আরিফুজ্জামান তুহিন, ঢাকা
দেশের খনি থেকে প্রাপ্ত গ্যাস এবং বিদেশ থেকে আমদানি মিলিয়ে ২০২৪ সালের ২৮ মে গ্যাসের সরবরাহ ছিল ২৬১ কোটি ২৭ লাখ ঘনফুট। সেই উৎপাদন গত ২৮ মে নেমে এসেছে ২০০ কোটি ৪৮ লাখ ঘনফুটে। তার মানে, এক বছরের ব্যবধানে দৈনিক গ্যাসের উৎপাদন কমেছে ৬০ কোটি ঘনফুট।
গ্যাসের উৎপাদন কমে যাওয়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ কমেছে। এই অবস্থায় লোডশেডিং কমাতে তেলভিত্তিক কেন্দ্র চালু করেছে সরকার। শিল্পে গ্যাস নেই, বাসাবাড়ির চুলাও জ্বলছে না।
সামনে সংকট আরও বাড়তে পারে। কারণ, আগের সরকারের দেওয়া তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দুটি টার্মিনাল বাতিল করে দেওয়ায় এই সরকারের হাতে দ্রুত গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানোর কোনো পথ নেই। দেশের দুটি এলএনজি টার্মিনাল দিয়ে সর্বোচ্চ ১১০ কোটি ঘনফুট আমদানি করা সম্ভব, এখন সর্বোচ্চ আমদানিই করা হচ্ছে। হাতে এলএনজি কেনার ডলার থাকলেও গ্যাসের আমদানি আর বাড়ানো যাবে না। দেশীয় গ্যাসের মজুত আরও কমলে শিল্পকারখানা সব ডুবতে বসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পেট্রোবাংলা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
দেশের সব থেকে বড় গ্যাস বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি। তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা শিল্পে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে চেষ্টা করছি। তিতাসে যতখানি গ্যাস দেওয়া হচ্ছে, তার সর্বোত্তম ব্যবহারের চেষ্টা করা হচ্ছে। উৎসে গ্যাস সরবরাহ বাড়লে আমরা আরও ভালো সেবা দিতে পারব।’
কমছে উৎপাদন
পেট্রোবাংলার তথ্য অনুযায়ী, গত ৩০ মে ২৪০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করেছে পেট্রোবাংলা। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আমদানি করা এলএনজি ৫৯ কোটি ঘনফুট। গত বছর ঠিক এই দিনে (৩০ মে) গ্যাসের সরবরাহ ছিল ২৭৩ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে আমদানি করা এলএনজির পরিমাণ ৭৭ কোটি ঘনফুট। ৩১ মে ২০২৪ সালে গ্যাস সরবরাহ করা হয় ২৬১ কোটি ৭০ লাখ ঘনফুট; এর মধ্যে আমদানি করা এলএনজি ছিল ৬০ কোটি ঘনফুট। ঠিক এক বছর পরে এসে গত ৩১ মে গ্যাসের সরবরাহ ছিল ২৪৬ কোটি ৬৫ লাখ ঘনফুট। এর মধ্যে আমদানি করা এলএনজির পরিমাণ ৬১ কোটি ৭০ লাখ ঘনফুট।
কমেছে শিল্পে গ্যাস
গ্যাসের উৎপাদন কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন শিল্পমালিকেরা। চলছে না কলকারখানা। গত বছরের ৩০ মে শিল্পকারখানায় নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্রে; যা ক্যাপটিভ পাওয়ার নামে পরিচিত, সেখানে গ্যাস সরবরাহ ছিল ১০ কোটি ১১ লাখ ঘনফুট। আর গত ৩০ মে ক্যাপটিভ পাওয়ারে গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে ৮ কোটি ৩৭ লাখ ঘনফুট। শিল্পকারখানার নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্র, যা জেনারেটরের মাধ্যমে উৎপাদিত হয়, সেখানে গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় অনেক কারখানা উৎপাদন কমিয়ে এনেছে।
গত ২৫ মে রাজধানীতে দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ ৯টি সংগঠনের শীর্ষ নেতারা যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, গ্যাসের কারণে বন্ধ রয়েছে বস্ত্র খাতের ৫০ শতাংশ কারখানা।
সংবাদ সম্মেলন থেকে শিল্পমালিকেরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিল্পে গ্যাসের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি করেন। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত স্থগিত, শিল্প খাতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহে মধ্য-দীর্ঘমেয়াদি কৌশলের আহ্বান জানান তাঁরা।
বাসাবাড়িতেও গ্যাস-সংকট
রাজধানীর পান্থপথের বউবাজারের বাসিন্দা মান্নান মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, দিনের বেলা গ্যাসের চাপ না থাকায় বাসায় রান্না করা যায় না। রাতে গ্যাসের চাপ যখন বাড়ে, তখন রান্না করতে গেলে রাত অনেক বেশি হয়। এই সমস্যা কয়েক মাস ধরেই চলছে।
একই রকম পরিস্থিতিতে পড়েছেন রাজধানীর বনশ্রী এলাকার ব্লক-এর ১৬ তলা ভবনের বদরুল ইসলামের পরিবার। এই ব্যবসায়ীর বাড়িতে চুলা জ্বলে দিনে একবার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাড্ডা, রামপুরা, বনশ্রী, যাত্রাবাড়ী, কলাবাগান, মিরপুরের কোথাও কোথাও চুলা জ্বালানোর মতো গ্যাসের চাপ থাকে না। এতে এসব এলাকার বাসিন্দারা সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছেন।
সংকটের সমাধান কোথায়
২০১৮ সাল থেকে দেশীয় গ্যাসের জোগান কমতে থাকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার তার আগেই দুটি এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ শুরু করেছিল। এর একটি যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি এক্সিলারেটের। অন্যটি দেশীয় কোম্পানি সামিটের। এ দুটি টার্মিনাল দিয়ে দিনে ১০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবাহ করা যায়। পেট্রোবাংলার হাতে তথ্য ছিল, ২০২৬ সালে গিয়ে দেশীয় গ্যাসের জোগান আরও কমবে। এটি উল্লেখযোগ্য হারে কমতে থাকবে ২০২৫ সাল থেকে। এ জন্য আরও দুটি এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের অনুমতি দিয়েছিল সরকার। অবশ্য আগের দুটি ও পরের দুটি টার্মিনাল বিনা দরপত্রে বিশেষ আইনে দেওয়া হয়েছিল। এখানে সামিটকে বিশেষ সুযোগ দেওয়ার অভিযোগ পুরোনো। পরের দুটিও এক্সিলারেট ও সামিট পেয়েছিল। গত ৫ আগস্ট সরকার গঠনের পর সরকার নতুন দুটি এলএনজি টার্মিনালই বাতিল করে দেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেট্রোবাংলার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানী লিমিটেড (আরপিজিসিএল) এলএনজি আমদানি করে। এই প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করা যেত। সাগরে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল বিদেশ থেকে জাহাজ কিনে বা দীর্ঘ মেয়াদে ভাড়ায় এনে স্থাপন করা হয়।
উদাহরণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট ১৬ বছরের পুরোনো জাহাজ দিয়ে বাংলাদেশে এলএনজি সরবারহ শুরু করেছে। আর সামিটের এলএনজি টার্মিনালের সব কারিগরি সরবরাহ, লোকবল এমনকি জাহাজ ভাড়াও এক্সিলারেট দিয়েছে; এ ক্ষেত্রে শুধু অনুমতিপত্রটাই সামিটের। সরকারি কোম্পানি আরপিজিসিএলের ক্ষেত্রেও এমনটি করা যেত বলে তাঁরা মনে করছেন।
তবে দেশীয় গ্যাস উত্তোলনের বিকল্প দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা। কারণ, দীর্ঘ মেয়াদে এলএনজি আমদানি করার মতো আর্থিক সক্ষমতা নেই বাংলাদেশের। দীর্ঘ মেয়াদে বড় আকারে এলএনজি আমদানি করলে তার প্রভাব দেশের অর্থনীতিতেও পড়বে বলে মনে করেন তাঁরা।
এ প্রসঙ্গে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিগত সরকারের মধ্যে দুটি পক্ষ ছিল। একটি ছিল এলএনজি আমদানি করার পক্ষে, অন্যটি দেশীয় গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধির পক্ষে। আর এ সরকারের আমলে কোনো পক্ষ নেই। এলএনজি আমদানিই তাদের মূলনীতি।
শামসুল আলম আরও বলেন, এই সরকার দেশের স্থলভাগের গ্যাসও বিদেশি কোম্পানির হাতে ছেড়ে দিতে চায়। অথচ এ কাজে বাপেক্সের চেয়ে দক্ষ কেউ নেই। সরকারের উচিত ছিল বাপেক্সকে দিয়ে বড় আকারে স্থলভাগের গ্যাস উত্তোলনে ব্যবস্থা নেওয়া, পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় গ্যাস উত্তোলনে জোর দেওয়া, তারা সেটা করছে না। আগামীতে জ্বালানি সংকট ভয়াবহ হবে, এটা অনেকে ভাবতে পারছে না।
দেশের খনি থেকে প্রাপ্ত গ্যাস এবং বিদেশ থেকে আমদানি মিলিয়ে ২০২৪ সালের ২৮ মে গ্যাসের সরবরাহ ছিল ২৬১ কোটি ২৭ লাখ ঘনফুট। সেই উৎপাদন গত ২৮ মে নেমে এসেছে ২০০ কোটি ৪৮ লাখ ঘনফুটে। তার মানে, এক বছরের ব্যবধানে দৈনিক গ্যাসের উৎপাদন কমেছে ৬০ কোটি ঘনফুট।
গ্যাসের উৎপাদন কমে যাওয়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ কমেছে। এই অবস্থায় লোডশেডিং কমাতে তেলভিত্তিক কেন্দ্র চালু করেছে সরকার। শিল্পে গ্যাস নেই, বাসাবাড়ির চুলাও জ্বলছে না।
সামনে সংকট আরও বাড়তে পারে। কারণ, আগের সরকারের দেওয়া তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দুটি টার্মিনাল বাতিল করে দেওয়ায় এই সরকারের হাতে দ্রুত গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানোর কোনো পথ নেই। দেশের দুটি এলএনজি টার্মিনাল দিয়ে সর্বোচ্চ ১১০ কোটি ঘনফুট আমদানি করা সম্ভব, এখন সর্বোচ্চ আমদানিই করা হচ্ছে। হাতে এলএনজি কেনার ডলার থাকলেও গ্যাসের আমদানি আর বাড়ানো যাবে না। দেশীয় গ্যাসের মজুত আরও কমলে শিল্পকারখানা সব ডুবতে বসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পেট্রোবাংলা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
দেশের সব থেকে বড় গ্যাস বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি। তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা শিল্পে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে চেষ্টা করছি। তিতাসে যতখানি গ্যাস দেওয়া হচ্ছে, তার সর্বোত্তম ব্যবহারের চেষ্টা করা হচ্ছে। উৎসে গ্যাস সরবরাহ বাড়লে আমরা আরও ভালো সেবা দিতে পারব।’
কমছে উৎপাদন
পেট্রোবাংলার তথ্য অনুযায়ী, গত ৩০ মে ২৪০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করেছে পেট্রোবাংলা। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আমদানি করা এলএনজি ৫৯ কোটি ঘনফুট। গত বছর ঠিক এই দিনে (৩০ মে) গ্যাসের সরবরাহ ছিল ২৭৩ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে আমদানি করা এলএনজির পরিমাণ ৭৭ কোটি ঘনফুট। ৩১ মে ২০২৪ সালে গ্যাস সরবরাহ করা হয় ২৬১ কোটি ৭০ লাখ ঘনফুট; এর মধ্যে আমদানি করা এলএনজি ছিল ৬০ কোটি ঘনফুট। ঠিক এক বছর পরে এসে গত ৩১ মে গ্যাসের সরবরাহ ছিল ২৪৬ কোটি ৬৫ লাখ ঘনফুট। এর মধ্যে আমদানি করা এলএনজির পরিমাণ ৬১ কোটি ৭০ লাখ ঘনফুট।
কমেছে শিল্পে গ্যাস
গ্যাসের উৎপাদন কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন শিল্পমালিকেরা। চলছে না কলকারখানা। গত বছরের ৩০ মে শিল্পকারখানায় নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্রে; যা ক্যাপটিভ পাওয়ার নামে পরিচিত, সেখানে গ্যাস সরবরাহ ছিল ১০ কোটি ১১ লাখ ঘনফুট। আর গত ৩০ মে ক্যাপটিভ পাওয়ারে গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে ৮ কোটি ৩৭ লাখ ঘনফুট। শিল্পকারখানার নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্র, যা জেনারেটরের মাধ্যমে উৎপাদিত হয়, সেখানে গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় অনেক কারখানা উৎপাদন কমিয়ে এনেছে।
গত ২৫ মে রাজধানীতে দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ ৯টি সংগঠনের শীর্ষ নেতারা যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, গ্যাসের কারণে বন্ধ রয়েছে বস্ত্র খাতের ৫০ শতাংশ কারখানা।
সংবাদ সম্মেলন থেকে শিল্পমালিকেরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিল্পে গ্যাসের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি করেন। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত স্থগিত, শিল্প খাতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহে মধ্য-দীর্ঘমেয়াদি কৌশলের আহ্বান জানান তাঁরা।
বাসাবাড়িতেও গ্যাস-সংকট
রাজধানীর পান্থপথের বউবাজারের বাসিন্দা মান্নান মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, দিনের বেলা গ্যাসের চাপ না থাকায় বাসায় রান্না করা যায় না। রাতে গ্যাসের চাপ যখন বাড়ে, তখন রান্না করতে গেলে রাত অনেক বেশি হয়। এই সমস্যা কয়েক মাস ধরেই চলছে।
একই রকম পরিস্থিতিতে পড়েছেন রাজধানীর বনশ্রী এলাকার ব্লক-এর ১৬ তলা ভবনের বদরুল ইসলামের পরিবার। এই ব্যবসায়ীর বাড়িতে চুলা জ্বলে দিনে একবার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাড্ডা, রামপুরা, বনশ্রী, যাত্রাবাড়ী, কলাবাগান, মিরপুরের কোথাও কোথাও চুলা জ্বালানোর মতো গ্যাসের চাপ থাকে না। এতে এসব এলাকার বাসিন্দারা সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছেন।
সংকটের সমাধান কোথায়
২০১৮ সাল থেকে দেশীয় গ্যাসের জোগান কমতে থাকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার তার আগেই দুটি এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ শুরু করেছিল। এর একটি যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি এক্সিলারেটের। অন্যটি দেশীয় কোম্পানি সামিটের। এ দুটি টার্মিনাল দিয়ে দিনে ১০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবাহ করা যায়। পেট্রোবাংলার হাতে তথ্য ছিল, ২০২৬ সালে গিয়ে দেশীয় গ্যাসের জোগান আরও কমবে। এটি উল্লেখযোগ্য হারে কমতে থাকবে ২০২৫ সাল থেকে। এ জন্য আরও দুটি এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের অনুমতি দিয়েছিল সরকার। অবশ্য আগের দুটি ও পরের দুটি টার্মিনাল বিনা দরপত্রে বিশেষ আইনে দেওয়া হয়েছিল। এখানে সামিটকে বিশেষ সুযোগ দেওয়ার অভিযোগ পুরোনো। পরের দুটিও এক্সিলারেট ও সামিট পেয়েছিল। গত ৫ আগস্ট সরকার গঠনের পর সরকার নতুন দুটি এলএনজি টার্মিনালই বাতিল করে দেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেট্রোবাংলার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানী লিমিটেড (আরপিজিসিএল) এলএনজি আমদানি করে। এই প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করা যেত। সাগরে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল বিদেশ থেকে জাহাজ কিনে বা দীর্ঘ মেয়াদে ভাড়ায় এনে স্থাপন করা হয়।
উদাহরণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট ১৬ বছরের পুরোনো জাহাজ দিয়ে বাংলাদেশে এলএনজি সরবারহ শুরু করেছে। আর সামিটের এলএনজি টার্মিনালের সব কারিগরি সরবরাহ, লোকবল এমনকি জাহাজ ভাড়াও এক্সিলারেট দিয়েছে; এ ক্ষেত্রে শুধু অনুমতিপত্রটাই সামিটের। সরকারি কোম্পানি আরপিজিসিএলের ক্ষেত্রেও এমনটি করা যেত বলে তাঁরা মনে করছেন।
তবে দেশীয় গ্যাস উত্তোলনের বিকল্প দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা। কারণ, দীর্ঘ মেয়াদে এলএনজি আমদানি করার মতো আর্থিক সক্ষমতা নেই বাংলাদেশের। দীর্ঘ মেয়াদে বড় আকারে এলএনজি আমদানি করলে তার প্রভাব দেশের অর্থনীতিতেও পড়বে বলে মনে করেন তাঁরা।
এ প্রসঙ্গে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিগত সরকারের মধ্যে দুটি পক্ষ ছিল। একটি ছিল এলএনজি আমদানি করার পক্ষে, অন্যটি দেশীয় গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধির পক্ষে। আর এ সরকারের আমলে কোনো পক্ষ নেই। এলএনজি আমদানিই তাদের মূলনীতি।
শামসুল আলম আরও বলেন, এই সরকার দেশের স্থলভাগের গ্যাসও বিদেশি কোম্পানির হাতে ছেড়ে দিতে চায়। অথচ এ কাজে বাপেক্সের চেয়ে দক্ষ কেউ নেই। সরকারের উচিত ছিল বাপেক্সকে দিয়ে বড় আকারে স্থলভাগের গ্যাস উত্তোলনে ব্যবস্থা নেওয়া, পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় গ্যাস উত্তোলনে জোর দেওয়া, তারা সেটা করছে না। আগামীতে জ্বালানি সংকট ভয়াবহ হবে, এটা অনেকে ভাবতে পারছে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আগামীকাল বুধবার বৈঠক করবে জামায়াতে ইসলামী। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৫ মিনিট আগেশুনানিতে আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া বলেন, ‘সাংবিধানিক বিষয় ব্যাখ্যা করার কিছু পদ্ধতি বা রীতিনীতি আছে। বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের যে রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছিল, সেখানে ওই রীতিনীতি প্রয়োগ করতে ভুল করেছেন আপিল বিভাগ। সংবিধান ব্যাখ্যা করতে ভুল করার কারণে তাঁরা
১৮ মিনিট আগে২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনে যা কিছু প্রয়োজন, তা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
৪৪ মিনিট আগেস্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আজ মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আগামীকাল বুধবার বৈঠক করবে জামায়াতে ইসলামী। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, চলমান রাজনৈতিক সংলাপের অংশ হিসেবে আগামীকাল বুধবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যমুনায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আগামীকাল বুধবার বৈঠক করবে জামায়াতে ইসলামী। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, চলমান রাজনৈতিক সংলাপের অংশ হিসেবে আগামীকাল বুধবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যমুনায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ।
দেশের খনি থেকে প্রাপ্ত গ্যাস এবং বিদেশ থেকে আমদানি মিলিয়ে ২০২৪ সালের ২৮ মে গ্যাসের সরবরাহ ছিল ২৬১ কোটি ২৭ লাখ ঘনফুট। সেই উৎপাদন গত ২৮ মে নেমে এসেছে ২০০ কোটি ৪৮ লাখ ঘনফুটে। তার মানে, এক বছরের ব্যবধানে দৈনিক গ্যাসের উৎপাদন কমেছে ৬০ কোটি ঘনফুট।
১৩ জুন ২০২৫শুনানিতে আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া বলেন, ‘সাংবিধানিক বিষয় ব্যাখ্যা করার কিছু পদ্ধতি বা রীতিনীতি আছে। বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের যে রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছিল, সেখানে ওই রীতিনীতি প্রয়োগ করতে ভুল করেছেন আপিল বিভাগ। সংবিধান ব্যাখ্যা করতে ভুল করার কারণে তাঁরা
১৮ মিনিট আগে২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনে যা কিছু প্রয়োজন, তা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
৪৪ মিনিট আগেস্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আজ মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া।
এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
শুনানিতে আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া বলেন, ‘সাংবিধানিক বিষয় ব্যাখ্যা করার কিছু পদ্ধতি বা রীতিনীতি আছে। বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের যে রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছিল, সেখানে ওই রীতিনীতি প্রয়োগ করতে ভুল করেছেন আপিল বিভাগ। সংবিধান ব্যাখ্যা করতে ভুল করার কারণে তাঁরা ভুল সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।
‘বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রায়ে বলেছিলেন, নির্দলীয় সরকারব্যবস্থা গণতন্ত্রের পরিপন্থী। কারণ, তারা অনির্বাচিত। অনির্বাচিত ব্যক্তি ক্ষমতায় থাকলে গণতান্ত্রিক চরিত্র নষ্ট হয়ে যায়। তারা বুঝিয়ে ছিল, একদিনও অনির্বাচিত ব্যক্তি ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। সংবিধানের যে ব্যাখ্যা তাঁরা দিলেন, তার ফলাফল হলো ১০ বছরের বেশি অনির্বাচিত সরকার দ্বারা পরিচালিত হয়েছি।’
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের পর যেসব নির্বাচন হয়েছে, সেগুলো কোনো নির্বাচনই হয়নি। এসব একতরফা সিলেকশন হয়েছে। সংবিধান ব্যাখ্যা করতে হলে দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা ও ফলাফল কী দাঁড়াবে—এগুলো বিবেচনায় নিতে হয়। ত্রয়োদশ সংশোধনী বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত হয়েছিল। ’৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে গৃহীত হয়। এটা মূলত আওয়ামী লীগের দাবি ছিল। সবাই যা মেনে নিয়েছিল। সবারই দাবি ছিল, নিরপেক্ষ সরকারব্যবস্থা চালু করতে হবে। এটি বাতিল করলে কী হবে, বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতিরা সেটি বিবেচনায় নেননি। তাঁরা দেশের বাস্তবতা আমলে নেননি।
২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা-সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি। পরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারও রিভিউ আবেদন করেন।
এ ছাড়া নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয় গত ২৭ আগস্ট। সে অনুযায়ী আপিল বিভাগে শুনানি চলছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া।
এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
শুনানিতে আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া বলেন, ‘সাংবিধানিক বিষয় ব্যাখ্যা করার কিছু পদ্ধতি বা রীতিনীতি আছে। বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের যে রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছিল, সেখানে ওই রীতিনীতি প্রয়োগ করতে ভুল করেছেন আপিল বিভাগ। সংবিধান ব্যাখ্যা করতে ভুল করার কারণে তাঁরা ভুল সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।
‘বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রায়ে বলেছিলেন, নির্দলীয় সরকারব্যবস্থা গণতন্ত্রের পরিপন্থী। কারণ, তারা অনির্বাচিত। অনির্বাচিত ব্যক্তি ক্ষমতায় থাকলে গণতান্ত্রিক চরিত্র নষ্ট হয়ে যায়। তারা বুঝিয়ে ছিল, একদিনও অনির্বাচিত ব্যক্তি ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। সংবিধানের যে ব্যাখ্যা তাঁরা দিলেন, তার ফলাফল হলো ১০ বছরের বেশি অনির্বাচিত সরকার দ্বারা পরিচালিত হয়েছি।’
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের পর যেসব নির্বাচন হয়েছে, সেগুলো কোনো নির্বাচনই হয়নি। এসব একতরফা সিলেকশন হয়েছে। সংবিধান ব্যাখ্যা করতে হলে দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা ও ফলাফল কী দাঁড়াবে—এগুলো বিবেচনায় নিতে হয়। ত্রয়োদশ সংশোধনী বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত হয়েছিল। ’৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে গৃহীত হয়। এটা মূলত আওয়ামী লীগের দাবি ছিল। সবাই যা মেনে নিয়েছিল। সবারই দাবি ছিল, নিরপেক্ষ সরকারব্যবস্থা চালু করতে হবে। এটি বাতিল করলে কী হবে, বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতিরা সেটি বিবেচনায় নেননি। তাঁরা দেশের বাস্তবতা আমলে নেননি।
২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা-সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি। পরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারও রিভিউ আবেদন করেন।
এ ছাড়া নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয় গত ২৭ আগস্ট। সে অনুযায়ী আপিল বিভাগে শুনানি চলছে।
দেশের খনি থেকে প্রাপ্ত গ্যাস এবং বিদেশ থেকে আমদানি মিলিয়ে ২০২৪ সালের ২৮ মে গ্যাসের সরবরাহ ছিল ২৬১ কোটি ২৭ লাখ ঘনফুট। সেই উৎপাদন গত ২৮ মে নেমে এসেছে ২০০ কোটি ৪৮ লাখ ঘনফুটে। তার মানে, এক বছরের ব্যবধানে দৈনিক গ্যাসের উৎপাদন কমেছে ৬০ কোটি ঘনফুট।
১৩ জুন ২০২৫অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আগামীকাল বুধবার বৈঠক করবে জামায়াতে ইসলামী। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৫ মিনিট আগে২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনে যা কিছু প্রয়োজন, তা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
৪৪ মিনিট আগেস্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আজ মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনে যা কিছু প্রয়োজন, তা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রেস উইং থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বিএনপি নেতাদের জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসেবে নির্বাচনের আগে প্রশাসনের যাবতীয় রদবদল সরাসরি তাঁর তত্ত্বাবধানে হবে। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতার ভিত্তিতেই কর্মকর্তাদের বাছাই করে নির্বাচনের আগে যথোপযুক্ত স্থানে নিয়োগ দেওয়া হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব নিরপেক্ষ থাকা। নির্বাচন একটি মহা আয়োজন। এখানে যিনি শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সক্ষম, সেই ব্যক্তিকেই আমরা বেছে নেব। এটি আমার তত্ত্বাবধানে থাকবে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন, আমরা তা করব।’
বিতর্কিত কোনো কর্মকর্তা, বিশেষ করে, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ শাসনামলে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেছেন—এমন কর্মকর্তাদের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন থেকে নিবৃত্ত রাখার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির নেতারা।
নির্বাচনের আগে প্রশাসনে রদবদলে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির নেতারা।
বৈঠকে পুলিশের নিয়োগ ও বদলিপ্রক্রিয়া নিয়ে কিছু পর্যবেক্ষণ প্রধান উপদেষ্টার কাছে জানান বিএনপির নেতারা।
জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সম্পৃক্ত করায় এবং ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সফলভাবে আয়োজন করতে পারায় সরকারকে অভিনন্দন জানায় বিএনপি।
এর পাশাপাশি সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থাপনায় একাধিক অগ্নিকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। এসব ঘটনা অন্তর্ঘাতমূলক কি না, এ বিষয়ে অনুসন্ধানেরও আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ। সরকারের পক্ষ থেকে ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনে যা কিছু প্রয়োজন, তা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রেস উইং থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বিএনপি নেতাদের জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসেবে নির্বাচনের আগে প্রশাসনের যাবতীয় রদবদল সরাসরি তাঁর তত্ত্বাবধানে হবে। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতার ভিত্তিতেই কর্মকর্তাদের বাছাই করে নির্বাচনের আগে যথোপযুক্ত স্থানে নিয়োগ দেওয়া হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব নিরপেক্ষ থাকা। নির্বাচন একটি মহা আয়োজন। এখানে যিনি শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সক্ষম, সেই ব্যক্তিকেই আমরা বেছে নেব। এটি আমার তত্ত্বাবধানে থাকবে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন, আমরা তা করব।’
বিতর্কিত কোনো কর্মকর্তা, বিশেষ করে, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ শাসনামলে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেছেন—এমন কর্মকর্তাদের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন থেকে নিবৃত্ত রাখার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির নেতারা।
নির্বাচনের আগে প্রশাসনে রদবদলে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির নেতারা।
বৈঠকে পুলিশের নিয়োগ ও বদলিপ্রক্রিয়া নিয়ে কিছু পর্যবেক্ষণ প্রধান উপদেষ্টার কাছে জানান বিএনপির নেতারা।
জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সম্পৃক্ত করায় এবং ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সফলভাবে আয়োজন করতে পারায় সরকারকে অভিনন্দন জানায় বিএনপি।
এর পাশাপাশি সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থাপনায় একাধিক অগ্নিকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। এসব ঘটনা অন্তর্ঘাতমূলক কি না, এ বিষয়ে অনুসন্ধানেরও আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ। সরকারের পক্ষ থেকে ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
দেশের খনি থেকে প্রাপ্ত গ্যাস এবং বিদেশ থেকে আমদানি মিলিয়ে ২০২৪ সালের ২৮ মে গ্যাসের সরবরাহ ছিল ২৬১ কোটি ২৭ লাখ ঘনফুট। সেই উৎপাদন গত ২৮ মে নেমে এসেছে ২০০ কোটি ৪৮ লাখ ঘনফুটে। তার মানে, এক বছরের ব্যবধানে দৈনিক গ্যাসের উৎপাদন কমেছে ৬০ কোটি ঘনফুট।
১৩ জুন ২০২৫অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আগামীকাল বুধবার বৈঠক করবে জামায়াতে ইসলামী। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৫ মিনিট আগেশুনানিতে আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া বলেন, ‘সাংবিধানিক বিষয় ব্যাখ্যা করার কিছু পদ্ধতি বা রীতিনীতি আছে। বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের যে রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছিল, সেখানে ওই রীতিনীতি প্রয়োগ করতে ভুল করেছেন আপিল বিভাগ। সংবিধান ব্যাখ্যা করতে ভুল করার কারণে তাঁরা
১৮ মিনিট আগেস্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আজ মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
সাভার পৌরসভা ও আশুলিয়া নিয়ে সাভার সিটি করপোরেশন গঠন করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ ছাড়া কেরানীগঞ্জকে ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভা বা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আজ মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
পোস্টে উপদেষ্টা বলেন, ‘সাভার পৌরসভা ও আশুলিয়া মিলিয়ে সাভার সিটি করপোরেশন এবং কেরানীগঞ্জকে ‘‘ক’’ শ্রেণির পৌরসভা বা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।’
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, সাভারকে সিটি করপোরেশন ঘোষণা করতে ঢাকার জেলা প্রশাসক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। এরপর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠায়। পরে প্রধান উপদেষ্টা নীতিগত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এখন এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ স্থানীয় সরকার বিভাগে চিঠি পাঠিয়েছে।
সাভার পৌরসভা ও আশুলিয়া নিয়ে সাভার সিটি করপোরেশন গঠন করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ ছাড়া কেরানীগঞ্জকে ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভা বা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আজ মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
পোস্টে উপদেষ্টা বলেন, ‘সাভার পৌরসভা ও আশুলিয়া মিলিয়ে সাভার সিটি করপোরেশন এবং কেরানীগঞ্জকে ‘‘ক’’ শ্রেণির পৌরসভা বা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।’
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, সাভারকে সিটি করপোরেশন ঘোষণা করতে ঢাকার জেলা প্রশাসক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। এরপর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠায়। পরে প্রধান উপদেষ্টা নীতিগত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এখন এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ স্থানীয় সরকার বিভাগে চিঠি পাঠিয়েছে।
দেশের খনি থেকে প্রাপ্ত গ্যাস এবং বিদেশ থেকে আমদানি মিলিয়ে ২০২৪ সালের ২৮ মে গ্যাসের সরবরাহ ছিল ২৬১ কোটি ২৭ লাখ ঘনফুট। সেই উৎপাদন গত ২৮ মে নেমে এসেছে ২০০ কোটি ৪৮ লাখ ঘনফুটে। তার মানে, এক বছরের ব্যবধানে দৈনিক গ্যাসের উৎপাদন কমেছে ৬০ কোটি ঘনফুট।
১৩ জুন ২০২৫অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আগামীকাল বুধবার বৈঠক করবে জামায়াতে ইসলামী। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৫ মিনিট আগেশুনানিতে আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া বলেন, ‘সাংবিধানিক বিষয় ব্যাখ্যা করার কিছু পদ্ধতি বা রীতিনীতি আছে। বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের যে রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছিল, সেখানে ওই রীতিনীতি প্রয়োগ করতে ভুল করেছেন আপিল বিভাগ। সংবিধান ব্যাখ্যা করতে ভুল করার কারণে তাঁরা
১৮ মিনিট আগে২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনে যা কিছু প্রয়োজন, তা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
৪৪ মিনিট আগে