকার ট্রায়ালের অনুমোদন মেলেনি। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের আগে ব্রাজিলের সঙ্গে কোভ্যাকসিনের টিকা বেচা-কেনার চুক্তিও হয়েছিল, কিন্তু সেটি ভেস্তে গেছে। একই সঙ্গে অনুমোদন দেয়নি যুক্তরাষ্ট্রও।
বাংলাদেশে করোনা মোকাবিলায় ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তি ও উদ্যোগে তৈরি এই টিকার ট্রায়ালের জন্য কয়েক মাস আগে বিএমআরসিতে আবেদন করেছিল আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)। বিএমারসির দাবি সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক তথ্য এবং যুক্তির ওপর ভিত্তি করেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আইসিডিডিআরবির বিজ্ঞানী কে জামান এই ট্রায়ালের প্রধান গবেষক। তবে কবে নাগাদ ট্রায়াল শুরু হবে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি।
বিএমআরসির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলছেন, ‘বিএমআরসি যেকোনো ওষুধ বা টিকার নৈতিক অনুমোদন দেয়। মানুষের শরীরে প্রয়োগে বাধা নেই এমন ক্ষেত্রে আমরা শুধুমাত্র নৈতিক অনুমোদন দিয়ে থাকি। প্রথম দুই ধাপে বানর বা শিম্পাঞ্জির দেহে প্রয়োগ করতে হয়। সেগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াসহ নানা তথ্য পর্যালোচনা করে তৃতীয় ধাপে মানুষের দেহে ট্রায়াল দিতে হয়। এসবের ফলাফল ও পর্যবেক্ষণের পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের বিষয়টি চলে আসে।’
ভারতীয় দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমসের অনলাইনে বলা হয়েছে, চলতি মাসের শুরুর দিকে কোভ্যাক্সিন সংক্রান্ত চূড়ান্ত বিশ্লেষণ প্রকাশ করেছে উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ভারত বায়োটেক। এতে বলা হয়েছে, উপসর্গযুক্ত সংক্রমণ রোধে ৭৭ দশমিক ৮ শতাংশ কার্যকর কোভ্যাক্সিন। ভারত, ফিলিপাইন, ইরানসহ বিশ্বের ১৬টি দেশ এই টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। তবে এখনো স্বীকৃতি মেলেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। সংস্থার অনুমোদন পেলে আরও ১২টি দেশে টিকা সরবরাহ হবে বলে দাবি উৎপাদক প্রতিষ্ঠানটির।
সম্প্রতি ভারত বায়োটেকের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে ব্রাজিল ও দুবাই ভিত্তিক দুই প্রতিষ্ঠান। কোভ্যাকসিন টিকার দুই কোটি ডোজ কিনতে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে চুক্তি করে ব্রাজিল। কিন্তু অতিরিক্ত মূল্য, শুল্ক ছাড়সহ নানা অভিযোগ ওঠার পর ব্যাপক জনরোষ তৈরি হয়। যা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। পরে গত ২৩ জুলাই ব্রাজিলের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে ভারত বায়োটেকের দেওয়া এক বিবৃতির পরই চুক্তি বাতিল হয়।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন টিকাটি অনুমোদন দেয়নি। এমনকি নিজ দেশেও কোভ্যাক্সিনের ব্যবহার নিয়েও আছে নানা বিতর্ক। ভারতে সেরাম উৎপাদিত কোভিশিল্ডের আদলে তৈরি এই টিকার ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহী নেই সে দেশের মানুষ।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৬ লাখ টিকা এলটিকার বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের আওতায় জাপান থেকে তৃতীয় দফায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার আরও ছয় লাখের বেশি ডোজ টিকা ঢাকা পৌঁছেছে। এ দফায় এসেছে ৬ লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ ডোজ টিকা। এই নিয়ে জাপান থেকে ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ৩০০ ডোজ টিকা পেল বাংলাদেশ।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অপরাধ প্রমাণিত না হলে কেন একটা নির্দোষ লোককে আমরা সাজা দেব? অপরাধ প্রমাণিত হলেই তাঁকে আইনের আওতায় আনা হবে। সরকার চেষ্টা করছে অপরাধ করেননি এমন কারও যাতে শাস্তি না হয়। তাই প্রতিটি মামলার গভীর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১ ঘণ্টা আগেকানাডার অন্টারিও প্রদেশের কুইন্টা লেকে কায়াক বোট উল্টে মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারিয়েছেন বাংলাদেশ বিমানের অভিজ্ঞ পাইলট ক্যাপ্টেন মো. সাইফুজ্জামান (গুড্ডু) এবং বিজিএমইএর সাবেক সহসভাপতি ও টিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গার্মেন্টস খাতের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল্লা হিল রাকিব (পাপ্পু)।
১ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জানিয়েছে, তাঁর এ সফরে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে যুক্তরাজ্যের সমর্থনের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। এর পাশাপাশি পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়টিতে প্রাধান্য দেবে বাংলাদেশ।
২ ঘণ্টা আগেচিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তাঁর হঠাৎ বিদেশযাত্রা ও বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া হত্যা মামলাকে কেন্দ্র করে যে পালিয়ে যাওয়ার গুঞ্জন উঠেছিল, দেশে ফিরে সেটির অবসান ঘটালেন তিনি।
৯ ঘণ্টা আগে