
সিত্রাং এখন প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। দেশের ১৩টি জেলায় আঘাত হানবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। এসব জেলার মধ্যে রয়েছে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বরিশাল।
এরই মধ্যে এই বিভিন্ন জেলায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত হচ্ছে আশ্রয় কেন্দ্র। এলাকায় এলাকায মাইকিং করা হচ্ছে।
অস্বাভাবিক বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে বরিশাল নগরের বেশির ভাগ এলাকা। এদিকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের বড় নদনদী সবগুলোর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বরিশালের জেলা প্রশাসক মো: জসীম উদ্দীন হায়দার জানিয়েছেন, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা ও ঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বরিশাল জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় জানানো হয়েছে-৫৪১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত আছে, যেখানে প্রায় ২ লাখ ৬৯ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। শুকনা খাবার, সুপেয় পানি মোমবাতি, ওষুধপত্রের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। উদ্ধার তৎপরতায় প্রয়োজনীয় যানবাহন, সরঞ্জামাদিসহ প্রতিটি ইউনিয়নে ১টি করে মেডিকেল টিমের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে ঘর বন্দী হয়ে পড়েছে উপকূলীয় অঞ্চল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা মানুষ। সেখানে সাইক্লোন শেল্টারসহ আশ্রয়ণ কেন্দ্রগুলো খোলা হয়েছে। মেঘনা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে কিছু চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের মানুষ ও গবাদিপশু রক্ষায় সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দুর্গম এলাকা থেকে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে আসার জন্য নদী এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। যারা নদীতে আছেন তাদেরকে দ্রুত লোকালয়ে আনার জন্য নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডকে বলা হয়েছে।
 সাতক্ষীরায় সিত্রাংয়ের প্রভাবে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। সেখানকার মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার প্রস্তুতি চলছে। মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে, ৫ থেকে ৮ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে বলে জানান সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন।
সাতক্ষীরায় সিত্রাংয়ের প্রভাবে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। সেখানকার মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার প্রস্তুতি চলছে। মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে, ৫ থেকে ৮ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে বলে জানান সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন। 
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে। রোববার থেকে উপকূলীয় এলাকায় টানা বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। রোববার থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় পটুয়াখালী জেলায় ৭৯.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। পটুয়াখালীতে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট ও শুকনো খাবার মজুত আছে। জেলার সব উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় ৬৪২টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে বরগুনা জেলা প্রশাসন। দুপুরে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলা সংক্রান্ত এক প্রস্তুতি সভায় জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান এ তথ্য জানান।
ভোলা জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলার সরকারি সব দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ভোলা জেলার ৭৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলায় মোট ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ১৩ হাজার ৬৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। জেলার ৭০ ইউনিয়ন ও জেলার সাত উপজেলায় একটি করে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
 উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠির সুগন্ধা-বিষখালির নদী তীরে নেই পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার। জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার না থাকার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তবে এটি চলমান প্রক্রিয়া। পর্যায়ক্রমে সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করা হচ্ছে। এ জেলায় ৬১টি সাইক্লোন শেল্টার থাকলেও দুর্যোগের মুহূর্তে নদীতীরের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাসহ সরকারি কয়েকশ পাকা প্রতিষ্ঠান আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া দুর্যোগ মোকাবিলায় সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠির সুগন্ধা-বিষখালির নদী তীরে নেই পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার। জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার না থাকার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তবে এটি চলমান প্রক্রিয়া। পর্যায়ক্রমে সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করা হচ্ছে। এ জেলায় ৬১টি সাইক্লোন শেল্টার থাকলেও দুর্যোগের মুহূর্তে নদীতীরের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাসহ সরকারি কয়েকশ পাকা প্রতিষ্ঠান আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া দুর্যোগ মোকাবিলায় সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। 
ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ মোকাবিলায় খুলনা জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ মোকাবিলায় খুলনা জেলার উপকূলীয় এলাকার পাঁচশত ৪৮টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যার মধ্যে দাকোপে ১১৮টি, বাটিয়াঘাটায় ২৩টি, ডুমুরিয়ায় ২৫টি, কয়রায় ১১৮টি, পাইকগাছায় ১০৮টি, তেরখাদায় ২২টি, রূপসায় ৩৮টি, ফুলতালায় ২৫টি ও দিঘলিয়া উপজেলায় ৭১টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। যে কোন দুর্যোগ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রগুলোয় মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। জেলার প্রতিটি উপজেলায় ৫টি এবং প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে মোট ১১৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালগুলোর জরুরি বিভাগে সার্বক্ষণিক সেবা প্রদানের জন্য ডাক্তার, সেবিকা, ওষুধপত্র ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
পিরোজপুর জেলায় ২৬০টি সাইক্লোন শেল্টার ও ১৭৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রস্তুত আছে যেখানে আশ্রয় নিতে পারবে তিন লক্ষাধিক মানুষ। তাদের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ২৫০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১ লক্ষ টাকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও ৬৩টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ৭ উপজেলায় ৭টি এবং সদরে ২টি মোট ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও রেডক্রিসেন্ট সহ স্বেচ্ছাসেবক টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, সাইক্লোন শেল্টার ও প্রাথমিক বিদ্যালয় মিলে মোট ৪ শত ৩৯টি আশ্রয়ণ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নিম্নাঞ্চলের মানুষদের সরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। অনেকেই সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছেন।
 ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে চাঁদপুরে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। ২৪ অক্টোবর ভোররাত থেকে চাঁদপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বৃষ্টির পরিমাণ। এদিকে যে কোন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন। চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রত্যেকটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সতর্ক অবস্থানে থাকার জন্য। জেলার মতলব উত্তর, চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে প্রায় ১২১টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে চাঁদপুরে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। ২৪ অক্টোবর ভোররাত থেকে চাঁদপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বৃষ্টির পরিমাণ। এদিকে যে কোন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন। চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রত্যেকটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সতর্ক অবস্থানে থাকার জন্য। জেলার মতলব উত্তর, চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে প্রায় ১২১টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। 
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ফেনীতে থেমে থেমে ভারীবর্ষন ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত সহ দমকা হাওয়া বইছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় এরই মধ্যে জেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুতি সভার মাধ্যমে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় সকলকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে হবে। এ জন্য ২৩ হাজার মানুষের ধারণ ক্ষমতা ৪৩টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে এবং ১৪টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।
(প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বরিশাল প্রতিনিধিরা)

সিত্রাং এখন প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। দেশের ১৩টি জেলায় আঘাত হানবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। এসব জেলার মধ্যে রয়েছে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বরিশাল।
এরই মধ্যে এই বিভিন্ন জেলায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত হচ্ছে আশ্রয় কেন্দ্র। এলাকায় এলাকায মাইকিং করা হচ্ছে।
অস্বাভাবিক বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে বরিশাল নগরের বেশির ভাগ এলাকা। এদিকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের বড় নদনদী সবগুলোর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বরিশালের জেলা প্রশাসক মো: জসীম উদ্দীন হায়দার জানিয়েছেন, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা ও ঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বরিশাল জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় জানানো হয়েছে-৫৪১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত আছে, যেখানে প্রায় ২ লাখ ৬৯ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। শুকনা খাবার, সুপেয় পানি মোমবাতি, ওষুধপত্রের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। উদ্ধার তৎপরতায় প্রয়োজনীয় যানবাহন, সরঞ্জামাদিসহ প্রতিটি ইউনিয়নে ১টি করে মেডিকেল টিমের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে ঘর বন্দী হয়ে পড়েছে উপকূলীয় অঞ্চল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা মানুষ। সেখানে সাইক্লোন শেল্টারসহ আশ্রয়ণ কেন্দ্রগুলো খোলা হয়েছে। মেঘনা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে কিছু চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের মানুষ ও গবাদিপশু রক্ষায় সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দুর্গম এলাকা থেকে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে আসার জন্য নদী এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। যারা নদীতে আছেন তাদেরকে দ্রুত লোকালয়ে আনার জন্য নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডকে বলা হয়েছে।
 সাতক্ষীরায় সিত্রাংয়ের প্রভাবে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। সেখানকার মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার প্রস্তুতি চলছে। মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে, ৫ থেকে ৮ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে বলে জানান সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন।
সাতক্ষীরায় সিত্রাংয়ের প্রভাবে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। সেখানকার মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার প্রস্তুতি চলছে। মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে, ৫ থেকে ৮ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে বলে জানান সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন। 
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে। রোববার থেকে উপকূলীয় এলাকায় টানা বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। রোববার থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় পটুয়াখালী জেলায় ৭৯.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। পটুয়াখালীতে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট ও শুকনো খাবার মজুত আছে। জেলার সব উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় ৬৪২টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে বরগুনা জেলা প্রশাসন। দুপুরে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলা সংক্রান্ত এক প্রস্তুতি সভায় জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান এ তথ্য জানান।
ভোলা জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলার সরকারি সব দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ভোলা জেলার ৭৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলায় মোট ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ১৩ হাজার ৬৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। জেলার ৭০ ইউনিয়ন ও জেলার সাত উপজেলায় একটি করে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
 উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠির সুগন্ধা-বিষখালির নদী তীরে নেই পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার। জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার না থাকার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তবে এটি চলমান প্রক্রিয়া। পর্যায়ক্রমে সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করা হচ্ছে। এ জেলায় ৬১টি সাইক্লোন শেল্টার থাকলেও দুর্যোগের মুহূর্তে নদীতীরের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাসহ সরকারি কয়েকশ পাকা প্রতিষ্ঠান আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া দুর্যোগ মোকাবিলায় সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠির সুগন্ধা-বিষখালির নদী তীরে নেই পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার। জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার না থাকার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তবে এটি চলমান প্রক্রিয়া। পর্যায়ক্রমে সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করা হচ্ছে। এ জেলায় ৬১টি সাইক্লোন শেল্টার থাকলেও দুর্যোগের মুহূর্তে নদীতীরের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাসহ সরকারি কয়েকশ পাকা প্রতিষ্ঠান আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া দুর্যোগ মোকাবিলায় সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। 
ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ মোকাবিলায় খুলনা জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ মোকাবিলায় খুলনা জেলার উপকূলীয় এলাকার পাঁচশত ৪৮টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যার মধ্যে দাকোপে ১১৮টি, বাটিয়াঘাটায় ২৩টি, ডুমুরিয়ায় ২৫টি, কয়রায় ১১৮টি, পাইকগাছায় ১০৮টি, তেরখাদায় ২২টি, রূপসায় ৩৮টি, ফুলতালায় ২৫টি ও দিঘলিয়া উপজেলায় ৭১টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। যে কোন দুর্যোগ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রগুলোয় মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। জেলার প্রতিটি উপজেলায় ৫টি এবং প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে মোট ১১৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালগুলোর জরুরি বিভাগে সার্বক্ষণিক সেবা প্রদানের জন্য ডাক্তার, সেবিকা, ওষুধপত্র ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
পিরোজপুর জেলায় ২৬০টি সাইক্লোন শেল্টার ও ১৭৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রস্তুত আছে যেখানে আশ্রয় নিতে পারবে তিন লক্ষাধিক মানুষ। তাদের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ২৫০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১ লক্ষ টাকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও ৬৩টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ৭ উপজেলায় ৭টি এবং সদরে ২টি মোট ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও রেডক্রিসেন্ট সহ স্বেচ্ছাসেবক টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, সাইক্লোন শেল্টার ও প্রাথমিক বিদ্যালয় মিলে মোট ৪ শত ৩৯টি আশ্রয়ণ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নিম্নাঞ্চলের মানুষদের সরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। অনেকেই সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছেন।
 ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে চাঁদপুরে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। ২৪ অক্টোবর ভোররাত থেকে চাঁদপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বৃষ্টির পরিমাণ। এদিকে যে কোন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন। চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রত্যেকটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সতর্ক অবস্থানে থাকার জন্য। জেলার মতলব উত্তর, চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে প্রায় ১২১টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে চাঁদপুরে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। ২৪ অক্টোবর ভোররাত থেকে চাঁদপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বৃষ্টির পরিমাণ। এদিকে যে কোন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন। চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রত্যেকটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সতর্ক অবস্থানে থাকার জন্য। জেলার মতলব উত্তর, চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে প্রায় ১২১টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। 
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ফেনীতে থেমে থেমে ভারীবর্ষন ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত সহ দমকা হাওয়া বইছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় এরই মধ্যে জেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুতি সভার মাধ্যমে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় সকলকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে হবে। এ জন্য ২৩ হাজার মানুষের ধারণ ক্ষমতা ৪৩টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে এবং ১৪টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।
(প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বরিশাল প্রতিনিধিরা)


সিত্রাং এখন প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। দেশের ১৩টি জেলায় আঘাত হানবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। এসব জেলার মধ্যে রয়েছে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বরিশাল।
এরই মধ্যে এই বিভিন্ন জেলায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত হচ্ছে আশ্রয় কেন্দ্র। এলাকায় এলাকায মাইকিং করা হচ্ছে।
অস্বাভাবিক বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে বরিশাল নগরের বেশির ভাগ এলাকা। এদিকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের বড় নদনদী সবগুলোর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বরিশালের জেলা প্রশাসক মো: জসীম উদ্দীন হায়দার জানিয়েছেন, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা ও ঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বরিশাল জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় জানানো হয়েছে-৫৪১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত আছে, যেখানে প্রায় ২ লাখ ৬৯ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। শুকনা খাবার, সুপেয় পানি মোমবাতি, ওষুধপত্রের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। উদ্ধার তৎপরতায় প্রয়োজনীয় যানবাহন, সরঞ্জামাদিসহ প্রতিটি ইউনিয়নে ১টি করে মেডিকেল টিমের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে ঘর বন্দী হয়ে পড়েছে উপকূলীয় অঞ্চল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা মানুষ। সেখানে সাইক্লোন শেল্টারসহ আশ্রয়ণ কেন্দ্রগুলো খোলা হয়েছে। মেঘনা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে কিছু চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের মানুষ ও গবাদিপশু রক্ষায় সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দুর্গম এলাকা থেকে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে আসার জন্য নদী এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। যারা নদীতে আছেন তাদেরকে দ্রুত লোকালয়ে আনার জন্য নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডকে বলা হয়েছে।
 সাতক্ষীরায় সিত্রাংয়ের প্রভাবে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। সেখানকার মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার প্রস্তুতি চলছে। মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে, ৫ থেকে ৮ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে বলে জানান সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন।
সাতক্ষীরায় সিত্রাংয়ের প্রভাবে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। সেখানকার মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার প্রস্তুতি চলছে। মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে, ৫ থেকে ৮ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে বলে জানান সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন। 
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে। রোববার থেকে উপকূলীয় এলাকায় টানা বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। রোববার থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় পটুয়াখালী জেলায় ৭৯.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। পটুয়াখালীতে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট ও শুকনো খাবার মজুত আছে। জেলার সব উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় ৬৪২টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে বরগুনা জেলা প্রশাসন। দুপুরে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলা সংক্রান্ত এক প্রস্তুতি সভায় জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান এ তথ্য জানান।
ভোলা জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলার সরকারি সব দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ভোলা জেলার ৭৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলায় মোট ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ১৩ হাজার ৬৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। জেলার ৭০ ইউনিয়ন ও জেলার সাত উপজেলায় একটি করে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
 উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠির সুগন্ধা-বিষখালির নদী তীরে নেই পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার। জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার না থাকার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তবে এটি চলমান প্রক্রিয়া। পর্যায়ক্রমে সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করা হচ্ছে। এ জেলায় ৬১টি সাইক্লোন শেল্টার থাকলেও দুর্যোগের মুহূর্তে নদীতীরের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাসহ সরকারি কয়েকশ পাকা প্রতিষ্ঠান আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া দুর্যোগ মোকাবিলায় সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠির সুগন্ধা-বিষখালির নদী তীরে নেই পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার। জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার না থাকার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তবে এটি চলমান প্রক্রিয়া। পর্যায়ক্রমে সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করা হচ্ছে। এ জেলায় ৬১টি সাইক্লোন শেল্টার থাকলেও দুর্যোগের মুহূর্তে নদীতীরের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাসহ সরকারি কয়েকশ পাকা প্রতিষ্ঠান আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া দুর্যোগ মোকাবিলায় সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। 
ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ মোকাবিলায় খুলনা জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ মোকাবিলায় খুলনা জেলার উপকূলীয় এলাকার পাঁচশত ৪৮টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যার মধ্যে দাকোপে ১১৮টি, বাটিয়াঘাটায় ২৩টি, ডুমুরিয়ায় ২৫টি, কয়রায় ১১৮টি, পাইকগাছায় ১০৮টি, তেরখাদায় ২২টি, রূপসায় ৩৮টি, ফুলতালায় ২৫টি ও দিঘলিয়া উপজেলায় ৭১টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। যে কোন দুর্যোগ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রগুলোয় মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। জেলার প্রতিটি উপজেলায় ৫টি এবং প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে মোট ১১৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালগুলোর জরুরি বিভাগে সার্বক্ষণিক সেবা প্রদানের জন্য ডাক্তার, সেবিকা, ওষুধপত্র ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
পিরোজপুর জেলায় ২৬০টি সাইক্লোন শেল্টার ও ১৭৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রস্তুত আছে যেখানে আশ্রয় নিতে পারবে তিন লক্ষাধিক মানুষ। তাদের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ২৫০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১ লক্ষ টাকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও ৬৩টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ৭ উপজেলায় ৭টি এবং সদরে ২টি মোট ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও রেডক্রিসেন্ট সহ স্বেচ্ছাসেবক টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, সাইক্লোন শেল্টার ও প্রাথমিক বিদ্যালয় মিলে মোট ৪ শত ৩৯টি আশ্রয়ণ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নিম্নাঞ্চলের মানুষদের সরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। অনেকেই সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছেন।
 ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে চাঁদপুরে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। ২৪ অক্টোবর ভোররাত থেকে চাঁদপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বৃষ্টির পরিমাণ। এদিকে যে কোন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন। চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রত্যেকটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সতর্ক অবস্থানে থাকার জন্য। জেলার মতলব উত্তর, চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে প্রায় ১২১টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে চাঁদপুরে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। ২৪ অক্টোবর ভোররাত থেকে চাঁদপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বৃষ্টির পরিমাণ। এদিকে যে কোন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন। চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রত্যেকটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সতর্ক অবস্থানে থাকার জন্য। জেলার মতলব উত্তর, চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে প্রায় ১২১টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। 
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ফেনীতে থেমে থেমে ভারীবর্ষন ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত সহ দমকা হাওয়া বইছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় এরই মধ্যে জেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুতি সভার মাধ্যমে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় সকলকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে হবে। এ জন্য ২৩ হাজার মানুষের ধারণ ক্ষমতা ৪৩টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে এবং ১৪টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।
(প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বরিশাল প্রতিনিধিরা)

সিত্রাং এখন প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। দেশের ১৩টি জেলায় আঘাত হানবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। এসব জেলার মধ্যে রয়েছে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বরিশাল।
এরই মধ্যে এই বিভিন্ন জেলায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত হচ্ছে আশ্রয় কেন্দ্র। এলাকায় এলাকায মাইকিং করা হচ্ছে।
অস্বাভাবিক বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে বরিশাল নগরের বেশির ভাগ এলাকা। এদিকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের বড় নদনদী সবগুলোর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বরিশালের জেলা প্রশাসক মো: জসীম উদ্দীন হায়দার জানিয়েছেন, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা ও ঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বরিশাল জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় জানানো হয়েছে-৫৪১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত আছে, যেখানে প্রায় ২ লাখ ৬৯ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। শুকনা খাবার, সুপেয় পানি মোমবাতি, ওষুধপত্রের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। উদ্ধার তৎপরতায় প্রয়োজনীয় যানবাহন, সরঞ্জামাদিসহ প্রতিটি ইউনিয়নে ১টি করে মেডিকেল টিমের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে ঘর বন্দী হয়ে পড়েছে উপকূলীয় অঞ্চল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা মানুষ। সেখানে সাইক্লোন শেল্টারসহ আশ্রয়ণ কেন্দ্রগুলো খোলা হয়েছে। মেঘনা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে কিছু চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের মানুষ ও গবাদিপশু রক্ষায় সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দুর্গম এলাকা থেকে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে আসার জন্য নদী এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। যারা নদীতে আছেন তাদেরকে দ্রুত লোকালয়ে আনার জন্য নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডকে বলা হয়েছে।
 সাতক্ষীরায় সিত্রাংয়ের প্রভাবে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। সেখানকার মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার প্রস্তুতি চলছে। মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে, ৫ থেকে ৮ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে বলে জানান সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন।
সাতক্ষীরায় সিত্রাংয়ের প্রভাবে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। সেখানকার মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার প্রস্তুতি চলছে। মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে, ৫ থেকে ৮ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে বলে জানান সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন। 
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে। রোববার থেকে উপকূলীয় এলাকায় টানা বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। রোববার থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় পটুয়াখালী জেলায় ৭৯.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। পটুয়াখালীতে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট ও শুকনো খাবার মজুত আছে। জেলার সব উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় ৬৪২টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে বরগুনা জেলা প্রশাসন। দুপুরে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলা সংক্রান্ত এক প্রস্তুতি সভায় জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান এ তথ্য জানান।
ভোলা জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলার সরকারি সব দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ভোলা জেলার ৭৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলায় মোট ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ১৩ হাজার ৬৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। জেলার ৭০ ইউনিয়ন ও জেলার সাত উপজেলায় একটি করে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
 উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠির সুগন্ধা-বিষখালির নদী তীরে নেই পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার। জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার না থাকার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তবে এটি চলমান প্রক্রিয়া। পর্যায়ক্রমে সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করা হচ্ছে। এ জেলায় ৬১টি সাইক্লোন শেল্টার থাকলেও দুর্যোগের মুহূর্তে নদীতীরের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাসহ সরকারি কয়েকশ পাকা প্রতিষ্ঠান আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া দুর্যোগ মোকাবিলায় সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠির সুগন্ধা-বিষখালির নদী তীরে নেই পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার। জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার না থাকার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তবে এটি চলমান প্রক্রিয়া। পর্যায়ক্রমে সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করা হচ্ছে। এ জেলায় ৬১টি সাইক্লোন শেল্টার থাকলেও দুর্যোগের মুহূর্তে নদীতীরের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাসহ সরকারি কয়েকশ পাকা প্রতিষ্ঠান আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া দুর্যোগ মোকাবিলায় সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। 
ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ মোকাবিলায় খুলনা জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ মোকাবিলায় খুলনা জেলার উপকূলীয় এলাকার পাঁচশত ৪৮টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যার মধ্যে দাকোপে ১১৮টি, বাটিয়াঘাটায় ২৩টি, ডুমুরিয়ায় ২৫টি, কয়রায় ১১৮টি, পাইকগাছায় ১০৮টি, তেরখাদায় ২২টি, রূপসায় ৩৮টি, ফুলতালায় ২৫টি ও দিঘলিয়া উপজেলায় ৭১টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। যে কোন দুর্যোগ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রগুলোয় মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। জেলার প্রতিটি উপজেলায় ৫টি এবং প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে মোট ১১৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালগুলোর জরুরি বিভাগে সার্বক্ষণিক সেবা প্রদানের জন্য ডাক্তার, সেবিকা, ওষুধপত্র ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
পিরোজপুর জেলায় ২৬০টি সাইক্লোন শেল্টার ও ১৭৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রস্তুত আছে যেখানে আশ্রয় নিতে পারবে তিন লক্ষাধিক মানুষ। তাদের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ২৫০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১ লক্ষ টাকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও ৬৩টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ৭ উপজেলায় ৭টি এবং সদরে ২টি মোট ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও রেডক্রিসেন্ট সহ স্বেচ্ছাসেবক টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, সাইক্লোন শেল্টার ও প্রাথমিক বিদ্যালয় মিলে মোট ৪ শত ৩৯টি আশ্রয়ণ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নিম্নাঞ্চলের মানুষদের সরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। অনেকেই সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছেন।
 ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে চাঁদপুরে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। ২৪ অক্টোবর ভোররাত থেকে চাঁদপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বৃষ্টির পরিমাণ। এদিকে যে কোন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন। চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রত্যেকটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সতর্ক অবস্থানে থাকার জন্য। জেলার মতলব উত্তর, চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে প্রায় ১২১টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে চাঁদপুরে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। ২৪ অক্টোবর ভোররাত থেকে চাঁদপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বৃষ্টির পরিমাণ। এদিকে যে কোন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন। চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রত্যেকটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সতর্ক অবস্থানে থাকার জন্য। জেলার মতলব উত্তর, চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে প্রায় ১২১টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। 
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ফেনীতে থেমে থেমে ভারীবর্ষন ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত সহ দমকা হাওয়া বইছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় এরই মধ্যে জেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুতি সভার মাধ্যমে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় সকলকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে হবে। এ জন্য ২৩ হাজার মানুষের ধারণ ক্ষমতা ৪৩টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে এবং ১৪টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।
(প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বরিশাল প্রতিনিধিরা)


কমিশনের এক সদস্য বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তো কমিশনেরও সভাপতি। আমরা একটি সুপারিশ তৈরি করছি। সেখানে তো তাঁরও মতামত থাকবে। সে জন্য আজকে কমিশন সভাপতির সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং তাদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে সরকারের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ স্পষ্ট করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মোট ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯ টি। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৭টি এবং নারীদের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি কক্ষ।
১ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করবেন কমিশনের সদস্যরা। আজ সোমবার বিকেল ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
কমিশন সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশন সভাপতির সঙ্গে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে তৈরি করা সুপারিশের ড্রাফটের বিষয়ে আলোচনা হবে এই বৈঠকে। সভাপতির মতামতের ভিত্তিতে সুপারিশের খসড়ায় সংযোজন-বিয়োজন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায়ের পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ তৈরি করে পরে সরকারের কাছে জমা দেবে। অন্যদিকে খসড়ায় নতুন করে সংশোধনী না থাকলে আজই সেটি সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে।
কমিশনের এক সদস্য বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা তো কমিশনেরও সভাপতি। আমরা একটি সুপারিশ তৈরি করছি। সেখানে তো তাঁরও মতামত থাকবে। সে জন্য আজকে কমিশন সভাপতির সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।’
কমিশন সূত্র জানায়, সনদ বাস্তবায়নে কমিশন সুপারিশের যে রূপরেখা ঠিক করেছে, তাতে প্রথমে একটি আদেশ জারি করা হবে। গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ নামে এই আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে জারি হবে গণভোট-বিষয়ক একটি অধ্যাদেশ। এর ভিত্তিতেই হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে। বাস্তবায়নের পুরো প্রক্রিয়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে উল্লেখ থাকবে।
আদেশ জারির পর এর কিছু অংশ তাৎক্ষণিক এবং কিছু কিছু বিষয় পরবর্তীকালে কার্যকর হবে। আদেশের কোন ধারা কবে কার্যকর হবে তা উল্লেখ থাকবে।
জুলাই সনদের ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব আদেশের পরিশিষ্টে উল্লেখ থাকবে। তবে সেখানে কোনো দলের ভিন্নমতের বিষয় উল্লেখ থাকবে না। শুধু কমিশনের ৮৪টি প্রস্তাব অথবা সিদ্ধান্তের উল্লেখ থাকবে।

প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করবেন কমিশনের সদস্যরা। আজ সোমবার বিকেল ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
কমিশন সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশন সভাপতির সঙ্গে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে তৈরি করা সুপারিশের ড্রাফটের বিষয়ে আলোচনা হবে এই বৈঠকে। সভাপতির মতামতের ভিত্তিতে সুপারিশের খসড়ায় সংযোজন-বিয়োজন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায়ের পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ তৈরি করে পরে সরকারের কাছে জমা দেবে। অন্যদিকে খসড়ায় নতুন করে সংশোধনী না থাকলে আজই সেটি সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে।
কমিশনের এক সদস্য বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা তো কমিশনেরও সভাপতি। আমরা একটি সুপারিশ তৈরি করছি। সেখানে তো তাঁরও মতামত থাকবে। সে জন্য আজকে কমিশন সভাপতির সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।’
কমিশন সূত্র জানায়, সনদ বাস্তবায়নে কমিশন সুপারিশের যে রূপরেখা ঠিক করেছে, তাতে প্রথমে একটি আদেশ জারি করা হবে। গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ নামে এই আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে জারি হবে গণভোট-বিষয়ক একটি অধ্যাদেশ। এর ভিত্তিতেই হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে। বাস্তবায়নের পুরো প্রক্রিয়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে উল্লেখ থাকবে।
আদেশ জারির পর এর কিছু অংশ তাৎক্ষণিক এবং কিছু কিছু বিষয় পরবর্তীকালে কার্যকর হবে। আদেশের কোন ধারা কবে কার্যকর হবে তা উল্লেখ থাকবে।
জুলাই সনদের ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব আদেশের পরিশিষ্টে উল্লেখ থাকবে। তবে সেখানে কোনো দলের ভিন্নমতের বিষয় উল্লেখ থাকবে না। শুধু কমিশনের ৮৪টি প্রস্তাব অথবা সিদ্ধান্তের উল্লেখ থাকবে।


সিত্রাং এখন প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। দেশের ১৩টি জেলায় আঘাত হানবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। এসব জেলার মধ্যে রয়েছে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বরিশাল
২৪ অক্টোবর ২০২২
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং তাদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে সরকারের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ স্পষ্ট করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মোট ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯ টি। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৭টি এবং নারীদের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি কক্ষ।
১ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং তাদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে সরকারের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ স্পষ্ট করা হয়।
গতকাল রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভা নভেম্বরেই শেষ হয়ে যাবে—বলে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মন্তব্য নিয়ে ‘বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ায়’ সরকার এই বিবৃতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে দেওয়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব মাহফুজ আলম উপদেষ্টা পরিষদের কার্যক্রম নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হবার পর কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘বস্তুত, সরকারের গৃহীত সংস্কার ও নীতিমালা প্রণয়নের কাজ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে এটা সঠিক নয়, বরং সংস্কার কার্যক্রম পূর্ণোদ্যমে চলমান থাকবে। এ ছাড়া, উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর না করা পর্যন্ত নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে।’
এর আগে, গতকাল তথ্য উপদেষ্টা ডিআরইউতে বলেছিলেন, ‘সংস্কার কমিশন থেকে ২৩টি আশু বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাব তোলা হয়েছে। মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা করে ১৩টি প্রস্তাব বাস্তবায়ন করছে। নভেম্বরে কেবিনেট ক্লোজ হয়ে যাবে, যা করার আগামী মাসের মধ্যে করতে চাই।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং তাদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে সরকারের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ স্পষ্ট করা হয়।
গতকাল রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভা নভেম্বরেই শেষ হয়ে যাবে—বলে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মন্তব্য নিয়ে ‘বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ায়’ সরকার এই বিবৃতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে দেওয়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব মাহফুজ আলম উপদেষ্টা পরিষদের কার্যক্রম নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হবার পর কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘বস্তুত, সরকারের গৃহীত সংস্কার ও নীতিমালা প্রণয়নের কাজ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে এটা সঠিক নয়, বরং সংস্কার কার্যক্রম পূর্ণোদ্যমে চলমান থাকবে। এ ছাড়া, উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর না করা পর্যন্ত নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে।’
এর আগে, গতকাল তথ্য উপদেষ্টা ডিআরইউতে বলেছিলেন, ‘সংস্কার কমিশন থেকে ২৩টি আশু বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাব তোলা হয়েছে। মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা করে ১৩টি প্রস্তাব বাস্তবায়ন করছে। নভেম্বরে কেবিনেট ক্লোজ হয়ে যাবে, যা করার আগামী মাসের মধ্যে করতে চাই।’


সিত্রাং এখন প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। দেশের ১৩টি জেলায় আঘাত হানবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। এসব জেলার মধ্যে রয়েছে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বরিশাল
২৪ অক্টোবর ২০২২
কমিশনের এক সদস্য বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তো কমিশনেরও সভাপতি। আমরা একটি সুপারিশ তৈরি করছি। সেখানে তো তাঁরও মতামত থাকবে। সে জন্য আজকে কমিশন সভাপতির সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মোট ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯ টি। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৭টি এবং নারীদের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি কক্ষ।
১ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মোট ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯ টি। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৭টি এবং নারীদের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি কক্ষ।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
সচিব আরও জানান, অস্থায়ী ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা প্রাথমিকভাবে ১৪টি এবং প্রায় ১২ হাজার অস্থায়ী ভোটকক্ষ থাকবে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মোট ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯ টি। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৭টি এবং নারীদের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি কক্ষ।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
সচিব আরও জানান, অস্থায়ী ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা প্রাথমিকভাবে ১৪টি এবং প্রায় ১২ হাজার অস্থায়ী ভোটকক্ষ থাকবে।


সিত্রাং এখন প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। দেশের ১৩টি জেলায় আঘাত হানবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। এসব জেলার মধ্যে রয়েছে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বরিশাল
২৪ অক্টোবর ২০২২
কমিশনের এক সদস্য বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তো কমিশনেরও সভাপতি। আমরা একটি সুপারিশ তৈরি করছি। সেখানে তো তাঁরও মতামত থাকবে। সে জন্য আজকে কমিশন সভাপতির সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং তাদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে সরকারের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ স্পষ্ট করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্
১২ ঘণ্টা আগেতানিম আহমেদ, ঢাকা

রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। নতুন সংসদ নির্ধারিত ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, সে বিষয়েও একটি বিকল্প ভাবা হচ্ছে।
সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশের খসড়া তৈরির কাজ গতকাল রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে। প্রস্তাবিত সময়ের মধ্যে নতুন সংসদ সংস্কার বাস্তবায়ন না করলে করণীয় কী হবে, তা গতকাল রাত বা আজ (সোমবার) সকালের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে। আজ সকালে কমিশনের আবার বৈঠকের মাধ্যমে সুপারিশ চূড়ান্ত করে দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।
সনদ বাস্তবায়নে কমিশন সুপারিশের যে রূপরেখা ঠিক করেছে, তাতে প্রথমে গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে করা হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে।
কমিশন সূত্র জানায়, বাস্তবায়নের এই পুরো প্রক্রিয়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে উল্লেখ থাকবে। আদেশ জারির পর এর কিছু অংশ তাৎক্ষণিকভাবে এবং কিছু কিছু বিষয় পরবর্তী সময়ে কার্যকর হবে। আদেশের কোন ধারা কবে কার্যকর হবে, তা উল্লেখ থাকবে। জুলাই সনদের সর্বসম্মত ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব আদেশের পরিশিষ্টে উল্লেখ থাকবে। সেখানে কোনো দলের ভিন্নমতের উল্লেখ থাকবে না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, ‘আমরা সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছি। কমিশন আশা করছে, আগামীকালের (আজ সোমবার) মধ্যে সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া সম্ভব হবে।’
দ্বিকক্ষের সংসদ নিয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত হলেও গঠনপ্রক্রিয়া নিয়ে দ্বিমত আছে। বিএনপিসহ সমমনা কয়েকটি দল নিম্নকক্ষের আসনের অনুপাতে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টনের পক্ষে। অন্যদিকে জামায়াত, এনসিপিসহ সংলাপে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ দল পিআর ভোটের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষের দাবি জানিয়েছে। আবার জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ ইসলামপন্থী কয়েকটি দল উভয় কক্ষেই পিআরের ভিত্তিতে ভোট চেয়েছে। একাধিক সূত্র বলছে, বিএনপি পিআরে উচ্চকক্ষ মানলে নিম্নকক্ষের পিআরের দাবি থেকে দলগুলো সরে যাবে। বিষয়টি আদেশে আলাদা করে রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বৈঠক সূত্র জানায়, গণভোটে যদি সনদ বেশি ‘হ্যাঁ’ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়, তাহলে আগামী সংসদে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠন বাধ্যতামূলক হবে। সে ক্ষেত্রে বিষয়টি আদেশে আলাদা করে লেখা থাকবে। সংবিধান সংস্কার পরিষদেও সংস্কার প্রস্তাব পাস হলে এর পরের ১৫ দিনের মধ্যে দলগুলো তাদের উচ্চকক্ষের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে।
আগামী সংসদ ২৭০ দিনের মধ্যে সনদ বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, সে বিষয়ে কমিশন নানা বিকল্প নিয়ে আলোচনা করেছে। গতকাল বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন, গণভোটে সংস্কার প্রস্তাবগুলো পাস হলে আগামী সংসদে সেগুলো বাস্তবায়ন করা বাধ্যতামূলক হবে। কমিশন এটিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে। এর বাইরে কোনো নিশ্চয়তা বিধান করা যায় কি না, তা-ও কমিশনের বিবেচনায় আছে।
সংসদ বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘জুলাই সনদ যেহেতু রাজনৈতিক দলিল, তাই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়ন করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। রাজনীতিকদের ওপর আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে হবে।’
কমিশনের পক্ষ থেকে আদেশের সঙ্গে বিকল্প একটি প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রে জানা গেছে। কমিশন সরকারকে গণভোট নিয়ে একটি আইন তৈরি করতে বলার কথা ভেবেছে। এতে সনদের সংবিধান-সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো থাকবে। সে ক্ষেত্রে সব প্রস্তাবের সমন্বয়ে একটি আইন বানাতে হবে। গণভোটে এটা উঠবে। সমন্বিত আইনটি পাস হয়ে গেলে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান পরিষদ পুরো বাস্তবায়ন না করতে পারলেও আইনটি সংবিধানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে যাবে। তবে কমিশনের এই প্রস্তাবে বিশেষজ্ঞদের সায় নেই বলে জানা গেছে।
এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘কমিশনের বিকল্প প্রস্তাবে বিষয়টি থাকবে। তবে আইনগত ও রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় আমরা এটা সমর্থন করিনি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ অনুমোদন করেন কি না’ এবং ‘সংস্কার প্রস্তাবের বাস্তবায়ন চান কি না’—গণভোটে এ রকম প্রশ্ন রাখার কথা বিবেচনা করছে ঐকমত্য কমিশন। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে ঐকমত্য কমিশন যেভাবে সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করেছে, সেভাবেই বাস্তবায়িত হবে। এখানে কোনো দলের ভিন্নমত গুরুত্ব পাবে না।
গণভোটের বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য থাকলেও গণভোট কবে হবে, এর ভিত্তি কী হবে, ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন কীভাবে হবে, এসব ক্ষেত্রে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে মতবিরোধ আছে। ঐকমত্য কমিশন সূত্র জানায়, গণভোটের দিন-তারিখ কবে হবে এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ রাষ্ট্রপতি, নাকি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জারি করবেন, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গতকাল তাদের সংসদ ভবনের কার্যালয় থেকে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভা করে। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে যুক্ত হন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন। আলোচনায় কমিশনের পক্ষে অংশ নেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। জাতীয় ঐকমত্য গঠনপ্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। নতুন সংসদ নির্ধারিত ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, সে বিষয়েও একটি বিকল্প ভাবা হচ্ছে।
সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশের খসড়া তৈরির কাজ গতকাল রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে। প্রস্তাবিত সময়ের মধ্যে নতুন সংসদ সংস্কার বাস্তবায়ন না করলে করণীয় কী হবে, তা গতকাল রাত বা আজ (সোমবার) সকালের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে। আজ সকালে কমিশনের আবার বৈঠকের মাধ্যমে সুপারিশ চূড়ান্ত করে দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।
সনদ বাস্তবায়নে কমিশন সুপারিশের যে রূপরেখা ঠিক করেছে, তাতে প্রথমে গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে করা হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে।
কমিশন সূত্র জানায়, বাস্তবায়নের এই পুরো প্রক্রিয়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে উল্লেখ থাকবে। আদেশ জারির পর এর কিছু অংশ তাৎক্ষণিকভাবে এবং কিছু কিছু বিষয় পরবর্তী সময়ে কার্যকর হবে। আদেশের কোন ধারা কবে কার্যকর হবে, তা উল্লেখ থাকবে। জুলাই সনদের সর্বসম্মত ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব আদেশের পরিশিষ্টে উল্লেখ থাকবে। সেখানে কোনো দলের ভিন্নমতের উল্লেখ থাকবে না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, ‘আমরা সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছি। কমিশন আশা করছে, আগামীকালের (আজ সোমবার) মধ্যে সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া সম্ভব হবে।’
দ্বিকক্ষের সংসদ নিয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত হলেও গঠনপ্রক্রিয়া নিয়ে দ্বিমত আছে। বিএনপিসহ সমমনা কয়েকটি দল নিম্নকক্ষের আসনের অনুপাতে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টনের পক্ষে। অন্যদিকে জামায়াত, এনসিপিসহ সংলাপে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ দল পিআর ভোটের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষের দাবি জানিয়েছে। আবার জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ ইসলামপন্থী কয়েকটি দল উভয় কক্ষেই পিআরের ভিত্তিতে ভোট চেয়েছে। একাধিক সূত্র বলছে, বিএনপি পিআরে উচ্চকক্ষ মানলে নিম্নকক্ষের পিআরের দাবি থেকে দলগুলো সরে যাবে। বিষয়টি আদেশে আলাদা করে রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বৈঠক সূত্র জানায়, গণভোটে যদি সনদ বেশি ‘হ্যাঁ’ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়, তাহলে আগামী সংসদে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠন বাধ্যতামূলক হবে। সে ক্ষেত্রে বিষয়টি আদেশে আলাদা করে লেখা থাকবে। সংবিধান সংস্কার পরিষদেও সংস্কার প্রস্তাব পাস হলে এর পরের ১৫ দিনের মধ্যে দলগুলো তাদের উচ্চকক্ষের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে।
আগামী সংসদ ২৭০ দিনের মধ্যে সনদ বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, সে বিষয়ে কমিশন নানা বিকল্প নিয়ে আলোচনা করেছে। গতকাল বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন, গণভোটে সংস্কার প্রস্তাবগুলো পাস হলে আগামী সংসদে সেগুলো বাস্তবায়ন করা বাধ্যতামূলক হবে। কমিশন এটিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে। এর বাইরে কোনো নিশ্চয়তা বিধান করা যায় কি না, তা-ও কমিশনের বিবেচনায় আছে।
সংসদ বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘জুলাই সনদ যেহেতু রাজনৈতিক দলিল, তাই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়ন করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। রাজনীতিকদের ওপর আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে হবে।’
কমিশনের পক্ষ থেকে আদেশের সঙ্গে বিকল্প একটি প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রে জানা গেছে। কমিশন সরকারকে গণভোট নিয়ে একটি আইন তৈরি করতে বলার কথা ভেবেছে। এতে সনদের সংবিধান-সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো থাকবে। সে ক্ষেত্রে সব প্রস্তাবের সমন্বয়ে একটি আইন বানাতে হবে। গণভোটে এটা উঠবে। সমন্বিত আইনটি পাস হয়ে গেলে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান পরিষদ পুরো বাস্তবায়ন না করতে পারলেও আইনটি সংবিধানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে যাবে। তবে কমিশনের এই প্রস্তাবে বিশেষজ্ঞদের সায় নেই বলে জানা গেছে।
এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘কমিশনের বিকল্প প্রস্তাবে বিষয়টি থাকবে। তবে আইনগত ও রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় আমরা এটা সমর্থন করিনি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ অনুমোদন করেন কি না’ এবং ‘সংস্কার প্রস্তাবের বাস্তবায়ন চান কি না’—গণভোটে এ রকম প্রশ্ন রাখার কথা বিবেচনা করছে ঐকমত্য কমিশন। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে ঐকমত্য কমিশন যেভাবে সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করেছে, সেভাবেই বাস্তবায়িত হবে। এখানে কোনো দলের ভিন্নমত গুরুত্ব পাবে না।
গণভোটের বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য থাকলেও গণভোট কবে হবে, এর ভিত্তি কী হবে, ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন কীভাবে হবে, এসব ক্ষেত্রে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে মতবিরোধ আছে। ঐকমত্য কমিশন সূত্র জানায়, গণভোটের দিন-তারিখ কবে হবে এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ রাষ্ট্রপতি, নাকি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জারি করবেন, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গতকাল তাদের সংসদ ভবনের কার্যালয় থেকে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভা করে। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে যুক্ত হন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন। আলোচনায় কমিশনের পক্ষে অংশ নেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। জাতীয় ঐকমত্য গঠনপ্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও সভায় উপস্থিত ছিলেন।


সিত্রাং এখন প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। দেশের ১৩টি জেলায় আঘাত হানবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। এসব জেলার মধ্যে রয়েছে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বরিশাল
২৪ অক্টোবর ২০২২
কমিশনের এক সদস্য বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তো কমিশনেরও সভাপতি। আমরা একটি সুপারিশ তৈরি করছি। সেখানে তো তাঁরও মতামত থাকবে। সে জন্য আজকে কমিশন সভাপতির সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং তাদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে সরকারের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ স্পষ্ট করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মোট ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯ টি। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৭টি এবং নারীদের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি কক্ষ।
১ ঘণ্টা আগে