মাহমুদ সোহেল, ঢাকা

অতিবৃষ্টি, সুপার সাইক্লোন, প্রচণ্ড খরা ও তীব্র দাবদাহ বিশ্বজুড়ে আরও বাড়বে বলে আশঙ্কার বার্তা দিয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক জাতিসংঘের ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি)। এই প্রতিবেদন ভাবিয়ে তুলেছে বাংলাদেশকেও। দুর্যোগ প্রবল এই দেশে ভবিষ্যতে আরও খরা, বন্যা, অতিবৃষ্টি, দাবদাহ ও ঘূর্ণিঝড় হানা দেবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে বিশ্বে অতিবৃষ্টির হার বাড়ে ৭ ভাগ। বাড়ে শক্তিশালী সাইক্লোনের হার। পৃথিবীর তাপমাত্রা আর ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লে প্রতি শতকে দুই থেকে তিনবার ভয়ংকর অতিবৃষ্টির কবলে পড়বে পৃথিবী। প্রতি দশকে একবার প্রচণ্ড খরায় অধিকাংশ জমি শুকিয়ে যাবে এবং চারবার উর্বরতা হারাবে। হিট ওয়েভ বা তাপপ্রবাহের ঘটনা এরই মধ্যে বেড়েছে ২ দশমিক ৮ গুণ। আর এক ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়লে তা ৯ দশমিক ৪ গুণ বাড়বে এবং তাপমাত্রা বাড়বে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত সোমবার আইপিসিসি–এর এই গবেষণা প্রতিবেদনের সারাংশ আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশের বন্যা ও দুর্যোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে ভবিষ্যতে আরও দুর্যোগ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ নিয়ে এখনই কার্যকরী উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি পরামর্শ দিয়েছেন তারা। তারা বলছেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের পেছনে চীন–আমেরিকার মতো উন্নত দেশগুলোই বেশি দায়ী। তারাই বিশ্বে সবচেয়ে বেশি গ্রিনহাউস গ্যাস উৎপন্ন করছে। যা বিশ্ব পরিবেশকে ভাবিয়ে তুলছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঝুঁকি কমাতে বাংলাদেশেরও কিছু করার আছে। বিশেষ করে গ্রিনহাউস গ্যাস উৎপন্ন হয় এমন কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে। প্রচলিত জ্বালানি থেকে সরে এসে গ্রিন এনার্জির দিকে ঝুঁকতে হবে। তেল, গ্যাস, কয়লার বিকল্প ব্যবহার করতে হবে। এগুলো ব্যাপক হারে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন করে। এর পরিবর্তে সৌর বিদ্যুৎ, বাতাসের শক্তি ও সাগরের স্রোতকে কাজে লাগিয়ে শক্তি উৎপন্ন করা যেতে পারে। ব্যাপক বনাঞ্চল সৃষ্টি করতে হবে। এগুলো বাতাসের ক্ষতিকর কার্বন শোষণ করে। প্রচলিত ইট ভাটা বন্ধ করতে হবে। এর পরিবর্তে কংক্রিটের ইটের প্রচলন বাড়াতে হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের এক গবেষণা বলছে, ২০১৪ সালে সমুদ্রের ১২২ মিটার গভীর পর্যন্ত সূর্যের আলো পৌঁছালেও ২০২০ সালে এসে তা পৌঁছাচ্ছে মাত্র ৯৮ মিটার পর্যন্ত। শহরের দূষণ নদী হয়ে সাগরে পৌঁছাচ্ছে। ফলে সাগরের ইকোসিস্টেম নষ্ট হচ্ছে। সে কারণে ঝড়ের সংখ্যাও বাড়ছে বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী দেশে।
গবেষণাটি আরও বলছে, ১৭৯৭ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ২২৩ বছরে বঙ্গোপসাগর উপকূলে আঘাত হেনেছে ৭৮টি ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়। গত ৬০ বছরে বঙ্গোপসাগর উপকূলে সাইক্লোনের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪ গুণ। প্রতিটি ঘূর্ণিঝড় ভয়াবহতায় যোগ করছে নতুন নতুন মাত্রা। কোনোটি এগিয়ে থাকছে ব্যাপকত্বে, কোনোটি আবার গতি বা জলোচ্ছ্বাসে।
সবশেষ ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ভারতে আঘাত হানলেও জলোচ্ছ্বাসে ব্যাপক ক্ষতি করেছে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ গবেষক এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ নাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দেখছি ২ দশমিক ৭ সেন্টি গ্রেড অ্যাভারেজ তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে বঙ্গোপসাগরে। জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী এই মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। বাংলাদেশে আগামীতে ঝড়, বন্যা বা প্রাকৃতিক বিপর্যয় আরও বাড়বে সেই আশঙ্কাকে আরও জোরালো করছে জাতিসংঘের এই প্রতিবেদন।’
জলবায়ু বিশেষজ্ঞ, বুয়েটের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. একেএম সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গ্রিনহাউস গ্যাস উৎপন্ন করে এমন পদার্থ ব্যবহার কমাতে হবে। এখনই সঠিক পরিকল্পনা না নিলে ভবিষ্যতে এ রকম সুপার সাইক্লোন বাংলাদেশে আরও বাড়বে।’ পরিবেশবিদ ও জলবায়ু গবেষকদের সঙ্গে নিয়ে এখনই কার্যকরী একটি উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এ ছাড়া দেশি বিদেশি নানা গবেষণা বলছে, সাগর উপকূলীয় দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম ঝুঁকিতে আছে। লন্ডনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ম্যাপলক্রাফট এর বরাত দিয়ে উপকূলীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান লিডার্স বলছে, বিশ্বের ১৭০টি উপকূলীয় দেশের ওপর জরিপ চালিয়ে যে ১৬টি দেশকে সর্বাপেক্ষা ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। এখানকার উপকূলীয় এলাকার মানুষ বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের শিকার। এখানে ৭১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গোপসাগরের তটরেখার কিনার জুড়ে বাস করে ৪ কোটি মানুষ। প্রতিনিয়ত পানি ফুলে-ফেঁপে এই জনগোষ্ঠীর সর্বনাশ করছে। ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে দীর্ঘমেয়াদি লবণাক্ততা বাড়ছে লোকালয়ে। সংকটাপন্ন হচ্ছে কৃষি।
সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটির গবেষক গোলাম মাহবুব সারওয়ারের এক গবেষণা বলছে, স্বাধীন বাংলাদেশে উপকূলীয় অঞ্চলেই প্রতি বছর গড়ে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়েছে ৪ মিলিমিটার। এ কারণে ইয়াসের মতো ছোট ঝড়েও উপকূল প্লাবিত হচ্ছে।

অতিবৃষ্টি, সুপার সাইক্লোন, প্রচণ্ড খরা ও তীব্র দাবদাহ বিশ্বজুড়ে আরও বাড়বে বলে আশঙ্কার বার্তা দিয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক জাতিসংঘের ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি)। এই প্রতিবেদন ভাবিয়ে তুলেছে বাংলাদেশকেও। দুর্যোগ প্রবল এই দেশে ভবিষ্যতে আরও খরা, বন্যা, অতিবৃষ্টি, দাবদাহ ও ঘূর্ণিঝড় হানা দেবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে বিশ্বে অতিবৃষ্টির হার বাড়ে ৭ ভাগ। বাড়ে শক্তিশালী সাইক্লোনের হার। পৃথিবীর তাপমাত্রা আর ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লে প্রতি শতকে দুই থেকে তিনবার ভয়ংকর অতিবৃষ্টির কবলে পড়বে পৃথিবী। প্রতি দশকে একবার প্রচণ্ড খরায় অধিকাংশ জমি শুকিয়ে যাবে এবং চারবার উর্বরতা হারাবে। হিট ওয়েভ বা তাপপ্রবাহের ঘটনা এরই মধ্যে বেড়েছে ২ দশমিক ৮ গুণ। আর এক ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়লে তা ৯ দশমিক ৪ গুণ বাড়বে এবং তাপমাত্রা বাড়বে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত সোমবার আইপিসিসি–এর এই গবেষণা প্রতিবেদনের সারাংশ আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশের বন্যা ও দুর্যোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে ভবিষ্যতে আরও দুর্যোগ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ নিয়ে এখনই কার্যকরী উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি পরামর্শ দিয়েছেন তারা। তারা বলছেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের পেছনে চীন–আমেরিকার মতো উন্নত দেশগুলোই বেশি দায়ী। তারাই বিশ্বে সবচেয়ে বেশি গ্রিনহাউস গ্যাস উৎপন্ন করছে। যা বিশ্ব পরিবেশকে ভাবিয়ে তুলছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঝুঁকি কমাতে বাংলাদেশেরও কিছু করার আছে। বিশেষ করে গ্রিনহাউস গ্যাস উৎপন্ন হয় এমন কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে। প্রচলিত জ্বালানি থেকে সরে এসে গ্রিন এনার্জির দিকে ঝুঁকতে হবে। তেল, গ্যাস, কয়লার বিকল্প ব্যবহার করতে হবে। এগুলো ব্যাপক হারে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন করে। এর পরিবর্তে সৌর বিদ্যুৎ, বাতাসের শক্তি ও সাগরের স্রোতকে কাজে লাগিয়ে শক্তি উৎপন্ন করা যেতে পারে। ব্যাপক বনাঞ্চল সৃষ্টি করতে হবে। এগুলো বাতাসের ক্ষতিকর কার্বন শোষণ করে। প্রচলিত ইট ভাটা বন্ধ করতে হবে। এর পরিবর্তে কংক্রিটের ইটের প্রচলন বাড়াতে হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের এক গবেষণা বলছে, ২০১৪ সালে সমুদ্রের ১২২ মিটার গভীর পর্যন্ত সূর্যের আলো পৌঁছালেও ২০২০ সালে এসে তা পৌঁছাচ্ছে মাত্র ৯৮ মিটার পর্যন্ত। শহরের দূষণ নদী হয়ে সাগরে পৌঁছাচ্ছে। ফলে সাগরের ইকোসিস্টেম নষ্ট হচ্ছে। সে কারণে ঝড়ের সংখ্যাও বাড়ছে বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী দেশে।
গবেষণাটি আরও বলছে, ১৭৯৭ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ২২৩ বছরে বঙ্গোপসাগর উপকূলে আঘাত হেনেছে ৭৮টি ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়। গত ৬০ বছরে বঙ্গোপসাগর উপকূলে সাইক্লোনের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪ গুণ। প্রতিটি ঘূর্ণিঝড় ভয়াবহতায় যোগ করছে নতুন নতুন মাত্রা। কোনোটি এগিয়ে থাকছে ব্যাপকত্বে, কোনোটি আবার গতি বা জলোচ্ছ্বাসে।
সবশেষ ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ভারতে আঘাত হানলেও জলোচ্ছ্বাসে ব্যাপক ক্ষতি করেছে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ গবেষক এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ নাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দেখছি ২ দশমিক ৭ সেন্টি গ্রেড অ্যাভারেজ তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে বঙ্গোপসাগরে। জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী এই মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। বাংলাদেশে আগামীতে ঝড়, বন্যা বা প্রাকৃতিক বিপর্যয় আরও বাড়বে সেই আশঙ্কাকে আরও জোরালো করছে জাতিসংঘের এই প্রতিবেদন।’
জলবায়ু বিশেষজ্ঞ, বুয়েটের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. একেএম সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গ্রিনহাউস গ্যাস উৎপন্ন করে এমন পদার্থ ব্যবহার কমাতে হবে। এখনই সঠিক পরিকল্পনা না নিলে ভবিষ্যতে এ রকম সুপার সাইক্লোন বাংলাদেশে আরও বাড়বে।’ পরিবেশবিদ ও জলবায়ু গবেষকদের সঙ্গে নিয়ে এখনই কার্যকরী একটি উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এ ছাড়া দেশি বিদেশি নানা গবেষণা বলছে, সাগর উপকূলীয় দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম ঝুঁকিতে আছে। লন্ডনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ম্যাপলক্রাফট এর বরাত দিয়ে উপকূলীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান লিডার্স বলছে, বিশ্বের ১৭০টি উপকূলীয় দেশের ওপর জরিপ চালিয়ে যে ১৬টি দেশকে সর্বাপেক্ষা ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। এখানকার উপকূলীয় এলাকার মানুষ বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের শিকার। এখানে ৭১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গোপসাগরের তটরেখার কিনার জুড়ে বাস করে ৪ কোটি মানুষ। প্রতিনিয়ত পানি ফুলে-ফেঁপে এই জনগোষ্ঠীর সর্বনাশ করছে। ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে দীর্ঘমেয়াদি লবণাক্ততা বাড়ছে লোকালয়ে। সংকটাপন্ন হচ্ছে কৃষি।
সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটির গবেষক গোলাম মাহবুব সারওয়ারের এক গবেষণা বলছে, স্বাধীন বাংলাদেশে উপকূলীয় অঞ্চলেই প্রতি বছর গড়ে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়েছে ৪ মিলিমিটার। এ কারণে ইয়াসের মতো ছোট ঝড়েও উপকূল প্লাবিত হচ্ছে।
মাহমুদ সোহেল, ঢাকা

অতিবৃষ্টি, সুপার সাইক্লোন, প্রচণ্ড খরা ও তীব্র দাবদাহ বিশ্বজুড়ে আরও বাড়বে বলে আশঙ্কার বার্তা দিয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক জাতিসংঘের ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি)। এই প্রতিবেদন ভাবিয়ে তুলেছে বাংলাদেশকেও। দুর্যোগ প্রবল এই দেশে ভবিষ্যতে আরও খরা, বন্যা, অতিবৃষ্টি, দাবদাহ ও ঘূর্ণিঝড় হানা দেবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে বিশ্বে অতিবৃষ্টির হার বাড়ে ৭ ভাগ। বাড়ে শক্তিশালী সাইক্লোনের হার। পৃথিবীর তাপমাত্রা আর ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লে প্রতি শতকে দুই থেকে তিনবার ভয়ংকর অতিবৃষ্টির কবলে পড়বে পৃথিবী। প্রতি দশকে একবার প্রচণ্ড খরায় অধিকাংশ জমি শুকিয়ে যাবে এবং চারবার উর্বরতা হারাবে। হিট ওয়েভ বা তাপপ্রবাহের ঘটনা এরই মধ্যে বেড়েছে ২ দশমিক ৮ গুণ। আর এক ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়লে তা ৯ দশমিক ৪ গুণ বাড়বে এবং তাপমাত্রা বাড়বে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত সোমবার আইপিসিসি–এর এই গবেষণা প্রতিবেদনের সারাংশ আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশের বন্যা ও দুর্যোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে ভবিষ্যতে আরও দুর্যোগ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ নিয়ে এখনই কার্যকরী উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি পরামর্শ দিয়েছেন তারা। তারা বলছেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের পেছনে চীন–আমেরিকার মতো উন্নত দেশগুলোই বেশি দায়ী। তারাই বিশ্বে সবচেয়ে বেশি গ্রিনহাউস গ্যাস উৎপন্ন করছে। যা বিশ্ব পরিবেশকে ভাবিয়ে তুলছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঝুঁকি কমাতে বাংলাদেশেরও কিছু করার আছে। বিশেষ করে গ্রিনহাউস গ্যাস উৎপন্ন হয় এমন কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে। প্রচলিত জ্বালানি থেকে সরে এসে গ্রিন এনার্জির দিকে ঝুঁকতে হবে। তেল, গ্যাস, কয়লার বিকল্প ব্যবহার করতে হবে। এগুলো ব্যাপক হারে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন করে। এর পরিবর্তে সৌর বিদ্যুৎ, বাতাসের শক্তি ও সাগরের স্রোতকে কাজে লাগিয়ে শক্তি উৎপন্ন করা যেতে পারে। ব্যাপক বনাঞ্চল সৃষ্টি করতে হবে। এগুলো বাতাসের ক্ষতিকর কার্বন শোষণ করে। প্রচলিত ইট ভাটা বন্ধ করতে হবে। এর পরিবর্তে কংক্রিটের ইটের প্রচলন বাড়াতে হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের এক গবেষণা বলছে, ২০১৪ সালে সমুদ্রের ১২২ মিটার গভীর পর্যন্ত সূর্যের আলো পৌঁছালেও ২০২০ সালে এসে তা পৌঁছাচ্ছে মাত্র ৯৮ মিটার পর্যন্ত। শহরের দূষণ নদী হয়ে সাগরে পৌঁছাচ্ছে। ফলে সাগরের ইকোসিস্টেম নষ্ট হচ্ছে। সে কারণে ঝড়ের সংখ্যাও বাড়ছে বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী দেশে।
গবেষণাটি আরও বলছে, ১৭৯৭ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ২২৩ বছরে বঙ্গোপসাগর উপকূলে আঘাত হেনেছে ৭৮টি ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়। গত ৬০ বছরে বঙ্গোপসাগর উপকূলে সাইক্লোনের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪ গুণ। প্রতিটি ঘূর্ণিঝড় ভয়াবহতায় যোগ করছে নতুন নতুন মাত্রা। কোনোটি এগিয়ে থাকছে ব্যাপকত্বে, কোনোটি আবার গতি বা জলোচ্ছ্বাসে।
সবশেষ ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ভারতে আঘাত হানলেও জলোচ্ছ্বাসে ব্যাপক ক্ষতি করেছে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ গবেষক এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ নাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দেখছি ২ দশমিক ৭ সেন্টি গ্রেড অ্যাভারেজ তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে বঙ্গোপসাগরে। জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী এই মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। বাংলাদেশে আগামীতে ঝড়, বন্যা বা প্রাকৃতিক বিপর্যয় আরও বাড়বে সেই আশঙ্কাকে আরও জোরালো করছে জাতিসংঘের এই প্রতিবেদন।’
জলবায়ু বিশেষজ্ঞ, বুয়েটের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. একেএম সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গ্রিনহাউস গ্যাস উৎপন্ন করে এমন পদার্থ ব্যবহার কমাতে হবে। এখনই সঠিক পরিকল্পনা না নিলে ভবিষ্যতে এ রকম সুপার সাইক্লোন বাংলাদেশে আরও বাড়বে।’ পরিবেশবিদ ও জলবায়ু গবেষকদের সঙ্গে নিয়ে এখনই কার্যকরী একটি উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এ ছাড়া দেশি বিদেশি নানা গবেষণা বলছে, সাগর উপকূলীয় দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম ঝুঁকিতে আছে। লন্ডনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ম্যাপলক্রাফট এর বরাত দিয়ে উপকূলীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান লিডার্স বলছে, বিশ্বের ১৭০টি উপকূলীয় দেশের ওপর জরিপ চালিয়ে যে ১৬টি দেশকে সর্বাপেক্ষা ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। এখানকার উপকূলীয় এলাকার মানুষ বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের শিকার। এখানে ৭১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গোপসাগরের তটরেখার কিনার জুড়ে বাস করে ৪ কোটি মানুষ। প্রতিনিয়ত পানি ফুলে-ফেঁপে এই জনগোষ্ঠীর সর্বনাশ করছে। ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে দীর্ঘমেয়াদি লবণাক্ততা বাড়ছে লোকালয়ে। সংকটাপন্ন হচ্ছে কৃষি।
সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটির গবেষক গোলাম মাহবুব সারওয়ারের এক গবেষণা বলছে, স্বাধীন বাংলাদেশে উপকূলীয় অঞ্চলেই প্রতি বছর গড়ে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়েছে ৪ মিলিমিটার। এ কারণে ইয়াসের মতো ছোট ঝড়েও উপকূল প্লাবিত হচ্ছে।

অতিবৃষ্টি, সুপার সাইক্লোন, প্রচণ্ড খরা ও তীব্র দাবদাহ বিশ্বজুড়ে আরও বাড়বে বলে আশঙ্কার বার্তা দিয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক জাতিসংঘের ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি)। এই প্রতিবেদন ভাবিয়ে তুলেছে বাংলাদেশকেও। দুর্যোগ প্রবল এই দেশে ভবিষ্যতে আরও খরা, বন্যা, অতিবৃষ্টি, দাবদাহ ও ঘূর্ণিঝড় হানা দেবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে বিশ্বে অতিবৃষ্টির হার বাড়ে ৭ ভাগ। বাড়ে শক্তিশালী সাইক্লোনের হার। পৃথিবীর তাপমাত্রা আর ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লে প্রতি শতকে দুই থেকে তিনবার ভয়ংকর অতিবৃষ্টির কবলে পড়বে পৃথিবী। প্রতি দশকে একবার প্রচণ্ড খরায় অধিকাংশ জমি শুকিয়ে যাবে এবং চারবার উর্বরতা হারাবে। হিট ওয়েভ বা তাপপ্রবাহের ঘটনা এরই মধ্যে বেড়েছে ২ দশমিক ৮ গুণ। আর এক ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়লে তা ৯ দশমিক ৪ গুণ বাড়বে এবং তাপমাত্রা বাড়বে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত সোমবার আইপিসিসি–এর এই গবেষণা প্রতিবেদনের সারাংশ আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশের বন্যা ও দুর্যোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে ভবিষ্যতে আরও দুর্যোগ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ নিয়ে এখনই কার্যকরী উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি পরামর্শ দিয়েছেন তারা। তারা বলছেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের পেছনে চীন–আমেরিকার মতো উন্নত দেশগুলোই বেশি দায়ী। তারাই বিশ্বে সবচেয়ে বেশি গ্রিনহাউস গ্যাস উৎপন্ন করছে। যা বিশ্ব পরিবেশকে ভাবিয়ে তুলছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঝুঁকি কমাতে বাংলাদেশেরও কিছু করার আছে। বিশেষ করে গ্রিনহাউস গ্যাস উৎপন্ন হয় এমন কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে। প্রচলিত জ্বালানি থেকে সরে এসে গ্রিন এনার্জির দিকে ঝুঁকতে হবে। তেল, গ্যাস, কয়লার বিকল্প ব্যবহার করতে হবে। এগুলো ব্যাপক হারে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন করে। এর পরিবর্তে সৌর বিদ্যুৎ, বাতাসের শক্তি ও সাগরের স্রোতকে কাজে লাগিয়ে শক্তি উৎপন্ন করা যেতে পারে। ব্যাপক বনাঞ্চল সৃষ্টি করতে হবে। এগুলো বাতাসের ক্ষতিকর কার্বন শোষণ করে। প্রচলিত ইট ভাটা বন্ধ করতে হবে। এর পরিবর্তে কংক্রিটের ইটের প্রচলন বাড়াতে হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের এক গবেষণা বলছে, ২০১৪ সালে সমুদ্রের ১২২ মিটার গভীর পর্যন্ত সূর্যের আলো পৌঁছালেও ২০২০ সালে এসে তা পৌঁছাচ্ছে মাত্র ৯৮ মিটার পর্যন্ত। শহরের দূষণ নদী হয়ে সাগরে পৌঁছাচ্ছে। ফলে সাগরের ইকোসিস্টেম নষ্ট হচ্ছে। সে কারণে ঝড়ের সংখ্যাও বাড়ছে বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী দেশে।
গবেষণাটি আরও বলছে, ১৭৯৭ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ২২৩ বছরে বঙ্গোপসাগর উপকূলে আঘাত হেনেছে ৭৮টি ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়। গত ৬০ বছরে বঙ্গোপসাগর উপকূলে সাইক্লোনের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪ গুণ। প্রতিটি ঘূর্ণিঝড় ভয়াবহতায় যোগ করছে নতুন নতুন মাত্রা। কোনোটি এগিয়ে থাকছে ব্যাপকত্বে, কোনোটি আবার গতি বা জলোচ্ছ্বাসে।
সবশেষ ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ভারতে আঘাত হানলেও জলোচ্ছ্বাসে ব্যাপক ক্ষতি করেছে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ গবেষক এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ নাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দেখছি ২ দশমিক ৭ সেন্টি গ্রেড অ্যাভারেজ তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে বঙ্গোপসাগরে। জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী এই মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। বাংলাদেশে আগামীতে ঝড়, বন্যা বা প্রাকৃতিক বিপর্যয় আরও বাড়বে সেই আশঙ্কাকে আরও জোরালো করছে জাতিসংঘের এই প্রতিবেদন।’
জলবায়ু বিশেষজ্ঞ, বুয়েটের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. একেএম সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গ্রিনহাউস গ্যাস উৎপন্ন করে এমন পদার্থ ব্যবহার কমাতে হবে। এখনই সঠিক পরিকল্পনা না নিলে ভবিষ্যতে এ রকম সুপার সাইক্লোন বাংলাদেশে আরও বাড়বে।’ পরিবেশবিদ ও জলবায়ু গবেষকদের সঙ্গে নিয়ে এখনই কার্যকরী একটি উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এ ছাড়া দেশি বিদেশি নানা গবেষণা বলছে, সাগর উপকূলীয় দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম ঝুঁকিতে আছে। লন্ডনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ম্যাপলক্রাফট এর বরাত দিয়ে উপকূলীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান লিডার্স বলছে, বিশ্বের ১৭০টি উপকূলীয় দেশের ওপর জরিপ চালিয়ে যে ১৬টি দেশকে সর্বাপেক্ষা ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। এখানকার উপকূলীয় এলাকার মানুষ বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের শিকার। এখানে ৭১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গোপসাগরের তটরেখার কিনার জুড়ে বাস করে ৪ কোটি মানুষ। প্রতিনিয়ত পানি ফুলে-ফেঁপে এই জনগোষ্ঠীর সর্বনাশ করছে। ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে দীর্ঘমেয়াদি লবণাক্ততা বাড়ছে লোকালয়ে। সংকটাপন্ন হচ্ছে কৃষি।
সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটির গবেষক গোলাম মাহবুব সারওয়ারের এক গবেষণা বলছে, স্বাধীন বাংলাদেশে উপকূলীয় অঞ্চলেই প্রতি বছর গড়ে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়েছে ৪ মিলিমিটার। এ কারণে ইয়াসের মতো ছোট ঝড়েও উপকূল প্লাবিত হচ্ছে।

আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১৫ মিনিট আগে
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর (শনিবার) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে কিছু দুষ্কৃতকারী নির্বাচন ভবনের সামনের ভাস্কর্যের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ভবনটির নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
১৮ মিনিট আগে
সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনিয়ম, অতিরিক্ত মূল্য বা বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই প্রক্রিয়া নিয়ে ‘বিভ্রান্তিকর’ তথ্য উপস্থাপিত হয়েছে উল্লেখ করে আজ মঙ্গলবার...
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ তিন ধাপে বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এগুলো হলো আইনি ভিত্তি দিতে প্রথমে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি, পরে আদেশের প্রশ্নে গণভোট এবং সর্বশেষ আগামী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা (সংবিধান সংস্কার পরিষদ ও জাতীয় সংসদ) পালনের ক্ষমতা দেওয়ার মাধ্য
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরে আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনে আনসারদের অবদান সবচেয়ে বেশি। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে মোট ১৩ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবে। এই ১৩ জনের মধ্যে তিনজন থাকবে অস্ত্রসহ আর বাকি ১০ জন থাকবে অস্ত্র ছাড়া। অস্ত্রবিহীন ১০ জনের মধ্যে ৬ জন থাকবে পুরুষ আর ৪ জন থাকবে নারী। তা ছাড়া এবারই প্রথম প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে অস্ত্রসহ একজন আনসার সদস্য থাকবে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে মোট ৯ দিন আনসার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। আগামী নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে আনসার সদস্যরা।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি বাহিনী দেশের নিরাপত্তা, শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং জাতীয় উন্নয়নের প্রতিটি পর্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। নিজেদের জীবন ও স্বার্থের পরোয়া না করে তারা নিষ্ঠা, দায়িত্ববোধ ও দেশপ্রেমের সঙ্গে জাতির সেবায় নিয়োজিত থাকে। তাই বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের কর্মজীবনের মানোন্নয়ন ও কল্যাণ নিশ্চিত করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব এবং রাষ্ট্রীয় অঙ্গীকারের অংশ। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের নিজস্ব অর্থায়নে মোট ৩১টি যানবাহন কেনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ৯টি ট্রুপস ক্যারিয়ার, ১৪টি কাভার্ড ভ্যান, ৪২ আসনবিশিষ্ট ৪টি বড় বাস, ২৪ আসনবিশিষ্ট ২টি মিনিবাস এবং ২টি অ্যাম্বুলেন্স।
দেশের সর্ববৃহৎ এ বাহিনীর সদস্যদের ছুটি, বিনোদন ভ্রমণ এবং অন্যান্য বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রায়ই নানা ধরনের যাতায়াতজনিত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তাঁদের এই ভোগান্তি লাঘব ও সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই আজকের এই ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
উপদেষ্টা এ সময় ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসটি সর্বোচ্চ পেশাদারি ও দক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত হবে এবং বাহিনীর বৈধ পরিচয়পত্রধারী সব সদস্যের জন্য নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাইরে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, প্রতিদিনই অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। গত পরশুদিনও আটটি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তিনি বলেন, এ রকম উদ্ধার হতেই থাকবে এবং নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে অস্ত্র উদ্ধার আরও বাড়তে থাকবে এবং একসময় দেখবেন যে বাইরে আর কোনো অস্ত্র বা হাতিয়ার নেই।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরে আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনে আনসারদের অবদান সবচেয়ে বেশি। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে মোট ১৩ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবে। এই ১৩ জনের মধ্যে তিনজন থাকবে অস্ত্রসহ আর বাকি ১০ জন থাকবে অস্ত্র ছাড়া। অস্ত্রবিহীন ১০ জনের মধ্যে ৬ জন থাকবে পুরুষ আর ৪ জন থাকবে নারী। তা ছাড়া এবারই প্রথম প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে অস্ত্রসহ একজন আনসার সদস্য থাকবে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে মোট ৯ দিন আনসার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। আগামী নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে আনসার সদস্যরা।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি বাহিনী দেশের নিরাপত্তা, শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং জাতীয় উন্নয়নের প্রতিটি পর্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। নিজেদের জীবন ও স্বার্থের পরোয়া না করে তারা নিষ্ঠা, দায়িত্ববোধ ও দেশপ্রেমের সঙ্গে জাতির সেবায় নিয়োজিত থাকে। তাই বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের কর্মজীবনের মানোন্নয়ন ও কল্যাণ নিশ্চিত করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব এবং রাষ্ট্রীয় অঙ্গীকারের অংশ। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের নিজস্ব অর্থায়নে মোট ৩১টি যানবাহন কেনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ৯টি ট্রুপস ক্যারিয়ার, ১৪টি কাভার্ড ভ্যান, ৪২ আসনবিশিষ্ট ৪টি বড় বাস, ২৪ আসনবিশিষ্ট ২টি মিনিবাস এবং ২টি অ্যাম্বুলেন্স।
দেশের সর্ববৃহৎ এ বাহিনীর সদস্যদের ছুটি, বিনোদন ভ্রমণ এবং অন্যান্য বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রায়ই নানা ধরনের যাতায়াতজনিত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তাঁদের এই ভোগান্তি লাঘব ও সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই আজকের এই ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
উপদেষ্টা এ সময় ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসটি সর্বোচ্চ পেশাদারি ও দক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত হবে এবং বাহিনীর বৈধ পরিচয়পত্রধারী সব সদস্যের জন্য নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাইরে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, প্রতিদিনই অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। গত পরশুদিনও আটটি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তিনি বলেন, এ রকম উদ্ধার হতেই থাকবে এবং নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে অস্ত্র উদ্ধার আরও বাড়তে থাকবে এবং একসময় দেখবেন যে বাইরে আর কোনো অস্ত্র বা হাতিয়ার নেই।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অতিবৃষ্টি, সুপার সাইক্লোন, প্রচণ্ড খরা ও তীব্র দাবদাহ বিশ্বজুড়ে আরও বাড়বে বলে আশঙ্কার বার্তা দিয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক জাতিসংঘের ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি)। এই প্রতিবেদন ভাবিয়ে তুলেছে বাংলাদেশকেও
১১ আগস্ট ২০২১
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর (শনিবার) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে কিছু দুষ্কৃতকারী নির্বাচন ভবনের সামনের ভাস্কর্যের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ভবনটির নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
১৮ মিনিট আগে
সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনিয়ম, অতিরিক্ত মূল্য বা বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই প্রক্রিয়া নিয়ে ‘বিভ্রান্তিকর’ তথ্য উপস্থাপিত হয়েছে উল্লেখ করে আজ মঙ্গলবার...
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ তিন ধাপে বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এগুলো হলো আইনি ভিত্তি দিতে প্রথমে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি, পরে আদেশের প্রশ্নে গণভোট এবং সর্বশেষ আগামী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা (সংবিধান সংস্কার পরিষদ ও জাতীয় সংসদ) পালনের ক্ষমতা দেওয়ার মাধ্য
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ককটেল বিস্ফোরণের পর আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন ভবন ঘিরে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ মঙ্গলবার প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সহিদ আব্দুস ছালাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশের এক চিঠি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর (শনিবার) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে কিছু দুষ্কৃতকারী নির্বাচন ভবনের সামনের ভাস্কর্যের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ভবনটির নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন ভবনের চারপাশে অফিস সময়ের পর ও ছুটির দিনগুলোতে বিভিন্ন ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলমান থাকায় নিরাপত্তা হুমকি আরও বাড়ছে বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এ অবস্থায় ভবনের আশপাশের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ রাখা এবং নির্বাচন ভবনের সামনে ও আশপাশে পুলিশের টহল বাড়ানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অগ্রাধিকার বিবেচনায় নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।

ককটেল বিস্ফোরণের পর আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন ভবন ঘিরে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ মঙ্গলবার প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সহিদ আব্দুস ছালাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশের এক চিঠি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর (শনিবার) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে কিছু দুষ্কৃতকারী নির্বাচন ভবনের সামনের ভাস্কর্যের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ভবনটির নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন ভবনের চারপাশে অফিস সময়ের পর ও ছুটির দিনগুলোতে বিভিন্ন ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলমান থাকায় নিরাপত্তা হুমকি আরও বাড়ছে বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এ অবস্থায় ভবনের আশপাশের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ রাখা এবং নির্বাচন ভবনের সামনে ও আশপাশে পুলিশের টহল বাড়ানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অগ্রাধিকার বিবেচনায় নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।

অতিবৃষ্টি, সুপার সাইক্লোন, প্রচণ্ড খরা ও তীব্র দাবদাহ বিশ্বজুড়ে আরও বাড়বে বলে আশঙ্কার বার্তা দিয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক জাতিসংঘের ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি)। এই প্রতিবেদন ভাবিয়ে তুলেছে বাংলাদেশকেও
১১ আগস্ট ২০২১
আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১৫ মিনিট আগে
সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনিয়ম, অতিরিক্ত মূল্য বা বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই প্রক্রিয়া নিয়ে ‘বিভ্রান্তিকর’ তথ্য উপস্থাপিত হয়েছে উল্লেখ করে আজ মঙ্গলবার...
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ তিন ধাপে বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এগুলো হলো আইনি ভিত্তি দিতে প্রথমে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি, পরে আদেশের প্রশ্নে গণভোট এবং সর্বশেষ আগামী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা (সংবিধান সংস্কার পরিষদ ও জাতীয় সংসদ) পালনের ক্ষমতা দেওয়ার মাধ্য
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনিয়ম, অতিরিক্ত মূল্য বা বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই প্রক্রিয়া নিয়ে ‘বিভ্রান্তিকর’ তথ্য উপস্থাপিত হয়েছে উল্লেখ করে আজ মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় প্রতিবাদ জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের অধীনে জিটুজি পদ্ধতিতে এই আমদানি কার্যক্রম চলছে। প্রথম পর্যায়ে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম প্রতি টন ৩০২ দশমিক ৭৫ মার্কিন ডলারে এবং দ্বিতীয় ধাপে একই পরিমাণ গম প্রতি টন ৩০৮ ডলারে ক্রয়ের চুক্তি সম্পন্ন হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের গমের মূল্যের সঙ্গে রাশিয়ার গমের মূল্যের তুলনা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ত্রুটিপূর্ণ। খাদ্য মন্ত্রণালয় ব্যাখ্যায় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের গমের দামে চট্টগ্রাম ও মোংলা খাদ্য অধিদপ্তরের সাইলো পর্যন্ত পরিবহন ব্যয়, বিমা, আনলোডিং ও বন্দরভিত্তিকসহ সব খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে। অন্যদিকে রাশিয়ার গমের মূল্যে শুধু দেশটির বন্দর পর্যন্ত (এফওবি) খরচ হিসাব করা হয়।
মন্ত্রণালয় জানায়, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে রাশিয়ার গমের মূল্য প্রতি টন প্রায় ২৩০ ডলার এবং যুক্তরাষ্ট্রের গমের দাম প্রায় ২৩২ ডলার। অর্থাৎ পার্থক্য মাত্র ২ ডলার।
এ ছাড়া বর্তমানে প্রতি টন রাশিয়ার গমের দাম ২ লাখ ৯৫ হাজার ৩০০ ডলার এবং যুক্তরাষ্ট্রের গমের দাম ৩ লাখ ৮ হাজার ৩১০ ডলার (সম্ভাব্য চূড়ান্ত মূল্য) বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় আরও উল্লেখ করেছে, মানের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের গম বেশি উন্নত। রাশিয়ার গমে গড়ে ১১ শতাংশ প্রোটিন (আমিষ) থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের গমে প্রোটিনের পরিমাণ ১৩.৫ শতাংশ, যা পুষ্টিগুণ ও মানের দিক থেকে উন্নত। এই উন্নত মান, উচ্চমাত্রার প্রোটিন এবং আন্তর্জাতিক পরিবহন ব্যয় বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রের গমের দাম সামান্য বেশি হওয়া যুক্তিসংগত এবং বাজারসম্মত।
মন্ত্রণালয় স্পষ্টভাবে নিশ্চিত করেছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে গম আমদানির পুরো প্রক্রিয়া স্বচ্ছতা বজায় রেখে, প্রতিযোগিতামূলক উপায়ে এবং সরকার অনুমোদিত আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে সম্পন্ন হয়েছে।

সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনিয়ম, অতিরিক্ত মূল্য বা বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই প্রক্রিয়া নিয়ে ‘বিভ্রান্তিকর’ তথ্য উপস্থাপিত হয়েছে উল্লেখ করে আজ মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় প্রতিবাদ জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের অধীনে জিটুজি পদ্ধতিতে এই আমদানি কার্যক্রম চলছে। প্রথম পর্যায়ে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম প্রতি টন ৩০২ দশমিক ৭৫ মার্কিন ডলারে এবং দ্বিতীয় ধাপে একই পরিমাণ গম প্রতি টন ৩০৮ ডলারে ক্রয়ের চুক্তি সম্পন্ন হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের গমের মূল্যের সঙ্গে রাশিয়ার গমের মূল্যের তুলনা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ত্রুটিপূর্ণ। খাদ্য মন্ত্রণালয় ব্যাখ্যায় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের গমের দামে চট্টগ্রাম ও মোংলা খাদ্য অধিদপ্তরের সাইলো পর্যন্ত পরিবহন ব্যয়, বিমা, আনলোডিং ও বন্দরভিত্তিকসহ সব খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে। অন্যদিকে রাশিয়ার গমের মূল্যে শুধু দেশটির বন্দর পর্যন্ত (এফওবি) খরচ হিসাব করা হয়।
মন্ত্রণালয় জানায়, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে রাশিয়ার গমের মূল্য প্রতি টন প্রায় ২৩০ ডলার এবং যুক্তরাষ্ট্রের গমের দাম প্রায় ২৩২ ডলার। অর্থাৎ পার্থক্য মাত্র ২ ডলার।
এ ছাড়া বর্তমানে প্রতি টন রাশিয়ার গমের দাম ২ লাখ ৯৫ হাজার ৩০০ ডলার এবং যুক্তরাষ্ট্রের গমের দাম ৩ লাখ ৮ হাজার ৩১০ ডলার (সম্ভাব্য চূড়ান্ত মূল্য) বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় আরও উল্লেখ করেছে, মানের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের গম বেশি উন্নত। রাশিয়ার গমে গড়ে ১১ শতাংশ প্রোটিন (আমিষ) থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের গমে প্রোটিনের পরিমাণ ১৩.৫ শতাংশ, যা পুষ্টিগুণ ও মানের দিক থেকে উন্নত। এই উন্নত মান, উচ্চমাত্রার প্রোটিন এবং আন্তর্জাতিক পরিবহন ব্যয় বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রের গমের দাম সামান্য বেশি হওয়া যুক্তিসংগত এবং বাজারসম্মত।
মন্ত্রণালয় স্পষ্টভাবে নিশ্চিত করেছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে গম আমদানির পুরো প্রক্রিয়া স্বচ্ছতা বজায় রেখে, প্রতিযোগিতামূলক উপায়ে এবং সরকার অনুমোদিত আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে সম্পন্ন হয়েছে।

অতিবৃষ্টি, সুপার সাইক্লোন, প্রচণ্ড খরা ও তীব্র দাবদাহ বিশ্বজুড়ে আরও বাড়বে বলে আশঙ্কার বার্তা দিয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক জাতিসংঘের ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি)। এই প্রতিবেদন ভাবিয়ে তুলেছে বাংলাদেশকেও
১১ আগস্ট ২০২১
আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১৫ মিনিট আগে
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর (শনিবার) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে কিছু দুষ্কৃতকারী নির্বাচন ভবনের সামনের ভাস্কর্যের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ভবনটির নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
১৮ মিনিট আগে
জুলাই জাতীয় সনদ তিন ধাপে বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এগুলো হলো আইনি ভিত্তি দিতে প্রথমে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি, পরে আদেশের প্রশ্নে গণভোট এবং সর্বশেষ আগামী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা (সংবিধান সংস্কার পরিষদ ও জাতীয় সংসদ) পালনের ক্ষমতা দেওয়ার মাধ্য
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদ তিন ধাপে বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এগুলো হলো আইনি ভিত্তি দিতে প্রথমে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি, পরে আদেশের প্রশ্নে গণভোট এবং সর্বশেষ আগামী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা (সংবিধান সংস্কার পরিষদ ও জাতীয় সংসদ) পালনের ক্ষমতা দেওয়ার মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন।
ঐকমত্য কমিশন আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এই সুপারিশ জমা দেবে। আগামী সংসদ সংবিধান-সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো অনুমোদন না করলে কী হবে, তা নিয়ে কমিশন একটি বিকল্প প্রস্তাবও সুপারিশ করবে। সেখানে থাকবে বিশেষ আদেশ জারির পর সংবিধানসংক্রান্ত সব প্রস্তাব নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বিল তৈরি, পরে বিলের প্রশ্নে গণভোট এবং সংবিধান সংস্কার পরিষদের মেয়াদে বাস্তবায়িত না হলে বিলে থাকা বিষয়গুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে।
গতকাল সোমবার যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য কমিশনের প্রস্তুত করা সুপারিশ নিয়ে আলোচনা হয়। প্রস্তুত করা সুপারিশের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কমিশনের প্রধানকে সুপারিশগুলো আমরা অবহিত করেছি। এ ব্যাপারে তিনি ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন। মঙ্গলবার পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে।’
কমিশন সূত্র জানায়, চূড়ান্ত সুপারিশ অনুযায়ী সনদ বাস্তবায়নে গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করা হবে। এর অধীনে জারি হবে গণভোট-বিষয়ক একটি অধ্যাদেশ। এর ভিত্তিতেই হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যে সংবিধানসংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে। বাস্তবায়নের পুরো প্রক্রিয়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে উল্লেখ থাকবে। আদেশ জারির পর এর কিছু অংশ তাৎক্ষণিক এবং কিছু কিছু বিষয় পরে কার্যকর হবে। আদেশের কোন ধারা কবে কার্যকর হবে, তা উল্লেখ থাকবে। জুলাই সনদের ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব আদেশের পরিশিষ্টে উল্লেখ থাকবে। তবে সেখানে কোনো দলের ভিন্নমতের বিষয় উল্লেখ থাকবে না। শুধু কমিশনের ৮৪টি প্রস্তাব/সিদ্ধান্তের উল্লেখ থাকবে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই ধাপের সংলাপের ভিত্তিতে রাষ্ট্রকাঠামোর বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে তৈরি করা হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ। এগুলোর মধ্যে ৪৭টি প্রস্তাব সংবিধানসম্পর্কিত। মূলত এই প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতা আছে। এই প্রস্তাবগুলোর বেশির ভাগের ক্ষেত্রে কোনো না কোনো দলের ভিন্নমত আছে। এগুলোর মধ্যে ৭টি মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবে ভিন্নমত আছে বিএনপির।
কমিশনের একাধিক সূত্র জানায়, সংস্কার প্রস্তাবগুলো নিয়ে গণভোটে রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তি (নোট অব ডিসেন্ট) উল্লেখ থাকবে না। সনদের ওপরই গণভোট হবে। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে ঐকমত্য কমিশন যেভাবে সংবিধান সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করেছে, সেভাবেই তা বাস্তবায়িত হবে। ‘গণভোট ও সংবিধান সংস্কার পরিষদে পাস হলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে আইনসভার উচ্চকক্ষ গঠন করার সুপারিশ করা হতে পারে’; যা আদেশে আলাদা করে উল্লেখ থাকতে পারে।
সংবিধান সংস্কার পরিষদকে সনদের সংবিধানসম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো সমাধানে বাধ্যবাধকতা রাখতে বিকল্প আরেকটি প্রস্তাব কমিশন দেবে বলে সূত্র জানায়। বিকল্প সুপারিশে বলা হতে পারে, সংবিধানসংক্রান্ত সব সুপারিশ বিল আকারে আগামী চার মাসের মধ্যে সরকারকে তৈরি করতে বলা হবে। সে ক্ষেত্রে গণভোটে বিলটি দেওয়া হবে। সংবিধান সংস্কার পরিষদ আলোচনার মাধ্যমে বিলের শব্দ বা বাক্য পরিবর্তন করতে পারবে, তবে স্পিরিট বা মূলভাব পরিবর্তন করা যাবে না। তবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে বিষয়গুলোর সমাধান না হলে ২৭১তম দিনে বিলগুলো সংবিধানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে গণভোটে প্রশ্ন হতে পারে—জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ অনুমোদন করেন কি না এবং গণভোট বিলের প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন চান কি না।
গণভোটের সময় এবং আদেশ জারির সিদ্ধান্ত দেবে সরকার
গণভোটে জুলাই সনদের বৈধতা নেওয়ার প্রশ্নে দলগুলো একমত হলেও গণভোট কবে হবে, এর ভিত্তি কী হবে, ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন কীভাবে হবে—এসব ক্ষেত্রে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যে মতবিরোধ আছে। কমিশন সূত্র জানায়, গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে—এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে।
জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে জারি করার দাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি। বিএনপি আদেশ জারির পক্ষে নয়। এই অবস্থায় আদেশটি রাষ্ট্রপতি নাকি প্রধান উপদেষ্টা জারি করবেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভারও সরকারের ওপর ছেড়ে দেবে কমিশন।

জুলাই জাতীয় সনদ তিন ধাপে বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এগুলো হলো আইনি ভিত্তি দিতে প্রথমে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি, পরে আদেশের প্রশ্নে গণভোট এবং সর্বশেষ আগামী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা (সংবিধান সংস্কার পরিষদ ও জাতীয় সংসদ) পালনের ক্ষমতা দেওয়ার মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন।
ঐকমত্য কমিশন আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এই সুপারিশ জমা দেবে। আগামী সংসদ সংবিধান-সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো অনুমোদন না করলে কী হবে, তা নিয়ে কমিশন একটি বিকল্প প্রস্তাবও সুপারিশ করবে। সেখানে থাকবে বিশেষ আদেশ জারির পর সংবিধানসংক্রান্ত সব প্রস্তাব নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বিল তৈরি, পরে বিলের প্রশ্নে গণভোট এবং সংবিধান সংস্কার পরিষদের মেয়াদে বাস্তবায়িত না হলে বিলে থাকা বিষয়গুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে।
গতকাল সোমবার যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য কমিশনের প্রস্তুত করা সুপারিশ নিয়ে আলোচনা হয়। প্রস্তুত করা সুপারিশের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কমিশনের প্রধানকে সুপারিশগুলো আমরা অবহিত করেছি। এ ব্যাপারে তিনি ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন। মঙ্গলবার পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে।’
কমিশন সূত্র জানায়, চূড়ান্ত সুপারিশ অনুযায়ী সনদ বাস্তবায়নে গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করা হবে। এর অধীনে জারি হবে গণভোট-বিষয়ক একটি অধ্যাদেশ। এর ভিত্তিতেই হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যে সংবিধানসংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে। বাস্তবায়নের পুরো প্রক্রিয়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে উল্লেখ থাকবে। আদেশ জারির পর এর কিছু অংশ তাৎক্ষণিক এবং কিছু কিছু বিষয় পরে কার্যকর হবে। আদেশের কোন ধারা কবে কার্যকর হবে, তা উল্লেখ থাকবে। জুলাই সনদের ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব আদেশের পরিশিষ্টে উল্লেখ থাকবে। তবে সেখানে কোনো দলের ভিন্নমতের বিষয় উল্লেখ থাকবে না। শুধু কমিশনের ৮৪টি প্রস্তাব/সিদ্ধান্তের উল্লেখ থাকবে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই ধাপের সংলাপের ভিত্তিতে রাষ্ট্রকাঠামোর বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে তৈরি করা হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ। এগুলোর মধ্যে ৪৭টি প্রস্তাব সংবিধানসম্পর্কিত। মূলত এই প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতা আছে। এই প্রস্তাবগুলোর বেশির ভাগের ক্ষেত্রে কোনো না কোনো দলের ভিন্নমত আছে। এগুলোর মধ্যে ৭টি মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবে ভিন্নমত আছে বিএনপির।
কমিশনের একাধিক সূত্র জানায়, সংস্কার প্রস্তাবগুলো নিয়ে গণভোটে রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তি (নোট অব ডিসেন্ট) উল্লেখ থাকবে না। সনদের ওপরই গণভোট হবে। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে ঐকমত্য কমিশন যেভাবে সংবিধান সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করেছে, সেভাবেই তা বাস্তবায়িত হবে। ‘গণভোট ও সংবিধান সংস্কার পরিষদে পাস হলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে আইনসভার উচ্চকক্ষ গঠন করার সুপারিশ করা হতে পারে’; যা আদেশে আলাদা করে উল্লেখ থাকতে পারে।
সংবিধান সংস্কার পরিষদকে সনদের সংবিধানসম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো সমাধানে বাধ্যবাধকতা রাখতে বিকল্প আরেকটি প্রস্তাব কমিশন দেবে বলে সূত্র জানায়। বিকল্প সুপারিশে বলা হতে পারে, সংবিধানসংক্রান্ত সব সুপারিশ বিল আকারে আগামী চার মাসের মধ্যে সরকারকে তৈরি করতে বলা হবে। সে ক্ষেত্রে গণভোটে বিলটি দেওয়া হবে। সংবিধান সংস্কার পরিষদ আলোচনার মাধ্যমে বিলের শব্দ বা বাক্য পরিবর্তন করতে পারবে, তবে স্পিরিট বা মূলভাব পরিবর্তন করা যাবে না। তবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে বিষয়গুলোর সমাধান না হলে ২৭১তম দিনে বিলগুলো সংবিধানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে গণভোটে প্রশ্ন হতে পারে—জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ অনুমোদন করেন কি না এবং গণভোট বিলের প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন চান কি না।
গণভোটের সময় এবং আদেশ জারির সিদ্ধান্ত দেবে সরকার
গণভোটে জুলাই সনদের বৈধতা নেওয়ার প্রশ্নে দলগুলো একমত হলেও গণভোট কবে হবে, এর ভিত্তি কী হবে, ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন কীভাবে হবে—এসব ক্ষেত্রে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যে মতবিরোধ আছে। কমিশন সূত্র জানায়, গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে—এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে।
জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে জারি করার দাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি। বিএনপি আদেশ জারির পক্ষে নয়। এই অবস্থায় আদেশটি রাষ্ট্রপতি নাকি প্রধান উপদেষ্টা জারি করবেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভারও সরকারের ওপর ছেড়ে দেবে কমিশন।

অতিবৃষ্টি, সুপার সাইক্লোন, প্রচণ্ড খরা ও তীব্র দাবদাহ বিশ্বজুড়ে আরও বাড়বে বলে আশঙ্কার বার্তা দিয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক জাতিসংঘের ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি)। এই প্রতিবেদন ভাবিয়ে তুলেছে বাংলাদেশকেও
১১ আগস্ট ২০২১
আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১৫ মিনিট আগে
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর (শনিবার) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে কিছু দুষ্কৃতকারী নির্বাচন ভবনের সামনের ভাস্কর্যের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ভবনটির নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
১৮ মিনিট আগে
সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনিয়ম, অতিরিক্ত মূল্য বা বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই প্রক্রিয়া নিয়ে ‘বিভ্রান্তিকর’ তথ্য উপস্থাপিত হয়েছে উল্লেখ করে আজ মঙ্গলবার...
২ ঘণ্টা আগে