উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা

বিসিএস ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এতে নড়েচড়ে বসেছেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। পদোন্নতির অপেক্ষায় থাকা এই ব্যাচের কর্মকর্তাদের বিষয়ে নতুন করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে। ফলে নির্ধারিত সময়ে তাঁদের পদোন্নতি হচ্ছে না, তা অনেকটাই নিশ্চিত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
২৪তম বিসিএসের নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয় ২০০২ সালে। আর চূড়ান্ত নিয়োগ হয় ২০০৫ সালের ১৩ জুন। বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকার এ সময় ক্ষমতায় ছিল। এ কারণে এসব কর্মকর্তার ছাত্রজীবন এবং পরিবার, আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক পরিচয় খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দা সংস্থা। বিশেষ করে ওই সময় বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদল-শিবিরের পদধারী যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে রাজি হননি প্রশাসনের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে প্রশাসনে উপসচিব থেকে যুগ্ম সচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপসচিব পদে পদোন্নতি হওয়ার কথা ছিল। এবার যুগ্ম সচিব পদে বিসিএস ২৪তম ব্যাচ এবং উপসচিব পদে ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়মিত ব্যাচ হিসেবে আমলে নেবে পদোন্নতির জন্য সুপারিশকারী কর্তৃপক্ষ সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি)। আগস্টের প্রথম দিকেই এসএসবির বৈঠক শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলন-পরবর্তী পরিস্থিতির কারণে পদোন্নতি-প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া সাপেক্ষে উপসচিব পদে পদোন্নতির জন্য এসএসবির বৈঠক হতে পারে।
এরপর তথ্য-উপাত্ত পাওয়ার পর যুগ্ম সচিব পদের পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু হবে। এর আগে ১ জুলাই জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন নিজ দপ্তরে আজকের পত্রিকা’কে বলেছিলেন, ‘আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে প্রশাসনের দুই স্তরের পদোন্নতি হবে। প্রথমে উপসচিব, পরে যুগ্ম সচিব পদে। পদোন্নতি দিতে শিগগিরই এসএসবির বৈঠক শুরু হবে।’
তবে একটি ব্যাচের নাম উল্লেখ করে সরকারপ্রধানের মন্তব্যের পর প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাচের প্রায় ৫ হাজার কর্মকর্তার মধ্যে একধরনের অস্বস্তি সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) প্রশ্নপত্র ফাঁস ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক গাড়িচালক আবেদ আলী ইস্যুর মধ্যেই চীন সফর শেষে ১৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে হাওয়া ভবন থেকে পাঠানো তালিকায় বিসিএসে চাকরি হতো। এ সময় কোনো পরীক্ষাই হতো না।’ তিনি বলেন, ‘২০০২ সালে ২৪তম বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির আমলে ওই সময়ে যতগুলো পরীক্ষা হয়েছে, চাকরি হয়েছে, সবগুলোর তালিকা হাওয়া ভবন থেকে পাঠানো হতো। ওই তালিকা অনুযায়ী চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হতো।’
এমন পরিস্থিতিতে ২৪তম ব্যাচসহ প্রশাসনে একধরনের অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে নতুন করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা নিয়েই অনেকেই চিন্তিত। তাঁদের কেউ কেউ বলেন, প্রশাসনে তাঁদের চাকরির বয়স হয়েছে ২০ বছরের বেশি। সামনে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ার কথা। এখন এ ধরনের প্রশ্ন উঠলে তাঁদের জন্য খুবই বিব্রতকর ও অমানবিক।
২৪তম ব্যাচের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘নিয়োগ বিএনপি আমলে হলেও আমাদের ২০ বছরের চাকরির প্রায় পুরো ভাগই সার্ভিস দিয়েছি এই সরকারের। ১৬ বছর ধরে সার্ভিস দিয়েও কী আমাদের আবার পরীক্ষা দিতে হবে? নতুন করে গোয়েন্দারা কী তথ্য নেবে? এর মাধ্যমে আমাদের সামাজিকভাবে হেয় করা হচ্ছে।’
শুধু ২৪তম ব্যাচই নয়, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় নিয়োগ পাওয়া অন্য কর্মকর্তাদের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনের পর বিসিএস ২১, ২২, ২৪ ও ২৫তম ব্যাচের নিয়োগ হয়। বর্তমান প্রশাসনে তাঁরা উপসচিব ও যুগ্ম সচিব পদে কর্মরত। এসব ব্যাচের পুলিশ কর্মকর্তারাও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর সামলাচ্ছেন।
জোট সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, একটি ব্যাচের নাম উল্লেখ করে নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুললেও সরকারপ্রধান বলেছেন জোট সরকারের সময় হাওয়া ভবনের তালিকা অনুযায়ী বিসিএসে নিয়োগ দেওয়া হতো।পরীক্ষাই হতো না। এতে ওই সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদেরই ইঙ্গিত করা হয়েছে, যা কাম্য নয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী একটি ব্যাচ উল্লেখ করে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের কথা বলেছেন। অন্য আমলেও হয়েছে। আর এ ধরনের মন্তব্যে প্রশাসনে নেতিবাচক প্রভাব পড়া অস্বাভাবিক নয়। সব নিয়োগই তদন্ত করে সুরাহা ও পরিষ্কার করা দরকার।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট বলছে, ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তার সংখ্যা ৪ হাজার ৯২৯ জন। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারের ৩৪৪ জন এবং পুলিশ ক্যাডারে ২১৫ জন। এ ব্যাচে শুধু স্বাস্থ্য ক্যাডারে দেড় হাজার এবং সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে প্রায় আড়াই হাজার কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০০২ সাল থেকে এই ব্যাচের নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হলেও চূড়ান্ত নিয়োগ হয় ২০০৫ সালের ১৩ জুন।
এই ব্যাচের কর্মকর্তারা ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহসহ ২৩ জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি)। কয়েকজন মন্ত্রীর একান্ত সচিবও (পিএস) আছেন। পুলিশ ক্যাডারের অধিকাংশ কর্মকর্তাই অতিরিক্ত ডিআইজি হয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। দু-একজন জেলার পুলিশ সুপারও (এসপি)।
আরও খবর পড়ুন:

বিসিএস ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এতে নড়েচড়ে বসেছেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। পদোন্নতির অপেক্ষায় থাকা এই ব্যাচের কর্মকর্তাদের বিষয়ে নতুন করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে। ফলে নির্ধারিত সময়ে তাঁদের পদোন্নতি হচ্ছে না, তা অনেকটাই নিশ্চিত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
২৪তম বিসিএসের নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয় ২০০২ সালে। আর চূড়ান্ত নিয়োগ হয় ২০০৫ সালের ১৩ জুন। বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকার এ সময় ক্ষমতায় ছিল। এ কারণে এসব কর্মকর্তার ছাত্রজীবন এবং পরিবার, আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক পরিচয় খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দা সংস্থা। বিশেষ করে ওই সময় বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদল-শিবিরের পদধারী যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে রাজি হননি প্রশাসনের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে প্রশাসনে উপসচিব থেকে যুগ্ম সচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপসচিব পদে পদোন্নতি হওয়ার কথা ছিল। এবার যুগ্ম সচিব পদে বিসিএস ২৪তম ব্যাচ এবং উপসচিব পদে ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়মিত ব্যাচ হিসেবে আমলে নেবে পদোন্নতির জন্য সুপারিশকারী কর্তৃপক্ষ সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি)। আগস্টের প্রথম দিকেই এসএসবির বৈঠক শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলন-পরবর্তী পরিস্থিতির কারণে পদোন্নতি-প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া সাপেক্ষে উপসচিব পদে পদোন্নতির জন্য এসএসবির বৈঠক হতে পারে।
এরপর তথ্য-উপাত্ত পাওয়ার পর যুগ্ম সচিব পদের পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু হবে। এর আগে ১ জুলাই জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন নিজ দপ্তরে আজকের পত্রিকা’কে বলেছিলেন, ‘আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে প্রশাসনের দুই স্তরের পদোন্নতি হবে। প্রথমে উপসচিব, পরে যুগ্ম সচিব পদে। পদোন্নতি দিতে শিগগিরই এসএসবির বৈঠক শুরু হবে।’
তবে একটি ব্যাচের নাম উল্লেখ করে সরকারপ্রধানের মন্তব্যের পর প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাচের প্রায় ৫ হাজার কর্মকর্তার মধ্যে একধরনের অস্বস্তি সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) প্রশ্নপত্র ফাঁস ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক গাড়িচালক আবেদ আলী ইস্যুর মধ্যেই চীন সফর শেষে ১৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে হাওয়া ভবন থেকে পাঠানো তালিকায় বিসিএসে চাকরি হতো। এ সময় কোনো পরীক্ষাই হতো না।’ তিনি বলেন, ‘২০০২ সালে ২৪তম বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির আমলে ওই সময়ে যতগুলো পরীক্ষা হয়েছে, চাকরি হয়েছে, সবগুলোর তালিকা হাওয়া ভবন থেকে পাঠানো হতো। ওই তালিকা অনুযায়ী চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হতো।’
এমন পরিস্থিতিতে ২৪তম ব্যাচসহ প্রশাসনে একধরনের অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে নতুন করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা নিয়েই অনেকেই চিন্তিত। তাঁদের কেউ কেউ বলেন, প্রশাসনে তাঁদের চাকরির বয়স হয়েছে ২০ বছরের বেশি। সামনে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ার কথা। এখন এ ধরনের প্রশ্ন উঠলে তাঁদের জন্য খুবই বিব্রতকর ও অমানবিক।
২৪তম ব্যাচের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘নিয়োগ বিএনপি আমলে হলেও আমাদের ২০ বছরের চাকরির প্রায় পুরো ভাগই সার্ভিস দিয়েছি এই সরকারের। ১৬ বছর ধরে সার্ভিস দিয়েও কী আমাদের আবার পরীক্ষা দিতে হবে? নতুন করে গোয়েন্দারা কী তথ্য নেবে? এর মাধ্যমে আমাদের সামাজিকভাবে হেয় করা হচ্ছে।’
শুধু ২৪তম ব্যাচই নয়, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় নিয়োগ পাওয়া অন্য কর্মকর্তাদের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনের পর বিসিএস ২১, ২২, ২৪ ও ২৫তম ব্যাচের নিয়োগ হয়। বর্তমান প্রশাসনে তাঁরা উপসচিব ও যুগ্ম সচিব পদে কর্মরত। এসব ব্যাচের পুলিশ কর্মকর্তারাও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর সামলাচ্ছেন।
জোট সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, একটি ব্যাচের নাম উল্লেখ করে নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুললেও সরকারপ্রধান বলেছেন জোট সরকারের সময় হাওয়া ভবনের তালিকা অনুযায়ী বিসিএসে নিয়োগ দেওয়া হতো।পরীক্ষাই হতো না। এতে ওই সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদেরই ইঙ্গিত করা হয়েছে, যা কাম্য নয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী একটি ব্যাচ উল্লেখ করে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের কথা বলেছেন। অন্য আমলেও হয়েছে। আর এ ধরনের মন্তব্যে প্রশাসনে নেতিবাচক প্রভাব পড়া অস্বাভাবিক নয়। সব নিয়োগই তদন্ত করে সুরাহা ও পরিষ্কার করা দরকার।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট বলছে, ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তার সংখ্যা ৪ হাজার ৯২৯ জন। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারের ৩৪৪ জন এবং পুলিশ ক্যাডারে ২১৫ জন। এ ব্যাচে শুধু স্বাস্থ্য ক্যাডারে দেড় হাজার এবং সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে প্রায় আড়াই হাজার কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০০২ সাল থেকে এই ব্যাচের নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হলেও চূড়ান্ত নিয়োগ হয় ২০০৫ সালের ১৩ জুন।
এই ব্যাচের কর্মকর্তারা ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহসহ ২৩ জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি)। কয়েকজন মন্ত্রীর একান্ত সচিবও (পিএস) আছেন। পুলিশ ক্যাডারের অধিকাংশ কর্মকর্তাই অতিরিক্ত ডিআইজি হয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। দু-একজন জেলার পুলিশ সুপারও (এসপি)।
আরও খবর পড়ুন:

উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা

বিসিএস ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এতে নড়েচড়ে বসেছেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। পদোন্নতির অপেক্ষায় থাকা এই ব্যাচের কর্মকর্তাদের বিষয়ে নতুন করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে। ফলে নির্ধারিত সময়ে তাঁদের পদোন্নতি হচ্ছে না, তা অনেকটাই নিশ্চিত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
২৪তম বিসিএসের নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয় ২০০২ সালে। আর চূড়ান্ত নিয়োগ হয় ২০০৫ সালের ১৩ জুন। বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকার এ সময় ক্ষমতায় ছিল। এ কারণে এসব কর্মকর্তার ছাত্রজীবন এবং পরিবার, আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক পরিচয় খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দা সংস্থা। বিশেষ করে ওই সময় বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদল-শিবিরের পদধারী যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে রাজি হননি প্রশাসনের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে প্রশাসনে উপসচিব থেকে যুগ্ম সচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপসচিব পদে পদোন্নতি হওয়ার কথা ছিল। এবার যুগ্ম সচিব পদে বিসিএস ২৪তম ব্যাচ এবং উপসচিব পদে ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়মিত ব্যাচ হিসেবে আমলে নেবে পদোন্নতির জন্য সুপারিশকারী কর্তৃপক্ষ সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি)। আগস্টের প্রথম দিকেই এসএসবির বৈঠক শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলন-পরবর্তী পরিস্থিতির কারণে পদোন্নতি-প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া সাপেক্ষে উপসচিব পদে পদোন্নতির জন্য এসএসবির বৈঠক হতে পারে।
এরপর তথ্য-উপাত্ত পাওয়ার পর যুগ্ম সচিব পদের পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু হবে। এর আগে ১ জুলাই জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন নিজ দপ্তরে আজকের পত্রিকা’কে বলেছিলেন, ‘আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে প্রশাসনের দুই স্তরের পদোন্নতি হবে। প্রথমে উপসচিব, পরে যুগ্ম সচিব পদে। পদোন্নতি দিতে শিগগিরই এসএসবির বৈঠক শুরু হবে।’
তবে একটি ব্যাচের নাম উল্লেখ করে সরকারপ্রধানের মন্তব্যের পর প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাচের প্রায় ৫ হাজার কর্মকর্তার মধ্যে একধরনের অস্বস্তি সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) প্রশ্নপত্র ফাঁস ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক গাড়িচালক আবেদ আলী ইস্যুর মধ্যেই চীন সফর শেষে ১৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে হাওয়া ভবন থেকে পাঠানো তালিকায় বিসিএসে চাকরি হতো। এ সময় কোনো পরীক্ষাই হতো না।’ তিনি বলেন, ‘২০০২ সালে ২৪তম বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির আমলে ওই সময়ে যতগুলো পরীক্ষা হয়েছে, চাকরি হয়েছে, সবগুলোর তালিকা হাওয়া ভবন থেকে পাঠানো হতো। ওই তালিকা অনুযায়ী চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হতো।’
এমন পরিস্থিতিতে ২৪তম ব্যাচসহ প্রশাসনে একধরনের অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে নতুন করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা নিয়েই অনেকেই চিন্তিত। তাঁদের কেউ কেউ বলেন, প্রশাসনে তাঁদের চাকরির বয়স হয়েছে ২০ বছরের বেশি। সামনে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ার কথা। এখন এ ধরনের প্রশ্ন উঠলে তাঁদের জন্য খুবই বিব্রতকর ও অমানবিক।
২৪তম ব্যাচের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘নিয়োগ বিএনপি আমলে হলেও আমাদের ২০ বছরের চাকরির প্রায় পুরো ভাগই সার্ভিস দিয়েছি এই সরকারের। ১৬ বছর ধরে সার্ভিস দিয়েও কী আমাদের আবার পরীক্ষা দিতে হবে? নতুন করে গোয়েন্দারা কী তথ্য নেবে? এর মাধ্যমে আমাদের সামাজিকভাবে হেয় করা হচ্ছে।’
শুধু ২৪তম ব্যাচই নয়, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় নিয়োগ পাওয়া অন্য কর্মকর্তাদের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনের পর বিসিএস ২১, ২২, ২৪ ও ২৫তম ব্যাচের নিয়োগ হয়। বর্তমান প্রশাসনে তাঁরা উপসচিব ও যুগ্ম সচিব পদে কর্মরত। এসব ব্যাচের পুলিশ কর্মকর্তারাও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর সামলাচ্ছেন।
জোট সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, একটি ব্যাচের নাম উল্লেখ করে নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুললেও সরকারপ্রধান বলেছেন জোট সরকারের সময় হাওয়া ভবনের তালিকা অনুযায়ী বিসিএসে নিয়োগ দেওয়া হতো।পরীক্ষাই হতো না। এতে ওই সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদেরই ইঙ্গিত করা হয়েছে, যা কাম্য নয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী একটি ব্যাচ উল্লেখ করে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের কথা বলেছেন। অন্য আমলেও হয়েছে। আর এ ধরনের মন্তব্যে প্রশাসনে নেতিবাচক প্রভাব পড়া অস্বাভাবিক নয়। সব নিয়োগই তদন্ত করে সুরাহা ও পরিষ্কার করা দরকার।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট বলছে, ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তার সংখ্যা ৪ হাজার ৯২৯ জন। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারের ৩৪৪ জন এবং পুলিশ ক্যাডারে ২১৫ জন। এ ব্যাচে শুধু স্বাস্থ্য ক্যাডারে দেড় হাজার এবং সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে প্রায় আড়াই হাজার কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০০২ সাল থেকে এই ব্যাচের নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হলেও চূড়ান্ত নিয়োগ হয় ২০০৫ সালের ১৩ জুন।
এই ব্যাচের কর্মকর্তারা ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহসহ ২৩ জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি)। কয়েকজন মন্ত্রীর একান্ত সচিবও (পিএস) আছেন। পুলিশ ক্যাডারের অধিকাংশ কর্মকর্তাই অতিরিক্ত ডিআইজি হয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। দু-একজন জেলার পুলিশ সুপারও (এসপি)।
আরও খবর পড়ুন:

বিসিএস ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এতে নড়েচড়ে বসেছেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। পদোন্নতির অপেক্ষায় থাকা এই ব্যাচের কর্মকর্তাদের বিষয়ে নতুন করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে। ফলে নির্ধারিত সময়ে তাঁদের পদোন্নতি হচ্ছে না, তা অনেকটাই নিশ্চিত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
২৪তম বিসিএসের নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয় ২০০২ সালে। আর চূড়ান্ত নিয়োগ হয় ২০০৫ সালের ১৩ জুন। বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকার এ সময় ক্ষমতায় ছিল। এ কারণে এসব কর্মকর্তার ছাত্রজীবন এবং পরিবার, আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক পরিচয় খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দা সংস্থা। বিশেষ করে ওই সময় বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদল-শিবিরের পদধারী যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে রাজি হননি প্রশাসনের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে প্রশাসনে উপসচিব থেকে যুগ্ম সচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপসচিব পদে পদোন্নতি হওয়ার কথা ছিল। এবার যুগ্ম সচিব পদে বিসিএস ২৪তম ব্যাচ এবং উপসচিব পদে ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়মিত ব্যাচ হিসেবে আমলে নেবে পদোন্নতির জন্য সুপারিশকারী কর্তৃপক্ষ সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি)। আগস্টের প্রথম দিকেই এসএসবির বৈঠক শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলন-পরবর্তী পরিস্থিতির কারণে পদোন্নতি-প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া সাপেক্ষে উপসচিব পদে পদোন্নতির জন্য এসএসবির বৈঠক হতে পারে।
এরপর তথ্য-উপাত্ত পাওয়ার পর যুগ্ম সচিব পদের পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু হবে। এর আগে ১ জুলাই জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন নিজ দপ্তরে আজকের পত্রিকা’কে বলেছিলেন, ‘আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে প্রশাসনের দুই স্তরের পদোন্নতি হবে। প্রথমে উপসচিব, পরে যুগ্ম সচিব পদে। পদোন্নতি দিতে শিগগিরই এসএসবির বৈঠক শুরু হবে।’
তবে একটি ব্যাচের নাম উল্লেখ করে সরকারপ্রধানের মন্তব্যের পর প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাচের প্রায় ৫ হাজার কর্মকর্তার মধ্যে একধরনের অস্বস্তি সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) প্রশ্নপত্র ফাঁস ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক গাড়িচালক আবেদ আলী ইস্যুর মধ্যেই চীন সফর শেষে ১৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে হাওয়া ভবন থেকে পাঠানো তালিকায় বিসিএসে চাকরি হতো। এ সময় কোনো পরীক্ষাই হতো না।’ তিনি বলেন, ‘২০০২ সালে ২৪তম বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির আমলে ওই সময়ে যতগুলো পরীক্ষা হয়েছে, চাকরি হয়েছে, সবগুলোর তালিকা হাওয়া ভবন থেকে পাঠানো হতো। ওই তালিকা অনুযায়ী চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হতো।’
এমন পরিস্থিতিতে ২৪তম ব্যাচসহ প্রশাসনে একধরনের অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে নতুন করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা নিয়েই অনেকেই চিন্তিত। তাঁদের কেউ কেউ বলেন, প্রশাসনে তাঁদের চাকরির বয়স হয়েছে ২০ বছরের বেশি। সামনে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ার কথা। এখন এ ধরনের প্রশ্ন উঠলে তাঁদের জন্য খুবই বিব্রতকর ও অমানবিক।
২৪তম ব্যাচের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘নিয়োগ বিএনপি আমলে হলেও আমাদের ২০ বছরের চাকরির প্রায় পুরো ভাগই সার্ভিস দিয়েছি এই সরকারের। ১৬ বছর ধরে সার্ভিস দিয়েও কী আমাদের আবার পরীক্ষা দিতে হবে? নতুন করে গোয়েন্দারা কী তথ্য নেবে? এর মাধ্যমে আমাদের সামাজিকভাবে হেয় করা হচ্ছে।’
শুধু ২৪তম ব্যাচই নয়, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় নিয়োগ পাওয়া অন্য কর্মকর্তাদের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনের পর বিসিএস ২১, ২২, ২৪ ও ২৫তম ব্যাচের নিয়োগ হয়। বর্তমান প্রশাসনে তাঁরা উপসচিব ও যুগ্ম সচিব পদে কর্মরত। এসব ব্যাচের পুলিশ কর্মকর্তারাও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর সামলাচ্ছেন।
জোট সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, একটি ব্যাচের নাম উল্লেখ করে নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুললেও সরকারপ্রধান বলেছেন জোট সরকারের সময় হাওয়া ভবনের তালিকা অনুযায়ী বিসিএসে নিয়োগ দেওয়া হতো।পরীক্ষাই হতো না। এতে ওই সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদেরই ইঙ্গিত করা হয়েছে, যা কাম্য নয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী একটি ব্যাচ উল্লেখ করে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের কথা বলেছেন। অন্য আমলেও হয়েছে। আর এ ধরনের মন্তব্যে প্রশাসনে নেতিবাচক প্রভাব পড়া অস্বাভাবিক নয়। সব নিয়োগই তদন্ত করে সুরাহা ও পরিষ্কার করা দরকার।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট বলছে, ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তার সংখ্যা ৪ হাজার ৯২৯ জন। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারের ৩৪৪ জন এবং পুলিশ ক্যাডারে ২১৫ জন। এ ব্যাচে শুধু স্বাস্থ্য ক্যাডারে দেড় হাজার এবং সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে প্রায় আড়াই হাজার কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০০২ সাল থেকে এই ব্যাচের নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হলেও চূড়ান্ত নিয়োগ হয় ২০০৫ সালের ১৩ জুন।
এই ব্যাচের কর্মকর্তারা ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহসহ ২৩ জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি)। কয়েকজন মন্ত্রীর একান্ত সচিবও (পিএস) আছেন। পুলিশ ক্যাডারের অধিকাংশ কর্মকর্তাই অতিরিক্ত ডিআইজি হয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। দু-একজন জেলার পুলিশ সুপারও (এসপি)।
আরও খবর পড়ুন:


বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৪ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
২১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
১ দিন আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
১ দিন আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল গেটে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অব্যবস্থাপনার বিষয়টি তদন্তের জন্য আমরা চারটি দেশকে ইনভাইট করেছি। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও তুরস্ককে আসতে বলেছি। তাদের স্পেশালিস্ট আমরা আনতে চাচ্ছি। তারা তদন্ত করে কারণটা কী এবং কে দায়ী বের করবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দরের ভেতরে চারটি ইউনিট আছে। চারটি ইউনিটই কাজ করছে। আমরা আশা করছিলাম তাড়াতাড়ি কন্ট্রোলে আসবে। কন্ট্রোলে আসতে একটু সময় লাগছে। যেহেতু বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থা চিন্তা করতে হয়। যেহেতু দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। অনেক সময় বাতাস থাকলে নেভাতে সময় লাগে।’
কার্গো ভিলেজে বিশেষায়িত ফায়ার সার্ভিস ইউনিট কেন ছিল না—এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আগুন নেভানোর জন্য বিমানে যে ইউনিট থাকে, সেটা কার্গো ভিলেজেও কাজ করতে পারে। এটিতে কোনো অসুবিধা নাই।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, ‘আগুন নেভাতে কেউ ফেল করেনি। কিন্তু সময় লাগছে। ফেল করলে সব জ্বলে যেত। ওই দিন রাত ৯টার সময় বিমানবন্দর চালু করে দিয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দর অথরিটির চারটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আছে। সেগুলো ৩০ সেকেন্ডের ভেতরে চলে আসছিল। ফায়ার সার্ভিসের যে ইউনিটগুলো আছে, তার একটি দিয়াবাড়ির মেট্রোরেলের ওখানে, আরেকটি কুর্মিটোলায়। সেগুলো ২০ মিনিটের ভেতরে চলে আসছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যেখানে আগুন ধরেছে, সেখানে কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস ম্যাটেরিয়াল ছিল। দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। যার কারণে আগুনটা ছড়িয়ে গেছে তাড়াতাড়ি। কন্ট্রোল করতে সময় নিয়েছে।’
১৮ অক্টোবর বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট-সংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিটের চেষ্টায় রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু পুরোপুরি নির্বাপণ হয় ২৬ ঘণ্টা পর ১৯ অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে।
আরও খবর পড়ুন:

বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল গেটে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অব্যবস্থাপনার বিষয়টি তদন্তের জন্য আমরা চারটি দেশকে ইনভাইট করেছি। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও তুরস্ককে আসতে বলেছি। তাদের স্পেশালিস্ট আমরা আনতে চাচ্ছি। তারা তদন্ত করে কারণটা কী এবং কে দায়ী বের করবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দরের ভেতরে চারটি ইউনিট আছে। চারটি ইউনিটই কাজ করছে। আমরা আশা করছিলাম তাড়াতাড়ি কন্ট্রোলে আসবে। কন্ট্রোলে আসতে একটু সময় লাগছে। যেহেতু বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থা চিন্তা করতে হয়। যেহেতু দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। অনেক সময় বাতাস থাকলে নেভাতে সময় লাগে।’
কার্গো ভিলেজে বিশেষায়িত ফায়ার সার্ভিস ইউনিট কেন ছিল না—এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আগুন নেভানোর জন্য বিমানে যে ইউনিট থাকে, সেটা কার্গো ভিলেজেও কাজ করতে পারে। এটিতে কোনো অসুবিধা নাই।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, ‘আগুন নেভাতে কেউ ফেল করেনি। কিন্তু সময় লাগছে। ফেল করলে সব জ্বলে যেত। ওই দিন রাত ৯টার সময় বিমানবন্দর চালু করে দিয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দর অথরিটির চারটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আছে। সেগুলো ৩০ সেকেন্ডের ভেতরে চলে আসছিল। ফায়ার সার্ভিসের যে ইউনিটগুলো আছে, তার একটি দিয়াবাড়ির মেট্রোরেলের ওখানে, আরেকটি কুর্মিটোলায়। সেগুলো ২০ মিনিটের ভেতরে চলে আসছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যেখানে আগুন ধরেছে, সেখানে কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস ম্যাটেরিয়াল ছিল। দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। যার কারণে আগুনটা ছড়িয়ে গেছে তাড়াতাড়ি। কন্ট্রোল করতে সময় নিয়েছে।’
১৮ অক্টোবর বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট-সংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিটের চেষ্টায় রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু পুরোপুরি নির্বাপণ হয় ২৬ ঘণ্টা পর ১৯ অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে।
আরও খবর পড়ুন:


বিসিএস ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এতে নড়েচড়ে বসেছেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। পদোন্নতির অপেক্ষায় থাকা এই ব্যাচের কর্মকর্তাদের বিষয়ে নতুন করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে। ফলে নির্ধারিত সময়ে তাঁদে
২৮ জুলাই ২০২৪
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
২১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
১ দিন আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
১ দিন আগেঅষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) ও রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ বিকেলে অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় বাড়িসংলগ্ন বিলের পাশে খেলা করছিল মিশকাত (৫), মাহিন (৬) ও সাত্তার তানিল মিয়া (৫)। হঠাৎ সবার অজান্তে তিন শিশু বিলে পড়ে ডুবে যায়।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিল থেকে মিশকাত ও মাহিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপর শিশু তানিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো তিন শিশু খেলাধুলা করছিল। কিন্তু কখন যে বিলের পানিতে ডুবে গেল, কেউ বোঝেনি। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে প্রথমে দুজন, পরে অন্যজনকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুঃখজনক খবর, একই বাড়ির তিনটা শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপর দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে একই দিন বিকেলে উত্তর পারুয়া গ্রামের একটি পুকুরে পড়ে মারা যায় তিন শিশু। তারা হলো সুমাইয়া আক্তার (৫), হাবীবা আক্তার (৬) ও জান্নাত আক্তার (৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে খেলার ছলে তারা তিনজনই বাড়ির পাশে পুকুরে যায়। কিছুক্ষণ পর না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন বলেন, ‘তিনটি নিষ্পাপ শিশুর এমন মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ বিকেলে অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় বাড়িসংলগ্ন বিলের পাশে খেলা করছিল মিশকাত (৫), মাহিন (৬) ও সাত্তার তানিল মিয়া (৫)। হঠাৎ সবার অজান্তে তিন শিশু বিলে পড়ে ডুবে যায়।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিল থেকে মিশকাত ও মাহিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপর শিশু তানিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো তিন শিশু খেলাধুলা করছিল। কিন্তু কখন যে বিলের পানিতে ডুবে গেল, কেউ বোঝেনি। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে প্রথমে দুজন, পরে অন্যজনকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুঃখজনক খবর, একই বাড়ির তিনটা শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপর দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে একই দিন বিকেলে উত্তর পারুয়া গ্রামের একটি পুকুরে পড়ে মারা যায় তিন শিশু। তারা হলো সুমাইয়া আক্তার (৫), হাবীবা আক্তার (৬) ও জান্নাত আক্তার (৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে খেলার ছলে তারা তিনজনই বাড়ির পাশে পুকুরে যায়। কিছুক্ষণ পর না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন বলেন, ‘তিনটি নিষ্পাপ শিশুর এমন মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’


বিসিএস ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এতে নড়েচড়ে বসেছেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। পদোন্নতির অপেক্ষায় থাকা এই ব্যাচের কর্মকর্তাদের বিষয়ে নতুন করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে। ফলে নির্ধারিত সময়ে তাঁদে
২৮ জুলাই ২০২৪
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৪ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
১ দিন আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো, বিশেষ নিয়োগব্যবস্থা, স্বতন্ত্র কোটা সংরক্ষণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ শুক্রবার আবারও যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করেছেন চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। তবে গতকাল বৃহস্পতিবারের মতো আজও তাঁদের পদযাত্রা শাহবাগ থানার সামনে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
এর আগে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজু ভাস্কর্য থেকে যমুনা অভিমুখে থালাবাটি নিয়ে ভুখা মিছিল করেন প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। শাহবাগ থানার সামনে মিছিলটি পুলিশ আটকে দিলে সেখানেই বিক্ষোভ করেন তাঁরা। একপর্যায়ে সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
গত রোববার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করা চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিবন্ধী কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদের সদস্যসচিব আলিফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচ দফা দাবিতে গত রোববার শাহবাগে অবস্থান করে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করা হয়। সেদিন পুলিশ আমাদের আটকে দেয়। এরপর সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাদের দাবি জানানো হয়। তাঁর কাছ থেকে কোনো সমাধান না পেয়ে আমরা বেশ কয়েকবার যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করি, কিন্তু পুলিশ আমাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখে।’
আলিফ হোসেন আরও বলেন, ‘আজও শাহবাগ থানার সামনে আমাদের পদযাত্রা আটকে দেওয়া হয় এবং বেশ কয়েকজনকে পুলিশ মারধরও করেছে।’
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ করা নিষেধ। তাই চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীরা দাবিদাওয়া নিয়ে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করায় তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী বেকার, শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে বিশেষ নিয়োগ দিতে হবে।
 ২. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
 ৩. দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধীরা নিজেদের পছন্দমতো শ্রুতিলেখক (বিকল্প সহকারী) মনোনয়নের স্বাধীনতা পাবেন—এমনভাবে নীতিমালা হালনাগাদ করতে হবে।
৪. সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট পদসংখ্যায় নিশ্চিত নিয়োগ দিতে হবে।
৫. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ হলে তা ৩৭ বছর করতে হবে।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো, বিশেষ নিয়োগব্যবস্থা, স্বতন্ত্র কোটা সংরক্ষণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ শুক্রবার আবারও যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করেছেন চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। তবে গতকাল বৃহস্পতিবারের মতো আজও তাঁদের পদযাত্রা শাহবাগ থানার সামনে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
এর আগে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজু ভাস্কর্য থেকে যমুনা অভিমুখে থালাবাটি নিয়ে ভুখা মিছিল করেন প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। শাহবাগ থানার সামনে মিছিলটি পুলিশ আটকে দিলে সেখানেই বিক্ষোভ করেন তাঁরা। একপর্যায়ে সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
গত রোববার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করা চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিবন্ধী কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদের সদস্যসচিব আলিফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচ দফা দাবিতে গত রোববার শাহবাগে অবস্থান করে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করা হয়। সেদিন পুলিশ আমাদের আটকে দেয়। এরপর সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাদের দাবি জানানো হয়। তাঁর কাছ থেকে কোনো সমাধান না পেয়ে আমরা বেশ কয়েকবার যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করি, কিন্তু পুলিশ আমাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখে।’
আলিফ হোসেন আরও বলেন, ‘আজও শাহবাগ থানার সামনে আমাদের পদযাত্রা আটকে দেওয়া হয় এবং বেশ কয়েকজনকে পুলিশ মারধরও করেছে।’
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ করা নিষেধ। তাই চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীরা দাবিদাওয়া নিয়ে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করায় তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী বেকার, শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে বিশেষ নিয়োগ দিতে হবে।
 ২. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
 ৩. দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধীরা নিজেদের পছন্দমতো শ্রুতিলেখক (বিকল্প সহকারী) মনোনয়নের স্বাধীনতা পাবেন—এমনভাবে নীতিমালা হালনাগাদ করতে হবে।
৪. সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট পদসংখ্যায় নিশ্চিত নিয়োগ দিতে হবে।
৫. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ হলে তা ৩৭ বছর করতে হবে।


বিসিএস ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এতে নড়েচড়ে বসেছেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। পদোন্নতির অপেক্ষায় থাকা এই ব্যাচের কর্মকর্তাদের বিষয়ে নতুন করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে। ফলে নির্ধারিত সময়ে তাঁদে
২৮ জুলাই ২০২৪
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৪ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
২১ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
১ দিন আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা 

কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক বিমান উড্ডয়ন কমিটির সভাপতি ও বিমানবন্দর পরিচালক এয়ার কমোডর মো. নুর-ই-আজম।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক ঘোষণা করার প্রজ্ঞাপন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগের মতোই অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা চলবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়।
বিমানবন্দরসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অবকাঠামোগত ও প্রশাসনিক কিছু প্রস্তুতি সম্পূর্ণ না হওয়ায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ পর্যটন খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছিল। বিশেষ করে, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতের সঙ্গে সরাসরি আকাশপথে সংযোগের পরিকল্পনাও ছিল সরকারের।

কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক বিমান উড্ডয়ন কমিটির সভাপতি ও বিমানবন্দর পরিচালক এয়ার কমোডর মো. নুর-ই-আজম।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক ঘোষণা করার প্রজ্ঞাপন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগের মতোই অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা চলবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়।
বিমানবন্দরসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অবকাঠামোগত ও প্রশাসনিক কিছু প্রস্তুতি সম্পূর্ণ না হওয়ায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ পর্যটন খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছিল। বিশেষ করে, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতের সঙ্গে সরাসরি আকাশপথে সংযোগের পরিকল্পনাও ছিল সরকারের।


বিসিএস ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এতে নড়েচড়ে বসেছেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। পদোন্নতির অপেক্ষায় থাকা এই ব্যাচের কর্মকর্তাদের বিষয়ে নতুন করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে। ফলে নির্ধারিত সময়ে তাঁদে
২৮ জুলাই ২০২৪
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৪ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
২১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
১ দিন আগে