নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভোরের সোনা আলো বটের পাতার ফাঁক দিয়ে ঝিলিক দিচ্ছে। নতুন বছরের সূর্যের আলোকচ্ছটা ঠিকরে বেরোতেই বাদ্যযন্ত্রে বেজে উঠল সুর। শিল্পী সুপ্রিয়া দাশের কণ্ঠে ভৈরবী রাগালাপ দিয়ে ছায়ানট আবাহন করল নতুন বছরের।
আজ পয়লা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩২ বরণ করে নিতে রমনার বটমূলে ছায়ানটের দেড় শতাধিক শিল্পী নতুন বছরকে স্বাগত জানান গান আর কথনে। সদ্যগত বছরের জরা-ক্লান্তি কাটিয়ে নতুন প্রত্যয়ে শুরু হলো নতুন বছর।
বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে চলছে বর্ষবরণের নানা আয়োজন। ভোর সোয়া ৬টায় ছায়ানটের বর্ষবরণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ভোর থেকেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছে শিশু-কিশোর-যুবা-বৃদ্ধা। পরনে বাহারি পাঞ্জাবি। লাল পেড়ে সাদা শাড়ি পরে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত। বর্ষবরণের এমন সুরের মূর্ছনায় অজান্তেই ঠোঁট মেলাচ্ছেন তাঁরা। একেকটি পরিবেশনা শেষ হতে চলছে করতালি।
ছায়ানটের এবারের আয়োজনে পুরুষ শিল্পীদের পোশাক মেরুন রঙের পাঞ্জাবি ও সাদা পায়জামা। নারীদের মেরুন পাড়ের অফ হোয়াইট শাড়ি।
শুরুর পর থেকেই গান, যন্ত্রসংগীত আর কবিতার মধ্য দিয়ে চলছে আয়োজন। একে একে গাওয়া হয়’ নূতন প্রাণ দাও, প্রাণসখা’, ’ তিমির দুয়ার খোলো’, ’ আপনারে দিয়ে রচিলি রে কি এ’, ’ তুমি প্রভাতের সকরুণ ভৈরবী’, ’ভেঙেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতির্ময়’, ’সকল কলুষতামসহর, জয় হোক তব জয়’, ’ তোর ভেতরে জাগিয়া কে যে’, ’ জগতের নাথ করো পার হে’, আইজ আইলো রে বছর ঘুরি’সহ বেশ কিছু গান।
গাওয়া হয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, লালন, সলিল চৌধুরীর গান। ‘ঝড়ের খেয়া’ ও ’সভ্যতা’র নির্বাচিত অংশ এবং ’দাও শৌর্য দাও ধৈর্য’ আবৃত্তি করা হয়।
সংগীতে অংশগ্রহণ করেন লাইসা আহমদ লিসা, খায়রুল আনাম শাকিল, সেঁজুতি বড়ুয়া, সুস্মিতা দেবনাথ শুচি, চন্দনা মজুমদারসহ ছায়ানটের শিল্পীরা।
ছায়ানটের এবারের বর্ষবরণের বার্তা ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী বলেন, ‘বাঙালির স্বাধিকার অর্জনের সংগ্রামে অনন্য মাত্রা যুক্ত করেছে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এই অসাম্প্রদায়িক উৎসব, নতুন বাংলা বছরকে বরণ করার আয়োজন। আমরা এক আলোকিত দেশ ও সমাজের স্বপ্ন দেখি, যে দেশের মানুষ সর্বজনের শান্তি-স্বস্তি-নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ধর্ম-জাতি-বিত্তের বিভাজন ভাঙবে, গড়বে উদার সম্প্রীতির সহিষ্ণু সমাজ।’
তিনি আরও বলেন, ’নববর্ষের উষালগ্নে, আজ চোখ ফেলি হিসেব-নিকেশের হালখাতায়। একদিকে মুক্তির জন-আকাঙ্ক্ষা অর্জনের প্রত্যাশা, অন্যদিকে পীড়াদায়ক বিদ্বেষ-বিভক্তি, নারী-শিশুর অমানবিক মর্যাদাহানি ও অপরিণামদর্শী অসহিষ্ণুতা। সকল অতৃপ্তি প্রতিবিধানের দায় রাষ্ট্রের, তবে সমাজকেও সে দায় নিতে হয় বৈকি। সকলে ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণ, মুক্তচিন্তার নির্ভয় প্রকাশ, আবহমান সংস্কৃতির নির্বিঘ্ন যাত্রা হৃদয়ে ধারণ করলে, মুক্তির আলোকোজ্জ্বল ভবিষ্যৎ সুগম হবে-ই।’
ছায়ানট বৈশাখের আবাহন থেকে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানায়। সেখানে নিহত মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। জাতীয় সংগীত গাওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান।
ভোরের সোনা আলো বটের পাতার ফাঁক দিয়ে ঝিলিক দিচ্ছে। নতুন বছরের সূর্যের আলোকচ্ছটা ঠিকরে বেরোতেই বাদ্যযন্ত্রে বেজে উঠল সুর। শিল্পী সুপ্রিয়া দাশের কণ্ঠে ভৈরবী রাগালাপ দিয়ে ছায়ানট আবাহন করল নতুন বছরের।
আজ পয়লা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩২ বরণ করে নিতে রমনার বটমূলে ছায়ানটের দেড় শতাধিক শিল্পী নতুন বছরকে স্বাগত জানান গান আর কথনে। সদ্যগত বছরের জরা-ক্লান্তি কাটিয়ে নতুন প্রত্যয়ে শুরু হলো নতুন বছর।
বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে চলছে বর্ষবরণের নানা আয়োজন। ভোর সোয়া ৬টায় ছায়ানটের বর্ষবরণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ভোর থেকেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছে শিশু-কিশোর-যুবা-বৃদ্ধা। পরনে বাহারি পাঞ্জাবি। লাল পেড়ে সাদা শাড়ি পরে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত। বর্ষবরণের এমন সুরের মূর্ছনায় অজান্তেই ঠোঁট মেলাচ্ছেন তাঁরা। একেকটি পরিবেশনা শেষ হতে চলছে করতালি।
ছায়ানটের এবারের আয়োজনে পুরুষ শিল্পীদের পোশাক মেরুন রঙের পাঞ্জাবি ও সাদা পায়জামা। নারীদের মেরুন পাড়ের অফ হোয়াইট শাড়ি।
শুরুর পর থেকেই গান, যন্ত্রসংগীত আর কবিতার মধ্য দিয়ে চলছে আয়োজন। একে একে গাওয়া হয়’ নূতন প্রাণ দাও, প্রাণসখা’, ’ তিমির দুয়ার খোলো’, ’ আপনারে দিয়ে রচিলি রে কি এ’, ’ তুমি প্রভাতের সকরুণ ভৈরবী’, ’ভেঙেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতির্ময়’, ’সকল কলুষতামসহর, জয় হোক তব জয়’, ’ তোর ভেতরে জাগিয়া কে যে’, ’ জগতের নাথ করো পার হে’, আইজ আইলো রে বছর ঘুরি’সহ বেশ কিছু গান।
গাওয়া হয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, লালন, সলিল চৌধুরীর গান। ‘ঝড়ের খেয়া’ ও ’সভ্যতা’র নির্বাচিত অংশ এবং ’দাও শৌর্য দাও ধৈর্য’ আবৃত্তি করা হয়।
সংগীতে অংশগ্রহণ করেন লাইসা আহমদ লিসা, খায়রুল আনাম শাকিল, সেঁজুতি বড়ুয়া, সুস্মিতা দেবনাথ শুচি, চন্দনা মজুমদারসহ ছায়ানটের শিল্পীরা।
ছায়ানটের এবারের বর্ষবরণের বার্তা ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী বলেন, ‘বাঙালির স্বাধিকার অর্জনের সংগ্রামে অনন্য মাত্রা যুক্ত করেছে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এই অসাম্প্রদায়িক উৎসব, নতুন বাংলা বছরকে বরণ করার আয়োজন। আমরা এক আলোকিত দেশ ও সমাজের স্বপ্ন দেখি, যে দেশের মানুষ সর্বজনের শান্তি-স্বস্তি-নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ধর্ম-জাতি-বিত্তের বিভাজন ভাঙবে, গড়বে উদার সম্প্রীতির সহিষ্ণু সমাজ।’
তিনি আরও বলেন, ’নববর্ষের উষালগ্নে, আজ চোখ ফেলি হিসেব-নিকেশের হালখাতায়। একদিকে মুক্তির জন-আকাঙ্ক্ষা অর্জনের প্রত্যাশা, অন্যদিকে পীড়াদায়ক বিদ্বেষ-বিভক্তি, নারী-শিশুর অমানবিক মর্যাদাহানি ও অপরিণামদর্শী অসহিষ্ণুতা। সকল অতৃপ্তি প্রতিবিধানের দায় রাষ্ট্রের, তবে সমাজকেও সে দায় নিতে হয় বৈকি। সকলে ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণ, মুক্তচিন্তার নির্ভয় প্রকাশ, আবহমান সংস্কৃতির নির্বিঘ্ন যাত্রা হৃদয়ে ধারণ করলে, মুক্তির আলোকোজ্জ্বল ভবিষ্যৎ সুগম হবে-ই।’
ছায়ানট বৈশাখের আবাহন থেকে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানায়। সেখানে নিহত মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। জাতীয় সংগীত গাওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর), বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষায় রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রধান সংস্থা হিসেবে কাজ করে। ১৯৯৩ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থা জাতিসংঘ সচিবালয়ের একটি বিভাগ হিসেবে পরিচালিত হয়। এ সংস্থার ম্যান্ডেট জাতিসংঘের সনদ...
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) মিশন শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে ৩ বছরের জন্য একটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেস্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। এই মন্ত্রণালয়কে আরও সুরক্ষিত করতে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র স্থাপন করা হচ্ছে। বিশেষ করে দর্শনার্থীদের যথেচ্ছ চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করা এর উদ্দেশ্য।
১৮ ঘণ্টা আগেস্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আগ্নেয়াস্ত্রের ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার কাজ শেষ না করেই প্রায় ৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার মদদে এই দুর্নীতি হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। এটিসহ অন্য কিছু বিষয় তদন্তে কম
১৮ ঘণ্টা আগে