উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা

বিসিএস ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এতে নড়েচড়ে বসেছেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। পদোন্নতির অপেক্ষায় থাকা এই ব্যাচের কর্মকর্তাদের বিষয়ে নতুন করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে। ফলে নির্ধারিত সময়ে তাঁদের পদোন্নতি হচ্ছে না, তা অনেকটাই নিশ্চিত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
২৪তম বিসিএসের নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয় ২০০২ সালে। আর চূড়ান্ত নিয়োগ হয় ২০০৫ সালের ১৩ জুন। বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকার এ সময় ক্ষমতায় ছিল। এ কারণে এসব কর্মকর্তার ছাত্রজীবন এবং পরিবার, আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক পরিচয় খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দা সংস্থা। বিশেষ করে ওই সময় বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদল-শিবিরের পদধারী যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে রাজি হননি প্রশাসনের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে প্রশাসনে উপসচিব থেকে যুগ্ম সচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপসচিব পদে পদোন্নতি হওয়ার কথা ছিল। এবার যুগ্ম সচিব পদে বিসিএস ২৪তম ব্যাচ এবং উপসচিব পদে ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়মিত ব্যাচ হিসেবে আমলে নেবে পদোন্নতির জন্য সুপারিশকারী কর্তৃপক্ষ সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি)। আগস্টের প্রথম দিকেই এসএসবির বৈঠক শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলন-পরবর্তী পরিস্থিতির কারণে পদোন্নতি-প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া সাপেক্ষে উপসচিব পদে পদোন্নতির জন্য এসএসবির বৈঠক হতে পারে।
এরপর তথ্য-উপাত্ত পাওয়ার পর যুগ্ম সচিব পদের পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু হবে। এর আগে ১ জুলাই জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন নিজ দপ্তরে আজকের পত্রিকা’কে বলেছিলেন, ‘আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে প্রশাসনের দুই স্তরের পদোন্নতি হবে। প্রথমে উপসচিব, পরে যুগ্ম সচিব পদে। পদোন্নতি দিতে শিগগিরই এসএসবির বৈঠক শুরু হবে।’
তবে একটি ব্যাচের নাম উল্লেখ করে সরকারপ্রধানের মন্তব্যের পর প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাচের প্রায় ৫ হাজার কর্মকর্তার মধ্যে একধরনের অস্বস্তি সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) প্রশ্নপত্র ফাঁস ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক গাড়িচালক আবেদ আলী ইস্যুর মধ্যেই চীন সফর শেষে ১৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে হাওয়া ভবন থেকে পাঠানো তালিকায় বিসিএসে চাকরি হতো। এ সময় কোনো পরীক্ষাই হতো না।’ তিনি বলেন, ‘২০০২ সালে ২৪তম বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির আমলে ওই সময়ে যতগুলো পরীক্ষা হয়েছে, চাকরি হয়েছে, সবগুলোর তালিকা হাওয়া ভবন থেকে পাঠানো হতো। ওই তালিকা অনুযায়ী চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হতো।’
এমন পরিস্থিতিতে ২৪তম ব্যাচসহ প্রশাসনে একধরনের অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে নতুন করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা নিয়েই অনেকেই চিন্তিত। তাঁদের কেউ কেউ বলেন, প্রশাসনে তাঁদের চাকরির বয়স হয়েছে ২০ বছরের বেশি। সামনে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ার কথা। এখন এ ধরনের প্রশ্ন উঠলে তাঁদের জন্য খুবই বিব্রতকর ও অমানবিক।
২৪তম ব্যাচের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘নিয়োগ বিএনপি আমলে হলেও আমাদের ২০ বছরের চাকরির প্রায় পুরো ভাগই সার্ভিস দিয়েছি এই সরকারের। ১৬ বছর ধরে সার্ভিস দিয়েও কী আমাদের আবার পরীক্ষা দিতে হবে? নতুন করে গোয়েন্দারা কী তথ্য নেবে? এর মাধ্যমে আমাদের সামাজিকভাবে হেয় করা হচ্ছে।’
শুধু ২৪তম ব্যাচই নয়, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় নিয়োগ পাওয়া অন্য কর্মকর্তাদের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনের পর বিসিএস ২১, ২২, ২৪ ও ২৫তম ব্যাচের নিয়োগ হয়। বর্তমান প্রশাসনে তাঁরা উপসচিব ও যুগ্ম সচিব পদে কর্মরত। এসব ব্যাচের পুলিশ কর্মকর্তারাও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর সামলাচ্ছেন।
জোট সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, একটি ব্যাচের নাম উল্লেখ করে নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুললেও সরকারপ্রধান বলেছেন জোট সরকারের সময় হাওয়া ভবনের তালিকা অনুযায়ী বিসিএসে নিয়োগ দেওয়া হতো।পরীক্ষাই হতো না। এতে ওই সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদেরই ইঙ্গিত করা হয়েছে, যা কাম্য নয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী একটি ব্যাচ উল্লেখ করে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের কথা বলেছেন। অন্য আমলেও হয়েছে। আর এ ধরনের মন্তব্যে প্রশাসনে নেতিবাচক প্রভাব পড়া অস্বাভাবিক নয়। সব নিয়োগই তদন্ত করে সুরাহা ও পরিষ্কার করা দরকার।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট বলছে, ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তার সংখ্যা ৪ হাজার ৯২৯ জন। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারের ৩৪৪ জন এবং পুলিশ ক্যাডারে ২১৫ জন। এ ব্যাচে শুধু স্বাস্থ্য ক্যাডারে দেড় হাজার এবং সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে প্রায় আড়াই হাজার কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০০২ সাল থেকে এই ব্যাচের নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হলেও চূড়ান্ত নিয়োগ হয় ২০০৫ সালের ১৩ জুন।
এই ব্যাচের কর্মকর্তারা ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহসহ ২৩ জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি)। কয়েকজন মন্ত্রীর একান্ত সচিবও (পিএস) আছেন। পুলিশ ক্যাডারের অধিকাংশ কর্মকর্তাই অতিরিক্ত ডিআইজি হয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। দু-একজন জেলার পুলিশ সুপারও (এসপি)।
আরও খবর পড়ুন:

বিসিএস ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এতে নড়েচড়ে বসেছেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। পদোন্নতির অপেক্ষায় থাকা এই ব্যাচের কর্মকর্তাদের বিষয়ে নতুন করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে। ফলে নির্ধারিত সময়ে তাঁদের পদোন্নতি হচ্ছে না, তা অনেকটাই নিশ্চিত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
২৪তম বিসিএসের নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয় ২০০২ সালে। আর চূড়ান্ত নিয়োগ হয় ২০০৫ সালের ১৩ জুন। বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকার এ সময় ক্ষমতায় ছিল। এ কারণে এসব কর্মকর্তার ছাত্রজীবন এবং পরিবার, আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক পরিচয় খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দা সংস্থা। বিশেষ করে ওই সময় বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদল-শিবিরের পদধারী যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে রাজি হননি প্রশাসনের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে প্রশাসনে উপসচিব থেকে যুগ্ম সচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপসচিব পদে পদোন্নতি হওয়ার কথা ছিল। এবার যুগ্ম সচিব পদে বিসিএস ২৪তম ব্যাচ এবং উপসচিব পদে ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়মিত ব্যাচ হিসেবে আমলে নেবে পদোন্নতির জন্য সুপারিশকারী কর্তৃপক্ষ সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি)। আগস্টের প্রথম দিকেই এসএসবির বৈঠক শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলন-পরবর্তী পরিস্থিতির কারণে পদোন্নতি-প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া সাপেক্ষে উপসচিব পদে পদোন্নতির জন্য এসএসবির বৈঠক হতে পারে।
এরপর তথ্য-উপাত্ত পাওয়ার পর যুগ্ম সচিব পদের পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু হবে। এর আগে ১ জুলাই জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন নিজ দপ্তরে আজকের পত্রিকা’কে বলেছিলেন, ‘আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে প্রশাসনের দুই স্তরের পদোন্নতি হবে। প্রথমে উপসচিব, পরে যুগ্ম সচিব পদে। পদোন্নতি দিতে শিগগিরই এসএসবির বৈঠক শুরু হবে।’
তবে একটি ব্যাচের নাম উল্লেখ করে সরকারপ্রধানের মন্তব্যের পর প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাচের প্রায় ৫ হাজার কর্মকর্তার মধ্যে একধরনের অস্বস্তি সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) প্রশ্নপত্র ফাঁস ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক গাড়িচালক আবেদ আলী ইস্যুর মধ্যেই চীন সফর শেষে ১৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে হাওয়া ভবন থেকে পাঠানো তালিকায় বিসিএসে চাকরি হতো। এ সময় কোনো পরীক্ষাই হতো না।’ তিনি বলেন, ‘২০০২ সালে ২৪তম বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির আমলে ওই সময়ে যতগুলো পরীক্ষা হয়েছে, চাকরি হয়েছে, সবগুলোর তালিকা হাওয়া ভবন থেকে পাঠানো হতো। ওই তালিকা অনুযায়ী চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হতো।’
এমন পরিস্থিতিতে ২৪তম ব্যাচসহ প্রশাসনে একধরনের অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে নতুন করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা নিয়েই অনেকেই চিন্তিত। তাঁদের কেউ কেউ বলেন, প্রশাসনে তাঁদের চাকরির বয়স হয়েছে ২০ বছরের বেশি। সামনে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ার কথা। এখন এ ধরনের প্রশ্ন উঠলে তাঁদের জন্য খুবই বিব্রতকর ও অমানবিক।
২৪তম ব্যাচের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘নিয়োগ বিএনপি আমলে হলেও আমাদের ২০ বছরের চাকরির প্রায় পুরো ভাগই সার্ভিস দিয়েছি এই সরকারের। ১৬ বছর ধরে সার্ভিস দিয়েও কী আমাদের আবার পরীক্ষা দিতে হবে? নতুন করে গোয়েন্দারা কী তথ্য নেবে? এর মাধ্যমে আমাদের সামাজিকভাবে হেয় করা হচ্ছে।’
শুধু ২৪তম ব্যাচই নয়, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় নিয়োগ পাওয়া অন্য কর্মকর্তাদের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনের পর বিসিএস ২১, ২২, ২৪ ও ২৫তম ব্যাচের নিয়োগ হয়। বর্তমান প্রশাসনে তাঁরা উপসচিব ও যুগ্ম সচিব পদে কর্মরত। এসব ব্যাচের পুলিশ কর্মকর্তারাও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর সামলাচ্ছেন।
জোট সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, একটি ব্যাচের নাম উল্লেখ করে নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুললেও সরকারপ্রধান বলেছেন জোট সরকারের সময় হাওয়া ভবনের তালিকা অনুযায়ী বিসিএসে নিয়োগ দেওয়া হতো।পরীক্ষাই হতো না। এতে ওই সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদেরই ইঙ্গিত করা হয়েছে, যা কাম্য নয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী একটি ব্যাচ উল্লেখ করে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের কথা বলেছেন। অন্য আমলেও হয়েছে। আর এ ধরনের মন্তব্যে প্রশাসনে নেতিবাচক প্রভাব পড়া অস্বাভাবিক নয়। সব নিয়োগই তদন্ত করে সুরাহা ও পরিষ্কার করা দরকার।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট বলছে, ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তার সংখ্যা ৪ হাজার ৯২৯ জন। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারের ৩৪৪ জন এবং পুলিশ ক্যাডারে ২১৫ জন। এ ব্যাচে শুধু স্বাস্থ্য ক্যাডারে দেড় হাজার এবং সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে প্রায় আড়াই হাজার কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০০২ সাল থেকে এই ব্যাচের নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হলেও চূড়ান্ত নিয়োগ হয় ২০০৫ সালের ১৩ জুন।
এই ব্যাচের কর্মকর্তারা ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহসহ ২৩ জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি)। কয়েকজন মন্ত্রীর একান্ত সচিবও (পিএস) আছেন। পুলিশ ক্যাডারের অধিকাংশ কর্মকর্তাই অতিরিক্ত ডিআইজি হয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। দু-একজন জেলার পুলিশ সুপারও (এসপি)।
আরও খবর পড়ুন:
উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা

বিসিএস ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এতে নড়েচড়ে বসেছেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। পদোন্নতির অপেক্ষায় থাকা এই ব্যাচের কর্মকর্তাদের বিষয়ে নতুন করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে। ফলে নির্ধারিত সময়ে তাঁদের পদোন্নতি হচ্ছে না, তা অনেকটাই নিশ্চিত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
২৪তম বিসিএসের নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয় ২০০২ সালে। আর চূড়ান্ত নিয়োগ হয় ২০০৫ সালের ১৩ জুন। বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকার এ সময় ক্ষমতায় ছিল। এ কারণে এসব কর্মকর্তার ছাত্রজীবন এবং পরিবার, আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক পরিচয় খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দা সংস্থা। বিশেষ করে ওই সময় বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদল-শিবিরের পদধারী যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে রাজি হননি প্রশাসনের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে প্রশাসনে উপসচিব থেকে যুগ্ম সচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপসচিব পদে পদোন্নতি হওয়ার কথা ছিল। এবার যুগ্ম সচিব পদে বিসিএস ২৪তম ব্যাচ এবং উপসচিব পদে ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়মিত ব্যাচ হিসেবে আমলে নেবে পদোন্নতির জন্য সুপারিশকারী কর্তৃপক্ষ সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি)। আগস্টের প্রথম দিকেই এসএসবির বৈঠক শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলন-পরবর্তী পরিস্থিতির কারণে পদোন্নতি-প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া সাপেক্ষে উপসচিব পদে পদোন্নতির জন্য এসএসবির বৈঠক হতে পারে।
এরপর তথ্য-উপাত্ত পাওয়ার পর যুগ্ম সচিব পদের পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু হবে। এর আগে ১ জুলাই জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন নিজ দপ্তরে আজকের পত্রিকা’কে বলেছিলেন, ‘আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে প্রশাসনের দুই স্তরের পদোন্নতি হবে। প্রথমে উপসচিব, পরে যুগ্ম সচিব পদে। পদোন্নতি দিতে শিগগিরই এসএসবির বৈঠক শুরু হবে।’
তবে একটি ব্যাচের নাম উল্লেখ করে সরকারপ্রধানের মন্তব্যের পর প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাচের প্রায় ৫ হাজার কর্মকর্তার মধ্যে একধরনের অস্বস্তি সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) প্রশ্নপত্র ফাঁস ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক গাড়িচালক আবেদ আলী ইস্যুর মধ্যেই চীন সফর শেষে ১৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে হাওয়া ভবন থেকে পাঠানো তালিকায় বিসিএসে চাকরি হতো। এ সময় কোনো পরীক্ষাই হতো না।’ তিনি বলেন, ‘২০০২ সালে ২৪তম বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির আমলে ওই সময়ে যতগুলো পরীক্ষা হয়েছে, চাকরি হয়েছে, সবগুলোর তালিকা হাওয়া ভবন থেকে পাঠানো হতো। ওই তালিকা অনুযায়ী চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হতো।’
এমন পরিস্থিতিতে ২৪তম ব্যাচসহ প্রশাসনে একধরনের অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে নতুন করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা নিয়েই অনেকেই চিন্তিত। তাঁদের কেউ কেউ বলেন, প্রশাসনে তাঁদের চাকরির বয়স হয়েছে ২০ বছরের বেশি। সামনে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ার কথা। এখন এ ধরনের প্রশ্ন উঠলে তাঁদের জন্য খুবই বিব্রতকর ও অমানবিক।
২৪তম ব্যাচের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘নিয়োগ বিএনপি আমলে হলেও আমাদের ২০ বছরের চাকরির প্রায় পুরো ভাগই সার্ভিস দিয়েছি এই সরকারের। ১৬ বছর ধরে সার্ভিস দিয়েও কী আমাদের আবার পরীক্ষা দিতে হবে? নতুন করে গোয়েন্দারা কী তথ্য নেবে? এর মাধ্যমে আমাদের সামাজিকভাবে হেয় করা হচ্ছে।’
শুধু ২৪তম ব্যাচই নয়, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় নিয়োগ পাওয়া অন্য কর্মকর্তাদের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনের পর বিসিএস ২১, ২২, ২৪ ও ২৫তম ব্যাচের নিয়োগ হয়। বর্তমান প্রশাসনে তাঁরা উপসচিব ও যুগ্ম সচিব পদে কর্মরত। এসব ব্যাচের পুলিশ কর্মকর্তারাও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর সামলাচ্ছেন।
জোট সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, একটি ব্যাচের নাম উল্লেখ করে নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুললেও সরকারপ্রধান বলেছেন জোট সরকারের সময় হাওয়া ভবনের তালিকা অনুযায়ী বিসিএসে নিয়োগ দেওয়া হতো।পরীক্ষাই হতো না। এতে ওই সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদেরই ইঙ্গিত করা হয়েছে, যা কাম্য নয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী একটি ব্যাচ উল্লেখ করে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের কথা বলেছেন। অন্য আমলেও হয়েছে। আর এ ধরনের মন্তব্যে প্রশাসনে নেতিবাচক প্রভাব পড়া অস্বাভাবিক নয়। সব নিয়োগই তদন্ত করে সুরাহা ও পরিষ্কার করা দরকার।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট বলছে, ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তার সংখ্যা ৪ হাজার ৯২৯ জন। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারের ৩৪৪ জন এবং পুলিশ ক্যাডারে ২১৫ জন। এ ব্যাচে শুধু স্বাস্থ্য ক্যাডারে দেড় হাজার এবং সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে প্রায় আড়াই হাজার কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০০২ সাল থেকে এই ব্যাচের নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হলেও চূড়ান্ত নিয়োগ হয় ২০০৫ সালের ১৩ জুন।
এই ব্যাচের কর্মকর্তারা ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহসহ ২৩ জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি)। কয়েকজন মন্ত্রীর একান্ত সচিবও (পিএস) আছেন। পুলিশ ক্যাডারের অধিকাংশ কর্মকর্তাই অতিরিক্ত ডিআইজি হয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। দু-একজন জেলার পুলিশ সুপারও (এসপি)।
আরও খবর পড়ুন:

বিসিএস ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এতে নড়েচড়ে বসেছেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। পদোন্নতির অপেক্ষায় থাকা এই ব্যাচের কর্মকর্তাদের বিষয়ে নতুন করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে। ফলে নির্ধারিত সময়ে তাঁদের পদোন্নতি হচ্ছে না, তা অনেকটাই নিশ্চিত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
২৪তম বিসিএসের নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয় ২০০২ সালে। আর চূড়ান্ত নিয়োগ হয় ২০০৫ সালের ১৩ জুন। বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকার এ সময় ক্ষমতায় ছিল। এ কারণে এসব কর্মকর্তার ছাত্রজীবন এবং পরিবার, আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক পরিচয় খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দা সংস্থা। বিশেষ করে ওই সময় বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদল-শিবিরের পদধারী যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে রাজি হননি প্রশাসনের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে প্রশাসনে উপসচিব থেকে যুগ্ম সচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপসচিব পদে পদোন্নতি হওয়ার কথা ছিল। এবার যুগ্ম সচিব পদে বিসিএস ২৪তম ব্যাচ এবং উপসচিব পদে ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়মিত ব্যাচ হিসেবে আমলে নেবে পদোন্নতির জন্য সুপারিশকারী কর্তৃপক্ষ সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি)। আগস্টের প্রথম দিকেই এসএসবির বৈঠক শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলন-পরবর্তী পরিস্থিতির কারণে পদোন্নতি-প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া সাপেক্ষে উপসচিব পদে পদোন্নতির জন্য এসএসবির বৈঠক হতে পারে।
এরপর তথ্য-উপাত্ত পাওয়ার পর যুগ্ম সচিব পদের পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু হবে। এর আগে ১ জুলাই জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন নিজ দপ্তরে আজকের পত্রিকা’কে বলেছিলেন, ‘আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে প্রশাসনের দুই স্তরের পদোন্নতি হবে। প্রথমে উপসচিব, পরে যুগ্ম সচিব পদে। পদোন্নতি দিতে শিগগিরই এসএসবির বৈঠক শুরু হবে।’
তবে একটি ব্যাচের নাম উল্লেখ করে সরকারপ্রধানের মন্তব্যের পর প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাচের প্রায় ৫ হাজার কর্মকর্তার মধ্যে একধরনের অস্বস্তি সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) প্রশ্নপত্র ফাঁস ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক গাড়িচালক আবেদ আলী ইস্যুর মধ্যেই চীন সফর শেষে ১৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে হাওয়া ভবন থেকে পাঠানো তালিকায় বিসিএসে চাকরি হতো। এ সময় কোনো পরীক্ষাই হতো না।’ তিনি বলেন, ‘২০০২ সালে ২৪তম বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির আমলে ওই সময়ে যতগুলো পরীক্ষা হয়েছে, চাকরি হয়েছে, সবগুলোর তালিকা হাওয়া ভবন থেকে পাঠানো হতো। ওই তালিকা অনুযায়ী চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হতো।’
এমন পরিস্থিতিতে ২৪তম ব্যাচসহ প্রশাসনে একধরনের অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে নতুন করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা নিয়েই অনেকেই চিন্তিত। তাঁদের কেউ কেউ বলেন, প্রশাসনে তাঁদের চাকরির বয়স হয়েছে ২০ বছরের বেশি। সামনে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ার কথা। এখন এ ধরনের প্রশ্ন উঠলে তাঁদের জন্য খুবই বিব্রতকর ও অমানবিক।
২৪তম ব্যাচের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘নিয়োগ বিএনপি আমলে হলেও আমাদের ২০ বছরের চাকরির প্রায় পুরো ভাগই সার্ভিস দিয়েছি এই সরকারের। ১৬ বছর ধরে সার্ভিস দিয়েও কী আমাদের আবার পরীক্ষা দিতে হবে? নতুন করে গোয়েন্দারা কী তথ্য নেবে? এর মাধ্যমে আমাদের সামাজিকভাবে হেয় করা হচ্ছে।’
শুধু ২৪তম ব্যাচই নয়, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় নিয়োগ পাওয়া অন্য কর্মকর্তাদের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনের পর বিসিএস ২১, ২২, ২৪ ও ২৫তম ব্যাচের নিয়োগ হয়। বর্তমান প্রশাসনে তাঁরা উপসচিব ও যুগ্ম সচিব পদে কর্মরত। এসব ব্যাচের পুলিশ কর্মকর্তারাও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর সামলাচ্ছেন।
জোট সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, একটি ব্যাচের নাম উল্লেখ করে নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুললেও সরকারপ্রধান বলেছেন জোট সরকারের সময় হাওয়া ভবনের তালিকা অনুযায়ী বিসিএসে নিয়োগ দেওয়া হতো।পরীক্ষাই হতো না। এতে ওই সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদেরই ইঙ্গিত করা হয়েছে, যা কাম্য নয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী একটি ব্যাচ উল্লেখ করে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের কথা বলেছেন। অন্য আমলেও হয়েছে। আর এ ধরনের মন্তব্যে প্রশাসনে নেতিবাচক প্রভাব পড়া অস্বাভাবিক নয়। সব নিয়োগই তদন্ত করে সুরাহা ও পরিষ্কার করা দরকার।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট বলছে, ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তার সংখ্যা ৪ হাজার ৯২৯ জন। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারের ৩৪৪ জন এবং পুলিশ ক্যাডারে ২১৫ জন। এ ব্যাচে শুধু স্বাস্থ্য ক্যাডারে দেড় হাজার এবং সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে প্রায় আড়াই হাজার কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০০২ সাল থেকে এই ব্যাচের নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হলেও চূড়ান্ত নিয়োগ হয় ২০০৫ সালের ১৩ জুন।
এই ব্যাচের কর্মকর্তারা ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহসহ ২৩ জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি)। কয়েকজন মন্ত্রীর একান্ত সচিবও (পিএস) আছেন। পুলিশ ক্যাডারের অধিকাংশ কর্মকর্তাই অতিরিক্ত ডিআইজি হয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। দু-একজন জেলার পুলিশ সুপারও (এসপি)।
আরও খবর পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের নতুন করে একটি সুযোগ দিয়েছে। অন্য জেনারেশন এই সুযোগ পাবে না। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারব। আর যদি না পারি, তাহলে জাতি মুখ থুবড়ে পড়বে। এর আগেও আমরা নির্বাচন দেখেছি। বিগত আমলে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, যেকোনো সুস্থ মানুষ
৩৬ মিনিট আগে
বাগেরহাটের ৪টি আসন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিতে এ আদেশ দেন।
২ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন। বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
২ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী আগামী নির্বাচনকে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এই নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের মাধ্যমে স্মরণীয় করে রাখতে হবে।
রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা থেকে আজ বুধবার সারা দেশের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন দেশের সব জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা।
প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের নতুন করে একটি সুযোগ দিয়েছে। অন্য জেনারেশন এই সুযোগ পাবে না। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারব। আর যদি না পারি, তাহলে জাতি মুখ থুবড়ে পড়বে। এর আগেও আমরা নির্বাচন দেখেছি। বিগত আমলে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, যেকোনো সুস্থ মানুষ বলবে—এটা নির্বাচন নয়, প্রতারণা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন অন্যান্য দায়িত্বের মতো নয়; বরং একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব। আমরা যদি ভালোভাবে এই দায়িত্ব পালন করতে পারি, তাহলে আগামী নির্বাচনের দিনটি জনগণের জন্যও ঐতিহাসিক হবে।’
ইউএনওদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আপনারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে সরকার তার দায়িত্বটি সফলভাবে পালন করতে সক্ষম হবে।’
আগামী সংসদ নির্বাচন ও গণভোট দুটিই জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘নির্বাচন আগামী পাঁচ বছরের জন্য আর গণভোট শত বছরের জন্য। এর মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশটাকে স্থায়ীভাবে পাল্টে দিতে পারি। যে নতুন বাংলাদেশ আমরা তৈরি করতে চাই, তার ভিতটা এর মাধ্যমে গড়তে পারি।’
এ সময় সদ্য যোগদান করা ইউএনওদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনাদের প্রধান দায়িত্ব হলো একটি শান্তিপূর্ণ ও আনন্দমুখর নির্বাচন আয়োজন করা।’
প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের নিজ নিজ এলাকার সব পোলিং স্টেশন পরিদর্শনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ, এলাকাবাসী ও সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে সুন্দর নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেন।
গণভোট বিষয়ে ভোটারদের সচেতন করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘ভোটারদের বোঝাতে হবে, আপনারা মন ঠিক করে আসুন—“হ্যাঁ”-তে দেবেন নাকি “না”-তে ভোট দেবেন। মন ঠিক করে আসুন।’
কর্মকর্তাদের ধাত্রীর সঙ্গে তুলনা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ধাত্রী ভালো হলে জন্ম নেওয়া শিশুও ভালো হয়।
তিনি কর্মকর্তাদের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সৃজনশীল হওয়ার পাশাপাশি অপতথ্য ও গুজব প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন।
নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নারীরা যেন ঠিকভাবে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।
শিগগির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে উল্লেখ করে ড. ইউনূস ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত কখন, কীভাবে, কোন কাজটি করবেন—তার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি এখন থেকেই নিন।’
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম ও জনপ্রশাসন সচিব মো. এহছানুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী আগামী নির্বাচনকে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এই নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের মাধ্যমে স্মরণীয় করে রাখতে হবে।
রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা থেকে আজ বুধবার সারা দেশের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন দেশের সব জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা।
প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের নতুন করে একটি সুযোগ দিয়েছে। অন্য জেনারেশন এই সুযোগ পাবে না। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারব। আর যদি না পারি, তাহলে জাতি মুখ থুবড়ে পড়বে। এর আগেও আমরা নির্বাচন দেখেছি। বিগত আমলে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, যেকোনো সুস্থ মানুষ বলবে—এটা নির্বাচন নয়, প্রতারণা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন অন্যান্য দায়িত্বের মতো নয়; বরং একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব। আমরা যদি ভালোভাবে এই দায়িত্ব পালন করতে পারি, তাহলে আগামী নির্বাচনের দিনটি জনগণের জন্যও ঐতিহাসিক হবে।’
ইউএনওদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আপনারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে সরকার তার দায়িত্বটি সফলভাবে পালন করতে সক্ষম হবে।’
আগামী সংসদ নির্বাচন ও গণভোট দুটিই জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘নির্বাচন আগামী পাঁচ বছরের জন্য আর গণভোট শত বছরের জন্য। এর মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশটাকে স্থায়ীভাবে পাল্টে দিতে পারি। যে নতুন বাংলাদেশ আমরা তৈরি করতে চাই, তার ভিতটা এর মাধ্যমে গড়তে পারি।’
এ সময় সদ্য যোগদান করা ইউএনওদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনাদের প্রধান দায়িত্ব হলো একটি শান্তিপূর্ণ ও আনন্দমুখর নির্বাচন আয়োজন করা।’
প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের নিজ নিজ এলাকার সব পোলিং স্টেশন পরিদর্শনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ, এলাকাবাসী ও সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে সুন্দর নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেন।
গণভোট বিষয়ে ভোটারদের সচেতন করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘ভোটারদের বোঝাতে হবে, আপনারা মন ঠিক করে আসুন—“হ্যাঁ”-তে দেবেন নাকি “না”-তে ভোট দেবেন। মন ঠিক করে আসুন।’
কর্মকর্তাদের ধাত্রীর সঙ্গে তুলনা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ধাত্রী ভালো হলে জন্ম নেওয়া শিশুও ভালো হয়।
তিনি কর্মকর্তাদের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সৃজনশীল হওয়ার পাশাপাশি অপতথ্য ও গুজব প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন।
নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নারীরা যেন ঠিকভাবে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।
শিগগির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে উল্লেখ করে ড. ইউনূস ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত কখন, কীভাবে, কোন কাজটি করবেন—তার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি এখন থেকেই নিন।’
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম ও জনপ্রশাসন সচিব মো. এহছানুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিসিএস ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এতে নড়েচড়ে বসেছেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। পদোন্নতির অপেক্ষায় থাকা এই ব্যাচের কর্মকর্তাদের বিষয়ে নতুন করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে। ফলে নির্ধারিত সময়ে তাঁদে
২৮ জুলাই ২০২৪
বাগেরহাটের ৪টি আসন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিতে এ আদেশ দেন।
২ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন। বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
২ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাগেরহাটের ৪টি আসন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিতে এ আদেশ দেন।
এর ফলে বহাল থাকল বাগেরহাটের চারটি আসন। বাদ পড়েছে গাজীপুর-৬ আসনটিও।
এর আগে বাগেরহাটের আসন একটি কমিয়ে তিনটি করা এবং গাজীপুরে একটি বাড়ানো-সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের গেজেট চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত বাতিল করে গত ১০ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন।
হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পরপরই তা স্থগিত চেয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এবং গাজীপুর-৬ আসন থেকে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ড. হাফিজুর রহমান ও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মো. সালাহ উদ্দিন সরকার আপিল বিভাগে পৃথক আবেদন করেন।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ড. হাফিজুর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন।

বাগেরহাটের ৪টি আসন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিতে এ আদেশ দেন।
এর ফলে বহাল থাকল বাগেরহাটের চারটি আসন। বাদ পড়েছে গাজীপুর-৬ আসনটিও।
এর আগে বাগেরহাটের আসন একটি কমিয়ে তিনটি করা এবং গাজীপুরে একটি বাড়ানো-সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের গেজেট চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত বাতিল করে গত ১০ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন।
হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পরপরই তা স্থগিত চেয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এবং গাজীপুর-৬ আসন থেকে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ড. হাফিজুর রহমান ও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মো. সালাহ উদ্দিন সরকার আপিল বিভাগে পৃথক আবেদন করেন।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ড. হাফিজুর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন।

বিসিএস ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এতে নড়েচড়ে বসেছেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। পদোন্নতির অপেক্ষায় থাকা এই ব্যাচের কর্মকর্তাদের বিষয়ে নতুন করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে। ফলে নির্ধারিত সময়ে তাঁদে
২৮ জুলাই ২০২৪
প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের নতুন করে একটি সুযোগ দিয়েছে। অন্য জেনারেশন এই সুযোগ পাবে না। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারব। আর যদি না পারি, তাহলে জাতি মুখ থুবড়ে পড়বে। এর আগেও আমরা নির্বাচন দেখেছি। বিগত আমলে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, যেকোনো সুস্থ মানুষ
৩৬ মিনিট আগে
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন। বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
২ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন।
বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের সার্বিক প্রস্তুতি ও তফসিল ঘোষণা বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে আলোচনা করতে বঙ্গভবনে গেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। সিইসি দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বঙ্গভবনে পৌঁছান।
এর আগে ১০টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে বঙ্গভবনের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে রয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ (অবসরপ্রাপ্ত), তাহমিদা বেগম, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও আব্দুর রহমানেল মাছউদ এবং ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। তফসিল-সংক্রান্ত ভাষণ রেকর্ড করতে ইতিমধ্যে বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারকে চিঠিও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন।
বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের সার্বিক প্রস্তুতি ও তফসিল ঘোষণা বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে আলোচনা করতে বঙ্গভবনে গেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। সিইসি দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বঙ্গভবনে পৌঁছান।
এর আগে ১০টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে বঙ্গভবনের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে রয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ (অবসরপ্রাপ্ত), তাহমিদা বেগম, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও আব্দুর রহমানেল মাছউদ এবং ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। তফসিল-সংক্রান্ত ভাষণ রেকর্ড করতে ইতিমধ্যে বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারকে চিঠিও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

বিসিএস ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এতে নড়েচড়ে বসেছেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। পদোন্নতির অপেক্ষায় থাকা এই ব্যাচের কর্মকর্তাদের বিষয়ে নতুন করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে। ফলে নির্ধারিত সময়ে তাঁদে
২৮ জুলাই ২০২৪
প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের নতুন করে একটি সুযোগ দিয়েছে। অন্য জেনারেশন এই সুযোগ পাবে না। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারব। আর যদি না পারি, তাহলে জাতি মুখ থুবড়ে পড়বে। এর আগেও আমরা নির্বাচন দেখেছি। বিগত আমলে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, যেকোনো সুস্থ মানুষ
৩৬ মিনিট আগে
বাগেরহাটের ৪টি আসন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিতে এ আদেশ দেন।
২ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই কনভেনশনের আওতায় এটি বাংলাদেশের ষষ্ঠ একক নিবন্ধন। সভায় প্রথমবারের মতো সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর বিগত চার বছরে এটি দ্বিতীয় নিবন্ধন।
সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান এবং ইউনেসকো সাধারণ পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য অসামান্য গৌরবের বিষয়। দীর্ঘ দুই শতকের বেশি সময় ধরে টাঙ্গাইলের তাঁতিদের অনবদ্য শিল্পকর্মের বৈশ্বিক স্বীকৃতি এটি।’
তিনি আরও বলেন, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের সকল নারীর নিত্য পরিধেয়, যা এই শাড়ি বুনন শিল্পের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের পেছনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।’
এই অর্জনকে বাংলাদেশের সকল তাঁতি ও নারীদের প্রতি উৎসর্গ করেছেন রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা।
বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সামগ্রিক সুরক্ষায় এই স্বীকৃতি নতুন মাত্রা যোগ করবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত তালহা বলেন, ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেসকোর স্বীকৃতি অর্জনের মতো বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক উপাদান রয়েছে।
নথি প্রস্তুত করার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কনভেনশন সংক্রান্ত অভিজ্ঞ জনবল তৈরি করার মাধ্যমে আরও অনেক ঐতিহ্যের ইউনেসকো-স্বীকৃতি অর্জনের সুযোগ রয়েছে।
এর আগে, গত ৭ ডিসেম্বর আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের চলমান ২০তম সভা উদ্বোধন করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শংকর। অনুষ্ঠানে ইউনেসকোর নবনিযুক্ত মহাপরিচালক খালেদ এল. এনানি উপস্থিত ছিলেন।

টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই কনভেনশনের আওতায় এটি বাংলাদেশের ষষ্ঠ একক নিবন্ধন। সভায় প্রথমবারের মতো সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর বিগত চার বছরে এটি দ্বিতীয় নিবন্ধন।
সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান এবং ইউনেসকো সাধারণ পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য অসামান্য গৌরবের বিষয়। দীর্ঘ দুই শতকের বেশি সময় ধরে টাঙ্গাইলের তাঁতিদের অনবদ্য শিল্পকর্মের বৈশ্বিক স্বীকৃতি এটি।’
তিনি আরও বলেন, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের সকল নারীর নিত্য পরিধেয়, যা এই শাড়ি বুনন শিল্পের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের পেছনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।’
এই অর্জনকে বাংলাদেশের সকল তাঁতি ও নারীদের প্রতি উৎসর্গ করেছেন রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা।
বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সামগ্রিক সুরক্ষায় এই স্বীকৃতি নতুন মাত্রা যোগ করবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত তালহা বলেন, ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেসকোর স্বীকৃতি অর্জনের মতো বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক উপাদান রয়েছে।
নথি প্রস্তুত করার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কনভেনশন সংক্রান্ত অভিজ্ঞ জনবল তৈরি করার মাধ্যমে আরও অনেক ঐতিহ্যের ইউনেসকো-স্বীকৃতি অর্জনের সুযোগ রয়েছে।
এর আগে, গত ৭ ডিসেম্বর আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের চলমান ২০তম সভা উদ্বোধন করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শংকর। অনুষ্ঠানে ইউনেসকোর নবনিযুক্ত মহাপরিচালক খালেদ এল. এনানি উপস্থিত ছিলেন।

বিসিএস ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এতে নড়েচড়ে বসেছেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। পদোন্নতির অপেক্ষায় থাকা এই ব্যাচের কর্মকর্তাদের বিষয়ে নতুন করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে। ফলে নির্ধারিত সময়ে তাঁদে
২৮ জুলাই ২০২৪
প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের নতুন করে একটি সুযোগ দিয়েছে। অন্য জেনারেশন এই সুযোগ পাবে না। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারব। আর যদি না পারি, তাহলে জাতি মুখ থুবড়ে পড়বে। এর আগেও আমরা নির্বাচন দেখেছি। বিগত আমলে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, যেকোনো সুস্থ মানুষ
৩৬ মিনিট আগে
বাগেরহাটের ৪টি আসন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিতে এ আদেশ দেন।
২ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন। বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
২ ঘণ্টা আগে