কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম বহনকারী জাহাজ ‘উরসা মেজর’ ভিড়তে না দেওয়া বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী বলে বিবৃতি দিয়েছে রাশিয়া। গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশের মোংলা বন্দরে রাশিয়ার জাহাজটি ভিড়তে দেওয়া হয়নি। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের চাপকেই দায়ী করছে রাশিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের রাশিয়াবিরোধী নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মস্কোয় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন। আজ সোমবার ঢাকার রাশিয়া দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, জাহাজটি গ্রহণের জন্য আগের দেওয়া সম্মতি বাংলাদেশ বাতিল করেছে মার্কিন চাপে। এতে সরঞ্জামগুলো পৌঁছানো মাসখানেক পিছিয়ে গেল। এটা বাংলাদেশের স্বার্থের জন্য অনুকূল নয়। রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে মার্কিনরা প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে, অন্য দেশের রাজনীতিক ও জনগণকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে, এমনটা উল্লেখ করে মারিয়া জাখারোভা বলেন, অনেক দেশের এসব চাপ মোকাবিলার সক্ষমতা নেই।
চাপের মুখে রাশিয়াবিরোধী নিষেধাজ্ঞায় অন্য দেশগুলোকে যোগদান করতে বাধ্য করাকে বেআইনি উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয় এসব তৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
এর আগে গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম বহনকারী রাশিয়ার জাহাজ ‘উরসা মেজর’ ভারতের বন্দরেও মালামাল খালাস করতে পারেনি। জাহাজটির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকায় জাহাজটিকে বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকতে দেয়নি বাংলাদেশ সরকার। কাছাকাছি ভারতের হলদিয়া বন্দরে সরঞ্জাম নামিয়ে সড়কপথে বাংলাদেশে পাঠাতে চেয়েছিল বিদ্যুৎকেন্দ্রের রাশিয়ান ঠিকাদার।
রূপপুরের সরঞ্জাম নিয়ে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে গত ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশের মোংলা বন্দরের দিকে যাত্রা করে ‘উরসা মেজর’। ‘স্পার্টা-৩’ নামের জাহাজটির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আছে এবং এই জাহাজটিই নাম ও রং বদলে ‘উরসা মেজর’ হিসেবে চলছে, এমন তথ্য ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বাংলাদেশ সরকারের নজরে আনে। এরপর জাহাজটিকে দেশের সমুদ্রসীমায় প্রবেশ করতে দিতে অস্বীকৃতি জানায় সরকার।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মেনে জাহাজটিকে ভিড়তে না দিলে ‘বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কে প্রভাব পড়বে’ এমন হুমকি দেওয়া হয়েছিল দেশটির পক্ষ থেকে। তবে সরকার শেষ পর্যন্ত রুশ হুমকি অগ্রাহ্য করে জাহাজটিকে বন্দরে ভিড়তে না দেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল থেকেছে বলে জানিয়েছে কূটনৈতিক সূত্রগুলো।
জাহাজটিকে ভারতে ভিড়িয়ে সড়কপথে রূপপুরের সরঞ্জাম বাংলাদেশে আনার বিষয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী গত ২৯ ডিসেম্বর ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে বৈঠক করেন।
নিষেধাজ্ঞায় থাকা জাহাজটি নিজেদের বন্দরে ভিড়লে ভারতের আপত্তি থাকবে না, এমন তথ্য ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে জানায় দেশটির কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। পরে ভারত এই অবস্থান থেকে সরে আসে বলে জানিয়েছে কূটনৈতিক সূত্রগুলো।
নিষেধাজ্ঞা নেই—এমন জাহাজে এর আগেও রূপপুরের সরঞ্জাম এসেছে। সেসব জাহাজের যেকোনোটিতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম পাঠাতে রাশিয়াকে বলা হয়েছে বলে কূটনীতিকেরা জানিয়েছেন।
জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র যেসব জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, এমন প্রায় ৯০টি দেশের একটি তালিকা নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিদেশ থেকে জাহাজ আসার অনুমোদন দেওয়ার আগে ওই তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।
এ দিকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় থাকা জাহাজের নাম ও রং পরিবর্তন করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম পাঠানোর কাজটি রাশিয়া জেনেশুনেই করেছে বলে মনে করে সরকার। সম্প্রতি এ বিষয়টি স্পষ্ট করেই বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়ার শত শত জাহাজ আছে। এর মধ্যে ৬৯টি জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে। এগুলো ছাড়া যেকোনোটাতে মালামাল পাঠাতে পারত।’
এ বিষয়টি নিয়ে সরকার কাজ করছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন:
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম বহনকারী জাহাজ ‘উরসা মেজর’ ভিড়তে না দেওয়া বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী বলে বিবৃতি দিয়েছে রাশিয়া। গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশের মোংলা বন্দরে রাশিয়ার জাহাজটি ভিড়তে দেওয়া হয়নি। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের চাপকেই দায়ী করছে রাশিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের রাশিয়াবিরোধী নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মস্কোয় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন। আজ সোমবার ঢাকার রাশিয়া দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, জাহাজটি গ্রহণের জন্য আগের দেওয়া সম্মতি বাংলাদেশ বাতিল করেছে মার্কিন চাপে। এতে সরঞ্জামগুলো পৌঁছানো মাসখানেক পিছিয়ে গেল। এটা বাংলাদেশের স্বার্থের জন্য অনুকূল নয়। রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে মার্কিনরা প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে, অন্য দেশের রাজনীতিক ও জনগণকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে, এমনটা উল্লেখ করে মারিয়া জাখারোভা বলেন, অনেক দেশের এসব চাপ মোকাবিলার সক্ষমতা নেই।
চাপের মুখে রাশিয়াবিরোধী নিষেধাজ্ঞায় অন্য দেশগুলোকে যোগদান করতে বাধ্য করাকে বেআইনি উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয় এসব তৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
এর আগে গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম বহনকারী রাশিয়ার জাহাজ ‘উরসা মেজর’ ভারতের বন্দরেও মালামাল খালাস করতে পারেনি। জাহাজটির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকায় জাহাজটিকে বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকতে দেয়নি বাংলাদেশ সরকার। কাছাকাছি ভারতের হলদিয়া বন্দরে সরঞ্জাম নামিয়ে সড়কপথে বাংলাদেশে পাঠাতে চেয়েছিল বিদ্যুৎকেন্দ্রের রাশিয়ান ঠিকাদার।
রূপপুরের সরঞ্জাম নিয়ে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে গত ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশের মোংলা বন্দরের দিকে যাত্রা করে ‘উরসা মেজর’। ‘স্পার্টা-৩’ নামের জাহাজটির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আছে এবং এই জাহাজটিই নাম ও রং বদলে ‘উরসা মেজর’ হিসেবে চলছে, এমন তথ্য ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বাংলাদেশ সরকারের নজরে আনে। এরপর জাহাজটিকে দেশের সমুদ্রসীমায় প্রবেশ করতে দিতে অস্বীকৃতি জানায় সরকার।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মেনে জাহাজটিকে ভিড়তে না দিলে ‘বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কে প্রভাব পড়বে’ এমন হুমকি দেওয়া হয়েছিল দেশটির পক্ষ থেকে। তবে সরকার শেষ পর্যন্ত রুশ হুমকি অগ্রাহ্য করে জাহাজটিকে বন্দরে ভিড়তে না দেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল থেকেছে বলে জানিয়েছে কূটনৈতিক সূত্রগুলো।
জাহাজটিকে ভারতে ভিড়িয়ে সড়কপথে রূপপুরের সরঞ্জাম বাংলাদেশে আনার বিষয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী গত ২৯ ডিসেম্বর ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে বৈঠক করেন।
নিষেধাজ্ঞায় থাকা জাহাজটি নিজেদের বন্দরে ভিড়লে ভারতের আপত্তি থাকবে না, এমন তথ্য ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে জানায় দেশটির কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। পরে ভারত এই অবস্থান থেকে সরে আসে বলে জানিয়েছে কূটনৈতিক সূত্রগুলো।
নিষেধাজ্ঞা নেই—এমন জাহাজে এর আগেও রূপপুরের সরঞ্জাম এসেছে। সেসব জাহাজের যেকোনোটিতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম পাঠাতে রাশিয়াকে বলা হয়েছে বলে কূটনীতিকেরা জানিয়েছেন।
জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র যেসব জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, এমন প্রায় ৯০টি দেশের একটি তালিকা নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিদেশ থেকে জাহাজ আসার অনুমোদন দেওয়ার আগে ওই তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।
এ দিকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় থাকা জাহাজের নাম ও রং পরিবর্তন করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম পাঠানোর কাজটি রাশিয়া জেনেশুনেই করেছে বলে মনে করে সরকার। সম্প্রতি এ বিষয়টি স্পষ্ট করেই বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়ার শত শত জাহাজ আছে। এর মধ্যে ৬৯টি জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে। এগুলো ছাড়া যেকোনোটাতে মালামাল পাঠাতে পারত।’
এ বিষয়টি নিয়ে সরকার কাজ করছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন:
মাগুরার আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর ধর্ষণ মামলার বিচার দ্রুত করার জন্য আইন সংশোধন করা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করে গত ২৫ মার্চ গেজেট প্রকাশ করে অন্তর্বর্তী সরকার। সংশোধিত আইনে ধর্ষণের বিচারের সময়সীমা কমিয়ে ৯০ কার্যদিবসে...
৬ ঘণ্টা আগেপ্রায় ১৫ বছর পর অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে কাশ্মীর ইস্যু তুলে ধরে ভারতের সঙ্গে দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ তোলে পাকিস্তান। তবে বাংলাদেশের বিবৃতিতে এই ইস্যুর উল্লেখ না থাকলেও ঢাকা একাত্তরের গণহত্যা, ক্ষতিপূরণসহ একাধিক ঐতিহাসিক বিষয় উত্থাপন করে। বৈঠকে সার্ক পুনরুজ্জীবন এবং
১০ ঘণ্টা আগেবিয়ে, তালাক, উত্তরাধিকার ও ভরণপোষণে সমান অধিকারের জন্য অধ্যাদেশ জারির সুপারিশ করেছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে এই সুপারিশ করা হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন
১১ ঘণ্টা আগেনারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের যেসব সুপারিশ এখনই বাস্তবায়নযোগ্য, সেসব দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
১৩ ঘণ্টা আগে