বাসস, ঢাকা

বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে সাধারণ কর্মী নিয়োগসংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় চুক্তি আজ সোমবার রিয়াদে স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তিকে দুই দেশের মধ্যে শ্রমবাজার সম্প্রসারণ ও অভিবাসনব্যবস্থার ইতিহাসে এক নতুন মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং সৌদি আরব সরকারের পক্ষে মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ বিন সোলাইমান আল-রাজি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বলে আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরের ইতিহাসে এটাই প্রথমবারের মতো সাধারণ কর্মী নিয়োগ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক চুক্তি। এর আগে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে কর্মী পাঠানো হতো অনানুষ্ঠানিকভাবে। ১৯৭৬ সালে প্রথম বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে শ্রমিক পাঠানো শুরু হয়। তখন থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ৩০ লাখের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক সৌদি আরবে কাজ করছেন, যা বাংলাদেশের রেমিট্যান্সপ্রবাহের সবচেয়ে বড় উৎস হিসেবে ভূমিকা রাখছে।
এর আগে ২০১৫ সালে গৃহকর্মী নিয়োগ এবং ২০২২ সালে দক্ষতা যাচাই ও স্বীকৃতিসংক্রান্ত দুটি বিশেষ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে সাধারণ কর্মী নিয়োগে এটিই প্রথম আনুষ্ঠানিক চুক্তি, যা প্রবাসী কর্মীদের অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার দিক থেকে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে এখন বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে দক্ষ, আধা দক্ষ ও সাধারণ শ্রমিক পাঠানোর সুযোগ আরও বাড়বে। দুই দেশের যৌথ উদ্যোগে প্রশিক্ষণ, দক্ষতা যাচাই, নিরাপদ অভিবাসন ও নিয়োগপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। পাশাপাশি নিয়োগকর্তা ও কর্মীর মধ্যে চুক্তিভিত্তিক সম্পর্ক, আকামা নবায়ন ও সময়মতো এক্সিট ভিসা প্রদানের বিষয়গুলো আরও সুনির্দিষ্টভাবে বাস্তবায়িত হবে।
চুক্তি স্বাক্ষরের আগে দুই দেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ড. আসিফ নজরুল সৌদি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান, যেন কর্মীদের অধিকার সুরক্ষিত থাকে, আকামা নবায়নের দায়িত্ব নিয়োগকর্তারা যথাযথভাবে পালন করেন এবং দেশে ফেরত যেতে ইচ্ছুক কর্মীরা যেন দ্রুত এক্সিট ভিসা পান।
আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী পাঠানোর আগে আমরা প্রশিক্ষণ ও স্কিল সার্টিফিকেশন নিশ্চিত করব। এর মাধ্যমে সৌদি আরব আরও গুণগত শ্রমশক্তি পাবে।’
জবাবে সৌদি মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ বিন সোলাইমান আল-রাজি বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের এক গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার অংশীদার। এই চুক্তি শুধু নিয়োগ নয়, মানবসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রেও এক নতুন অধ্যায় সূচনা করবে।’
তিনি কর্মীর কল্যাণ, দক্ষতা উন্নয়ন ও আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে উভয় দেশের মন্ত্রণালয়কে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন।
এ ছাড়া বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগে প্রশিক্ষণকেন্দ্র স্থাপন, কর্মী নিয়োগে ডিজিটাল যাচাইব্যবস্থা চালু, নারী কর্মীদের সুরক্ষা এবং অবৈধ দালাল চক্র দমনে যৌথ মনিটরিং সিস্টেম গড়ে তোলার বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দেলওয়ার হোসেন, মিশন উপপ্রধান এস এম নাজমুল হাসান, শ্রম কাউন্সেলর মুহাম্মাদ রেজায়ে রাব্বী, সৌদি মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ দুই দেশের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই চুক্তি কার্যকর হলে সৌদি আরবে বাংলাদেশি কর্মীর সংখ্যা আগামী দুই বছরের মধ্যে অন্তত ২০ শতাংশ বাড়বে। বর্তমানে সৌদি আরবে প্রায় ২৭ লাখ বাংলাদেশি কর্মরত আছেন, যাঁরা বছরে প্রায় ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠান।
চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশি কর্মীরা দক্ষতা অনুযায়ী ভালো বেতন, উন্নত কর্মপরিবেশ, চিকিৎসা ও আবাসন সুবিধা পাবেন। একই সঙ্গে কর্মীদের জন্য একটি যৌথ অনলাইন ডেটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হবে, যেখানে নিয়োগ ও কর্মচুক্তির তথ্য সংরক্ষিত থাকবে।
এই ঐতিহাসিক চুক্তিকে কেন্দ্র করে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ সরকার। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, দক্ষ কর্মী রপ্তানি শুধু রেমিট্যান্স বাড়াবে না, এটি বাংলাদেশের বৈদেশিক সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করবে।

বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে সাধারণ কর্মী নিয়োগসংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় চুক্তি আজ সোমবার রিয়াদে স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তিকে দুই দেশের মধ্যে শ্রমবাজার সম্প্রসারণ ও অভিবাসনব্যবস্থার ইতিহাসে এক নতুন মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং সৌদি আরব সরকারের পক্ষে মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ বিন সোলাইমান আল-রাজি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বলে আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরের ইতিহাসে এটাই প্রথমবারের মতো সাধারণ কর্মী নিয়োগ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক চুক্তি। এর আগে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে কর্মী পাঠানো হতো অনানুষ্ঠানিকভাবে। ১৯৭৬ সালে প্রথম বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে শ্রমিক পাঠানো শুরু হয়। তখন থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ৩০ লাখের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক সৌদি আরবে কাজ করছেন, যা বাংলাদেশের রেমিট্যান্সপ্রবাহের সবচেয়ে বড় উৎস হিসেবে ভূমিকা রাখছে।
এর আগে ২০১৫ সালে গৃহকর্মী নিয়োগ এবং ২০২২ সালে দক্ষতা যাচাই ও স্বীকৃতিসংক্রান্ত দুটি বিশেষ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে সাধারণ কর্মী নিয়োগে এটিই প্রথম আনুষ্ঠানিক চুক্তি, যা প্রবাসী কর্মীদের অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার দিক থেকে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে এখন বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে দক্ষ, আধা দক্ষ ও সাধারণ শ্রমিক পাঠানোর সুযোগ আরও বাড়বে। দুই দেশের যৌথ উদ্যোগে প্রশিক্ষণ, দক্ষতা যাচাই, নিরাপদ অভিবাসন ও নিয়োগপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। পাশাপাশি নিয়োগকর্তা ও কর্মীর মধ্যে চুক্তিভিত্তিক সম্পর্ক, আকামা নবায়ন ও সময়মতো এক্সিট ভিসা প্রদানের বিষয়গুলো আরও সুনির্দিষ্টভাবে বাস্তবায়িত হবে।
চুক্তি স্বাক্ষরের আগে দুই দেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ড. আসিফ নজরুল সৌদি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান, যেন কর্মীদের অধিকার সুরক্ষিত থাকে, আকামা নবায়নের দায়িত্ব নিয়োগকর্তারা যথাযথভাবে পালন করেন এবং দেশে ফেরত যেতে ইচ্ছুক কর্মীরা যেন দ্রুত এক্সিট ভিসা পান।
আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী পাঠানোর আগে আমরা প্রশিক্ষণ ও স্কিল সার্টিফিকেশন নিশ্চিত করব। এর মাধ্যমে সৌদি আরব আরও গুণগত শ্রমশক্তি পাবে।’
জবাবে সৌদি মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ বিন সোলাইমান আল-রাজি বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের এক গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার অংশীদার। এই চুক্তি শুধু নিয়োগ নয়, মানবসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রেও এক নতুন অধ্যায় সূচনা করবে।’
তিনি কর্মীর কল্যাণ, দক্ষতা উন্নয়ন ও আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে উভয় দেশের মন্ত্রণালয়কে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন।
এ ছাড়া বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগে প্রশিক্ষণকেন্দ্র স্থাপন, কর্মী নিয়োগে ডিজিটাল যাচাইব্যবস্থা চালু, নারী কর্মীদের সুরক্ষা এবং অবৈধ দালাল চক্র দমনে যৌথ মনিটরিং সিস্টেম গড়ে তোলার বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দেলওয়ার হোসেন, মিশন উপপ্রধান এস এম নাজমুল হাসান, শ্রম কাউন্সেলর মুহাম্মাদ রেজায়ে রাব্বী, সৌদি মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ দুই দেশের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই চুক্তি কার্যকর হলে সৌদি আরবে বাংলাদেশি কর্মীর সংখ্যা আগামী দুই বছরের মধ্যে অন্তত ২০ শতাংশ বাড়বে। বর্তমানে সৌদি আরবে প্রায় ২৭ লাখ বাংলাদেশি কর্মরত আছেন, যাঁরা বছরে প্রায় ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠান।
চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশি কর্মীরা দক্ষতা অনুযায়ী ভালো বেতন, উন্নত কর্মপরিবেশ, চিকিৎসা ও আবাসন সুবিধা পাবেন। একই সঙ্গে কর্মীদের জন্য একটি যৌথ অনলাইন ডেটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হবে, যেখানে নিয়োগ ও কর্মচুক্তির তথ্য সংরক্ষিত থাকবে।
এই ঐতিহাসিক চুক্তিকে কেন্দ্র করে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ সরকার। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, দক্ষ কর্মী রপ্তানি শুধু রেমিট্যান্স বাড়াবে না, এটি বাংলাদেশের বৈদেশিক সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করবে।

বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর প্রায় অর্ধেকেই আসামিরা শেষ পর্যন্ত খালাস পাচ্ছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত যেসব মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে, তার পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
অর্থায়ন এখনো নিশ্চিত না হলেও বগুড়া-সিরাজগঞ্জ ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণে ব্যয় বেড়েছে ৩২৩ কোটি টাকা। উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (ডিপিপি) ৯৬০ একর জমি অধিগ্রহণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৯২১ কোটি টাকা। এখন সমীক্ষা শেষে জমির পরিমাণ কমে ৯০১.৭৭ একর হলেও অধিগ্রহণের জন্য চূড়ান্ত ব্যয় প্রাক্ক
৭ ঘণ্টা আগে
হত্যা বন্ধে কোনো ম্যাজিক বা সুইচ অন-অফের মতো কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ হওয়ার কোনো নিশ্চয়তাও দেননি তিনি।
৯ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ সামরিক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান এই ৩১ বাংলাদেশি। এরপর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাঁদের ব্র্যাকের পরিবহন ও জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়।
১০ ঘণ্টা আগেসৈয়দ ঋয়াদ, ঢাকা

বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর প্রায় অর্ধেকেই আসামিরা শেষ পর্যন্ত খালাস পাচ্ছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত যেসব মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে, তার পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ মাসে মোট ২২৮টি মামলার রায় হয়েছে। ১০৩টি মামলাতেই আসামিরা খালাস পেয়েছেন। সেই হিসাবে ৪৯ শতাংশ মামলার আসামিরা খালাস পেয়েছেন। একই সময়ে আসামির সাজা হয়েছে ১২২টি মামলায়। সাজার হার মামলার ৫১ শতাংশ। এ ছাড়া নিষ্পত্তি হয়েছে ১০টি মামলা ও প্রত্যাহার করা হয়েছে একটি মামলা। বিগত বছরগুলোর চেয়ে এই হার অনেকটাই কম।
দুদকের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ১১ মাসে সংস্থাটি মোট ৫১২টি মামলা করেছে। এ সময়ে দুদকে জমা পড়া ১১ হাজার ৬৩০টি অভিযোগের মধ্যে ৯৬০টি আমলে নেওয়া হয়। অভিযোগ আমলে নেওয়ার হার ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ, যা বিগত বছরগুলোর তুলনায় অনেকটাই বেশি।
দুদকের আবেদনে এই সময়ের মধ্যে দেশে ৩ হাজার ৩৬১ কোটি ২৯ লাখ টাকার সম্পদ এবং বিদেশে ৯৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকার সম্পদ ক্রোক করা হয়েছে।
১১ মাসে দুদক মোট ৩১৫টি অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। অপর দিকে ৭৩টি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এই সময়ে দণ্ডিত আসামিদের কাছ থেকে ৫ হাজার ৫৩ কোটি টাকার জরিমানা আদায় করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৩২১ কোটি ৮৮ লাখ টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে; যা বিগত কয়েক বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য।
দেশের বিভিন্ন আদালতে দুদকের ৩ হাজার ৪৫১টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৪৭টি মামলা বিচারাধীন এবং ৪০৪টি মামলা উচ্চ আদালতের আদেশে স্থগিত। ঢাকায় বিচারাধীন ৮৭৪টি এবং ঢাকার বাইরে ২ হাজার ১৭৩টি মামলার বিচার চলছে।
দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, দুদক অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগের মেরিট অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। এখানে রাজনৈতিক বা সামাজিক অবস্থান বিবেচনা করার সুযোগ নেই।
তবে সাজার হার কমে যাওয়ার জন্য রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে দায়ী করেছেন দুদকের লিগ্যাল শাখার সাবেক মহাপরিচালক মঈদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘দুদক সব সময় ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করে। এটা দুদকের বড় দুর্বলতা।’
আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস আজ
আজ ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস। দিবসটি উপলক্ষে দুদক কেন্দ্রীয় ও মাঠ প্রশাসন পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা: গড়বে আগামীর শুদ্ধতা’। দিবসটি উপলক্ষে সারা দেশে আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা, মানববন্ধনসহ নানা আয়োজন করা হয়েছে। সকালে রাজধানীতে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা ও দুদকের পতাকা উত্তোলন, ফেস্টুন-বেলুন ওড়ানোর মাধ্যমে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করা হবে।

বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর প্রায় অর্ধেকেই আসামিরা শেষ পর্যন্ত খালাস পাচ্ছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত যেসব মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে, তার পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ মাসে মোট ২২৮টি মামলার রায় হয়েছে। ১০৩টি মামলাতেই আসামিরা খালাস পেয়েছেন। সেই হিসাবে ৪৯ শতাংশ মামলার আসামিরা খালাস পেয়েছেন। একই সময়ে আসামির সাজা হয়েছে ১২২টি মামলায়। সাজার হার মামলার ৫১ শতাংশ। এ ছাড়া নিষ্পত্তি হয়েছে ১০টি মামলা ও প্রত্যাহার করা হয়েছে একটি মামলা। বিগত বছরগুলোর চেয়ে এই হার অনেকটাই কম।
দুদকের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ১১ মাসে সংস্থাটি মোট ৫১২টি মামলা করেছে। এ সময়ে দুদকে জমা পড়া ১১ হাজার ৬৩০টি অভিযোগের মধ্যে ৯৬০টি আমলে নেওয়া হয়। অভিযোগ আমলে নেওয়ার হার ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ, যা বিগত বছরগুলোর তুলনায় অনেকটাই বেশি।
দুদকের আবেদনে এই সময়ের মধ্যে দেশে ৩ হাজার ৩৬১ কোটি ২৯ লাখ টাকার সম্পদ এবং বিদেশে ৯৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকার সম্পদ ক্রোক করা হয়েছে।
১১ মাসে দুদক মোট ৩১৫টি অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। অপর দিকে ৭৩টি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এই সময়ে দণ্ডিত আসামিদের কাছ থেকে ৫ হাজার ৫৩ কোটি টাকার জরিমানা আদায় করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৩২১ কোটি ৮৮ লাখ টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে; যা বিগত কয়েক বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য।
দেশের বিভিন্ন আদালতে দুদকের ৩ হাজার ৪৫১টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৪৭টি মামলা বিচারাধীন এবং ৪০৪টি মামলা উচ্চ আদালতের আদেশে স্থগিত। ঢাকায় বিচারাধীন ৮৭৪টি এবং ঢাকার বাইরে ২ হাজার ১৭৩টি মামলার বিচার চলছে।
দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, দুদক অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগের মেরিট অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। এখানে রাজনৈতিক বা সামাজিক অবস্থান বিবেচনা করার সুযোগ নেই।
তবে সাজার হার কমে যাওয়ার জন্য রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে দায়ী করেছেন দুদকের লিগ্যাল শাখার সাবেক মহাপরিচালক মঈদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘দুদক সব সময় ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করে। এটা দুদকের বড় দুর্বলতা।’
আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস আজ
আজ ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস। দিবসটি উপলক্ষে দুদক কেন্দ্রীয় ও মাঠ প্রশাসন পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা: গড়বে আগামীর শুদ্ধতা’। দিবসটি উপলক্ষে সারা দেশে আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা, মানববন্ধনসহ নানা আয়োজন করা হয়েছে। সকালে রাজধানীতে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা ও দুদকের পতাকা উত্তোলন, ফেস্টুন-বেলুন ওড়ানোর মাধ্যমে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করা হবে।

বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে সাধারণ কর্মী নিয়োগসংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় চুক্তি আজ সোমবার রিয়াদে স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তিকে দুই দেশের মধ্যে শ্রমবাজার সম্প্রসারণ ও অভিবাসনব্যবস্থার ইতিহাসে এক নতুন মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে...
০৬ অক্টোবর ২০২৫
অর্থায়ন এখনো নিশ্চিত না হলেও বগুড়া-সিরাজগঞ্জ ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণে ব্যয় বেড়েছে ৩২৩ কোটি টাকা। উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (ডিপিপি) ৯৬০ একর জমি অধিগ্রহণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৯২১ কোটি টাকা। এখন সমীক্ষা শেষে জমির পরিমাণ কমে ৯০১.৭৭ একর হলেও অধিগ্রহণের জন্য চূড়ান্ত ব্যয় প্রাক্ক
৭ ঘণ্টা আগে
হত্যা বন্ধে কোনো ম্যাজিক বা সুইচ অন-অফের মতো কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ হওয়ার কোনো নিশ্চয়তাও দেননি তিনি।
৯ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ সামরিক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান এই ৩১ বাংলাদেশি। এরপর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাঁদের ব্র্যাকের পরিবহন ও জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়।
১০ ঘণ্টা আগেতৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

অর্থায়ন এখনো নিশ্চিত না হলেও বগুড়া-সিরাজগঞ্জ ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণে ব্যয় বেড়েছে ৩২৩ কোটি টাকা। উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (ডিপিপি) ৯৬০ একর জমি অধিগ্রহণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৯২১ কোটি টাকা। এখন সমীক্ষা শেষে জমির পরিমাণ কমে ৯০১.৭৭ একর হলেও অধিগ্রহণের জন্য চূড়ান্ত ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ২ হাজার ২৪৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার ও ভারতের ঋণে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা থাকলেও ঋণের অর্থছাড় না হওয়ায় প্রকল্পের কাজে তেমন অগ্রগতি নেই। চলতি বছরের মার্চে বাংলাদেশ সরকার ভারতীয় অর্থায়ন বাতিল করে। ফলে এই প্রকল্পের জন্য নতুন অর্থায়নকারীর খোঁজ চলছে। এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি) প্রকল্পটিতে অর্থায়নে আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আফজাল হোসেন।
২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) বগুড়া থেকে শহীদ এম মনসুর আলী স্টেশন (সিরাজগঞ্জ) পর্যন্ত নতুন ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন দেয়। প্রকল্পের আওতায় এমব্যাংকমেন্টসহ ৮৬.৫০ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ মেইন লাইন এবং ৩৭ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ লুপ ও ইয়ার্ড নির্মাণ করা হবে। এই রেললাইন নির্মিত হলে ঢাকা থেকে রেলপথে বগুড়ার দূরত্ব ১১২ কিলোমিটার কমে যাবে। সময় বাঁচবে কয়েক ঘণ্টা।
রেলওয়ের অন্যতম বড় এই প্রকল্পের মেয়াদ প্রথমে নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। পরে মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।
২০১৮ সালে এলওসির মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার ও ভারতীয় ঋণে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তখন প্রকল্পটির সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫ হাজার ৫৭৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৩ হাজার ১৪৬ কোটি ৫৯ লাখ ১০ হাজার টাকা ঋণ হিসেবে দেওয়ার কথা ছিল ভারতের। বাকি অর্থায়ন করার কথা ছিল বাংলাদেশ সরকারের। চলতি বছরের মার্চে বাংলাদেশ সরকার ভারতীয় অর্থায়ন বাতিল করে।
এদিকে ভারতীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান থেকে দেওয়া প্রকল্পের চূড়ান্ত নকশা ও সম্ভাব্যতা সমীক্ষার প্রতিবেদনে দেখে গেছে, প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে প্রায় ১০ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০১৮ সালের দামের ভিত্তিতে। কিন্তু নির্মাণসামগ্রীসহ সবকিছুর দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় ২০২৫ সালের হালনাগাদ ডিপিপিতে প্রকল্প ব্যয় স্বাভাবিকভাবে বেড়েছে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, ডিপিপিতে ৯৬০ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৯২১ কোটি টাকা। তবে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান (অ্যালাইনমেন্ট) পথরেখা চূড়ান্ত করে এবং ভূমি অধিগ্রহণ পরিকল্পনা প্রস্তুত করার পর প্রয়োজনীয় জমির পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৯০১.৭৭ একর। সিরাজগঞ্জ ও বগুড়ার জেলা প্রশাসকেরা জমি অধিগ্রহণে চূড়ান্ত ব্যয় প্রাক্কলন দেওয়ায় তা দাঁড়ায় ২ হাজার ২৪৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা। জমির দাম বেড়ে যাওয়ায় এ খাতে খরচ বেড়েছে ৩২৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ এ খাতে ব্যয়বৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১৬.৮২ শতাংশ।
এই ব্যয় বাড়ায় গত নভেম্বরে রেলওয়ের মহাপরিচালকের কার্যালয় থেকে বিশেষ সংশোধন প্রস্তাব রেলপথ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এরপর ২৩ নভেম্বর রেলসচিবের সভাপতিত্বে বিভাগীয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (ডিপিইসি) সভায় জমি অধিগ্রহণে বাড়তি টাকার প্রস্তাব অনুমোদনের বিষয়ে সবাই একমত হন। বিশেষ সংশোধনীর বিষয়েও সহমত জানানো হয় সভায়।
জানতে চাইলে বগুড়া-সিরাজগঞ্জ নতুন ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আবু জাফর মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সমীক্ষা শেষ হওয়ার পর বগুড়া ও সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসকেরা তাঁদের নিজ নিজ এলএ (ভূমি অধিগ্রহণ) পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যয়ের চূড়ান্ত প্রাক্কলন দিয়েছেন। এতে আগের অনুমান থেকে ৩২৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা বেশি লাগছে। ডিপিপিতে এই অতিরিক্ত ব্যয়ের সুযোগ না থাকায় বিশেষ সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হলে মন্ত্রণালয় অনুমোদন করেছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে এই প্রকল্পের জন্য অর্থায়নকারী খুঁজছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কাছে অর্থায়ন নিশ্চিতের জন্য প্রকল্প দপ্তর থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি) এই প্রকল্পে অর্থায়নে আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হয়নি।
এআইআইবির অর্থায়নের আগ্রহের বিষয়ে ইআরডি সূত্রেও জানা গেছে।
সূত্র বলেছে, প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ০.৩০ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ০.০৭ শতাংশ। জমি অধিগ্রহণের ব্যয় হচ্ছে জিওবি থেকে। এই প্রকল্পে অগ্রগতি না হওয়ার প্রধান কারণ ভারতীয় ঋণের জটিলতা।
প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, নতুন অর্থায়নকারী পাওয়ার পরে কাজ শেষ করতে আরও তিন-চার বছর লাগবে। অর্থ পাওয়া গেলে ঠিকাদার নিয়োগসহ দরপত্রের কাজ শুরু হবে। তবে কবে তা সম্ভব হবে, এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।
প্রকল্পের আওতায় রেলপথ নির্মাণ ছাড়াও করতোয়া ও ইছামতী নদীর ওপর দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণসহ ছোট-বড় সেতুসহ মোট প্রায় ৬৭৮ মিটার সেতুর কাজ হবে। এ ছাড়া একটি সড়ক ওভারপাস এবং একটি রেল ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পে আরও রয়েছে ২৬টি বড় সেতু, ৮৩টি ছোট সেতু (আরসিসি বক্স কালভার্ট) এবং ৮টি নতুন রেলওয়ে স্টেশন নির্মাণ ও ৩টি স্টেশন সংস্কার করা হবে।
বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত সরাসরি রেলপথ না থাকায় এই অঞ্চলের ট্রেনগুলোকে বর্তমানে সান্তাহার, নাটোর ও পাবনার ঈশ্বরদী হয়ে অতিরিক্ত পথ ঘুরে চলতে হয়। এতে ভাড়া ও সময়—দুটিই বেশি লাগছে। বিদ্যমান রেললাইনে ঢাকা থেকে বগুড়ার দূরত্ব প্রায় ৩২৪ কিলোমিটার। প্রকল্প সূত্র বলছে, বগুড়া-সিরাজগঞ্জ সংযোগ রেললাইন নির্মিত হলে এই দূরত্ব কমে যাবে ১১২ কিলোমিটার। ফলে যাত্রীদের ভাড়া ও সময় কমে যাবে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থায়ন ঝুলে থাকায় প্রকল্প বাস্তবায়নে কিছুটা অনিশ্চয়তা আছে। জমি অধিগ্রহণ ব্যয় বাড়ার পেছনে বাজারদর বৃদ্ধি, নীতিমালার দুর্বলতা এবং মধ্যস্থতাকারীদের প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফলে ডিজিটাল ও স্বচ্ছ মূল্যায়ন ব্যবস্থা চালু করা, মধ্যস্থতা কমানো এবং নীতিমালা সংস্কার করা হলে ব্যয় নিয়ন্ত্রণ ও অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া দ্রুত করা সম্ভব।
অবশ্য প্রকল্প নিয়ে আশাবাদী রেলওয়ের মহাপরিচালক। তিনি বলেন, ‘যেহেতু জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়েছে, তাই প্রকল্প নিয়ে আমরা আশা রাখছি। সরকার যেকোনোভাবে এটা শেষ করতে চায়। এটা আমাদের অগ্রাধিকারের একটা প্রকল্প।’

অর্থায়ন এখনো নিশ্চিত না হলেও বগুড়া-সিরাজগঞ্জ ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণে ব্যয় বেড়েছে ৩২৩ কোটি টাকা। উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (ডিপিপি) ৯৬০ একর জমি অধিগ্রহণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৯২১ কোটি টাকা। এখন সমীক্ষা শেষে জমির পরিমাণ কমে ৯০১.৭৭ একর হলেও অধিগ্রহণের জন্য চূড়ান্ত ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ২ হাজার ২৪৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার ও ভারতের ঋণে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা থাকলেও ঋণের অর্থছাড় না হওয়ায় প্রকল্পের কাজে তেমন অগ্রগতি নেই। চলতি বছরের মার্চে বাংলাদেশ সরকার ভারতীয় অর্থায়ন বাতিল করে। ফলে এই প্রকল্পের জন্য নতুন অর্থায়নকারীর খোঁজ চলছে। এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি) প্রকল্পটিতে অর্থায়নে আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আফজাল হোসেন।
২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) বগুড়া থেকে শহীদ এম মনসুর আলী স্টেশন (সিরাজগঞ্জ) পর্যন্ত নতুন ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন দেয়। প্রকল্পের আওতায় এমব্যাংকমেন্টসহ ৮৬.৫০ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ মেইন লাইন এবং ৩৭ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ লুপ ও ইয়ার্ড নির্মাণ করা হবে। এই রেললাইন নির্মিত হলে ঢাকা থেকে রেলপথে বগুড়ার দূরত্ব ১১২ কিলোমিটার কমে যাবে। সময় বাঁচবে কয়েক ঘণ্টা।
রেলওয়ের অন্যতম বড় এই প্রকল্পের মেয়াদ প্রথমে নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। পরে মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।
২০১৮ সালে এলওসির মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার ও ভারতীয় ঋণে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তখন প্রকল্পটির সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫ হাজার ৫৭৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৩ হাজার ১৪৬ কোটি ৫৯ লাখ ১০ হাজার টাকা ঋণ হিসেবে দেওয়ার কথা ছিল ভারতের। বাকি অর্থায়ন করার কথা ছিল বাংলাদেশ সরকারের। চলতি বছরের মার্চে বাংলাদেশ সরকার ভারতীয় অর্থায়ন বাতিল করে।
এদিকে ভারতীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান থেকে দেওয়া প্রকল্পের চূড়ান্ত নকশা ও সম্ভাব্যতা সমীক্ষার প্রতিবেদনে দেখে গেছে, প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে প্রায় ১০ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০১৮ সালের দামের ভিত্তিতে। কিন্তু নির্মাণসামগ্রীসহ সবকিছুর দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় ২০২৫ সালের হালনাগাদ ডিপিপিতে প্রকল্প ব্যয় স্বাভাবিকভাবে বেড়েছে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, ডিপিপিতে ৯৬০ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৯২১ কোটি টাকা। তবে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান (অ্যালাইনমেন্ট) পথরেখা চূড়ান্ত করে এবং ভূমি অধিগ্রহণ পরিকল্পনা প্রস্তুত করার পর প্রয়োজনীয় জমির পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৯০১.৭৭ একর। সিরাজগঞ্জ ও বগুড়ার জেলা প্রশাসকেরা জমি অধিগ্রহণে চূড়ান্ত ব্যয় প্রাক্কলন দেওয়ায় তা দাঁড়ায় ২ হাজার ২৪৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা। জমির দাম বেড়ে যাওয়ায় এ খাতে খরচ বেড়েছে ৩২৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ এ খাতে ব্যয়বৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১৬.৮২ শতাংশ।
এই ব্যয় বাড়ায় গত নভেম্বরে রেলওয়ের মহাপরিচালকের কার্যালয় থেকে বিশেষ সংশোধন প্রস্তাব রেলপথ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এরপর ২৩ নভেম্বর রেলসচিবের সভাপতিত্বে বিভাগীয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (ডিপিইসি) সভায় জমি অধিগ্রহণে বাড়তি টাকার প্রস্তাব অনুমোদনের বিষয়ে সবাই একমত হন। বিশেষ সংশোধনীর বিষয়েও সহমত জানানো হয় সভায়।
জানতে চাইলে বগুড়া-সিরাজগঞ্জ নতুন ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আবু জাফর মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সমীক্ষা শেষ হওয়ার পর বগুড়া ও সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসকেরা তাঁদের নিজ নিজ এলএ (ভূমি অধিগ্রহণ) পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যয়ের চূড়ান্ত প্রাক্কলন দিয়েছেন। এতে আগের অনুমান থেকে ৩২৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা বেশি লাগছে। ডিপিপিতে এই অতিরিক্ত ব্যয়ের সুযোগ না থাকায় বিশেষ সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হলে মন্ত্রণালয় অনুমোদন করেছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে এই প্রকল্পের জন্য অর্থায়নকারী খুঁজছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কাছে অর্থায়ন নিশ্চিতের জন্য প্রকল্প দপ্তর থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি) এই প্রকল্পে অর্থায়নে আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হয়নি।
এআইআইবির অর্থায়নের আগ্রহের বিষয়ে ইআরডি সূত্রেও জানা গেছে।
সূত্র বলেছে, প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ০.৩০ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ০.০৭ শতাংশ। জমি অধিগ্রহণের ব্যয় হচ্ছে জিওবি থেকে। এই প্রকল্পে অগ্রগতি না হওয়ার প্রধান কারণ ভারতীয় ঋণের জটিলতা।
প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, নতুন অর্থায়নকারী পাওয়ার পরে কাজ শেষ করতে আরও তিন-চার বছর লাগবে। অর্থ পাওয়া গেলে ঠিকাদার নিয়োগসহ দরপত্রের কাজ শুরু হবে। তবে কবে তা সম্ভব হবে, এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।
প্রকল্পের আওতায় রেলপথ নির্মাণ ছাড়াও করতোয়া ও ইছামতী নদীর ওপর দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণসহ ছোট-বড় সেতুসহ মোট প্রায় ৬৭৮ মিটার সেতুর কাজ হবে। এ ছাড়া একটি সড়ক ওভারপাস এবং একটি রেল ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পে আরও রয়েছে ২৬টি বড় সেতু, ৮৩টি ছোট সেতু (আরসিসি বক্স কালভার্ট) এবং ৮টি নতুন রেলওয়ে স্টেশন নির্মাণ ও ৩টি স্টেশন সংস্কার করা হবে।
বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত সরাসরি রেলপথ না থাকায় এই অঞ্চলের ট্রেনগুলোকে বর্তমানে সান্তাহার, নাটোর ও পাবনার ঈশ্বরদী হয়ে অতিরিক্ত পথ ঘুরে চলতে হয়। এতে ভাড়া ও সময়—দুটিই বেশি লাগছে। বিদ্যমান রেললাইনে ঢাকা থেকে বগুড়ার দূরত্ব প্রায় ৩২৪ কিলোমিটার। প্রকল্প সূত্র বলছে, বগুড়া-সিরাজগঞ্জ সংযোগ রেললাইন নির্মিত হলে এই দূরত্ব কমে যাবে ১১২ কিলোমিটার। ফলে যাত্রীদের ভাড়া ও সময় কমে যাবে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থায়ন ঝুলে থাকায় প্রকল্প বাস্তবায়নে কিছুটা অনিশ্চয়তা আছে। জমি অধিগ্রহণ ব্যয় বাড়ার পেছনে বাজারদর বৃদ্ধি, নীতিমালার দুর্বলতা এবং মধ্যস্থতাকারীদের প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফলে ডিজিটাল ও স্বচ্ছ মূল্যায়ন ব্যবস্থা চালু করা, মধ্যস্থতা কমানো এবং নীতিমালা সংস্কার করা হলে ব্যয় নিয়ন্ত্রণ ও অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া দ্রুত করা সম্ভব।
অবশ্য প্রকল্প নিয়ে আশাবাদী রেলওয়ের মহাপরিচালক। তিনি বলেন, ‘যেহেতু জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়েছে, তাই প্রকল্প নিয়ে আমরা আশা রাখছি। সরকার যেকোনোভাবে এটা শেষ করতে চায়। এটা আমাদের অগ্রাধিকারের একটা প্রকল্প।’

বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে সাধারণ কর্মী নিয়োগসংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় চুক্তি আজ সোমবার রিয়াদে স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তিকে দুই দেশের মধ্যে শ্রমবাজার সম্প্রসারণ ও অভিবাসনব্যবস্থার ইতিহাসে এক নতুন মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে...
০৬ অক্টোবর ২০২৫
বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর প্রায় অর্ধেকেই আসামিরা শেষ পর্যন্ত খালাস পাচ্ছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত যেসব মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে, তার পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
হত্যা বন্ধে কোনো ম্যাজিক বা সুইচ অন-অফের মতো কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ হওয়ার কোনো নিশ্চয়তাও দেননি তিনি।
৯ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ সামরিক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান এই ৩১ বাংলাদেশি। এরপর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাঁদের ব্র্যাকের পরিবহন ও জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়।
১০ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

হত্যা বন্ধে কোনো ম্যাজিক বা সুইচ অন-অফের মতো কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ হওয়ার কোনো নিশ্চয়তাও দেননি তিনি।
সচিবালয়ে গতকাল সোমবার আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। রংপুরে এক পুলিশ সদস্যের মা-বাবাকে হত্যা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রংপুরে যে দুজনকে হত্যা করা হয়েছে, তাঁদের এক সন্তান পুলিশে, আরেকজন র্যাবে কর্মরত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনের আগে এসব হত্যার ঘটনা ঘটছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন একজন সাংবাদিক। তখন তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে না, এ ধরনের ঘটনা তো ঘটছে, আমি তো অস্বীকার করি না। আর নির্বাচনের আগে যে এগুলোর সব বন্ধ হয়ে যাবে, তা-ও আমি বলতে পারি না। যদি আমার কাছে কোনো ম্যাজিক থাকত বা লাইট অন-অফের মতো কোনো সুইচ থাকত, তাহলে আমি করে দিতাম; লাইট অফ, এখন আর কোনো কিলিং-টিলিং কোনো কিছু হবে না। আমার কাছে তো ও রকম কোনো ম্যাজিক নেই।’
নির্বাচনের প্রস্তুতি খুবই ভালো জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সব বাহিনী তাদের প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশিক্ষণ কেমন হচ্ছে, তা দেখার জন্য আমরা যাব। আশা করছি, জানুয়ারির মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষ হবে। সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য যত ধরনের প্রস্তুতি দরকার, সবকিছুই নিচ্ছি। নির্বাচনের জন্য বডি ক্যামেরা কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে বডি ক্যামেরা থাকবে।’
প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে বিদ্যুতের ব্যবস্থা রাখা হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এবার ভোট গ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বেড়েছে। সূর্যের আলোর পরেও ভোট গ্রহণ করতে হবে। যে এলাকায় বিদ্যুৎ নেই, সেখানে কী ব্যবস্থা করা যায়; যেখানে বিদ্যুৎ আছে, সেখানে যেন বিদ্যুৎ থাকে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
জাতীয় পার্টিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে নামতে দিচ্ছে না জানিয়ে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (প্রতিযোগিতার সমান সুযোগ) সবার জন্য নিশ্চিত করা হবে কি না; জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘কে মাঠে নামতে দিচ্ছে না? সবাই মাঠেই তো। পুরো মাঠ তো তারাই গরম করে রেখেছে। সবাই আছে। কে কী বলে, তা তো না। অনেকে আছে ঘর থেকে বের হতেই চায় না। বলে, আমি বের হতে পারছি না, কিন্তু তার শরীরের অবস্থা এ রকম যে বের হলেই ঠান্ডা লাগবে। সে এ জন্য বের হতে চায় না। তাদের (জাতীয় পার্টি) কার্যালয় নিয়েই তো তাদের ঝামেলা। সেটা তো আপনারাও জানেন।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই জাদুঘর জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার আগে আমরা এর নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলাপ করেছি, যাতে দর্শনার্থীরা নিরাপদে জাদুঘরে আসা-যাওয়া করতে পারে। লুট হওয়া অস্ত্র প্রতিদিনই উদ্ধার হচ্ছে।’

হত্যা বন্ধে কোনো ম্যাজিক বা সুইচ অন-অফের মতো কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ হওয়ার কোনো নিশ্চয়তাও দেননি তিনি।
সচিবালয়ে গতকাল সোমবার আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। রংপুরে এক পুলিশ সদস্যের মা-বাবাকে হত্যা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রংপুরে যে দুজনকে হত্যা করা হয়েছে, তাঁদের এক সন্তান পুলিশে, আরেকজন র্যাবে কর্মরত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনের আগে এসব হত্যার ঘটনা ঘটছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন একজন সাংবাদিক। তখন তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে না, এ ধরনের ঘটনা তো ঘটছে, আমি তো অস্বীকার করি না। আর নির্বাচনের আগে যে এগুলোর সব বন্ধ হয়ে যাবে, তা-ও আমি বলতে পারি না। যদি আমার কাছে কোনো ম্যাজিক থাকত বা লাইট অন-অফের মতো কোনো সুইচ থাকত, তাহলে আমি করে দিতাম; লাইট অফ, এখন আর কোনো কিলিং-টিলিং কোনো কিছু হবে না। আমার কাছে তো ও রকম কোনো ম্যাজিক নেই।’
নির্বাচনের প্রস্তুতি খুবই ভালো জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সব বাহিনী তাদের প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশিক্ষণ কেমন হচ্ছে, তা দেখার জন্য আমরা যাব। আশা করছি, জানুয়ারির মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষ হবে। সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য যত ধরনের প্রস্তুতি দরকার, সবকিছুই নিচ্ছি। নির্বাচনের জন্য বডি ক্যামেরা কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে বডি ক্যামেরা থাকবে।’
প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে বিদ্যুতের ব্যবস্থা রাখা হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এবার ভোট গ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বেড়েছে। সূর্যের আলোর পরেও ভোট গ্রহণ করতে হবে। যে এলাকায় বিদ্যুৎ নেই, সেখানে কী ব্যবস্থা করা যায়; যেখানে বিদ্যুৎ আছে, সেখানে যেন বিদ্যুৎ থাকে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
জাতীয় পার্টিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে নামতে দিচ্ছে না জানিয়ে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (প্রতিযোগিতার সমান সুযোগ) সবার জন্য নিশ্চিত করা হবে কি না; জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘কে মাঠে নামতে দিচ্ছে না? সবাই মাঠেই তো। পুরো মাঠ তো তারাই গরম করে রেখেছে। সবাই আছে। কে কী বলে, তা তো না। অনেকে আছে ঘর থেকে বের হতেই চায় না। বলে, আমি বের হতে পারছি না, কিন্তু তার শরীরের অবস্থা এ রকম যে বের হলেই ঠান্ডা লাগবে। সে এ জন্য বের হতে চায় না। তাদের (জাতীয় পার্টি) কার্যালয় নিয়েই তো তাদের ঝামেলা। সেটা তো আপনারাও জানেন।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই জাদুঘর জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার আগে আমরা এর নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলাপ করেছি, যাতে দর্শনার্থীরা নিরাপদে জাদুঘরে আসা-যাওয়া করতে পারে। লুট হওয়া অস্ত্র প্রতিদিনই উদ্ধার হচ্ছে।’

বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে সাধারণ কর্মী নিয়োগসংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় চুক্তি আজ সোমবার রিয়াদে স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তিকে দুই দেশের মধ্যে শ্রমবাজার সম্প্রসারণ ও অভিবাসনব্যবস্থার ইতিহাসে এক নতুন মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে...
০৬ অক্টোবর ২০২৫
বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর প্রায় অর্ধেকেই আসামিরা শেষ পর্যন্ত খালাস পাচ্ছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত যেসব মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে, তার পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
অর্থায়ন এখনো নিশ্চিত না হলেও বগুড়া-সিরাজগঞ্জ ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণে ব্যয় বেড়েছে ৩২৩ কোটি টাকা। উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (ডিপিপি) ৯৬০ একর জমি অধিগ্রহণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৯২১ কোটি টাকা। এখন সমীক্ষা শেষে জমির পরিমাণ কমে ৯০১.৭৭ একর হলেও অধিগ্রহণের জন্য চূড়ান্ত ব্যয় প্রাক্ক
৭ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ সামরিক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান এই ৩১ বাংলাদেশি। এরপর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাঁদের ব্র্যাকের পরিবহন ও জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়।
১০ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ সামরিক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান এই ৩১ বাংলাদেশি। এরপর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাঁদের ব্র্যাকের পরিবহন ও জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়।
ফেরত আসা এই ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশ নোয়াখালীর। এ ছাড়া সিলেট, ফেনী, শরিয়তপুর, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা রয়েছেন।
ফেরত আসা এই বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন, তাঁদের সবাইকে প্রায় ৬০ ঘণ্টা হাতে হাতকড়া ও শিকল পরিয়ে দেশে আনা হয়। ঢাকা বিমানবন্দরে এনে তাঁদের শিকলমুক্ত করা হয়। এর আগে চলতি বছরে ২২৬ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন। তাঁদের বেশির ভাগকে একইভাবে হাতকড়া ও শিকল পরানো হয়েছিল।
ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক (মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম) শরিফুল হাসান বলেন, ‘দেশে ফেরত আসা এই ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে আমরা জেনেছি, এই ৩১ জনের মধ্যে অন্তত সাতজন জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র নিয়ে ব্রাজিল গিয়েছিলেন। এরপর সেখান থেকে মেক্সিকো হয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন। এরপর তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের জন্য আবেদন করলে আইনিপ্রক্রিয়া শেষে তাঁদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নথিপত্রহীন কাউকে ফেরত পাঠানোটা হয়তো স্বাভাবিক, কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাতকড়া ও পায়ে শিকল পরিয়ে রাখার ঘটনা অমানবিক।’
শরিফুল হাসান আরও বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি, ব্রাজিলে যাঁদের কাজের নামে পাঠানো হচ্ছে, তাঁদের অধিকাংশ ব্রাজিল থেকে মেক্সিকো হয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন। এ জন্য একেকজন ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা খরচ করছেন, কিন্তু ফিরছেন শূন্য হাতে। যে এজেন্সি তাঁদের পাঠিয়েছিল এবং যাঁরা এই অনুমোদনপ্রক্রিয়ায় ছিলেন, তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত। নতুন করে ব্রাজিলে কর্মী পাঠানোর অনুমতি দেওয়ার আগে সরকারের সতর্ক হওয়া জরুরি।’
এদিকে, দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া আরও জোরদার করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
এর আগে চলতি বছরের ২৮ নভেম্বর একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ৩৯ জন ও ৮ জুন আরেকটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ৪২ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়। তারও আগে চলতি বছরের ৬ মার্চ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত একাধিক ফ্লাইটে আরও অন্তত ৩৪ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
২০২৪ সালের শুরু থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো বাংলাদেশির সংখ্যা ২২০ ছাড়িয়েছে।
মার্কিন অভিবাসন আইন অনুযায়ী, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া অবস্থানকারী অভিবাসীদের আদালতের রায় বা প্রশাসনিক আদেশে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। আশ্রয়ের আবেদন ব্যর্থ হলে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ (আইসিই) তাঁদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ সামরিক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান এই ৩১ বাংলাদেশি। এরপর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাঁদের ব্র্যাকের পরিবহন ও জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়।
ফেরত আসা এই ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশ নোয়াখালীর। এ ছাড়া সিলেট, ফেনী, শরিয়তপুর, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা রয়েছেন।
ফেরত আসা এই বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন, তাঁদের সবাইকে প্রায় ৬০ ঘণ্টা হাতে হাতকড়া ও শিকল পরিয়ে দেশে আনা হয়। ঢাকা বিমানবন্দরে এনে তাঁদের শিকলমুক্ত করা হয়। এর আগে চলতি বছরে ২২৬ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন। তাঁদের বেশির ভাগকে একইভাবে হাতকড়া ও শিকল পরানো হয়েছিল।
ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক (মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম) শরিফুল হাসান বলেন, ‘দেশে ফেরত আসা এই ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে আমরা জেনেছি, এই ৩১ জনের মধ্যে অন্তত সাতজন জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র নিয়ে ব্রাজিল গিয়েছিলেন। এরপর সেখান থেকে মেক্সিকো হয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন। এরপর তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের জন্য আবেদন করলে আইনিপ্রক্রিয়া শেষে তাঁদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নথিপত্রহীন কাউকে ফেরত পাঠানোটা হয়তো স্বাভাবিক, কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাতকড়া ও পায়ে শিকল পরিয়ে রাখার ঘটনা অমানবিক।’
শরিফুল হাসান আরও বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি, ব্রাজিলে যাঁদের কাজের নামে পাঠানো হচ্ছে, তাঁদের অধিকাংশ ব্রাজিল থেকে মেক্সিকো হয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন। এ জন্য একেকজন ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা খরচ করছেন, কিন্তু ফিরছেন শূন্য হাতে। যে এজেন্সি তাঁদের পাঠিয়েছিল এবং যাঁরা এই অনুমোদনপ্রক্রিয়ায় ছিলেন, তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত। নতুন করে ব্রাজিলে কর্মী পাঠানোর অনুমতি দেওয়ার আগে সরকারের সতর্ক হওয়া জরুরি।’
এদিকে, দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া আরও জোরদার করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
এর আগে চলতি বছরের ২৮ নভেম্বর একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ৩৯ জন ও ৮ জুন আরেকটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ৪২ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়। তারও আগে চলতি বছরের ৬ মার্চ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত একাধিক ফ্লাইটে আরও অন্তত ৩৪ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
২০২৪ সালের শুরু থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো বাংলাদেশির সংখ্যা ২২০ ছাড়িয়েছে।
মার্কিন অভিবাসন আইন অনুযায়ী, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া অবস্থানকারী অভিবাসীদের আদালতের রায় বা প্রশাসনিক আদেশে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। আশ্রয়ের আবেদন ব্যর্থ হলে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ (আইসিই) তাঁদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করে।

বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে সাধারণ কর্মী নিয়োগসংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় চুক্তি আজ সোমবার রিয়াদে স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তিকে দুই দেশের মধ্যে শ্রমবাজার সম্প্রসারণ ও অভিবাসনব্যবস্থার ইতিহাসে এক নতুন মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে...
০৬ অক্টোবর ২০২৫
বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর প্রায় অর্ধেকেই আসামিরা শেষ পর্যন্ত খালাস পাচ্ছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত যেসব মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে, তার পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
অর্থায়ন এখনো নিশ্চিত না হলেও বগুড়া-সিরাজগঞ্জ ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণে ব্যয় বেড়েছে ৩২৩ কোটি টাকা। উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (ডিপিপি) ৯৬০ একর জমি অধিগ্রহণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৯২১ কোটি টাকা। এখন সমীক্ষা শেষে জমির পরিমাণ কমে ৯০১.৭৭ একর হলেও অধিগ্রহণের জন্য চূড়ান্ত ব্যয় প্রাক্ক
৭ ঘণ্টা আগে
হত্যা বন্ধে কোনো ম্যাজিক বা সুইচ অন-অফের মতো কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ হওয়ার কোনো নিশ্চয়তাও দেননি তিনি।
৯ ঘণ্টা আগে