নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা মাথায় রেখে বিদ্যুৎ নিয়ে সরকার কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, মানসম্মত বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা, এটাই আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ মঙ্গলবার ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে নসরুল হামিদ এ কথা বলেন।
এ সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে তিনটি চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী। সেগুলো হলো রিল্যাইবেলিটি, এফোর্ডেবিলিটি ও নিরবচ্ছিন্ন পাওয়ার এনার্জি পাওয়া। তিনি বলেন, এ জন্য কেবল অর্থসংস্থান হলে হবে না। টেকনোলজি গুরুত্বপূর্ণ। সারা বিশ্বে প্রত্যেক দেশ জ্বালানি ব্যবস্থা কেমন হবে তা নতুনভাবে চিন্তা করছে। পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়া থেকে সরে এসে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে যাচ্ছে। তাদের প্রচুর জায়গা। বাংলাদেশের মতো দেশে এটা করা কঠিন। স্টোরেজ ব্যাটারি করতে গেলে খরচ আরও বেড়ে যাবে।
সরকার নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আনার পরিকল্পনা করছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, সরকার চেষ্টা করছে অন্তত বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১০ শতাংশ যেন নবায়নযোগ্য জ্বালানি করা যায়। সেটা মাথায় রেখে নেপাল থেকে ৭০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চুক্তির জন্য সবকিছু তৈরি করা হয়েছে। সঞ্চালন লাইন করে আরেকটি দেশের ভেতর দিয়ে এভাবে বিদ্যুৎ আনতে ৫ থেকে ৮ বছর সময় লাগে। কিন্তু এখানে জ্বালানি খরচ ২০ বছর একই থাকবে এ কারণে আনা হচ্ছে। ডিজেল, ফুয়েলের দামের তারতম্য হয়। এতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়া কষ্টকর হয়ে যায়। ভুটান থেকেও বিদ্যুৎ আনার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে জ্বালানি ক্ষেত্র বিশাল বাধাগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, নিরবচ্ছিন্ন, সাশ্রয়ী জ্বালানি পাওয়ার ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে প্রতিটি দেশ অর্থনৈতিকভাবে পর্যুদস্ত হয়েছে। জিনিসের দাম বেড়েছে। জ্বালানির দাম বেড়েছে। তার মধ্যে থেকেও উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যেভাবে ব্যবস্থা করেছে, যেভাবে বিদ্যুৎ জ্বালানি নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য চ্যালেঞ্জগুলো সামনে রেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, তার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।
সংসদ সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, কিছুদিন আগে দেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। তাঁরা ধারণা করেছিলেন ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে সমাধান হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে সবার সহযোগিতায় মাত্র সাত দিনের মাথায় বিদ্যুৎকে মোটামুটি একটি নিরবচ্ছিন্ন জায়গায় নেওয়া সম্ভব হয়েছে।
জ্বালানিতে দেশজ গ্যাস অনুসন্ধান, উত্তোলন ও সঞ্চালনকে অধিকতর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ২০২৪ সাল নাগাদ ৪৬টি কূপ খননের মাধ্যমে দৈনিক ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সরকার।
সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য দীপঙ্কর তালুকদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য এলাকাকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। যে কারণে উন্নয়ন হয়েছে। পাহাড়ে কুকি-চিন জঙ্গিরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। সেনাবাহিনী তাদের গুঁড়িয়ে দিচ্ছে, কোণঠাসা করছে। উন্নয়নে বাধা হলো অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি। পার্বত্য চট্টগ্রামে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা ও তাদের আইনের আওতায় আনা দরকার।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা মাথায় রেখে বিদ্যুৎ নিয়ে সরকার কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, মানসম্মত বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা, এটাই আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ মঙ্গলবার ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে নসরুল হামিদ এ কথা বলেন।
এ সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে তিনটি চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী। সেগুলো হলো রিল্যাইবেলিটি, এফোর্ডেবিলিটি ও নিরবচ্ছিন্ন পাওয়ার এনার্জি পাওয়া। তিনি বলেন, এ জন্য কেবল অর্থসংস্থান হলে হবে না। টেকনোলজি গুরুত্বপূর্ণ। সারা বিশ্বে প্রত্যেক দেশ জ্বালানি ব্যবস্থা কেমন হবে তা নতুনভাবে চিন্তা করছে। পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়া থেকে সরে এসে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে যাচ্ছে। তাদের প্রচুর জায়গা। বাংলাদেশের মতো দেশে এটা করা কঠিন। স্টোরেজ ব্যাটারি করতে গেলে খরচ আরও বেড়ে যাবে।
সরকার নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আনার পরিকল্পনা করছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, সরকার চেষ্টা করছে অন্তত বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১০ শতাংশ যেন নবায়নযোগ্য জ্বালানি করা যায়। সেটা মাথায় রেখে নেপাল থেকে ৭০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চুক্তির জন্য সবকিছু তৈরি করা হয়েছে। সঞ্চালন লাইন করে আরেকটি দেশের ভেতর দিয়ে এভাবে বিদ্যুৎ আনতে ৫ থেকে ৮ বছর সময় লাগে। কিন্তু এখানে জ্বালানি খরচ ২০ বছর একই থাকবে এ কারণে আনা হচ্ছে। ডিজেল, ফুয়েলের দামের তারতম্য হয়। এতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়া কষ্টকর হয়ে যায়। ভুটান থেকেও বিদ্যুৎ আনার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে জ্বালানি ক্ষেত্র বিশাল বাধাগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, নিরবচ্ছিন্ন, সাশ্রয়ী জ্বালানি পাওয়ার ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে প্রতিটি দেশ অর্থনৈতিকভাবে পর্যুদস্ত হয়েছে। জিনিসের দাম বেড়েছে। জ্বালানির দাম বেড়েছে। তার মধ্যে থেকেও উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যেভাবে ব্যবস্থা করেছে, যেভাবে বিদ্যুৎ জ্বালানি নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য চ্যালেঞ্জগুলো সামনে রেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, তার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।
সংসদ সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, কিছুদিন আগে দেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। তাঁরা ধারণা করেছিলেন ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে সমাধান হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে সবার সহযোগিতায় মাত্র সাত দিনের মাথায় বিদ্যুৎকে মোটামুটি একটি নিরবচ্ছিন্ন জায়গায় নেওয়া সম্ভব হয়েছে।
জ্বালানিতে দেশজ গ্যাস অনুসন্ধান, উত্তোলন ও সঞ্চালনকে অধিকতর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ২০২৪ সাল নাগাদ ৪৬টি কূপ খননের মাধ্যমে দৈনিক ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সরকার।
সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য দীপঙ্কর তালুকদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য এলাকাকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। যে কারণে উন্নয়ন হয়েছে। পাহাড়ে কুকি-চিন জঙ্গিরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। সেনাবাহিনী তাদের গুঁড়িয়ে দিচ্ছে, কোণঠাসা করছে। উন্নয়নে বাধা হলো অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি। পার্বত্য চট্টগ্রামে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা ও তাদের আইনের আওতায় আনা দরকার।
নারীদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণে বাধা ও সম্ভাবনা-বিষয়ক আলোচনার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বে লিঙ্গভিত্তিক মানদণ্ড নিয়ে আলোচনায় যুক্ত হওয়ার জন্য তরুণদের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই সংলাপ ও কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
৪ মিনিট আগে‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষরকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঐক্য ও শাসনব্যবস্থা সংস্কারের পথে এক বিশাল অগ্রগতি হিসেবে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। তিনি মন্তব্য করেছেন, এই সনদ ২০২৬ সালের সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতির প্রক্রিয়াকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ সাত মাসের আলোচনায় কোথাও মতৈক্য এসেছে, আবার কোথাও থেকে গেছে মতানৈক্য। এসব মত-দ্বিমত, দোলাচলের মধ্যেই তৈরি হয় জুলাই জাতীয় সনদ। রাজনৈতিক দলগুলোর মতপার্থক্যের কারণে সনদে স্বাক্ষর সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল শেষ দিন পর্যন্ত।
১৫ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্যের বহুল প্রতীক্ষিত ‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এ স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
১৮ ঘণ্টা আগে