রাহুল শর্মা, ঢাকা
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার নম্বরপত্র, মূল সনদ তৈরি ও পাঠানোতে এক অর্থবছরেই অতিরিক্ত ১২ কোটি টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ হিসাবে গত ১০ বছরে তাঁদের পকেটে ঢুকেছে অতিরিক্ত ১০০ কোটি টাকার বেশি।
বোর্ডের চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীই এই টাকার ভাগ পান। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মূল সনদ ও নম্বরপত্রের সম্মানীর কাগজপত্রে এবং আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সম্মানীর ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশের তোয়াক্কা করা না হলেও বোর্ডগুলোর দাবি, আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও সংশ্লিষ্ট বোর্ডের অর্থ কমিটির অনুমোদন নিয়েই সম্মানী দেওয়া হচ্ছে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ১৪ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি এখনো আমার নজরে আসেনি। অনিয়ম হয়ে থাকলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জানা যায়, প্রতিবছর এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে নম্বরপত্র ও মূল সনদের জন্য সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ১৫০ টাকা নেয়। এর মধ্যে মূল সনদের জন্য ১০০ ও নম্বরপত্রের জন্য ৫০ টাকা। তবে এসএসসি-এইচএসসির সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মূল সনদের জন্য ১২০ ও নম্বরপত্রের জন্য ৮০ টাকা নেয় । মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড নেয় যথাক্রমে ১০০ ও ৩৫ টাকা।
দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ৯টি। এগুলো হলো ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, সিলেট, যশোর, বরিশাল, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড। বাকি দুটি বোর্ডের একটি কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও অন্যটি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড। ১১টি বোর্ডে কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ হাজার।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৩ সালের ১১ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশে এসএসসি ও এইচএসসির প্রতি মূল সনদ লেখা, যাচাই, স্বাক্ষর ও পাঠানো বাবদ বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানী ৬ টাকা এবং এসএসসির প্রতি নম্বরপত্র লেখা, যাচাই, স্বাক্ষর ও পাঠানো বাবদ সাড়ে ১২ টাকা ও এইচএসসির নম্বরপত্র প্রতি ২২ টাকা সম্মানী নির্ধারণ করা হয়।
তবে এই হার মানছে না বোর্ডগুলো। ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুই পরীক্ষার মূল সনদপ্রতি সম্মানী নিয়েছেন ৬৪ টাকা, যা মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত হারের চেয়ে সাড়ে ১০ গুণের বেশি। এসএসসির নম্বরপত্রপ্রতি নিয়েছেন ২২ টাকা (নির্ধারিত হারের প্রায় দ্বিগুণ) এবং এইচএসসির নম্বরপত্রপ্রতি ৩৭ টাকা (নির্ধারিত হারের দেড় গুণের বেশি)।
এই হিসাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে এ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ১২ কোটি ১০ লাখ ১৪ হাজার ১৪০ টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ৯টি সাধারণ বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর মধ্যে মূল সনদের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় নির্ধারিত সম্মানীর অতিরিক্ত ৯ কোটি ৮ লাখ ১৭ হাজার ১১৯ টাকা এবং নম্বরপত্রের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৩ কোটি ১ লাখ ৯৭ হাজার ২১ টাকা নিয়েছেন তাঁরা।
শিক্ষা বোর্ড সূত্র বলছে, মূল সনদ ও নম্বরপত্র তৈরির সম্মানীর টাকা বোর্ডের অফিস সহায়ক থেকে শুরু করে চেয়ারম্যান পর্যন্ত সবাই পান। বছর শেষে এ বাবদ একজন কর্মচারী-কর্মকর্তা ন্যূনতম ১ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকা পান। এ জন্য বোর্ডের চাকরি লোভনীয় হিসেবে বিবেচিত হয়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মূল সনদ ও নম্বরপত্রের ক্ষেত্রে বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিবছর অতিরিক্ত সম্মানী নেন ন্যূনতম ১০ কোটি টাকা। এই হিসাবে গত ১০ বছরে তাঁরা অতিরিক্ত ১০০ কোটি টাকার বেশি নিয়েছেন। লোপাট না হলে যা থাকত বোর্ডের তহবিলে।
২০২২-৩ অর্থবছরের সম্মানীর কাগজপত্রে দেখা গেছে, মূল সনদপত্রের ক্ষেত্রে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অতিরিক্ত সম্মানী নিয়েছেন ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫৩১ টাকা, রাজশাহী বোর্ডে ১৪ লাখ ৭১ হাজার ১৩৬ টাকা, চট্টগ্রাম বোর্ডে ১ কোটি ১৮ লাখ ৪২ হাজার ১৫০ টাকা, দিনাজপুর বোর্ডে ৭৬ লাখ ৫৩ হাজার ১২৯ টাকা, সিলেট বোর্ডে ১ কোটি ২৯ লাখ ৩৩ হাজার ৬৪৮ টাকা, যশোর বোর্ডে ১ কোটি ৩৯ লাখ ৩১ হাজার ৯২২ টাকা, বরিশাল বোর্ডে ৭০ লাখ ৯৫ হাজার ৪৬৬ টাকা, কুমিল্লা বোর্ডে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৬ হাজার ৬১৭ টাকা ও ময়মনসিংহ বোর্ডে ৫৬ লাখ ৮০ হাজার ৫২০ টাকা।
একই অর্থবছরে নম্বরপত্রের ক্ষেত্রে ঢাকা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অতিরিক্ত ৩০ লাখ ৫৩ টাকা, রাজশাহী বোর্ডের ৪৪ লাখ ৪৯ হাজার ১৮৩ টাকা, চট্টগ্রাম বোর্ডের ৩৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৮ টাকা, দিনাজপুর বোর্ডের ৩৩ লাখ ১৩ হাজার ৪১৫ টাকা, সিলেট বোর্ডের ৫০ লাখ ৮৫ হাজার ৩৩৬ টাকা, যশোর বোর্ডের ২৭ লাখ ৬৫ হাজার ১২৪ টাকা, বরিশাল বোর্ডের ১৮ লাখ ৬০ হাজার ৪৮৬ টাকা, কুমিল্লা বোর্ডের ৩৭ লাখ ৩৩ হাজার ৫৬৯ টাকা এবং ময়মনসিংহ বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সম্মানীর অতিরিক্ত ২৪ লাখ ৯৫ হাজার ৮৫৭ টাকা নেন।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও মূল সনদ ও নম্বরপত্রের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত সম্মানীর চেয়ে বেশি অর্থ নেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে মোবাইলে ফোন করা হলে অধিকাংশ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা মন্তব্য করতে অপারগতা জানান। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির অনুমোদন ও বোর্ডের অর্থ কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে তাঁরা মূল সনদ ও নম্বরপত্রের সম্মানী নির্ধারণ করেছেন এবং সে অনুযায়ী সবাই সম্মানী পাচ্ছেন।
আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার ১৪ অক্টোবর আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্দিষ্ট সম্মানীর বাইরে অর্থ নেওয়ার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলো ১৯৬১ সালের দুটি অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী চলছে। অর্ডিন্যান্সে অনেক ফাঁকফোকর ও অস্পষ্টতা থাকায় এর সুযোগ নিচ্ছেন বোর্ডগুলোর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তিনি বলেন, নানামুখী তৎপরতার কারণে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড আইন-২০২৩ আটকে গেছে। আইনটি হলে বোর্ডগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জবাবদিহির আওতায় আসবেন এবং বোর্ডে আর্থিক শৃঙ্খলা আসবে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারি আদেশ লঙ্ঘন করে নির্ধারিত সম্মানীর অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া অবশ্যই বড় ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি। এর সঙ্গে জড়িত সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনার এবং তদন্ত করে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান তিনি।
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার নম্বরপত্র, মূল সনদ তৈরি ও পাঠানোতে এক অর্থবছরেই অতিরিক্ত ১২ কোটি টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ হিসাবে গত ১০ বছরে তাঁদের পকেটে ঢুকেছে অতিরিক্ত ১০০ কোটি টাকার বেশি।
বোর্ডের চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীই এই টাকার ভাগ পান। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মূল সনদ ও নম্বরপত্রের সম্মানীর কাগজপত্রে এবং আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সম্মানীর ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশের তোয়াক্কা করা না হলেও বোর্ডগুলোর দাবি, আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও সংশ্লিষ্ট বোর্ডের অর্থ কমিটির অনুমোদন নিয়েই সম্মানী দেওয়া হচ্ছে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ১৪ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি এখনো আমার নজরে আসেনি। অনিয়ম হয়ে থাকলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জানা যায়, প্রতিবছর এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে নম্বরপত্র ও মূল সনদের জন্য সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ১৫০ টাকা নেয়। এর মধ্যে মূল সনদের জন্য ১০০ ও নম্বরপত্রের জন্য ৫০ টাকা। তবে এসএসসি-এইচএসসির সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মূল সনদের জন্য ১২০ ও নম্বরপত্রের জন্য ৮০ টাকা নেয় । মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড নেয় যথাক্রমে ১০০ ও ৩৫ টাকা।
দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ৯টি। এগুলো হলো ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, সিলেট, যশোর, বরিশাল, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড। বাকি দুটি বোর্ডের একটি কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও অন্যটি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড। ১১টি বোর্ডে কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ হাজার।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৩ সালের ১১ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশে এসএসসি ও এইচএসসির প্রতি মূল সনদ লেখা, যাচাই, স্বাক্ষর ও পাঠানো বাবদ বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানী ৬ টাকা এবং এসএসসির প্রতি নম্বরপত্র লেখা, যাচাই, স্বাক্ষর ও পাঠানো বাবদ সাড়ে ১২ টাকা ও এইচএসসির নম্বরপত্র প্রতি ২২ টাকা সম্মানী নির্ধারণ করা হয়।
তবে এই হার মানছে না বোর্ডগুলো। ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুই পরীক্ষার মূল সনদপ্রতি সম্মানী নিয়েছেন ৬৪ টাকা, যা মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত হারের চেয়ে সাড়ে ১০ গুণের বেশি। এসএসসির নম্বরপত্রপ্রতি নিয়েছেন ২২ টাকা (নির্ধারিত হারের প্রায় দ্বিগুণ) এবং এইচএসসির নম্বরপত্রপ্রতি ৩৭ টাকা (নির্ধারিত হারের দেড় গুণের বেশি)।
এই হিসাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে এ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ১২ কোটি ১০ লাখ ১৪ হাজার ১৪০ টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ৯টি সাধারণ বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর মধ্যে মূল সনদের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় নির্ধারিত সম্মানীর অতিরিক্ত ৯ কোটি ৮ লাখ ১৭ হাজার ১১৯ টাকা এবং নম্বরপত্রের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৩ কোটি ১ লাখ ৯৭ হাজার ২১ টাকা নিয়েছেন তাঁরা।
শিক্ষা বোর্ড সূত্র বলছে, মূল সনদ ও নম্বরপত্র তৈরির সম্মানীর টাকা বোর্ডের অফিস সহায়ক থেকে শুরু করে চেয়ারম্যান পর্যন্ত সবাই পান। বছর শেষে এ বাবদ একজন কর্মচারী-কর্মকর্তা ন্যূনতম ১ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকা পান। এ জন্য বোর্ডের চাকরি লোভনীয় হিসেবে বিবেচিত হয়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মূল সনদ ও নম্বরপত্রের ক্ষেত্রে বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিবছর অতিরিক্ত সম্মানী নেন ন্যূনতম ১০ কোটি টাকা। এই হিসাবে গত ১০ বছরে তাঁরা অতিরিক্ত ১০০ কোটি টাকার বেশি নিয়েছেন। লোপাট না হলে যা থাকত বোর্ডের তহবিলে।
২০২২-৩ অর্থবছরের সম্মানীর কাগজপত্রে দেখা গেছে, মূল সনদপত্রের ক্ষেত্রে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অতিরিক্ত সম্মানী নিয়েছেন ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫৩১ টাকা, রাজশাহী বোর্ডে ১৪ লাখ ৭১ হাজার ১৩৬ টাকা, চট্টগ্রাম বোর্ডে ১ কোটি ১৮ লাখ ৪২ হাজার ১৫০ টাকা, দিনাজপুর বোর্ডে ৭৬ লাখ ৫৩ হাজার ১২৯ টাকা, সিলেট বোর্ডে ১ কোটি ২৯ লাখ ৩৩ হাজার ৬৪৮ টাকা, যশোর বোর্ডে ১ কোটি ৩৯ লাখ ৩১ হাজার ৯২২ টাকা, বরিশাল বোর্ডে ৭০ লাখ ৯৫ হাজার ৪৬৬ টাকা, কুমিল্লা বোর্ডে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৬ হাজার ৬১৭ টাকা ও ময়মনসিংহ বোর্ডে ৫৬ লাখ ৮০ হাজার ৫২০ টাকা।
একই অর্থবছরে নম্বরপত্রের ক্ষেত্রে ঢাকা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অতিরিক্ত ৩০ লাখ ৫৩ টাকা, রাজশাহী বোর্ডের ৪৪ লাখ ৪৯ হাজার ১৮৩ টাকা, চট্টগ্রাম বোর্ডের ৩৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৮ টাকা, দিনাজপুর বোর্ডের ৩৩ লাখ ১৩ হাজার ৪১৫ টাকা, সিলেট বোর্ডের ৫০ লাখ ৮৫ হাজার ৩৩৬ টাকা, যশোর বোর্ডের ২৭ লাখ ৬৫ হাজার ১২৪ টাকা, বরিশাল বোর্ডের ১৮ লাখ ৬০ হাজার ৪৮৬ টাকা, কুমিল্লা বোর্ডের ৩৭ লাখ ৩৩ হাজার ৫৬৯ টাকা এবং ময়মনসিংহ বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সম্মানীর অতিরিক্ত ২৪ লাখ ৯৫ হাজার ৮৫৭ টাকা নেন।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও মূল সনদ ও নম্বরপত্রের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত সম্মানীর চেয়ে বেশি অর্থ নেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে মোবাইলে ফোন করা হলে অধিকাংশ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা মন্তব্য করতে অপারগতা জানান। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির অনুমোদন ও বোর্ডের অর্থ কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে তাঁরা মূল সনদ ও নম্বরপত্রের সম্মানী নির্ধারণ করেছেন এবং সে অনুযায়ী সবাই সম্মানী পাচ্ছেন।
আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার ১৪ অক্টোবর আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্দিষ্ট সম্মানীর বাইরে অর্থ নেওয়ার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলো ১৯৬১ সালের দুটি অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী চলছে। অর্ডিন্যান্সে অনেক ফাঁকফোকর ও অস্পষ্টতা থাকায় এর সুযোগ নিচ্ছেন বোর্ডগুলোর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তিনি বলেন, নানামুখী তৎপরতার কারণে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড আইন-২০২৩ আটকে গেছে। আইনটি হলে বোর্ডগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জবাবদিহির আওতায় আসবেন এবং বোর্ডে আর্থিক শৃঙ্খলা আসবে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারি আদেশ লঙ্ঘন করে নির্ধারিত সম্মানীর অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া অবশ্যই বড় ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি। এর সঙ্গে জড়িত সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনার এবং তদন্ত করে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান তিনি।
রাহুল শর্মা, ঢাকা
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার নম্বরপত্র, মূল সনদ তৈরি ও পাঠানোতে এক অর্থবছরেই অতিরিক্ত ১২ কোটি টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ হিসাবে গত ১০ বছরে তাঁদের পকেটে ঢুকেছে অতিরিক্ত ১০০ কোটি টাকার বেশি।
বোর্ডের চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীই এই টাকার ভাগ পান। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মূল সনদ ও নম্বরপত্রের সম্মানীর কাগজপত্রে এবং আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সম্মানীর ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশের তোয়াক্কা করা না হলেও বোর্ডগুলোর দাবি, আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও সংশ্লিষ্ট বোর্ডের অর্থ কমিটির অনুমোদন নিয়েই সম্মানী দেওয়া হচ্ছে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ১৪ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি এখনো আমার নজরে আসেনি। অনিয়ম হয়ে থাকলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জানা যায়, প্রতিবছর এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে নম্বরপত্র ও মূল সনদের জন্য সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ১৫০ টাকা নেয়। এর মধ্যে মূল সনদের জন্য ১০০ ও নম্বরপত্রের জন্য ৫০ টাকা। তবে এসএসসি-এইচএসসির সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মূল সনদের জন্য ১২০ ও নম্বরপত্রের জন্য ৮০ টাকা নেয় । মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড নেয় যথাক্রমে ১০০ ও ৩৫ টাকা।
দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ৯টি। এগুলো হলো ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, সিলেট, যশোর, বরিশাল, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড। বাকি দুটি বোর্ডের একটি কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও অন্যটি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড। ১১টি বোর্ডে কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ হাজার।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৩ সালের ১১ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশে এসএসসি ও এইচএসসির প্রতি মূল সনদ লেখা, যাচাই, স্বাক্ষর ও পাঠানো বাবদ বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানী ৬ টাকা এবং এসএসসির প্রতি নম্বরপত্র লেখা, যাচাই, স্বাক্ষর ও পাঠানো বাবদ সাড়ে ১২ টাকা ও এইচএসসির নম্বরপত্র প্রতি ২২ টাকা সম্মানী নির্ধারণ করা হয়।
তবে এই হার মানছে না বোর্ডগুলো। ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুই পরীক্ষার মূল সনদপ্রতি সম্মানী নিয়েছেন ৬৪ টাকা, যা মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত হারের চেয়ে সাড়ে ১০ গুণের বেশি। এসএসসির নম্বরপত্রপ্রতি নিয়েছেন ২২ টাকা (নির্ধারিত হারের প্রায় দ্বিগুণ) এবং এইচএসসির নম্বরপত্রপ্রতি ৩৭ টাকা (নির্ধারিত হারের দেড় গুণের বেশি)।
এই হিসাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে এ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ১২ কোটি ১০ লাখ ১৪ হাজার ১৪০ টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ৯টি সাধারণ বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর মধ্যে মূল সনদের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় নির্ধারিত সম্মানীর অতিরিক্ত ৯ কোটি ৮ লাখ ১৭ হাজার ১১৯ টাকা এবং নম্বরপত্রের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৩ কোটি ১ লাখ ৯৭ হাজার ২১ টাকা নিয়েছেন তাঁরা।
শিক্ষা বোর্ড সূত্র বলছে, মূল সনদ ও নম্বরপত্র তৈরির সম্মানীর টাকা বোর্ডের অফিস সহায়ক থেকে শুরু করে চেয়ারম্যান পর্যন্ত সবাই পান। বছর শেষে এ বাবদ একজন কর্মচারী-কর্মকর্তা ন্যূনতম ১ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকা পান। এ জন্য বোর্ডের চাকরি লোভনীয় হিসেবে বিবেচিত হয়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মূল সনদ ও নম্বরপত্রের ক্ষেত্রে বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিবছর অতিরিক্ত সম্মানী নেন ন্যূনতম ১০ কোটি টাকা। এই হিসাবে গত ১০ বছরে তাঁরা অতিরিক্ত ১০০ কোটি টাকার বেশি নিয়েছেন। লোপাট না হলে যা থাকত বোর্ডের তহবিলে।
২০২২-৩ অর্থবছরের সম্মানীর কাগজপত্রে দেখা গেছে, মূল সনদপত্রের ক্ষেত্রে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অতিরিক্ত সম্মানী নিয়েছেন ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫৩১ টাকা, রাজশাহী বোর্ডে ১৪ লাখ ৭১ হাজার ১৩৬ টাকা, চট্টগ্রাম বোর্ডে ১ কোটি ১৮ লাখ ৪২ হাজার ১৫০ টাকা, দিনাজপুর বোর্ডে ৭৬ লাখ ৫৩ হাজার ১২৯ টাকা, সিলেট বোর্ডে ১ কোটি ২৯ লাখ ৩৩ হাজার ৬৪৮ টাকা, যশোর বোর্ডে ১ কোটি ৩৯ লাখ ৩১ হাজার ৯২২ টাকা, বরিশাল বোর্ডে ৭০ লাখ ৯৫ হাজার ৪৬৬ টাকা, কুমিল্লা বোর্ডে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৬ হাজার ৬১৭ টাকা ও ময়মনসিংহ বোর্ডে ৫৬ লাখ ৮০ হাজার ৫২০ টাকা।
একই অর্থবছরে নম্বরপত্রের ক্ষেত্রে ঢাকা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অতিরিক্ত ৩০ লাখ ৫৩ টাকা, রাজশাহী বোর্ডের ৪৪ লাখ ৪৯ হাজার ১৮৩ টাকা, চট্টগ্রাম বোর্ডের ৩৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৮ টাকা, দিনাজপুর বোর্ডের ৩৩ লাখ ১৩ হাজার ৪১৫ টাকা, সিলেট বোর্ডের ৫০ লাখ ৮৫ হাজার ৩৩৬ টাকা, যশোর বোর্ডের ২৭ লাখ ৬৫ হাজার ১২৪ টাকা, বরিশাল বোর্ডের ১৮ লাখ ৬০ হাজার ৪৮৬ টাকা, কুমিল্লা বোর্ডের ৩৭ লাখ ৩৩ হাজার ৫৬৯ টাকা এবং ময়মনসিংহ বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সম্মানীর অতিরিক্ত ২৪ লাখ ৯৫ হাজার ৮৫৭ টাকা নেন।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও মূল সনদ ও নম্বরপত্রের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত সম্মানীর চেয়ে বেশি অর্থ নেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে মোবাইলে ফোন করা হলে অধিকাংশ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা মন্তব্য করতে অপারগতা জানান। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির অনুমোদন ও বোর্ডের অর্থ কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে তাঁরা মূল সনদ ও নম্বরপত্রের সম্মানী নির্ধারণ করেছেন এবং সে অনুযায়ী সবাই সম্মানী পাচ্ছেন।
আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার ১৪ অক্টোবর আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্দিষ্ট সম্মানীর বাইরে অর্থ নেওয়ার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলো ১৯৬১ সালের দুটি অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী চলছে। অর্ডিন্যান্সে অনেক ফাঁকফোকর ও অস্পষ্টতা থাকায় এর সুযোগ নিচ্ছেন বোর্ডগুলোর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তিনি বলেন, নানামুখী তৎপরতার কারণে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড আইন-২০২৩ আটকে গেছে। আইনটি হলে বোর্ডগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জবাবদিহির আওতায় আসবেন এবং বোর্ডে আর্থিক শৃঙ্খলা আসবে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারি আদেশ লঙ্ঘন করে নির্ধারিত সম্মানীর অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া অবশ্যই বড় ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি। এর সঙ্গে জড়িত সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনার এবং তদন্ত করে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান তিনি।
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার নম্বরপত্র, মূল সনদ তৈরি ও পাঠানোতে এক অর্থবছরেই অতিরিক্ত ১২ কোটি টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ হিসাবে গত ১০ বছরে তাঁদের পকেটে ঢুকেছে অতিরিক্ত ১০০ কোটি টাকার বেশি।
বোর্ডের চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীই এই টাকার ভাগ পান। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মূল সনদ ও নম্বরপত্রের সম্মানীর কাগজপত্রে এবং আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সম্মানীর ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশের তোয়াক্কা করা না হলেও বোর্ডগুলোর দাবি, আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও সংশ্লিষ্ট বোর্ডের অর্থ কমিটির অনুমোদন নিয়েই সম্মানী দেওয়া হচ্ছে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ১৪ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি এখনো আমার নজরে আসেনি। অনিয়ম হয়ে থাকলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জানা যায়, প্রতিবছর এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে নম্বরপত্র ও মূল সনদের জন্য সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ১৫০ টাকা নেয়। এর মধ্যে মূল সনদের জন্য ১০০ ও নম্বরপত্রের জন্য ৫০ টাকা। তবে এসএসসি-এইচএসসির সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মূল সনদের জন্য ১২০ ও নম্বরপত্রের জন্য ৮০ টাকা নেয় । মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড নেয় যথাক্রমে ১০০ ও ৩৫ টাকা।
দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ৯টি। এগুলো হলো ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, সিলেট, যশোর, বরিশাল, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড। বাকি দুটি বোর্ডের একটি কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও অন্যটি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড। ১১টি বোর্ডে কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ হাজার।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৩ সালের ১১ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশে এসএসসি ও এইচএসসির প্রতি মূল সনদ লেখা, যাচাই, স্বাক্ষর ও পাঠানো বাবদ বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানী ৬ টাকা এবং এসএসসির প্রতি নম্বরপত্র লেখা, যাচাই, স্বাক্ষর ও পাঠানো বাবদ সাড়ে ১২ টাকা ও এইচএসসির নম্বরপত্র প্রতি ২২ টাকা সম্মানী নির্ধারণ করা হয়।
তবে এই হার মানছে না বোর্ডগুলো। ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুই পরীক্ষার মূল সনদপ্রতি সম্মানী নিয়েছেন ৬৪ টাকা, যা মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত হারের চেয়ে সাড়ে ১০ গুণের বেশি। এসএসসির নম্বরপত্রপ্রতি নিয়েছেন ২২ টাকা (নির্ধারিত হারের প্রায় দ্বিগুণ) এবং এইচএসসির নম্বরপত্রপ্রতি ৩৭ টাকা (নির্ধারিত হারের দেড় গুণের বেশি)।
এই হিসাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে এ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ১২ কোটি ১০ লাখ ১৪ হাজার ১৪০ টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ৯টি সাধারণ বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর মধ্যে মূল সনদের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় নির্ধারিত সম্মানীর অতিরিক্ত ৯ কোটি ৮ লাখ ১৭ হাজার ১১৯ টাকা এবং নম্বরপত্রের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৩ কোটি ১ লাখ ৯৭ হাজার ২১ টাকা নিয়েছেন তাঁরা।
শিক্ষা বোর্ড সূত্র বলছে, মূল সনদ ও নম্বরপত্র তৈরির সম্মানীর টাকা বোর্ডের অফিস সহায়ক থেকে শুরু করে চেয়ারম্যান পর্যন্ত সবাই পান। বছর শেষে এ বাবদ একজন কর্মচারী-কর্মকর্তা ন্যূনতম ১ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকা পান। এ জন্য বোর্ডের চাকরি লোভনীয় হিসেবে বিবেচিত হয়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মূল সনদ ও নম্বরপত্রের ক্ষেত্রে বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিবছর অতিরিক্ত সম্মানী নেন ন্যূনতম ১০ কোটি টাকা। এই হিসাবে গত ১০ বছরে তাঁরা অতিরিক্ত ১০০ কোটি টাকার বেশি নিয়েছেন। লোপাট না হলে যা থাকত বোর্ডের তহবিলে।
২০২২-৩ অর্থবছরের সম্মানীর কাগজপত্রে দেখা গেছে, মূল সনদপত্রের ক্ষেত্রে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অতিরিক্ত সম্মানী নিয়েছেন ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫৩১ টাকা, রাজশাহী বোর্ডে ১৪ লাখ ৭১ হাজার ১৩৬ টাকা, চট্টগ্রাম বোর্ডে ১ কোটি ১৮ লাখ ৪২ হাজার ১৫০ টাকা, দিনাজপুর বোর্ডে ৭৬ লাখ ৫৩ হাজার ১২৯ টাকা, সিলেট বোর্ডে ১ কোটি ২৯ লাখ ৩৩ হাজার ৬৪৮ টাকা, যশোর বোর্ডে ১ কোটি ৩৯ লাখ ৩১ হাজার ৯২২ টাকা, বরিশাল বোর্ডে ৭০ লাখ ৯৫ হাজার ৪৬৬ টাকা, কুমিল্লা বোর্ডে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৬ হাজার ৬১৭ টাকা ও ময়মনসিংহ বোর্ডে ৫৬ লাখ ৮০ হাজার ৫২০ টাকা।
একই অর্থবছরে নম্বরপত্রের ক্ষেত্রে ঢাকা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অতিরিক্ত ৩০ লাখ ৫৩ টাকা, রাজশাহী বোর্ডের ৪৪ লাখ ৪৯ হাজার ১৮৩ টাকা, চট্টগ্রাম বোর্ডের ৩৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৮ টাকা, দিনাজপুর বোর্ডের ৩৩ লাখ ১৩ হাজার ৪১৫ টাকা, সিলেট বোর্ডের ৫০ লাখ ৮৫ হাজার ৩৩৬ টাকা, যশোর বোর্ডের ২৭ লাখ ৬৫ হাজার ১২৪ টাকা, বরিশাল বোর্ডের ১৮ লাখ ৬০ হাজার ৪৮৬ টাকা, কুমিল্লা বোর্ডের ৩৭ লাখ ৩৩ হাজার ৫৬৯ টাকা এবং ময়মনসিংহ বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সম্মানীর অতিরিক্ত ২৪ লাখ ৯৫ হাজার ৮৫৭ টাকা নেন।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও মূল সনদ ও নম্বরপত্রের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত সম্মানীর চেয়ে বেশি অর্থ নেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে মোবাইলে ফোন করা হলে অধিকাংশ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা মন্তব্য করতে অপারগতা জানান। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির অনুমোদন ও বোর্ডের অর্থ কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে তাঁরা মূল সনদ ও নম্বরপত্রের সম্মানী নির্ধারণ করেছেন এবং সে অনুযায়ী সবাই সম্মানী পাচ্ছেন।
আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার ১৪ অক্টোবর আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্দিষ্ট সম্মানীর বাইরে অর্থ নেওয়ার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলো ১৯৬১ সালের দুটি অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী চলছে। অর্ডিন্যান্সে অনেক ফাঁকফোকর ও অস্পষ্টতা থাকায় এর সুযোগ নিচ্ছেন বোর্ডগুলোর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তিনি বলেন, নানামুখী তৎপরতার কারণে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড আইন-২০২৩ আটকে গেছে। আইনটি হলে বোর্ডগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জবাবদিহির আওতায় আসবেন এবং বোর্ডে আর্থিক শৃঙ্খলা আসবে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারি আদেশ লঙ্ঘন করে নির্ধারিত সম্মানীর অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া অবশ্যই বড় ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি। এর সঙ্গে জড়িত সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনার এবং তদন্ত করে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান তিনি।
আমির হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আফতাবনগরে মামা কফিশপ নামের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন তিনি। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রামপুরা খালের সাঁকো পার হয়ে প্রধান সড়কে গেলে দেখতে পান পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছেন। ভয়ে তিনি পাশের একটি
১০ মিনিট আগেআসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেপলাতক হিসেবে কারা বিবেচিত হবেন—এ প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে, অথচ হাজির হননি, পরে তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে—তাঁরাই পলাতক বলে গণ্য হবেন।
২ ঘণ্টা আগেআসামিদের কোনো অনুশোচনা হয়নি, তাঁরা উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর রামপুরায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছাদের রডে ঝুলে থাকা অবস্থায় পুলিশ পায়ে ছয়টি গুলি করে বলে জানিয়েছেন আমির হোসেন নামে এক তরুণ।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ সাক্ষ্য দেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রামপুরায় চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্যের পর প্রথম সাক্ষ্য দেন ১৮ বছরের এই তরুণ।
এই মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির খিলগাঁও অঞ্চলের সাবেক এডিসি মো. রাশেদুল ইসলাম, রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান, রামপুরা থানার সাবেক এসআই তারিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও রামপুরা পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকারকে আসামি করা হয়েছে।
এর মধ্যে চঞ্চল চন্দ্র সরকার গ্রেপ্তার হলেও বাকিরা পলাতক।
আমির হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আফতাবনগরে মামা কফিশপ নামের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন তিনি। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রামপুরা খালের সাঁকো পার হয়ে প্রধান সড়কে গেলে দেখতে পান পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছে। ভয়ে তিনি পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনের চারতলার ছাদে উঠে যান। তিনজন পুলিশ সদস্য তখন তাঁর পিছু নিলে তিনি ছাদের একটি রড ধরে ঝুলতে থাকেন।
আমির হোসেন বলেন, সে সময় পুলিশের এক সদস্য তাঁকে নিচে ঝাঁপ দিতে বলেন। তা না করলে তিনি পিস্তল দিয়ে পরপর তিনটি গুলি করেন। তিনটি গুলিই পায়ে বিদ্ধ হয়। এরপর আরেকজন পুলিশ পিস্তল দিয়ে তাঁর দিকে আরও তিনটি গুলি ছোড়েন। সেই গুলিও তাঁর পায়ে লাগে। এরপর জ্ঞান হারান তিনি। জ্ঞান ফিরলে নিজেকে ফেমাস হাসপাতালে পান তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর রামপুরায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছাদের রডে ঝুলে থাকা অবস্থায় পুলিশ পায়ে ছয়টি গুলি করে বলে জানিয়েছেন আমির হোসেন নামে এক তরুণ।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ সাক্ষ্য দেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রামপুরায় চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্যের পর প্রথম সাক্ষ্য দেন ১৮ বছরের এই তরুণ।
এই মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির খিলগাঁও অঞ্চলের সাবেক এডিসি মো. রাশেদুল ইসলাম, রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান, রামপুরা থানার সাবেক এসআই তারিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও রামপুরা পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকারকে আসামি করা হয়েছে।
এর মধ্যে চঞ্চল চন্দ্র সরকার গ্রেপ্তার হলেও বাকিরা পলাতক।
আমির হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আফতাবনগরে মামা কফিশপ নামের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন তিনি। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রামপুরা খালের সাঁকো পার হয়ে প্রধান সড়কে গেলে দেখতে পান পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছে। ভয়ে তিনি পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনের চারতলার ছাদে উঠে যান। তিনজন পুলিশ সদস্য তখন তাঁর পিছু নিলে তিনি ছাদের একটি রড ধরে ঝুলতে থাকেন।
আমির হোসেন বলেন, সে সময় পুলিশের এক সদস্য তাঁকে নিচে ঝাঁপ দিতে বলেন। তা না করলে তিনি পিস্তল দিয়ে পরপর তিনটি গুলি করেন। তিনটি গুলিই পায়ে বিদ্ধ হয়। এরপর আরেকজন পুলিশ পিস্তল দিয়ে তাঁর দিকে আরও তিনটি গুলি ছোড়েন। সেই গুলিও তাঁর পায়ে লাগে। এরপর জ্ঞান হারান তিনি। জ্ঞান ফিরলে নিজেকে ফেমাস হাসপাতালে পান তিনি।
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার নম্বরপত্র, মূল সনদ তৈরি ও পাঠানোতে এক অর্থবছরেই অতিরিক্ত ১২ কোটি টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
২০ অক্টোবর ২০২৪আসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেপলাতক হিসেবে কারা বিবেচিত হবেন—এ প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে, অথচ হাজির হননি, পরে তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে—তাঁরাই পলাতক বলে গণ্য হবেন।
২ ঘণ্টা আগেআসামিদের কোনো অনুশোচনা হয়নি, তাঁরা উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গৃহকর্মী ও নাবিকদের শ্রমিকের মর্যাদা দিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সুপারিশে সংশোধিত শ্রম অধ্যাদেশ-২০২৫ পাস করা হয়েছে।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের আজকের বৈঠকে এই অধ্যাদেশ পাস হয়।
আসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, আগে কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে বেতন বৈষম্য ছিল। সেটি তুলে দেওয়া হয়েছে। একই কাজের জন্য আগে নারীরা কম বেতন পেতেন। সেটিও তুলে দেওয়া হয়েছে। এখন তাঁরা সমহারে বেতন পাবেন। কর্মক্ষেত্রে কোনো দুর্ঘটনায় অঙ্গহানি হলে সেখানে ফান্ড গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ফান্ডের সহায়তায় পুনর্বাসন ও চিকিৎসা হবে।
গৃহকর্মী ও নাবিকদের শ্রমিকের মর্যাদা দিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সুপারিশে সংশোধিত শ্রম অধ্যাদেশ-২০২৫ পাস করা হয়েছে।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের আজকের বৈঠকে এই অধ্যাদেশ পাস হয়।
আসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, আগে কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে বেতন বৈষম্য ছিল। সেটি তুলে দেওয়া হয়েছে। একই কাজের জন্য আগে নারীরা কম বেতন পেতেন। সেটিও তুলে দেওয়া হয়েছে। এখন তাঁরা সমহারে বেতন পাবেন। কর্মক্ষেত্রে কোনো দুর্ঘটনায় অঙ্গহানি হলে সেখানে ফান্ড গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ফান্ডের সহায়তায় পুনর্বাসন ও চিকিৎসা হবে।
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার নম্বরপত্র, মূল সনদ তৈরি ও পাঠানোতে এক অর্থবছরেই অতিরিক্ত ১২ কোটি টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
২০ অক্টোবর ২০২৪আমির হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আফতাবনগরে মামা কফিশপ নামের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন তিনি। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রামপুরা খালের সাঁকো পার হয়ে প্রধান সড়কে গেলে দেখতে পান পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছেন। ভয়ে তিনি পাশের একটি
১০ মিনিট আগেপলাতক হিসেবে কারা বিবেচিত হবেন—এ প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে, অথচ হাজির হননি, পরে তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে—তাঁরাই পলাতক বলে গণ্য হবেন।
২ ঘণ্টা আগেআসামিদের কোনো অনুশোচনা হয়নি, তাঁরা উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সংসদ নির্বাচনে কোনো পলাতক আসামি অংশ নিতে পারবেন না—এমন বিধান যুক্ত করে নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
আইন উপদেষ্টা জানিয়েছেন, তেজগাঁওয়ে আজ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরপিও সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করে উপদেষ্টা পরিষদ।
পলাতক হিসেবে কারা বিবেচিত হবেন—এ প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে, অথচ হাজির হননি, পরে তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে—তাঁরাই পলাতক বলে গণ্য হবেন।
উপদেষ্টা পরিষদ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রথা বাতিল করেছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের আয়-ব্যয়ের যাবতীয় হিসাব ছাড়াও দেশে-বিদেশে থাকা সব সম্পত্তির বিবরণ হলফনামায় দিতে হবে। এই হলফনামা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে।
সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের জনপ্রতি জামানত বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান আইন উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, আগে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের জনপ্রতি জামানত ছিল ২০ হাজার টাকা। সেটি বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। অধ্যাদেশে ‘না’ ভোটের বিধান রাখা হয়েছে। কোনো নির্বাচনী এলাকায় মাত্র একজন প্রার্থী থাকলে সেখানে ‘না’ ভোট হবে। ‘না’ ভোট বেশি পড়লে ওই আসনে পুনরায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
আসিফ নজরুল বলেন, আগে নির্বাচনী কাজে সম্পৃক্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ হাজারখানেক মানুষ ভোটদানে বিরত থাকতেন। তাঁদের জন্য এবার পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রবাসীদের জন্যও পোস্টাল ব্যালটে ভোটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, আগে কোনো কেন্দ্রে গন্ডগোল হলে সেখানে ভোট বাতিল করা হতো। সংশোধিত আদেশে নির্বাচন কমিশন চাইলে এখন পুরো আসনের ভোট বাতিল করতে পারবে। সে ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে।
সংসদ নির্বাচনে কোনো পলাতক আসামি অংশ নিতে পারবেন না—এমন বিধান যুক্ত করে নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
আইন উপদেষ্টা জানিয়েছেন, তেজগাঁওয়ে আজ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরপিও সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করে উপদেষ্টা পরিষদ।
পলাতক হিসেবে কারা বিবেচিত হবেন—এ প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে, অথচ হাজির হননি, পরে তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে—তাঁরাই পলাতক বলে গণ্য হবেন।
উপদেষ্টা পরিষদ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রথা বাতিল করেছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের আয়-ব্যয়ের যাবতীয় হিসাব ছাড়াও দেশে-বিদেশে থাকা সব সম্পত্তির বিবরণ হলফনামায় দিতে হবে। এই হলফনামা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে।
সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের জনপ্রতি জামানত বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান আইন উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, আগে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের জনপ্রতি জামানত ছিল ২০ হাজার টাকা। সেটি বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। অধ্যাদেশে ‘না’ ভোটের বিধান রাখা হয়েছে। কোনো নির্বাচনী এলাকায় মাত্র একজন প্রার্থী থাকলে সেখানে ‘না’ ভোট হবে। ‘না’ ভোট বেশি পড়লে ওই আসনে পুনরায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
আসিফ নজরুল বলেন, আগে নির্বাচনী কাজে সম্পৃক্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ হাজারখানেক মানুষ ভোটদানে বিরত থাকতেন। তাঁদের জন্য এবার পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রবাসীদের জন্যও পোস্টাল ব্যালটে ভোটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, আগে কোনো কেন্দ্রে গন্ডগোল হলে সেখানে ভোট বাতিল করা হতো। সংশোধিত আদেশে নির্বাচন কমিশন চাইলে এখন পুরো আসনের ভোট বাতিল করতে পারবে। সে ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে।
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার নম্বরপত্র, মূল সনদ তৈরি ও পাঠানোতে এক অর্থবছরেই অতিরিক্ত ১২ কোটি টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
২০ অক্টোবর ২০২৪আমির হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আফতাবনগরে মামা কফিশপ নামের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন তিনি। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রামপুরা খালের সাঁকো পার হয়ে প্রধান সড়কে গেলে দেখতে পান পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছেন। ভয়ে তিনি পাশের একটি
১০ মিনিট আগেআসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেআসামিদের কোনো অনুশোচনা হয়নি, তাঁরা উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আসামিদের কোনো অনুশোচনা হয়নি, তাঁরা উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বৃহস্পতিবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় এ কথা বলেন তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, সবকিছু অকাট্যভাবে প্রমাণ করা হয়েছে। পৃথিবীর যেকোনো আদালতে এগুলো অকাট্য হিসেবে প্রমাণিত হবে। যাঁদের এখানে আসামি করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা হয়নি। উল্টো কদিন আগে সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে। তবে সেনাবাহিনী সে ফাঁদে পা দেয়নি।
আইনের প্রসঙ্গে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এটি বিশেষ আইন। এটাকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে সংবিধান দ্বারা। আন্তর্জাতিক আদালতের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই আইন সংশোধন করা হয়েছে।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ভবিষ্যতে কোনো শাসক যদি জনগণকে হত্যা করার চেষ্টা করে; এই বিচার তাঁদের জন্য প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করবে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ছাড়া এই মামলার অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন।
শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে মামলায় আজকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এ ছাড়া শেষ দিনে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা পালিয়ে যাননি। তাঁকে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। আর সাবেক আইজিপি নিজে বাঁচার জন্য অন্যের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেছেন। তাঁর বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।’
আমির হোসেন মনে করেন, ন্যায়বিচার হলে আসামিরা খালাস পাবেন।
আরও খবর পড়ুন:
আসামিদের কোনো অনুশোচনা হয়নি, তাঁরা উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বৃহস্পতিবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় এ কথা বলেন তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, সবকিছু অকাট্যভাবে প্রমাণ করা হয়েছে। পৃথিবীর যেকোনো আদালতে এগুলো অকাট্য হিসেবে প্রমাণিত হবে। যাঁদের এখানে আসামি করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা হয়নি। উল্টো কদিন আগে সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে। তবে সেনাবাহিনী সে ফাঁদে পা দেয়নি।
আইনের প্রসঙ্গে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এটি বিশেষ আইন। এটাকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে সংবিধান দ্বারা। আন্তর্জাতিক আদালতের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই আইন সংশোধন করা হয়েছে।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ভবিষ্যতে কোনো শাসক যদি জনগণকে হত্যা করার চেষ্টা করে; এই বিচার তাঁদের জন্য প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করবে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ছাড়া এই মামলার অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন।
শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে মামলায় আজকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এ ছাড়া শেষ দিনে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা পালিয়ে যাননি। তাঁকে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। আর সাবেক আইজিপি নিজে বাঁচার জন্য অন্যের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেছেন। তাঁর বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।’
আমির হোসেন মনে করেন, ন্যায়বিচার হলে আসামিরা খালাস পাবেন।
আরও খবর পড়ুন:
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার নম্বরপত্র, মূল সনদ তৈরি ও পাঠানোতে এক অর্থবছরেই অতিরিক্ত ১২ কোটি টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
২০ অক্টোবর ২০২৪আমির হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আফতাবনগরে মামা কফিশপ নামের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন তিনি। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রামপুরা খালের সাঁকো পার হয়ে প্রধান সড়কে গেলে দেখতে পান পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছেন। ভয়ে তিনি পাশের একটি
১০ মিনিট আগেআসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেপলাতক হিসেবে কারা বিবেচিত হবেন—এ প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে, অথচ হাজির হননি, পরে তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে—তাঁরাই পলাতক বলে গণ্য হবেন।
২ ঘণ্টা আগে