ডেইলি সাবাহের নিবন্ধ

ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের এই সময়ে বাংলাদেশ ও তুরস্কের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক সাউথ-সাউথ তথা দক্ষিণ-দক্ষিণ (গ্লোবাল সাউথের দুটি দেশের মধ্যকার) সহযোগিতার এক চমৎকার উদাহরণ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে। ঐতিহাসিক বন্ধন এবং প্রায় একই রকমের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ এ দুটি দেশকে দীর্ঘকাল ধরে সংযুক্ত রাখলেও আরও গভীর কৌশলগত জোটের সম্ভাবনা এখনো অনেকাংশে অনাবিষ্কৃত।
বাংলাদেশ ও তুরস্কের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বর্তমানে সম্ভাবনাময় হলেও বাণিজ্যিকভাবে এখনো তুলনামূলকভাবে সীমিত। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তুরস্কে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ৫৮১ মিলিয়ন ডলার, যেখানে আমদানি ছিল ৪২৪ মিলিয়ন ডলার। এই বিদ্যমান বাণিজ্য ভারসাম্য আরও বেশি লেনদেনের শক্তিশালী ভিত্তি প্রদান করলেও, প্রকৃত সুযোগ মূলত গভীর শিল্প সহযোগিতার বিকাশে।
সম্প্রতি তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী ওমের বোলাতের সঙ্গে এক বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস স্পষ্টভাবে তুরস্ককে বাংলাদেশে কারখানা স্থানান্তর এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি এই অঞ্চলের চাহিদা মেটাতে দেশের তরুণ কর্মশক্তির সম্ভাবনা কাজে লাগানোর ওপর জোর দেন। এই প্রস্তাব কেবলই আকাঙ্ক্ষা নয়; এটি বাংলাদেশের কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থান এবং ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির একটি বাস্তবসম্মত মূল্যায়নকে প্রতিফলিত করে, যা দেশটিকে তুর্কি উৎপাদন ও প্রতিরক্ষাশিল্পের জন্য এক আদর্শ কেন্দ্রে পরিণত করেছে।
ক্রমবর্ধমান মাল্টিপোলার বা বহু মেরু বিশ্বের প্রেক্ষাপটে জটিল ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৌশলগত অংশীদারত্ব অপরিহার্য। বৈশ্বিক মঞ্চে উদীয়মান শক্তি হিসেবে স্বীকৃত তুরস্ক বাংলাদেশকে ঐতিহাসিক গভীরতা ও ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি উভয়ই ধারণকারী একটি জাতি হিসেবে দেখে। এশিয়ায় অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে বাংলাদেশের উত্থান এবং এর ভূ-কৌশলগত গুরুত্ব দেশটিকে এই অঞ্চলে তুরস্কের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারে পরিণত করেছে।
অন্যদিকে, মুসলিম বিশ্বে তুরস্কের সক্রিয় কূটনীতি নিঃসন্দেহে বিশ্বমঞ্চে আংকারার অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে। বাংলাদেশ এই অংশীদারত্ব কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে নিজেদের ভূরাজনৈতিক প্রভাব বাড়াতে পারে। বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে গভীর সহযোগিতা বৈদেশিক নীতি নির্ধারণে পশ্চিমা ও আঞ্চলিক শক্তিগুলোর ওপর নির্ভরতা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
অন্যদিকে, তুরস্কের ২০১৯ সালে চালু করা ‘এশিয়া অ্যানিউ ইনিশিয়েটিভ’ (এএনআই) এশীয় দেশগুলোর সঙ্গে দেশটির কূটনৈতিক সম্পর্ককে বহুমুখী করার লক্ষ্যে পরিচালিত, যেখানে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মাধ্যমে সহযোগিতা ও সমন্বয়ের ওপর অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এএনআইয়ের অংশ হিসেবে তুরস্ক বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনে সক্রিয়ভাবে আগ্রহী, কারণ দেশটি তুরস্কের অন্যতম পুরোনো অংশীদার।
গত এক দশকে তুরস্ক লাখ লাখ সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে, অন্যদিকে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সংকটের একেবারে সামনের সারিতে রয়েছে। তাদের এই অভিন্ন অভিজ্ঞতা এক নতুন বৈশ্বিক অভিবাসন নীতিকাঠামোর পথ প্রশস্ত করতে পারে। এ ছাড়া, মানবিক সহায়তায় তাদের সহযোগিতা গ্লোবাল সাউথের নেতৃত্বাধীন সংকট মোকাবিলা ব্যবস্থার একটি নজির স্থাপন করতে পারে, যা মানবিক চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে আরও স্থানীয় ও সংস্কৃতি-সংবেদনশীল পদ্ধতির প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে।
তুরস্কের হাই-টেক শিল্পে, বিশেষ করে প্রতিরক্ষা খাতে প্রমাণিত দক্ষতার কথা বিবেচনা করা যাক। এই দক্ষতা বাংলাদেশের বিশাল ও গতিশীল কর্মশক্তির সঙ্গে যুক্ত করে উভয় দেশ একটি যৌথ শিল্পবিপ্লব ঘটাতে পারে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে এবং দেশ দুটির নাগরিকদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করতে পারে।
বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে আসন্ন যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠক প্রতিরক্ষা শিল্পসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ খাতে অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। মূল প্রশ্ন হলো, এই প্রতিরক্ষা সহযোগিতা কেবল অস্ত্র বিক্রির বাইরে যৌথ প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং সহ-উৎপাদন পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারবে কি না, যা উভয় দেশের জন্য একটি আরও স্থিতিশীল ও স্বয়ংসম্পূর্ণ নিরাপত্তা কাঠামো গড়ে তুলবে।
বাংলাদেশ ও তুরস্ক সম্পর্ক এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। ঐতিহাসিক বন্ধন ও অভিন্ন মূল্যবোধ একটি শক্তিশালী ভিত্তি প্রদান করলেও এই অংশীদারত্বের আসল সম্ভাবনা ঐতিহ্যবাহী কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক লেনদেনের ঊর্ধ্বে একটি কৌশলগত জোট গঠনের মধ্যেই নিহিত।
বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা ও মানবিক বিষয়ে সহযোগিতা গভীর করার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও তুরস্ক কেবল তাদের নিজস্ব জাতীয় স্বার্থই রক্ষা করবে না, বরং একটি আরও স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও ন্যায়সংগত বিশ্বব্যবস্থা গঠনেও অবদান রাখবে। এখন প্রশ্ন হলো, উভয় দেশেরই কি এই সুযোগ কাজে লাগানোর মতো দূরদর্শিতা, রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও কৌশলগত প্রজ্ঞা রয়েছে?

ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের এই সময়ে বাংলাদেশ ও তুরস্কের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক সাউথ-সাউথ তথা দক্ষিণ-দক্ষিণ (গ্লোবাল সাউথের দুটি দেশের মধ্যকার) সহযোগিতার এক চমৎকার উদাহরণ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে। ঐতিহাসিক বন্ধন এবং প্রায় একই রকমের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ এ দুটি দেশকে দীর্ঘকাল ধরে সংযুক্ত রাখলেও আরও গভীর কৌশলগত জোটের সম্ভাবনা এখনো অনেকাংশে অনাবিষ্কৃত।
বাংলাদেশ ও তুরস্কের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বর্তমানে সম্ভাবনাময় হলেও বাণিজ্যিকভাবে এখনো তুলনামূলকভাবে সীমিত। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তুরস্কে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ৫৮১ মিলিয়ন ডলার, যেখানে আমদানি ছিল ৪২৪ মিলিয়ন ডলার। এই বিদ্যমান বাণিজ্য ভারসাম্য আরও বেশি লেনদেনের শক্তিশালী ভিত্তি প্রদান করলেও, প্রকৃত সুযোগ মূলত গভীর শিল্প সহযোগিতার বিকাশে।
সম্প্রতি তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী ওমের বোলাতের সঙ্গে এক বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস স্পষ্টভাবে তুরস্ককে বাংলাদেশে কারখানা স্থানান্তর এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি এই অঞ্চলের চাহিদা মেটাতে দেশের তরুণ কর্মশক্তির সম্ভাবনা কাজে লাগানোর ওপর জোর দেন। এই প্রস্তাব কেবলই আকাঙ্ক্ষা নয়; এটি বাংলাদেশের কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থান এবং ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির একটি বাস্তবসম্মত মূল্যায়নকে প্রতিফলিত করে, যা দেশটিকে তুর্কি উৎপাদন ও প্রতিরক্ষাশিল্পের জন্য এক আদর্শ কেন্দ্রে পরিণত করেছে।
ক্রমবর্ধমান মাল্টিপোলার বা বহু মেরু বিশ্বের প্রেক্ষাপটে জটিল ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৌশলগত অংশীদারত্ব অপরিহার্য। বৈশ্বিক মঞ্চে উদীয়মান শক্তি হিসেবে স্বীকৃত তুরস্ক বাংলাদেশকে ঐতিহাসিক গভীরতা ও ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি উভয়ই ধারণকারী একটি জাতি হিসেবে দেখে। এশিয়ায় অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে বাংলাদেশের উত্থান এবং এর ভূ-কৌশলগত গুরুত্ব দেশটিকে এই অঞ্চলে তুরস্কের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারে পরিণত করেছে।
অন্যদিকে, মুসলিম বিশ্বে তুরস্কের সক্রিয় কূটনীতি নিঃসন্দেহে বিশ্বমঞ্চে আংকারার অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে। বাংলাদেশ এই অংশীদারত্ব কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে নিজেদের ভূরাজনৈতিক প্রভাব বাড়াতে পারে। বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে গভীর সহযোগিতা বৈদেশিক নীতি নির্ধারণে পশ্চিমা ও আঞ্চলিক শক্তিগুলোর ওপর নির্ভরতা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
অন্যদিকে, তুরস্কের ২০১৯ সালে চালু করা ‘এশিয়া অ্যানিউ ইনিশিয়েটিভ’ (এএনআই) এশীয় দেশগুলোর সঙ্গে দেশটির কূটনৈতিক সম্পর্ককে বহুমুখী করার লক্ষ্যে পরিচালিত, যেখানে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মাধ্যমে সহযোগিতা ও সমন্বয়ের ওপর অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এএনআইয়ের অংশ হিসেবে তুরস্ক বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনে সক্রিয়ভাবে আগ্রহী, কারণ দেশটি তুরস্কের অন্যতম পুরোনো অংশীদার।
গত এক দশকে তুরস্ক লাখ লাখ সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে, অন্যদিকে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সংকটের একেবারে সামনের সারিতে রয়েছে। তাদের এই অভিন্ন অভিজ্ঞতা এক নতুন বৈশ্বিক অভিবাসন নীতিকাঠামোর পথ প্রশস্ত করতে পারে। এ ছাড়া, মানবিক সহায়তায় তাদের সহযোগিতা গ্লোবাল সাউথের নেতৃত্বাধীন সংকট মোকাবিলা ব্যবস্থার একটি নজির স্থাপন করতে পারে, যা মানবিক চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে আরও স্থানীয় ও সংস্কৃতি-সংবেদনশীল পদ্ধতির প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে।
তুরস্কের হাই-টেক শিল্পে, বিশেষ করে প্রতিরক্ষা খাতে প্রমাণিত দক্ষতার কথা বিবেচনা করা যাক। এই দক্ষতা বাংলাদেশের বিশাল ও গতিশীল কর্মশক্তির সঙ্গে যুক্ত করে উভয় দেশ একটি যৌথ শিল্পবিপ্লব ঘটাতে পারে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে এবং দেশ দুটির নাগরিকদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করতে পারে।
বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে আসন্ন যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠক প্রতিরক্ষা শিল্পসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ খাতে অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। মূল প্রশ্ন হলো, এই প্রতিরক্ষা সহযোগিতা কেবল অস্ত্র বিক্রির বাইরে যৌথ প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং সহ-উৎপাদন পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারবে কি না, যা উভয় দেশের জন্য একটি আরও স্থিতিশীল ও স্বয়ংসম্পূর্ণ নিরাপত্তা কাঠামো গড়ে তুলবে।
বাংলাদেশ ও তুরস্ক সম্পর্ক এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। ঐতিহাসিক বন্ধন ও অভিন্ন মূল্যবোধ একটি শক্তিশালী ভিত্তি প্রদান করলেও এই অংশীদারত্বের আসল সম্ভাবনা ঐতিহ্যবাহী কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক লেনদেনের ঊর্ধ্বে একটি কৌশলগত জোট গঠনের মধ্যেই নিহিত।
বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা ও মানবিক বিষয়ে সহযোগিতা গভীর করার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও তুরস্ক কেবল তাদের নিজস্ব জাতীয় স্বার্থই রক্ষা করবে না, বরং একটি আরও স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও ন্যায়সংগত বিশ্বব্যবস্থা গঠনেও অবদান রাখবে। এখন প্রশ্ন হলো, উভয় দেশেরই কি এই সুযোগ কাজে লাগানোর মতো দূরদর্শিতা, রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও কৌশলগত প্রজ্ঞা রয়েছে?
ডেইলি সাবাহের নিবন্ধ

ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের এই সময়ে বাংলাদেশ ও তুরস্কের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক সাউথ-সাউথ তথা দক্ষিণ-দক্ষিণ (গ্লোবাল সাউথের দুটি দেশের মধ্যকার) সহযোগিতার এক চমৎকার উদাহরণ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে। ঐতিহাসিক বন্ধন এবং প্রায় একই রকমের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ এ দুটি দেশকে দীর্ঘকাল ধরে সংযুক্ত রাখলেও আরও গভীর কৌশলগত জোটের সম্ভাবনা এখনো অনেকাংশে অনাবিষ্কৃত।
বাংলাদেশ ও তুরস্কের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বর্তমানে সম্ভাবনাময় হলেও বাণিজ্যিকভাবে এখনো তুলনামূলকভাবে সীমিত। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তুরস্কে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ৫৮১ মিলিয়ন ডলার, যেখানে আমদানি ছিল ৪২৪ মিলিয়ন ডলার। এই বিদ্যমান বাণিজ্য ভারসাম্য আরও বেশি লেনদেনের শক্তিশালী ভিত্তি প্রদান করলেও, প্রকৃত সুযোগ মূলত গভীর শিল্প সহযোগিতার বিকাশে।
সম্প্রতি তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী ওমের বোলাতের সঙ্গে এক বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস স্পষ্টভাবে তুরস্ককে বাংলাদেশে কারখানা স্থানান্তর এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি এই অঞ্চলের চাহিদা মেটাতে দেশের তরুণ কর্মশক্তির সম্ভাবনা কাজে লাগানোর ওপর জোর দেন। এই প্রস্তাব কেবলই আকাঙ্ক্ষা নয়; এটি বাংলাদেশের কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থান এবং ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির একটি বাস্তবসম্মত মূল্যায়নকে প্রতিফলিত করে, যা দেশটিকে তুর্কি উৎপাদন ও প্রতিরক্ষাশিল্পের জন্য এক আদর্শ কেন্দ্রে পরিণত করেছে।
ক্রমবর্ধমান মাল্টিপোলার বা বহু মেরু বিশ্বের প্রেক্ষাপটে জটিল ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৌশলগত অংশীদারত্ব অপরিহার্য। বৈশ্বিক মঞ্চে উদীয়মান শক্তি হিসেবে স্বীকৃত তুরস্ক বাংলাদেশকে ঐতিহাসিক গভীরতা ও ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি উভয়ই ধারণকারী একটি জাতি হিসেবে দেখে। এশিয়ায় অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে বাংলাদেশের উত্থান এবং এর ভূ-কৌশলগত গুরুত্ব দেশটিকে এই অঞ্চলে তুরস্কের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারে পরিণত করেছে।
অন্যদিকে, মুসলিম বিশ্বে তুরস্কের সক্রিয় কূটনীতি নিঃসন্দেহে বিশ্বমঞ্চে আংকারার অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে। বাংলাদেশ এই অংশীদারত্ব কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে নিজেদের ভূরাজনৈতিক প্রভাব বাড়াতে পারে। বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে গভীর সহযোগিতা বৈদেশিক নীতি নির্ধারণে পশ্চিমা ও আঞ্চলিক শক্তিগুলোর ওপর নির্ভরতা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
অন্যদিকে, তুরস্কের ২০১৯ সালে চালু করা ‘এশিয়া অ্যানিউ ইনিশিয়েটিভ’ (এএনআই) এশীয় দেশগুলোর সঙ্গে দেশটির কূটনৈতিক সম্পর্ককে বহুমুখী করার লক্ষ্যে পরিচালিত, যেখানে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মাধ্যমে সহযোগিতা ও সমন্বয়ের ওপর অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এএনআইয়ের অংশ হিসেবে তুরস্ক বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনে সক্রিয়ভাবে আগ্রহী, কারণ দেশটি তুরস্কের অন্যতম পুরোনো অংশীদার।
গত এক দশকে তুরস্ক লাখ লাখ সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে, অন্যদিকে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সংকটের একেবারে সামনের সারিতে রয়েছে। তাদের এই অভিন্ন অভিজ্ঞতা এক নতুন বৈশ্বিক অভিবাসন নীতিকাঠামোর পথ প্রশস্ত করতে পারে। এ ছাড়া, মানবিক সহায়তায় তাদের সহযোগিতা গ্লোবাল সাউথের নেতৃত্বাধীন সংকট মোকাবিলা ব্যবস্থার একটি নজির স্থাপন করতে পারে, যা মানবিক চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে আরও স্থানীয় ও সংস্কৃতি-সংবেদনশীল পদ্ধতির প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে।
তুরস্কের হাই-টেক শিল্পে, বিশেষ করে প্রতিরক্ষা খাতে প্রমাণিত দক্ষতার কথা বিবেচনা করা যাক। এই দক্ষতা বাংলাদেশের বিশাল ও গতিশীল কর্মশক্তির সঙ্গে যুক্ত করে উভয় দেশ একটি যৌথ শিল্পবিপ্লব ঘটাতে পারে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে এবং দেশ দুটির নাগরিকদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করতে পারে।
বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে আসন্ন যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠক প্রতিরক্ষা শিল্পসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ খাতে অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। মূল প্রশ্ন হলো, এই প্রতিরক্ষা সহযোগিতা কেবল অস্ত্র বিক্রির বাইরে যৌথ প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং সহ-উৎপাদন পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারবে কি না, যা উভয় দেশের জন্য একটি আরও স্থিতিশীল ও স্বয়ংসম্পূর্ণ নিরাপত্তা কাঠামো গড়ে তুলবে।
বাংলাদেশ ও তুরস্ক সম্পর্ক এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। ঐতিহাসিক বন্ধন ও অভিন্ন মূল্যবোধ একটি শক্তিশালী ভিত্তি প্রদান করলেও এই অংশীদারত্বের আসল সম্ভাবনা ঐতিহ্যবাহী কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক লেনদেনের ঊর্ধ্বে একটি কৌশলগত জোট গঠনের মধ্যেই নিহিত।
বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা ও মানবিক বিষয়ে সহযোগিতা গভীর করার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও তুরস্ক কেবল তাদের নিজস্ব জাতীয় স্বার্থই রক্ষা করবে না, বরং একটি আরও স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও ন্যায়সংগত বিশ্বব্যবস্থা গঠনেও অবদান রাখবে। এখন প্রশ্ন হলো, উভয় দেশেরই কি এই সুযোগ কাজে লাগানোর মতো দূরদর্শিতা, রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও কৌশলগত প্রজ্ঞা রয়েছে?

ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের এই সময়ে বাংলাদেশ ও তুরস্কের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক সাউথ-সাউথ তথা দক্ষিণ-দক্ষিণ (গ্লোবাল সাউথের দুটি দেশের মধ্যকার) সহযোগিতার এক চমৎকার উদাহরণ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে। ঐতিহাসিক বন্ধন এবং প্রায় একই রকমের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ এ দুটি দেশকে দীর্ঘকাল ধরে সংযুক্ত রাখলেও আরও গভীর কৌশলগত জোটের সম্ভাবনা এখনো অনেকাংশে অনাবিষ্কৃত।
বাংলাদেশ ও তুরস্কের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বর্তমানে সম্ভাবনাময় হলেও বাণিজ্যিকভাবে এখনো তুলনামূলকভাবে সীমিত। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তুরস্কে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ৫৮১ মিলিয়ন ডলার, যেখানে আমদানি ছিল ৪২৪ মিলিয়ন ডলার। এই বিদ্যমান বাণিজ্য ভারসাম্য আরও বেশি লেনদেনের শক্তিশালী ভিত্তি প্রদান করলেও, প্রকৃত সুযোগ মূলত গভীর শিল্প সহযোগিতার বিকাশে।
সম্প্রতি তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী ওমের বোলাতের সঙ্গে এক বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস স্পষ্টভাবে তুরস্ককে বাংলাদেশে কারখানা স্থানান্তর এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি এই অঞ্চলের চাহিদা মেটাতে দেশের তরুণ কর্মশক্তির সম্ভাবনা কাজে লাগানোর ওপর জোর দেন। এই প্রস্তাব কেবলই আকাঙ্ক্ষা নয়; এটি বাংলাদেশের কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থান এবং ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির একটি বাস্তবসম্মত মূল্যায়নকে প্রতিফলিত করে, যা দেশটিকে তুর্কি উৎপাদন ও প্রতিরক্ষাশিল্পের জন্য এক আদর্শ কেন্দ্রে পরিণত করেছে।
ক্রমবর্ধমান মাল্টিপোলার বা বহু মেরু বিশ্বের প্রেক্ষাপটে জটিল ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৌশলগত অংশীদারত্ব অপরিহার্য। বৈশ্বিক মঞ্চে উদীয়মান শক্তি হিসেবে স্বীকৃত তুরস্ক বাংলাদেশকে ঐতিহাসিক গভীরতা ও ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি উভয়ই ধারণকারী একটি জাতি হিসেবে দেখে। এশিয়ায় অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে বাংলাদেশের উত্থান এবং এর ভূ-কৌশলগত গুরুত্ব দেশটিকে এই অঞ্চলে তুরস্কের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারে পরিণত করেছে।
অন্যদিকে, মুসলিম বিশ্বে তুরস্কের সক্রিয় কূটনীতি নিঃসন্দেহে বিশ্বমঞ্চে আংকারার অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে। বাংলাদেশ এই অংশীদারত্ব কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে নিজেদের ভূরাজনৈতিক প্রভাব বাড়াতে পারে। বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে গভীর সহযোগিতা বৈদেশিক নীতি নির্ধারণে পশ্চিমা ও আঞ্চলিক শক্তিগুলোর ওপর নির্ভরতা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
অন্যদিকে, তুরস্কের ২০১৯ সালে চালু করা ‘এশিয়া অ্যানিউ ইনিশিয়েটিভ’ (এএনআই) এশীয় দেশগুলোর সঙ্গে দেশটির কূটনৈতিক সম্পর্ককে বহুমুখী করার লক্ষ্যে পরিচালিত, যেখানে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মাধ্যমে সহযোগিতা ও সমন্বয়ের ওপর অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এএনআইয়ের অংশ হিসেবে তুরস্ক বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনে সক্রিয়ভাবে আগ্রহী, কারণ দেশটি তুরস্কের অন্যতম পুরোনো অংশীদার।
গত এক দশকে তুরস্ক লাখ লাখ সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে, অন্যদিকে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সংকটের একেবারে সামনের সারিতে রয়েছে। তাদের এই অভিন্ন অভিজ্ঞতা এক নতুন বৈশ্বিক অভিবাসন নীতিকাঠামোর পথ প্রশস্ত করতে পারে। এ ছাড়া, মানবিক সহায়তায় তাদের সহযোগিতা গ্লোবাল সাউথের নেতৃত্বাধীন সংকট মোকাবিলা ব্যবস্থার একটি নজির স্থাপন করতে পারে, যা মানবিক চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে আরও স্থানীয় ও সংস্কৃতি-সংবেদনশীল পদ্ধতির প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে।
তুরস্কের হাই-টেক শিল্পে, বিশেষ করে প্রতিরক্ষা খাতে প্রমাণিত দক্ষতার কথা বিবেচনা করা যাক। এই দক্ষতা বাংলাদেশের বিশাল ও গতিশীল কর্মশক্তির সঙ্গে যুক্ত করে উভয় দেশ একটি যৌথ শিল্পবিপ্লব ঘটাতে পারে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে এবং দেশ দুটির নাগরিকদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করতে পারে।
বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে আসন্ন যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠক প্রতিরক্ষা শিল্পসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ খাতে অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। মূল প্রশ্ন হলো, এই প্রতিরক্ষা সহযোগিতা কেবল অস্ত্র বিক্রির বাইরে যৌথ প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং সহ-উৎপাদন পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারবে কি না, যা উভয় দেশের জন্য একটি আরও স্থিতিশীল ও স্বয়ংসম্পূর্ণ নিরাপত্তা কাঠামো গড়ে তুলবে।
বাংলাদেশ ও তুরস্ক সম্পর্ক এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। ঐতিহাসিক বন্ধন ও অভিন্ন মূল্যবোধ একটি শক্তিশালী ভিত্তি প্রদান করলেও এই অংশীদারত্বের আসল সম্ভাবনা ঐতিহ্যবাহী কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক লেনদেনের ঊর্ধ্বে একটি কৌশলগত জোট গঠনের মধ্যেই নিহিত।
বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা ও মানবিক বিষয়ে সহযোগিতা গভীর করার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও তুরস্ক কেবল তাদের নিজস্ব জাতীয় স্বার্থই রক্ষা করবে না, বরং একটি আরও স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও ন্যায়সংগত বিশ্বব্যবস্থা গঠনেও অবদান রাখবে। এখন প্রশ্ন হলো, উভয় দেশেরই কি এই সুযোগ কাজে লাগানোর মতো দূরদর্শিতা, রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও কৌশলগত প্রজ্ঞা রয়েছে?

বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
৪২ মিনিট আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
১ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৮ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গুম হত্যার চেয়েও নিকৃষ্টতম অপরাধ। গুম প্রতিরোধে শুধু আইনগত সংস্কার নয়, প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারও।
আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত ‘Ensuring Justice: The Role of the Judiciary in Addressing Enforced Disappearances’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গুম-সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির উদ্যোগে এবং ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় আসিফ নজরুল বলেন, ‘অনেক প্রাণ ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ একটি পরিবর্তিত পরিবেশে অবস্থান করছি। এই পরিবর্তন স্থায়ী করতে হলে গুমের বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য।’
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রায় লেখা একটি সৃজনশীল শিল্প। তাই বিচারকেরা হলেন সৃজনশীল শিল্পী। তাঁদের শিল্পকর্মই তাঁদের রায়।
তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধে বিচার বিভাগ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও মানবাধিকার কাঠামোর মধ্যে সমন্বিত সহযোগিতা অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও তদন্ত সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি গুমের বিচার নিশ্চিতের মূল চাবিকাঠি।
কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী বলেন, গুম-সংক্রান্ত মামলাগুলোর কার্যকর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এখন সময়ের দাবি। কমিশন এরই মধ্যে বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা করে গুম-সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, সাক্ষী সুরক্ষা ও ভুক্তভোগী পরিবারের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা এবং ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকার-বিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান।

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গুম হত্যার চেয়েও নিকৃষ্টতম অপরাধ। গুম প্রতিরোধে শুধু আইনগত সংস্কার নয়, প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারও।
আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত ‘Ensuring Justice: The Role of the Judiciary in Addressing Enforced Disappearances’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গুম-সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির উদ্যোগে এবং ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় আসিফ নজরুল বলেন, ‘অনেক প্রাণ ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ একটি পরিবর্তিত পরিবেশে অবস্থান করছি। এই পরিবর্তন স্থায়ী করতে হলে গুমের বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য।’
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রায় লেখা একটি সৃজনশীল শিল্প। তাই বিচারকেরা হলেন সৃজনশীল শিল্পী। তাঁদের শিল্পকর্মই তাঁদের রায়।
তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধে বিচার বিভাগ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও মানবাধিকার কাঠামোর মধ্যে সমন্বিত সহযোগিতা অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও তদন্ত সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি গুমের বিচার নিশ্চিতের মূল চাবিকাঠি।
কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী বলেন, গুম-সংক্রান্ত মামলাগুলোর কার্যকর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এখন সময়ের দাবি। কমিশন এরই মধ্যে বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা করে গুম-সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, সাক্ষী সুরক্ষা ও ভুক্তভোগী পরিবারের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা এবং ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকার-বিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান।

ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের এই সময়ে বাংলাদেশ ও তুরস্কের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক সাউথ-সাউথ তথা দক্ষিণ-দক্ষিণ (গ্লোবাল সাউথের দুটি দেশের মধ্যকার) সহযোগিতার এক চমৎকার উদাহরণ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে। ঐতিহাসিক বন্ধন ও প্রায় একই রকমের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ এই দুটি দেশকে দীর্ঘকাল ধরে...
০১ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
১ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৮ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১ দিন আগেসিনেটে শুনানিতে ট্রাম্প–মনোনীত রাষ্ট্রদূত
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা বলেন ক্রিস্টেনসেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মমোনীত এই কূটনীতিক বলেন, রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেলে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে সামরিক সহযোগিতা, সামুদ্রিক কর্মকাণ্ড এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে সম্পৃক্ততাসহ চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরবনে। পাশাপাশি সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারত্ব ঘনিষ্ঠ করার জন্য কাজ করারও প্রতিশ্রুতি দেন ক্রিস্টেনসেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দেন। সিনেট কমিটির অনুমোদনের পরই তাঁর নিয়োগ চূড়ান্ত হবে। এই মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে চার রাষ্ট্রদূত প্রার্থী লিখিত বিবৃতি তুলে ধরেন। পরে তাঁরা সিনেট সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ তুলে ধরে নেব্রাস্কার রিপাবলিকান সিনেটর জন পিটার রিকেটস শুনানিতে বলেন, ‘আমরা এখন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মুখে। বাংলাদেশ ও চীনের সামরিক সহযোগিতা দ্রুত বাড়ছে। যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন রাখার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি কৌশলগত সাবমেরিন ঘাঁটি আধুনিকায়ন করেছে চীন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার চীনের তৈরি ২০টি জে-১০ যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি নতুন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ও দূরপাল্লার রাডার কেনার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ পেলে চীনা সামরিক সরঞ্জামের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা কমাতে বাংলাদেশের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে ক্রিস্টেনসেন কীভাবে কাজ করবেন, তা জানতে চান সিনেটর রিকেটস।

জবাবে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব নিয়ে আপনাদের মতো উদ্বেগ আমারও। রাষ্ট্রদূত নিয়োগ আমি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থেকে চীনের কার্যক্রমের ঝুঁকি ব্যাখ্যা করব। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গভীর অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা তুলে ধরব, যা দুই দেশের সামরিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে।’
এ সময় সিনেটর রিকেটস বলেন, ‘এই শুনানির আগের দিনই সিনেট পররাষ্ট্র কমিটি সর্বসম্মতভাবে ‘থিংক টোয়াইস অ্যাক্ট’ পাস করেছে। এই আইন যুক্তরাষ্ট্রকে পূর্ণাঙ্গ কৌশল নিতে বাধ্য করবে, যাতে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশকে চীনা অস্ত্র কেনা থেকে বিরত রাখা যায়। আমরা আশা করি, আপনিও এই আইনের সহায়তা নিয়ে কাজ করবেন। তাহলে অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধ সম্ভব হবে।’
তাঁর এই মন্তব্যের সূত্র ধরে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘সামরিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চমূল্যের সামরিক সরঞ্জামের বিকল্প হিসেবে মিত্রদেশগুলোর তৈরি সাশ্রয়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা বাংলাদেশকে জানাতে পারি। পাশাপাশি যৌথ সামরিক মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্ল্যাটফর্মগুলোকে অন্যান্য মিত্র বাহিনীর সঙ্গে আরও সমন্বিত ও কার্যকর করতে পারি।’
শুনানির শুরুতে লিখিত বিবৃতিতে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে যে গণআন্দোলন হয়েছিল, তা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সরকারকে পতন ঘটায়। আগামী বছর বাংলাদেশের জনগণ ভোটে যাবে, যা দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের যাত্রায় পাশে থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অনেক সময় তাঁর প্রাপ্য মনোযোগ পায় না, বড় প্রতিবেশীদের আড়ালে গুরুত্ব হারিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রসেবায় আমার দুই দশকের অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে ঢাকার কর্মকালও রয়েছে। তাই, আমি বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সম্পর্কে গভীরভাবে অবগত। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থান বাংলাদেশকে উন্মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার করে তুলেছে।’

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা বলেন ক্রিস্টেনসেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মমোনীত এই কূটনীতিক বলেন, রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেলে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে সামরিক সহযোগিতা, সামুদ্রিক কর্মকাণ্ড এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে সম্পৃক্ততাসহ চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরবনে। পাশাপাশি সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারত্ব ঘনিষ্ঠ করার জন্য কাজ করারও প্রতিশ্রুতি দেন ক্রিস্টেনসেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দেন। সিনেট কমিটির অনুমোদনের পরই তাঁর নিয়োগ চূড়ান্ত হবে। এই মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে চার রাষ্ট্রদূত প্রার্থী লিখিত বিবৃতি তুলে ধরেন। পরে তাঁরা সিনেট সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ তুলে ধরে নেব্রাস্কার রিপাবলিকান সিনেটর জন পিটার রিকেটস শুনানিতে বলেন, ‘আমরা এখন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মুখে। বাংলাদেশ ও চীনের সামরিক সহযোগিতা দ্রুত বাড়ছে। যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন রাখার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি কৌশলগত সাবমেরিন ঘাঁটি আধুনিকায়ন করেছে চীন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার চীনের তৈরি ২০টি জে-১০ যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি নতুন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ও দূরপাল্লার রাডার কেনার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ পেলে চীনা সামরিক সরঞ্জামের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা কমাতে বাংলাদেশের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে ক্রিস্টেনসেন কীভাবে কাজ করবেন, তা জানতে চান সিনেটর রিকেটস।

জবাবে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব নিয়ে আপনাদের মতো উদ্বেগ আমারও। রাষ্ট্রদূত নিয়োগ আমি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থেকে চীনের কার্যক্রমের ঝুঁকি ব্যাখ্যা করব। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গভীর অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা তুলে ধরব, যা দুই দেশের সামরিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে।’
এ সময় সিনেটর রিকেটস বলেন, ‘এই শুনানির আগের দিনই সিনেট পররাষ্ট্র কমিটি সর্বসম্মতভাবে ‘থিংক টোয়াইস অ্যাক্ট’ পাস করেছে। এই আইন যুক্তরাষ্ট্রকে পূর্ণাঙ্গ কৌশল নিতে বাধ্য করবে, যাতে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশকে চীনা অস্ত্র কেনা থেকে বিরত রাখা যায়। আমরা আশা করি, আপনিও এই আইনের সহায়তা নিয়ে কাজ করবেন। তাহলে অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধ সম্ভব হবে।’
তাঁর এই মন্তব্যের সূত্র ধরে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘সামরিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চমূল্যের সামরিক সরঞ্জামের বিকল্প হিসেবে মিত্রদেশগুলোর তৈরি সাশ্রয়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা বাংলাদেশকে জানাতে পারি। পাশাপাশি যৌথ সামরিক মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্ল্যাটফর্মগুলোকে অন্যান্য মিত্র বাহিনীর সঙ্গে আরও সমন্বিত ও কার্যকর করতে পারি।’
শুনানির শুরুতে লিখিত বিবৃতিতে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে যে গণআন্দোলন হয়েছিল, তা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সরকারকে পতন ঘটায়। আগামী বছর বাংলাদেশের জনগণ ভোটে যাবে, যা দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের যাত্রায় পাশে থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অনেক সময় তাঁর প্রাপ্য মনোযোগ পায় না, বড় প্রতিবেশীদের আড়ালে গুরুত্ব হারিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রসেবায় আমার দুই দশকের অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে ঢাকার কর্মকালও রয়েছে। তাই, আমি বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সম্পর্কে গভীরভাবে অবগত। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থান বাংলাদেশকে উন্মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার করে তুলেছে।’

ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের এই সময়ে বাংলাদেশ ও তুরস্কের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক সাউথ-সাউথ তথা দক্ষিণ-দক্ষিণ (গ্লোবাল সাউথের দুটি দেশের মধ্যকার) সহযোগিতার এক চমৎকার উদাহরণ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে। ঐতিহাসিক বন্ধন ও প্রায় একই রকমের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ এই দুটি দেশকে দীর্ঘকাল ধরে...
০১ এপ্রিল ২০২৫
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
৪২ মিনিট আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৮ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১ দিন আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল গেটে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অব্যবস্থাপনার বিষয়টি তদন্তের জন্য আমরা চারটি দেশকে ইনভাইট করেছি। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও তুরস্ককে আসতে বলেছি। তাদের স্পেশালিস্ট আমরা আনতে চাচ্ছি। তারা তদন্ত করে কারণটা কী এবং কে দায়ী বের করবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দরের ভেতরে চারটি ইউনিট আছে। চারটি ইউনিটই কাজ করছে। আমরা আশা করছিলাম তাড়াতাড়ি কন্ট্রোলে আসবে। কন্ট্রোলে আসতে একটু সময় লাগছে। যেহেতু বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থা চিন্তা করতে হয়। যেহেতু দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। অনেক সময় বাতাস থাকলে নেভাতে সময় লাগে।’
কার্গো ভিলেজে বিশেষায়িত ফায়ার সার্ভিস ইউনিট কেন ছিল না—এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আগুন নেভানোর জন্য বিমানে যে ইউনিট থাকে, সেটা কার্গো ভিলেজেও কাজ করতে পারে। এটিতে কোনো অসুবিধা নাই।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, ‘আগুন নেভাতে কেউ ফেল করেনি। কিন্তু সময় লাগছে। ফেল করলে সব জ্বলে যেত। ওই দিন রাত ৯টার সময় বিমানবন্দর চালু করে দিয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দর অথরিটির চারটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আছে। সেগুলো ৩০ সেকেন্ডের ভেতরে চলে আসছিল। ফায়ার সার্ভিসের যে ইউনিটগুলো আছে, তার একটি দিয়াবাড়ির মেট্রোরেলের ওখানে, আরেকটি কুর্মিটোলায়। সেগুলো ২০ মিনিটের ভেতরে চলে আসছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যেখানে আগুন ধরেছে, সেখানে কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস ম্যাটেরিয়াল ছিল। দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। যার কারণে আগুনটা ছড়িয়ে গেছে তাড়াতাড়ি। কন্ট্রোল করতে সময় নিয়েছে।’
১৮ অক্টোবর বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট-সংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিটের চেষ্টায় রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু পুরোপুরি নির্বাপণ হয় ২৬ ঘণ্টা পর ১৯ অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে।
আরও খবর পড়ুন:

বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল গেটে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অব্যবস্থাপনার বিষয়টি তদন্তের জন্য আমরা চারটি দেশকে ইনভাইট করেছি। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও তুরস্ককে আসতে বলেছি। তাদের স্পেশালিস্ট আমরা আনতে চাচ্ছি। তারা তদন্ত করে কারণটা কী এবং কে দায়ী বের করবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দরের ভেতরে চারটি ইউনিট আছে। চারটি ইউনিটই কাজ করছে। আমরা আশা করছিলাম তাড়াতাড়ি কন্ট্রোলে আসবে। কন্ট্রোলে আসতে একটু সময় লাগছে। যেহেতু বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থা চিন্তা করতে হয়। যেহেতু দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। অনেক সময় বাতাস থাকলে নেভাতে সময় লাগে।’
কার্গো ভিলেজে বিশেষায়িত ফায়ার সার্ভিস ইউনিট কেন ছিল না—এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আগুন নেভানোর জন্য বিমানে যে ইউনিট থাকে, সেটা কার্গো ভিলেজেও কাজ করতে পারে। এটিতে কোনো অসুবিধা নাই।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, ‘আগুন নেভাতে কেউ ফেল করেনি। কিন্তু সময় লাগছে। ফেল করলে সব জ্বলে যেত। ওই দিন রাত ৯টার সময় বিমানবন্দর চালু করে দিয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দর অথরিটির চারটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আছে। সেগুলো ৩০ সেকেন্ডের ভেতরে চলে আসছিল। ফায়ার সার্ভিসের যে ইউনিটগুলো আছে, তার একটি দিয়াবাড়ির মেট্রোরেলের ওখানে, আরেকটি কুর্মিটোলায়। সেগুলো ২০ মিনিটের ভেতরে চলে আসছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যেখানে আগুন ধরেছে, সেখানে কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস ম্যাটেরিয়াল ছিল। দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। যার কারণে আগুনটা ছড়িয়ে গেছে তাড়াতাড়ি। কন্ট্রোল করতে সময় নিয়েছে।’
১৮ অক্টোবর বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট-সংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিটের চেষ্টায় রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু পুরোপুরি নির্বাপণ হয় ২৬ ঘণ্টা পর ১৯ অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে।
আরও খবর পড়ুন:

ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের এই সময়ে বাংলাদেশ ও তুরস্কের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক সাউথ-সাউথ তথা দক্ষিণ-দক্ষিণ (গ্লোবাল সাউথের দুটি দেশের মধ্যকার) সহযোগিতার এক চমৎকার উদাহরণ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে। ঐতিহাসিক বন্ধন ও প্রায় একই রকমের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ এই দুটি দেশকে দীর্ঘকাল ধরে...
০১ এপ্রিল ২০২৫
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
৪২ মিনিট আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
১ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১ দিন আগেঅষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) ও রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ বিকেলে অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় বাড়িসংলগ্ন বিলের পাশে খেলা করছিল মিশকাত (৫), মাহিন (৬) ও সাত্তার তানিল মিয়া (৫)। হঠাৎ সবার অজান্তে তিন শিশু বিলে পড়ে ডুবে যায়।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিল থেকে মিশকাত ও মাহিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপর শিশু তানিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো তিন শিশু খেলাধুলা করছিল। কিন্তু কখন যে বিলের পানিতে ডুবে গেল, কেউ বোঝেনি। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে প্রথমে দুজন, পরে অন্যজনকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুঃখজনক খবর, একই বাড়ির তিনটা শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপর দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে একই দিন বিকেলে উত্তর পারুয়া গ্রামের একটি পুকুরে পড়ে মারা যায় তিন শিশু। তারা হলো সুমাইয়া আক্তার (৫), হাবীবা আক্তার (৬) ও জান্নাত আক্তার (৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে খেলার ছলে তারা তিনজনই বাড়ির পাশে পুকুরে যায়। কিছুক্ষণ পর না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন বলেন, ‘তিনটি নিষ্পাপ শিশুর এমন মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ বিকেলে অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় বাড়িসংলগ্ন বিলের পাশে খেলা করছিল মিশকাত (৫), মাহিন (৬) ও সাত্তার তানিল মিয়া (৫)। হঠাৎ সবার অজান্তে তিন শিশু বিলে পড়ে ডুবে যায়।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিল থেকে মিশকাত ও মাহিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপর শিশু তানিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো তিন শিশু খেলাধুলা করছিল। কিন্তু কখন যে বিলের পানিতে ডুবে গেল, কেউ বোঝেনি। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে প্রথমে দুজন, পরে অন্যজনকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুঃখজনক খবর, একই বাড়ির তিনটা শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপর দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে একই দিন বিকেলে উত্তর পারুয়া গ্রামের একটি পুকুরে পড়ে মারা যায় তিন শিশু। তারা হলো সুমাইয়া আক্তার (৫), হাবীবা আক্তার (৬) ও জান্নাত আক্তার (৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে খেলার ছলে তারা তিনজনই বাড়ির পাশে পুকুরে যায়। কিছুক্ষণ পর না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন বলেন, ‘তিনটি নিষ্পাপ শিশুর এমন মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের এই সময়ে বাংলাদেশ ও তুরস্কের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক সাউথ-সাউথ তথা দক্ষিণ-দক্ষিণ (গ্লোবাল সাউথের দুটি দেশের মধ্যকার) সহযোগিতার এক চমৎকার উদাহরণ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে। ঐতিহাসিক বন্ধন ও প্রায় একই রকমের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ এই দুটি দেশকে দীর্ঘকাল ধরে...
০১ এপ্রিল ২০২৫
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
৪২ মিনিট আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
১ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৮ ঘণ্টা আগে