ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড মহাসড়কে যুক্ত হতে চায় বাংলাদেশ

ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিপক্ষীয় মহাসড়কে যুক্ত হতে চায় বাংলাদেশ। থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডন প্রামুডউইনাইয়ের সঙ্গে ফোনালাপে এ প্রস্তাব দেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে আজ সোমবার ফোনালাপ করে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় তাঁরা একে অন্যকে অভিনন্দন জানান। উভয় পক্ষই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নেওয়ার মাধ্যমে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও বাড়ানোর বিষয়ে একমত হন দুই মন্ত্রী। বাংলাদেশকে আগামী ২০২৬ পর্যন্ত বাংলাদেশি পণ্যে শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকারের জন্য ধন্যবাদ জানান এ কে আবদুল মোমেন। এ সময় বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সংযোগ বাড়ানোর মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বাণিজ্য বাড়ানো বিষয়ে জোর দেন তিনি। 

বাংলাদেশে বিদ্যমান থাই বিনিয়োগের জন্য সাধুবাদ জানিয়ে বিভিন্ন খাতে বিশেষ করে কৃষি খাতে আরও থাই বিনিয়োগের জন্য উৎসাহ দেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ ছাড় ও ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে থাই বিনিয়োগ সম্ভাবনার কথা বলেন তিনি। 

রোহিঙ্গা ইস্যু টেনে বাংলাদেশের ওপর বিদ্যমান চাপ এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে থাই সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের সক্রিয় ভূমিকার আহ্বান জানান এ কে আবদুল মোমেন। 

করোনাকালে ১৭টি ফ্লাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশি ও থাই নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার জন্য থাই সরকারকে সাধুবাদ জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময়ে দুই মন্ত্রী নিজ নিজ দেশের করোনা পরিস্থিতি ও করণীয় নিয়ে আলোচনা করেন। আলাপকালে দুই মন্ত্রী দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের সফরের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। বিশেষ করে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে এ সফর করা গেলে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও বেগবান হবে বলে মত দেন তাঁরা। একই সঙ্গে দুই দেশের আসন্ন দ্বিতীয় পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের সভা ‘ফরেন অফিস কনসালটেশন’-এর বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।