সড়ক পরিবহন আইন
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী মোটরযান মেরামত কারখানা (ওয়ার্কশপ) চালাতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) লাইসেন্স থাকতে হবে। কিন্তু সারা দেশে ৩৫ হাজারের মতো এমন কারখানা চলছে ওই লাইসেন্স ছাড়াই। আইন অনুযায়ী অবৈধ এসব সারাইখানাকে বিআরটিএ লাইসেন্সের আওতায় আনার কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে সারাইখানার মালিকেরা লাইসেন্স নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর বিধিমালা প্রকাশ করা হয় ২০২২ সালে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিআরটিএ কোনো মোটরযান মেরামত কারখানাকে লাইসেন্সের আওতায় আনতে পারেনি। বিআরটিএ সূত্র বলেছে, কারখানার মালিকেরা লাইসেন্সের জন্য কোনো আবেদন করেননি।
বিআরটিএর চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরাও চাইছি, মোটরযান মেরামত কারখানাগুলো একটি নিয়মের মধ্যে আসুক। কারণ, সঠিক মেরামতের ওপর নির্ভর করে গাড়ির মান। ত্রুটিযুক্ত গাড়ি চলাচল করলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে।
এরই মধ্যে বিআরটিএর বিভিন্ন বিভাগীয় অফিসকে মেরামত কারখানাগুলো নিবন্ধনের আওতায় আনতে বলা হয়েছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনায় আটটি বিভাগীয় অফিস সারা দেশে অনুমোদিত এবং অনুমোদনবিহীন মোটরযান মেরামত কারখানার তালিকা তৈরির কাজ করছে। তবে কোনো বিভাগই এখনো চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করতে পারেনি। ফলে সারা দেশে মেরামত কারখানার সরকারি হিসাব এখনো পাওয়া যায়নি।
তবে মোটরযান মেরামত কারখানার মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ মালিক সমিতির তথ্য বলছে, সারা দেশে কমবেশি ৩৫ হাজার অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ আছে।
বিআরটিএর ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিআরটিএর সার্কেল অফিসের মাধ্যমে আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি। কারখানার মালিকদের লাইসেন্সের আবেদন করার জন্য অবহিত করা হচ্ছে। লাইসেন্স দিতে কমিটি করা হয়েছে। কারখানার মালিকেরা আবেদন করলে, বিধি অনুযায়ী শর্ত পূরণ সাপেক্ষে লাইসেন্স দেওয়া হবে।’
সূত্র জানায়, বিআরটিএ মোটরযান মেরামত কারখানার লাইসেন্স দেওয়ার উদ্যোগ শুরু করলে তা বন্ধ করতে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে একটি চিঠি দেওয়া হয়। এই প্রতিবেদকের হাতে আসা চিঠিতে বলা হয়েছে, বিআরটিএ যে আইন করেছে, তাতে দেশের ছোট, বড়, মাঝারি ওয়ার্কশপগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। চিঠিতে আইনের ছয়টি বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
সমিতির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা একটি বড় স্টেকহোল্ডার হলেও এই আইন করার সময় কোথাও ডাকা হয়নি। বিআরটিএ ছবি তুলে গাড়ির ফিটনেস দেয়; লোকবল, যন্ত্রপাতি নেই। তারা আমাদের লাইসেন্স দেবে কীভাবে? এই আইনের কিছু বিষয় সহনীয় ও সহজ করতে বিআরটিএকে জানিয়েছি। আমাদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে বললেও বিআরটিএ এখনো আমাদের সঙ্গে বসেনি।’
যেখানে-সেখানে কারখানা
বাস বা ট্রাকের বডি তৈরির কারখানাগুলো গড়ে উঠেছে আমিনবাজার, মিরপুর বেড়িবাঁধ, তেজগাঁও এবং সায়েদাবাদ এলাকায়। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের মোটরযান মেরামত কারখানা রাজধানীসহ সারা দেশে যেখানে-সেখানে গড়ে উঠেছে। ফুটপাতেও জায়গা দখল করে কারখানা গড়ে উঠেছে। এগুলোর কোনো লাইসেন্স নেই। অনেকের ট্রেড লাইসেন্সও নেই। এসব স্থানে মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ট্রাক, গাড়িসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন মেরামত করা হচ্ছে। তবে যথাযথ মেরামত হচ্ছে কি না এবং মেরামত শেষে চলাচলের জন্য নিরাপদ কি না, তা নিশ্চিত করা হয় না।
বাসের বডি তৈরির একটি কারখানার মালিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাসমালিকদের চাহিদা অনুযায়ী তাঁরা বাস বানিয়ে দেন। যেমন বানিয়ে দেন, বিআরটিএ ফিটনেস দিয়ে দেয়। কারখানা নিবন্ধনের আগে বিআরটিএকে ঠিক হতে হবে। তারা যেকোনো গাড়ির ফিটনেস দিয়ে দিলে মেরামত কারখানাকে নিয়ন্ত্রণ করে লাভ নেই।
মেরামত কারখানার লাইসেন্সের মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর। কারখানা নিবন্ধন বা নবায়ন করতে লাগবে ১০ হাজার টাকা। লাইসেন্স ছাড়া কারখানা চালালে ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং তাৎক্ষণিকভাবে কারখানা সিলগালা করে দেওয়া যাবে।
পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, মেরামত কারখানাগুলোকে একটি নিয়মের মধ্যে আনতে হবে। এটি দীর্ঘদিন ধরে বিআরটিএ করেনি। আর চাইলেই রাতারাতি করে ফেলাও সম্ভব নয়। বিআরটিএ আগে বিজ্ঞানভিত্তিক এবং টেকনিক্যালি দক্ষ হোক, সারা বছর কাজ করুক। তাহলেই গাড়ির মেরামতজনিত কাজও সুন্দর হবে।
কীভাবে দেওয়া হবে লাইসেন্স
যেখানে যানবাহনের ইঞ্জিন, মোটর, যন্ত্রাংশ মেরামত এবং যানবাহনের বডি প্রস্তুত করা হয়, আইনে সেগুলো মোটরযান মেরামত কারখানা। মোটরসাইকেল, থ্রি-হুইলার (অটোরিকশা-মোটরক্যাব রিকশা-অটোটেম্পো), হালকা, মধ্যম ও ভারী মোটরযান, বিশেষ ধরনের এবং প্রতিবন্ধীবান্ধব মোটরযান কারখানার লাইসেন্স দিতে পারবে বিআরটিএ।
মোটরযান মেরামত কারখানা স্থাপন এবং পরিচালনার জন্য লাইসেন্স নিতে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। সেটি যাচাই-বাছাই করে পাঁচ সদস্যের নির্বাচনী কমিটি লাইসেন্স দিতে সুপারিশ করবে। এরপর বিআরটিএ লাইসেন্স দেবে। নির্বাচনী কমিটির সভাপতি থাকবেন সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং)। সুপারিশ করার আগে কমিটিকে মেরামতের কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিদের অটোমোবাইলের ওপর কারিগরি জ্ঞান, কারখানায় প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম, কারখানায় পাঁচটি মোটরযান রাখার জায়গা, প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স, টিআইএন সার্টিফিকেট ও হালনাগাদ আয়কর পরিশোধের সনদ এবং আর্থিক স্বচ্ছতার সনদ আছে কি না—এগুলো দেখতে বলা হয়েছে।

সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী মোটরযান মেরামত কারখানা (ওয়ার্কশপ) চালাতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) লাইসেন্স থাকতে হবে। কিন্তু সারা দেশে ৩৫ হাজারের মতো এমন কারখানা চলছে ওই লাইসেন্স ছাড়াই। আইন অনুযায়ী অবৈধ এসব সারাইখানাকে বিআরটিএ লাইসেন্সের আওতায় আনার কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে সারাইখানার মালিকেরা লাইসেন্স নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর বিধিমালা প্রকাশ করা হয় ২০২২ সালে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিআরটিএ কোনো মোটরযান মেরামত কারখানাকে লাইসেন্সের আওতায় আনতে পারেনি। বিআরটিএ সূত্র বলেছে, কারখানার মালিকেরা লাইসেন্সের জন্য কোনো আবেদন করেননি।
বিআরটিএর চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরাও চাইছি, মোটরযান মেরামত কারখানাগুলো একটি নিয়মের মধ্যে আসুক। কারণ, সঠিক মেরামতের ওপর নির্ভর করে গাড়ির মান। ত্রুটিযুক্ত গাড়ি চলাচল করলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে।
এরই মধ্যে বিআরটিএর বিভিন্ন বিভাগীয় অফিসকে মেরামত কারখানাগুলো নিবন্ধনের আওতায় আনতে বলা হয়েছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনায় আটটি বিভাগীয় অফিস সারা দেশে অনুমোদিত এবং অনুমোদনবিহীন মোটরযান মেরামত কারখানার তালিকা তৈরির কাজ করছে। তবে কোনো বিভাগই এখনো চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করতে পারেনি। ফলে সারা দেশে মেরামত কারখানার সরকারি হিসাব এখনো পাওয়া যায়নি।
তবে মোটরযান মেরামত কারখানার মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ মালিক সমিতির তথ্য বলছে, সারা দেশে কমবেশি ৩৫ হাজার অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ আছে।
বিআরটিএর ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিআরটিএর সার্কেল অফিসের মাধ্যমে আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি। কারখানার মালিকদের লাইসেন্সের আবেদন করার জন্য অবহিত করা হচ্ছে। লাইসেন্স দিতে কমিটি করা হয়েছে। কারখানার মালিকেরা আবেদন করলে, বিধি অনুযায়ী শর্ত পূরণ সাপেক্ষে লাইসেন্স দেওয়া হবে।’
সূত্র জানায়, বিআরটিএ মোটরযান মেরামত কারখানার লাইসেন্স দেওয়ার উদ্যোগ শুরু করলে তা বন্ধ করতে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে একটি চিঠি দেওয়া হয়। এই প্রতিবেদকের হাতে আসা চিঠিতে বলা হয়েছে, বিআরটিএ যে আইন করেছে, তাতে দেশের ছোট, বড়, মাঝারি ওয়ার্কশপগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। চিঠিতে আইনের ছয়টি বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
সমিতির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা একটি বড় স্টেকহোল্ডার হলেও এই আইন করার সময় কোথাও ডাকা হয়নি। বিআরটিএ ছবি তুলে গাড়ির ফিটনেস দেয়; লোকবল, যন্ত্রপাতি নেই। তারা আমাদের লাইসেন্স দেবে কীভাবে? এই আইনের কিছু বিষয় সহনীয় ও সহজ করতে বিআরটিএকে জানিয়েছি। আমাদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে বললেও বিআরটিএ এখনো আমাদের সঙ্গে বসেনি।’
যেখানে-সেখানে কারখানা
বাস বা ট্রাকের বডি তৈরির কারখানাগুলো গড়ে উঠেছে আমিনবাজার, মিরপুর বেড়িবাঁধ, তেজগাঁও এবং সায়েদাবাদ এলাকায়। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের মোটরযান মেরামত কারখানা রাজধানীসহ সারা দেশে যেখানে-সেখানে গড়ে উঠেছে। ফুটপাতেও জায়গা দখল করে কারখানা গড়ে উঠেছে। এগুলোর কোনো লাইসেন্স নেই। অনেকের ট্রেড লাইসেন্সও নেই। এসব স্থানে মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ট্রাক, গাড়িসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন মেরামত করা হচ্ছে। তবে যথাযথ মেরামত হচ্ছে কি না এবং মেরামত শেষে চলাচলের জন্য নিরাপদ কি না, তা নিশ্চিত করা হয় না।
বাসের বডি তৈরির একটি কারখানার মালিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাসমালিকদের চাহিদা অনুযায়ী তাঁরা বাস বানিয়ে দেন। যেমন বানিয়ে দেন, বিআরটিএ ফিটনেস দিয়ে দেয়। কারখানা নিবন্ধনের আগে বিআরটিএকে ঠিক হতে হবে। তারা যেকোনো গাড়ির ফিটনেস দিয়ে দিলে মেরামত কারখানাকে নিয়ন্ত্রণ করে লাভ নেই।
মেরামত কারখানার লাইসেন্সের মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর। কারখানা নিবন্ধন বা নবায়ন করতে লাগবে ১০ হাজার টাকা। লাইসেন্স ছাড়া কারখানা চালালে ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং তাৎক্ষণিকভাবে কারখানা সিলগালা করে দেওয়া যাবে।
পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, মেরামত কারখানাগুলোকে একটি নিয়মের মধ্যে আনতে হবে। এটি দীর্ঘদিন ধরে বিআরটিএ করেনি। আর চাইলেই রাতারাতি করে ফেলাও সম্ভব নয়। বিআরটিএ আগে বিজ্ঞানভিত্তিক এবং টেকনিক্যালি দক্ষ হোক, সারা বছর কাজ করুক। তাহলেই গাড়ির মেরামতজনিত কাজও সুন্দর হবে।
কীভাবে দেওয়া হবে লাইসেন্স
যেখানে যানবাহনের ইঞ্জিন, মোটর, যন্ত্রাংশ মেরামত এবং যানবাহনের বডি প্রস্তুত করা হয়, আইনে সেগুলো মোটরযান মেরামত কারখানা। মোটরসাইকেল, থ্রি-হুইলার (অটোরিকশা-মোটরক্যাব রিকশা-অটোটেম্পো), হালকা, মধ্যম ও ভারী মোটরযান, বিশেষ ধরনের এবং প্রতিবন্ধীবান্ধব মোটরযান কারখানার লাইসেন্স দিতে পারবে বিআরটিএ।
মোটরযান মেরামত কারখানা স্থাপন এবং পরিচালনার জন্য লাইসেন্স নিতে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। সেটি যাচাই-বাছাই করে পাঁচ সদস্যের নির্বাচনী কমিটি লাইসেন্স দিতে সুপারিশ করবে। এরপর বিআরটিএ লাইসেন্স দেবে। নির্বাচনী কমিটির সভাপতি থাকবেন সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং)। সুপারিশ করার আগে কমিটিকে মেরামতের কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিদের অটোমোবাইলের ওপর কারিগরি জ্ঞান, কারখানায় প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম, কারখানায় পাঁচটি মোটরযান রাখার জায়গা, প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স, টিআইএন সার্টিফিকেট ও হালনাগাদ আয়কর পরিশোধের সনদ এবং আর্থিক স্বচ্ছতার সনদ আছে কি না—এগুলো দেখতে বলা হয়েছে।
সড়ক পরিবহন আইন
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী মোটরযান মেরামত কারখানা (ওয়ার্কশপ) চালাতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) লাইসেন্স থাকতে হবে। কিন্তু সারা দেশে ৩৫ হাজারের মতো এমন কারখানা চলছে ওই লাইসেন্স ছাড়াই। আইন অনুযায়ী অবৈধ এসব সারাইখানাকে বিআরটিএ লাইসেন্সের আওতায় আনার কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে সারাইখানার মালিকেরা লাইসেন্স নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর বিধিমালা প্রকাশ করা হয় ২০২২ সালে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিআরটিএ কোনো মোটরযান মেরামত কারখানাকে লাইসেন্সের আওতায় আনতে পারেনি। বিআরটিএ সূত্র বলেছে, কারখানার মালিকেরা লাইসেন্সের জন্য কোনো আবেদন করেননি।
বিআরটিএর চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরাও চাইছি, মোটরযান মেরামত কারখানাগুলো একটি নিয়মের মধ্যে আসুক। কারণ, সঠিক মেরামতের ওপর নির্ভর করে গাড়ির মান। ত্রুটিযুক্ত গাড়ি চলাচল করলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে।
এরই মধ্যে বিআরটিএর বিভিন্ন বিভাগীয় অফিসকে মেরামত কারখানাগুলো নিবন্ধনের আওতায় আনতে বলা হয়েছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনায় আটটি বিভাগীয় অফিস সারা দেশে অনুমোদিত এবং অনুমোদনবিহীন মোটরযান মেরামত কারখানার তালিকা তৈরির কাজ করছে। তবে কোনো বিভাগই এখনো চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করতে পারেনি। ফলে সারা দেশে মেরামত কারখানার সরকারি হিসাব এখনো পাওয়া যায়নি।
তবে মোটরযান মেরামত কারখানার মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ মালিক সমিতির তথ্য বলছে, সারা দেশে কমবেশি ৩৫ হাজার অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ আছে।
বিআরটিএর ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিআরটিএর সার্কেল অফিসের মাধ্যমে আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি। কারখানার মালিকদের লাইসেন্সের আবেদন করার জন্য অবহিত করা হচ্ছে। লাইসেন্স দিতে কমিটি করা হয়েছে। কারখানার মালিকেরা আবেদন করলে, বিধি অনুযায়ী শর্ত পূরণ সাপেক্ষে লাইসেন্স দেওয়া হবে।’
সূত্র জানায়, বিআরটিএ মোটরযান মেরামত কারখানার লাইসেন্স দেওয়ার উদ্যোগ শুরু করলে তা বন্ধ করতে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে একটি চিঠি দেওয়া হয়। এই প্রতিবেদকের হাতে আসা চিঠিতে বলা হয়েছে, বিআরটিএ যে আইন করেছে, তাতে দেশের ছোট, বড়, মাঝারি ওয়ার্কশপগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। চিঠিতে আইনের ছয়টি বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
সমিতির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা একটি বড় স্টেকহোল্ডার হলেও এই আইন করার সময় কোথাও ডাকা হয়নি। বিআরটিএ ছবি তুলে গাড়ির ফিটনেস দেয়; লোকবল, যন্ত্রপাতি নেই। তারা আমাদের লাইসেন্স দেবে কীভাবে? এই আইনের কিছু বিষয় সহনীয় ও সহজ করতে বিআরটিএকে জানিয়েছি। আমাদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে বললেও বিআরটিএ এখনো আমাদের সঙ্গে বসেনি।’
যেখানে-সেখানে কারখানা
বাস বা ট্রাকের বডি তৈরির কারখানাগুলো গড়ে উঠেছে আমিনবাজার, মিরপুর বেড়িবাঁধ, তেজগাঁও এবং সায়েদাবাদ এলাকায়। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের মোটরযান মেরামত কারখানা রাজধানীসহ সারা দেশে যেখানে-সেখানে গড়ে উঠেছে। ফুটপাতেও জায়গা দখল করে কারখানা গড়ে উঠেছে। এগুলোর কোনো লাইসেন্স নেই। অনেকের ট্রেড লাইসেন্সও নেই। এসব স্থানে মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ট্রাক, গাড়িসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন মেরামত করা হচ্ছে। তবে যথাযথ মেরামত হচ্ছে কি না এবং মেরামত শেষে চলাচলের জন্য নিরাপদ কি না, তা নিশ্চিত করা হয় না।
বাসের বডি তৈরির একটি কারখানার মালিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাসমালিকদের চাহিদা অনুযায়ী তাঁরা বাস বানিয়ে দেন। যেমন বানিয়ে দেন, বিআরটিএ ফিটনেস দিয়ে দেয়। কারখানা নিবন্ধনের আগে বিআরটিএকে ঠিক হতে হবে। তারা যেকোনো গাড়ির ফিটনেস দিয়ে দিলে মেরামত কারখানাকে নিয়ন্ত্রণ করে লাভ নেই।
মেরামত কারখানার লাইসেন্সের মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর। কারখানা নিবন্ধন বা নবায়ন করতে লাগবে ১০ হাজার টাকা। লাইসেন্স ছাড়া কারখানা চালালে ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং তাৎক্ষণিকভাবে কারখানা সিলগালা করে দেওয়া যাবে।
পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, মেরামত কারখানাগুলোকে একটি নিয়মের মধ্যে আনতে হবে। এটি দীর্ঘদিন ধরে বিআরটিএ করেনি। আর চাইলেই রাতারাতি করে ফেলাও সম্ভব নয়। বিআরটিএ আগে বিজ্ঞানভিত্তিক এবং টেকনিক্যালি দক্ষ হোক, সারা বছর কাজ করুক। তাহলেই গাড়ির মেরামতজনিত কাজও সুন্দর হবে।
কীভাবে দেওয়া হবে লাইসেন্স
যেখানে যানবাহনের ইঞ্জিন, মোটর, যন্ত্রাংশ মেরামত এবং যানবাহনের বডি প্রস্তুত করা হয়, আইনে সেগুলো মোটরযান মেরামত কারখানা। মোটরসাইকেল, থ্রি-হুইলার (অটোরিকশা-মোটরক্যাব রিকশা-অটোটেম্পো), হালকা, মধ্যম ও ভারী মোটরযান, বিশেষ ধরনের এবং প্রতিবন্ধীবান্ধব মোটরযান কারখানার লাইসেন্স দিতে পারবে বিআরটিএ।
মোটরযান মেরামত কারখানা স্থাপন এবং পরিচালনার জন্য লাইসেন্স নিতে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। সেটি যাচাই-বাছাই করে পাঁচ সদস্যের নির্বাচনী কমিটি লাইসেন্স দিতে সুপারিশ করবে। এরপর বিআরটিএ লাইসেন্স দেবে। নির্বাচনী কমিটির সভাপতি থাকবেন সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং)। সুপারিশ করার আগে কমিটিকে মেরামতের কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিদের অটোমোবাইলের ওপর কারিগরি জ্ঞান, কারখানায় প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম, কারখানায় পাঁচটি মোটরযান রাখার জায়গা, প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স, টিআইএন সার্টিফিকেট ও হালনাগাদ আয়কর পরিশোধের সনদ এবং আর্থিক স্বচ্ছতার সনদ আছে কি না—এগুলো দেখতে বলা হয়েছে।

সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী মোটরযান মেরামত কারখানা (ওয়ার্কশপ) চালাতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) লাইসেন্স থাকতে হবে। কিন্তু সারা দেশে ৩৫ হাজারের মতো এমন কারখানা চলছে ওই লাইসেন্স ছাড়াই। আইন অনুযায়ী অবৈধ এসব সারাইখানাকে বিআরটিএ লাইসেন্সের আওতায় আনার কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে সারাইখানার মালিকেরা লাইসেন্স নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর বিধিমালা প্রকাশ করা হয় ২০২২ সালে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিআরটিএ কোনো মোটরযান মেরামত কারখানাকে লাইসেন্সের আওতায় আনতে পারেনি। বিআরটিএ সূত্র বলেছে, কারখানার মালিকেরা লাইসেন্সের জন্য কোনো আবেদন করেননি।
বিআরটিএর চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরাও চাইছি, মোটরযান মেরামত কারখানাগুলো একটি নিয়মের মধ্যে আসুক। কারণ, সঠিক মেরামতের ওপর নির্ভর করে গাড়ির মান। ত্রুটিযুক্ত গাড়ি চলাচল করলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে।
এরই মধ্যে বিআরটিএর বিভিন্ন বিভাগীয় অফিসকে মেরামত কারখানাগুলো নিবন্ধনের আওতায় আনতে বলা হয়েছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনায় আটটি বিভাগীয় অফিস সারা দেশে অনুমোদিত এবং অনুমোদনবিহীন মোটরযান মেরামত কারখানার তালিকা তৈরির কাজ করছে। তবে কোনো বিভাগই এখনো চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করতে পারেনি। ফলে সারা দেশে মেরামত কারখানার সরকারি হিসাব এখনো পাওয়া যায়নি।
তবে মোটরযান মেরামত কারখানার মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ মালিক সমিতির তথ্য বলছে, সারা দেশে কমবেশি ৩৫ হাজার অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ আছে।
বিআরটিএর ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিআরটিএর সার্কেল অফিসের মাধ্যমে আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি। কারখানার মালিকদের লাইসেন্সের আবেদন করার জন্য অবহিত করা হচ্ছে। লাইসেন্স দিতে কমিটি করা হয়েছে। কারখানার মালিকেরা আবেদন করলে, বিধি অনুযায়ী শর্ত পূরণ সাপেক্ষে লাইসেন্স দেওয়া হবে।’
সূত্র জানায়, বিআরটিএ মোটরযান মেরামত কারখানার লাইসেন্স দেওয়ার উদ্যোগ শুরু করলে তা বন্ধ করতে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে একটি চিঠি দেওয়া হয়। এই প্রতিবেদকের হাতে আসা চিঠিতে বলা হয়েছে, বিআরটিএ যে আইন করেছে, তাতে দেশের ছোট, বড়, মাঝারি ওয়ার্কশপগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। চিঠিতে আইনের ছয়টি বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
সমিতির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা একটি বড় স্টেকহোল্ডার হলেও এই আইন করার সময় কোথাও ডাকা হয়নি। বিআরটিএ ছবি তুলে গাড়ির ফিটনেস দেয়; লোকবল, যন্ত্রপাতি নেই। তারা আমাদের লাইসেন্স দেবে কীভাবে? এই আইনের কিছু বিষয় সহনীয় ও সহজ করতে বিআরটিএকে জানিয়েছি। আমাদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে বললেও বিআরটিএ এখনো আমাদের সঙ্গে বসেনি।’
যেখানে-সেখানে কারখানা
বাস বা ট্রাকের বডি তৈরির কারখানাগুলো গড়ে উঠেছে আমিনবাজার, মিরপুর বেড়িবাঁধ, তেজগাঁও এবং সায়েদাবাদ এলাকায়। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের মোটরযান মেরামত কারখানা রাজধানীসহ সারা দেশে যেখানে-সেখানে গড়ে উঠেছে। ফুটপাতেও জায়গা দখল করে কারখানা গড়ে উঠেছে। এগুলোর কোনো লাইসেন্স নেই। অনেকের ট্রেড লাইসেন্সও নেই। এসব স্থানে মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ট্রাক, গাড়িসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন মেরামত করা হচ্ছে। তবে যথাযথ মেরামত হচ্ছে কি না এবং মেরামত শেষে চলাচলের জন্য নিরাপদ কি না, তা নিশ্চিত করা হয় না।
বাসের বডি তৈরির একটি কারখানার মালিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাসমালিকদের চাহিদা অনুযায়ী তাঁরা বাস বানিয়ে দেন। যেমন বানিয়ে দেন, বিআরটিএ ফিটনেস দিয়ে দেয়। কারখানা নিবন্ধনের আগে বিআরটিএকে ঠিক হতে হবে। তারা যেকোনো গাড়ির ফিটনেস দিয়ে দিলে মেরামত কারখানাকে নিয়ন্ত্রণ করে লাভ নেই।
মেরামত কারখানার লাইসেন্সের মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর। কারখানা নিবন্ধন বা নবায়ন করতে লাগবে ১০ হাজার টাকা। লাইসেন্স ছাড়া কারখানা চালালে ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং তাৎক্ষণিকভাবে কারখানা সিলগালা করে দেওয়া যাবে।
পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, মেরামত কারখানাগুলোকে একটি নিয়মের মধ্যে আনতে হবে। এটি দীর্ঘদিন ধরে বিআরটিএ করেনি। আর চাইলেই রাতারাতি করে ফেলাও সম্ভব নয়। বিআরটিএ আগে বিজ্ঞানভিত্তিক এবং টেকনিক্যালি দক্ষ হোক, সারা বছর কাজ করুক। তাহলেই গাড়ির মেরামতজনিত কাজও সুন্দর হবে।
কীভাবে দেওয়া হবে লাইসেন্স
যেখানে যানবাহনের ইঞ্জিন, মোটর, যন্ত্রাংশ মেরামত এবং যানবাহনের বডি প্রস্তুত করা হয়, আইনে সেগুলো মোটরযান মেরামত কারখানা। মোটরসাইকেল, থ্রি-হুইলার (অটোরিকশা-মোটরক্যাব রিকশা-অটোটেম্পো), হালকা, মধ্যম ও ভারী মোটরযান, বিশেষ ধরনের এবং প্রতিবন্ধীবান্ধব মোটরযান কারখানার লাইসেন্স দিতে পারবে বিআরটিএ।
মোটরযান মেরামত কারখানা স্থাপন এবং পরিচালনার জন্য লাইসেন্স নিতে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। সেটি যাচাই-বাছাই করে পাঁচ সদস্যের নির্বাচনী কমিটি লাইসেন্স দিতে সুপারিশ করবে। এরপর বিআরটিএ লাইসেন্স দেবে। নির্বাচনী কমিটির সভাপতি থাকবেন সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং)। সুপারিশ করার আগে কমিটিকে মেরামতের কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিদের অটোমোবাইলের ওপর কারিগরি জ্ঞান, কারখানায় প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম, কারখানায় পাঁচটি মোটরযান রাখার জায়গা, প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স, টিআইএন সার্টিফিকেট ও হালনাগাদ আয়কর পরিশোধের সনদ এবং আর্থিক স্বচ্ছতার সনদ আছে কি না—এগুলো দেখতে বলা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
৮ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
৯ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
১২ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
১৩ ঘণ্টা আগেঅষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) ও রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ বিকেলে অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় বাড়িসংলগ্ন বিলের পাশে খেলা করছিল মিশকাত (৫), মাহিন (৬) ও সাত্তার তানিল মিয়া (৫)। হঠাৎ সবার অজান্তে তিন শিশু বিলে পড়ে ডুবে যায়।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিল থেকে মিশকাত ও মাহিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপর শিশু তানিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো তিন শিশু খেলাধুলা করছিল। কিন্তু কখন যে বিলের পানিতে ডুবে গেল, কেউ বোঝেনি। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে প্রথমে দুজন, পরে অন্যজনকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুঃখজনক খবর, একই বাড়ির তিনটা শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপর দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে একই দিন বিকেলে উত্তর পারুয়া গ্রামের একটি পুকুরে পড়ে মারা যায় তিন শিশু। তারা হলো সুমাইয়া আক্তার (৫), হাবীবা আক্তার (৬) ও জান্নাত আক্তার (৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে খেলার ছলে তারা তিনজনই বাড়ির পাশে পুকুরে যায়। কিছুক্ষণ পর না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন বলেন, ‘তিনটি নিষ্পাপ শিশুর এমন মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ বিকেলে অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় বাড়িসংলগ্ন বিলের পাশে খেলা করছিল মিশকাত (৫), মাহিন (৬) ও সাত্তার তানিল মিয়া (৫)। হঠাৎ সবার অজান্তে তিন শিশু বিলে পড়ে ডুবে যায়।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিল থেকে মিশকাত ও মাহিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপর শিশু তানিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো তিন শিশু খেলাধুলা করছিল। কিন্তু কখন যে বিলের পানিতে ডুবে গেল, কেউ বোঝেনি। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে প্রথমে দুজন, পরে অন্যজনকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুঃখজনক খবর, একই বাড়ির তিনটা শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপর দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে একই দিন বিকেলে উত্তর পারুয়া গ্রামের একটি পুকুরে পড়ে মারা যায় তিন শিশু। তারা হলো সুমাইয়া আক্তার (৫), হাবীবা আক্তার (৬) ও জান্নাত আক্তার (৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে খেলার ছলে তারা তিনজনই বাড়ির পাশে পুকুরে যায়। কিছুক্ষণ পর না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন বলেন, ‘তিনটি নিষ্পাপ শিশুর এমন মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী মোটরযান মেরামত কারখানা (ওয়ার্কশপ) চালাতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) লাইসেন্স থাকতে হবে। কিন্তু সারা দেশে ৩৫ হাজারের মতো এমন কারখানা চলছে ওই লাইসেন্স ছাড়াই। আইন অনুযায়ী অবৈধ এসব সারাইখানাকে বিআরটিএ লাইসেন্সের আওতায় আনার কার্যক্রম শুরু
০৩ মার্চ ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
৯ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
১২ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো, বিশেষ নিয়োগব্যবস্থা, স্বতন্ত্র কোটা সংরক্ষণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ শুক্রবার আবারও যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করেছেন চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। তবে গতকাল বৃহস্পতিবারের মতো আজও তাঁদের পদযাত্রা শাহবাগ থানার সামনে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
এর আগে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজু ভাস্কর্য থেকে যমুনা অভিমুখে থালাবাটি নিয়ে ভুখা মিছিল করেন প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। শাহবাগ থানার সামনে মিছিলটি পুলিশ আটকে দিলে সেখানেই বিক্ষোভ করেন তাঁরা। একপর্যায়ে সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
গত রোববার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করা চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিবন্ধী কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদের সদস্যসচিব আলিফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচ দফা দাবিতে গত রোববার শাহবাগে অবস্থান করে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করা হয়। সেদিন পুলিশ আমাদের আটকে দেয়। এরপর সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাদের দাবি জানানো হয়। তাঁর কাছ থেকে কোনো সমাধান না পেয়ে আমরা বেশ কয়েকবার যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করি, কিন্তু পুলিশ আমাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখে।’
আলিফ হোসেন আরও বলেন, ‘আজও শাহবাগ থানার সামনে আমাদের পদযাত্রা আটকে দেওয়া হয় এবং বেশ কয়েকজনকে পুলিশ মারধরও করেছে।’
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ করা নিষেধ। তাই চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীরা দাবিদাওয়া নিয়ে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করায় তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী বেকার, শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে বিশেষ নিয়োগ দিতে হবে।
২. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধীরা নিজেদের পছন্দমতো শ্রুতিলেখক (বিকল্প সহকারী) মনোনয়নের স্বাধীনতা পাবেন—এমনভাবে নীতিমালা হালনাগাদ করতে হবে।
৪. সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট পদসংখ্যায় নিশ্চিত নিয়োগ দিতে হবে।
৫. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ হলে তা ৩৭ বছর করতে হবে।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো, বিশেষ নিয়োগব্যবস্থা, স্বতন্ত্র কোটা সংরক্ষণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ শুক্রবার আবারও যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করেছেন চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। তবে গতকাল বৃহস্পতিবারের মতো আজও তাঁদের পদযাত্রা শাহবাগ থানার সামনে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
এর আগে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজু ভাস্কর্য থেকে যমুনা অভিমুখে থালাবাটি নিয়ে ভুখা মিছিল করেন প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। শাহবাগ থানার সামনে মিছিলটি পুলিশ আটকে দিলে সেখানেই বিক্ষোভ করেন তাঁরা। একপর্যায়ে সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
গত রোববার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করা চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিবন্ধী কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদের সদস্যসচিব আলিফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচ দফা দাবিতে গত রোববার শাহবাগে অবস্থান করে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করা হয়। সেদিন পুলিশ আমাদের আটকে দেয়। এরপর সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাদের দাবি জানানো হয়। তাঁর কাছ থেকে কোনো সমাধান না পেয়ে আমরা বেশ কয়েকবার যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করি, কিন্তু পুলিশ আমাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখে।’
আলিফ হোসেন আরও বলেন, ‘আজও শাহবাগ থানার সামনে আমাদের পদযাত্রা আটকে দেওয়া হয় এবং বেশ কয়েকজনকে পুলিশ মারধরও করেছে।’
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ করা নিষেধ। তাই চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীরা দাবিদাওয়া নিয়ে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করায় তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী বেকার, শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে বিশেষ নিয়োগ দিতে হবে।
২. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধীরা নিজেদের পছন্দমতো শ্রুতিলেখক (বিকল্প সহকারী) মনোনয়নের স্বাধীনতা পাবেন—এমনভাবে নীতিমালা হালনাগাদ করতে হবে।
৪. সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট পদসংখ্যায় নিশ্চিত নিয়োগ দিতে হবে।
৫. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ হলে তা ৩৭ বছর করতে হবে।

সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী মোটরযান মেরামত কারখানা (ওয়ার্কশপ) চালাতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) লাইসেন্স থাকতে হবে। কিন্তু সারা দেশে ৩৫ হাজারের মতো এমন কারখানা চলছে ওই লাইসেন্স ছাড়াই। আইন অনুযায়ী অবৈধ এসব সারাইখানাকে বিআরটিএ লাইসেন্সের আওতায় আনার কার্যক্রম শুরু
০৩ মার্চ ২০২৫
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
৮ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
১২ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
১৩ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক বিমান উড্ডয়ন কমিটির সভাপতি ও বিমানবন্দর পরিচালক এয়ার কমোডর মো. নুর-ই-আজম।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক ঘোষণা করার প্রজ্ঞাপন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগের মতোই অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা চলবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়।
বিমানবন্দরসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অবকাঠামোগত ও প্রশাসনিক কিছু প্রস্তুতি সম্পূর্ণ না হওয়ায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ পর্যটন খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছিল। বিশেষ করে, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতের সঙ্গে সরাসরি আকাশপথে সংযোগের পরিকল্পনাও ছিল সরকারের।

কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক বিমান উড্ডয়ন কমিটির সভাপতি ও বিমানবন্দর পরিচালক এয়ার কমোডর মো. নুর-ই-আজম।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক ঘোষণা করার প্রজ্ঞাপন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগের মতোই অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা চলবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়।
বিমানবন্দরসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অবকাঠামোগত ও প্রশাসনিক কিছু প্রস্তুতি সম্পূর্ণ না হওয়ায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ পর্যটন খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছিল। বিশেষ করে, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতের সঙ্গে সরাসরি আকাশপথে সংযোগের পরিকল্পনাও ছিল সরকারের।

সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী মোটরযান মেরামত কারখানা (ওয়ার্কশপ) চালাতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) লাইসেন্স থাকতে হবে। কিন্তু সারা দেশে ৩৫ হাজারের মতো এমন কারখানা চলছে ওই লাইসেন্স ছাড়াই। আইন অনুযায়ী অবৈধ এসব সারাইখানাকে বিআরটিএ লাইসেন্সের আওতায় আনার কার্যক্রম শুরু
০৩ মার্চ ২০২৫
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
৮ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
৯ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
১৩ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করতে সম্প্রতি খসড়া আইন অনুমোদন দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট নেসেট।
তথাকথিত ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ আরোপের নামে এই আইনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েল পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বেআইনি দখলদারি চালিয়ে যাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব, বিশেষ করে রেজল্যুশন ২৩৩৪-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন।
২২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) দেওয়া অ্যাডভাইজরি ওপিনিয়ন বা পরামর্শমূলক মতামতকে স্বাগত জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ওই মতামতে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে ইসরায়েলের বাধ্যবাধকতাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সাধারণ জনগণকে, ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার, তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং ১৯৬৭ সালের আগের সীমানার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করতে সম্প্রতি খসড়া আইন অনুমোদন দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট নেসেট।
তথাকথিত ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ আরোপের নামে এই আইনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েল পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বেআইনি দখলদারি চালিয়ে যাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব, বিশেষ করে রেজল্যুশন ২৩৩৪-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন।
২২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) দেওয়া অ্যাডভাইজরি ওপিনিয়ন বা পরামর্শমূলক মতামতকে স্বাগত জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ওই মতামতে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে ইসরায়েলের বাধ্যবাধকতাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সাধারণ জনগণকে, ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার, তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং ১৯৬৭ সালের আগের সীমানার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।

সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী মোটরযান মেরামত কারখানা (ওয়ার্কশপ) চালাতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) লাইসেন্স থাকতে হবে। কিন্তু সারা দেশে ৩৫ হাজারের মতো এমন কারখানা চলছে ওই লাইসেন্স ছাড়াই। আইন অনুযায়ী অবৈধ এসব সারাইখানাকে বিআরটিএ লাইসেন্সের আওতায় আনার কার্যক্রম শুরু
০৩ মার্চ ২০২৫
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
৮ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
৯ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
১২ ঘণ্টা আগে