নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পরে তাঁর রক্তের ওপর পা রেখেই রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসেন খন্দকার মোশতাক আহমেদ। ওই দিন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। গঠন করেন ২৩ সদস্যের মন্ত্রিসভার। যার মধ্যে ২২ জনই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের (বাকশাল) মন্ত্রিসভার। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন পরবর্তীতে আবার আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন।
১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী উপস্থাপন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। এর মাধ্যমে প্রচলিত সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। দেশে চালু হয় রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থা। ১৫ আগস্ট দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ৮৩ দিন ক্ষমতায় ছিলেন খন্দকার মোশতাক। ওই বছরের ৫ নভেম্বর ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি। আর ৭ নভেম্বর পাল্টা সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতায় আসেন জিয়াউর রহমান।
খন্দকার মোশতাক ১২ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রী নিয়ে সরকার গঠন করেন। যার মধ্যে ২১ জনই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন বাকশালের মন্ত্রিসভার সদস্য। যাদের বেশীরভাগকেই রাখা হয়েছিল পূর্বের দায়িত্বে। আর বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রী সভায় না থাকা শাহ মোয়াজ্জেম হোসনেকে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়। যিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার চিফ হুইপ।
বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার ২৯ জনের মধ্যে মৎস্য, বন, বন্যা এবং বিদ্যুৎ শক্তি মন্ত্রী আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ১৫ আগস্ট নিহত হন। এ ছাড়াও মন্ত্রিসভার উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী এম মনসুর আলী, শিল্প মন্ত্রী এইচ এম কামরুজ্জামান, কৃষিমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদ, তথ্য ও বেতার মন্ত্রী কোরবান আলী এবং এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মোমিন তালুকদার মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগ দেন নাই। আর পররাষ্ট্র মন্ত্রী কামাল হোসেন সেই সময় বিদেশে ছিলেন। তিনি সেই সময় দেশে আসতে অস্বীকৃতি জানান। তবে সেই সময় দু-একজন ছাড়া বেশির ভাগই চাপের মুখে খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। যোগ দেওয়া কয়েকজন আবার মোশতাকের পতনের পরে আওয়ামী লীগেও ফিরে আসেন।
বাকশালের মন্ত্রিসভার বাণিজ্যমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমেদ রাষ্ট্রপতি ও ভূমিমন্ত্রী মোহাম্মদ উল্লাহ উপ-রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। খন্দকার মোশতাক মাত্র ৮৩ দিন ক্ষমতায় ছিলেন। ক্ষমতাচ্যুত হয়ে তিনি কারাগারে ছিলেন। কারামুক্তির পরে ডেমোক্রেটিক লীগ নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। আর ১৯৯৬ সালের ৫ মার্চ তিনি মারা যান। বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ উল্লাহ জিয়াউর রহমান সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন। ১৯৯১ সালে লক্ষ্মীপুর-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বাকশালের মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রী ছিলেন শিক্ষাবিদ আজিজুর রহমান মল্লিক। মোশতাকের মন্ত্রিসভায়ও তিনি একই দায়িত্বে ছিলেন। সরকারের পতনের পরে তিনি আবারও পুরোনো পেশায় ফিরে যান। ১৯৭৬ সালের ১ জানুয়ারি তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। ১৯৮৩ সালের ১৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে প্রফেসর এমিরিটাস হিসেবে নিয়োগ দান করে। বাঙালি মূলধনে গড়ে ওঠা প্রথম বাণিজ্যিক ব্যাংক 'ন্যাশনাল ব্যাংক'-এর অনারারি চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন।
বাকশাল সরকারের বন্দর ও জাহাজ দপ্তর মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী। তার আগে তিনি রাষ্ট্রপতিও ছিলেন। মোশতাকের মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। পরে রাজনীতিতে সক্রিয় হননি। ১৯৮৫ সালে তিনি জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি নির্বাচিত হন।
মুজিবনগর সরকারের ঘোষণাপত্র পাঠ করা অধ্যাপক ইউসুফ আলী বাকশাল সরকারের শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ছিলেন। খন্দকার মোশতাকের সরকারের তিনি পরিকল্পনা মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। পরে জিয়া, এরশাদ সরকারেরও মন্ত্রী ছিলেন তিনি।
বাকশাল সরকারের আইনমন্ত্রী মনোরঞ্জন ধর খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রিসভায় একই দায়িত্বে ছিলেন। সরকারের পতনের পরে ১৯৭৮ সালে আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন।
মাদারীপুরের ফণী ভূষণ মজুমদার বাকশাল সরকারের এলজিআরডি মন্ত্রী ছিলেন। মোশতাকের মন্ত্রিসভায়ও তিনি একই পদে ছিলেন। ১৯৭৭ সালে সামরিক আইনে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। ১৯৭৮ সালে তিনি আবার আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন। ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি।
মাগুরার সোহরাব হোসেন বাকশাল সরকারের পূর্ত ও গৃহনির্মাণ মন্ত্রী ছিলেন। মোশতাকের মন্ত্রী সভায়ও তিনি একই পদে ছিলেন। সরকার পতনের পরে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
বাকশাল সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী টাঙ্গাইলের আব্দুল মান্নান মোশতাক সরকারে একই পদে ছিলেন। ১৯৭৮ সালে তিনি আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের টিকিটে সাংসদ হন। ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।
নেত্রকোনার আব্দুল মোমিন বাকশাল সরকারের খাদ্য ও পুনর্বাসন মন্ত্রী ছিলেন। খন্দকার মোশতাকের সরকারের তিনি কৃষি ও খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৭৮ সালে আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন তিনি। ২০০২ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তাঁর স্ত্রী রেবেকা মোমিন এখন নেত্রকোনা-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ।
স্বাধীন বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভিসি ছিলেন অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ চৌধুরী। তাঁকে বঙ্গবন্ধু বাকশাল সরকারের শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব দেন। তিনিও মোশতাকের মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। মোশতাকের পতনের পর শিক্ষকতা পেশায় ফিরে আসেন। তিনি ১৯৭৮ সালে মারা যান।
বাকশাল সরকারের পাটমন্ত্রী ছিলেন কিশোরগঞ্জের আসাদুজ্জামান খান। খন্দকার মোশতাকের সরকারে যোগ দিলে যাকে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৭৮ সালেও তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ১৯৭৯ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতাও নির্বাচিত হন। ১৯৯২ সালে তিনি মারা যান।
ছাত্রনেতা কে এম ওবায়দুর রহমান বাকশাল সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। সবার সঙ্গে তিনিও খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগ দেন। তিনি জেল হত্যা মামলায়ও অভিযুক্ত ছিলেন। ২০০৪ সালে এই মামলা থেকে খালাস পেয়েছিলেন তিনি। মোশতাকের পতনের পরে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। দলটির মহাসচিবের দায়িত্বেও ছিলেন। তার মেয়ে শামা ওবায়েদ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক।
বঙ্গবন্ধু সরকারের চিফ হুইপ সাবেক ছাত্রনেতা শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বাকশাল সরকারের বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি এরশাদ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। পরে বিএনপিতে যোগ দেন। এখন তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান। তিনিও জেলহত্যা মামলার আসামি ছিলেন। ২০০৪ সালে খালাস পান তিনি।
হবিগঞ্জের দেওয়ান ফরিদ গাজী বাকশাল সরকারের বাণিজ্য, পাট ও চা প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। মোশতাক সরকারের বাণিজ্য ও খনিজ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। পরে আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন। হবিগঞ্জ-১ আসন থেকে সপ্তম থেকে ১০ম পর্যন্ত নৌকা মার্কায় জয়লাভ করেন। ২০১০ সালে তিনি মারা যান। সেই সময় পর্যন্ত আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ছিলেন। তাঁর ছেলে গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ (মিলাদ গাজী) হবিগঞ্জ-১ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ।
বাকশাল সরকারের তথ্য ও বেতার প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তাহের উদ্দিন ঠাকুর। মোশতাকের মন্ত্রিসভায়ও একই দায়িত্বে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ১৯৯৬ সালের ১৪ আগস্ট ঠাকুরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে মামলা থেকে খালাস পেয়েছিলেন। ২০০৪ সালে জেল হত্যা মামলা থেকেও খালাস পান তিনি।
চট্টগ্রামের নুরুল ইসলাম চৌধুরী বাকশালের শিল্প ও প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। মোশতাকের মন্ত্রিসভায়ও একই দায়িত্বে ছিলেন। জেল হত্যা মামলায় আসামি ছিলেন। বিএনপির আমলে ২০০৪ সালে এ মামলার রায় হলে তিনি বেকসুর খালাস পান।
মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেমউদ্দিন খান হাবু মিয়া বাকশালের পাট প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হন। মোশতাকের মন্ত্রিসভায়ও পাট প্রতিমন্ত্রী হন। ১৯৭৮ সালে তিনি আবার আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন। পরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হন।
পিরোজপুরের নুরুল ইসলাম মঞ্জুর বাকশালের রেল ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। যদিও দুই মাসের মাথায় ১৯৭৫ সালের ২১ জুলাই তাকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়। তিনি মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়ে একই পদে ছিলেন। পরে বিএনপিতে যোগ দেন। জেল হত্যা মামলায় তিনিও আসামি ছিলেন। পরে খালাস পান মামলা থেকে।
মঞ্জুরের পদত্যাগের পরে ন্যাপের নেতা কুষ্টিয়ার সৈয়দ আলতাফ হোসেন রেল ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। মোশতাকের মন্ত্রিসভা তিনিও যোগ দেন। দায়িত্ব দেওয়া হয় সড়ক যোগাযোগের প্রতিমন্ত্রীর। পরে আবার ন্যাপে ফিরে আসেন তিনি।
মোশতাকের মন্ত্রিসভায় একমাত্র নতুন সদস্য হিসেবে যুক্ত হন খুলনার মোমিন উদ্দিন আহমদ। প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তিনি বিএনপি হয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। এরশাদ সরকারের শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন।
পিরোজপুরের ডা. ক্ষিতীশ চন্দ্র মণ্ডল বাকশালের সাহায্য ও পুনর্বাসন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তিনি মোশতাকের মন্ত্রিসভায়ও একই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হন। ১৯৭৮ সালে আওয়ামী লীগে ফেরত এবং পরবর্তী সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত।
লালমনিরহাটের রিয়াজউদ্দিন আহমদ ভোলা মিয়া বাকশালের বন, মৎস্য ও পশুপালন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। মোশতাক সরকারের একই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হন। মোশতাকের পতনের পর ভোলা মিয়া বিএনপি হয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে মন্ত্রী হন।
মোশতাক সরকারের চিফ হুইপ ছিলেন নীলফামারীর আবদুর রউফ। পরে তিনি আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন। তিনি ১৯৮৬ ও ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে পরে তিনি কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরামে যুক্ত হন। তিনি গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য থাকা অবস্থায় ২০১১ সালে মৃত্যু বরণ করেন।
১৯৭৫ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে একদলীয় বাকশাল ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হলে তিনি সংসদ সদস্যপদ এবং আওয়ামী লীগের সদস্যপদ ত্যাগ করেন মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা জেনারেল এম এ জি ওসমানী। সেবার ২৯শে আগস্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদের প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা পদে নিয়োগ পান, তবে ৩রা নভেম্বর জেলহত্যার ঘটনার পর পদত্যাগ করেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পরে তাঁর রক্তের ওপর পা রেখেই রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসেন খন্দকার মোশতাক আহমেদ। ওই দিন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। গঠন করেন ২৩ সদস্যের মন্ত্রিসভার। যার মধ্যে ২২ জনই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের (বাকশাল) মন্ত্রিসভার। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন পরবর্তীতে আবার আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন।
১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী উপস্থাপন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। এর মাধ্যমে প্রচলিত সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। দেশে চালু হয় রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থা। ১৫ আগস্ট দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ৮৩ দিন ক্ষমতায় ছিলেন খন্দকার মোশতাক। ওই বছরের ৫ নভেম্বর ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি। আর ৭ নভেম্বর পাল্টা সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতায় আসেন জিয়াউর রহমান।
খন্দকার মোশতাক ১২ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রী নিয়ে সরকার গঠন করেন। যার মধ্যে ২১ জনই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন বাকশালের মন্ত্রিসভার সদস্য। যাদের বেশীরভাগকেই রাখা হয়েছিল পূর্বের দায়িত্বে। আর বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রী সভায় না থাকা শাহ মোয়াজ্জেম হোসনেকে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়। যিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার চিফ হুইপ।
বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার ২৯ জনের মধ্যে মৎস্য, বন, বন্যা এবং বিদ্যুৎ শক্তি মন্ত্রী আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ১৫ আগস্ট নিহত হন। এ ছাড়াও মন্ত্রিসভার উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী এম মনসুর আলী, শিল্প মন্ত্রী এইচ এম কামরুজ্জামান, কৃষিমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদ, তথ্য ও বেতার মন্ত্রী কোরবান আলী এবং এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মোমিন তালুকদার মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগ দেন নাই। আর পররাষ্ট্র মন্ত্রী কামাল হোসেন সেই সময় বিদেশে ছিলেন। তিনি সেই সময় দেশে আসতে অস্বীকৃতি জানান। তবে সেই সময় দু-একজন ছাড়া বেশির ভাগই চাপের মুখে খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। যোগ দেওয়া কয়েকজন আবার মোশতাকের পতনের পরে আওয়ামী লীগেও ফিরে আসেন।
বাকশালের মন্ত্রিসভার বাণিজ্যমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমেদ রাষ্ট্রপতি ও ভূমিমন্ত্রী মোহাম্মদ উল্লাহ উপ-রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। খন্দকার মোশতাক মাত্র ৮৩ দিন ক্ষমতায় ছিলেন। ক্ষমতাচ্যুত হয়ে তিনি কারাগারে ছিলেন। কারামুক্তির পরে ডেমোক্রেটিক লীগ নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। আর ১৯৯৬ সালের ৫ মার্চ তিনি মারা যান। বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ উল্লাহ জিয়াউর রহমান সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন। ১৯৯১ সালে লক্ষ্মীপুর-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বাকশালের মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রী ছিলেন শিক্ষাবিদ আজিজুর রহমান মল্লিক। মোশতাকের মন্ত্রিসভায়ও তিনি একই দায়িত্বে ছিলেন। সরকারের পতনের পরে তিনি আবারও পুরোনো পেশায় ফিরে যান। ১৯৭৬ সালের ১ জানুয়ারি তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। ১৯৮৩ সালের ১৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে প্রফেসর এমিরিটাস হিসেবে নিয়োগ দান করে। বাঙালি মূলধনে গড়ে ওঠা প্রথম বাণিজ্যিক ব্যাংক 'ন্যাশনাল ব্যাংক'-এর অনারারি চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন।
বাকশাল সরকারের বন্দর ও জাহাজ দপ্তর মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী। তার আগে তিনি রাষ্ট্রপতিও ছিলেন। মোশতাকের মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। পরে রাজনীতিতে সক্রিয় হননি। ১৯৮৫ সালে তিনি জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি নির্বাচিত হন।
মুজিবনগর সরকারের ঘোষণাপত্র পাঠ করা অধ্যাপক ইউসুফ আলী বাকশাল সরকারের শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ছিলেন। খন্দকার মোশতাকের সরকারের তিনি পরিকল্পনা মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। পরে জিয়া, এরশাদ সরকারেরও মন্ত্রী ছিলেন তিনি।
বাকশাল সরকারের আইনমন্ত্রী মনোরঞ্জন ধর খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রিসভায় একই দায়িত্বে ছিলেন। সরকারের পতনের পরে ১৯৭৮ সালে আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন।
মাদারীপুরের ফণী ভূষণ মজুমদার বাকশাল সরকারের এলজিআরডি মন্ত্রী ছিলেন। মোশতাকের মন্ত্রিসভায়ও তিনি একই পদে ছিলেন। ১৯৭৭ সালে সামরিক আইনে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। ১৯৭৮ সালে তিনি আবার আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন। ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি।
মাগুরার সোহরাব হোসেন বাকশাল সরকারের পূর্ত ও গৃহনির্মাণ মন্ত্রী ছিলেন। মোশতাকের মন্ত্রী সভায়ও তিনি একই পদে ছিলেন। সরকার পতনের পরে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
বাকশাল সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী টাঙ্গাইলের আব্দুল মান্নান মোশতাক সরকারে একই পদে ছিলেন। ১৯৭৮ সালে তিনি আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের টিকিটে সাংসদ হন। ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।
নেত্রকোনার আব্দুল মোমিন বাকশাল সরকারের খাদ্য ও পুনর্বাসন মন্ত্রী ছিলেন। খন্দকার মোশতাকের সরকারের তিনি কৃষি ও খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৭৮ সালে আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন তিনি। ২০০২ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তাঁর স্ত্রী রেবেকা মোমিন এখন নেত্রকোনা-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ।
স্বাধীন বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভিসি ছিলেন অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ চৌধুরী। তাঁকে বঙ্গবন্ধু বাকশাল সরকারের শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব দেন। তিনিও মোশতাকের মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। মোশতাকের পতনের পর শিক্ষকতা পেশায় ফিরে আসেন। তিনি ১৯৭৮ সালে মারা যান।
বাকশাল সরকারের পাটমন্ত্রী ছিলেন কিশোরগঞ্জের আসাদুজ্জামান খান। খন্দকার মোশতাকের সরকারে যোগ দিলে যাকে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৭৮ সালেও তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ১৯৭৯ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতাও নির্বাচিত হন। ১৯৯২ সালে তিনি মারা যান।
ছাত্রনেতা কে এম ওবায়দুর রহমান বাকশাল সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। সবার সঙ্গে তিনিও খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগ দেন। তিনি জেল হত্যা মামলায়ও অভিযুক্ত ছিলেন। ২০০৪ সালে এই মামলা থেকে খালাস পেয়েছিলেন তিনি। মোশতাকের পতনের পরে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। দলটির মহাসচিবের দায়িত্বেও ছিলেন। তার মেয়ে শামা ওবায়েদ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক।
বঙ্গবন্ধু সরকারের চিফ হুইপ সাবেক ছাত্রনেতা শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বাকশাল সরকারের বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি এরশাদ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। পরে বিএনপিতে যোগ দেন। এখন তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান। তিনিও জেলহত্যা মামলার আসামি ছিলেন। ২০০৪ সালে খালাস পান তিনি।
হবিগঞ্জের দেওয়ান ফরিদ গাজী বাকশাল সরকারের বাণিজ্য, পাট ও চা প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। মোশতাক সরকারের বাণিজ্য ও খনিজ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। পরে আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন। হবিগঞ্জ-১ আসন থেকে সপ্তম থেকে ১০ম পর্যন্ত নৌকা মার্কায় জয়লাভ করেন। ২০১০ সালে তিনি মারা যান। সেই সময় পর্যন্ত আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ছিলেন। তাঁর ছেলে গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ (মিলাদ গাজী) হবিগঞ্জ-১ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ।
বাকশাল সরকারের তথ্য ও বেতার প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তাহের উদ্দিন ঠাকুর। মোশতাকের মন্ত্রিসভায়ও একই দায়িত্বে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ১৯৯৬ সালের ১৪ আগস্ট ঠাকুরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে মামলা থেকে খালাস পেয়েছিলেন। ২০০৪ সালে জেল হত্যা মামলা থেকেও খালাস পান তিনি।
চট্টগ্রামের নুরুল ইসলাম চৌধুরী বাকশালের শিল্প ও প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। মোশতাকের মন্ত্রিসভায়ও একই দায়িত্বে ছিলেন। জেল হত্যা মামলায় আসামি ছিলেন। বিএনপির আমলে ২০০৪ সালে এ মামলার রায় হলে তিনি বেকসুর খালাস পান।
মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেমউদ্দিন খান হাবু মিয়া বাকশালের পাট প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হন। মোশতাকের মন্ত্রিসভায়ও পাট প্রতিমন্ত্রী হন। ১৯৭৮ সালে তিনি আবার আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন। পরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হন।
পিরোজপুরের নুরুল ইসলাম মঞ্জুর বাকশালের রেল ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। যদিও দুই মাসের মাথায় ১৯৭৫ সালের ২১ জুলাই তাকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়। তিনি মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়ে একই পদে ছিলেন। পরে বিএনপিতে যোগ দেন। জেল হত্যা মামলায় তিনিও আসামি ছিলেন। পরে খালাস পান মামলা থেকে।
মঞ্জুরের পদত্যাগের পরে ন্যাপের নেতা কুষ্টিয়ার সৈয়দ আলতাফ হোসেন রেল ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। মোশতাকের মন্ত্রিসভা তিনিও যোগ দেন। দায়িত্ব দেওয়া হয় সড়ক যোগাযোগের প্রতিমন্ত্রীর। পরে আবার ন্যাপে ফিরে আসেন তিনি।
মোশতাকের মন্ত্রিসভায় একমাত্র নতুন সদস্য হিসেবে যুক্ত হন খুলনার মোমিন উদ্দিন আহমদ। প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তিনি বিএনপি হয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। এরশাদ সরকারের শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন।
পিরোজপুরের ডা. ক্ষিতীশ চন্দ্র মণ্ডল বাকশালের সাহায্য ও পুনর্বাসন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তিনি মোশতাকের মন্ত্রিসভায়ও একই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হন। ১৯৭৮ সালে আওয়ামী লীগে ফেরত এবং পরবর্তী সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত।
লালমনিরহাটের রিয়াজউদ্দিন আহমদ ভোলা মিয়া বাকশালের বন, মৎস্য ও পশুপালন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। মোশতাক সরকারের একই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হন। মোশতাকের পতনের পর ভোলা মিয়া বিএনপি হয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে মন্ত্রী হন।
মোশতাক সরকারের চিফ হুইপ ছিলেন নীলফামারীর আবদুর রউফ। পরে তিনি আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন। তিনি ১৯৮৬ ও ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে পরে তিনি কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরামে যুক্ত হন। তিনি গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য থাকা অবস্থায় ২০১১ সালে মৃত্যু বরণ করেন।
১৯৭৫ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে একদলীয় বাকশাল ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হলে তিনি সংসদ সদস্যপদ এবং আওয়ামী লীগের সদস্যপদ ত্যাগ করেন মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা জেনারেল এম এ জি ওসমানী। সেবার ২৯শে আগস্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদের প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা পদে নিয়োগ পান, তবে ৩রা নভেম্বর জেলহত্যার ঘটনার পর পদত্যাগ করেন।

সোমবার সকালে উত্তরা মেট্রোরেল ডিপিতে মেট্রোর সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ।
১২ মিনিট আগে
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানানোর অনুরোধ করেছে সরকার। এ সময়ের মধ্যে দলগুলোর পক্ষ থেকে দিকনির্দেশনা পেলে সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
২ ঘণ্টা আগে
ড. কামাল সিদ্দিকী ২০০৬ সাল পর্যন্ত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া জাতিসংঘের শিশু অধিকার কমিটির নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ কর্তৃক মনোনীত হন এবং ২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং পরিকল্পনা বিভাগে নতুন সচিব নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে তিনজন অতিরিক্ত সচিবকে সচিব পদে পদোন্নতি এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত এক সচিবকে পদায়ন করে রোববার রাতে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অনেকগুলো ত্রুটি রেখেই তাড়াহুড়া করে মেট্রোরেল চালু করা হয়েছিল। মেট্রোরেলের কোনো ‘সেফটি অডিট’ (নিরাপত্তা নিরীক্ষা) হয়নি। তাই ইউরোপীয় কোনো প্রতিষ্ঠান দিয়ে সেফটি অডিট করাবে সরকার।
আজ সোমবার সকালে উত্তরা মেট্রোরেল ডিপিতে মেট্রোর সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেল প্রকল্পের নির্মাণকাজে কিছুটা তাড়াহুড়া হয়েছে। আর যেখানে দুর্ঘটনা (ফার্মগেটে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু) ঘটেছিল সেই অংশে অনেক ত্রুটি আছে।’
দ্রুতই সেফটি অডিট করানো হবে জানিয়ে ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, ‘আমাদের কাছে ফ্রান্সের দুটি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। সেফটি অডিট করার জন্য আমরা খুব শিগগিরই টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যাব।’
মেট্রোর বেয়ারিং প্যাড সম্পর্কে ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, ‘মেট্রোর বিয়ারিং প্যাড হঠাৎ করে পড়ে যায়নি। এটা হঠাৎ করে পড়ে যাওয়ার জিনিস না। যেহেতু এটা নিয়ে তদন্ত চলছে ফলে এ বিষয়ে আমি জাজমেন্টাল হতে চাই না। তবে যেটা হতে পারে সেটা বলতে পারি— ডিজাইন ফল্ট হতে পারে। যে জিনিসের ওপর বসানোর কথা বলা হয়েছিল, যা যা দেওয়ার কথা ছিল সেটা বসানো হয়নি। যে ডিজাইনে হওয়ার কথা ছিল সেটা হয়তো ঠিকাদার করেনি। যে পরামর্শককে বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তারা হয়তো ঠিক করে জিনিসটা বুঝে নেয়নি। এই চারটা কারণে হতে পারে অথবা এর মধ্যে কোনো একটি কারণেও হতে পারে।’
ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, ‘দোষ কিন্তু বিয়ারিংয়ের না। বিয়ারিং যে লাগিয়েছে, বাজেভাবে লাগানো হয়েছে কিনা, যার আসলে বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব ছিল সে বুঝে নিয়েছে কিনা—সেগুলো এখন আমাদের দেখতে হবে। আমরা বিদেশি পরামর্শক রেখেছি, বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব তাদের এবং পরামর্শকদের আমাদের বুঝিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব। আর ডিএমটিসিএল পরামর্শকের কাছ থেকে বুঝে নেবে। তখন এই কাজগুলো কিছুটা তাড়াহুড়া হয়েছে। কেন হয়েছে সেটার উত্তর তো আমি দিতে পারব না। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছিল সেই অংশে অনেক ডিফেক্ট (ত্রুটি) আছে। ফলে সেটা এখনো আমরা বুঝে নিইনি।’
বিয়ারিং প্যাডের দুর্ঘটনার বিষয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘যেখানে বিয়ারিং প্যাড পড়ে গিয়েছিল ওই অংশের ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ড আছে ২০২৯ সালের জুন পর্যন্ত। কিন্তু আমরা এই ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ড একসেপ্ট করিনি এখনো। কারণ এখনো অনেক মেজর ডিফেক্ট রয়ে গেছে। সেগুলো ঠিক না করা পর্যন্ত ডিফেক্ট লায়াবিলিটির নোটিফিকেশন পিরিয়ড একসেপ্ট করব না। এটা এখনো ডিফেক্ট লায়াবিলিটি নোটিফিকেশন পিরিয়ডে আছে। যত সমস্যা আছে এগুলো ঠিকাদারকে মেরামত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর আমরা আবার সব পিলার পরিদর্শন করছি। আগেও যেসব স্থানে ত্রুটি শনাক্ত করে নোটিফিকেশন দেওয়া হয়েছিল, সেগুলোও পুনরায় যাচাই করা হচ্ছে। আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলো—যেখানে ত্রুটি বা সমস্যা পাওয়া যাবে, সেখানে বিয়ারিং প্যাড অবশ্যই পরিবর্তন করা হবে।’
এমআরটি লাইন-৬ সম্পর্কে ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, ‘প্রকল্পটি চালুর আগে ন্যূনতম ৬ থেকে ৯ মাসের ট্রায়াল রান ও বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আমরা সে সময়টি দিতে পারিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিন বছরে মেট্রো চালু হবে বা পাঁচ বছরে মেট্রো সম্পূর্ণ হবে—এ ধরনের ধারণা আসলে ভুল। কোনো মেট্রোর প্রথম সিভিল কন্ট্রাক্ট থেকে রাজস্ব অপারেশন শুরু করতে সাধারণত ছয় থেকে সাত বছর লাগে।’
মেট্রো প্রকল্প ব্যর্থ হয়নি—সরকার এই প্রকল্প সম্পন্ন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ জানিয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো, দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন এই প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ করতে সক্ষম হয়। বিপুল অর্থ ব্যয়ে লাইন-১-এর কাজ করা হয়েছে, আর এর মান সবাই নিশ্চয়ই উপলব্ধি করেছেন। সরকারের উদ্দেশ্য হলো, একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরি করা, যাতে একাধিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে পারে এবং কম খরচে উন্নতমানের মেট্রো নির্মাণ সম্ভব হয়। মেট্রো আমাদের করতেই হবে—তবে তা হবে স্মার্ট ফাইন্যান্সিংয়ের মাধ্যমে।’

অনেকগুলো ত্রুটি রেখেই তাড়াহুড়া করে মেট্রোরেল চালু করা হয়েছিল। মেট্রোরেলের কোনো ‘সেফটি অডিট’ (নিরাপত্তা নিরীক্ষা) হয়নি। তাই ইউরোপীয় কোনো প্রতিষ্ঠান দিয়ে সেফটি অডিট করাবে সরকার।
আজ সোমবার সকালে উত্তরা মেট্রোরেল ডিপিতে মেট্রোর সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেল প্রকল্পের নির্মাণকাজে কিছুটা তাড়াহুড়া হয়েছে। আর যেখানে দুর্ঘটনা (ফার্মগেটে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু) ঘটেছিল সেই অংশে অনেক ত্রুটি আছে।’
দ্রুতই সেফটি অডিট করানো হবে জানিয়ে ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, ‘আমাদের কাছে ফ্রান্সের দুটি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। সেফটি অডিট করার জন্য আমরা খুব শিগগিরই টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যাব।’
মেট্রোর বেয়ারিং প্যাড সম্পর্কে ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, ‘মেট্রোর বিয়ারিং প্যাড হঠাৎ করে পড়ে যায়নি। এটা হঠাৎ করে পড়ে যাওয়ার জিনিস না। যেহেতু এটা নিয়ে তদন্ত চলছে ফলে এ বিষয়ে আমি জাজমেন্টাল হতে চাই না। তবে যেটা হতে পারে সেটা বলতে পারি— ডিজাইন ফল্ট হতে পারে। যে জিনিসের ওপর বসানোর কথা বলা হয়েছিল, যা যা দেওয়ার কথা ছিল সেটা বসানো হয়নি। যে ডিজাইনে হওয়ার কথা ছিল সেটা হয়তো ঠিকাদার করেনি। যে পরামর্শককে বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তারা হয়তো ঠিক করে জিনিসটা বুঝে নেয়নি। এই চারটা কারণে হতে পারে অথবা এর মধ্যে কোনো একটি কারণেও হতে পারে।’
ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, ‘দোষ কিন্তু বিয়ারিংয়ের না। বিয়ারিং যে লাগিয়েছে, বাজেভাবে লাগানো হয়েছে কিনা, যার আসলে বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব ছিল সে বুঝে নিয়েছে কিনা—সেগুলো এখন আমাদের দেখতে হবে। আমরা বিদেশি পরামর্শক রেখেছি, বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব তাদের এবং পরামর্শকদের আমাদের বুঝিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব। আর ডিএমটিসিএল পরামর্শকের কাছ থেকে বুঝে নেবে। তখন এই কাজগুলো কিছুটা তাড়াহুড়া হয়েছে। কেন হয়েছে সেটার উত্তর তো আমি দিতে পারব না। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছিল সেই অংশে অনেক ডিফেক্ট (ত্রুটি) আছে। ফলে সেটা এখনো আমরা বুঝে নিইনি।’
বিয়ারিং প্যাডের দুর্ঘটনার বিষয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘যেখানে বিয়ারিং প্যাড পড়ে গিয়েছিল ওই অংশের ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ড আছে ২০২৯ সালের জুন পর্যন্ত। কিন্তু আমরা এই ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ড একসেপ্ট করিনি এখনো। কারণ এখনো অনেক মেজর ডিফেক্ট রয়ে গেছে। সেগুলো ঠিক না করা পর্যন্ত ডিফেক্ট লায়াবিলিটির নোটিফিকেশন পিরিয়ড একসেপ্ট করব না। এটা এখনো ডিফেক্ট লায়াবিলিটি নোটিফিকেশন পিরিয়ডে আছে। যত সমস্যা আছে এগুলো ঠিকাদারকে মেরামত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর আমরা আবার সব পিলার পরিদর্শন করছি। আগেও যেসব স্থানে ত্রুটি শনাক্ত করে নোটিফিকেশন দেওয়া হয়েছিল, সেগুলোও পুনরায় যাচাই করা হচ্ছে। আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলো—যেখানে ত্রুটি বা সমস্যা পাওয়া যাবে, সেখানে বিয়ারিং প্যাড অবশ্যই পরিবর্তন করা হবে।’
এমআরটি লাইন-৬ সম্পর্কে ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, ‘প্রকল্পটি চালুর আগে ন্যূনতম ৬ থেকে ৯ মাসের ট্রায়াল রান ও বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আমরা সে সময়টি দিতে পারিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিন বছরে মেট্রো চালু হবে বা পাঁচ বছরে মেট্রো সম্পূর্ণ হবে—এ ধরনের ধারণা আসলে ভুল। কোনো মেট্রোর প্রথম সিভিল কন্ট্রাক্ট থেকে রাজস্ব অপারেশন শুরু করতে সাধারণত ছয় থেকে সাত বছর লাগে।’
মেট্রো প্রকল্প ব্যর্থ হয়নি—সরকার এই প্রকল্প সম্পন্ন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ জানিয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো, দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন এই প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ করতে সক্ষম হয়। বিপুল অর্থ ব্যয়ে লাইন-১-এর কাজ করা হয়েছে, আর এর মান সবাই নিশ্চয়ই উপলব্ধি করেছেন। সরকারের উদ্দেশ্য হলো, একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরি করা, যাতে একাধিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে পারে এবং কম খরচে উন্নতমানের মেট্রো নির্মাণ সম্ভব হয়। মেট্রো আমাদের করতেই হবে—তবে তা হবে স্মার্ট ফাইন্যান্সিংয়ের মাধ্যমে।’

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পরে তাঁর রক্তের ওপর পা রেখেই রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসেন খন্দকার মোশতাক আহমেদ। ওই দিন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। গঠন করেন ২৩ সদস্যের মন্ত্রিসভার। যার মধ্যে ২২ জনই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের (বাকশাল) মন্ত্রিসভার।
১৫ আগস্ট ২০২১
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানানোর অনুরোধ করেছে সরকার। এ সময়ের মধ্যে দলগুলোর পক্ষ থেকে দিকনির্দেশনা পেলে সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
২ ঘণ্টা আগে
ড. কামাল সিদ্দিকী ২০০৬ সাল পর্যন্ত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া জাতিসংঘের শিশু অধিকার কমিটির নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ কর্তৃক মনোনীত হন এবং ২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং পরিকল্পনা বিভাগে নতুন সচিব নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে তিনজন অতিরিক্ত সচিবকে সচিব পদে পদোন্নতি এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত এক সচিবকে পদায়ন করে রোববার রাতে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৪ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদ বাস্তবায়ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানানোর অনুরোধ করেছে সরকার। এ সময়ের মধ্যে দলগুলোর পক্ষ থেকে দিকনির্দেশনা পেলে সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
আজ সোমবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোট বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান উপদেষ্টা।
সকাল ১০টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজধানীর তেজগাঁও কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।
আইন উপদেষ্টা বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনা করে এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে অনুরোধ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আজ জাতীয় ঐক্যমত কমিশন কর্তৃক প্রণীত জুলাই সনদ এবং এর বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য স্থাপনের প্রচেষ্টার জন্য এবং বহু বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়। ’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদের সভায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) আদেশ চূড়ান্তকরণ এবং এতে উল্লেখিত গণভোট আয়োজন ও গণভোটের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে লক্ষ্য করা হয় যে, ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘদিন আলোচনার পরও কয়েকটি সংস্কারের সুপারিশ বিষয়ে ভিন্ন মত রয়েছে। এ ছাড়া, গণভোট কবে অনুষ্ঠিত হবে ও এর বিষয়বস্তু কী হবে এসব প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, সে জন্য সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘এই পরিপ্রেক্ষিতে গণভোটের সময় কখন হবে, গণভোটের বিষয়বস্তু কী হবে, জুলাই সনদে বর্ণিত ভিন্নমতগুলো প্রসঙ্গে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবগুলোর আলোকে জরুরি ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে সভা অভিমত ব্যক্ত করে।’
এসব ক্ষেত্রে ফ্যসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের দীর্ঘদিনের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে দ্রুততম সময়ে (সম্ভব হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে) সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এমন নির্দেশনা পেলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনেক সহজ হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কালক্ষেপণের যে কোনো সুযোগ নাই সেটাও আমাদের সবার বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন। ’
সভায় ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্থে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করা হয় বলে উল্লেখ করেন আইন উপদেষ্টা।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ কবে জারি হতে পারে— এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করেছে। ওনাদের কিছু সময় দিতে চাই। যেসব বিষয় উল্লেখ করেছি সেগুলোতে ওনারা আলোচনা করে একমত হতে পারেন কিনা আমরা দেখি।’ দলগুলে একমত না হলে সরকার কী করবে এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা অপেক্ষা করব, তারপর অবশ্যই সরকার সরকারের মতো অ্যাক্ট (পদক্ষেপ) নেবে।’
সরকার কি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে নতি স্বীকার করেছে— এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমি বলেছিলাম চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদ। এ সিদ্ধান্ত থেকে আমরা মোটেও সরে আসি নাই। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ঐক্যবদ্ধ সুপারিশ প্রত্যাশা করা ইতিবাচক হিসেবে দেখতে পারেন।’
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনার আয়োজন সরকার করে দেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘সরকার আয়োজন করে বহু আলোচনা করেছে। সরকার আর কোনো আয়োজন করতে যাচ্ছে না। ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো গত ১৫ বছর নিজেরা নিজেরা আলোচনা করে বহু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ওনারা অত্যন্ত প্রতিকূল সময়ে একসঙ্গে আন্দোলন করেছেন, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এখন ওনারা নিজ উদ্যোগে আলোচনা করে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত নেবেন, এ প্রত্যাশা করছি। আমি কালকেই দেখলাম, একটি দলের পক্ষ থেকে আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছে—আমরা এটাকে স্বাগত জানাই।’
জুলাই জাতীয় সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘এ প্রসঙ্গে আমাদের এখন কোনো মন্তব্য নেই। দলগুলো এ বিষয়ে একটা ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশা করি। তাঁরা আলাপ-আলোচনা করলে আমাদের কাজটা সহজ হবে। তাঁরা ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারলে, অবশ্যই সরকার সরকারের মতো সিদ্ধান্ত নেবে।’

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানানোর অনুরোধ করেছে সরকার। এ সময়ের মধ্যে দলগুলোর পক্ষ থেকে দিকনির্দেশনা পেলে সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
আজ সোমবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোট বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান উপদেষ্টা।
সকাল ১০টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজধানীর তেজগাঁও কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।
আইন উপদেষ্টা বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনা করে এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে অনুরোধ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আজ জাতীয় ঐক্যমত কমিশন কর্তৃক প্রণীত জুলাই সনদ এবং এর বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য স্থাপনের প্রচেষ্টার জন্য এবং বহু বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়। ’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদের সভায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) আদেশ চূড়ান্তকরণ এবং এতে উল্লেখিত গণভোট আয়োজন ও গণভোটের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে লক্ষ্য করা হয় যে, ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘদিন আলোচনার পরও কয়েকটি সংস্কারের সুপারিশ বিষয়ে ভিন্ন মত রয়েছে। এ ছাড়া, গণভোট কবে অনুষ্ঠিত হবে ও এর বিষয়বস্তু কী হবে এসব প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, সে জন্য সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘এই পরিপ্রেক্ষিতে গণভোটের সময় কখন হবে, গণভোটের বিষয়বস্তু কী হবে, জুলাই সনদে বর্ণিত ভিন্নমতগুলো প্রসঙ্গে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবগুলোর আলোকে জরুরি ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে সভা অভিমত ব্যক্ত করে।’
এসব ক্ষেত্রে ফ্যসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের দীর্ঘদিনের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে দ্রুততম সময়ে (সম্ভব হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে) সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এমন নির্দেশনা পেলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনেক সহজ হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কালক্ষেপণের যে কোনো সুযোগ নাই সেটাও আমাদের সবার বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন। ’
সভায় ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্থে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করা হয় বলে উল্লেখ করেন আইন উপদেষ্টা।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ কবে জারি হতে পারে— এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করেছে। ওনাদের কিছু সময় দিতে চাই। যেসব বিষয় উল্লেখ করেছি সেগুলোতে ওনারা আলোচনা করে একমত হতে পারেন কিনা আমরা দেখি।’ দলগুলে একমত না হলে সরকার কী করবে এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা অপেক্ষা করব, তারপর অবশ্যই সরকার সরকারের মতো অ্যাক্ট (পদক্ষেপ) নেবে।’
সরকার কি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে নতি স্বীকার করেছে— এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমি বলেছিলাম চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদ। এ সিদ্ধান্ত থেকে আমরা মোটেও সরে আসি নাই। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ঐক্যবদ্ধ সুপারিশ প্রত্যাশা করা ইতিবাচক হিসেবে দেখতে পারেন।’
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনার আয়োজন সরকার করে দেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘সরকার আয়োজন করে বহু আলোচনা করেছে। সরকার আর কোনো আয়োজন করতে যাচ্ছে না। ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো গত ১৫ বছর নিজেরা নিজেরা আলোচনা করে বহু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ওনারা অত্যন্ত প্রতিকূল সময়ে একসঙ্গে আন্দোলন করেছেন, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এখন ওনারা নিজ উদ্যোগে আলোচনা করে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত নেবেন, এ প্রত্যাশা করছি। আমি কালকেই দেখলাম, একটি দলের পক্ষ থেকে আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছে—আমরা এটাকে স্বাগত জানাই।’
জুলাই জাতীয় সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘এ প্রসঙ্গে আমাদের এখন কোনো মন্তব্য নেই। দলগুলো এ বিষয়ে একটা ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশা করি। তাঁরা আলাপ-আলোচনা করলে আমাদের কাজটা সহজ হবে। তাঁরা ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারলে, অবশ্যই সরকার সরকারের মতো সিদ্ধান্ত নেবে।’

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পরে তাঁর রক্তের ওপর পা রেখেই রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসেন খন্দকার মোশতাক আহমেদ। ওই দিন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। গঠন করেন ২৩ সদস্যের মন্ত্রিসভার। যার মধ্যে ২২ জনই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের (বাকশাল) মন্ত্রিসভার।
১৫ আগস্ট ২০২১
সোমবার সকালে উত্তরা মেট্রোরেল ডিপিতে মেট্রোর সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ।
১২ মিনিট আগে
ড. কামাল সিদ্দিকী ২০০৬ সাল পর্যন্ত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া জাতিসংঘের শিশু অধিকার কমিটির নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ কর্তৃক মনোনীত হন এবং ২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং পরিকল্পনা বিভাগে নতুন সচিব নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে তিনজন অতিরিক্ত সচিবকে সচিব পদে পদোন্নতি এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত এক সচিবকে পদায়ন করে রোববার রাতে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৪ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

সাবেক মুখ্যসচিব ড. কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন। আজ সোমবার ভোরে গুলশানে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। সকালে এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আজ আছর নামাজের পর গুলশান আজাদ মসজিদে তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হবে।
কামাল সিদ্দিকী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ২০০৬ সাল পর্যন্ত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুখ্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতিসংঘের শিশু অধিকার কমিটির নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ কর্তৃক মনোনীত হন এবং ২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
ড. কামাল সিদ্দিকী ২০০৬ সাল পর্যন্ত এনসাইক্লোপিডিয়া অব ফ্লোরা অ্যান্ড ফাউনা অব বাংলাদেশের প্রধান সম্পাদক ছিলেন। এটির প্রথম খণ্ড ২০০৮ সালে এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত হয়।

সাবেক মুখ্যসচিব ড. কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন। আজ সোমবার ভোরে গুলশানে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। সকালে এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আজ আছর নামাজের পর গুলশান আজাদ মসজিদে তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হবে।
কামাল সিদ্দিকী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ২০০৬ সাল পর্যন্ত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুখ্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতিসংঘের শিশু অধিকার কমিটির নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ কর্তৃক মনোনীত হন এবং ২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
ড. কামাল সিদ্দিকী ২০০৬ সাল পর্যন্ত এনসাইক্লোপিডিয়া অব ফ্লোরা অ্যান্ড ফাউনা অব বাংলাদেশের প্রধান সম্পাদক ছিলেন। এটির প্রথম খণ্ড ২০০৮ সালে এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত হয়।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পরে তাঁর রক্তের ওপর পা রেখেই রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসেন খন্দকার মোশতাক আহমেদ। ওই দিন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। গঠন করেন ২৩ সদস্যের মন্ত্রিসভার। যার মধ্যে ২২ জনই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের (বাকশাল) মন্ত্রিসভার।
১৫ আগস্ট ২০২১
সোমবার সকালে উত্তরা মেট্রোরেল ডিপিতে মেট্রোর সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ।
১২ মিনিট আগে
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানানোর অনুরোধ করেছে সরকার। এ সময়ের মধ্যে দলগুলোর পক্ষ থেকে দিকনির্দেশনা পেলে সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
২ ঘণ্টা আগে
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং পরিকল্পনা বিভাগে নতুন সচিব নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে তিনজন অতিরিক্ত সচিবকে সচিব পদে পদোন্নতি এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত এক সচিবকে পদায়ন করে রোববার রাতে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৪ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং পরিকল্পনা বিভাগে নতুন সচিব নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
এর মধ্যে তিনজন অতিরিক্ত সচিবকে সচিব পদে পদোন্নতি এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত এক সচিবকে পদায়ন করে রোববার রাতে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. নুরুন্নাহার চৌধুরীকে সচিব পদোন্নতি দিয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে পদায়ন করা হয়েছে।
অর্থ বিভাগে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব বিলকিস জাহান রিমিকে পদোন্নতির পর বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শওকত রশীদ চৌধুরী পদোন্নতিকে সচিব পদোন্নতি দিয়ে পেয়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত সচিব এস এম শাকিল আখতারকে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব পদে পদায়ন করা হয়েছে।
গত ৩ আগস্ট পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব এস এম শাকিল আখতারকে সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু ওই পদে যোগ দিতে পারেননি তিনি। এরপর তাঁকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং পরিকল্পনা বিভাগে নতুন সচিব নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
এর মধ্যে তিনজন অতিরিক্ত সচিবকে সচিব পদে পদোন্নতি এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত এক সচিবকে পদায়ন করে রোববার রাতে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. নুরুন্নাহার চৌধুরীকে সচিব পদোন্নতি দিয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে পদায়ন করা হয়েছে।
অর্থ বিভাগে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব বিলকিস জাহান রিমিকে পদোন্নতির পর বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শওকত রশীদ চৌধুরী পদোন্নতিকে সচিব পদোন্নতি দিয়ে পেয়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত সচিব এস এম শাকিল আখতারকে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব পদে পদায়ন করা হয়েছে।
গত ৩ আগস্ট পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব এস এম শাকিল আখতারকে সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু ওই পদে যোগ দিতে পারেননি তিনি। এরপর তাঁকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পরে তাঁর রক্তের ওপর পা রেখেই রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসেন খন্দকার মোশতাক আহমেদ। ওই দিন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। গঠন করেন ২৩ সদস্যের মন্ত্রিসভার। যার মধ্যে ২২ জনই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের (বাকশাল) মন্ত্রিসভার।
১৫ আগস্ট ২০২১
সোমবার সকালে উত্তরা মেট্রোরেল ডিপিতে মেট্রোর সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ।
১২ মিনিট আগে
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানানোর অনুরোধ করেছে সরকার। এ সময়ের মধ্যে দলগুলোর পক্ষ থেকে দিকনির্দেশনা পেলে সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
২ ঘণ্টা আগে
ড. কামাল সিদ্দিকী ২০০৬ সাল পর্যন্ত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া জাতিসংঘের শিশু অধিকার কমিটির নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ কর্তৃক মনোনীত হন এবং ২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে