নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নতি হচ্ছে বলে সরকার যে দাবি করছে, সেটাকেই সবচেয়ে বড় গুজব হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীর।
আজ শনিবার বেলা ২টায় ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘সংশয় ও চক্রান্ত: ভুল তথ্য ও গুজবের বিপদসমূহ’ শীর্ষক অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন। সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী বে অব বেঙ্গল সম্মেলনের প্রথম দিনে আজ ছয়টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
নূরুল কবীর বলেন, ‘ভুল তথ্য ও গুজব দুটি আলাদা বিষয়। ভুল তথ্য অনেক ক্ষেত্রে নেতিবাচক না-ও হতে পারে। তবে গুজব পুরোটাই নেতিবাচক। তথ্য সব সময় তথ্য হিসেবেই থাকবে। যেটা সামাজিক, জাতীয় ও বৈশ্বিক বিভিন্ন কিছুর মাধ্যমে পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে ভুল তথ্য সব সময় খারাপ উদ্দেশ্যে দেওয়া হয় না। যেখানে পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব থাকতে পারে। ভুল হতেই পারে। সেটা বিপজ্জনক, তবে সব ক্ষেত্রে ক্ষতিকর নয়। তবে গুজব কোনোভাবেই ইতিবাচক নয়। যেটি তৈরি করা হয়, ছড়ানো হয়, একটা নির্দিষ্ট প্রোপাগান্ডা আকারে বিস্তার ঘটানো হয়।’
নূরুল কবীর বলেন, ‘যদি বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বলা হয়, তাহলে এই সময় সবচেয়ে বড় গুজব ছিল ইরাকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র আছে। এটা কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবেই করা হয়েছিল এবং ছড়ানো হয়েছিল। যারা করেছিল তারা জানত এখানে ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সুবিধা থাকবে। এটার ফলাফল সেখানে অনেক মানুষ মারা গেছে।’
দেশের প্রেক্ষাপটে গুজবের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি দেশের প্রেক্ষাপটে গুজবের কথা বলা হয়ে থাকে তাহলে আমাদের সরকার যেটি বলছে দেশে গণতন্ত্র আছে ও যার মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নতি হচ্ছে—এটিই সবচেয়ে বড় গুজব। কারণ, বাংলাদেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। সরকার আছে সেটি গণতান্ত্রিক সরকার নয়। কারণ, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের সঠিকভাবে নির্বাচন হয়নি। ভোটার তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারেনি। যদি ভোটার প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে না পারে ও সেখানে অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন না হয়, তাহলে মানুষের কাছে সেটির কোনো গ্রহণযোগ্যতা থাকে না। এটি গণতন্ত্র হতে পারে না। সে জন্য এটি গুজব।’
নিউ এজের সম্পাদক বলেন, ‘সরকার যে উন্নয়নের কথা বলছে, অর্থনৈতিকভাবে সেটিও একটি বড় গুজব। কারণ, আপনি বড় বড় অবকাঠামো দেখবেন, তবে যখন মধ্যরাতে যাবেন তখন দেখবেন সেখানে গৃহহীন মানুষেরা ঘুমিয়ে আছে। তাই অসম উন্নয়ন ও দারিদ্র্যের ফলে অনেকে অপুষ্টিতে আছে, বাল্যবিবাহ হচ্ছে।’
এই অধিবেশনে জার্মানির জেনিথ ম্যাগাজিনের সম্পাদক লিও উইগার বলেন, ‘গুজব একটি ভয়ংকর জিনিস। আমরা সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া পরিচালিত গুজব দেখেছি।’
চায়নার ফুডান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক চুইহং চাই বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন ভুল তথ্য ও গুজব প্রসারে একটি ভূমিকা পালন করছে।’
বেলা সাড়ে ১১টার অধিবেশনে নাগরিক সমাজ, এনজিও ও বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়। বলা হয়, স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তির পর থেকে বিশ্বব্যাপী নাগরিক সমাজের বিস্তৃতির ফলে বেসরকারি সংস্থাগুলো (এনজিও), সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন (সিএসও) এবং থিংক ট্যাংকগুলোর বিস্তার ঘটেছে, যা অরাষ্ট্রীয় অভিনেতা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ আবির্ভূত হচ্ছে। এসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের মানবিক, চিকিৎসা, শিক্ষামূলক এবং অন্যান্য ত্রাণ ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিযুক্ত। এই সংস্থাগুলো বিশ্বব্যাপী সংঘাত পরিচালনা ও সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অধিবেশনে আলোচনা করা হয় কীভাবে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় বিশ্ব সুশীল সমাজ সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে।
এই অধিবেশনে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা কোন নাগরিক সমাজের কথা বলছি। যে নাগরিক সমাজ বৈশ্বিক মানবতায় বিশ্বাস করে, গণতান্ত্রিক দায়িত্বে বিশ্বাস করে, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি বিশ্বাস আছে—মূলত এই তিনটি বিষয় যার মধ্যে আছে তাদের নিয়ে। এমন আরও অনেক কিছু থাকতে পারে। তাহলে আমি বলব তারা এখন হুমকির মুখে আছে। গত এক বছরে বে অব বেঙ্গল অঞ্চল এবং ইউরোপ, আমেরিকার, ল্যাটিন আমেরিকায়—এসব নাগরিক সমাজের মানুষের এখন প্রস্থান ঘটেছে।’
তিনি বলেন, যখন গণতন্ত্র ও অন্যান্য ভারসাম্যের বিষয় আসে তখন এসব নাগরিক সমাজের মানুষেরা খুবই কম প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে। এটার কারণ তারা নিজেরা নয়। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, মূলত তারা কি সেটি করার অনুমতি পাচ্ছে, সেটা দেখার বিষয়। যখন করোনা-পরবর্তী সময়ে এসব নাগরিক সমাজের সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল তখন দেখা গেল তাদের ভূমিকা খুবই সীমিত। সেই জায়গাটা কমে গেছে তাদের জন্য।
এর আগের অধিবেশনে জি-২০-এর পরে দক্ষিণ অঞ্চলের উঠতি অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সকাল সাড়ে ৯টায় গণতন্ত্র ও শান্তির বার্তা নিয়ে শুরু হয় বে অব বেঙ্গল সম্মেলন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ক্লাব মাদ্রিদের সদস্য মওসা মারা, সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান এবং সিজিএসের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরীসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অতিথিরা।
জিল্লুর রহমান বলেন, বর্তমান সময় খুবই জটিল। সারা পৃথিবীতে যুদ্ধের কারণে দেশ বিভক্ত হচ্ছে। এটা খুবই ভয়ের যে শান্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে। তবে এখনো আশা ও সুযোগ আছে।
জিল্লুর রহমান আরও বলেন, গতবারের সম্মেলনে তাঁদের অনেক খারাপ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। নিজেদের সরকারই তাঁদের প্রশ্ন করেছে। তাই এবার সিজিএস সুযোগ নিয়েছে প্রমাণ করার জন্য। এটি বিশ্বের কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না।
উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে মওসা মারা বলেন, পৃথিবীতে এখন জোটবদ্ধতা কমে যাচ্ছে। এর কারণে আন্তর্জাতিক সমস্যাগুলো সমাধানে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। কিছু কিছু দেশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে; যারা অন্য দেশগুলোতে তাদের প্রভাব বিস্তার করে চলছে। এর মধ্যে অন্যতম চীন ও আমেরিকা। তারা নিজেদের মতো করে বিভিন্নভাবে অন্য দেশগুলোকে তাদের আয়ত্তে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে।
মওসা মারা বলেন, এখন পৃথিবীতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কমে যাচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন অংশে গণতন্ত্র এটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। বিভিন্ন সময় উত্তেজনার তৈরি হচ্ছে। মৌলবাদ ছড়িয়ে যাচ্ছে।
মওসা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আরও একটি সমস্যার তৈরি করেছে। দুঃখের বিষয় এই যুদ্ধ শেষ হবে না। অন্যদিকে ইউরোপ নামে মহাদেশে কিছু দেশ আছে যারা ধনী, কিন্তু তারা একত্রিত নয়। বিভিন্নভাবে সমস্যা তৈরি করছে নিজেদের মধ্যে।
সিজিএসের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশসহ ইন্দো-প্যাসেফিকের দেশগুলো যেসব সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, সেগুলো এই সম্মেলনে দৃষ্টিগোচর করা হবে। মূলত ভারতীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভূরাজনীতি নিয়ে আলোচনা করা হবে বিভিন্ন অধিবেশনে।
আয়োজকদের তথ্যমতে, এটি সিজিএসের দ্বিতীয় সম্মেলন। এবারের সম্মেলনে দেশীয় রাজনৈতিক ও বিরোধী দলের কোনো বক্তা থাকবেন না। শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত চলবে এই সম্মেলন। বিশ্বের ৭৫টি দেশের গবেষক, শিক্ষক, লেখক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন পেশার ২০০ জন গুরুত্বপূর্ণ বক্তা উপস্থিত থাকবেন। তিন দিনে সম্মেলনে ৫০টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের আলোচ্য বিষয় ইন্দো-প্যাসেফিক ইস্যু ও ভূরাজনীতি।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নতি হচ্ছে বলে সরকার যে দাবি করছে, সেটাকেই সবচেয়ে বড় গুজব হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীর।
আজ শনিবার বেলা ২টায় ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘সংশয় ও চক্রান্ত: ভুল তথ্য ও গুজবের বিপদসমূহ’ শীর্ষক অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন। সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী বে অব বেঙ্গল সম্মেলনের প্রথম দিনে আজ ছয়টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
নূরুল কবীর বলেন, ‘ভুল তথ্য ও গুজব দুটি আলাদা বিষয়। ভুল তথ্য অনেক ক্ষেত্রে নেতিবাচক না-ও হতে পারে। তবে গুজব পুরোটাই নেতিবাচক। তথ্য সব সময় তথ্য হিসেবেই থাকবে। যেটা সামাজিক, জাতীয় ও বৈশ্বিক বিভিন্ন কিছুর মাধ্যমে পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে ভুল তথ্য সব সময় খারাপ উদ্দেশ্যে দেওয়া হয় না। যেখানে পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব থাকতে পারে। ভুল হতেই পারে। সেটা বিপজ্জনক, তবে সব ক্ষেত্রে ক্ষতিকর নয়। তবে গুজব কোনোভাবেই ইতিবাচক নয়। যেটি তৈরি করা হয়, ছড়ানো হয়, একটা নির্দিষ্ট প্রোপাগান্ডা আকারে বিস্তার ঘটানো হয়।’
নূরুল কবীর বলেন, ‘যদি বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বলা হয়, তাহলে এই সময় সবচেয়ে বড় গুজব ছিল ইরাকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র আছে। এটা কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবেই করা হয়েছিল এবং ছড়ানো হয়েছিল। যারা করেছিল তারা জানত এখানে ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সুবিধা থাকবে। এটার ফলাফল সেখানে অনেক মানুষ মারা গেছে।’
দেশের প্রেক্ষাপটে গুজবের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি দেশের প্রেক্ষাপটে গুজবের কথা বলা হয়ে থাকে তাহলে আমাদের সরকার যেটি বলছে দেশে গণতন্ত্র আছে ও যার মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নতি হচ্ছে—এটিই সবচেয়ে বড় গুজব। কারণ, বাংলাদেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। সরকার আছে সেটি গণতান্ত্রিক সরকার নয়। কারণ, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের সঠিকভাবে নির্বাচন হয়নি। ভোটার তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারেনি। যদি ভোটার প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে না পারে ও সেখানে অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন না হয়, তাহলে মানুষের কাছে সেটির কোনো গ্রহণযোগ্যতা থাকে না। এটি গণতন্ত্র হতে পারে না। সে জন্য এটি গুজব।’
নিউ এজের সম্পাদক বলেন, ‘সরকার যে উন্নয়নের কথা বলছে, অর্থনৈতিকভাবে সেটিও একটি বড় গুজব। কারণ, আপনি বড় বড় অবকাঠামো দেখবেন, তবে যখন মধ্যরাতে যাবেন তখন দেখবেন সেখানে গৃহহীন মানুষেরা ঘুমিয়ে আছে। তাই অসম উন্নয়ন ও দারিদ্র্যের ফলে অনেকে অপুষ্টিতে আছে, বাল্যবিবাহ হচ্ছে।’
এই অধিবেশনে জার্মানির জেনিথ ম্যাগাজিনের সম্পাদক লিও উইগার বলেন, ‘গুজব একটি ভয়ংকর জিনিস। আমরা সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া পরিচালিত গুজব দেখেছি।’
চায়নার ফুডান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক চুইহং চাই বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন ভুল তথ্য ও গুজব প্রসারে একটি ভূমিকা পালন করছে।’
বেলা সাড়ে ১১টার অধিবেশনে নাগরিক সমাজ, এনজিও ও বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়। বলা হয়, স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তির পর থেকে বিশ্বব্যাপী নাগরিক সমাজের বিস্তৃতির ফলে বেসরকারি সংস্থাগুলো (এনজিও), সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন (সিএসও) এবং থিংক ট্যাংকগুলোর বিস্তার ঘটেছে, যা অরাষ্ট্রীয় অভিনেতা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ আবির্ভূত হচ্ছে। এসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের মানবিক, চিকিৎসা, শিক্ষামূলক এবং অন্যান্য ত্রাণ ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিযুক্ত। এই সংস্থাগুলো বিশ্বব্যাপী সংঘাত পরিচালনা ও সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অধিবেশনে আলোচনা করা হয় কীভাবে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় বিশ্ব সুশীল সমাজ সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে।
এই অধিবেশনে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা কোন নাগরিক সমাজের কথা বলছি। যে নাগরিক সমাজ বৈশ্বিক মানবতায় বিশ্বাস করে, গণতান্ত্রিক দায়িত্বে বিশ্বাস করে, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি বিশ্বাস আছে—মূলত এই তিনটি বিষয় যার মধ্যে আছে তাদের নিয়ে। এমন আরও অনেক কিছু থাকতে পারে। তাহলে আমি বলব তারা এখন হুমকির মুখে আছে। গত এক বছরে বে অব বেঙ্গল অঞ্চল এবং ইউরোপ, আমেরিকার, ল্যাটিন আমেরিকায়—এসব নাগরিক সমাজের মানুষের এখন প্রস্থান ঘটেছে।’
তিনি বলেন, যখন গণতন্ত্র ও অন্যান্য ভারসাম্যের বিষয় আসে তখন এসব নাগরিক সমাজের মানুষেরা খুবই কম প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে। এটার কারণ তারা নিজেরা নয়। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, মূলত তারা কি সেটি করার অনুমতি পাচ্ছে, সেটা দেখার বিষয়। যখন করোনা-পরবর্তী সময়ে এসব নাগরিক সমাজের সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল তখন দেখা গেল তাদের ভূমিকা খুবই সীমিত। সেই জায়গাটা কমে গেছে তাদের জন্য।
এর আগের অধিবেশনে জি-২০-এর পরে দক্ষিণ অঞ্চলের উঠতি অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সকাল সাড়ে ৯টায় গণতন্ত্র ও শান্তির বার্তা নিয়ে শুরু হয় বে অব বেঙ্গল সম্মেলন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ক্লাব মাদ্রিদের সদস্য মওসা মারা, সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান এবং সিজিএসের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরীসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অতিথিরা।
জিল্লুর রহমান বলেন, বর্তমান সময় খুবই জটিল। সারা পৃথিবীতে যুদ্ধের কারণে দেশ বিভক্ত হচ্ছে। এটা খুবই ভয়ের যে শান্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে। তবে এখনো আশা ও সুযোগ আছে।
জিল্লুর রহমান আরও বলেন, গতবারের সম্মেলনে তাঁদের অনেক খারাপ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। নিজেদের সরকারই তাঁদের প্রশ্ন করেছে। তাই এবার সিজিএস সুযোগ নিয়েছে প্রমাণ করার জন্য। এটি বিশ্বের কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না।
উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে মওসা মারা বলেন, পৃথিবীতে এখন জোটবদ্ধতা কমে যাচ্ছে। এর কারণে আন্তর্জাতিক সমস্যাগুলো সমাধানে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। কিছু কিছু দেশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে; যারা অন্য দেশগুলোতে তাদের প্রভাব বিস্তার করে চলছে। এর মধ্যে অন্যতম চীন ও আমেরিকা। তারা নিজেদের মতো করে বিভিন্নভাবে অন্য দেশগুলোকে তাদের আয়ত্তে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে।
মওসা মারা বলেন, এখন পৃথিবীতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কমে যাচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন অংশে গণতন্ত্র এটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। বিভিন্ন সময় উত্তেজনার তৈরি হচ্ছে। মৌলবাদ ছড়িয়ে যাচ্ছে।
মওসা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আরও একটি সমস্যার তৈরি করেছে। দুঃখের বিষয় এই যুদ্ধ শেষ হবে না। অন্যদিকে ইউরোপ নামে মহাদেশে কিছু দেশ আছে যারা ধনী, কিন্তু তারা একত্রিত নয়। বিভিন্নভাবে সমস্যা তৈরি করছে নিজেদের মধ্যে।
সিজিএসের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশসহ ইন্দো-প্যাসেফিকের দেশগুলো যেসব সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, সেগুলো এই সম্মেলনে দৃষ্টিগোচর করা হবে। মূলত ভারতীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভূরাজনীতি নিয়ে আলোচনা করা হবে বিভিন্ন অধিবেশনে।
আয়োজকদের তথ্যমতে, এটি সিজিএসের দ্বিতীয় সম্মেলন। এবারের সম্মেলনে দেশীয় রাজনৈতিক ও বিরোধী দলের কোনো বক্তা থাকবেন না। শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত চলবে এই সম্মেলন। বিশ্বের ৭৫টি দেশের গবেষক, শিক্ষক, লেখক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন পেশার ২০০ জন গুরুত্বপূর্ণ বক্তা উপস্থিত থাকবেন। তিন দিনে সম্মেলনে ৫০টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের আলোচ্য বিষয় ইন্দো-প্যাসেফিক ইস্যু ও ভূরাজনীতি।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নতি হচ্ছে বলে সরকার যে দাবি করছে, সেটাকেই সবচেয়ে বড় গুজব হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীর।
আজ শনিবার বেলা ২টায় ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘সংশয় ও চক্রান্ত: ভুল তথ্য ও গুজবের বিপদসমূহ’ শীর্ষক অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন। সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী বে অব বেঙ্গল সম্মেলনের প্রথম দিনে আজ ছয়টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
নূরুল কবীর বলেন, ‘ভুল তথ্য ও গুজব দুটি আলাদা বিষয়। ভুল তথ্য অনেক ক্ষেত্রে নেতিবাচক না-ও হতে পারে। তবে গুজব পুরোটাই নেতিবাচক। তথ্য সব সময় তথ্য হিসেবেই থাকবে। যেটা সামাজিক, জাতীয় ও বৈশ্বিক বিভিন্ন কিছুর মাধ্যমে পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে ভুল তথ্য সব সময় খারাপ উদ্দেশ্যে দেওয়া হয় না। যেখানে পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব থাকতে পারে। ভুল হতেই পারে। সেটা বিপজ্জনক, তবে সব ক্ষেত্রে ক্ষতিকর নয়। তবে গুজব কোনোভাবেই ইতিবাচক নয়। যেটি তৈরি করা হয়, ছড়ানো হয়, একটা নির্দিষ্ট প্রোপাগান্ডা আকারে বিস্তার ঘটানো হয়।’
নূরুল কবীর বলেন, ‘যদি বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বলা হয়, তাহলে এই সময় সবচেয়ে বড় গুজব ছিল ইরাকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র আছে। এটা কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবেই করা হয়েছিল এবং ছড়ানো হয়েছিল। যারা করেছিল তারা জানত এখানে ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সুবিধা থাকবে। এটার ফলাফল সেখানে অনেক মানুষ মারা গেছে।’
দেশের প্রেক্ষাপটে গুজবের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি দেশের প্রেক্ষাপটে গুজবের কথা বলা হয়ে থাকে তাহলে আমাদের সরকার যেটি বলছে দেশে গণতন্ত্র আছে ও যার মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নতি হচ্ছে—এটিই সবচেয়ে বড় গুজব। কারণ, বাংলাদেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। সরকার আছে সেটি গণতান্ত্রিক সরকার নয়। কারণ, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের সঠিকভাবে নির্বাচন হয়নি। ভোটার তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারেনি। যদি ভোটার প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে না পারে ও সেখানে অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন না হয়, তাহলে মানুষের কাছে সেটির কোনো গ্রহণযোগ্যতা থাকে না। এটি গণতন্ত্র হতে পারে না। সে জন্য এটি গুজব।’
নিউ এজের সম্পাদক বলেন, ‘সরকার যে উন্নয়নের কথা বলছে, অর্থনৈতিকভাবে সেটিও একটি বড় গুজব। কারণ, আপনি বড় বড় অবকাঠামো দেখবেন, তবে যখন মধ্যরাতে যাবেন তখন দেখবেন সেখানে গৃহহীন মানুষেরা ঘুমিয়ে আছে। তাই অসম উন্নয়ন ও দারিদ্র্যের ফলে অনেকে অপুষ্টিতে আছে, বাল্যবিবাহ হচ্ছে।’
এই অধিবেশনে জার্মানির জেনিথ ম্যাগাজিনের সম্পাদক লিও উইগার বলেন, ‘গুজব একটি ভয়ংকর জিনিস। আমরা সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া পরিচালিত গুজব দেখেছি।’
চায়নার ফুডান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক চুইহং চাই বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন ভুল তথ্য ও গুজব প্রসারে একটি ভূমিকা পালন করছে।’
বেলা সাড়ে ১১টার অধিবেশনে নাগরিক সমাজ, এনজিও ও বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়। বলা হয়, স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তির পর থেকে বিশ্বব্যাপী নাগরিক সমাজের বিস্তৃতির ফলে বেসরকারি সংস্থাগুলো (এনজিও), সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন (সিএসও) এবং থিংক ট্যাংকগুলোর বিস্তার ঘটেছে, যা অরাষ্ট্রীয় অভিনেতা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ আবির্ভূত হচ্ছে। এসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের মানবিক, চিকিৎসা, শিক্ষামূলক এবং অন্যান্য ত্রাণ ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিযুক্ত। এই সংস্থাগুলো বিশ্বব্যাপী সংঘাত পরিচালনা ও সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অধিবেশনে আলোচনা করা হয় কীভাবে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় বিশ্ব সুশীল সমাজ সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে।
এই অধিবেশনে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা কোন নাগরিক সমাজের কথা বলছি। যে নাগরিক সমাজ বৈশ্বিক মানবতায় বিশ্বাস করে, গণতান্ত্রিক দায়িত্বে বিশ্বাস করে, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি বিশ্বাস আছে—মূলত এই তিনটি বিষয় যার মধ্যে আছে তাদের নিয়ে। এমন আরও অনেক কিছু থাকতে পারে। তাহলে আমি বলব তারা এখন হুমকির মুখে আছে। গত এক বছরে বে অব বেঙ্গল অঞ্চল এবং ইউরোপ, আমেরিকার, ল্যাটিন আমেরিকায়—এসব নাগরিক সমাজের মানুষের এখন প্রস্থান ঘটেছে।’
তিনি বলেন, যখন গণতন্ত্র ও অন্যান্য ভারসাম্যের বিষয় আসে তখন এসব নাগরিক সমাজের মানুষেরা খুবই কম প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে। এটার কারণ তারা নিজেরা নয়। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, মূলত তারা কি সেটি করার অনুমতি পাচ্ছে, সেটা দেখার বিষয়। যখন করোনা-পরবর্তী সময়ে এসব নাগরিক সমাজের সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল তখন দেখা গেল তাদের ভূমিকা খুবই সীমিত। সেই জায়গাটা কমে গেছে তাদের জন্য।
এর আগের অধিবেশনে জি-২০-এর পরে দক্ষিণ অঞ্চলের উঠতি অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সকাল সাড়ে ৯টায় গণতন্ত্র ও শান্তির বার্তা নিয়ে শুরু হয় বে অব বেঙ্গল সম্মেলন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ক্লাব মাদ্রিদের সদস্য মওসা মারা, সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান এবং সিজিএসের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরীসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অতিথিরা।
জিল্লুর রহমান বলেন, বর্তমান সময় খুবই জটিল। সারা পৃথিবীতে যুদ্ধের কারণে দেশ বিভক্ত হচ্ছে। এটা খুবই ভয়ের যে শান্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে। তবে এখনো আশা ও সুযোগ আছে।
জিল্লুর রহমান আরও বলেন, গতবারের সম্মেলনে তাঁদের অনেক খারাপ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। নিজেদের সরকারই তাঁদের প্রশ্ন করেছে। তাই এবার সিজিএস সুযোগ নিয়েছে প্রমাণ করার জন্য। এটি বিশ্বের কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না।
উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে মওসা মারা বলেন, পৃথিবীতে এখন জোটবদ্ধতা কমে যাচ্ছে। এর কারণে আন্তর্জাতিক সমস্যাগুলো সমাধানে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। কিছু কিছু দেশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে; যারা অন্য দেশগুলোতে তাদের প্রভাব বিস্তার করে চলছে। এর মধ্যে অন্যতম চীন ও আমেরিকা। তারা নিজেদের মতো করে বিভিন্নভাবে অন্য দেশগুলোকে তাদের আয়ত্তে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে।
মওসা মারা বলেন, এখন পৃথিবীতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কমে যাচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন অংশে গণতন্ত্র এটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। বিভিন্ন সময় উত্তেজনার তৈরি হচ্ছে। মৌলবাদ ছড়িয়ে যাচ্ছে।
মওসা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আরও একটি সমস্যার তৈরি করেছে। দুঃখের বিষয় এই যুদ্ধ শেষ হবে না। অন্যদিকে ইউরোপ নামে মহাদেশে কিছু দেশ আছে যারা ধনী, কিন্তু তারা একত্রিত নয়। বিভিন্নভাবে সমস্যা তৈরি করছে নিজেদের মধ্যে।
সিজিএসের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশসহ ইন্দো-প্যাসেফিকের দেশগুলো যেসব সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, সেগুলো এই সম্মেলনে দৃষ্টিগোচর করা হবে। মূলত ভারতীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভূরাজনীতি নিয়ে আলোচনা করা হবে বিভিন্ন অধিবেশনে।
আয়োজকদের তথ্যমতে, এটি সিজিএসের দ্বিতীয় সম্মেলন। এবারের সম্মেলনে দেশীয় রাজনৈতিক ও বিরোধী দলের কোনো বক্তা থাকবেন না। শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত চলবে এই সম্মেলন। বিশ্বের ৭৫টি দেশের গবেষক, শিক্ষক, লেখক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন পেশার ২০০ জন গুরুত্বপূর্ণ বক্তা উপস্থিত থাকবেন। তিন দিনে সম্মেলনে ৫০টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের আলোচ্য বিষয় ইন্দো-প্যাসেফিক ইস্যু ও ভূরাজনীতি।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নতি হচ্ছে বলে সরকার যে দাবি করছে, সেটাকেই সবচেয়ে বড় গুজব হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীর।
আজ শনিবার বেলা ২টায় ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘সংশয় ও চক্রান্ত: ভুল তথ্য ও গুজবের বিপদসমূহ’ শীর্ষক অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন। সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী বে অব বেঙ্গল সম্মেলনের প্রথম দিনে আজ ছয়টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
নূরুল কবীর বলেন, ‘ভুল তথ্য ও গুজব দুটি আলাদা বিষয়। ভুল তথ্য অনেক ক্ষেত্রে নেতিবাচক না-ও হতে পারে। তবে গুজব পুরোটাই নেতিবাচক। তথ্য সব সময় তথ্য হিসেবেই থাকবে। যেটা সামাজিক, জাতীয় ও বৈশ্বিক বিভিন্ন কিছুর মাধ্যমে পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে ভুল তথ্য সব সময় খারাপ উদ্দেশ্যে দেওয়া হয় না। যেখানে পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব থাকতে পারে। ভুল হতেই পারে। সেটা বিপজ্জনক, তবে সব ক্ষেত্রে ক্ষতিকর নয়। তবে গুজব কোনোভাবেই ইতিবাচক নয়। যেটি তৈরি করা হয়, ছড়ানো হয়, একটা নির্দিষ্ট প্রোপাগান্ডা আকারে বিস্তার ঘটানো হয়।’
নূরুল কবীর বলেন, ‘যদি বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বলা হয়, তাহলে এই সময় সবচেয়ে বড় গুজব ছিল ইরাকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র আছে। এটা কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবেই করা হয়েছিল এবং ছড়ানো হয়েছিল। যারা করেছিল তারা জানত এখানে ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সুবিধা থাকবে। এটার ফলাফল সেখানে অনেক মানুষ মারা গেছে।’
দেশের প্রেক্ষাপটে গুজবের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি দেশের প্রেক্ষাপটে গুজবের কথা বলা হয়ে থাকে তাহলে আমাদের সরকার যেটি বলছে দেশে গণতন্ত্র আছে ও যার মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নতি হচ্ছে—এটিই সবচেয়ে বড় গুজব। কারণ, বাংলাদেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। সরকার আছে সেটি গণতান্ত্রিক সরকার নয়। কারণ, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের সঠিকভাবে নির্বাচন হয়নি। ভোটার তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারেনি। যদি ভোটার প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে না পারে ও সেখানে অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন না হয়, তাহলে মানুষের কাছে সেটির কোনো গ্রহণযোগ্যতা থাকে না। এটি গণতন্ত্র হতে পারে না। সে জন্য এটি গুজব।’
নিউ এজের সম্পাদক বলেন, ‘সরকার যে উন্নয়নের কথা বলছে, অর্থনৈতিকভাবে সেটিও একটি বড় গুজব। কারণ, আপনি বড় বড় অবকাঠামো দেখবেন, তবে যখন মধ্যরাতে যাবেন তখন দেখবেন সেখানে গৃহহীন মানুষেরা ঘুমিয়ে আছে। তাই অসম উন্নয়ন ও দারিদ্র্যের ফলে অনেকে অপুষ্টিতে আছে, বাল্যবিবাহ হচ্ছে।’
এই অধিবেশনে জার্মানির জেনিথ ম্যাগাজিনের সম্পাদক লিও উইগার বলেন, ‘গুজব একটি ভয়ংকর জিনিস। আমরা সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া পরিচালিত গুজব দেখেছি।’
চায়নার ফুডান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক চুইহং চাই বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন ভুল তথ্য ও গুজব প্রসারে একটি ভূমিকা পালন করছে।’
বেলা সাড়ে ১১টার অধিবেশনে নাগরিক সমাজ, এনজিও ও বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়। বলা হয়, স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তির পর থেকে বিশ্বব্যাপী নাগরিক সমাজের বিস্তৃতির ফলে বেসরকারি সংস্থাগুলো (এনজিও), সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন (সিএসও) এবং থিংক ট্যাংকগুলোর বিস্তার ঘটেছে, যা অরাষ্ট্রীয় অভিনেতা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ আবির্ভূত হচ্ছে। এসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের মানবিক, চিকিৎসা, শিক্ষামূলক এবং অন্যান্য ত্রাণ ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিযুক্ত। এই সংস্থাগুলো বিশ্বব্যাপী সংঘাত পরিচালনা ও সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অধিবেশনে আলোচনা করা হয় কীভাবে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় বিশ্ব সুশীল সমাজ সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে।
এই অধিবেশনে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা কোন নাগরিক সমাজের কথা বলছি। যে নাগরিক সমাজ বৈশ্বিক মানবতায় বিশ্বাস করে, গণতান্ত্রিক দায়িত্বে বিশ্বাস করে, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি বিশ্বাস আছে—মূলত এই তিনটি বিষয় যার মধ্যে আছে তাদের নিয়ে। এমন আরও অনেক কিছু থাকতে পারে। তাহলে আমি বলব তারা এখন হুমকির মুখে আছে। গত এক বছরে বে অব বেঙ্গল অঞ্চল এবং ইউরোপ, আমেরিকার, ল্যাটিন আমেরিকায়—এসব নাগরিক সমাজের মানুষের এখন প্রস্থান ঘটেছে।’
তিনি বলেন, যখন গণতন্ত্র ও অন্যান্য ভারসাম্যের বিষয় আসে তখন এসব নাগরিক সমাজের মানুষেরা খুবই কম প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে। এটার কারণ তারা নিজেরা নয়। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, মূলত তারা কি সেটি করার অনুমতি পাচ্ছে, সেটা দেখার বিষয়। যখন করোনা-পরবর্তী সময়ে এসব নাগরিক সমাজের সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল তখন দেখা গেল তাদের ভূমিকা খুবই সীমিত। সেই জায়গাটা কমে গেছে তাদের জন্য।
এর আগের অধিবেশনে জি-২০-এর পরে দক্ষিণ অঞ্চলের উঠতি অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সকাল সাড়ে ৯টায় গণতন্ত্র ও শান্তির বার্তা নিয়ে শুরু হয় বে অব বেঙ্গল সম্মেলন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ক্লাব মাদ্রিদের সদস্য মওসা মারা, সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান এবং সিজিএসের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরীসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অতিথিরা।
জিল্লুর রহমান বলেন, বর্তমান সময় খুবই জটিল। সারা পৃথিবীতে যুদ্ধের কারণে দেশ বিভক্ত হচ্ছে। এটা খুবই ভয়ের যে শান্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে। তবে এখনো আশা ও সুযোগ আছে।
জিল্লুর রহমান আরও বলেন, গতবারের সম্মেলনে তাঁদের অনেক খারাপ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। নিজেদের সরকারই তাঁদের প্রশ্ন করেছে। তাই এবার সিজিএস সুযোগ নিয়েছে প্রমাণ করার জন্য। এটি বিশ্বের কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না।
উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে মওসা মারা বলেন, পৃথিবীতে এখন জোটবদ্ধতা কমে যাচ্ছে। এর কারণে আন্তর্জাতিক সমস্যাগুলো সমাধানে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। কিছু কিছু দেশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে; যারা অন্য দেশগুলোতে তাদের প্রভাব বিস্তার করে চলছে। এর মধ্যে অন্যতম চীন ও আমেরিকা। তারা নিজেদের মতো করে বিভিন্নভাবে অন্য দেশগুলোকে তাদের আয়ত্তে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে।
মওসা মারা বলেন, এখন পৃথিবীতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কমে যাচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন অংশে গণতন্ত্র এটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। বিভিন্ন সময় উত্তেজনার তৈরি হচ্ছে। মৌলবাদ ছড়িয়ে যাচ্ছে।
মওসা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আরও একটি সমস্যার তৈরি করেছে। দুঃখের বিষয় এই যুদ্ধ শেষ হবে না। অন্যদিকে ইউরোপ নামে মহাদেশে কিছু দেশ আছে যারা ধনী, কিন্তু তারা একত্রিত নয়। বিভিন্নভাবে সমস্যা তৈরি করছে নিজেদের মধ্যে।
সিজিএসের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশসহ ইন্দো-প্যাসেফিকের দেশগুলো যেসব সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, সেগুলো এই সম্মেলনে দৃষ্টিগোচর করা হবে। মূলত ভারতীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভূরাজনীতি নিয়ে আলোচনা করা হবে বিভিন্ন অধিবেশনে।
আয়োজকদের তথ্যমতে, এটি সিজিএসের দ্বিতীয় সম্মেলন। এবারের সম্মেলনে দেশীয় রাজনৈতিক ও বিরোধী দলের কোনো বক্তা থাকবেন না। শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত চলবে এই সম্মেলন। বিশ্বের ৭৫টি দেশের গবেষক, শিক্ষক, লেখক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন পেশার ২০০ জন গুরুত্বপূর্ণ বক্তা উপস্থিত থাকবেন। তিন দিনে সম্মেলনে ৫০টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের আলোচ্য বিষয় ইন্দো-প্যাসেফিক ইস্যু ও ভূরাজনীতি।
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদে শুধু সরকারি কর্মকর্তা (নবম গ্রেডের নিচে নয়) বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়) মনোয়নের বিধানসংবলিত প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোকছেদুর রহমানের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার
১০ মিনিট আগেবৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদলের সদস্য জন ফ্লুহার্টি জানান, তাঁরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা কাস্টম হাউস। দুর্যোগপরবর্তী সময়ে বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে বিমানবন্দরের অধিক্ষেত্রের এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে ২৪ ঘণ্টা তিন শিফটে কা
২ ঘণ্টা আগেভূরুঙ্গামারী, থানচি ও মেহেরপুরে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নতুন তিনটি ব্যাটালিয়ন গঠন করা হচ্ছে। এই তিন ব্যাটালিয়নসহ বিজিবির জন্য মোট ২ হাজার ২৫৮টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদে শুধু সরকারি কর্মকর্তা (নবম গ্রেডের নিচে নয়) বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়) মনোয়নের বিধানসংবলিত প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোকছেদুর রহমানের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি আসিফ হাসানের বেঞ্চ দুই মাসের জন্য প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এস এম জাহাঙ্গীর আলম ও রুহুল কাইয়ুম।
এস এম জাহাঙ্গীর আলম জানান, নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা ২০২৪ সংশোধন করে সভাপতি পদ শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছিল। তার আলোকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নতুন কমিটি করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালত ওই প্রজ্ঞাপন দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। একই সঙ্গে আদালত রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, এ বিধান কেন অসাংবিধানিক ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না।
শুনানি শেষে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের মনোনয়নের বিধানটি বৈষম্যমূলক। এ কারণেই আদালত প্রজ্ঞাপনটির কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন।
গত সেপ্টেম্বর জারি করা ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া অন্য কেউ হতে পারবেন না। নবম গ্রেড বা তার ওপরের পদে কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সভাপতির প্রার্থীর ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বা সমমান হতে হবে। নবম গ্রেডের নিচে নয় এমন সরকারি কর্মকর্তা, পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয় এমন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা সভাপতি হতে পারবেন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদে শুধু সরকারি কর্মকর্তা (নবম গ্রেডের নিচে নয়) বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়) মনোয়নের বিধানসংবলিত প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোকছেদুর রহমানের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি আসিফ হাসানের বেঞ্চ দুই মাসের জন্য প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এস এম জাহাঙ্গীর আলম ও রুহুল কাইয়ুম।
এস এম জাহাঙ্গীর আলম জানান, নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা ২০২৪ সংশোধন করে সভাপতি পদ শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছিল। তার আলোকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নতুন কমিটি করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালত ওই প্রজ্ঞাপন দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। একই সঙ্গে আদালত রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, এ বিধান কেন অসাংবিধানিক ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না।
শুনানি শেষে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের মনোনয়নের বিধানটি বৈষম্যমূলক। এ কারণেই আদালত প্রজ্ঞাপনটির কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন।
গত সেপ্টেম্বর জারি করা ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া অন্য কেউ হতে পারবেন না। নবম গ্রেড বা তার ওপরের পদে কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সভাপতির প্রার্থীর ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বা সমমান হতে হবে। নবম গ্রেডের নিচে নয় এমন সরকারি কর্মকর্তা, পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয় এমন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা সভাপতি হতে পারবেন।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নতি হচ্ছে বলে সরকার যে দাবি করছে, সেটাকেই সবচেয়ে বড় গুজব হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীর। আজ শনিবার বেলা ২টায় ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘সংশয় ও চক্রান্ত: ভুল তথ্য ও গুজবের বিপদসমূহ’ শীর্ষক অধিবেশনে তি
০৭ অক্টোবর ২০২৩বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদলের সদস্য জন ফ্লুহার্টি জানান, তাঁরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা কাস্টম হাউস। দুর্যোগপরবর্তী সময়ে বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে বিমানবন্দরের অধিক্ষেত্রের এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে ২৪ ঘণ্টা তিন শিফটে কা
২ ঘণ্টা আগেভূরুঙ্গামারী, থানচি ও মেহেরপুরে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নতুন তিনটি ব্যাটালিয়ন গঠন করা হচ্ছে। এই তিন ব্যাটালিয়নসহ বিজিবির জন্য মোট ২ হাজার ২৫৮টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) একটি প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে আইআরআইয়ের বোর্ড অব ডিরেক্টর ক্রিস্টোফার জে ফাসনারের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।
বৈঠকে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদলের সদস্য জন ফ্লুহার্টি জানান, তাঁরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন।
ঢাকা সফর শেষে আইআরআই শিগগির একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করবে বলেও জানান তিনি। আইআরআইয়ের পর্যবেক্ষক দলের সাক্ষাতের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদল ইসির সার্বিক প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং আশা প্রকাশ করেছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে আইআরআই।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) একটি প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে আইআরআইয়ের বোর্ড অব ডিরেক্টর ক্রিস্টোফার জে ফাসনারের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।
বৈঠকে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদলের সদস্য জন ফ্লুহার্টি জানান, তাঁরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন।
ঢাকা সফর শেষে আইআরআই শিগগির একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করবে বলেও জানান তিনি। আইআরআইয়ের পর্যবেক্ষক দলের সাক্ষাতের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদল ইসির সার্বিক প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং আশা প্রকাশ করেছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে আইআরআই।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নতি হচ্ছে বলে সরকার যে দাবি করছে, সেটাকেই সবচেয়ে বড় গুজব হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীর। আজ শনিবার বেলা ২টায় ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘সংশয় ও চক্রান্ত: ভুল তথ্য ও গুজবের বিপদসমূহ’ শীর্ষক অধিবেশনে তি
০৭ অক্টোবর ২০২৩এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদে শুধু সরকারি কর্মকর্তা (নবম গ্রেডের নিচে নয়) বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়) মনোয়নের বিধানসংবলিত প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোকছেদুর রহমানের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার
১০ মিনিট আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা কাস্টম হাউস। দুর্যোগপরবর্তী সময়ে বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে বিমানবন্দরের অধিক্ষেত্রের এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে ২৪ ঘণ্টা তিন শিফটে কা
২ ঘণ্টা আগেভূরুঙ্গামারী, থানচি ও মেহেরপুরে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নতুন তিনটি ব্যাটালিয়ন গঠন করা হচ্ছে। এই তিন ব্যাটালিয়নসহ বিজিবির জন্য মোট ২ হাজার ২৫৮টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা কাস্টম হাউস। দুর্যোগপরবর্তী সময়ে বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে বিমানবন্দরের অধিক্ষেত্রের এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে ২৪ ঘণ্টা তিন শিফটে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে। ঢাকা কাস্টম হাউস থেকে জারি করা অফিস আদেশে সই করেছেন যুগ্ম কমিশনার সুমন দাশ।
আদেশে বলা হয়েছে, ঢাকার শুল্কায়ন টিমসমূহ ও এর অধিক্ষেত্রের এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে দুর্যোগপরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম গতিশীল রাখার লক্ষ্যে ২৪-২৫ অক্টোবর (শুক্র ও শনিবার) অফিস খোলা থাকবে। নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অফিসে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো। জনস্বার্থে এই আদেশ জারি করা হলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুগ্ম কমিশনার সুমন দাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে আমাদের কার্যক্রম সন্ধ্যা ৭-৮টা পর্যন্ত চলে। তবে আগামী এক সপ্তাহ ২৪ ঘণ্টাই চলবে। এর বাইরে শুক্র ও শনিবার সাধারণত ছুটির দিন, কিন্তু বিশেষভাবে ওই দিনেও কার্যক্রম চলবে।’
ঢাকা কাস্টম হাউসের নির্দেশনায় বলা হয়, সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোতে সহকারী কমিশনার ও উপকমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রভাতী, দিবা ও নৈশ—এই তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি পর্যাপ্তসংখ্যক রাজস্ব কর্মকর্তা, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, সাব-ইন্সপেক্টর ও সিপাহি নিয়োজিত রেখে শুল্ক কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা কাস্টম হাউসের একটি সূত্র জানায়, ২৪ ঘণ্টা কার্যক্রম চালুর ফলে বিমানবন্দর এলাকায় পণ্য খালাস, পরীক্ষা ও ছাড়পত্রপ্রক্রিয়া আরও সহজ ও দ্রুততর হবে। এতে আমদানিকারক, রপ্তানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের জন্যও বাড়তি সুবিধা তৈরি হবে।
ঢাকা কাস্টম হাউস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি খায়রুল আলম ভূঁইয়া মিঠু বলেন, ‘এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। এতে সবাই উপকৃত হবে এবং পণ্য খালাসের প্রক্রিয়া আরও গতিশীল হবে।’
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা কাস্টম হাউস। দুর্যোগপরবর্তী সময়ে বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে বিমানবন্দরের অধিক্ষেত্রের এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে ২৪ ঘণ্টা তিন শিফটে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে। ঢাকা কাস্টম হাউস থেকে জারি করা অফিস আদেশে সই করেছেন যুগ্ম কমিশনার সুমন দাশ।
আদেশে বলা হয়েছে, ঢাকার শুল্কায়ন টিমসমূহ ও এর অধিক্ষেত্রের এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে দুর্যোগপরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম গতিশীল রাখার লক্ষ্যে ২৪-২৫ অক্টোবর (শুক্র ও শনিবার) অফিস খোলা থাকবে। নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অফিসে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো। জনস্বার্থে এই আদেশ জারি করা হলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুগ্ম কমিশনার সুমন দাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে আমাদের কার্যক্রম সন্ধ্যা ৭-৮টা পর্যন্ত চলে। তবে আগামী এক সপ্তাহ ২৪ ঘণ্টাই চলবে। এর বাইরে শুক্র ও শনিবার সাধারণত ছুটির দিন, কিন্তু বিশেষভাবে ওই দিনেও কার্যক্রম চলবে।’
ঢাকা কাস্টম হাউসের নির্দেশনায় বলা হয়, সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোতে সহকারী কমিশনার ও উপকমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রভাতী, দিবা ও নৈশ—এই তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি পর্যাপ্তসংখ্যক রাজস্ব কর্মকর্তা, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, সাব-ইন্সপেক্টর ও সিপাহি নিয়োজিত রেখে শুল্ক কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা কাস্টম হাউসের একটি সূত্র জানায়, ২৪ ঘণ্টা কার্যক্রম চালুর ফলে বিমানবন্দর এলাকায় পণ্য খালাস, পরীক্ষা ও ছাড়পত্রপ্রক্রিয়া আরও সহজ ও দ্রুততর হবে। এতে আমদানিকারক, রপ্তানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের জন্যও বাড়তি সুবিধা তৈরি হবে।
ঢাকা কাস্টম হাউস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি খায়রুল আলম ভূঁইয়া মিঠু বলেন, ‘এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। এতে সবাই উপকৃত হবে এবং পণ্য খালাসের প্রক্রিয়া আরও গতিশীল হবে।’
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নতি হচ্ছে বলে সরকার যে দাবি করছে, সেটাকেই সবচেয়ে বড় গুজব হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীর। আজ শনিবার বেলা ২টায় ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘সংশয় ও চক্রান্ত: ভুল তথ্য ও গুজবের বিপদসমূহ’ শীর্ষক অধিবেশনে তি
০৭ অক্টোবর ২০২৩এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদে শুধু সরকারি কর্মকর্তা (নবম গ্রেডের নিচে নয়) বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়) মনোয়নের বিধানসংবলিত প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোকছেদুর রহমানের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার
১০ মিনিট আগেবৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদলের সদস্য জন ফ্লুহার্টি জানান, তাঁরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেভূরুঙ্গামারী, থানচি ও মেহেরপুরে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নতুন তিনটি ব্যাটালিয়ন গঠন করা হচ্ছে। এই তিন ব্যাটালিয়নসহ বিজিবির জন্য মোট ২ হাজার ২৫৮টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় ভূরুঙ্গামারী, থানচি ও মেহেরপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নতুন তিনটি ব্যাটালিয়ন গঠন করা হচ্ছে। এই তিন ব্যাটালিয়নসহ বিজিবির জন্য মোট ২ হাজার ২৫৮টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সীমান্ত-১ শাখা থেকে গতকাল মঙ্গলবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পরিচালক তিনটি, অতিরিক্ত পরিচালক ও উপপরিচালক ৯টি করে, সহকারী পরিচালক তিনটি, পুলিশ ইন্সপেক্টর তিনটি, সুবেদার মেজর সব ক্যাটাগরির তিনটি, সুবেদার ১৮টি, নায়েব সুবেদার ৫৭টি, হাবিলদার ২৪০টি, নায়েক ২৮৫টি, ল্যান্স নায়েক (অফিস সহকারী) ১৫টি, ল্যান্স নায়েক ৩২৭টি, সিপাহি অফিস সহকারী ১৫টি, সিপাহি ১ হাজার ২২১টি, ইমাম বেসামরিক তিনটি, হিসাবরক্ষক তিনটি, উচ্চমান সহকারী তিনটি, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, মিডওয়াইফ তিনটি, অফিস সহায়ক তিনটি, হাবিলদার সাতটি, নায়েক পাঁচটি, ল্যান্স নায়েক ছয়টি, সিপাহি ১৪টিসহ মোট ২ হাজার ২৫৮টি নতুন পদ তৈরি করা হয়েছে।
বর্তমানে বিজিবির সংখ্যা রয়েছে ৫৭ হাজার ৪৭৭টি। নতুন ২ হাজার ২৫৮টি যুক্ত হলে মোট সংখ্যা হবে ৫৯ হাজার ৭৩৫টি।
শর্তে বলা হয়, সরকারি আদেশের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। অর্থ বিভাগের জিও পৃষ্ঠাঙ্কনের তারিখ থেকে পদ তৈরি করতে হবে। যেসব পদ নিয়োগবিধিতে নেই, সেসব পদ নিয়োগবিধিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আউটসোর্সিং নীতিমালা প্রক্রিয়ায় সেবাগ্রহণ নীতিমালা অনুসারে ইলেকট্রিশিয়ান, ট্রেইলার, কার্পেন্টার, প্লাম্বার, কুট মেকার, বাবুর্চি, মেসওয়েটার, মালি ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী সেবা ক্রয়ে অর্থ বিভাগে প্রস্তাব পাঠাতে হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের তিনটি বিজিবি ব্যাটালিয়নে ৭৪২ জন করে মোট ২ হাজার ২২৬টি এবং বর্ডার গার্ড হাসপাতালের জন্য ৩২টি নতুন পদ তৈরি করা হয়েছে। এরই মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পদগুলো মঞ্জুর করা হয়েছে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, সীমান্ত সুরক্ষা ও বিজিবির জনবল বাড়াতে নতুন তিনটি ব্যাটালিয়ন তৈরি করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ভারতে যেখানে প্রতি কিলোমিটারে ১৫ জন বিএসএফ সদস্য রয়েছেন, সেখানে বাংলাদেশে রয়েছে মাত্র দুজন। এ কারণে নতুন তিনটি ব্যাটালিয়ন তৈরি হচ্ছে। এতে বিজিবির জনবল বাড়বে এবং সীমান্ত সুরক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারবে।
ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় ভূরুঙ্গামারী, থানচি ও মেহেরপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নতুন তিনটি ব্যাটালিয়ন গঠন করা হচ্ছে। এই তিন ব্যাটালিয়নসহ বিজিবির জন্য মোট ২ হাজার ২৫৮টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সীমান্ত-১ শাখা থেকে গতকাল মঙ্গলবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পরিচালক তিনটি, অতিরিক্ত পরিচালক ও উপপরিচালক ৯টি করে, সহকারী পরিচালক তিনটি, পুলিশ ইন্সপেক্টর তিনটি, সুবেদার মেজর সব ক্যাটাগরির তিনটি, সুবেদার ১৮টি, নায়েব সুবেদার ৫৭টি, হাবিলদার ২৪০টি, নায়েক ২৮৫টি, ল্যান্স নায়েক (অফিস সহকারী) ১৫টি, ল্যান্স নায়েক ৩২৭টি, সিপাহি অফিস সহকারী ১৫টি, সিপাহি ১ হাজার ২২১টি, ইমাম বেসামরিক তিনটি, হিসাবরক্ষক তিনটি, উচ্চমান সহকারী তিনটি, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, মিডওয়াইফ তিনটি, অফিস সহায়ক তিনটি, হাবিলদার সাতটি, নায়েক পাঁচটি, ল্যান্স নায়েক ছয়টি, সিপাহি ১৪টিসহ মোট ২ হাজার ২৫৮টি নতুন পদ তৈরি করা হয়েছে।
বর্তমানে বিজিবির সংখ্যা রয়েছে ৫৭ হাজার ৪৭৭টি। নতুন ২ হাজার ২৫৮টি যুক্ত হলে মোট সংখ্যা হবে ৫৯ হাজার ৭৩৫টি।
শর্তে বলা হয়, সরকারি আদেশের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। অর্থ বিভাগের জিও পৃষ্ঠাঙ্কনের তারিখ থেকে পদ তৈরি করতে হবে। যেসব পদ নিয়োগবিধিতে নেই, সেসব পদ নিয়োগবিধিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আউটসোর্সিং নীতিমালা প্রক্রিয়ায় সেবাগ্রহণ নীতিমালা অনুসারে ইলেকট্রিশিয়ান, ট্রেইলার, কার্পেন্টার, প্লাম্বার, কুট মেকার, বাবুর্চি, মেসওয়েটার, মালি ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী সেবা ক্রয়ে অর্থ বিভাগে প্রস্তাব পাঠাতে হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের তিনটি বিজিবি ব্যাটালিয়নে ৭৪২ জন করে মোট ২ হাজার ২২৬টি এবং বর্ডার গার্ড হাসপাতালের জন্য ৩২টি নতুন পদ তৈরি করা হয়েছে। এরই মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পদগুলো মঞ্জুর করা হয়েছে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, সীমান্ত সুরক্ষা ও বিজিবির জনবল বাড়াতে নতুন তিনটি ব্যাটালিয়ন তৈরি করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ভারতে যেখানে প্রতি কিলোমিটারে ১৫ জন বিএসএফ সদস্য রয়েছেন, সেখানে বাংলাদেশে রয়েছে মাত্র দুজন। এ কারণে নতুন তিনটি ব্যাটালিয়ন তৈরি হচ্ছে। এতে বিজিবির জনবল বাড়বে এবং সীমান্ত সুরক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারবে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নতি হচ্ছে বলে সরকার যে দাবি করছে, সেটাকেই সবচেয়ে বড় গুজব হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীর। আজ শনিবার বেলা ২টায় ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘সংশয় ও চক্রান্ত: ভুল তথ্য ও গুজবের বিপদসমূহ’ শীর্ষক অধিবেশনে তি
০৭ অক্টোবর ২০২৩এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদে শুধু সরকারি কর্মকর্তা (নবম গ্রেডের নিচে নয়) বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়) মনোয়নের বিধানসংবলিত প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোকছেদুর রহমানের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার
১০ মিনিট আগেবৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদলের সদস্য জন ফ্লুহার্টি জানান, তাঁরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা কাস্টম হাউস। দুর্যোগপরবর্তী সময়ে বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে বিমানবন্দরের অধিক্ষেত্রের এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে ২৪ ঘণ্টা তিন শিফটে কা
২ ঘণ্টা আগে