আজকের পত্রিকা ডেস্ক

অক্টোবর মাসে সারা দেশে রাজনৈতিক সহিংসতার ৫৮টি ঘটনায় হতাহত হয়েছেন ৪২৪ জন। তাঁদের মধ্যে ১২ জন নিহত ও ৪১২ জন আহত হয়েছেন। নিহত ১২ জনের মধ্যে ৯ জনই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। বাকি তিনজন বিএনপির।
মানবাধিকার সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) ‘মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং প্রতিবেদন অক্টোবর, ২০২৪’ -এ এসব তথ্য জানানো হয়।
আজ বৃহস্পতিবার এ প্রতিবেদন গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন এবং নিজস্ব অনুসন্ধানের ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদন তৈরি হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অক্টোবর মাসে রাজনৈতিক কর্মসূচি না থাকলেও বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের গণসংযোগে ব্যস্ততা দেখা যায়। অপর দিকে রাষ্ট্রপতির অপসারণ ও আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে। অপর দিকে সেপ্টেম্বর মাসের মতো এ মাসেও বিএনপির দলীয় কর্মীদের অন্তর্দ্বন্দ্ব লক্ষণীয়ভাবে বেড়ে যাওয়ায় হতাহতের ঘটনা ঘটেই চলেছে। যার ফলে নাগরিক জীবনে নিরাপত্তার বিষয়টি বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
এমএসএফ বলছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনার পর সাবেক সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ আন্দোলন বিরোধীদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে। এসব মামলায় ইচ্ছানুযায়ী আসামি করে নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভয়ে পালাতে গিয়ে একজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জড়িত ছাত্রদের মধ্যে দ্বন্দ্ব পরিলক্ষিত হয়েছে।
এমএসএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতার ঘটনায় নতুন করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও নেতা-কর্মীদের নামে ১০২টি মামলা হয়েছে। গত মাসে মামলার সংখ্যা ছিল ২৩৮। এর মধ্যে এ মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ৮৩টি মামলা হয়েছে। দায়ের করা এই মামলাগুলোর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে মামলা হয়েছে ৩৩টি। এ মাসে দায়েরকৃত মোট মামলায় আসামির তালিকায় সুনির্দিষ্টভাবে নাম রয়েছে প্রায় ১২ হাজার ১৮০ জনের। সেই সঙ্গে ‘অজ্ঞাতনামা’ আসামির সংখ্যা কমপক্ষে ১৫ হাজার ৭৯৯। লক্ষণীয় যে দায়েরকৃত মামলার ক্ষেত্রে অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যা কমে গেলেও হত্যা মামলায় ঢালাওভাবে আসামি করা হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ ব্যবসায়ী, বিএনপির নেতা, আইনজীবী, সাংবাদিক ও সাধারণ নাগরিকদের। পূর্বশত্রুতা, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করা এবং চাঁদাবাজি ও হয়রানি করতে অনেককে আসামি করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং সরকারের পতনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ১ হাজার ৭৬০ জন। তাঁদের মধ্যে ৫৭৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কোটা আন্দোলন নিয়ে সৃষ্ট সহিংসতার ঘটনায়। মোট গ্রেপ্তারদের বেশির ভাগই বিগত সরকারের প্রশাসন, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও নেতা-কর্মী।
এ মাসের প্রথম সপ্তাহে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সারা দেশে সাত হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে অস্ত্রধারী, মাদক, খুন, ছিনতাই, ডাকাতির আসামি থাকলেও প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে ছাত্র–জনতার আন্দোলন দমনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশ নেওয়া ব্যক্তিবর্গ, আন্দোলন দমনে হামলার জন্য সংগঠিত করা, হামলাকারীদের মধ্যে বিশেষ করে চিহ্নিত অস্ত্রধারীদের।
এমএসএফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অক্টোবরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর আওয়ামী লীগের হামলার দুটি ঘটনা ঘটেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের অন্তর্দ্বন্দ্বের তিনটি ঘটনায় ছয়জন আহত হয়েছেন। এ মাসে কারা হেফাজতে পাঁচজনের মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
এমএসএফ বলছে, অক্টোবর মাসেও সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র উদ্বেগজনক। বেশ কিছু ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের যেভাবে শারীরিক, মানসিক এবং আইনি হয়রানি, আক্রমণ, হুমকি ও লাঞ্ছিত করা হচ্ছে তা শুধু্র অনাকাঙ্ক্ষিতই নয়, বরং তার মাধ্যমে সৎ সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধ করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। অক্টোবর মাসে ২০টি ঘটনায় ৩২ জন সাংবাদিক দেশের বিভিন্ন জেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় নানাভাবে হামলা, হুমকি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এ মাসে তিনজন সাংবাদিকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় এবং পরবর্তী সংঘাতে এ মাসে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে চারটি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন সাতজন এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনজন সাংবাদিক।
এমএসএফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অক্টোবরে সাইবার নিরাপত্তা আইনে তিনটি মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে মোট ৫৫ জনকে। এ মাসে সীমান্তে বিএসএফের ছোড়া গুলিতে দুজন নিহত হয়েছে। এ মাসে বিভিন্ন পর্যায়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী সংখ্যালঘু নির্যাতনের ২২টি এবং জাতিগত সংখ্যালঘু নির্যাতনের একটি মোট ২৩টি ঘটনা ঘটেছে।
এমএসএফ বলছে, অক্টোবরে ২৮৮টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, যা গত মাসের তুলনায় ৮০টি বেশি ঘটেছে। এ মাসে ধর্ষণের ঘটনা ৫১টি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ১৫টি এবং ধর্ষণ ও হত্যা ১টি। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৭ জন প্রতিবন্ধী শিশু ও কিশোরী। এ মাসে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ১৩ জন নারী ও ৪০ জন পুরুষ, মোট ৫৩ জন অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার হয়েছে। এ মাসে অন্তত ২৪টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ১৯ জন নিহত ও ৩ জন নারীসহ ১৯ জন কিশোর ও যুবক গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন।

অক্টোবর মাসে সারা দেশে রাজনৈতিক সহিংসতার ৫৮টি ঘটনায় হতাহত হয়েছেন ৪২৪ জন। তাঁদের মধ্যে ১২ জন নিহত ও ৪১২ জন আহত হয়েছেন। নিহত ১২ জনের মধ্যে ৯ জনই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। বাকি তিনজন বিএনপির।
মানবাধিকার সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) ‘মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং প্রতিবেদন অক্টোবর, ২০২৪’ -এ এসব তথ্য জানানো হয়।
আজ বৃহস্পতিবার এ প্রতিবেদন গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন এবং নিজস্ব অনুসন্ধানের ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদন তৈরি হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অক্টোবর মাসে রাজনৈতিক কর্মসূচি না থাকলেও বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের গণসংযোগে ব্যস্ততা দেখা যায়। অপর দিকে রাষ্ট্রপতির অপসারণ ও আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে। অপর দিকে সেপ্টেম্বর মাসের মতো এ মাসেও বিএনপির দলীয় কর্মীদের অন্তর্দ্বন্দ্ব লক্ষণীয়ভাবে বেড়ে যাওয়ায় হতাহতের ঘটনা ঘটেই চলেছে। যার ফলে নাগরিক জীবনে নিরাপত্তার বিষয়টি বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
এমএসএফ বলছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনার পর সাবেক সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ আন্দোলন বিরোধীদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে। এসব মামলায় ইচ্ছানুযায়ী আসামি করে নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভয়ে পালাতে গিয়ে একজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জড়িত ছাত্রদের মধ্যে দ্বন্দ্ব পরিলক্ষিত হয়েছে।
এমএসএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতার ঘটনায় নতুন করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও নেতা-কর্মীদের নামে ১০২টি মামলা হয়েছে। গত মাসে মামলার সংখ্যা ছিল ২৩৮। এর মধ্যে এ মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ৮৩টি মামলা হয়েছে। দায়ের করা এই মামলাগুলোর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে মামলা হয়েছে ৩৩টি। এ মাসে দায়েরকৃত মোট মামলায় আসামির তালিকায় সুনির্দিষ্টভাবে নাম রয়েছে প্রায় ১২ হাজার ১৮০ জনের। সেই সঙ্গে ‘অজ্ঞাতনামা’ আসামির সংখ্যা কমপক্ষে ১৫ হাজার ৭৯৯। লক্ষণীয় যে দায়েরকৃত মামলার ক্ষেত্রে অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যা কমে গেলেও হত্যা মামলায় ঢালাওভাবে আসামি করা হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ ব্যবসায়ী, বিএনপির নেতা, আইনজীবী, সাংবাদিক ও সাধারণ নাগরিকদের। পূর্বশত্রুতা, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করা এবং চাঁদাবাজি ও হয়রানি করতে অনেককে আসামি করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং সরকারের পতনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ১ হাজার ৭৬০ জন। তাঁদের মধ্যে ৫৭৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কোটা আন্দোলন নিয়ে সৃষ্ট সহিংসতার ঘটনায়। মোট গ্রেপ্তারদের বেশির ভাগই বিগত সরকারের প্রশাসন, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও নেতা-কর্মী।
এ মাসের প্রথম সপ্তাহে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সারা দেশে সাত হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে অস্ত্রধারী, মাদক, খুন, ছিনতাই, ডাকাতির আসামি থাকলেও প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে ছাত্র–জনতার আন্দোলন দমনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশ নেওয়া ব্যক্তিবর্গ, আন্দোলন দমনে হামলার জন্য সংগঠিত করা, হামলাকারীদের মধ্যে বিশেষ করে চিহ্নিত অস্ত্রধারীদের।
এমএসএফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অক্টোবরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর আওয়ামী লীগের হামলার দুটি ঘটনা ঘটেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের অন্তর্দ্বন্দ্বের তিনটি ঘটনায় ছয়জন আহত হয়েছেন। এ মাসে কারা হেফাজতে পাঁচজনের মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
এমএসএফ বলছে, অক্টোবর মাসেও সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র উদ্বেগজনক। বেশ কিছু ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের যেভাবে শারীরিক, মানসিক এবং আইনি হয়রানি, আক্রমণ, হুমকি ও লাঞ্ছিত করা হচ্ছে তা শুধু্র অনাকাঙ্ক্ষিতই নয়, বরং তার মাধ্যমে সৎ সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধ করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। অক্টোবর মাসে ২০টি ঘটনায় ৩২ জন সাংবাদিক দেশের বিভিন্ন জেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় নানাভাবে হামলা, হুমকি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এ মাসে তিনজন সাংবাদিকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় এবং পরবর্তী সংঘাতে এ মাসে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে চারটি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন সাতজন এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনজন সাংবাদিক।
এমএসএফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অক্টোবরে সাইবার নিরাপত্তা আইনে তিনটি মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে মোট ৫৫ জনকে। এ মাসে সীমান্তে বিএসএফের ছোড়া গুলিতে দুজন নিহত হয়েছে। এ মাসে বিভিন্ন পর্যায়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী সংখ্যালঘু নির্যাতনের ২২টি এবং জাতিগত সংখ্যালঘু নির্যাতনের একটি মোট ২৩টি ঘটনা ঘটেছে।
এমএসএফ বলছে, অক্টোবরে ২৮৮টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, যা গত মাসের তুলনায় ৮০টি বেশি ঘটেছে। এ মাসে ধর্ষণের ঘটনা ৫১টি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ১৫টি এবং ধর্ষণ ও হত্যা ১টি। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৭ জন প্রতিবন্ধী শিশু ও কিশোরী। এ মাসে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ১৩ জন নারী ও ৪০ জন পুরুষ, মোট ৫৩ জন অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার হয়েছে। এ মাসে অন্তত ২৪টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ১৯ জন নিহত ও ৩ জন নারীসহ ১৯ জন কিশোর ও যুবক গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

অক্টোবর মাসে সারা দেশে রাজনৈতিক সহিংসতার ৫৮টি ঘটনায় হতাহত হয়েছেন ৪২৪ জন। তাঁদের মধ্যে ১২ জন নিহত ও ৪১২ জন আহত হয়েছেন। নিহত ১২ জনের মধ্যে ৯ জনই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। বাকি তিনজন বিএনপির।
মানবাধিকার সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) ‘মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং প্রতিবেদন অক্টোবর, ২০২৪’ -এ এসব তথ্য জানানো হয়।
আজ বৃহস্পতিবার এ প্রতিবেদন গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন এবং নিজস্ব অনুসন্ধানের ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদন তৈরি হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অক্টোবর মাসে রাজনৈতিক কর্মসূচি না থাকলেও বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের গণসংযোগে ব্যস্ততা দেখা যায়। অপর দিকে রাষ্ট্রপতির অপসারণ ও আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে। অপর দিকে সেপ্টেম্বর মাসের মতো এ মাসেও বিএনপির দলীয় কর্মীদের অন্তর্দ্বন্দ্ব লক্ষণীয়ভাবে বেড়ে যাওয়ায় হতাহতের ঘটনা ঘটেই চলেছে। যার ফলে নাগরিক জীবনে নিরাপত্তার বিষয়টি বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
এমএসএফ বলছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনার পর সাবেক সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ আন্দোলন বিরোধীদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে। এসব মামলায় ইচ্ছানুযায়ী আসামি করে নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভয়ে পালাতে গিয়ে একজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জড়িত ছাত্রদের মধ্যে দ্বন্দ্ব পরিলক্ষিত হয়েছে।
এমএসএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতার ঘটনায় নতুন করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও নেতা-কর্মীদের নামে ১০২টি মামলা হয়েছে। গত মাসে মামলার সংখ্যা ছিল ২৩৮। এর মধ্যে এ মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ৮৩টি মামলা হয়েছে। দায়ের করা এই মামলাগুলোর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে মামলা হয়েছে ৩৩টি। এ মাসে দায়েরকৃত মোট মামলায় আসামির তালিকায় সুনির্দিষ্টভাবে নাম রয়েছে প্রায় ১২ হাজার ১৮০ জনের। সেই সঙ্গে ‘অজ্ঞাতনামা’ আসামির সংখ্যা কমপক্ষে ১৫ হাজার ৭৯৯। লক্ষণীয় যে দায়েরকৃত মামলার ক্ষেত্রে অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যা কমে গেলেও হত্যা মামলায় ঢালাওভাবে আসামি করা হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ ব্যবসায়ী, বিএনপির নেতা, আইনজীবী, সাংবাদিক ও সাধারণ নাগরিকদের। পূর্বশত্রুতা, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করা এবং চাঁদাবাজি ও হয়রানি করতে অনেককে আসামি করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং সরকারের পতনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ১ হাজার ৭৬০ জন। তাঁদের মধ্যে ৫৭৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কোটা আন্দোলন নিয়ে সৃষ্ট সহিংসতার ঘটনায়। মোট গ্রেপ্তারদের বেশির ভাগই বিগত সরকারের প্রশাসন, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও নেতা-কর্মী।
এ মাসের প্রথম সপ্তাহে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সারা দেশে সাত হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে অস্ত্রধারী, মাদক, খুন, ছিনতাই, ডাকাতির আসামি থাকলেও প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে ছাত্র–জনতার আন্দোলন দমনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশ নেওয়া ব্যক্তিবর্গ, আন্দোলন দমনে হামলার জন্য সংগঠিত করা, হামলাকারীদের মধ্যে বিশেষ করে চিহ্নিত অস্ত্রধারীদের।
এমএসএফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অক্টোবরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর আওয়ামী লীগের হামলার দুটি ঘটনা ঘটেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের অন্তর্দ্বন্দ্বের তিনটি ঘটনায় ছয়জন আহত হয়েছেন। এ মাসে কারা হেফাজতে পাঁচজনের মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
এমএসএফ বলছে, অক্টোবর মাসেও সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র উদ্বেগজনক। বেশ কিছু ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের যেভাবে শারীরিক, মানসিক এবং আইনি হয়রানি, আক্রমণ, হুমকি ও লাঞ্ছিত করা হচ্ছে তা শুধু্র অনাকাঙ্ক্ষিতই নয়, বরং তার মাধ্যমে সৎ সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধ করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। অক্টোবর মাসে ২০টি ঘটনায় ৩২ জন সাংবাদিক দেশের বিভিন্ন জেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় নানাভাবে হামলা, হুমকি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এ মাসে তিনজন সাংবাদিকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় এবং পরবর্তী সংঘাতে এ মাসে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে চারটি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন সাতজন এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনজন সাংবাদিক।
এমএসএফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অক্টোবরে সাইবার নিরাপত্তা আইনে তিনটি মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে মোট ৫৫ জনকে। এ মাসে সীমান্তে বিএসএফের ছোড়া গুলিতে দুজন নিহত হয়েছে। এ মাসে বিভিন্ন পর্যায়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী সংখ্যালঘু নির্যাতনের ২২টি এবং জাতিগত সংখ্যালঘু নির্যাতনের একটি মোট ২৩টি ঘটনা ঘটেছে।
এমএসএফ বলছে, অক্টোবরে ২৮৮টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, যা গত মাসের তুলনায় ৮০টি বেশি ঘটেছে। এ মাসে ধর্ষণের ঘটনা ৫১টি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ১৫টি এবং ধর্ষণ ও হত্যা ১টি। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৭ জন প্রতিবন্ধী শিশু ও কিশোরী। এ মাসে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ১৩ জন নারী ও ৪০ জন পুরুষ, মোট ৫৩ জন অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার হয়েছে। এ মাসে অন্তত ২৪টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ১৯ জন নিহত ও ৩ জন নারীসহ ১৯ জন কিশোর ও যুবক গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন।

অক্টোবর মাসে সারা দেশে রাজনৈতিক সহিংসতার ৫৮টি ঘটনায় হতাহত হয়েছেন ৪২৪ জন। তাঁদের মধ্যে ১২ জন নিহত ও ৪১২ জন আহত হয়েছেন। নিহত ১২ জনের মধ্যে ৯ জনই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। বাকি তিনজন বিএনপির।
মানবাধিকার সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) ‘মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং প্রতিবেদন অক্টোবর, ২০২৪’ -এ এসব তথ্য জানানো হয়।
আজ বৃহস্পতিবার এ প্রতিবেদন গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন এবং নিজস্ব অনুসন্ধানের ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদন তৈরি হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অক্টোবর মাসে রাজনৈতিক কর্মসূচি না থাকলেও বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের গণসংযোগে ব্যস্ততা দেখা যায়। অপর দিকে রাষ্ট্রপতির অপসারণ ও আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে। অপর দিকে সেপ্টেম্বর মাসের মতো এ মাসেও বিএনপির দলীয় কর্মীদের অন্তর্দ্বন্দ্ব লক্ষণীয়ভাবে বেড়ে যাওয়ায় হতাহতের ঘটনা ঘটেই চলেছে। যার ফলে নাগরিক জীবনে নিরাপত্তার বিষয়টি বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
এমএসএফ বলছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনার পর সাবেক সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ আন্দোলন বিরোধীদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে। এসব মামলায় ইচ্ছানুযায়ী আসামি করে নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভয়ে পালাতে গিয়ে একজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জড়িত ছাত্রদের মধ্যে দ্বন্দ্ব পরিলক্ষিত হয়েছে।
এমএসএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতার ঘটনায় নতুন করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও নেতা-কর্মীদের নামে ১০২টি মামলা হয়েছে। গত মাসে মামলার সংখ্যা ছিল ২৩৮। এর মধ্যে এ মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ৮৩টি মামলা হয়েছে। দায়ের করা এই মামলাগুলোর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে মামলা হয়েছে ৩৩টি। এ মাসে দায়েরকৃত মোট মামলায় আসামির তালিকায় সুনির্দিষ্টভাবে নাম রয়েছে প্রায় ১২ হাজার ১৮০ জনের। সেই সঙ্গে ‘অজ্ঞাতনামা’ আসামির সংখ্যা কমপক্ষে ১৫ হাজার ৭৯৯। লক্ষণীয় যে দায়েরকৃত মামলার ক্ষেত্রে অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যা কমে গেলেও হত্যা মামলায় ঢালাওভাবে আসামি করা হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ ব্যবসায়ী, বিএনপির নেতা, আইনজীবী, সাংবাদিক ও সাধারণ নাগরিকদের। পূর্বশত্রুতা, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করা এবং চাঁদাবাজি ও হয়রানি করতে অনেককে আসামি করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং সরকারের পতনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ১ হাজার ৭৬০ জন। তাঁদের মধ্যে ৫৭৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কোটা আন্দোলন নিয়ে সৃষ্ট সহিংসতার ঘটনায়। মোট গ্রেপ্তারদের বেশির ভাগই বিগত সরকারের প্রশাসন, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও নেতা-কর্মী।
এ মাসের প্রথম সপ্তাহে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সারা দেশে সাত হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে অস্ত্রধারী, মাদক, খুন, ছিনতাই, ডাকাতির আসামি থাকলেও প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে ছাত্র–জনতার আন্দোলন দমনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশ নেওয়া ব্যক্তিবর্গ, আন্দোলন দমনে হামলার জন্য সংগঠিত করা, হামলাকারীদের মধ্যে বিশেষ করে চিহ্নিত অস্ত্রধারীদের।
এমএসএফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অক্টোবরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর আওয়ামী লীগের হামলার দুটি ঘটনা ঘটেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের অন্তর্দ্বন্দ্বের তিনটি ঘটনায় ছয়জন আহত হয়েছেন। এ মাসে কারা হেফাজতে পাঁচজনের মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
এমএসএফ বলছে, অক্টোবর মাসেও সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র উদ্বেগজনক। বেশ কিছু ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের যেভাবে শারীরিক, মানসিক এবং আইনি হয়রানি, আক্রমণ, হুমকি ও লাঞ্ছিত করা হচ্ছে তা শুধু্র অনাকাঙ্ক্ষিতই নয়, বরং তার মাধ্যমে সৎ সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধ করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। অক্টোবর মাসে ২০টি ঘটনায় ৩২ জন সাংবাদিক দেশের বিভিন্ন জেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় নানাভাবে হামলা, হুমকি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এ মাসে তিনজন সাংবাদিকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় এবং পরবর্তী সংঘাতে এ মাসে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে চারটি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন সাতজন এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনজন সাংবাদিক।
এমএসএফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অক্টোবরে সাইবার নিরাপত্তা আইনে তিনটি মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে মোট ৫৫ জনকে। এ মাসে সীমান্তে বিএসএফের ছোড়া গুলিতে দুজন নিহত হয়েছে। এ মাসে বিভিন্ন পর্যায়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী সংখ্যালঘু নির্যাতনের ২২টি এবং জাতিগত সংখ্যালঘু নির্যাতনের একটি মোট ২৩টি ঘটনা ঘটেছে।
এমএসএফ বলছে, অক্টোবরে ২৮৮টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, যা গত মাসের তুলনায় ৮০টি বেশি ঘটেছে। এ মাসে ধর্ষণের ঘটনা ৫১টি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ১৫টি এবং ধর্ষণ ও হত্যা ১টি। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৭ জন প্রতিবন্ধী শিশু ও কিশোরী। এ মাসে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ১৩ জন নারী ও ৪০ জন পুরুষ, মোট ৫৩ জন অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার হয়েছে। এ মাসে অন্তত ২৪টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ১৯ জন নিহত ও ৩ জন নারীসহ ১৯ জন কিশোর ও যুবক গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন।

নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেনকে ওএসডি করেছে সরকার। আজ বুধবার তাঁকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৭ মিনিট আগে
আসাদুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাংলাদেশে আসার পরে যেভাবে দেশের গণতন্ত্র উন্নত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপের পরে সেই সুযোগ হয়নি। এই ব্যবস্থা বাতিল করার পর...
৩০ মিনিট আগে
সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের পারিতোষিক, ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকারসংক্রান্ত আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। ১৩ জনের পক্ষে এ রিট করা হয়েছে বলে আজ বুধবার জানিয়েছেন তাঁদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
৪১ মিনিট আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) কর জালিয়াতি ও প্রতিষ্ঠানের নামে অনৈতিক অর্থ সুবিধা নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ৮ জনের...
১ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেনকে ওএসডি করেছে সরকার। আজ বুধবার তাঁকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
কামাল হোসেন তাঁর পিতা-মাতা মো. আবুল কাশেম ও মোছা. হাবীয়া খাতুনের পরিবর্তে নিজের চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবীব ও চাচি মোছা. সানোয়ারা খাতুনকে পিতা-মাতা দেখিয়ে ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুবিধা নিতে জালিয়াতির অভিযোগে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর দুদকের ঢাকা-১-এর সম্মিলিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. মনজুরুল ইসলাম মিন্টু বাদী হয়ে কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
কামাল হোসেনের প্রকৃত মা-বাবা কারা, তা নিশ্চিত হতে গত মঙ্গলবার ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। দুদক আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরদিন ইউএনও কামাল হোসেনকে ওএসডি করা হলো।

নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেনকে ওএসডি করেছে সরকার। আজ বুধবার তাঁকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
কামাল হোসেন তাঁর পিতা-মাতা মো. আবুল কাশেম ও মোছা. হাবীয়া খাতুনের পরিবর্তে নিজের চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবীব ও চাচি মোছা. সানোয়ারা খাতুনকে পিতা-মাতা দেখিয়ে ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুবিধা নিতে জালিয়াতির অভিযোগে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর দুদকের ঢাকা-১-এর সম্মিলিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. মনজুরুল ইসলাম মিন্টু বাদী হয়ে কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
কামাল হোসেনের প্রকৃত মা-বাবা কারা, তা নিশ্চিত হতে গত মঙ্গলবার ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। দুদক আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরদিন ইউএনও কামাল হোসেনকে ওএসডি করা হলো।

অক্টোবর মাসে সারা দেশে রাজনৈতিক সহিংসতার ৫৮টি ঘটনায় হতাহত হয়েছেন ৪২৪ জন। তাঁদের মধ্যে ১২ জন নিহত ও ৪১২ জন আহত হয়েছেন। নিহত ১২ জনের মধ্যে ৯ জনই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। বাকি তিনজন বিএনপির
৩১ অক্টোবর ২০২৪
আসাদুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাংলাদেশে আসার পরে যেভাবে দেশের গণতন্ত্র উন্নত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপের পরে সেই সুযোগ হয়নি। এই ব্যবস্থা বাতিল করার পর...
৩০ মিনিট আগে
সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের পারিতোষিক, ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকারসংক্রান্ত আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। ১৩ জনের পক্ষে এ রিট করা হয়েছে বলে আজ বুধবার জানিয়েছেন তাঁদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
৪১ মিনিট আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) কর জালিয়াতি ও প্রতিষ্ঠানের নামে অনৈতিক অর্থ সুবিধা নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ৮ জনের...
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘জুলাই বিপ্লবীরা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে বলত, “আমরা ৭২-এর সংবিধান চাই না, আমরা নতুন সংবিধান রচনা করতে চাই”—তাহলে সেটাই হতো সংবিধান। কিন্তু তাদের মধ্যে বিভেদ থাকলে হবে না। ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানিতে আজ বুধবার এসব কথা বলেন রাষ্ট্রের প্রধান এই আইন কর্মকর্তা।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগে অষ্টম দিনের মতো এ বিষয়ে শুনানি হয়।
এদিন আরও শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আনীক আর হক এবং বিএনপি-সমর্থিত আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘হাকিম নড়ে তো হুকুম নড়ে না। খায়রুল হক সাহেবরা হুকুম নড়ায়ে দিয়েছেন সংক্ষিপ্ত রায় এবং পূর্ণাঙ্গ রায়ের মধ্য দিয়ে; যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। শাস্তি হতে পারে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড। সংবিধান একটা অরগানিক ডকুমেন্ট। এটা বিভিন্ন রকমভাবে উপস্থাপিত হয়। কোরআন কিংবা বাইবেল—কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। সংবিধান পরিবর্তনযোগ্য। আজকে সংবিধানের অ্যামেন্ডমেন্টে (সংশোধন) যদি বলে দেন, তত্ত্বাবধায়কে ফিরে গেলাম, সেটাই যে অ্যাবসোলিউট (যথাযথ) হবে—তাও না। এটাও জনগণের চাহিদা অনুসারে হবে। জনগণ যদি মনে করে, এটাতে তার ভোটাধিকার নিশ্চিত হচ্ছে না, জনগণ ইচ্ছা করলে এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে পারবে।’
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা মনে করি, ওই (তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল) রায় থাকা উচিত না। আমরা বিশ্বাস করি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রায়টা লেখা হয়েছে একটি বিশেষ দলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য। এই রায় দুটি গ্রাউন্ডে বাতিল হবে। সাতজন মিলে ঘোষণা করলেন, আগামী দুটি সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে। সেখানে উনারা ডেভিয়েট (বিচ্যুত) করে পূর্ণাঙ্গ যে রায় দিলেন, তা ওপেন ঘোষণা রায়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ঘোষিত রায় পরিবর্তন করার জন্য রিভিউ করতে হবে। রিভিউ যেকোনো পক্ষ করতে পারে। আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়েও করতে পারেন। খায়রুল হক সেই পথে না গিয়ে যে পথে হেঁটেছেন, তা আইনের ব্যত্যয়। রিভিউ না করে উনি রায় পরিবর্তন করেছেন। এটা দণ্ডবিধির ২১৯ ধারা অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। উনি পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে জানতেন, এ ধরনের পরিবর্তন করা আইনে সম্ভব নয়। তারপরও উনি সেটা করেছেন।’
আসাদুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাংলাদেশে আসার পরে যেভাবে দেশের গণতন্ত্র উন্নত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপের পরে সেই সুযোগ হয়নি। এই ব্যবস্থা বাতিল করার পর হত্যা, গুম, রাতের বেলায় ভোট দেওয়া, মিথ্যা মামলায় মানুষকে কারাগারে পাঠানো—এ ধরনের রাজনীতি শুরু হয়। ৭০ লাখের মতো মানুষ গায়েবি মামলায় আসামি হয়। সেই কারণে এটা ২১৯ ধারার অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘জুলাই বিপ্লবীরা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে বলত, “আমরা ৭২-এর সংবিধান চাই না, আমরা নতুন সংবিধান রচনা করতে চাই”—তাহলে সেটাই হতো সংবিধান। কিন্তু তাদের মধ্যে বিভেদ থাকলে হবে না। ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানিতে আজ বুধবার এসব কথা বলেন রাষ্ট্রের প্রধান এই আইন কর্মকর্তা।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগে অষ্টম দিনের মতো এ বিষয়ে শুনানি হয়।
এদিন আরও শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আনীক আর হক এবং বিএনপি-সমর্থিত আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘হাকিম নড়ে তো হুকুম নড়ে না। খায়রুল হক সাহেবরা হুকুম নড়ায়ে দিয়েছেন সংক্ষিপ্ত রায় এবং পূর্ণাঙ্গ রায়ের মধ্য দিয়ে; যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। শাস্তি হতে পারে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড। সংবিধান একটা অরগানিক ডকুমেন্ট। এটা বিভিন্ন রকমভাবে উপস্থাপিত হয়। কোরআন কিংবা বাইবেল—কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। সংবিধান পরিবর্তনযোগ্য। আজকে সংবিধানের অ্যামেন্ডমেন্টে (সংশোধন) যদি বলে দেন, তত্ত্বাবধায়কে ফিরে গেলাম, সেটাই যে অ্যাবসোলিউট (যথাযথ) হবে—তাও না। এটাও জনগণের চাহিদা অনুসারে হবে। জনগণ যদি মনে করে, এটাতে তার ভোটাধিকার নিশ্চিত হচ্ছে না, জনগণ ইচ্ছা করলে এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে পারবে।’
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা মনে করি, ওই (তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল) রায় থাকা উচিত না। আমরা বিশ্বাস করি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রায়টা লেখা হয়েছে একটি বিশেষ দলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য। এই রায় দুটি গ্রাউন্ডে বাতিল হবে। সাতজন মিলে ঘোষণা করলেন, আগামী দুটি সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে। সেখানে উনারা ডেভিয়েট (বিচ্যুত) করে পূর্ণাঙ্গ যে রায় দিলেন, তা ওপেন ঘোষণা রায়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ঘোষিত রায় পরিবর্তন করার জন্য রিভিউ করতে হবে। রিভিউ যেকোনো পক্ষ করতে পারে। আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়েও করতে পারেন। খায়রুল হক সেই পথে না গিয়ে যে পথে হেঁটেছেন, তা আইনের ব্যত্যয়। রিভিউ না করে উনি রায় পরিবর্তন করেছেন। এটা দণ্ডবিধির ২১৯ ধারা অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। উনি পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে জানতেন, এ ধরনের পরিবর্তন করা আইনে সম্ভব নয়। তারপরও উনি সেটা করেছেন।’
আসাদুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাংলাদেশে আসার পরে যেভাবে দেশের গণতন্ত্র উন্নত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপের পরে সেই সুযোগ হয়নি। এই ব্যবস্থা বাতিল করার পর হত্যা, গুম, রাতের বেলায় ভোট দেওয়া, মিথ্যা মামলায় মানুষকে কারাগারে পাঠানো—এ ধরনের রাজনীতি শুরু হয়। ৭০ লাখের মতো মানুষ গায়েবি মামলায় আসামি হয়। সেই কারণে এটা ২১৯ ধারার অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

অক্টোবর মাসে সারা দেশে রাজনৈতিক সহিংসতার ৫৮টি ঘটনায় হতাহত হয়েছেন ৪২৪ জন। তাঁদের মধ্যে ১২ জন নিহত ও ৪১২ জন আহত হয়েছেন। নিহত ১২ জনের মধ্যে ৯ জনই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। বাকি তিনজন বিএনপির
৩১ অক্টোবর ২০২৪
নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেনকে ওএসডি করেছে সরকার। আজ বুধবার তাঁকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৭ মিনিট আগে
সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের পারিতোষিক, ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকারসংক্রান্ত আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। ১৩ জনের পক্ষে এ রিট করা হয়েছে বলে আজ বুধবার জানিয়েছেন তাঁদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
৪১ মিনিট আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) কর জালিয়াতি ও প্রতিষ্ঠানের নামে অনৈতিক অর্থ সুবিধা নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ৮ জনের...
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের পারিতোষিক, ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকারসংক্রান্ত আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। ১৩ জনের পক্ষে এ রিট করা হয়েছে বলে আজ বুধবার জানিয়েছেন তাঁদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
রিটকারীরা হলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, আবদুল্লাহ সাদিক, মো. মিজানুল হক, আব্দুল ওয়াদুদ, রহিম উল্লাহ, আমিনুল ইসলাম শাকিল, ঢাকার জেলা জজ আদালতের আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ, শিক্ষানবিশ আইনজীবী সাব্বির রহমান, মাহমুদুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত জাকারিয়া, রাফিউল সাব্বির, শামিম সাহিদি ও হাবিবুর রহমান আল হাসান।
রিট আবেদনে বলা হয়, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর অংশ। সংবিধানের ৯৪(৪) ও ১৪৭(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের আর্থিক স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা সংবিধান প্রদত্ত অধিকার। তবে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন, ২০২১ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকার) আইন, ২০২৩ অনুযায়ী বিচারকদের বেতন, পেনশন ও বিশেষাধিকার এমনভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে, যা বাস্তবে তাঁদের আর্থিক স্বাধীনতা ও প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করছে।
আবেদনে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রধান বিচারপতি ও বিচারকদের বেতনকাঠামো তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের আর্থিক অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় নিম্ন স্তরে রয়েছে। এই অসামঞ্জস্য শুধু আর্থিক নয়, বরং বিচার বিভাগের মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের মানের প্রতি সাংঘর্ষিক।
রিটে আরও বলা হয়, সংবিধানে প্রদত্ত বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ক্ষমতার বিভাজনের নীতিকে উপেক্ষা করে সংসদ তার সাংবিধানিক ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করে উক্ত আইন দুটি প্রণয়ন করেছে। এর ফলে বিচারপতিদের জন্য এক অন্যায্য ও বৈষম্যমূলক বেতনকাঠামো সৃষ্টি হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের পারিতোষিক, ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকারসংক্রান্ত আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। ১৩ জনের পক্ষে এ রিট করা হয়েছে বলে আজ বুধবার জানিয়েছেন তাঁদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
রিটকারীরা হলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, আবদুল্লাহ সাদিক, মো. মিজানুল হক, আব্দুল ওয়াদুদ, রহিম উল্লাহ, আমিনুল ইসলাম শাকিল, ঢাকার জেলা জজ আদালতের আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ, শিক্ষানবিশ আইনজীবী সাব্বির রহমান, মাহমুদুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত জাকারিয়া, রাফিউল সাব্বির, শামিম সাহিদি ও হাবিবুর রহমান আল হাসান।
রিট আবেদনে বলা হয়, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর অংশ। সংবিধানের ৯৪(৪) ও ১৪৭(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের আর্থিক স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা সংবিধান প্রদত্ত অধিকার। তবে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন, ২০২১ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকার) আইন, ২০২৩ অনুযায়ী বিচারকদের বেতন, পেনশন ও বিশেষাধিকার এমনভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে, যা বাস্তবে তাঁদের আর্থিক স্বাধীনতা ও প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করছে।
আবেদনে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রধান বিচারপতি ও বিচারকদের বেতনকাঠামো তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের আর্থিক অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় নিম্ন স্তরে রয়েছে। এই অসামঞ্জস্য শুধু আর্থিক নয়, বরং বিচার বিভাগের মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের মানের প্রতি সাংঘর্ষিক।
রিটে আরও বলা হয়, সংবিধানে প্রদত্ত বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ক্ষমতার বিভাজনের নীতিকে উপেক্ষা করে সংসদ তার সাংবিধানিক ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করে উক্ত আইন দুটি প্রণয়ন করেছে। এর ফলে বিচারপতিদের জন্য এক অন্যায্য ও বৈষম্যমূলক বেতনকাঠামো সৃষ্টি হয়েছে।

অক্টোবর মাসে সারা দেশে রাজনৈতিক সহিংসতার ৫৮টি ঘটনায় হতাহত হয়েছেন ৪২৪ জন। তাঁদের মধ্যে ১২ জন নিহত ও ৪১২ জন আহত হয়েছেন। নিহত ১২ জনের মধ্যে ৯ জনই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। বাকি তিনজন বিএনপির
৩১ অক্টোবর ২০২৪
নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেনকে ওএসডি করেছে সরকার। আজ বুধবার তাঁকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৭ মিনিট আগে
আসাদুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাংলাদেশে আসার পরে যেভাবে দেশের গণতন্ত্র উন্নত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপের পরে সেই সুযোগ হয়নি। এই ব্যবস্থা বাতিল করার পর...
৩০ মিনিট আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) কর জালিয়াতি ও প্রতিষ্ঠানের নামে অনৈতিক অর্থ সুবিধা নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ৮ জনের...
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) কর জালিয়াতি ও প্রতিষ্ঠানের নামে অনৈতিক অর্থ সুবিধা নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ৮ জনের নামে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পুতুল সিআরআইয়ের ট্রাস্টি ও ভাইস চেয়ারম্যান।
দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে মামলাটি অনুমোদনের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান। তিনি জানান, জনকল্যাণের নামে গঠিত এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কমিশন থেকে মামলা করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অন্য যে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে, তাঁরা হলেন সিআরআইয়ের ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি (শেখ রেহানার ছেলে), নসরুল হামিদ বিপু (সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী), নির্বাহী পরিচালক শাব্বির বিন শামস, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর আপিল) রওশন আরা আক্তার, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৩-১৪ থেকে ২০২৩-২৪ কর বর্ষ পর্যন্ত সিআরআই ২৩টি কোম্পানির কাছ থেকে ৪৫ কোটি ৩৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা অনুদান হিসেবে নেয়। এ ছাড়া একই সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনুদান হিসেবে ১০০ কোটি ৩১ লাখ ৪০ হাজার ৪৮৬ টাকা নেয়। বৈধ ব্যয় বাদে হিসাব অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক হিসাবে ৭০ কোটি ৮০ লাখ ৪২ হাজার ৩৯০ টাকা স্থিতি থাকার কথা। কিন্তু পাওয়া গেছে ৫৫ কোটি ১১ লাখ ৮২ হাজার ৮৯৬ টাকা। অর্থাৎ ১৫ কোটি ৬৮ লাখ ৫৯ হাজার ৫২১ টাকা কম; যা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমাজসেবা অধিদপ্তরে নিবন্ধিত না থাকা সত্ত্বেও সিআরআই কর সুবিধা লাভের জন্য চাপ প্রয়োগ, প্রতিষ্ঠানটি সুনির্দিষ্ট এসআরও জারি করিয়ে সরকার থেকে কর মওকুফের সুযোগ নিয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানটি জনকল্যাণের নামে প্রাপ্ত তহবিলকে নিজের সুবিধার্থে ব্যবহার করেছে এবং বহু কোটি টাকা অবৈধভাবে আয় ও আত্মসাৎ করেছে।
দুদক বলছে, অভিযুক্তরা ২৫টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৪৩৯ কোটি ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৪৮০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন এবং আয়কর পরিশোধ না করে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি করেছেন।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) কর জালিয়াতি ও প্রতিষ্ঠানের নামে অনৈতিক অর্থ সুবিধা নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ৮ জনের নামে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পুতুল সিআরআইয়ের ট্রাস্টি ও ভাইস চেয়ারম্যান।
দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে মামলাটি অনুমোদনের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান। তিনি জানান, জনকল্যাণের নামে গঠিত এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কমিশন থেকে মামলা করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অন্য যে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে, তাঁরা হলেন সিআরআইয়ের ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি (শেখ রেহানার ছেলে), নসরুল হামিদ বিপু (সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী), নির্বাহী পরিচালক শাব্বির বিন শামস, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর আপিল) রওশন আরা আক্তার, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৩-১৪ থেকে ২০২৩-২৪ কর বর্ষ পর্যন্ত সিআরআই ২৩টি কোম্পানির কাছ থেকে ৪৫ কোটি ৩৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা অনুদান হিসেবে নেয়। এ ছাড়া একই সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনুদান হিসেবে ১০০ কোটি ৩১ লাখ ৪০ হাজার ৪৮৬ টাকা নেয়। বৈধ ব্যয় বাদে হিসাব অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক হিসাবে ৭০ কোটি ৮০ লাখ ৪২ হাজার ৩৯০ টাকা স্থিতি থাকার কথা। কিন্তু পাওয়া গেছে ৫৫ কোটি ১১ লাখ ৮২ হাজার ৮৯৬ টাকা। অর্থাৎ ১৫ কোটি ৬৮ লাখ ৫৯ হাজার ৫২১ টাকা কম; যা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমাজসেবা অধিদপ্তরে নিবন্ধিত না থাকা সত্ত্বেও সিআরআই কর সুবিধা লাভের জন্য চাপ প্রয়োগ, প্রতিষ্ঠানটি সুনির্দিষ্ট এসআরও জারি করিয়ে সরকার থেকে কর মওকুফের সুযোগ নিয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানটি জনকল্যাণের নামে প্রাপ্ত তহবিলকে নিজের সুবিধার্থে ব্যবহার করেছে এবং বহু কোটি টাকা অবৈধভাবে আয় ও আত্মসাৎ করেছে।
দুদক বলছে, অভিযুক্তরা ২৫টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৪৩৯ কোটি ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৪৮০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন এবং আয়কর পরিশোধ না করে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি করেছেন।

অক্টোবর মাসে সারা দেশে রাজনৈতিক সহিংসতার ৫৮টি ঘটনায় হতাহত হয়েছেন ৪২৪ জন। তাঁদের মধ্যে ১২ জন নিহত ও ৪১২ জন আহত হয়েছেন। নিহত ১২ জনের মধ্যে ৯ জনই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। বাকি তিনজন বিএনপির
৩১ অক্টোবর ২০২৪
নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেনকে ওএসডি করেছে সরকার। আজ বুধবার তাঁকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৭ মিনিট আগে
আসাদুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাংলাদেশে আসার পরে যেভাবে দেশের গণতন্ত্র উন্নত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপের পরে সেই সুযোগ হয়নি। এই ব্যবস্থা বাতিল করার পর...
৩০ মিনিট আগে
সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের পারিতোষিক, ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকারসংক্রান্ত আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। ১৩ জনের পক্ষে এ রিট করা হয়েছে বলে আজ বুধবার জানিয়েছেন তাঁদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
৪১ মিনিট আগে