আজকের পত্রিকা ডেস্ক

‘কেমন পুলিশ চাই’ শীর্ষক পুলিশ সংস্কার কমিশন পরিচালিত জনমত জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। জনমত জরিপের ফলাফল পুলিশ সংস্কার কমিশনের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্যসচিব আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
মতামত জরিপে সংস্কারের মাধ্যমে কেমন পুলিশ চান জানতে চাওয়া হলে সর্বাধিক মতামত পড়েছে দুটি ক্ষেত্রে: প্রথম অবস্থানে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত এবং দ্বিতীয় অবস্থানে আইনের প্রতি অনুগত/নিরপেক্ষ পুলিশ, তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে দুর্নীতিমুক্ত পুলিশ।
মতামত জরিপে দেখা গেছে, পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অবসান চান ৮৯ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ। ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুলিশের দুর্নীতি বন্ধ চান ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশ। গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন বিবেচনায় অপরাধী পুলিশ জবাবদিহি ও শাস্তির আওতায় আনার পক্ষে মত দিয়েছেন ৭৪ দশমিক ৯ শতাংশ উত্তরদাতা।
পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেট সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে জেলা পর্যায়ে কার্যকরী একটি আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা উচিত বলে মনে করেন ৪৬ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ।
এ ছাড়া ৬৯ শতাংশ মানুষ মনে করেন বিদ্যমান পুলিশ আইন ও বিধিবিধান পরিবর্তন করে যুগোপযোগী করা উচিত।
পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার বন্ধ চান ৮৯ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ।
৭৪ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ মনে করেন পুলিশ কর্তৃক বলপূর্বক গুম করা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনকে দ্রুত জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
৭২ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ মনে করেন পুলিশের কাজকর্মের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে সবার জন্য উন্মুক্ত স্থায়ী অভিযোগ কমিশন স্থাপন জরুরি।
৬৩ শতাংশ মানুষ মনে করেন, সাইবার ক্রাইমসহ বিভিন্ন নিত্যনতুন অপরাধ শনাক্তকরণ ও দমনে বাংলাদেশ পুলিশকে বিভিন্ন উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা প্রয়োজন।
৬১ শতাংশ মানুষ মনে করেন, অধস্তন পর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের বেতনভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধাদি যুক্তিসংগতভাবে বাড়ানো প্রয়োজন।
৭৭ দশমিক শতাংশ মানুষ মনে করেন ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে পুলিশের দুর্নীতি বন্ধে কার্যকর প্রশাসনিক ও বিধিগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন।
পুলিশ সংস্কার কমিশনের সিদ্ধান্তের আলোকে বিগত ৩১ অক্টোবর ‘কেমন পুলিশ চাই’ উপপাদ্যের আওতায় একটি প্রশ্নমালা অনলাইনে প্রচার করা হয়। ব্যাপক প্রচারের জন্য সংবাদমাধ্যমে স্ক্রল প্রচার করা হয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব ওয়েব সাইটে প্রচারিত হয়। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে মতামত পাঠানোর অনুরোধ করা হয়। এ সময় পর্যন্ত মোট ২৪ হাজার ৪৪২ জন মতামত দেন।
উত্তরদাতাদের পেশাভিত্তিক ১৪টি বিভাগের চাকরিজীবী (৩৬.৪%), ছাত্র (২৭.২%) ও ব্যবসায়ী (৭.৬%) ও ৭.১% প্রকৌশলী অংশ নেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিককালে দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন প্রতিহত করতে কিছুসংখ্যক পুলিশ সদস্যের সহিংস ভূমিকা নিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ‘পুলিশ সংস্কার’ এখন সময়ের দাবি। সেই লক্ষ্যে সরকার পুলিশ বাহিনীর সংস্কারের লক্ষ্যে ‘পুলিশ সংস্কার কমিশন’ গঠন করেছে, যার কার্যক্রম চলমান। পুলিশ সংস্কার কমিশন সর্বসাধারণের মূল্যবান মতামত জানতে ‘কেমন পুলিশ চাই’ শিরোনামে জনমত জরিপ পরিচালনা করে।

‘কেমন পুলিশ চাই’ শীর্ষক পুলিশ সংস্কার কমিশন পরিচালিত জনমত জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। জনমত জরিপের ফলাফল পুলিশ সংস্কার কমিশনের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্যসচিব আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
মতামত জরিপে সংস্কারের মাধ্যমে কেমন পুলিশ চান জানতে চাওয়া হলে সর্বাধিক মতামত পড়েছে দুটি ক্ষেত্রে: প্রথম অবস্থানে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত এবং দ্বিতীয় অবস্থানে আইনের প্রতি অনুগত/নিরপেক্ষ পুলিশ, তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে দুর্নীতিমুক্ত পুলিশ।
মতামত জরিপে দেখা গেছে, পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অবসান চান ৮৯ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ। ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুলিশের দুর্নীতি বন্ধ চান ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশ। গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন বিবেচনায় অপরাধী পুলিশ জবাবদিহি ও শাস্তির আওতায় আনার পক্ষে মত দিয়েছেন ৭৪ দশমিক ৯ শতাংশ উত্তরদাতা।
পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেট সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে জেলা পর্যায়ে কার্যকরী একটি আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা উচিত বলে মনে করেন ৪৬ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ।
এ ছাড়া ৬৯ শতাংশ মানুষ মনে করেন বিদ্যমান পুলিশ আইন ও বিধিবিধান পরিবর্তন করে যুগোপযোগী করা উচিত।
পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার বন্ধ চান ৮৯ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ।
৭৪ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ মনে করেন পুলিশ কর্তৃক বলপূর্বক গুম করা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনকে দ্রুত জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
৭২ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ মনে করেন পুলিশের কাজকর্মের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে সবার জন্য উন্মুক্ত স্থায়ী অভিযোগ কমিশন স্থাপন জরুরি।
৬৩ শতাংশ মানুষ মনে করেন, সাইবার ক্রাইমসহ বিভিন্ন নিত্যনতুন অপরাধ শনাক্তকরণ ও দমনে বাংলাদেশ পুলিশকে বিভিন্ন উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা প্রয়োজন।
৬১ শতাংশ মানুষ মনে করেন, অধস্তন পর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের বেতনভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধাদি যুক্তিসংগতভাবে বাড়ানো প্রয়োজন।
৭৭ দশমিক শতাংশ মানুষ মনে করেন ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে পুলিশের দুর্নীতি বন্ধে কার্যকর প্রশাসনিক ও বিধিগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন।
পুলিশ সংস্কার কমিশনের সিদ্ধান্তের আলোকে বিগত ৩১ অক্টোবর ‘কেমন পুলিশ চাই’ উপপাদ্যের আওতায় একটি প্রশ্নমালা অনলাইনে প্রচার করা হয়। ব্যাপক প্রচারের জন্য সংবাদমাধ্যমে স্ক্রল প্রচার করা হয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব ওয়েব সাইটে প্রচারিত হয়। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে মতামত পাঠানোর অনুরোধ করা হয়। এ সময় পর্যন্ত মোট ২৪ হাজার ৪৪২ জন মতামত দেন।
উত্তরদাতাদের পেশাভিত্তিক ১৪টি বিভাগের চাকরিজীবী (৩৬.৪%), ছাত্র (২৭.২%) ও ব্যবসায়ী (৭.৬%) ও ৭.১% প্রকৌশলী অংশ নেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিককালে দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন প্রতিহত করতে কিছুসংখ্যক পুলিশ সদস্যের সহিংস ভূমিকা নিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ‘পুলিশ সংস্কার’ এখন সময়ের দাবি। সেই লক্ষ্যে সরকার পুলিশ বাহিনীর সংস্কারের লক্ষ্যে ‘পুলিশ সংস্কার কমিশন’ গঠন করেছে, যার কার্যক্রম চলমান। পুলিশ সংস্কার কমিশন সর্বসাধারণের মূল্যবান মতামত জানতে ‘কেমন পুলিশ চাই’ শিরোনামে জনমত জরিপ পরিচালনা করে।

আজকের পত্রিকা ডেস্ক

‘কেমন পুলিশ চাই’ শীর্ষক পুলিশ সংস্কার কমিশন পরিচালিত জনমত জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। জনমত জরিপের ফলাফল পুলিশ সংস্কার কমিশনের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্যসচিব আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
মতামত জরিপে সংস্কারের মাধ্যমে কেমন পুলিশ চান জানতে চাওয়া হলে সর্বাধিক মতামত পড়েছে দুটি ক্ষেত্রে: প্রথম অবস্থানে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত এবং দ্বিতীয় অবস্থানে আইনের প্রতি অনুগত/নিরপেক্ষ পুলিশ, তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে দুর্নীতিমুক্ত পুলিশ।
মতামত জরিপে দেখা গেছে, পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অবসান চান ৮৯ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ। ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুলিশের দুর্নীতি বন্ধ চান ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশ। গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন বিবেচনায় অপরাধী পুলিশ জবাবদিহি ও শাস্তির আওতায় আনার পক্ষে মত দিয়েছেন ৭৪ দশমিক ৯ শতাংশ উত্তরদাতা।
পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেট সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে জেলা পর্যায়ে কার্যকরী একটি আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা উচিত বলে মনে করেন ৪৬ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ।
এ ছাড়া ৬৯ শতাংশ মানুষ মনে করেন বিদ্যমান পুলিশ আইন ও বিধিবিধান পরিবর্তন করে যুগোপযোগী করা উচিত।
পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার বন্ধ চান ৮৯ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ।
৭৪ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ মনে করেন পুলিশ কর্তৃক বলপূর্বক গুম করা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনকে দ্রুত জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
৭২ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ মনে করেন পুলিশের কাজকর্মের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে সবার জন্য উন্মুক্ত স্থায়ী অভিযোগ কমিশন স্থাপন জরুরি।
৬৩ শতাংশ মানুষ মনে করেন, সাইবার ক্রাইমসহ বিভিন্ন নিত্যনতুন অপরাধ শনাক্তকরণ ও দমনে বাংলাদেশ পুলিশকে বিভিন্ন উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা প্রয়োজন।
৬১ শতাংশ মানুষ মনে করেন, অধস্তন পর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের বেতনভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধাদি যুক্তিসংগতভাবে বাড়ানো প্রয়োজন।
৭৭ দশমিক শতাংশ মানুষ মনে করেন ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে পুলিশের দুর্নীতি বন্ধে কার্যকর প্রশাসনিক ও বিধিগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন।
পুলিশ সংস্কার কমিশনের সিদ্ধান্তের আলোকে বিগত ৩১ অক্টোবর ‘কেমন পুলিশ চাই’ উপপাদ্যের আওতায় একটি প্রশ্নমালা অনলাইনে প্রচার করা হয়। ব্যাপক প্রচারের জন্য সংবাদমাধ্যমে স্ক্রল প্রচার করা হয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব ওয়েব সাইটে প্রচারিত হয়। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে মতামত পাঠানোর অনুরোধ করা হয়। এ সময় পর্যন্ত মোট ২৪ হাজার ৪৪২ জন মতামত দেন।
উত্তরদাতাদের পেশাভিত্তিক ১৪টি বিভাগের চাকরিজীবী (৩৬.৪%), ছাত্র (২৭.২%) ও ব্যবসায়ী (৭.৬%) ও ৭.১% প্রকৌশলী অংশ নেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিককালে দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন প্রতিহত করতে কিছুসংখ্যক পুলিশ সদস্যের সহিংস ভূমিকা নিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ‘পুলিশ সংস্কার’ এখন সময়ের দাবি। সেই লক্ষ্যে সরকার পুলিশ বাহিনীর সংস্কারের লক্ষ্যে ‘পুলিশ সংস্কার কমিশন’ গঠন করেছে, যার কার্যক্রম চলমান। পুলিশ সংস্কার কমিশন সর্বসাধারণের মূল্যবান মতামত জানতে ‘কেমন পুলিশ চাই’ শিরোনামে জনমত জরিপ পরিচালনা করে।

‘কেমন পুলিশ চাই’ শীর্ষক পুলিশ সংস্কার কমিশন পরিচালিত জনমত জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। জনমত জরিপের ফলাফল পুলিশ সংস্কার কমিশনের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্যসচিব আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
মতামত জরিপে সংস্কারের মাধ্যমে কেমন পুলিশ চান জানতে চাওয়া হলে সর্বাধিক মতামত পড়েছে দুটি ক্ষেত্রে: প্রথম অবস্থানে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত এবং দ্বিতীয় অবস্থানে আইনের প্রতি অনুগত/নিরপেক্ষ পুলিশ, তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে দুর্নীতিমুক্ত পুলিশ।
মতামত জরিপে দেখা গেছে, পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অবসান চান ৮৯ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ। ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুলিশের দুর্নীতি বন্ধ চান ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশ। গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন বিবেচনায় অপরাধী পুলিশ জবাবদিহি ও শাস্তির আওতায় আনার পক্ষে মত দিয়েছেন ৭৪ দশমিক ৯ শতাংশ উত্তরদাতা।
পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেট সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে জেলা পর্যায়ে কার্যকরী একটি আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা উচিত বলে মনে করেন ৪৬ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ।
এ ছাড়া ৬৯ শতাংশ মানুষ মনে করেন বিদ্যমান পুলিশ আইন ও বিধিবিধান পরিবর্তন করে যুগোপযোগী করা উচিত।
পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার বন্ধ চান ৮৯ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ।
৭৪ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ মনে করেন পুলিশ কর্তৃক বলপূর্বক গুম করা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনকে দ্রুত জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
৭২ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ মনে করেন পুলিশের কাজকর্মের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে সবার জন্য উন্মুক্ত স্থায়ী অভিযোগ কমিশন স্থাপন জরুরি।
৬৩ শতাংশ মানুষ মনে করেন, সাইবার ক্রাইমসহ বিভিন্ন নিত্যনতুন অপরাধ শনাক্তকরণ ও দমনে বাংলাদেশ পুলিশকে বিভিন্ন উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা প্রয়োজন।
৬১ শতাংশ মানুষ মনে করেন, অধস্তন পর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের বেতনভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধাদি যুক্তিসংগতভাবে বাড়ানো প্রয়োজন।
৭৭ দশমিক শতাংশ মানুষ মনে করেন ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে পুলিশের দুর্নীতি বন্ধে কার্যকর প্রশাসনিক ও বিধিগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন।
পুলিশ সংস্কার কমিশনের সিদ্ধান্তের আলোকে বিগত ৩১ অক্টোবর ‘কেমন পুলিশ চাই’ উপপাদ্যের আওতায় একটি প্রশ্নমালা অনলাইনে প্রচার করা হয়। ব্যাপক প্রচারের জন্য সংবাদমাধ্যমে স্ক্রল প্রচার করা হয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব ওয়েব সাইটে প্রচারিত হয়। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে মতামত পাঠানোর অনুরোধ করা হয়। এ সময় পর্যন্ত মোট ২৪ হাজার ৪৪২ জন মতামত দেন।
উত্তরদাতাদের পেশাভিত্তিক ১৪টি বিভাগের চাকরিজীবী (৩৬.৪%), ছাত্র (২৭.২%) ও ব্যবসায়ী (৭.৬%) ও ৭.১% প্রকৌশলী অংশ নেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিককালে দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন প্রতিহত করতে কিছুসংখ্যক পুলিশ সদস্যের সহিংস ভূমিকা নিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ‘পুলিশ সংস্কার’ এখন সময়ের দাবি। সেই লক্ষ্যে সরকার পুলিশ বাহিনীর সংস্কারের লক্ষ্যে ‘পুলিশ সংস্কার কমিশন’ গঠন করেছে, যার কার্যক্রম চলমান। পুলিশ সংস্কার কমিশন সর্বসাধারণের মূল্যবান মতামত জানতে ‘কেমন পুলিশ চাই’ শিরোনামে জনমত জরিপ পরিচালনা করে।


ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের প্রাথমিক অনুসন্ধানে অর্থ পাচারের উল্লেখযোগ্য প্রমাণ মেলায় নোয়াখালীর চাটখিল
৬ মিনিট আগে
শফিকুল আলম বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের মত জানিয়েছে। আমরা এটিকে হুমকি হিসেবে দেখছি না। যেটা সবচেয়ে উত্তম, প্রধান উপদেষ্টা সেটাই করবেন। আগামী ১৩ নভেম্বর আদালত শেখ হাসিনার বিচারের দিন জানাবেন।’
৩ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৪০ জন। মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ (Odhikar) জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১৪ মাস
৪ ঘণ্টা আগে
বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প অসমাপ্ত অবস্থায় শেষ করার সরকারের সিদ্ধান্তে বিআরটি পরিচালনার জন্য গঠিত ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানির (পিএলসি) ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রকল্পটি চালু না হলে কার্যত এই কোম্পানির কোনো কাজ থাকছে না।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের প্রাথমিক অনুসন্ধানে অর্থ পাচারের উল্লেখযোগ্য প্রমাণ মেলায় নোয়াখালীর চাটখিল থানায় আজ শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) মামলা করা হয়েছে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ধারা ৪(২)(৪) অনুযায়ী মামলাটি করা হয়।
আজ বিকেলে সিআইডির মুখপাত্র বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার এক নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জাহাঙ্গীর আলম প্রথমে সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে যোগ দেন। পরে ২০০৯ সালে বর্তমানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর স্বল্প সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে ‘ব্যক্তিগত সহকারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই পদে থেকেই তিনি অস্বাভাবিকভাবে আর্থিকভাবে লাভবান হন বলে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০১০ সালে তিনি ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামের একটি কোম্পানি গঠন করে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসার লাইসেন্স নেন। তবে ওই ব্যবসার আড়ালে তিনি বহুসংখ্যক সন্দেহজনক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। কোম্পানির নামে খোলা একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক অঙ্কের টাকা জমা হয়, যার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।
সিআইডির অনুসন্ধান অনুযায়ী, ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেডের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মোট ৫৬৫ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ নগদে জমা হয় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে। এসব টাকার উৎস অজানা এবং তা হুন্ডি ও মানি লন্ডারিং কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ মেলে।
সিআইডি বলছে, অনুসন্ধানে আরও দেখা গেছে, জাহাঙ্গীর আলম তাঁর স্ত্রী কামরুন নাহার ও ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন করতেন। ২০২৪ সালের জুন মাসে তিনি ও তাঁর স্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন। তবে বিদেশে সম্পদ ক্রয় বা বিনিয়োগের কোনো সরকারি অনুমোদন তাদের ব্যাপারে পাওয়া যায়নি।
প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম, তাঁর স্ত্রী কামরুন নাহার, ভাই মনির হোসেন এবং প্রতিষ্ঠান স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড যৌথভাবে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। সিআইডি জানিয়েছে, অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদ্ঘাটন, সংশ্লিষ্ট অন্য সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য তদন্ত ও অভিযান চলমান রয়েছে।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের প্রাথমিক অনুসন্ধানে অর্থ পাচারের উল্লেখযোগ্য প্রমাণ মেলায় নোয়াখালীর চাটখিল থানায় আজ শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) মামলা করা হয়েছে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ধারা ৪(২)(৪) অনুযায়ী মামলাটি করা হয়।
আজ বিকেলে সিআইডির মুখপাত্র বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার এক নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জাহাঙ্গীর আলম প্রথমে সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে যোগ দেন। পরে ২০০৯ সালে বর্তমানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর স্বল্প সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে ‘ব্যক্তিগত সহকারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই পদে থেকেই তিনি অস্বাভাবিকভাবে আর্থিকভাবে লাভবান হন বলে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০১০ সালে তিনি ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামের একটি কোম্পানি গঠন করে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসার লাইসেন্স নেন। তবে ওই ব্যবসার আড়ালে তিনি বহুসংখ্যক সন্দেহজনক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। কোম্পানির নামে খোলা একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক অঙ্কের টাকা জমা হয়, যার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।
সিআইডির অনুসন্ধান অনুযায়ী, ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেডের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মোট ৫৬৫ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ নগদে জমা হয় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে। এসব টাকার উৎস অজানা এবং তা হুন্ডি ও মানি লন্ডারিং কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ মেলে।
সিআইডি বলছে, অনুসন্ধানে আরও দেখা গেছে, জাহাঙ্গীর আলম তাঁর স্ত্রী কামরুন নাহার ও ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন করতেন। ২০২৪ সালের জুন মাসে তিনি ও তাঁর স্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন। তবে বিদেশে সম্পদ ক্রয় বা বিনিয়োগের কোনো সরকারি অনুমোদন তাদের ব্যাপারে পাওয়া যায়নি।
প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম, তাঁর স্ত্রী কামরুন নাহার, ভাই মনির হোসেন এবং প্রতিষ্ঠান স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড যৌথভাবে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। সিআইডি জানিয়েছে, অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদ্ঘাটন, সংশ্লিষ্ট অন্য সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য তদন্ত ও অভিযান চলমান রয়েছে।


পুলিশ সংস্কার কমিশনের সিদ্ধান্তের আলোকে বিগত ৩১ অক্টোবর ‘কেমন পুলিশ চাই’ উপপাদ্যের আওতায় একটি প্রশ্নমালা অনলাইনে প্রচার করা হয়। ব্যাপক প্রচারের জন্য সংবাদমাধ্যমে স্ক্রল প্রচার করা হয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব ওয়েব সাইটে প্রচারিত হয়। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে মতামত পাঠানোর অনুরোধ করা হয়। এ সময় পর্য
০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
শফিকুল আলম বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের মত জানিয়েছে। আমরা এটিকে হুমকি হিসেবে দেখছি না। যেটা সবচেয়ে উত্তম, প্রধান উপদেষ্টা সেটাই করবেন। আগামী ১৩ নভেম্বর আদালত শেখ হাসিনার বিচারের দিন জানাবেন।’
৩ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৪০ জন। মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ (Odhikar) জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১৪ মাস
৪ ঘণ্টা আগে
বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প অসমাপ্ত অবস্থায় শেষ করার সরকারের সিদ্ধান্তে বিআরটি পরিচালনার জন্য গঠিত ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানির (পিএলসি) ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রকল্পটি চালু না হলে কার্যত এই কোম্পানির কোনো কাজ থাকছে না।
১৫ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

গণভোট ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টা সিদ্ধান্ত নেবেন। যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন, নির্বাচন ১৫ ফেব্রুয়ারির আগে হবে। কোনো শক্তি এটিকে পেছাতে পারবে না। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসব কথা বলেছেন।
আজ শুক্রবার দুপুরে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) জুলাই কন্যা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের মত জানিয়েছে। আমরা এটিকে হুমকি হিসেবে দেখছি না। যেটা সবচেয়ে উত্তম, প্রধান উপদেষ্টা সেটাই করবেন। আগামী ১৩ নভেম্বর আদালত শেখ হাসিনার বিচারের দিন জানাবেন।’
চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে নারীর ভূমিকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বৈরাচার পতন ও গণ-অভ্যুত্থানে পুরুষ ও নারীরা রাজপথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন করেছেন। এখন নারীরা পিছিয়ে নেই। সব ক্ষেত্রেই তাঁরা প্রতিনিধিত্ব করছেন।
উল্লেখ্য, তরুণদের জ্ঞান ও মেধার বিকাশকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই কন্যা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘মাইন্ডব্রিজ ও নলেজ কম্পিটিশন ২০২৫’-এর আয়োজন করা হয়।
নোবিপ্রবি কেন্দ্রীয় অডিটরিয়ামে ফাউন্ডেশনের সভাপতি জান্নাতুল নাঈম প্রমির সভাপতিত্বে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবির উপাচার্য ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। বিশেষ অতিথি ছিলেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ইসমাঈল।

গণভোট ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টা সিদ্ধান্ত নেবেন। যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন, নির্বাচন ১৫ ফেব্রুয়ারির আগে হবে। কোনো শক্তি এটিকে পেছাতে পারবে না। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসব কথা বলেছেন।
আজ শুক্রবার দুপুরে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) জুলাই কন্যা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের মত জানিয়েছে। আমরা এটিকে হুমকি হিসেবে দেখছি না। যেটা সবচেয়ে উত্তম, প্রধান উপদেষ্টা সেটাই করবেন। আগামী ১৩ নভেম্বর আদালত শেখ হাসিনার বিচারের দিন জানাবেন।’
চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে নারীর ভূমিকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বৈরাচার পতন ও গণ-অভ্যুত্থানে পুরুষ ও নারীরা রাজপথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন করেছেন। এখন নারীরা পিছিয়ে নেই। সব ক্ষেত্রেই তাঁরা প্রতিনিধিত্ব করছেন।
উল্লেখ্য, তরুণদের জ্ঞান ও মেধার বিকাশকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই কন্যা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘মাইন্ডব্রিজ ও নলেজ কম্পিটিশন ২০২৫’-এর আয়োজন করা হয়।
নোবিপ্রবি কেন্দ্রীয় অডিটরিয়ামে ফাউন্ডেশনের সভাপতি জান্নাতুল নাঈম প্রমির সভাপতিত্বে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবির উপাচার্য ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। বিশেষ অতিথি ছিলেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ইসমাঈল।


পুলিশ সংস্কার কমিশনের সিদ্ধান্তের আলোকে বিগত ৩১ অক্টোবর ‘কেমন পুলিশ চাই’ উপপাদ্যের আওতায় একটি প্রশ্নমালা অনলাইনে প্রচার করা হয়। ব্যাপক প্রচারের জন্য সংবাদমাধ্যমে স্ক্রল প্রচার করা হয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব ওয়েব সাইটে প্রচারিত হয়। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে মতামত পাঠানোর অনুরোধ করা হয়। এ সময় পর্য
০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের প্রাথমিক অনুসন্ধানে অর্থ পাচারের উল্লেখযোগ্য প্রমাণ মেলায় নোয়াখালীর চাটখিল
৬ মিনিট আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৪০ জন। মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ (Odhikar) জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১৪ মাস
৪ ঘণ্টা আগে
বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প অসমাপ্ত অবস্থায় শেষ করার সরকারের সিদ্ধান্তে বিআরটি পরিচালনার জন্য গঠিত ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানির (পিএলসি) ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রকল্পটি চালু না হলে কার্যত এই কোম্পানির কোনো কাজ থাকছে না।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৪০ জন। মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ (Odhikar) জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১৪ মাস অতিক্রম করলেও, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অব্যাহত থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
অধিকারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৯ আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড মোট ৪০টি। এর মধ্যে নির্যাতনে মৃত্যু ১৪, গুলিতে নিহত ১৯ এবং পিটিয়ে হত্যার শিকার হয়েছেন সাতজন।
অধিকার বলেছে, ২০২৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর এই তিন মাসে ১১ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজন পুলিশের হাতে, একজন সেনাবাহিনীর হাতে এবং সাতজন যৌথ বাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নিহতদের মধ্যে তিনজনকে নির্যাতনে, ছয়জনকে গুলিতে এবং দুজন পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
অধিকারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের আগস্টের ৯ তারিখের পর ওই মাসে কোনো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। সেপ্টেম্বরে ৯ জনের পর অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে একজন করে এমন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এরপর ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে মারা যান পাঁচজন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন। মার্চ ও এপ্রিল মাসে মারা যান একজন করে দুজন। এরপর মে, জুন, জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যকাণ্ডের শিকারের সংখ্যা যথাক্রমে ৪, ৩, ৬, ৩ ও ২।
অধিকারের হিসাব অনুযায়ী, গত ১৪ মাসে সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ২৪২টি। এর মধ্যে আহত হয়েছেন ১২৯ জন, নিহত ১, লাঞ্ছিত ৪৩, আক্রমণ ৫, হুমকির শিকার ৩১ এবং মামলার শিকার ৩৩ জন।
অধিকারের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ১ জন নিহত, ৩৪ জন আহত, ১১ জন লাঞ্ছিত, ৯ জন হুমকির শিকার ও ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
এ ছাড়া রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ৭ হাজার ৯৭৯টি। এর মধ্যে নিহত ২৮১, আহত ৭ হাজার ৬৯৮ জন। এ ছাড়া চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে রাজনৈতিক সহিংসতায় কমপক্ষে ৪৬ জন নিহত এবং ১ হাজার ৫৩৭ জন আহত হয়েছেন। এই তিন মাসে বিএনপির ৮২টি ও আওয়ামী লীগের একটি অভ্যন্তরীণ সংঘাতের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে আটজন নিহত ও ৭৪০ জন আহত এবং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ১২ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে এ বছরের মার্চে, ৯৪৪টি। ৮৬২টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটে গত বছরের সেপ্টেম্বরে। গত বছরের আগস্টে (৯–৩১ আগস্ট) সংখ্যাটি ছিল ৫০০। ৭৯৮টি ঘটনা ঘটে এ বছরের এপ্রিলে। গত জুন, জুলাই ও আগস্টে সংখ্যাটি ছিল যথাক্রমে ৪৮৯, ৫৭৯ ও ৬৫৮। গত সেপ্টেম্বরে সংখ্যাটি নেমে দাঁড়ায় ৩০০-তে।
১৪ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হন ২৮১ জন। সবচেয়ে বেশি ব্যক্তি নিহত হন এ বছরের মার্চে ৪৪ জন, এরপর এক মাসে বেশি নিহত হন গত বছরের আগস্টের ২৩ দিনে ৩৩ জন।
১৪ মাসে গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে ১৫৩ জনের। এ ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে গত সেপ্টেম্বরে, ১৮টি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে এ ঘটনা ছিল ১৭টি। গত তিন মাসে এমন ঘটনার সংখ্যা ৪৫।
গত তিন মাসে ১৮৮ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৭৭ জন নারী এবং ১১১ জন মেয়েশিশু। ওই ৭৭ জন নারীর মধ্যে ১৮ জন গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এবং দুজন ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছেন। ১১১ জন কন্যাশিশুর মধ্যে ১৩ জন গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এবং ৬ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট আটজন নারী ও মেয়েশিশু যৌন হয়রানির (উত্ত্যক্তকরণ) শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া নারী ও শিশুদের ওপর সংঘটিত যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে দুজন পুরুষ আহত হয়েছেন এবং তিনজন নারী নিহত হয়েছেন।
গত তিন মাসে মোট ১২ জন নারী যৌতুক সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ছয়জন নারীকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে, পাঁচজন বিভিন্নভাবে নিপীড়নের শিকার এবং একজন আত্মহত্যা করেছেন।
উল্লেখিত, এক বছরে সীমান্তে বিএসএফের হাতে নিহত হয়েছে ৩৫ জন বাংলাদেশি, আহত হয়েছেন ৩৪ জন এবং পুশ ইন করা হয়েছে ২ হাজার ৩৩৩ জনকে। অবশ্য পুশ ইনের ঘটনাগুলো ঘটেছে চলতি বছরের মে মাস থেকে।
এ ছাড়া চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিএসএফের গুলিতে ১০ বাংলাদেশি নিহত এবং ১৪ জন আহত হয়েছেন। নিহত ১০ জনের মধ্যে সাতজনকে গুলি করে হত্যা এবং তিনজনকে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ১০ জনকে গুলি করে এবং চারজনকে নির্যাতন করে আহত করা হয়েছে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও অধিকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সীমান্ত এলাকার মানবাধিকারকর্মীদের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ ৫৪৪ জনকে জোর করে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৪০ জন। মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ (Odhikar) জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১৪ মাস অতিক্রম করলেও, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অব্যাহত থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
অধিকারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৯ আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড মোট ৪০টি। এর মধ্যে নির্যাতনে মৃত্যু ১৪, গুলিতে নিহত ১৯ এবং পিটিয়ে হত্যার শিকার হয়েছেন সাতজন।
অধিকার বলেছে, ২০২৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর এই তিন মাসে ১১ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজন পুলিশের হাতে, একজন সেনাবাহিনীর হাতে এবং সাতজন যৌথ বাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নিহতদের মধ্যে তিনজনকে নির্যাতনে, ছয়জনকে গুলিতে এবং দুজন পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
অধিকারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের আগস্টের ৯ তারিখের পর ওই মাসে কোনো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। সেপ্টেম্বরে ৯ জনের পর অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে একজন করে এমন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এরপর ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে মারা যান পাঁচজন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন। মার্চ ও এপ্রিল মাসে মারা যান একজন করে দুজন। এরপর মে, জুন, জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যকাণ্ডের শিকারের সংখ্যা যথাক্রমে ৪, ৩, ৬, ৩ ও ২।
অধিকারের হিসাব অনুযায়ী, গত ১৪ মাসে সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ২৪২টি। এর মধ্যে আহত হয়েছেন ১২৯ জন, নিহত ১, লাঞ্ছিত ৪৩, আক্রমণ ৫, হুমকির শিকার ৩১ এবং মামলার শিকার ৩৩ জন।
অধিকারের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ১ জন নিহত, ৩৪ জন আহত, ১১ জন লাঞ্ছিত, ৯ জন হুমকির শিকার ও ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
এ ছাড়া রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ৭ হাজার ৯৭৯টি। এর মধ্যে নিহত ২৮১, আহত ৭ হাজার ৬৯৮ জন। এ ছাড়া চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে রাজনৈতিক সহিংসতায় কমপক্ষে ৪৬ জন নিহত এবং ১ হাজার ৫৩৭ জন আহত হয়েছেন। এই তিন মাসে বিএনপির ৮২টি ও আওয়ামী লীগের একটি অভ্যন্তরীণ সংঘাতের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে আটজন নিহত ও ৭৪০ জন আহত এবং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ১২ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে এ বছরের মার্চে, ৯৪৪টি। ৮৬২টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটে গত বছরের সেপ্টেম্বরে। গত বছরের আগস্টে (৯–৩১ আগস্ট) সংখ্যাটি ছিল ৫০০। ৭৯৮টি ঘটনা ঘটে এ বছরের এপ্রিলে। গত জুন, জুলাই ও আগস্টে সংখ্যাটি ছিল যথাক্রমে ৪৮৯, ৫৭৯ ও ৬৫৮। গত সেপ্টেম্বরে সংখ্যাটি নেমে দাঁড়ায় ৩০০-তে।
১৪ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হন ২৮১ জন। সবচেয়ে বেশি ব্যক্তি নিহত হন এ বছরের মার্চে ৪৪ জন, এরপর এক মাসে বেশি নিহত হন গত বছরের আগস্টের ২৩ দিনে ৩৩ জন।
১৪ মাসে গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে ১৫৩ জনের। এ ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে গত সেপ্টেম্বরে, ১৮টি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে এ ঘটনা ছিল ১৭টি। গত তিন মাসে এমন ঘটনার সংখ্যা ৪৫।
গত তিন মাসে ১৮৮ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৭৭ জন নারী এবং ১১১ জন মেয়েশিশু। ওই ৭৭ জন নারীর মধ্যে ১৮ জন গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এবং দুজন ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছেন। ১১১ জন কন্যাশিশুর মধ্যে ১৩ জন গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এবং ৬ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট আটজন নারী ও মেয়েশিশু যৌন হয়রানির (উত্ত্যক্তকরণ) শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া নারী ও শিশুদের ওপর সংঘটিত যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে দুজন পুরুষ আহত হয়েছেন এবং তিনজন নারী নিহত হয়েছেন।
গত তিন মাসে মোট ১২ জন নারী যৌতুক সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ছয়জন নারীকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে, পাঁচজন বিভিন্নভাবে নিপীড়নের শিকার এবং একজন আত্মহত্যা করেছেন।
উল্লেখিত, এক বছরে সীমান্তে বিএসএফের হাতে নিহত হয়েছে ৩৫ জন বাংলাদেশি, আহত হয়েছেন ৩৪ জন এবং পুশ ইন করা হয়েছে ২ হাজার ৩৩৩ জনকে। অবশ্য পুশ ইনের ঘটনাগুলো ঘটেছে চলতি বছরের মে মাস থেকে।
এ ছাড়া চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিএসএফের গুলিতে ১০ বাংলাদেশি নিহত এবং ১৪ জন আহত হয়েছেন। নিহত ১০ জনের মধ্যে সাতজনকে গুলি করে হত্যা এবং তিনজনকে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ১০ জনকে গুলি করে এবং চারজনকে নির্যাতন করে আহত করা হয়েছে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও অধিকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সীমান্ত এলাকার মানবাধিকারকর্মীদের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ ৫৪৪ জনকে জোর করে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে।


পুলিশ সংস্কার কমিশনের সিদ্ধান্তের আলোকে বিগত ৩১ অক্টোবর ‘কেমন পুলিশ চাই’ উপপাদ্যের আওতায় একটি প্রশ্নমালা অনলাইনে প্রচার করা হয়। ব্যাপক প্রচারের জন্য সংবাদমাধ্যমে স্ক্রল প্রচার করা হয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব ওয়েব সাইটে প্রচারিত হয়। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে মতামত পাঠানোর অনুরোধ করা হয়। এ সময় পর্য
০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের প্রাথমিক অনুসন্ধানে অর্থ পাচারের উল্লেখযোগ্য প্রমাণ মেলায় নোয়াখালীর চাটখিল
৬ মিনিট আগে
শফিকুল আলম বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের মত জানিয়েছে। আমরা এটিকে হুমকি হিসেবে দেখছি না। যেটা সবচেয়ে উত্তম, প্রধান উপদেষ্টা সেটাই করবেন। আগামী ১৩ নভেম্বর আদালত শেখ হাসিনার বিচারের দিন জানাবেন।’
৩ ঘণ্টা আগে
বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প অসমাপ্ত অবস্থায় শেষ করার সরকারের সিদ্ধান্তে বিআরটি পরিচালনার জন্য গঠিত ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানির (পিএলসি) ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রকল্পটি চালু না হলে কার্যত এই কোম্পানির কোনো কাজ থাকছে না।
১৫ ঘণ্টা আগেতৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প অসমাপ্ত অবস্থায় শেষ করার সরকারের সিদ্ধান্তে বিআরটি পরিচালনার জন্য গঠিত ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানির (পিএলসি) ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রকল্পটি চালু না হলে কার্যত এই কোম্পানির কোনো কাজ থাকছে না। প্রকল্পের তহবিল থেকে কোম্পানিটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও পরিচালন ব্যয় মেটানো হয় বলে এ নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
সূত্র বলেছে, প্রকল্প বন্ধ হলে বিআরটি কোম্পানিকে অন্য কোনো কাজে যুক্ত করার বিষয়ে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) একাধিক প্রস্তাব দিয়েছে। অবশ্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন বলেছেন, বিআরটি কোম্পানির ক্ষেত্রে আপাতত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। যেভাবে আছে, সেভাবেই থাকবে। যদি কোম্পানি নিজেরা অন্য কোনো কাজে অংশ নিতে চায়, সেটা তাদের সিদ্ধান্ত।
রাজধানীর যানজট নিরসন ও যাত্রীদের জন্য দ্রুতগতির গণপরিবহন নিশ্চিতের লক্ষ্যে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম মেয়াদে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিআরটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। বিশেষ বাস চলাচলের জন্য এই করিডরের দৈর্ঘ্য ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার। প্রকল্পটির নির্মাণকাজের জন্য প্রকল্পসংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা ও যাত্রীদের এক যুগ দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা, যা পরে বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকায়। কাজ শেষ না হলেও এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিশেষ বাস চলাচলের করিডরের ধারণা বাতিল হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় নির্মিত চার লেনের সড়ক সাধারণ যানবাহনের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন ঢাকা বিআরটি কোম্পানি (পিএলসি) গঠিত হয়েছিল বিআরটি রুট পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। কিন্তু প্রকল্প চালু না হলে কোম্পানির কাজও কার্যত শেষ হয়ে যাচ্ছে।
এই কোম্পানির মূল দায়িত্বের মধ্যে ছিল বাস কেনা, বিআরটি পরিচালনার জন্য আইটিএস সরঞ্জাম কেনা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র ও সিগন্যাল সিস্টেম স্থাপন, বিদ্যমান বাস অপারেটরদের সঙ্গে সমন্বয় এবং বিআরটি বাস অপারেটর নির্বাচন। কিন্তু গত ১২ বছরে এসব কাজের কোনোটিই সম্পন্ন করতে পারেনি কোম্পানিটি।
প্রকল্প সূত্র জানায়, একাধিকবার দরপত্র আহ্বান করলেও এখনো একটি বাসও কেনা যায়নি। বর্তমানে ঢাকা বিআরটি কোম্পানিতে একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (যুগ্ম সচিব পদমর্যাদা) নেতৃত্বে ২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. নূরুল আমিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিআরটি প্রকল্প এগোবে কি না, সেটি আমরা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানি না। যদি প্রকল্প স্থগিত হয়, তাহলে সরকার আমাদের অন্য কোনো দায়িত্ব দিতে পারে। তবে প্রকল্পের অর্থ থেকেই আমাদের বেতন ও পরিচালন ব্যয় মেটানো হতো। প্রকল্প বন্ধ হলে এই খাত থেকে অর্থ পাওয়া যাবে না, তখন কোম্পানির কার্যক্রম কীভাবে চলবে, সেটি সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।’
প্রকল্প না এগোনোর সিদ্ধান্তের পর ঢাকা বিআরটি কোম্পানি বিআরটি প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক সংস্থা ডিটিসিএর সঙ্গে যোগাযোগ করছে। ডিটিসিএ সূত্র জানায়, প্রকল্প বন্ধ হলে কোম্পানিকে অন্য কোনো কাজে যুক্ত করার বিষয়ে একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ডিটিসিএর ‘ক্লিয়ারিং হাউস’ প্রকল্পে কোম্পানিকে সম্পৃক্ত করার প্রস্তাবও আনুষ্ঠানিকভাবে দেওয়া হয়েছে।
বিআরটি প্রকল্প নিয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন গত রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিআরটি প্রকল্পে আমরা কোনো বাস কিনছি না এবং টিকিট কাউন্টারগুলোও চালু করছি না। প্রকল্পের রাস্তাটি এখন চার লেনের একটি সাধারণ সড়ক হিসেবে খুলে দেওয়া হবে, যাতে অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে পারে। তবে প্রকল্পের অবকাঠামো যেমন আছে, তেমনই থাকবে, কোনো পরিবর্তন করা হচ্ছে না। ঢাকা বিআরটি কোম্পানির ক্ষেত্রেও আপাতত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। তারা যেভাবে আছে, সেভাবেই থাকবে। যদি কোম্পানি নিজেরা অন্য কোনো কাজে অংশ নিতে চায়, সেটা তাদের সিদ্ধান্ত।’ তিনি বলেন, ভবিষ্যতে নতুন সরকার চাইলে বিআরটি সেবা চালু করতে পারবে। তাদের শুধু বাস কিনতে হবে ও টিকিট কাউন্টারগুলো চালু করতে হবে। তখন ঢাকা বিআরটি কোম্পানিকেই ব্যবহার করা যেতে পারে।
বৃহৎ কাঠামোর অসমাপ্ত পরিসমাপ্তি
অসমাপ্ত এই প্রকল্পের আওতায় ২০ দশমিক ২০ কিলোমিটার করিডর নির্মাণ করা হয়েছে। এর ১৫ দশমিক ০৭ কিলোমিটার ভূমিতে এবং ৪ দশমিক ৫০ কিলোমিটার উড়ালসড়ক (এলিভেটেড) অংশ। রয়েছে ২৫টি স্টেশন, একটি বাস ডিপো (গাজীপুরে), দুটি টার্মিনাল (বিমানবন্দর ও গাজীপুরে), ছয়টি ফ্লাইওভার (বিমানবন্দর, জসীমউদ্দীন, কুনিয়া, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ভোগরা ও জয়দেবপুর চৌরাস্তা এলাকায়), টঙ্গী সেতু ১০ লেনে উন্নীত করা হয়েছে। আটটি অ্যাকসেস রোড, প্রায় ৫৬ কিলোমিটার নর্দমা ও ২৪ কিলোমিটার ফুটপাত করা হয়েছে।
শেখ মইনউদ্দিন বলেন, বিআরটি প্রকল্প শেষ করতে আরও ৩ হাজার কোটি টাকা এবং ২০২৯ সাল পর্যন্ত সময় চাওয়া হয়েছিল। সেটি অনুমোদন পায়নি। ফলে প্রকল্পটি এভাবেই শেষ করতে হচ্ছে। এখন ঠিকাদারের কিছু পাওনা ও অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়ে ডিপিপি সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্বল পরিকল্পনা, সমন্বয়ের অভাব, ঠিকাদারি বিলম্ব ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব—এসব কারণে বিআরটি প্রকল্প সফল হয়নি।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, বিআরটি প্রকল্প একটি পূর্ণাঙ্গ পরিবহনব্যবস্থার ধারণা ছিল। সেটি বাতিল হলে পুরো পরিকল্পনাই অর্থহীন হয়ে যায়। এত বড় বিনিয়োগের পরও যদি প্রকল্পটি সেবা দিতে না পারে, তাহলে এটি হবে একধরনের ‘স্ট্রাকচারাল ওয়েস্ট’। এখন জরুরি হলো ঢাকা বিআরটি কোম্পানির মানবসম্পদ ও সক্ষমতাকে অন্য পরিবহন উন্নয়ন প্রকল্পে কাজে লাগানো, যেন রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ পুরোপুরি ব্যর্থ না হয়।

বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প অসমাপ্ত অবস্থায় শেষ করার সরকারের সিদ্ধান্তে বিআরটি পরিচালনার জন্য গঠিত ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানির (পিএলসি) ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রকল্পটি চালু না হলে কার্যত এই কোম্পানির কোনো কাজ থাকছে না। প্রকল্পের তহবিল থেকে কোম্পানিটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও পরিচালন ব্যয় মেটানো হয় বলে এ নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
সূত্র বলেছে, প্রকল্প বন্ধ হলে বিআরটি কোম্পানিকে অন্য কোনো কাজে যুক্ত করার বিষয়ে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) একাধিক প্রস্তাব দিয়েছে। অবশ্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন বলেছেন, বিআরটি কোম্পানির ক্ষেত্রে আপাতত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। যেভাবে আছে, সেভাবেই থাকবে। যদি কোম্পানি নিজেরা অন্য কোনো কাজে অংশ নিতে চায়, সেটা তাদের সিদ্ধান্ত।
রাজধানীর যানজট নিরসন ও যাত্রীদের জন্য দ্রুতগতির গণপরিবহন নিশ্চিতের লক্ষ্যে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম মেয়াদে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিআরটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। বিশেষ বাস চলাচলের জন্য এই করিডরের দৈর্ঘ্য ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার। প্রকল্পটির নির্মাণকাজের জন্য প্রকল্পসংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা ও যাত্রীদের এক যুগ দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা, যা পরে বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকায়। কাজ শেষ না হলেও এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিশেষ বাস চলাচলের করিডরের ধারণা বাতিল হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় নির্মিত চার লেনের সড়ক সাধারণ যানবাহনের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন ঢাকা বিআরটি কোম্পানি (পিএলসি) গঠিত হয়েছিল বিআরটি রুট পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। কিন্তু প্রকল্প চালু না হলে কোম্পানির কাজও কার্যত শেষ হয়ে যাচ্ছে।
এই কোম্পানির মূল দায়িত্বের মধ্যে ছিল বাস কেনা, বিআরটি পরিচালনার জন্য আইটিএস সরঞ্জাম কেনা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র ও সিগন্যাল সিস্টেম স্থাপন, বিদ্যমান বাস অপারেটরদের সঙ্গে সমন্বয় এবং বিআরটি বাস অপারেটর নির্বাচন। কিন্তু গত ১২ বছরে এসব কাজের কোনোটিই সম্পন্ন করতে পারেনি কোম্পানিটি।
প্রকল্প সূত্র জানায়, একাধিকবার দরপত্র আহ্বান করলেও এখনো একটি বাসও কেনা যায়নি। বর্তমানে ঢাকা বিআরটি কোম্পানিতে একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (যুগ্ম সচিব পদমর্যাদা) নেতৃত্বে ২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. নূরুল আমিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিআরটি প্রকল্প এগোবে কি না, সেটি আমরা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানি না। যদি প্রকল্প স্থগিত হয়, তাহলে সরকার আমাদের অন্য কোনো দায়িত্ব দিতে পারে। তবে প্রকল্পের অর্থ থেকেই আমাদের বেতন ও পরিচালন ব্যয় মেটানো হতো। প্রকল্প বন্ধ হলে এই খাত থেকে অর্থ পাওয়া যাবে না, তখন কোম্পানির কার্যক্রম কীভাবে চলবে, সেটি সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।’
প্রকল্প না এগোনোর সিদ্ধান্তের পর ঢাকা বিআরটি কোম্পানি বিআরটি প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক সংস্থা ডিটিসিএর সঙ্গে যোগাযোগ করছে। ডিটিসিএ সূত্র জানায়, প্রকল্প বন্ধ হলে কোম্পানিকে অন্য কোনো কাজে যুক্ত করার বিষয়ে একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ডিটিসিএর ‘ক্লিয়ারিং হাউস’ প্রকল্পে কোম্পানিকে সম্পৃক্ত করার প্রস্তাবও আনুষ্ঠানিকভাবে দেওয়া হয়েছে।
বিআরটি প্রকল্প নিয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন গত রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিআরটি প্রকল্পে আমরা কোনো বাস কিনছি না এবং টিকিট কাউন্টারগুলোও চালু করছি না। প্রকল্পের রাস্তাটি এখন চার লেনের একটি সাধারণ সড়ক হিসেবে খুলে দেওয়া হবে, যাতে অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে পারে। তবে প্রকল্পের অবকাঠামো যেমন আছে, তেমনই থাকবে, কোনো পরিবর্তন করা হচ্ছে না। ঢাকা বিআরটি কোম্পানির ক্ষেত্রেও আপাতত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। তারা যেভাবে আছে, সেভাবেই থাকবে। যদি কোম্পানি নিজেরা অন্য কোনো কাজে অংশ নিতে চায়, সেটা তাদের সিদ্ধান্ত।’ তিনি বলেন, ভবিষ্যতে নতুন সরকার চাইলে বিআরটি সেবা চালু করতে পারবে। তাদের শুধু বাস কিনতে হবে ও টিকিট কাউন্টারগুলো চালু করতে হবে। তখন ঢাকা বিআরটি কোম্পানিকেই ব্যবহার করা যেতে পারে।
বৃহৎ কাঠামোর অসমাপ্ত পরিসমাপ্তি
অসমাপ্ত এই প্রকল্পের আওতায় ২০ দশমিক ২০ কিলোমিটার করিডর নির্মাণ করা হয়েছে। এর ১৫ দশমিক ০৭ কিলোমিটার ভূমিতে এবং ৪ দশমিক ৫০ কিলোমিটার উড়ালসড়ক (এলিভেটেড) অংশ। রয়েছে ২৫টি স্টেশন, একটি বাস ডিপো (গাজীপুরে), দুটি টার্মিনাল (বিমানবন্দর ও গাজীপুরে), ছয়টি ফ্লাইওভার (বিমানবন্দর, জসীমউদ্দীন, কুনিয়া, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ভোগরা ও জয়দেবপুর চৌরাস্তা এলাকায়), টঙ্গী সেতু ১০ লেনে উন্নীত করা হয়েছে। আটটি অ্যাকসেস রোড, প্রায় ৫৬ কিলোমিটার নর্দমা ও ২৪ কিলোমিটার ফুটপাত করা হয়েছে।
শেখ মইনউদ্দিন বলেন, বিআরটি প্রকল্প শেষ করতে আরও ৩ হাজার কোটি টাকা এবং ২০২৯ সাল পর্যন্ত সময় চাওয়া হয়েছিল। সেটি অনুমোদন পায়নি। ফলে প্রকল্পটি এভাবেই শেষ করতে হচ্ছে। এখন ঠিকাদারের কিছু পাওনা ও অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়ে ডিপিপি সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্বল পরিকল্পনা, সমন্বয়ের অভাব, ঠিকাদারি বিলম্ব ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব—এসব কারণে বিআরটি প্রকল্প সফল হয়নি।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, বিআরটি প্রকল্প একটি পূর্ণাঙ্গ পরিবহনব্যবস্থার ধারণা ছিল। সেটি বাতিল হলে পুরো পরিকল্পনাই অর্থহীন হয়ে যায়। এত বড় বিনিয়োগের পরও যদি প্রকল্পটি সেবা দিতে না পারে, তাহলে এটি হবে একধরনের ‘স্ট্রাকচারাল ওয়েস্ট’। এখন জরুরি হলো ঢাকা বিআরটি কোম্পানির মানবসম্পদ ও সক্ষমতাকে অন্য পরিবহন উন্নয়ন প্রকল্পে কাজে লাগানো, যেন রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ পুরোপুরি ব্যর্থ না হয়।


পুলিশ সংস্কার কমিশনের সিদ্ধান্তের আলোকে বিগত ৩১ অক্টোবর ‘কেমন পুলিশ চাই’ উপপাদ্যের আওতায় একটি প্রশ্নমালা অনলাইনে প্রচার করা হয়। ব্যাপক প্রচারের জন্য সংবাদমাধ্যমে স্ক্রল প্রচার করা হয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব ওয়েব সাইটে প্রচারিত হয়। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে মতামত পাঠানোর অনুরোধ করা হয়। এ সময় পর্য
০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের প্রাথমিক অনুসন্ধানে অর্থ পাচারের উল্লেখযোগ্য প্রমাণ মেলায় নোয়াখালীর চাটখিল
৬ মিনিট আগে
শফিকুল আলম বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের মত জানিয়েছে। আমরা এটিকে হুমকি হিসেবে দেখছি না। যেটা সবচেয়ে উত্তম, প্রধান উপদেষ্টা সেটাই করবেন। আগামী ১৩ নভেম্বর আদালত শেখ হাসিনার বিচারের দিন জানাবেন।’
৩ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৪০ জন। মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ (Odhikar) জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১৪ মাস
৪ ঘণ্টা আগে