নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘বেতন চাইলে পুলিশ টিয়ারশেল মারে, রাবার বুলেট মারে। আমরা কই যাব? ঈদে বকেয়া বেতন ও বোনাস না পেলে বাড়ি যাবো কীভাবে?’ এভাবেই কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের গার্মেন্টস শ্রমিকেরা।
আজ বুধবার (৪ জুন) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রাজধানীর হেমায়েতপুরের বসুন্ধরা গার্মেন্টস লিমিটেডের পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ সমাবেশ করে। পরে তারা শ্রমভবনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া মরিয়ম আক্তার বলেন, ‘আমরা অধিকার চাইতে এসেছি। আমাদের তো কাজ করেই পারিশ্রমিক পাওয়ার কথা, অথচ আমরা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হই। আমাদের ৯৫০ জন শ্রমিককে বেতন দেওয়া হয়নি। এমনকি ঈদে আমাদের বোনাস পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। ঈদে বেতন-বোনাস না পেলে শ্রমিকেরা বাড়ি যাবে কীভাবে?’
মরিয়ম আরও বলেন, ‘আমরাও তো এই দেশের নাগরিক। আমরা প্রধান উপদেষ্টা ও শ্রম-কর্মসংস্থান উপদেষ্টার কাছে আবেদন জানাই, আমাদের বেতন দিয়ে দিতে বলুন। আমাদের বকেয়া বেতন ও বোনাস না দিলে আমরা অবস্থান কর্মসূচিতেই থাকব। দরকার হলে ঈদ এখানেই করব।’
বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন—নজরুল ইসলাম সবুজ, কবির হোসেন, সামিনুর রহমান সামির, মো. শাহ আলম, সাব্বির হোসাইন, সেলিম রেজা, আলিম হোসেন, আনারুল ইসলাম, লিটন, বিউটি দাস, রেশমা আক্তার, মুন্নি আক্তার ও মনিরা প্রমুখ।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, আমাদের অধিকার আদায় করতে এসেছি। আমাদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন করেছে। পুলিশ অনেকের গায়ে গরম পানি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। আজ আমরা কেন রাস্তায় নামব? আমরা তো কাজ করে বেতন নিতে আসছি।
কারখানার শ্রমিকেরা আরও বলেন, গত এপ্রিল থেকে তিন মাস আমরা বেতন পাই না। পোশাক কারখানা কর্তৃপক্ষ গত ১৭ মে এক নোটিশের মাধ্যমে ১৮ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত কারখানা লে-অফ ঘোষণা করে। একই নোটিশে এপ্রিল মাসের বকেয়া বেতন ২৫ মে পরিশোধ করার কথা জানায়।
ওই দিন দুপুরে শ্রমিকেরা বকেয়া বেতন নিতে কারখানায় উপস্থিত হলে মালিকপক্ষ বা কর্মকর্তারা কারখানায় আসেননি বলে জানতে পারেন।
গার্মেন্টস শ্রমিক সামিনুর রহমান সামির জানান, এর আগে দাবি নিয়ে রাস্তায় দাঁড়ালে সেনাবাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে কারখানা কর্তৃপক্ষের ২৯ তারিখে বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে বলে জানানো হয়। তবে ওই দিনও বকেয়া পরিশোধ করেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ।
গত সোমবার (২ জুন) বকেয়া বেতনের দাবিতে হেমায়েতপুর এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকেরা। পরে সেখানে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হন। একপর্যায়ে জলকামান দিয়ে পানি ছিটিয়ে, কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করে সড়ক থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
‘বেতন চাইলে পুলিশ টিয়ারশেল মারে, রাবার বুলেট মারে। আমরা কই যাব? ঈদে বকেয়া বেতন ও বোনাস না পেলে বাড়ি যাবো কীভাবে?’ এভাবেই কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের গার্মেন্টস শ্রমিকেরা।
আজ বুধবার (৪ জুন) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রাজধানীর হেমায়েতপুরের বসুন্ধরা গার্মেন্টস লিমিটেডের পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ সমাবেশ করে। পরে তারা শ্রমভবনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া মরিয়ম আক্তার বলেন, ‘আমরা অধিকার চাইতে এসেছি। আমাদের তো কাজ করেই পারিশ্রমিক পাওয়ার কথা, অথচ আমরা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হই। আমাদের ৯৫০ জন শ্রমিককে বেতন দেওয়া হয়নি। এমনকি ঈদে আমাদের বোনাস পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। ঈদে বেতন-বোনাস না পেলে শ্রমিকেরা বাড়ি যাবে কীভাবে?’
মরিয়ম আরও বলেন, ‘আমরাও তো এই দেশের নাগরিক। আমরা প্রধান উপদেষ্টা ও শ্রম-কর্মসংস্থান উপদেষ্টার কাছে আবেদন জানাই, আমাদের বেতন দিয়ে দিতে বলুন। আমাদের বকেয়া বেতন ও বোনাস না দিলে আমরা অবস্থান কর্মসূচিতেই থাকব। দরকার হলে ঈদ এখানেই করব।’
বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন—নজরুল ইসলাম সবুজ, কবির হোসেন, সামিনুর রহমান সামির, মো. শাহ আলম, সাব্বির হোসাইন, সেলিম রেজা, আলিম হোসেন, আনারুল ইসলাম, লিটন, বিউটি দাস, রেশমা আক্তার, মুন্নি আক্তার ও মনিরা প্রমুখ।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, আমাদের অধিকার আদায় করতে এসেছি। আমাদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন করেছে। পুলিশ অনেকের গায়ে গরম পানি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। আজ আমরা কেন রাস্তায় নামব? আমরা তো কাজ করে বেতন নিতে আসছি।
কারখানার শ্রমিকেরা আরও বলেন, গত এপ্রিল থেকে তিন মাস আমরা বেতন পাই না। পোশাক কারখানা কর্তৃপক্ষ গত ১৭ মে এক নোটিশের মাধ্যমে ১৮ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত কারখানা লে-অফ ঘোষণা করে। একই নোটিশে এপ্রিল মাসের বকেয়া বেতন ২৫ মে পরিশোধ করার কথা জানায়।
ওই দিন দুপুরে শ্রমিকেরা বকেয়া বেতন নিতে কারখানায় উপস্থিত হলে মালিকপক্ষ বা কর্মকর্তারা কারখানায় আসেননি বলে জানতে পারেন।
গার্মেন্টস শ্রমিক সামিনুর রহমান সামির জানান, এর আগে দাবি নিয়ে রাস্তায় দাঁড়ালে সেনাবাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে কারখানা কর্তৃপক্ষের ২৯ তারিখে বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে বলে জানানো হয়। তবে ওই দিনও বকেয়া পরিশোধ করেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ।
গত সোমবার (২ জুন) বকেয়া বেতনের দাবিতে হেমায়েতপুর এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকেরা। পরে সেখানে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হন। একপর্যায়ে জলকামান দিয়ে পানি ছিটিয়ে, কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করে সড়ক থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
শুধু পাঠদান নয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা যেন অনেক কাজের কাজি। ভোট গ্রহণ, ভোটার তালিকা, শুমারি, জরিপ, টিকাদান, কৃমিনাশক ওষুধ ও ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানো, টিসিবির চাল বিতরণ, বিভিন্ন অনুষ্ঠানসহ বারোয়ারি অন্তত ২০ ধরনের কাজ করতে হচ্ছে তাঁদের। সরকারি এসব কাজে বছরে ব্যস্ত থাকছেন কমপক্ষে...
৯ ঘণ্টা আগেদেশের সব আসামির মামলা-সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত থাকা পুলিশের ক্রিমিনাল ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিডিএমএস) সফটওয়্যারে মাদক কর্মকর্তাদের প্রবেশাধিকার দিচ্ছে না সরকার। পুলিশ সদর দপ্তরের সহযোগিতা নিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নিজস্ব সিডিএমএস তৈরি করবে।
১০ ঘণ্টা আগে২০১৮ সালের ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের বেপরোয়া প্রতিযোগিতায় প্রাণ হারিয়েছিলেন দুই কলেজশিক্ষার্থী। সেই ঘটনার পর শুরু হয়েছিল নিরাপদ সড়ক আন্দোলন। ধরন ও মাত্রার দিক থেকে তা ছিল দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। ঢাকার হাজারো শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমে আসে।
১০ ঘণ্টা আগেপুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) আশঙ্কা, ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সময়কে কেন্দ্র করে অনলাইন ও অফলাইনে সংঘবদ্ধ প্রচারণার মাধ্যমে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করা হতে পারে। দলটির কিছু নেতা-কর্মী এ সময় সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা, বিশৃঙ্খলা কিংবা ভাঙচুর চালাতে পারে বলেও ধারণা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।
১০ ঘণ্টা আগে