Ajker Patrika

ডেঙ্গু মোকাবিলায় মশার প্রাকৃতিক শত্রু সংরক্ষণ দরকার, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

দেশে গত কয়েক বছর ধরে জনস্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মশাবাহিত বিভিন্ন রোগ। বিশেষ করে ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব অনেক বেড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মশার প্রাকৃতিক শত্রু সংরক্ষণে জৈবিক দমনের কথা ভাবছেন বিশেষজ্ঞরা।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীতে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) আয়োজনে ‘এডিস মশার টেকসই ব্যবস্থাপনা: উলবাকিয়া ইন্টারভেনশন’ শীর্ষক এক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তাঁরা।

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন নিপসমের পরিচালক অধ্যাপক মো. জিয়াউল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. গোলাম ছারোয়ার বলেন, ‘উলবাকিয়া ব্যাকটেরিয়া এডিস মশার ডেঙ্গু ভাইরাস পরিবহনের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে বাধা সৃষ্টি করে। এই ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত মশা প্রকৃতিতে অবস্থান করে ভারসাম্য বজায় রাখতে যেমন সক্ষম, একইভাবে প্রকৃতির অন্যান্য জীবের ওপর কোনো প্রকার বিরূপ প্রভাবও ফেলে না।’

উলবাকিয়া ব্যাকটেরিয়া সম্পর্কে গোলাম ছারোয়ার বলেন, উলবাকিয়া হলো গ্রাম-নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া, যা পোষক কোষের ভেতরে বাস করে এবং সোমাটিক ও জার্মলেয়ার টিস্যুকে সংক্রামিত করে। এই ব্যাকটেরিয়া সাধারণত প্রকৃতিতে থাকা ৪০-৬০ শতাংশ কীটপতঙ্গের শরীরে বসবাস করে। এমনকি অ্যানোফিলিস ও কিউলেক্স মশার শরীরেরও এই ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়। এই ব্যাকটেরিয়া পোষক শরীরের সঙ্গে মিথজীবিতার মাধ্যমে বসবাস করে।

দেশে এই ব্যাকটেরিয়া উৎপাদন ও মশাকে আক্রান্ত করে লালন-পালন সম্ভব উল্লেখ করে তিনি জানান, এর জন্য উন্নত গবেষণাগার ও জনবল প্রয়োজন।

নিপসমের পরিচালক জিয়াউল ইসলাম বলেন, ‘সামাজিক ও পরিবেশগত সব প্যারামিটারকে বিবেচনায় নিয়েই উলবাকিয়া ব্যাকটেরিয়া আমাদের দেশে ব্যবহার করা প্রয়োজন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত