Ajker Patrika

দিল্লিতে বাংলাদেশের জামদানির ব্যতিক্রম প্রদর্শনী, মুগ্ধ ‘উমরাও জান’-এর পরিচালক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭: ০৭
দিল্লিতে চলছে জামদানি শাড়ির ব্যতিক্রমী প্রদর্শনী। ছবি: সংগৃহীত
দিল্লিতে চলছে জামদানি শাড়ির ব্যতিক্রমী প্রদর্শনী। ছবি: সংগৃহীত

জামদানি শাড়ির নিপুণ কারিগরি এবং এর পরতে পরতে লুকিয়ে থাকা গল্প যেন এক জীবন্ত শিল্পকর্ম। এটি একজন চলচ্চিত্র নির্মাতার কাছেও এক দারুণ অভিজ্ঞতা। ভারতের জাতীয় কারুশিল্প জাদুঘর ও হস্তকলা একাডেমিতে আয়োজিত ‘সেলিব্রিটিং জামদানি: অ্যা লিভিং হেরিটেজ ফ্রম বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রদর্শনীতে এসে এমনটাই জানালেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক মুজাফফর আলি। তাঁর পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘উমরাও জান’–এ নায়িকা রেখাকে তিনি একটি বাংলাদেশি জামদানি শাড়িতে সাজিয়েছিলেন। শনিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত এই প্রদর্শনীতে মুজাফফর আলি সেই মুগ্ধতার স্মৃতিচারণ করেন। আয়োজন করেছে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন।

প্রদর্শনী কক্ষে শিল্প সমালোচক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং অসংখ্য শাড়িপ্রেমী ভিড় জমিয়েছিলেন। তাঁরা প্রতিটি জামদানি শাড়ির অনন্য নকশা ও বুননের বৈচিত্র্য দেখে মুগ্ধ হন। জামদানি শুধু একটি পোশাক নয়, এটি হাজার বছরের একটি ঐতিহ্য, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বাহিত হয়ে আসছে।

দিল্লিতে চলছে জামদানি শাড়ির ব্যতিক্রমী প্রদর্শনী। ছবি: সংগৃহীত
দিল্লিতে চলছে জামদানি শাড়ির ব্যতিক্রমী প্রদর্শনী। ছবি: সংগৃহীত

প্রদর্শনীতে সরাসরি জামদানি বুনন প্রক্রিয়া দেখানো হয়, যা দর্শনার্থীদের বিশেষভাবে আকৃষ্ট করে। দিল্লির বাসিন্দা এক জাপানি নারী সাকুরা (৩৯)। তিনি এই অভিজ্ঞতা দেখে উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশে গিয়েছি এবং সেখান থেকে শাড়িও কিনেছি। কিন্তু জীবনে এই প্রথম দেখলাম কীভাবে হাতে জামদানি বোনা হয়! এটি অবিশ্বাস্য!’

নারায়ণগঞ্জের ৪১ বছর বয়সী তাঁতি মোহাম্মাদ জামাল হোসেন বলেন, ‘কেউ জামদানি শাড়ি নকল করতে পারে না, কারণ এটি মেশিনে তৈরি নয়, সম্পূর্ণ হাতে বোনা। দুজন তাঁতি মিলে একটি শাড়ি বোনার সময় একজন আরেকজনকে গল্প শোনান এবং সেই গল্পের ছন্দ অনুযায়ী শাড়ির নকশা তৈরি হয়।’

উমরাও জান চলচ্চিত্রে জামদানি শাড়িতে রেখা। ছবি: সংগৃহীত
উমরাও জান চলচ্চিত্রে জামদানি শাড়িতে রেখা। ছবি: সংগৃহীত

তিনি জানান, একটি জটিল নকশার শাড়ি বুনতে এক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তিনি দাবি করেন, শীতলক্ষ্যা নদীর তীরের বাতাসে বিশেষ মাত্রার জলীয় বাষ্পের কারণে এখানকার সুতাগুলো নিখুঁত হয়। তাই নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁওয়ের আশপাশে বোনা জামদানিই সবচেয়ে সেরা। বর্তমানে প্রায় ২০টি গ্রামের প্রায় ১ হাজার ৫০০ তাঁতি পরিবার এই ঐতিহ্যবাহী শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছে।

রূপগঞ্জের তাঁতি মোহাম্মাদ সজীব জামদানি শাড়ির অর্থনৈতিক দিকটি ব্যাখ্যা করেন। তিনি জানান, নকশার জটিলতা অনুসারে একটি শাড়ি বুনতে দুই সপ্তাহ থেকে এক বছর পর্যন্ত সময় লাগে। একটি শাড়ির মূল্য ১০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা হতে পারে, যার মধ্যে উপকরণের দাম মাত্র ২ শতাংশ, বাকিটা শ্রমের মূল্য। এই তথ্য থেকে বোঝা যায়, জামদানি শুধু একটি পণ্য নয়, এটি তাঁতিদের শ্রম, ধৈর্য এবং শিল্প নৈপুণ্যের প্রতিচ্ছবি। এটি শুধুমাত্র হাতে বোনা শিল্প নয়, বরং একটি জীবন্ত ঐতিহ্য।

উমরাও জান চলচ্চিত্রের পরিচালক মুজাফ্ফর আলী। ছবি: সংগৃহীত
উমরাও জান চলচ্চিত্রের পরিচালক মুজাফ্ফর আলী। ছবি: সংগৃহীত

২০১৩ সালে ইউনেসকো জামদানি বুননকে ‘অমূল্য ঐতিহ্য’ হিসেবে ঘোষণা করে। তবে যান্ত্রিক উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এর রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর ফলে এই শিল্পটি এখন হুমকির মুখে। হাতে বোনা জামদানি শাড়ির তুলনায় মেশিনে তৈরি সস্তা শাড়ির সহজলভ্যতা এই শিল্পের অস্তিত্বের জন্য বড় হুমকি। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যেকার সাংস্কৃতিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে এই প্রদর্শনীটি আয়োজিত হয়।

দিল্লিতে চলছে জামদানি শাড়ির ব্যতিক্রমী প্রদর্শনী। ছবি: সংগৃহীত
দিল্লিতে চলছে জামদানি শাড়ির ব্যতিক্রমী প্রদর্শনী। ছবি: সংগৃহীত

ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের পারস্পরিক যোগসূত্র এবং ঐতিহ্যগুলোই আমাদের সম্পর্ককে সংজ্ঞায়িত করে। বাংলাদেশি জামদানি শাড়ি তেমনই একটি বন্ধন, যা নতুন করে আলোচনা শুরু করার প্রতিশ্রুতি দেয়। তাই আমরা এই প্রদর্শনীটি ভারতীয় রাজধানীতে উপস্থাপন করেছি।’ এই ধরনের সাংস্কৃতিক বিনিময় শুধু দুই দেশের মানুষের মধ্যে বন্ধনই মজবুত করে না, বরং ঐতিহ্যবাহী শিল্পগুলোকে টিকিয়ে রাখতেও সহায়তা করে।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

১৫ সেনা কর্মকর্তা অপরাধ সংঘটিত করেন নাই, ঘটনায় তাঁদের নিয়ন্ত্রণ ছিল না: আইনজীবী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সকাল ৭টার পর অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারা কর্তৃপক্ষের এসি প্রিজন ভ্যানে কড়া নিরাপত্তায় ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
সকাল ৭টার পর অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারা কর্তৃপক্ষের এসি প্রিজন ভ্যানে কড়া নিরাপত্তায় ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন মামলায় শুনানি শেষে আজ বুধবার ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর একই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শুনানি শেষে আসামিদের আইনজীবী এম সরোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাঁরা এই অপরাধ সংঘটিত করেন নাই। একজন আইজিপি এখানে অ্যাপ্রুভার (রাজসাক্ষী)। তিনি বলেছেন, যা কিছু হয়েছে তা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং শেখ হাসিনার নির্দেশে হয়েছে। এখানে কারও কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। তাঁদের এই ঘটনার ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না।’

তাঁদের কোন কারাগারে পাঠানো হয়েছে— প্রশ্নের জবাবে সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘যে সাবজেল ঘোষণা করা হয়েছে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে, সেখানে নেওয়া হবে বলে আমরা জেনেছি।’

বিগত আওয়ামী লীগের সরকারের আমলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন এবং জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় সাবেক-বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ ৩২ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের দিন ধার্য ছিল আজ ২২ অক্টোবর।

এর আগে ২৫ জন সাবেক-বর্তমান সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গত ৮ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। সেদিনই প্রসিকিউশন এই তিন মামলায় ট্রাইব্যুনালে ফরমাল চার্জ বা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে।

এরপর ১১ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানায়, ১৫ জন কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

অভিযুক্ত এই সেনা কর্মকর্তারা হলেন— ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, মেজর জেনারেল মোস্তফা সরোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম, কর্নেল মশিউল রহমান জুয়েল, লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কবির আহম্মেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, লে. কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার ও কর্নেল কে এম আজাদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সেন্ট মার্টিনে রাত্রিযাপন ও বারবিকিউ পার্টি নিষিদ্ধসহ ১২ নির্দেশনা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সেন্টমার্টিন। ফাইল ছবি
সেন্টমার্টিন। ফাইল ছবি

সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকার নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। আজ বুধবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ-২ শাখা হতে ১২টি নির্দেশনাসংবলিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সেন্ট মার্টিন দ্বীপে কোনো নৌযান চলাচলের অনুমতি দিতে পারবে না; পর্যটকদের অবশ্যই বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট ক্রয় করতে হবে, যেখানে প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস ও কিউআর কোড সংযুক্ত থাকবে। কিউআর কোড ছাড়া টিকিট নকল হিসেবে গণ্য হবে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, নভেম্বর মাসে পর্যটকেরা শুধু দিনের বেলায় ভ্রমণ করতে পারবেন, রাত যাপন করা যাবে না; ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে রাত যাপন করতে পারবেন; প্রতিদিন গড়ে দুই হাজারের বেশি পর্যটক দ্বীপে ভ্রমণ করতে পারবেন না; ফেব্রুয়ারি মাসে দ্বীপে পর্যটক যাতায়াত সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে; সেন্ট মার্টিনের প্রাকৃতিক পরিবেশ অক্ষুণ্ন রাখতে দ্বীপে রাতে সৈকতে আলো জ্বালানো, শব্দ সৃষ্টি বা বারবিকিউ পার্টি করা যাবে না।

আরও বলা হয়, কেয়া বনে প্রবেশ, কেয়া ফল সংগ্রহ বা ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না; কোনোভাবেই দ্বীপের জীববৈচিত্র্যের (সামুদ্রিক কাছিম, পাখি, প্রবাল, রাজকাঁকড়া, শামুক-ঝিনুক ও অন্যান্য জীববৈচিত্র্য) ক্ষতি করা যাবে না; সমুদ্রসৈকতে মোটরসাইকেল, সি-বাইকসহ যেকোনো মোটরচালিত যানবাহন চালানো যাবে না; নিষিদ্ধ পলিথিন বহন করা যাবে না এবং একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক যেমন চিপসের প্যাকেট, প্লাস্টিক চামচ, স্ট্র, সাবান ও শ্যাম্পুর মিনিপ্যাক, ৫০০ ও ১০০০ মিলিলিটারের প্লাস্টিক বোতল ইত্যাদি বহন নিরুৎসাহিত করা হয়েছে এবং প্লাস্টিকের পানির বোতলের পরিবর্তে পর্যটকদের নিজস্ব পানির ফ্লাস্ক সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তাহেরের নেতৃত্বে যমুনায় জামায়াতের প্রতিনিধিদল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১৯: ১৯
জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদল বুধবার বিকেলে যমুনায় পৌঁছায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদল বুধবার বিকেলে যমুনায় পৌঁছায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদল।

আজ বুধবার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে দলটি যমুনায় পৌঁছায়।

জামায়াত জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের লক্ষ্যে দলের নায়েবে আমির সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল যমুনায় গেছে।

বৈঠকে সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের সঙ্গে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাসুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ থাকবেন বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অগ্নিদুর্ঘটনা এড়াতে দেশজুড়ে ভূমি অফিসগুলোর নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ৫৬
অগ্নিদুর্ঘটনা এড়াতে দেশজুড়ে ভূমি অফিসগুলোর নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিসগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। গত সোমবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখা থেকে সব জেলা প্রশাসকদের পাঠানো এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে আকস্মিক অগ্নি দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ডরুমে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের সব উপজেলা ভূমি অফিস, রাজস্ব সার্কেল, ইউনিয়ন ভূমি অফিসে এ ধরনের আকস্মিক দুর্ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ যাবতীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।

চিঠিতে সব জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ডরুমে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ উপজেলা ভূমি অফিস, রাজস্ব সার্কেল, ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোতে আকস্মিক অগ্নি দুর্ঘটনা, যে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা বিপর্যয় এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ যাবতীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।

সব বিভাগীয় কমিশনার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এবং সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত