নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মসজিদের ইমাম-খতিবসহ আলেমদের বয়ানে দুর্নীতি, মাদক, জঙ্গিবাদ, নারীর প্রতি সহিংসতা বিষয়ে আরও বেশি করে আলোচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চতুর্থ পর্যায়ে নবনির্মিত আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা, জঙ্গিবাদ, অহেতুক মিথ্যা কথা গুজব ছড়ানো, গৃহকর্মী বা অধীনস্থদের প্রতি অমানবিক আচরণ করা, দুর্নীতি ইত্যাদি সমস্যা সমাজ থেকে দূর করার জন্য মসজিদে যখন আপনারা খুতবা দেন তখন যদি আপনারা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে মানুষকে আরও বেশি করে বলেন, বোঝান তাহলে কিন্তু মানুষ এটা গ্রহণ করবে। বিশেষ করে জুমার নামাজের পূর্বে যে খুতবা দেওয়া হয় সেখানে এই বিষয়গুলো মানুষের সামনে ভালোভাবে তুলে ধরা দরকার।
মসজিদের ইমাম-খতিব, আলেম-ওলামাগণকে সাধারণ মানুষ শ্রদ্ধার চোখে দেখেন উল্লেখ করেন সরকার প্রধান। তাই তাঁদের কথার গুরুত্ব রয়েছে বলেও জানান তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের যে সমস্ত সমস্যাগুলো দেখা দিচ্ছে—যেমন মাদকাসক্তি, একটা মাদকাসক্ত ছেলে–মেয়ে যদি পরিবারে থাকে তবে সেই পরিবারটা একেবারে ধ্বংসের পথে চলে যায়। যাতে কেউ এই মাদকাসক্ত না হয়।’
ইমামদের বয়ানে জঙ্গিবাদ বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি অনুরোধ করে বলেন, ‘মাঝে মাঝে আমাদের কোমলমতি ছেলেদের বিভ্রান্তির পথে নিয়ে যায়। এদিকে যাতে তাদের নিয়ে যেতে না পারে, তারা যাতে জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয়। ইসলাম ধর্ম যে শান্তির ধর্ম আর মানুষ খুন করলে কখনো বেহেশতে যাওয়া যায় না, নিরীহ মানুষকে খুন করলে বরং দোজখের আগুনে পুড়তে হয়। কাজেই মানুষের মাঝে এই বিষয়টা সচেতন করতে হবে।’
প্রত্যেক পরিবারে ছেলে–মেয়েরা যেন সৎ পথে থাকে, ভালোভাবে চলে, লেখাপড়া শেখে মানুষের মতো মানুষ হয় সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসের সঙ্গে যাতে কেউ জড়িত হতে না পারে সেদিকে আপনারা যদি একটু বিশেষভাবে দৃষ্টি দেন। আমি মনে করি আমরা জঙ্গিবাদ দমন করতে পেরেছি ভবিষ্যতে এটা আমরা অব্যাহত রাখতে পারব।’
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইসলাম ধর্ম হচ্ছে শান্তির ধর্ম। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ আমাদের। ইসলাম ধর্মও আমাদের সেটাই শেখায়-অন্য ধর্মের প্রতি আমাদের সহনশীল আচরণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই ভূখণ্ডের বিভিন্ন জাতি ধর্ম–বর্ণ যারা বসবাস করে। সবারই সমান অধিকার আছে যার যার ধর্ম পালন করার। অন্যের ধর্মে আঘাত দেওয়া—এটা মোটেই সমীচীন নয়, ইসলাম আমাদের সেই শিক্ষা দেয় না। কারণ ইসলাম হচ্ছে মানবতার ধর্ম, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্ম হচ্ছে ইসলাম ধর্ম, সেই কথাটাই আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে।’
যে ব্যক্তি কোনো সংখ্যালঘুকে হত্যা করবে সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না মহানবী (সাঃ)–এর এমন বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের অত্যন্ত দুর্ভাগ্য মাঝে মাঝে আমরা দেখি আমাদের কিছু মানুষ হয়তো কোনো ধর্ম বা আমাদের ইসলাম ধর্মেই হয়তো কেউ অন্য মতাবলম্বী আছে তাদের ওপর আঘাত হানে যেটা সম্পূর্ণভাবে নবী করিম (সাঃ) এর চিন্তা-চেতনা, আদর্শ এবং আমাদের কোরআন শরিফে যে নির্দেশনা দেওয়া আছে তার পরিপন্থী।’
ইসলাম ধর্মের প্রচার প্রচার ইসলামি শিক্ষা আরও যাতে উন্নত ধরনের হয় সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘মাদ্রাসা শিক্ষাকে অনেকে অবহেলার চোখে দেখত। আমরা এটার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। আমরা ডিজিটাল কোরআন শরিফ করে দিয়েছি। ইন্টারনেটে মানুষ এটা শুনতে পারবে।’
হাওর অঞ্চলে একটি বিশেষ প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে ইমামদের খুতবা ভাতা প্রদান করা হচ্ছে বলেও শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন। এ সময় বিদ্যুৎ ব্যবহারে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যে দামে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি। তার অর্ধেক দামে বিদ্যুৎ দিচ্ছি। আমরা এখানে ভর্তুকি দিচ্ছি। এখানে দীর্ঘদিন এই ভর্তুকি দেওয়া সম্ভব নয়। এ বিষয়টি সবাইকে মাথায় রাখতে হবে।’
নিজস্ব অর্থায়নে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে সরকার। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে ২০২১ সালের ১০ জুন প্রথম ধাপে ৫০টি, চলতি বছরে ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ৫০টি এবং গত ১৬ মার্চ তৃতীয় ধাপে ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। চার ধাপে এখন পর্যন্ত মোট ২০০টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন করেছেন শেখ হাসিনা। বাকি মসজিদগুলোর নির্মাণকাজও শেষের দিকে।
উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া এবং সিলেটের বিশ্বনাথের মডেল মসজিদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ইমাম, মুসল্লিসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান ও ধর্ম সচিব কাজী এনামুল হাসান। গণভবন প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
এর আগে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ উপলক্ষে প্রকাশিত মডেল মসজিদের লোগো সংবলিত স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর অবমুক্তকরণ করেন।
মসজিদের ইমাম-খতিবসহ আলেমদের বয়ানে দুর্নীতি, মাদক, জঙ্গিবাদ, নারীর প্রতি সহিংসতা বিষয়ে আরও বেশি করে আলোচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চতুর্থ পর্যায়ে নবনির্মিত আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা, জঙ্গিবাদ, অহেতুক মিথ্যা কথা গুজব ছড়ানো, গৃহকর্মী বা অধীনস্থদের প্রতি অমানবিক আচরণ করা, দুর্নীতি ইত্যাদি সমস্যা সমাজ থেকে দূর করার জন্য মসজিদে যখন আপনারা খুতবা দেন তখন যদি আপনারা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে মানুষকে আরও বেশি করে বলেন, বোঝান তাহলে কিন্তু মানুষ এটা গ্রহণ করবে। বিশেষ করে জুমার নামাজের পূর্বে যে খুতবা দেওয়া হয় সেখানে এই বিষয়গুলো মানুষের সামনে ভালোভাবে তুলে ধরা দরকার।
মসজিদের ইমাম-খতিব, আলেম-ওলামাগণকে সাধারণ মানুষ শ্রদ্ধার চোখে দেখেন উল্লেখ করেন সরকার প্রধান। তাই তাঁদের কথার গুরুত্ব রয়েছে বলেও জানান তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের যে সমস্ত সমস্যাগুলো দেখা দিচ্ছে—যেমন মাদকাসক্তি, একটা মাদকাসক্ত ছেলে–মেয়ে যদি পরিবারে থাকে তবে সেই পরিবারটা একেবারে ধ্বংসের পথে চলে যায়। যাতে কেউ এই মাদকাসক্ত না হয়।’
ইমামদের বয়ানে জঙ্গিবাদ বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি অনুরোধ করে বলেন, ‘মাঝে মাঝে আমাদের কোমলমতি ছেলেদের বিভ্রান্তির পথে নিয়ে যায়। এদিকে যাতে তাদের নিয়ে যেতে না পারে, তারা যাতে জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয়। ইসলাম ধর্ম যে শান্তির ধর্ম আর মানুষ খুন করলে কখনো বেহেশতে যাওয়া যায় না, নিরীহ মানুষকে খুন করলে বরং দোজখের আগুনে পুড়তে হয়। কাজেই মানুষের মাঝে এই বিষয়টা সচেতন করতে হবে।’
প্রত্যেক পরিবারে ছেলে–মেয়েরা যেন সৎ পথে থাকে, ভালোভাবে চলে, লেখাপড়া শেখে মানুষের মতো মানুষ হয় সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসের সঙ্গে যাতে কেউ জড়িত হতে না পারে সেদিকে আপনারা যদি একটু বিশেষভাবে দৃষ্টি দেন। আমি মনে করি আমরা জঙ্গিবাদ দমন করতে পেরেছি ভবিষ্যতে এটা আমরা অব্যাহত রাখতে পারব।’
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইসলাম ধর্ম হচ্ছে শান্তির ধর্ম। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ আমাদের। ইসলাম ধর্মও আমাদের সেটাই শেখায়-অন্য ধর্মের প্রতি আমাদের সহনশীল আচরণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই ভূখণ্ডের বিভিন্ন জাতি ধর্ম–বর্ণ যারা বসবাস করে। সবারই সমান অধিকার আছে যার যার ধর্ম পালন করার। অন্যের ধর্মে আঘাত দেওয়া—এটা মোটেই সমীচীন নয়, ইসলাম আমাদের সেই শিক্ষা দেয় না। কারণ ইসলাম হচ্ছে মানবতার ধর্ম, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্ম হচ্ছে ইসলাম ধর্ম, সেই কথাটাই আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে।’
যে ব্যক্তি কোনো সংখ্যালঘুকে হত্যা করবে সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না মহানবী (সাঃ)–এর এমন বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের অত্যন্ত দুর্ভাগ্য মাঝে মাঝে আমরা দেখি আমাদের কিছু মানুষ হয়তো কোনো ধর্ম বা আমাদের ইসলাম ধর্মেই হয়তো কেউ অন্য মতাবলম্বী আছে তাদের ওপর আঘাত হানে যেটা সম্পূর্ণভাবে নবী করিম (সাঃ) এর চিন্তা-চেতনা, আদর্শ এবং আমাদের কোরআন শরিফে যে নির্দেশনা দেওয়া আছে তার পরিপন্থী।’
ইসলাম ধর্মের প্রচার প্রচার ইসলামি শিক্ষা আরও যাতে উন্নত ধরনের হয় সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘মাদ্রাসা শিক্ষাকে অনেকে অবহেলার চোখে দেখত। আমরা এটার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। আমরা ডিজিটাল কোরআন শরিফ করে দিয়েছি। ইন্টারনেটে মানুষ এটা শুনতে পারবে।’
হাওর অঞ্চলে একটি বিশেষ প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে ইমামদের খুতবা ভাতা প্রদান করা হচ্ছে বলেও শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন। এ সময় বিদ্যুৎ ব্যবহারে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যে দামে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি। তার অর্ধেক দামে বিদ্যুৎ দিচ্ছি। আমরা এখানে ভর্তুকি দিচ্ছি। এখানে দীর্ঘদিন এই ভর্তুকি দেওয়া সম্ভব নয়। এ বিষয়টি সবাইকে মাথায় রাখতে হবে।’
নিজস্ব অর্থায়নে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে সরকার। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে ২০২১ সালের ১০ জুন প্রথম ধাপে ৫০টি, চলতি বছরে ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ৫০টি এবং গত ১৬ মার্চ তৃতীয় ধাপে ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। চার ধাপে এখন পর্যন্ত মোট ২০০টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন করেছেন শেখ হাসিনা। বাকি মসজিদগুলোর নির্মাণকাজও শেষের দিকে।
উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া এবং সিলেটের বিশ্বনাথের মডেল মসজিদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ইমাম, মুসল্লিসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান ও ধর্ম সচিব কাজী এনামুল হাসান। গণভবন প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
এর আগে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ উপলক্ষে প্রকাশিত মডেল মসজিদের লোগো সংবলিত স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর অবমুক্তকরণ করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মসজিদের ইমাম-খতিবসহ আলেমদের বয়ানে দুর্নীতি, মাদক, জঙ্গিবাদ, নারীর প্রতি সহিংসতা বিষয়ে আরও বেশি করে আলোচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চতুর্থ পর্যায়ে নবনির্মিত আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা, জঙ্গিবাদ, অহেতুক মিথ্যা কথা গুজব ছড়ানো, গৃহকর্মী বা অধীনস্থদের প্রতি অমানবিক আচরণ করা, দুর্নীতি ইত্যাদি সমস্যা সমাজ থেকে দূর করার জন্য মসজিদে যখন আপনারা খুতবা দেন তখন যদি আপনারা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে মানুষকে আরও বেশি করে বলেন, বোঝান তাহলে কিন্তু মানুষ এটা গ্রহণ করবে। বিশেষ করে জুমার নামাজের পূর্বে যে খুতবা দেওয়া হয় সেখানে এই বিষয়গুলো মানুষের সামনে ভালোভাবে তুলে ধরা দরকার।
মসজিদের ইমাম-খতিব, আলেম-ওলামাগণকে সাধারণ মানুষ শ্রদ্ধার চোখে দেখেন উল্লেখ করেন সরকার প্রধান। তাই তাঁদের কথার গুরুত্ব রয়েছে বলেও জানান তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের যে সমস্ত সমস্যাগুলো দেখা দিচ্ছে—যেমন মাদকাসক্তি, একটা মাদকাসক্ত ছেলে–মেয়ে যদি পরিবারে থাকে তবে সেই পরিবারটা একেবারে ধ্বংসের পথে চলে যায়। যাতে কেউ এই মাদকাসক্ত না হয়।’
ইমামদের বয়ানে জঙ্গিবাদ বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি অনুরোধ করে বলেন, ‘মাঝে মাঝে আমাদের কোমলমতি ছেলেদের বিভ্রান্তির পথে নিয়ে যায়। এদিকে যাতে তাদের নিয়ে যেতে না পারে, তারা যাতে জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয়। ইসলাম ধর্ম যে শান্তির ধর্ম আর মানুষ খুন করলে কখনো বেহেশতে যাওয়া যায় না, নিরীহ মানুষকে খুন করলে বরং দোজখের আগুনে পুড়তে হয়। কাজেই মানুষের মাঝে এই বিষয়টা সচেতন করতে হবে।’
প্রত্যেক পরিবারে ছেলে–মেয়েরা যেন সৎ পথে থাকে, ভালোভাবে চলে, লেখাপড়া শেখে মানুষের মতো মানুষ হয় সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসের সঙ্গে যাতে কেউ জড়িত হতে না পারে সেদিকে আপনারা যদি একটু বিশেষভাবে দৃষ্টি দেন। আমি মনে করি আমরা জঙ্গিবাদ দমন করতে পেরেছি ভবিষ্যতে এটা আমরা অব্যাহত রাখতে পারব।’
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইসলাম ধর্ম হচ্ছে শান্তির ধর্ম। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ আমাদের। ইসলাম ধর্মও আমাদের সেটাই শেখায়-অন্য ধর্মের প্রতি আমাদের সহনশীল আচরণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই ভূখণ্ডের বিভিন্ন জাতি ধর্ম–বর্ণ যারা বসবাস করে। সবারই সমান অধিকার আছে যার যার ধর্ম পালন করার। অন্যের ধর্মে আঘাত দেওয়া—এটা মোটেই সমীচীন নয়, ইসলাম আমাদের সেই শিক্ষা দেয় না। কারণ ইসলাম হচ্ছে মানবতার ধর্ম, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্ম হচ্ছে ইসলাম ধর্ম, সেই কথাটাই আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে।’
যে ব্যক্তি কোনো সংখ্যালঘুকে হত্যা করবে সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না মহানবী (সাঃ)–এর এমন বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের অত্যন্ত দুর্ভাগ্য মাঝে মাঝে আমরা দেখি আমাদের কিছু মানুষ হয়তো কোনো ধর্ম বা আমাদের ইসলাম ধর্মেই হয়তো কেউ অন্য মতাবলম্বী আছে তাদের ওপর আঘাত হানে যেটা সম্পূর্ণভাবে নবী করিম (সাঃ) এর চিন্তা-চেতনা, আদর্শ এবং আমাদের কোরআন শরিফে যে নির্দেশনা দেওয়া আছে তার পরিপন্থী।’
ইসলাম ধর্মের প্রচার প্রচার ইসলামি শিক্ষা আরও যাতে উন্নত ধরনের হয় সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘মাদ্রাসা শিক্ষাকে অনেকে অবহেলার চোখে দেখত। আমরা এটার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। আমরা ডিজিটাল কোরআন শরিফ করে দিয়েছি। ইন্টারনেটে মানুষ এটা শুনতে পারবে।’
হাওর অঞ্চলে একটি বিশেষ প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে ইমামদের খুতবা ভাতা প্রদান করা হচ্ছে বলেও শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন। এ সময় বিদ্যুৎ ব্যবহারে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যে দামে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি। তার অর্ধেক দামে বিদ্যুৎ দিচ্ছি। আমরা এখানে ভর্তুকি দিচ্ছি। এখানে দীর্ঘদিন এই ভর্তুকি দেওয়া সম্ভব নয়। এ বিষয়টি সবাইকে মাথায় রাখতে হবে।’
নিজস্ব অর্থায়নে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে সরকার। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে ২০২১ সালের ১০ জুন প্রথম ধাপে ৫০টি, চলতি বছরে ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ৫০টি এবং গত ১৬ মার্চ তৃতীয় ধাপে ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। চার ধাপে এখন পর্যন্ত মোট ২০০টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন করেছেন শেখ হাসিনা। বাকি মসজিদগুলোর নির্মাণকাজও শেষের দিকে।
উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া এবং সিলেটের বিশ্বনাথের মডেল মসজিদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ইমাম, মুসল্লিসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান ও ধর্ম সচিব কাজী এনামুল হাসান। গণভবন প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
এর আগে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ উপলক্ষে প্রকাশিত মডেল মসজিদের লোগো সংবলিত স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর অবমুক্তকরণ করেন।
মসজিদের ইমাম-খতিবসহ আলেমদের বয়ানে দুর্নীতি, মাদক, জঙ্গিবাদ, নারীর প্রতি সহিংসতা বিষয়ে আরও বেশি করে আলোচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চতুর্থ পর্যায়ে নবনির্মিত আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা, জঙ্গিবাদ, অহেতুক মিথ্যা কথা গুজব ছড়ানো, গৃহকর্মী বা অধীনস্থদের প্রতি অমানবিক আচরণ করা, দুর্নীতি ইত্যাদি সমস্যা সমাজ থেকে দূর করার জন্য মসজিদে যখন আপনারা খুতবা দেন তখন যদি আপনারা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে মানুষকে আরও বেশি করে বলেন, বোঝান তাহলে কিন্তু মানুষ এটা গ্রহণ করবে। বিশেষ করে জুমার নামাজের পূর্বে যে খুতবা দেওয়া হয় সেখানে এই বিষয়গুলো মানুষের সামনে ভালোভাবে তুলে ধরা দরকার।
মসজিদের ইমাম-খতিব, আলেম-ওলামাগণকে সাধারণ মানুষ শ্রদ্ধার চোখে দেখেন উল্লেখ করেন সরকার প্রধান। তাই তাঁদের কথার গুরুত্ব রয়েছে বলেও জানান তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের যে সমস্ত সমস্যাগুলো দেখা দিচ্ছে—যেমন মাদকাসক্তি, একটা মাদকাসক্ত ছেলে–মেয়ে যদি পরিবারে থাকে তবে সেই পরিবারটা একেবারে ধ্বংসের পথে চলে যায়। যাতে কেউ এই মাদকাসক্ত না হয়।’
ইমামদের বয়ানে জঙ্গিবাদ বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি অনুরোধ করে বলেন, ‘মাঝে মাঝে আমাদের কোমলমতি ছেলেদের বিভ্রান্তির পথে নিয়ে যায়। এদিকে যাতে তাদের নিয়ে যেতে না পারে, তারা যাতে জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয়। ইসলাম ধর্ম যে শান্তির ধর্ম আর মানুষ খুন করলে কখনো বেহেশতে যাওয়া যায় না, নিরীহ মানুষকে খুন করলে বরং দোজখের আগুনে পুড়তে হয়। কাজেই মানুষের মাঝে এই বিষয়টা সচেতন করতে হবে।’
প্রত্যেক পরিবারে ছেলে–মেয়েরা যেন সৎ পথে থাকে, ভালোভাবে চলে, লেখাপড়া শেখে মানুষের মতো মানুষ হয় সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসের সঙ্গে যাতে কেউ জড়িত হতে না পারে সেদিকে আপনারা যদি একটু বিশেষভাবে দৃষ্টি দেন। আমি মনে করি আমরা জঙ্গিবাদ দমন করতে পেরেছি ভবিষ্যতে এটা আমরা অব্যাহত রাখতে পারব।’
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইসলাম ধর্ম হচ্ছে শান্তির ধর্ম। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ আমাদের। ইসলাম ধর্মও আমাদের সেটাই শেখায়-অন্য ধর্মের প্রতি আমাদের সহনশীল আচরণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই ভূখণ্ডের বিভিন্ন জাতি ধর্ম–বর্ণ যারা বসবাস করে। সবারই সমান অধিকার আছে যার যার ধর্ম পালন করার। অন্যের ধর্মে আঘাত দেওয়া—এটা মোটেই সমীচীন নয়, ইসলাম আমাদের সেই শিক্ষা দেয় না। কারণ ইসলাম হচ্ছে মানবতার ধর্ম, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্ম হচ্ছে ইসলাম ধর্ম, সেই কথাটাই আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে।’
যে ব্যক্তি কোনো সংখ্যালঘুকে হত্যা করবে সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না মহানবী (সাঃ)–এর এমন বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের অত্যন্ত দুর্ভাগ্য মাঝে মাঝে আমরা দেখি আমাদের কিছু মানুষ হয়তো কোনো ধর্ম বা আমাদের ইসলাম ধর্মেই হয়তো কেউ অন্য মতাবলম্বী আছে তাদের ওপর আঘাত হানে যেটা সম্পূর্ণভাবে নবী করিম (সাঃ) এর চিন্তা-চেতনা, আদর্শ এবং আমাদের কোরআন শরিফে যে নির্দেশনা দেওয়া আছে তার পরিপন্থী।’
ইসলাম ধর্মের প্রচার প্রচার ইসলামি শিক্ষা আরও যাতে উন্নত ধরনের হয় সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘মাদ্রাসা শিক্ষাকে অনেকে অবহেলার চোখে দেখত। আমরা এটার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। আমরা ডিজিটাল কোরআন শরিফ করে দিয়েছি। ইন্টারনেটে মানুষ এটা শুনতে পারবে।’
হাওর অঞ্চলে একটি বিশেষ প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে ইমামদের খুতবা ভাতা প্রদান করা হচ্ছে বলেও শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন। এ সময় বিদ্যুৎ ব্যবহারে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যে দামে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি। তার অর্ধেক দামে বিদ্যুৎ দিচ্ছি। আমরা এখানে ভর্তুকি দিচ্ছি। এখানে দীর্ঘদিন এই ভর্তুকি দেওয়া সম্ভব নয়। এ বিষয়টি সবাইকে মাথায় রাখতে হবে।’
নিজস্ব অর্থায়নে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে সরকার। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে ২০২১ সালের ১০ জুন প্রথম ধাপে ৫০টি, চলতি বছরে ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ৫০টি এবং গত ১৬ মার্চ তৃতীয় ধাপে ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। চার ধাপে এখন পর্যন্ত মোট ২০০টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন করেছেন শেখ হাসিনা। বাকি মসজিদগুলোর নির্মাণকাজও শেষের দিকে।
উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া এবং সিলেটের বিশ্বনাথের মডেল মসজিদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ইমাম, মুসল্লিসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান ও ধর্ম সচিব কাজী এনামুল হাসান। গণভবন প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
এর আগে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ উপলক্ষে প্রকাশিত মডেল মসজিদের লোগো সংবলিত স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর অবমুক্তকরণ করেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সংশয়ের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে আসিফ নজরুল বলেন, ‘মাঠে-ঘাটে মানুষের মধ্যে আস্থার অভাব আছে কি না, আমি জানি না। আমার মনে হয়, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেভাবে অনৈক্য থাকে, তারা একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে যেভাবে বলে, ওটার কারণে হয়তো নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে সংশ
২৭ মিনিট আগেআওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম ও নির্যাতনের দুই মামলায় এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রামপুরায় সংঘটিত অপরাধের এক মামলায় আসামি ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
২ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের রক্ষক হিসেবে আমরা যাদের মনে করি সেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই আদালতের প্রক্রিয়ায় সাহায্য করেছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করে হাজির করার বিষয়ে সেনাবাহিনী সাহায্য করেছে। সুতরাং দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধ যা
২ ঘণ্টা আগেক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৭ জন পলাতক থাকায় তাঁদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বাস্তব অগ্রগতিতে নির্বাচন নিয়ে ‘সব সংশয় কেটে যাবে’ বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
আজ বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সংশয়ের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে আসিফ নজরুল বলেন, ‘মাঠে-ঘাটে মানুষের মধ্যে আস্থার অভাব আছে কি না, আমি জানি না। আমার মনে হয়, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেভাবে অনৈক্য থাকে, তারা একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে যেভাবে বলে, ওটার কারণে হয়তো নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে সংশয় কাজ করছে। তবে আশা করি, আমরা যখন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাস্তব অগ্রগতি দেখব, এ সম্পর্কে সব সংশয় খুব দ্রুত কেটে যাবে।’
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধিদলের ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক হয়। বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করতে প্রধান উপদেষ্টাকে পরামর্শ দেন বিএনপির নেতারা।
এ বিষয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় যেটা বুঝেছি, উনারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাননি। অন্তর্বর্তী সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে, সেটা বলেছে। তারা আমাদের কাছ থেকে নিরপেক্ষ ভূমিকা চেয়েছে। আমরা উনাদেরকে বলেছি, আমরা নিরপেক্ষ ভূমিকাই পালন করছি। নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করার জন্য এমনকি প্রধান উপদেষ্টা এই নিশ্চয়তাও দিয়েছেন—জনপ্রশাসন বা অন্যান্য ক্ষেত্রে বড় বদলির ব্যাপারটা উনি নিজে দেখবেন।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়, এটা বলেনি। বলেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করতে। আমাদের নিরপেক্ষ ভূমিকা চেয়েছে। সে বিষয়ে তাদের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।’
নির্বাচনের সময় উপদেষ্টা পরিষদ ছোট হবে কি না, সেই প্রশ্নে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘এ ধরনের কথা কোথাও আলোচনা হয়নি। এটা উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনার বিষয়। নির্বাচনকালীন সরকার ছোট হবে কি না, এ ধরনের কোনো দাবিও কোনো মহল থেকে উত্থাপন হয়নি।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বাস্তব অগ্রগতিতে নির্বাচন নিয়ে ‘সব সংশয় কেটে যাবে’ বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
আজ বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সংশয়ের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে আসিফ নজরুল বলেন, ‘মাঠে-ঘাটে মানুষের মধ্যে আস্থার অভাব আছে কি না, আমি জানি না। আমার মনে হয়, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেভাবে অনৈক্য থাকে, তারা একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে যেভাবে বলে, ওটার কারণে হয়তো নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে সংশয় কাজ করছে। তবে আশা করি, আমরা যখন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাস্তব অগ্রগতি দেখব, এ সম্পর্কে সব সংশয় খুব দ্রুত কেটে যাবে।’
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধিদলের ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক হয়। বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করতে প্রধান উপদেষ্টাকে পরামর্শ দেন বিএনপির নেতারা।
এ বিষয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় যেটা বুঝেছি, উনারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাননি। অন্তর্বর্তী সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে, সেটা বলেছে। তারা আমাদের কাছ থেকে নিরপেক্ষ ভূমিকা চেয়েছে। আমরা উনাদেরকে বলেছি, আমরা নিরপেক্ষ ভূমিকাই পালন করছি। নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করার জন্য এমনকি প্রধান উপদেষ্টা এই নিশ্চয়তাও দিয়েছেন—জনপ্রশাসন বা অন্যান্য ক্ষেত্রে বড় বদলির ব্যাপারটা উনি নিজে দেখবেন।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়, এটা বলেনি। বলেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করতে। আমাদের নিরপেক্ষ ভূমিকা চেয়েছে। সে বিষয়ে তাদের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।’
নির্বাচনের সময় উপদেষ্টা পরিষদ ছোট হবে কি না, সেই প্রশ্নে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘এ ধরনের কথা কোথাও আলোচনা হয়নি। এটা উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনার বিষয়। নির্বাচনকালীন সরকার ছোট হবে কি না, এ ধরনের কোনো দাবিও কোনো মহল থেকে উত্থাপন হয়নি।’
মসজিদের ইমাম-খতিবসহ আলেমদের বয়ানে দুর্নীতি, মাদক, জঙ্গিবাদ, নারীর প্রতি সহিংসতা বিষয়ে আরও বেশি করে আলোচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চতুর্থ পর্যায়ে নবনির্মিত আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন
১৭ এপ্রিল ২০২৩আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম ও নির্যাতনের দুই মামলায় এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রামপুরায় সংঘটিত অপরাধের এক মামলায় আসামি ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
২ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের রক্ষক হিসেবে আমরা যাদের মনে করি সেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই আদালতের প্রক্রিয়ায় সাহায্য করেছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করে হাজির করার বিষয়ে সেনাবাহিনী সাহায্য করেছে। সুতরাং দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধ যা
২ ঘণ্টা আগেক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৭ জন পলাতক থাকায় তাঁদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম ও নির্যাতনের দুই মামলায় এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রামপুরায় সংঘটিত অপরাধের এক মামলায় আসামি ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
আজ বুধবার ট্রাইব্যুনালের এই আদেশের পর সেনা কর্মকর্তাদের ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে স্থাপিত কারা অধিদপ্তরের সাবজেলে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি-প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন।
আজ বেলা সাড়ে ১২টায় আজকের পত্রিকাকে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
কারা মহাপরিদর্শক বলেন, সরকার ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের একটি ভবনকে সাবজেল ঘোষণা দিয়েছে। সাবজেল হিসেবে ঘোষণার পরপরই সেই ভবনটি কারা অধিদপ্তরের অধীনে সাবজেল হিসেবে তত্ত্বাবধান করা হচ্ছে। ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে রাখতে ট্রাইব্যুনালের নির্দেশের পর সেখানেই তাঁদের রাখা হবে। আমাদের কারা অধিদপ্তরের সব ব্যবস্থা সাবজেলে রয়েছে।
এর আগে সকাল ৭টার পর আসামি ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারা কর্তৃপক্ষের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) প্রিজন ভ্যানে কড়া নিরাপত্তায় ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাঁদের নেওয়া হয়। এজলাসে তাঁদের নেওয়া হলে সকাল ৮টার পর বসেন ট্রাইব্যুনাল।
আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন ও জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় সাবেক ও বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ ৩২ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের দিন ধার্য ছিল আজ।
আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম ও নির্যাতনের দুই মামলায় এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রামপুরায় সংঘটিত অপরাধের এক মামলায় আসামি ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
আজ বুধবার ট্রাইব্যুনালের এই আদেশের পর সেনা কর্মকর্তাদের ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে স্থাপিত কারা অধিদপ্তরের সাবজেলে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি-প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন।
আজ বেলা সাড়ে ১২টায় আজকের পত্রিকাকে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
কারা মহাপরিদর্শক বলেন, সরকার ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের একটি ভবনকে সাবজেল ঘোষণা দিয়েছে। সাবজেল হিসেবে ঘোষণার পরপরই সেই ভবনটি কারা অধিদপ্তরের অধীনে সাবজেল হিসেবে তত্ত্বাবধান করা হচ্ছে। ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে রাখতে ট্রাইব্যুনালের নির্দেশের পর সেখানেই তাঁদের রাখা হবে। আমাদের কারা অধিদপ্তরের সব ব্যবস্থা সাবজেলে রয়েছে।
এর আগে সকাল ৭টার পর আসামি ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারা কর্তৃপক্ষের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) প্রিজন ভ্যানে কড়া নিরাপত্তায় ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাঁদের নেওয়া হয়। এজলাসে তাঁদের নেওয়া হলে সকাল ৮টার পর বসেন ট্রাইব্যুনাল।
আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন ও জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় সাবেক ও বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ ৩২ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের দিন ধার্য ছিল আজ।
মসজিদের ইমাম-খতিবসহ আলেমদের বয়ানে দুর্নীতি, মাদক, জঙ্গিবাদ, নারীর প্রতি সহিংসতা বিষয়ে আরও বেশি করে আলোচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চতুর্থ পর্যায়ে নবনির্মিত আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন
১৭ এপ্রিল ২০২৩জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সংশয়ের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে আসিফ নজরুল বলেন, ‘মাঠে-ঘাটে মানুষের মধ্যে আস্থার অভাব আছে কি না, আমি জানি না। আমার মনে হয়, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেভাবে অনৈক্য থাকে, তারা একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে যেভাবে বলে, ওটার কারণে হয়তো নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে সংশ
২৭ মিনিট আগেআন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের রক্ষক হিসেবে আমরা যাদের মনে করি সেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই আদালতের প্রক্রিয়ায় সাহায্য করেছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করে হাজির করার বিষয়ে সেনাবাহিনী সাহায্য করেছে। সুতরাং দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধ যা
২ ঘণ্টা আগেক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৭ জন পলাতক থাকায় তাঁদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের রক্ষক হিসেবে আমরা যাদের মনে করি, সেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই আদালতের প্রক্রিয়ায় সাহায্য করেছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করে হাজির করার বিষয়ে সেনাবাহিনী সাহায্য করেছে। সুতরাং দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধ যাঁরা অপপ্রচার করছেন তাঁদের বলব, অপপ্রচার করবেন না।’
আওয়ামী লীগ আমলে গুম, খুন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বুধবার ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর একই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ ট্রাইব্যুনাল থেকে বের হয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আসামিদের গ্রেপ্তার করে হাজির করার বিষয়ে সেনাবাহিনী সাহায্য করেছে।’ দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধ অপপ্রচার না চালানোর আহ্বান জানান তিনি।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘যাঁদের হাজির করা হয়েছিল তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর পলাতকদের এক সপ্তাহ সময় দিয়ে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গুমের দুই মামলায় শুনানির পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ নভেম্বর।’
আসামিদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালের আইন অনুযায়ী কারও বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হলে তিনি চাকরিতে নেই বলে গণ্য হবেন।’ তাঁদের কোন কারাগারে রাখা হবে? এই প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘কারা কর্তৃপক্ষ তাঁদের কোথায় রাখবে, সেটা তাদের বিষয়। আদালতের কাজ হচ্ছে কাস্টডিতে পাঠিয়ে দেওয়া।’
এদিকে আসামিদের আইনজীবী এম সারোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাঁরা কখনোই গ্রেপ্তার ছিলেন না। আর্মি আইন অনুযায়ী তাঁরা অ্যাটাচ ছিলেন এবং তাঁরা শুরু থেকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাঁরা ট্রায়াল ফেস করতে চান। তাঁরা এই অপরাধ সংঘটিত করেন নাই। একজন আইজিপি এখানে অ্যাপ্রুভার (রাজসাক্ষী)। তিনি বলেছেন, যা কিছু হয়েছে তা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং শেখ হাসিনার নির্দেশে হয়েছে। এখানে কারও কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। তাঁদের এই ঘটনার ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না।’
তাঁদের কোন কারাগারে পাঠানো হয়েছে? এই প্রশ্নের জবাবে সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘যে সাবজেল ঘোষণা করা হয়েছে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে, সেইখানে নেওয়া হবে বলে আমরা জেনেছি।’
এর আগে ডিজিএফআই পরিচালিত জয়েন্ট ইন্টারোগেশনের (জেআইসি) মাধ্যমে গুম-নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ওই মামলার অপর আসামিরা হলেন—শেখ হাসিনার সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. আকবর হোসেন, সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব.) সাইফুল আবেদিন, সাবেক ডিজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, সাবেক ডিজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল তাবরেজ শামস চৌধুরী, সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক, সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) তৌহিদুল ইসলাম, মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কবির আহাম্মদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজাহার সিদ্দিকী এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক।
র্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশনের (টিএফআই) মাধ্যমে গুম-নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়। ওই মামলার অন্য আসামিরা হলেন—শেখ হাসিনার সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল এবং সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৮ ও ১৯ জুলাই ২৮ জন নিহতের ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। চার আসামি হলেন বিজিবির সাবেক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলাম, বিজিবি কর্মকর্তা রাফাত বিন আলম মুন, ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের সাবেক এডিসি মো. রাশেদুল ইসলাম এবং রামপুরা থানার সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমান।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের রক্ষক হিসেবে আমরা যাদের মনে করি, সেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই আদালতের প্রক্রিয়ায় সাহায্য করেছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করে হাজির করার বিষয়ে সেনাবাহিনী সাহায্য করেছে। সুতরাং দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধ যাঁরা অপপ্রচার করছেন তাঁদের বলব, অপপ্রচার করবেন না।’
আওয়ামী লীগ আমলে গুম, খুন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বুধবার ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর একই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ ট্রাইব্যুনাল থেকে বের হয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আসামিদের গ্রেপ্তার করে হাজির করার বিষয়ে সেনাবাহিনী সাহায্য করেছে।’ দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধ অপপ্রচার না চালানোর আহ্বান জানান তিনি।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘যাঁদের হাজির করা হয়েছিল তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর পলাতকদের এক সপ্তাহ সময় দিয়ে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গুমের দুই মামলায় শুনানির পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ নভেম্বর।’
আসামিদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালের আইন অনুযায়ী কারও বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হলে তিনি চাকরিতে নেই বলে গণ্য হবেন।’ তাঁদের কোন কারাগারে রাখা হবে? এই প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘কারা কর্তৃপক্ষ তাঁদের কোথায় রাখবে, সেটা তাদের বিষয়। আদালতের কাজ হচ্ছে কাস্টডিতে পাঠিয়ে দেওয়া।’
এদিকে আসামিদের আইনজীবী এম সারোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাঁরা কখনোই গ্রেপ্তার ছিলেন না। আর্মি আইন অনুযায়ী তাঁরা অ্যাটাচ ছিলেন এবং তাঁরা শুরু থেকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাঁরা ট্রায়াল ফেস করতে চান। তাঁরা এই অপরাধ সংঘটিত করেন নাই। একজন আইজিপি এখানে অ্যাপ্রুভার (রাজসাক্ষী)। তিনি বলেছেন, যা কিছু হয়েছে তা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং শেখ হাসিনার নির্দেশে হয়েছে। এখানে কারও কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। তাঁদের এই ঘটনার ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না।’
তাঁদের কোন কারাগারে পাঠানো হয়েছে? এই প্রশ্নের জবাবে সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘যে সাবজেল ঘোষণা করা হয়েছে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে, সেইখানে নেওয়া হবে বলে আমরা জেনেছি।’
এর আগে ডিজিএফআই পরিচালিত জয়েন্ট ইন্টারোগেশনের (জেআইসি) মাধ্যমে গুম-নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ওই মামলার অপর আসামিরা হলেন—শেখ হাসিনার সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. আকবর হোসেন, সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব.) সাইফুল আবেদিন, সাবেক ডিজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, সাবেক ডিজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল তাবরেজ শামস চৌধুরী, সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক, সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) তৌহিদুল ইসলাম, মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কবির আহাম্মদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজাহার সিদ্দিকী এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক।
র্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশনের (টিএফআই) মাধ্যমে গুম-নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়। ওই মামলার অন্য আসামিরা হলেন—শেখ হাসিনার সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল এবং সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৮ ও ১৯ জুলাই ২৮ জন নিহতের ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। চার আসামি হলেন বিজিবির সাবেক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলাম, বিজিবি কর্মকর্তা রাফাত বিন আলম মুন, ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের সাবেক এডিসি মো. রাশেদুল ইসলাম এবং রামপুরা থানার সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমান।
মসজিদের ইমাম-খতিবসহ আলেমদের বয়ানে দুর্নীতি, মাদক, জঙ্গিবাদ, নারীর প্রতি সহিংসতা বিষয়ে আরও বেশি করে আলোচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চতুর্থ পর্যায়ে নবনির্মিত আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন
১৭ এপ্রিল ২০২৩জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সংশয়ের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে আসিফ নজরুল বলেন, ‘মাঠে-ঘাটে মানুষের মধ্যে আস্থার অভাব আছে কি না, আমি জানি না। আমার মনে হয়, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেভাবে অনৈক্য থাকে, তারা একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে যেভাবে বলে, ওটার কারণে হয়তো নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে সংশ
২৭ মিনিট আগেআওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম ও নির্যাতনের দুই মামলায় এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রামপুরায় সংঘটিত অপরাধের এক মামলায় আসামি ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
২ ঘণ্টা আগেক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৭ জন পলাতক থাকায় তাঁদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আওয়ামী লীগ আমলে গুম করে নির্যাতন ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রামপুরা এলাকায় হত্যাকাণ্ডের পৃথক তিনটি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক ব্যক্তিদের হাজির হতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই নির্দেশ দেন।
এর আগে এই তিন মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আজ সকাল ৭টার দিকে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত প্রিজন ভ্যানে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তাঁদের প্রথমে রাখা হয় ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায়। সকাল ৮টার দিকে তোলা হয় এজলাসে। সকাল ৮টার একটু পর এজলাসে আসেন তিন বিচারপতি। ট্রাইব্যুনাল আসামিদের নাম ধরে ডাকলে তাঁরা এক এক করে দাঁড়ান। শুনানি শেষে তাঁদের সবাইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
আর ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৭ জন পলাতক থাকায় তাঁদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।
যে সেনা কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করে হাজির করার পর কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন কর্নেল এ কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, লেফটেন্যান্ট কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজাহার সিদ্দিকী, মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম।
আজ ট্রাইব্যুনাল থেকে বের হয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘যাঁদের হাজির করা হয়েছিল, তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর পলাতকদের এক সপ্তাহ সময় দিয়ে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গুমের দুই মামলায় শুনানির পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ নভেম্বর।’
চিফ প্রসিকিউটর আরও জানান, গত বছরের ১৮ ও ১৯ জুলাই রামপুরা এলাকায় ২৮ জনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ আরও দুজনকে হাজির করা হয়েছিল। আদালত তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ নভেম্বর। এই মামলার পলাতক দুজনকেও হাজির হতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ আমলে গুম করে নির্যাতন ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রামপুরা এলাকায় হত্যাকাণ্ডের পৃথক তিনটি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক ব্যক্তিদের হাজির হতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই নির্দেশ দেন।
এর আগে এই তিন মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আজ সকাল ৭টার দিকে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত প্রিজন ভ্যানে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তাঁদের প্রথমে রাখা হয় ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায়। সকাল ৮টার দিকে তোলা হয় এজলাসে। সকাল ৮টার একটু পর এজলাসে আসেন তিন বিচারপতি। ট্রাইব্যুনাল আসামিদের নাম ধরে ডাকলে তাঁরা এক এক করে দাঁড়ান। শুনানি শেষে তাঁদের সবাইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
আর ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৭ জন পলাতক থাকায় তাঁদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।
যে সেনা কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করে হাজির করার পর কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন কর্নেল এ কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, লেফটেন্যান্ট কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজাহার সিদ্দিকী, মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম।
আজ ট্রাইব্যুনাল থেকে বের হয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘যাঁদের হাজির করা হয়েছিল, তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর পলাতকদের এক সপ্তাহ সময় দিয়ে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গুমের দুই মামলায় শুনানির পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ নভেম্বর।’
চিফ প্রসিকিউটর আরও জানান, গত বছরের ১৮ ও ১৯ জুলাই রামপুরা এলাকায় ২৮ জনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ আরও দুজনকে হাজির করা হয়েছিল। আদালত তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ নভেম্বর। এই মামলার পলাতক দুজনকেও হাজির হতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মসজিদের ইমাম-খতিবসহ আলেমদের বয়ানে দুর্নীতি, মাদক, জঙ্গিবাদ, নারীর প্রতি সহিংসতা বিষয়ে আরও বেশি করে আলোচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চতুর্থ পর্যায়ে নবনির্মিত আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন
১৭ এপ্রিল ২০২৩জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সংশয়ের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে আসিফ নজরুল বলেন, ‘মাঠে-ঘাটে মানুষের মধ্যে আস্থার অভাব আছে কি না, আমি জানি না। আমার মনে হয়, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেভাবে অনৈক্য থাকে, তারা একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে যেভাবে বলে, ওটার কারণে হয়তো নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে সংশ
২৭ মিনিট আগেআওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম ও নির্যাতনের দুই মামলায় এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রামপুরায় সংঘটিত অপরাধের এক মামলায় আসামি ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
২ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের রক্ষক হিসেবে আমরা যাদের মনে করি সেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই আদালতের প্রক্রিয়ায় সাহায্য করেছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করে হাজির করার বিষয়ে সেনাবাহিনী সাহায্য করেছে। সুতরাং দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধ যা
২ ঘণ্টা আগে