নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রহিত হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮টি ধারার অধীনে থাকা সব মামলা বাতিল গণ্য করে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের ৫০ ধারা সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। এর ফলে এসব ধারার মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত, অভিযুক্ত ও আসামিরা দায় মুক্তি পাচ্ছেন।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত ৪ হাজার ৫০০টির মতো মামলা বাতিল করা হয়েছো। এক হাজার ৩৯০ জন আসামি খালাস পেয়েছেন। ৯৫ শতাংশ মামলা খারিজ করা হয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা আইনের ৩০ ধারা অনুযায়ী বাতিল করা মামলায় ভুক্তভোগীরা ক্ষতিপূরণ দাবি করে আদালতে মামলা করতে পারবেন।
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের ধারা ৫০ সংশোধন করে ৫০ এর উপ-ধারা (৪) এর পর নূতন উপ-ধারা (৪ক) যুক্ত করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘রহিত হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ধারা ২১, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯ ৩১ এবং ধারায় বর্ণিত অপরাধ সংঘটনে সহায়তার অপরাধে কোনো আদালত বা ট্রাইব্যুনালে নিষ্পন্নাধীন কোনো মামলা বা অন্যান্য কার্যধারা অথবা কোনো পুলিশ অফিসার বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের নিকট তদন্তাধীন মামলা বা কার্যক্রম বাতিল হইবে এবং উহাদের বিষয়ে আর কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে না। উক্ত ধারাগুলোর অধীন কোনো আদালত বা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত দণ্ড ও জরিমানা বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।’
ভার্চুয়াল জগতের অপরাধ দমনে ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছিল। সেখানে অনেক ‘নিবর্তনমূলক’ ধারার কঠোর সমালোচনার মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার ২০২৩ সালে সুবিধাজনক সংশোধন এনে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হয়। অন্তর্বর্তী সরকার এসে সেটা আরও সংশোধন করে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ করে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় নির্যাতিতদের মধ্যে অন্যতম আলোচিত হলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময় ২০২০ সালের অক্টোবরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়।
খাদিজার বিরুদ্ধে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচারসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ আনা হয়। ২০২২ সালের মে মাসে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এর পর ওই বছর ২৭ আগস্ট মিরপুরের বাসা থেকে খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে নিউমার্কেট থানা পুলিশ। নিবর্তনমূলক এই আইন বাতিল ও খাদিজার মুক্তির দাবিতে আন্দোলনের মধ্যে হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ তাকে জামিন দেন। এরপর ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর গাজীপুর কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পাননি খাদিজা।
রহিত হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮টি ধারার অধীনে থাকা সব মামলা বাতিল গণ্য করে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের ৫০ ধারা সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। এর ফলে এসব ধারার মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত, অভিযুক্ত ও আসামিরা দায় মুক্তি পাচ্ছেন।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত ৪ হাজার ৫০০টির মতো মামলা বাতিল করা হয়েছো। এক হাজার ৩৯০ জন আসামি খালাস পেয়েছেন। ৯৫ শতাংশ মামলা খারিজ করা হয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা আইনের ৩০ ধারা অনুযায়ী বাতিল করা মামলায় ভুক্তভোগীরা ক্ষতিপূরণ দাবি করে আদালতে মামলা করতে পারবেন।
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের ধারা ৫০ সংশোধন করে ৫০ এর উপ-ধারা (৪) এর পর নূতন উপ-ধারা (৪ক) যুক্ত করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘রহিত হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ধারা ২১, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯ ৩১ এবং ধারায় বর্ণিত অপরাধ সংঘটনে সহায়তার অপরাধে কোনো আদালত বা ট্রাইব্যুনালে নিষ্পন্নাধীন কোনো মামলা বা অন্যান্য কার্যধারা অথবা কোনো পুলিশ অফিসার বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের নিকট তদন্তাধীন মামলা বা কার্যক্রম বাতিল হইবে এবং উহাদের বিষয়ে আর কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে না। উক্ত ধারাগুলোর অধীন কোনো আদালত বা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত দণ্ড ও জরিমানা বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।’
ভার্চুয়াল জগতের অপরাধ দমনে ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছিল। সেখানে অনেক ‘নিবর্তনমূলক’ ধারার কঠোর সমালোচনার মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার ২০২৩ সালে সুবিধাজনক সংশোধন এনে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হয়। অন্তর্বর্তী সরকার এসে সেটা আরও সংশোধন করে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ করে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় নির্যাতিতদের মধ্যে অন্যতম আলোচিত হলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময় ২০২০ সালের অক্টোবরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়।
খাদিজার বিরুদ্ধে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচারসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ আনা হয়। ২০২২ সালের মে মাসে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এর পর ওই বছর ২৭ আগস্ট মিরপুরের বাসা থেকে খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে নিউমার্কেট থানা পুলিশ। নিবর্তনমূলক এই আইন বাতিল ও খাদিজার মুক্তির দাবিতে আন্দোলনের মধ্যে হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ তাকে জামিন দেন। এরপর ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর গাজীপুর কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পাননি খাদিজা।
জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারের জন্য দেশের সব টেলিভিশন ও অনলাইন গণমাধ্যমকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৭ মিনিট আগেপ্রায় আট মাস ধরে রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শেষে প্রণীত হয়েছে ‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’। আগামীকাল শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ও সদস্যদের সঙ্গে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের দুজন করে
১০ মিনিট আগেঅনিবন্ধিত ট্রাভেল এজেন্সিগুলোকে ৬ নভেম্বরের মধ্যে নিবন্ধন করার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় এই নির্দেশনা দেয়।
২০ মিনিট আগেশেষ মুহূর্তে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতভিন্নতার পরও আগামীকাল শুক্রবার পূর্বনির্ধারিত সময়েই জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি প্রায় শেষ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এই অনুষ্ঠানে সব রাজনৈতিক দল অংশ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
১ ঘণ্টা আগে