সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
‘র্যাব তৈরি করেছে আমেরিকান ও ব্রিটিশরা। তারা র্যাবকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। শিখিয়েছে, তাদের রুলস অ্যান্ড এনগেজমেন্ট। কীভাবে মানুষের সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে, হাউ টু ইন্টারোগেশন। এগুলো সবকিছু শিখিয়েছে আমেরিকা।’ শুক্রবার দুপুরে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শনকালে র্যাবের কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের র্যাব কাজে-কর্মে অত্যন্ত দক্ষ। তারা খুব ইফেক্টিভ, ভেরি ইফিশিয়েন্ট এবং তারা করাপ্ট নয়। এ জন্যই তারা জনগণের আস্থা অর্জন করেছে। দেশে সন্ত্রাসী (কর্মকাণ্ড) তাদের কারণেই কমে গেছে। গত কয়েক বছরে হলি আর্টিজানের পর আর কোনো সন্ত্রাসী তৎপরতা হয়নি। এটা সম্ভব হয়েছে র্যাবের কারণে। স্বয়ং ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট (মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) সেটা স্বীকার করেছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু লোক যারা আইনশৃঙ্খলা পছন্দ করে না, সন্ত্রাস পছন্দ করে কিংবা অন্য ধরনের ড্রাগ পছন্দ করে, তারাই র্যাবকে পছন্দ করে না। কারণ, র্যাব ড্রাগের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে, হিউম্যান ট্রাফিকিংয়ের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয় এবং অবশ্যই টেরোরেজিমের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয়। তারা (র্যাবকে অপছন্দ করা লোকেরা) দেশে অঘটন ঘটাতে চায়। তার ফলে, তাদের (র্যাব) বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম অপপ্রচার শুরু করেছে। এটা খুবই দুঃখজনক।’
যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক র্যাবের কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা তাঁদের জানাব, হয়তো ঠিকমতো তাঁদের জানাতে পারিনি। সব দেশেই ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিতেই কিছু মৃত্যু হয়। বাংলাদেশেও কিছু হয়েছে। আগে বেশি ছিল, এখন খুব কম হচ্ছে। যখনই একটি মৃত্যু হয়, তখন জুডিশিয়াল প্রসেসে সেটির তদন্ত হয়।’
বিচার বিভাগীয় প্রক্রিয়ায় র্যাবের অন্যায়ের বিচার হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন, দুটি ক্ষেত্রে র্যাব অন্যায় করেছিল সেগুলোর জুডিশিয়াল প্রসেসে বিচার হয়েছে। ওঁদের শাস্তিও হয়। এই র্যাব তৈরি করেছে আমেরিকান ও ব্রিটিশরা।’ তিনি বলেন, ‘তাদের যদি রুলস অব এনগেজমেন্টে কোনো কিছু দুর্বলতা থাকে, এই রুলস অব এনগেজমেন্টে যদি কোনো হিউম্যান রাইটস ভায়োলেট হয়, অবশ্যই আমরা সেখানে নতুন করে ট্রেনিং দিব। কিন্তু কোনো ব্যক্তি বিশেষের ওপর হঠাৎ করে এই যে স্যাংশনগুলো (নিষেধাজ্ঞা) দেওয়া হয়েছে, সেটা কিন্তু খুব জাস্টিফায়েড না।’
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর অন্তত ১ লাখ মানুষ নিখোঁজ হয় উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ওরা বলেছে যে, গত ১০ বছরে ৬০০ জন মিসিং হয়েছে। আমেরিকাতে প্রতি বছর ১ লাখ মিসিং হয়। তো এর দায়দায়িত্ব কে নেবে? আর আমাদের দেশে মিসিং যারা হয়, পরবর্তীতে দেখা যায় আবার সে বের হয়ে আসছে। এসব তথ্য যাচাই-বাছাই না করে বড় বড় বিদেশি লোক না জেনে অভিযোগ করে। যারা অভিযোগ করেছে আমি তাদের আহ্বান করি, বলি, আসেন, দেখেন, লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন, সৎ ঘটনা উদ্ঘাটন করেন। তারপর আপনারা সিদ্ধান্ত নেবেন।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের সহধর্মিণী, যুক্তরাজ্যের ব্যবসা, পর্যটন ও বন্দরমন্ত্রী বিজয় দারিয়ানানি, সুনামগঞ্জ-সিলেটের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শামীমা শাহরিয়ার, যুক্তরাজ্যের এমপি টম হান্ট, যুক্তরাজ্যপ্রবাসী জেডআই ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জিল্লুর হোসাইান, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন প্রমুখ।
‘র্যাব তৈরি করেছে আমেরিকান ও ব্রিটিশরা। তারা র্যাবকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। শিখিয়েছে, তাদের রুলস অ্যান্ড এনগেজমেন্ট। কীভাবে মানুষের সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে, হাউ টু ইন্টারোগেশন। এগুলো সবকিছু শিখিয়েছে আমেরিকা।’ শুক্রবার দুপুরে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শনকালে র্যাবের কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের র্যাব কাজে-কর্মে অত্যন্ত দক্ষ। তারা খুব ইফেক্টিভ, ভেরি ইফিশিয়েন্ট এবং তারা করাপ্ট নয়। এ জন্যই তারা জনগণের আস্থা অর্জন করেছে। দেশে সন্ত্রাসী (কর্মকাণ্ড) তাদের কারণেই কমে গেছে। গত কয়েক বছরে হলি আর্টিজানের পর আর কোনো সন্ত্রাসী তৎপরতা হয়নি। এটা সম্ভব হয়েছে র্যাবের কারণে। স্বয়ং ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট (মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) সেটা স্বীকার করেছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু লোক যারা আইনশৃঙ্খলা পছন্দ করে না, সন্ত্রাস পছন্দ করে কিংবা অন্য ধরনের ড্রাগ পছন্দ করে, তারাই র্যাবকে পছন্দ করে না। কারণ, র্যাব ড্রাগের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে, হিউম্যান ট্রাফিকিংয়ের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয় এবং অবশ্যই টেরোরেজিমের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয়। তারা (র্যাবকে অপছন্দ করা লোকেরা) দেশে অঘটন ঘটাতে চায়। তার ফলে, তাদের (র্যাব) বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম অপপ্রচার শুরু করেছে। এটা খুবই দুঃখজনক।’
যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক র্যাবের কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা তাঁদের জানাব, হয়তো ঠিকমতো তাঁদের জানাতে পারিনি। সব দেশেই ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিতেই কিছু মৃত্যু হয়। বাংলাদেশেও কিছু হয়েছে। আগে বেশি ছিল, এখন খুব কম হচ্ছে। যখনই একটি মৃত্যু হয়, তখন জুডিশিয়াল প্রসেসে সেটির তদন্ত হয়।’
বিচার বিভাগীয় প্রক্রিয়ায় র্যাবের অন্যায়ের বিচার হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন, দুটি ক্ষেত্রে র্যাব অন্যায় করেছিল সেগুলোর জুডিশিয়াল প্রসেসে বিচার হয়েছে। ওঁদের শাস্তিও হয়। এই র্যাব তৈরি করেছে আমেরিকান ও ব্রিটিশরা।’ তিনি বলেন, ‘তাদের যদি রুলস অব এনগেজমেন্টে কোনো কিছু দুর্বলতা থাকে, এই রুলস অব এনগেজমেন্টে যদি কোনো হিউম্যান রাইটস ভায়োলেট হয়, অবশ্যই আমরা সেখানে নতুন করে ট্রেনিং দিব। কিন্তু কোনো ব্যক্তি বিশেষের ওপর হঠাৎ করে এই যে স্যাংশনগুলো (নিষেধাজ্ঞা) দেওয়া হয়েছে, সেটা কিন্তু খুব জাস্টিফায়েড না।’
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর অন্তত ১ লাখ মানুষ নিখোঁজ হয় উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ওরা বলেছে যে, গত ১০ বছরে ৬০০ জন মিসিং হয়েছে। আমেরিকাতে প্রতি বছর ১ লাখ মিসিং হয়। তো এর দায়দায়িত্ব কে নেবে? আর আমাদের দেশে মিসিং যারা হয়, পরবর্তীতে দেখা যায় আবার সে বের হয়ে আসছে। এসব তথ্য যাচাই-বাছাই না করে বড় বড় বিদেশি লোক না জেনে অভিযোগ করে। যারা অভিযোগ করেছে আমি তাদের আহ্বান করি, বলি, আসেন, দেখেন, লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন, সৎ ঘটনা উদ্ঘাটন করেন। তারপর আপনারা সিদ্ধান্ত নেবেন।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের সহধর্মিণী, যুক্তরাজ্যের ব্যবসা, পর্যটন ও বন্দরমন্ত্রী বিজয় দারিয়ানানি, সুনামগঞ্জ-সিলেটের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শামীমা শাহরিয়ার, যুক্তরাজ্যের এমপি টম হান্ট, যুক্তরাজ্যপ্রবাসী জেডআই ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জিল্লুর হোসাইান, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন প্রমুখ।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠানগুলোতে যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে একই জায়গায় কর্মরত আছেন, তাঁদের অন্যত্র বদলির নির্দেশ দিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। একই সঙ্গে তিনি মাঠ-পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে কঠোর...
১ ঘণ্টা আগেছাত্র–জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। এসব কমিশনের একটি হলো সংবিধান সংস্কার কমিশন। গত ১৫ জানুয়ারি এই কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেসংবিধানের প্রস্তাবনায় গণতন্ত্রকে মৌলিক নীতিরূপে বজায় রেখে কমিশন সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার ও বহুত্ববাদ অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে। পাশাপাশি তিনটি নীতি বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। কমিশনের অন্যতম সুপারিশ ছিল ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’কে মৌলিক নীতির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া।
৪ ঘণ্টা আগেজেলা জজ পদমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের বিমানবন্দরে ভিভিআইপি/ ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুযোগ চান সুপ্রিম কোর্ট। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সুপ্রিম কোর্ট গত ১৫ জানুয়ারি আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে। মন্ত্রণালয় এর পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের চাহিদা অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে ২৩ জানুয়ারি...
১১ ঘণ্টা আগে