আয়নাল হোসেন, ঢাকা

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ একীভূত করায় সমন্বয়হীনতা দূর হবে বলে মনে করছেন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা। আগে পুলিশ ভেরিফিকেশন কিংবা পাসপোর্ট অফিসে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা এবং বিদেশে মিশনে যেতে দুই বিভাগের কর্মচারীদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ছিল। দুই বিভাগ একত্র হওয়ায় এসব সমন্বয়হীনতা দূর হবে বলে আশা করছেন তাঁরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুই বিভাগ একত্র হওয়ায় একজন সচিব, প্রশাসন উন্নয়ন আইন ও শৃঙ্খলা অনুবিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবের পদ কমে গেল। এতে রাষ্ট্রের কিছু আর্থিক সহায়তা হবে। অন্যদিকে দুই বিভাগের অর্থ দুটি অর্থনৈতিক কোডে আসত। এখন সেই কোড একত্র হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সময় নরসিংদীর কারাগারে বহিরাগতদের হামলা হয়। হামলার অনেক সময় পর ঘটনাস্থলে পুলিশ হাজির হয়। চাকরির ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রেও পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) থেকে কালক্ষেপণ করা হতো। অনেক ভেরিফিকেশন ৩-৪ মাস কখনো ছয় মাসও অপেক্ষা করতে হতো। এর অন্যতম কারণ ভেরিফিকেশন শাখাটি ছিল সুরক্ষা সেবা বিভাগের। আর ভেরিফিকেশনের দায়িত্বে ছিল পুলিশ। যেটি জননিরাপত্তা বিভাগের অধীনে।
এছাড়া পাসপোর্ট অফিসগুলোতে মোবাইল কোর্ট করতে গেলে সেখানে পুলিশ পাওয়া দুষ্কর হয়ে যেত, কারণ সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মচারী বলেন, বিশ্বের ১৫টি দেশের ১৯টি মিশন রয়েছে। এসব মিশনে পাসপোর্ট ইস্যু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের কর্মচারীরা অগ্রাধিকার পেত। এ নিয়ে দুই বিভাগের মধ্যে মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছিল। পরে তাদের মধ্যে কিছুটা সমন্বয় করে সাময়িকভাবে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছিল। কিন্তু এখন আর সেই সমস্যা থাকবে না। এখন জ্যেষ্ঠতা এবং যোগ্যতা অনুসারে মিশনগুলোতে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশ্বের কোনো দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কোনো বিভাজন নাই, শুধু বাংলাদেশে এটি করা হয়েছিল। এতে বিদেশে গিয়ে প্রায় তাদের কিছুটা বিব্রত হতে হয়েছে।
বর্তমান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব নাসিমন গনি যোগদানের পর থেকে শুধু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব লেখা হচ্ছে। এর আগে সচিবেরা জননিরাপত্তা বিভাগ ও সুরক্ষা সেবা বিভাগ এই দুই নামে পরিচিত ছিলেন। তবে বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন দুই বিভাগকে একত্র করণের পক্ষে মত দেন এবং প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করেন।
২০১৭ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা ‘জননিরাপত্তা বিভাগ’ ও ‘সুরক্ষা সেবা বিভাগ’কে একত্রিত করে ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়’ হিসেবে পুনর্গঠন করা হয়েছে।
জননিরাপত্তা বিভাগের অধীন শাখা ও সংস্থাগুলো ছিল—পুলিশ সদর দপ্তর, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড, ন্যাশনাল টেলিকমিউনেকশন মনিটরিং সেন্টার তদন্ত সংস্থা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীন শাখা ও সংস্থাগুলো ছিল—বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, কারা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ একীভূত করায় সমন্বয়হীনতা দূর হবে বলে মনে করছেন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা। আগে পুলিশ ভেরিফিকেশন কিংবা পাসপোর্ট অফিসে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা এবং বিদেশে মিশনে যেতে দুই বিভাগের কর্মচারীদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ছিল। দুই বিভাগ একত্র হওয়ায় এসব সমন্বয়হীনতা দূর হবে বলে আশা করছেন তাঁরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুই বিভাগ একত্র হওয়ায় একজন সচিব, প্রশাসন উন্নয়ন আইন ও শৃঙ্খলা অনুবিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবের পদ কমে গেল। এতে রাষ্ট্রের কিছু আর্থিক সহায়তা হবে। অন্যদিকে দুই বিভাগের অর্থ দুটি অর্থনৈতিক কোডে আসত। এখন সেই কোড একত্র হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সময় নরসিংদীর কারাগারে বহিরাগতদের হামলা হয়। হামলার অনেক সময় পর ঘটনাস্থলে পুলিশ হাজির হয়। চাকরির ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রেও পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) থেকে কালক্ষেপণ করা হতো। অনেক ভেরিফিকেশন ৩-৪ মাস কখনো ছয় মাসও অপেক্ষা করতে হতো। এর অন্যতম কারণ ভেরিফিকেশন শাখাটি ছিল সুরক্ষা সেবা বিভাগের। আর ভেরিফিকেশনের দায়িত্বে ছিল পুলিশ। যেটি জননিরাপত্তা বিভাগের অধীনে।
এছাড়া পাসপোর্ট অফিসগুলোতে মোবাইল কোর্ট করতে গেলে সেখানে পুলিশ পাওয়া দুষ্কর হয়ে যেত, কারণ সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মচারী বলেন, বিশ্বের ১৫টি দেশের ১৯টি মিশন রয়েছে। এসব মিশনে পাসপোর্ট ইস্যু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের কর্মচারীরা অগ্রাধিকার পেত। এ নিয়ে দুই বিভাগের মধ্যে মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছিল। পরে তাদের মধ্যে কিছুটা সমন্বয় করে সাময়িকভাবে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছিল। কিন্তু এখন আর সেই সমস্যা থাকবে না। এখন জ্যেষ্ঠতা এবং যোগ্যতা অনুসারে মিশনগুলোতে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশ্বের কোনো দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কোনো বিভাজন নাই, শুধু বাংলাদেশে এটি করা হয়েছিল। এতে বিদেশে গিয়ে প্রায় তাদের কিছুটা বিব্রত হতে হয়েছে।
বর্তমান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব নাসিমন গনি যোগদানের পর থেকে শুধু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব লেখা হচ্ছে। এর আগে সচিবেরা জননিরাপত্তা বিভাগ ও সুরক্ষা সেবা বিভাগ এই দুই নামে পরিচিত ছিলেন। তবে বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন দুই বিভাগকে একত্র করণের পক্ষে মত দেন এবং প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করেন।
২০১৭ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা ‘জননিরাপত্তা বিভাগ’ ও ‘সুরক্ষা সেবা বিভাগ’কে একত্রিত করে ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়’ হিসেবে পুনর্গঠন করা হয়েছে।
জননিরাপত্তা বিভাগের অধীন শাখা ও সংস্থাগুলো ছিল—পুলিশ সদর দপ্তর, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড, ন্যাশনাল টেলিকমিউনেকশন মনিটরিং সেন্টার তদন্ত সংস্থা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীন শাখা ও সংস্থাগুলো ছিল—বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, কারা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
আয়নাল হোসেন, ঢাকা

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ একীভূত করায় সমন্বয়হীনতা দূর হবে বলে মনে করছেন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা। আগে পুলিশ ভেরিফিকেশন কিংবা পাসপোর্ট অফিসে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা এবং বিদেশে মিশনে যেতে দুই বিভাগের কর্মচারীদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ছিল। দুই বিভাগ একত্র হওয়ায় এসব সমন্বয়হীনতা দূর হবে বলে আশা করছেন তাঁরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুই বিভাগ একত্র হওয়ায় একজন সচিব, প্রশাসন উন্নয়ন আইন ও শৃঙ্খলা অনুবিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবের পদ কমে গেল। এতে রাষ্ট্রের কিছু আর্থিক সহায়তা হবে। অন্যদিকে দুই বিভাগের অর্থ দুটি অর্থনৈতিক কোডে আসত। এখন সেই কোড একত্র হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সময় নরসিংদীর কারাগারে বহিরাগতদের হামলা হয়। হামলার অনেক সময় পর ঘটনাস্থলে পুলিশ হাজির হয়। চাকরির ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রেও পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) থেকে কালক্ষেপণ করা হতো। অনেক ভেরিফিকেশন ৩-৪ মাস কখনো ছয় মাসও অপেক্ষা করতে হতো। এর অন্যতম কারণ ভেরিফিকেশন শাখাটি ছিল সুরক্ষা সেবা বিভাগের। আর ভেরিফিকেশনের দায়িত্বে ছিল পুলিশ। যেটি জননিরাপত্তা বিভাগের অধীনে।
এছাড়া পাসপোর্ট অফিসগুলোতে মোবাইল কোর্ট করতে গেলে সেখানে পুলিশ পাওয়া দুষ্কর হয়ে যেত, কারণ সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মচারী বলেন, বিশ্বের ১৫টি দেশের ১৯টি মিশন রয়েছে। এসব মিশনে পাসপোর্ট ইস্যু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের কর্মচারীরা অগ্রাধিকার পেত। এ নিয়ে দুই বিভাগের মধ্যে মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছিল। পরে তাদের মধ্যে কিছুটা সমন্বয় করে সাময়িকভাবে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছিল। কিন্তু এখন আর সেই সমস্যা থাকবে না। এখন জ্যেষ্ঠতা এবং যোগ্যতা অনুসারে মিশনগুলোতে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশ্বের কোনো দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কোনো বিভাজন নাই, শুধু বাংলাদেশে এটি করা হয়েছিল। এতে বিদেশে গিয়ে প্রায় তাদের কিছুটা বিব্রত হতে হয়েছে।
বর্তমান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব নাসিমন গনি যোগদানের পর থেকে শুধু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব লেখা হচ্ছে। এর আগে সচিবেরা জননিরাপত্তা বিভাগ ও সুরক্ষা সেবা বিভাগ এই দুই নামে পরিচিত ছিলেন। তবে বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন দুই বিভাগকে একত্র করণের পক্ষে মত দেন এবং প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করেন।
২০১৭ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা ‘জননিরাপত্তা বিভাগ’ ও ‘সুরক্ষা সেবা বিভাগ’কে একত্রিত করে ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়’ হিসেবে পুনর্গঠন করা হয়েছে।
জননিরাপত্তা বিভাগের অধীন শাখা ও সংস্থাগুলো ছিল—পুলিশ সদর দপ্তর, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড, ন্যাশনাল টেলিকমিউনেকশন মনিটরিং সেন্টার তদন্ত সংস্থা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীন শাখা ও সংস্থাগুলো ছিল—বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, কারা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ একীভূত করায় সমন্বয়হীনতা দূর হবে বলে মনে করছেন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা। আগে পুলিশ ভেরিফিকেশন কিংবা পাসপোর্ট অফিসে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা এবং বিদেশে মিশনে যেতে দুই বিভাগের কর্মচারীদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ছিল। দুই বিভাগ একত্র হওয়ায় এসব সমন্বয়হীনতা দূর হবে বলে আশা করছেন তাঁরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুই বিভাগ একত্র হওয়ায় একজন সচিব, প্রশাসন উন্নয়ন আইন ও শৃঙ্খলা অনুবিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবের পদ কমে গেল। এতে রাষ্ট্রের কিছু আর্থিক সহায়তা হবে। অন্যদিকে দুই বিভাগের অর্থ দুটি অর্থনৈতিক কোডে আসত। এখন সেই কোড একত্র হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সময় নরসিংদীর কারাগারে বহিরাগতদের হামলা হয়। হামলার অনেক সময় পর ঘটনাস্থলে পুলিশ হাজির হয়। চাকরির ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রেও পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) থেকে কালক্ষেপণ করা হতো। অনেক ভেরিফিকেশন ৩-৪ মাস কখনো ছয় মাসও অপেক্ষা করতে হতো। এর অন্যতম কারণ ভেরিফিকেশন শাখাটি ছিল সুরক্ষা সেবা বিভাগের। আর ভেরিফিকেশনের দায়িত্বে ছিল পুলিশ। যেটি জননিরাপত্তা বিভাগের অধীনে।
এছাড়া পাসপোর্ট অফিসগুলোতে মোবাইল কোর্ট করতে গেলে সেখানে পুলিশ পাওয়া দুষ্কর হয়ে যেত, কারণ সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মচারী বলেন, বিশ্বের ১৫টি দেশের ১৯টি মিশন রয়েছে। এসব মিশনে পাসপোর্ট ইস্যু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের কর্মচারীরা অগ্রাধিকার পেত। এ নিয়ে দুই বিভাগের মধ্যে মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছিল। পরে তাদের মধ্যে কিছুটা সমন্বয় করে সাময়িকভাবে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছিল। কিন্তু এখন আর সেই সমস্যা থাকবে না। এখন জ্যেষ্ঠতা এবং যোগ্যতা অনুসারে মিশনগুলোতে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশ্বের কোনো দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কোনো বিভাজন নাই, শুধু বাংলাদেশে এটি করা হয়েছিল। এতে বিদেশে গিয়ে প্রায় তাদের কিছুটা বিব্রত হতে হয়েছে।
বর্তমান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব নাসিমন গনি যোগদানের পর থেকে শুধু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব লেখা হচ্ছে। এর আগে সচিবেরা জননিরাপত্তা বিভাগ ও সুরক্ষা সেবা বিভাগ এই দুই নামে পরিচিত ছিলেন। তবে বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন দুই বিভাগকে একত্র করণের পক্ষে মত দেন এবং প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করেন।
২০১৭ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা ‘জননিরাপত্তা বিভাগ’ ও ‘সুরক্ষা সেবা বিভাগ’কে একত্রিত করে ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়’ হিসেবে পুনর্গঠন করা হয়েছে।
জননিরাপত্তা বিভাগের অধীন শাখা ও সংস্থাগুলো ছিল—পুলিশ সদর দপ্তর, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড, ন্যাশনাল টেলিকমিউনেকশন মনিটরিং সেন্টার তদন্ত সংস্থা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীন শাখা ও সংস্থাগুলো ছিল—বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, কারা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

মুক্তিবাহিনীর অগ্রাভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর একের পর এক অবস্থানের পতনে মুক্ত হচ্ছিল বাংলাদেশের একেকটি অঞ্চল। এগিয়ে আসছিল স্বাধীনতার মুহূর্তটি। যদিও ঠিক কখন, কীভাবে সেদিনটি আসবে, তখনো তা স্পষ্ট নয় সাধারণ মানুষের কাছে। তবে সবাই অধীর আগ্রহে ক্ষণ গুনছিল।
৩৪ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবে কমিশন। এরপর জাতির উদ্দেশে দেওয়ার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের ভাষণ রেকর্ড করা হবে। তিনি আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ টেলিভিশন
৮ ঘণ্টা আগে
শপথ নিয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাঁর খাসকামরায় তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী।
১২ ঘণ্টা আগে
ইতালি থেকে জঙ্গি বিমান ইউরোফাইটার টাইফুন কিনছে বাংলাদেশ। এ জন্য দেশটির প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাতা লিওনার্দো এসপিএর সঙ্গে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) বা আগ্রহপত্র সই হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকায় বিমানবাহিনীর সদর দপ্তরে এই সম্মতিপত্র সই হয় বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মুক্তিবাহিনীর অগ্রাভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর একের পর এক অবস্থানের পতনে মুক্ত হচ্ছিল বাংলাদেশের একেকটি অঞ্চল। এগিয়ে আসছিল স্বাধীনতার মুহূর্তটি। যদিও ঠিক কখন, কীভাবে সেদিনটি আসবে, তখনো তা স্পষ্ট নয় সাধারণ মানুষের কাছে। তবে সবাই অধীর আগ্রহে ক্ষণ গুনছিল।
সেতু বিধ্বস্ত হওয়ায় ১০ ডিসেম্বর রায়পুরা অঞ্চলে ১৪টি হেলিকপ্টারের সাহায্যে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর অগ্রবর্তী অংশ তখনকার বিশাল, প্রশস্ত মেঘনা পার হয়। স্থানীয় জনসাধারণ ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় শত শত নৌকার সাহায্যে অবশিষ্ট সেনা ও যুদ্ধ-সরঞ্জাম পরিবহনে সহায়তা করে।
প্রচণ্ড চাপে পড়ে আগের দিন ঢাকায় পাকিস্তানের সামরিক নেতৃত্ব ও গভর্নর মালেক সৈন্যসহ পূর্ব পাকিস্তান ত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সেদিন দাউদকান্দির পতনের পর তাঁরা বুঝে গিয়েছিলেন, ঢাকাই যৌথ বাহিনীর পরবর্তী লক্ষ্য। পাকিস্তানিদের সম্পূর্ণ পশ্চাদপসরণের সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের পূর্ণ অনুমোদন লাভ করে।
সহায়তাকারী ভারতীয় বাহিনীর রায়পুরায় অবতরণের পর প্রায় ৩ ঘণ্টা ঢাকার পাকিস্তানি সামরিক লক্ষ্যবস্তুগুলোর ওপর বিমান হামলা চলে। তখন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের সামরিক উপদেষ্টা, গণহত্যার অন্যতম সহযোগী রাও ফরমান আলী ঢাকায় অবস্থানকারী জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব পল মার্ক হেনরিকে ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির’ আয়োজন করার আবেদন জানান। বাঙালিদের ওপর ৯ মাস হত্যাযজ্ঞ চলার পর এত দিনে এসে তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা এবং এই অঞ্চলে থাকা পাকিস্তানি বাহিনীকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা সম্পন্ন করার আহ্বান জানান। জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব এ প্রস্তাব জাতিসংঘ সদর দপ্তরে পাঠিয়ে দেন।
নিরাপত্তা পরিষদে রাও ফরমান আলীর এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ চলার সময় হঠাৎ খবর আসে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া প্রস্তাবটি নাকচ করে দিয়েছেন। ঘটনা হচ্ছে, খবরটি ওয়াশিংটনে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন সরকার ইয়াহিয়াকে জানান, পাকিস্তানি বাহিনীকে সাহায্য করার জন্য সপ্তম নৌবহর ইতিমধ্যেই বঙ্গোপসাগরের দিকে রওনা হয়েছে। এ কারণেই ইয়াহিয়ার মত বদলে যায়। পাকিস্তান নিজে থেকে ‘সম্মানজনকভাবে’ সেনা প্রত্যাহারের জন্য উদ্যোগী হলেও সেই উদ্যোগকে সমর্থন না করে মার্কিন সরকার বরং তা রদ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তার ওপর ভারতকে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত করানোর তাগিদ দিয়ে ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট নিক্সন সোভিয়েত নেতা ব্রেজনেভকে দুই দফা বার্তা পাঠান। যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার ব্যাপারে ভারতকে সম্মত করতে ব্রেজনেভের ওপর চাপের মাত্রা বাড়ানো হয়। তাঁকে জানানো হয়, ভারত যদি এরপরও সম্মত না হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র নিজে এ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে।
উপমহাদেশের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ‘শক্ত ব্যবস্থা’ গ্রহণ করতে পারে, তা সোভিয়েত ইউনিয়নের ভালো করেই জানা ছিল। সোভিয়েত সরকার তাদের নৌবাহিনীকে সতর্ক রাখে। মার্কিন সপ্তম নৌবহরের যাত্রারম্ভের আগেই সোভিয়েতরা তাদের ভারত মহাসাগরীয় নৌবহরের শক্তি বৃদ্ধি শুরু করে।
১০ ডিসেম্বর মার্কিন সপ্তম নৌবহর চীন সাগর ও ভারত মহাসাগরকে সংযোগকারী পাঁচ শ’ মাইল দীর্ঘ মালাক্কা প্রণালির ওপারে ছিল। ভারত মহাসাগরে সোভিয়েত নৌবহরের সমাবেশ তখন সম্পূর্ণ হয়নি। এই অবস্থায় জানা যায়, মার্কিন সপ্তম নৌবহরের গতিবিধি জানার জন্যই সোভিয়েত সরকার কসমস নামের নজরদারি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে।
এদিকে চূড়ান্ত পর্বের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের আশঙ্কায় ঢাকা ছেড়ে চলে যেতে থাকেন অনেক সাধারণ মানুষ। আগের দিন সরকার স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছিল। গুজব ছড়িয়ে পড়ে, রাস্তায় রাস্তায় পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে লড়াই হবে বলে মুক্তিযোদ্ধারা লোকজনকে শহর ছেড়ে চলে যেতে বলেছেন। অনেক লোককে দেখা যায়, পরিবার-পরিজন, পোঁটলাপুঁটলি নিয়ে রিকশা বা বেবিট্যাক্সিতে (সিএনজি অটোর আগের সংস্করণ) করে শহর থেকে বাইরে চলে যাচ্ছে। কেউ কেউ লটবহর মাথায় নিয়ে হেঁটেই চলেছেন। এ যেন ২৫ মার্চের গণহত্যার পর ঢাকা ছাড়ার যে ঢল নেমেছিল কিছুটা প্রতিচ্ছবি।

মুক্তিবাহিনীর অগ্রাভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর একের পর এক অবস্থানের পতনে মুক্ত হচ্ছিল বাংলাদেশের একেকটি অঞ্চল। এগিয়ে আসছিল স্বাধীনতার মুহূর্তটি। যদিও ঠিক কখন, কীভাবে সেদিনটি আসবে, তখনো তা স্পষ্ট নয় সাধারণ মানুষের কাছে। তবে সবাই অধীর আগ্রহে ক্ষণ গুনছিল।
সেতু বিধ্বস্ত হওয়ায় ১০ ডিসেম্বর রায়পুরা অঞ্চলে ১৪টি হেলিকপ্টারের সাহায্যে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর অগ্রবর্তী অংশ তখনকার বিশাল, প্রশস্ত মেঘনা পার হয়। স্থানীয় জনসাধারণ ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় শত শত নৌকার সাহায্যে অবশিষ্ট সেনা ও যুদ্ধ-সরঞ্জাম পরিবহনে সহায়তা করে।
প্রচণ্ড চাপে পড়ে আগের দিন ঢাকায় পাকিস্তানের সামরিক নেতৃত্ব ও গভর্নর মালেক সৈন্যসহ পূর্ব পাকিস্তান ত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সেদিন দাউদকান্দির পতনের পর তাঁরা বুঝে গিয়েছিলেন, ঢাকাই যৌথ বাহিনীর পরবর্তী লক্ষ্য। পাকিস্তানিদের সম্পূর্ণ পশ্চাদপসরণের সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের পূর্ণ অনুমোদন লাভ করে।
সহায়তাকারী ভারতীয় বাহিনীর রায়পুরায় অবতরণের পর প্রায় ৩ ঘণ্টা ঢাকার পাকিস্তানি সামরিক লক্ষ্যবস্তুগুলোর ওপর বিমান হামলা চলে। তখন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের সামরিক উপদেষ্টা, গণহত্যার অন্যতম সহযোগী রাও ফরমান আলী ঢাকায় অবস্থানকারী জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব পল মার্ক হেনরিকে ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির’ আয়োজন করার আবেদন জানান। বাঙালিদের ওপর ৯ মাস হত্যাযজ্ঞ চলার পর এত দিনে এসে তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা এবং এই অঞ্চলে থাকা পাকিস্তানি বাহিনীকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা সম্পন্ন করার আহ্বান জানান। জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব এ প্রস্তাব জাতিসংঘ সদর দপ্তরে পাঠিয়ে দেন।
নিরাপত্তা পরিষদে রাও ফরমান আলীর এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ চলার সময় হঠাৎ খবর আসে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া প্রস্তাবটি নাকচ করে দিয়েছেন। ঘটনা হচ্ছে, খবরটি ওয়াশিংটনে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন সরকার ইয়াহিয়াকে জানান, পাকিস্তানি বাহিনীকে সাহায্য করার জন্য সপ্তম নৌবহর ইতিমধ্যেই বঙ্গোপসাগরের দিকে রওনা হয়েছে। এ কারণেই ইয়াহিয়ার মত বদলে যায়। পাকিস্তান নিজে থেকে ‘সম্মানজনকভাবে’ সেনা প্রত্যাহারের জন্য উদ্যোগী হলেও সেই উদ্যোগকে সমর্থন না করে মার্কিন সরকার বরং তা রদ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তার ওপর ভারতকে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত করানোর তাগিদ দিয়ে ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট নিক্সন সোভিয়েত নেতা ব্রেজনেভকে দুই দফা বার্তা পাঠান। যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার ব্যাপারে ভারতকে সম্মত করতে ব্রেজনেভের ওপর চাপের মাত্রা বাড়ানো হয়। তাঁকে জানানো হয়, ভারত যদি এরপরও সম্মত না হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র নিজে এ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে।
উপমহাদেশের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ‘শক্ত ব্যবস্থা’ গ্রহণ করতে পারে, তা সোভিয়েত ইউনিয়নের ভালো করেই জানা ছিল। সোভিয়েত সরকার তাদের নৌবাহিনীকে সতর্ক রাখে। মার্কিন সপ্তম নৌবহরের যাত্রারম্ভের আগেই সোভিয়েতরা তাদের ভারত মহাসাগরীয় নৌবহরের শক্তি বৃদ্ধি শুরু করে।
১০ ডিসেম্বর মার্কিন সপ্তম নৌবহর চীন সাগর ও ভারত মহাসাগরকে সংযোগকারী পাঁচ শ’ মাইল দীর্ঘ মালাক্কা প্রণালির ওপারে ছিল। ভারত মহাসাগরে সোভিয়েত নৌবহরের সমাবেশ তখন সম্পূর্ণ হয়নি। এই অবস্থায় জানা যায়, মার্কিন সপ্তম নৌবহরের গতিবিধি জানার জন্যই সোভিয়েত সরকার কসমস নামের নজরদারি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে।
এদিকে চূড়ান্ত পর্বের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের আশঙ্কায় ঢাকা ছেড়ে চলে যেতে থাকেন অনেক সাধারণ মানুষ। আগের দিন সরকার স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছিল। গুজব ছড়িয়ে পড়ে, রাস্তায় রাস্তায় পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে লড়াই হবে বলে মুক্তিযোদ্ধারা লোকজনকে শহর ছেড়ে চলে যেতে বলেছেন। অনেক লোককে দেখা যায়, পরিবার-পরিজন, পোঁটলাপুঁটলি নিয়ে রিকশা বা বেবিট্যাক্সিতে (সিএনজি অটোর আগের সংস্করণ) করে শহর থেকে বাইরে চলে যাচ্ছে। কেউ কেউ লটবহর মাথায় নিয়ে হেঁটেই চলেছেন। এ যেন ২৫ মার্চের গণহত্যার পর ঢাকা ছাড়ার যে ঢল নেমেছিল কিছুটা প্রতিচ্ছবি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ একীভূত করায় সমন্বয়হীনতা দূর হবে বলে মনে করছেন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা। আগে পুলিশ ভেরিফিকেশন কিংবা পাসপোর্ট অফিসে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা এবং বিদেশে মিশনে যেতে দুই বিভাগের কর্মচারীদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ছিল।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবে কমিশন। এরপর জাতির উদ্দেশে দেওয়ার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের ভাষণ রেকর্ড করা হবে। তিনি আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ টেলিভিশন
৮ ঘণ্টা আগে
শপথ নিয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাঁর খাসকামরায় তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী।
১২ ঘণ্টা আগে
ইতালি থেকে জঙ্গি বিমান ইউরোফাইটার টাইফুন কিনছে বাংলাদেশ। এ জন্য দেশটির প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাতা লিওনার্দো এসপিএর সঙ্গে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) বা আগ্রহপত্র সই হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকায় বিমানবাহিনীর সদর দপ্তরে এই সম্মতিপত্র সই হয় বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবে কমিশন। এরপর জাতির উদ্দেশে দেওয়ার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের ভাষণ রেকর্ড করা হবে। তিনি আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতারে দেওয়া ভাষণে তফসিল ঘোষণা করতে পারেন। সব ঠিক থাকলে ভোট অনুষ্ঠিত হতে পারে ১২ ফেব্রুয়ারি।
আগামী ৫, ৮ ও ১২ ফেব্রুয়ারির যেকোনো দিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রস্তুতি নিয়ে কাজ শুরু করেছিল নির্বাচন কমিশন। পরে কমিশন জানায়, ৮ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভোট হবে। এর মধ্যে ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট করার বিষয়ে প্রাথমিক প্রস্তুতিও নিয়েছিল ইসি। সেখান থেকে সরে ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটের তারিখ চূড়ান্ত হয়েছে বলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এবং নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসির এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটের তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে। দিনটি বৃহস্পতিবার। ভোট গ্রহণের পর ভোটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। ভোটের পরের দুই দিন সরকারি ছুটি থাকায় তাঁরা সেই সুযোগ পাবেন। এ জন্য ১২ ফেব্রুয়ারিকে ভোটের দিন হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বারবার বলে আসছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে ঈদ উৎসবের মতো। ফলে এবারই প্রথম ভোটের আগের দিন ১১ ফেব্রুয়ারি বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হতে পারে। ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিন সাধারণ ছুটি থাকবে। পরের দুই দিন ১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্র, শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি।
ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ জানান, জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সিইসি তফসিল ঘোষণা করবেন। আজ সেই ভাষণ রেকর্ড করা হবে। আর নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ জানান, তফসিল ঘোষণায় ভাষণের সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে গেছে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে আজ সন্ধ্যায় অথবা বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণা করা হবে।
সূত্র জানায়, সিইসির ভাষণ রেকর্ড করার বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিটিভির একটি প্রতিনিধিদল ইসিতে গিয়েছিল। আজ দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে কমিশন। এরপর সিইসির ভাষণ রেকর্ড করার কথা রয়েছে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণা করা হবে। তবে আজ বিকেলেও তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।
নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, তফসিল ঘোষণার পর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। বিভিন্ন বিষয়ে ২০টির মতো পরিপত্র জারি করতে হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালত, ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি কমিটি নিয়োগ, মনিটরিং সেল এবং আইনশৃঙ্খলা-বিষয়ক সেল গঠনের সব প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।
তফসিল ঘোষণার পর ধারাবাহিকভাবে এগুলো জারি করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে একধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল নির্বাচন কমিশন। জাতীয় সংসদ ভোটের সঙ্গে গণভোটের ঘোষণা আসায় অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছাপানো, গোপন কক্ষের সংখ্যা বাড়ানো এবং বাজেট বাড়ানোর বাড়তি প্রস্তুতি নিতে হয়েছে কমিশনকে। এরই মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, আইনবিধি সংশোধন, রাজনৈতিক দল ও পর্যবেক্ষক নিবন্ধন, অধিকাংশ ছাপার কাজ, অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের সব বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে দুই দফা বৈঠকও হয়েছে।
সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হওয়ায় ভোট দিতে একজন ভোটারের কত সময় লাগবে, সেই ধারণা নিতে গত ২৯ নভেম্বর ভোটের মহড়া করে ইসি। এই অভিজ্ঞতা থেকে ভোটের সময় ১ ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। এবার সকাল সাড়ে ৭টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে ৪টায় শেষ হবে। আগের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হয়েছিল।
নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ জানান, আচরণবিধি প্রতিপালনে তফসিল ঘোষণার দিন থেকে প্রতিটি উপজেলায় দুজন ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। এরপর ভোটের পাঁচ দিন আগে ম্যাজিস্ট্রেট বাড়ানো হবে। তফসিল ঘোষণার পর ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হবে পোস্টার সরাতে। এ সময়ের মধ্যে পোস্টার না সরালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবার প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং এবং পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে সরকারি ও আধা সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নেওয়া হবে। বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তাদের এসব পদে দায়িত্ব না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
একই দিন সংসদ নির্বাচন ও গণভোট সামনে রেখে গত রোববার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এবং গতকাল প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সিইসি। রেওয়াজ অনুযায়ী, আজ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর সিইসির তফসিল ঘোষণার ভাষণ রেকর্ড করা হবে।
তফসিলের পর বেআইনি জনসমাবেশ করলে কঠোরভাবে দমন
তফসিল ঘোষণার পর সব ধরনের বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, আন্দোলন পরিচালনা থেকে বিরত থাকতে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গতকাল পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানানো হয়। এতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে গতকাল দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর হয়—এটিই সরকারের মূল লক্ষ্য। এ কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন পর্যন্ত যেকোনো ধরনের বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে এমন আন্দোলন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যাঁরা বেআইনিভাবে সভা-সমাবেশে অংশ নেবেন, তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা এখন নির্বাচনমুখী সময়ে আছি। এ কারণে, সবার যা কিছু দাবিদাওয়া আছে, তা নির্বাচন-পরবর্তী সরকারের কাছে উপস্থাপনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হচ্ছে। আশা করব, এ সময়ের মধ্যে কেউ দাবিদাওয়া নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি বা স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্নিত করবেন না।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবে কমিশন। এরপর জাতির উদ্দেশে দেওয়ার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের ভাষণ রেকর্ড করা হবে। তিনি আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতারে দেওয়া ভাষণে তফসিল ঘোষণা করতে পারেন। সব ঠিক থাকলে ভোট অনুষ্ঠিত হতে পারে ১২ ফেব্রুয়ারি।
আগামী ৫, ৮ ও ১২ ফেব্রুয়ারির যেকোনো দিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রস্তুতি নিয়ে কাজ শুরু করেছিল নির্বাচন কমিশন। পরে কমিশন জানায়, ৮ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভোট হবে। এর মধ্যে ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট করার বিষয়ে প্রাথমিক প্রস্তুতিও নিয়েছিল ইসি। সেখান থেকে সরে ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটের তারিখ চূড়ান্ত হয়েছে বলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এবং নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসির এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটের তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে। দিনটি বৃহস্পতিবার। ভোট গ্রহণের পর ভোটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। ভোটের পরের দুই দিন সরকারি ছুটি থাকায় তাঁরা সেই সুযোগ পাবেন। এ জন্য ১২ ফেব্রুয়ারিকে ভোটের দিন হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বারবার বলে আসছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে ঈদ উৎসবের মতো। ফলে এবারই প্রথম ভোটের আগের দিন ১১ ফেব্রুয়ারি বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হতে পারে। ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিন সাধারণ ছুটি থাকবে। পরের দুই দিন ১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্র, শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি।
ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ জানান, জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সিইসি তফসিল ঘোষণা করবেন। আজ সেই ভাষণ রেকর্ড করা হবে। আর নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ জানান, তফসিল ঘোষণায় ভাষণের সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে গেছে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে আজ সন্ধ্যায় অথবা বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণা করা হবে।
সূত্র জানায়, সিইসির ভাষণ রেকর্ড করার বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিটিভির একটি প্রতিনিধিদল ইসিতে গিয়েছিল। আজ দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে কমিশন। এরপর সিইসির ভাষণ রেকর্ড করার কথা রয়েছে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণা করা হবে। তবে আজ বিকেলেও তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।
নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, তফসিল ঘোষণার পর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। বিভিন্ন বিষয়ে ২০টির মতো পরিপত্র জারি করতে হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালত, ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি কমিটি নিয়োগ, মনিটরিং সেল এবং আইনশৃঙ্খলা-বিষয়ক সেল গঠনের সব প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।
তফসিল ঘোষণার পর ধারাবাহিকভাবে এগুলো জারি করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে একধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল নির্বাচন কমিশন। জাতীয় সংসদ ভোটের সঙ্গে গণভোটের ঘোষণা আসায় অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছাপানো, গোপন কক্ষের সংখ্যা বাড়ানো এবং বাজেট বাড়ানোর বাড়তি প্রস্তুতি নিতে হয়েছে কমিশনকে। এরই মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, আইনবিধি সংশোধন, রাজনৈতিক দল ও পর্যবেক্ষক নিবন্ধন, অধিকাংশ ছাপার কাজ, অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের সব বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে দুই দফা বৈঠকও হয়েছে।
সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হওয়ায় ভোট দিতে একজন ভোটারের কত সময় লাগবে, সেই ধারণা নিতে গত ২৯ নভেম্বর ভোটের মহড়া করে ইসি। এই অভিজ্ঞতা থেকে ভোটের সময় ১ ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। এবার সকাল সাড়ে ৭টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে ৪টায় শেষ হবে। আগের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হয়েছিল।
নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ জানান, আচরণবিধি প্রতিপালনে তফসিল ঘোষণার দিন থেকে প্রতিটি উপজেলায় দুজন ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। এরপর ভোটের পাঁচ দিন আগে ম্যাজিস্ট্রেট বাড়ানো হবে। তফসিল ঘোষণার পর ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হবে পোস্টার সরাতে। এ সময়ের মধ্যে পোস্টার না সরালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবার প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং এবং পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে সরকারি ও আধা সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নেওয়া হবে। বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তাদের এসব পদে দায়িত্ব না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
একই দিন সংসদ নির্বাচন ও গণভোট সামনে রেখে গত রোববার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এবং গতকাল প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সিইসি। রেওয়াজ অনুযায়ী, আজ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর সিইসির তফসিল ঘোষণার ভাষণ রেকর্ড করা হবে।
তফসিলের পর বেআইনি জনসমাবেশ করলে কঠোরভাবে দমন
তফসিল ঘোষণার পর সব ধরনের বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, আন্দোলন পরিচালনা থেকে বিরত থাকতে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গতকাল পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানানো হয়। এতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে গতকাল দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর হয়—এটিই সরকারের মূল লক্ষ্য। এ কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন পর্যন্ত যেকোনো ধরনের বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে এমন আন্দোলন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যাঁরা বেআইনিভাবে সভা-সমাবেশে অংশ নেবেন, তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা এখন নির্বাচনমুখী সময়ে আছি। এ কারণে, সবার যা কিছু দাবিদাওয়া আছে, তা নির্বাচন-পরবর্তী সরকারের কাছে উপস্থাপনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হচ্ছে। আশা করব, এ সময়ের মধ্যে কেউ দাবিদাওয়া নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি বা স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্নিত করবেন না।’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ একীভূত করায় সমন্বয়হীনতা দূর হবে বলে মনে করছেন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা। আগে পুলিশ ভেরিফিকেশন কিংবা পাসপোর্ট অফিসে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা এবং বিদেশে মিশনে যেতে দুই বিভাগের কর্মচারীদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ছিল।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মুক্তিবাহিনীর অগ্রাভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর একের পর এক অবস্থানের পতনে মুক্ত হচ্ছিল বাংলাদেশের একেকটি অঞ্চল। এগিয়ে আসছিল স্বাধীনতার মুহূর্তটি। যদিও ঠিক কখন, কীভাবে সেদিনটি আসবে, তখনো তা স্পষ্ট নয় সাধারণ মানুষের কাছে। তবে সবাই অধীর আগ্রহে ক্ষণ গুনছিল।
৩৪ মিনিট আগে
শপথ নিয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাঁর খাসকামরায় তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী।
১২ ঘণ্টা আগে
ইতালি থেকে জঙ্গি বিমান ইউরোফাইটার টাইফুন কিনছে বাংলাদেশ। এ জন্য দেশটির প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাতা লিওনার্দো এসপিএর সঙ্গে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) বা আগ্রহপত্র সই হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকায় বিমানবাহিনীর সদর দপ্তরে এই সম্মতিপত্র সই হয় বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শপথ নিয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাঁর খাসকামরায় তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী।
শপথ অনুষ্ঠানে আপিল বিভাগের বিচারপতি, বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ১১ নভেম্বর হাইকোর্ট বিভাগের ২২ জন অতিরিক্ত বিচারপতিকে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়। গত ১২ নভেম্বর ২১ জনের শপথ অনুষ্ঠিত হলেও অসুস্থতার কারণে বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন শপথ নিতে পারেননি।

শপথ নিয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাঁর খাসকামরায় তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী।
শপথ অনুষ্ঠানে আপিল বিভাগের বিচারপতি, বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ১১ নভেম্বর হাইকোর্ট বিভাগের ২২ জন অতিরিক্ত বিচারপতিকে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়। গত ১২ নভেম্বর ২১ জনের শপথ অনুষ্ঠিত হলেও অসুস্থতার কারণে বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন শপথ নিতে পারেননি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ একীভূত করায় সমন্বয়হীনতা দূর হবে বলে মনে করছেন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা। আগে পুলিশ ভেরিফিকেশন কিংবা পাসপোর্ট অফিসে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা এবং বিদেশে মিশনে যেতে দুই বিভাগের কর্মচারীদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ছিল।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মুক্তিবাহিনীর অগ্রাভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর একের পর এক অবস্থানের পতনে মুক্ত হচ্ছিল বাংলাদেশের একেকটি অঞ্চল। এগিয়ে আসছিল স্বাধীনতার মুহূর্তটি। যদিও ঠিক কখন, কীভাবে সেদিনটি আসবে, তখনো তা স্পষ্ট নয় সাধারণ মানুষের কাছে। তবে সবাই অধীর আগ্রহে ক্ষণ গুনছিল।
৩৪ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবে কমিশন। এরপর জাতির উদ্দেশে দেওয়ার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের ভাষণ রেকর্ড করা হবে। তিনি আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ টেলিভিশন
৮ ঘণ্টা আগে
ইতালি থেকে জঙ্গি বিমান ইউরোফাইটার টাইফুন কিনছে বাংলাদেশ। এ জন্য দেশটির প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাতা লিওনার্দো এসপিএর সঙ্গে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) বা আগ্রহপত্র সই হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকায় বিমানবাহিনীর সদর দপ্তরে এই সম্মতিপত্র সই হয় বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইতালি থেকে জঙ্গি বিমান ইউরোফাইটার টাইফুন কিনছে বাংলাদেশ। এ জন্য দেশটির প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাতা লিওনার্দো এসপিএর সঙ্গে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) বা আগ্রহপত্র সই হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকায় বিমানবাহিনীর সদর দপ্তরে এই সম্মতিপত্র সই হয় বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে।
ইউরোফাইটার টাইফুন (মাল্টি রোল কমব্যাট এয়ারক্রাফট—এমআরসিএ) কিনতে বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনা চলছিল। এরই অংশ হিসেবে আজ লিওনার্দো এসপিএর সঙ্গে আগ্রহপত্র সই করল বাংলাদেশ বিমানবাহিনী।
আইএসপিআর জানিয়েছে, বিমানবাহিনীর সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এলওআই সই অনুষ্ঠানের সময় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল আহসানসহ দুই দেশের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ফেসবুক পেজে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সম্মুখসারিতে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী অত্যাধুনিক এমআরসিএর অংশ হিসেবে এই এলওআইয়ের আওতায় লিওনার্দো ইউরোফাইটার টাইফুন জঙ্গি বিমান সরবরাহ করবে।

ইতালি থেকে জঙ্গি বিমান ইউরোফাইটার টাইফুন কিনছে বাংলাদেশ। এ জন্য দেশটির প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাতা লিওনার্দো এসপিএর সঙ্গে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) বা আগ্রহপত্র সই হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকায় বিমানবাহিনীর সদর দপ্তরে এই সম্মতিপত্র সই হয় বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে।
ইউরোফাইটার টাইফুন (মাল্টি রোল কমব্যাট এয়ারক্রাফট—এমআরসিএ) কিনতে বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনা চলছিল। এরই অংশ হিসেবে আজ লিওনার্দো এসপিএর সঙ্গে আগ্রহপত্র সই করল বাংলাদেশ বিমানবাহিনী।
আইএসপিআর জানিয়েছে, বিমানবাহিনীর সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এলওআই সই অনুষ্ঠানের সময় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল আহসানসহ দুই দেশের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ফেসবুক পেজে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সম্মুখসারিতে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী অত্যাধুনিক এমআরসিএর অংশ হিসেবে এই এলওআইয়ের আওতায় লিওনার্দো ইউরোফাইটার টাইফুন জঙ্গি বিমান সরবরাহ করবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ একীভূত করায় সমন্বয়হীনতা দূর হবে বলে মনে করছেন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা। আগে পুলিশ ভেরিফিকেশন কিংবা পাসপোর্ট অফিসে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা এবং বিদেশে মিশনে যেতে দুই বিভাগের কর্মচারীদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ছিল।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মুক্তিবাহিনীর অগ্রাভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর একের পর এক অবস্থানের পতনে মুক্ত হচ্ছিল বাংলাদেশের একেকটি অঞ্চল। এগিয়ে আসছিল স্বাধীনতার মুহূর্তটি। যদিও ঠিক কখন, কীভাবে সেদিনটি আসবে, তখনো তা স্পষ্ট নয় সাধারণ মানুষের কাছে। তবে সবাই অধীর আগ্রহে ক্ষণ গুনছিল।
৩৪ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবে কমিশন। এরপর জাতির উদ্দেশে দেওয়ার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের ভাষণ রেকর্ড করা হবে। তিনি আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ টেলিভিশন
৮ ঘণ্টা আগে
শপথ নিয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাঁর খাসকামরায় তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী।
১২ ঘণ্টা আগে