শরীফ নাসরুল্লাহ, ঢাকা

৪৪ ফুট দীর্ঘ তিমিটি কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকে প্রায় ৩০ মাইল দূরে শোয়ানখালী চরে আটকা পড়েছিল ১৯৮৫ সালে। সেই তিমির কঙ্কাল পরে এনে রাখা হয় জাতীয় জাদুঘরে। দর্শনার্থীরা চাইলেই সেটি ছুঁয়ে দেখতে পারেন। কারণ, অন্য অনেক নিদর্শন কাচের আবরণে ঢাকা থাকলেও তিমির কঙ্কালটি অনাবৃত। ফলে ধুলাবালুর আস্তর জমেছে কঙ্কালের গায়ে।
জাতীয় জাদুঘর দেশের ঐতিহ্য প্রদর্শনীর মাধ্যমে জাতির মানসিক বিকাশ ও উৎকর্ষ সাধন করবে—এমনটিই ছিল প্রত্যাশা। কিন্তু শত বছরের এই প্রতিষ্ঠান যেন নিজেই বুড়িয়ে গেছে! প্রদর্শনীর জন্য রাখা নিদর্শনগুলোর অযত্ন, অবহেলা তেমন ইঙ্গিতই দেয়। জাদুঘর ব্যবস্থাপনা ও প্রদর্শনী নিয়ে অভিযোগ বিস্তর। বিশ্ব অনেক এগিয়ে গেলেও জাতীয় জাদুঘর চলছে সেই সনাতনি ব্যবস্থাপনায়।
গতকাল শুক্রবার জাদুঘরে গিয়ে দেখা যায়, ভাস্কর্য-২ গ্যালারিতে দ্বিতীয় থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর হিন্দু ও জৈন ভাস্কর্য। কিন্তু ভাস্কর্যগুলোর উপস্থাপন সাদামাটা। সাধারণ একটি বাক্সের ওপর দেয়ালের গায়ে হেলান দিয়ে রাখা হয়েছে প্রত্নসম্পদগুলো। খোলা জায়গায় থাকায় গায়ে ধুলা জমেছে। দর্শনার্থীরা হাঁটছেন যে মেঝেতে, সেখানে কোনো পাটাতন ছাড়াই রাখা নবম শতাব্দীর একটি কালো পাথরের শিবলিঙ্গ। সেটি ভাঙা, তাই বেঁধে রাখা হয়েছে সাধারণ একটি তার দিয়ে।
এ রকমই বিভিন্ন গ্যালারিতে চোখে পড়ে অযত্নের ছাপ। একটি পুরোনো হুঁকায় ধুলার আস্তরণ। গ্যালারিতে অনেক নৌকায়ও জমেছে ধুলাবালু। সাধারণত এসব নিদর্শন একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রাখতে হয়। অনেক গ্যালারিতে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র থাকলেও সেগুলো বিকল হয়ে আছে। বন্ধুকে নিয়ে জাদুঘর দেখতে এসে প্রকৌশলী আবির হোসেন ঘেমে ভিজে গেছেন। তিনি বললেন, ‘খুব অস্বস্তি লাগছে। একে তো গরম, আবার ছুটির দিন বলে লোকজনও বেশি। অনেক গ্যালারির এসি বন্ধ। আমি দর্শনার্থী খাতায় অভিযোগ দিয়ে যাব।’
নিদর্শন ব্যবস্থাপনাও তেমন গোছানো নয়। কোনো কোনো নিদর্শনের শুধু নাম ও প্রাপ্তিস্থান লেখা। এক দর্শনার্থী বললেন, বিস্তারিত বর্ণনা থাকলে ভালো হতো। বস্ত্র ও পোশাক-পরিচ্ছদ গ্যালারিতে একটি বর্ণনা পড়ছিলেন এক বিদেশি। সেখানে বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্প নিয়ে লেখা—জামদানি, টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি, মসলিন, কাতান, বেনারসি ইত্যাদি। বর্ণনা লেখা সাধারণ একটি পিভিসি ব্যানারে। সেটিও অযত্নে ফেলে রাখা।
জাদুঘরের বাইরে কথা হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাকসুদুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বললেন, ‘আমাদের জাতীয় জাদুঘরে আমরা দেশের ঐতিহ্য দেখতে আসি। কিন্তু এর উপস্থাপনা এখনো সেকেলে। সাধারণত যারা একেবারেই বিনোদনের জন্য আসে, তারা আনন্দ পায়। কিন্তু যারা একটু বিশদ জানতে চায়, বুঝতে চায়, তারা বিরক্ত হয়। কারণ, এখানে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে কোনো কিছু সাজানো হয়নি—না তথ্য, না নিদর্শন।’ তিনি আরও বলেন, বিশ্ব এখন অনেক এগিয়ে। প্রযুক্তির উন্নয়নে সব কিছুই অসাধারণভাবে উপস্থাপন করা যায়। মানুষ যাতে আকৃষ্ট হতে পারে, সেদিকে কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া দরকার।
এ বিষয়ে জাদুঘর কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, নির্দিষ্ট গ্যালারির দায়িত্বে থাকে নির্দিষ্ট বিভাগ। কোনো নিদর্শন কীভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, তা সেই বিভাগই ভালো বলতে পারবে। তিমির কঙ্কাল প্রসঙ্গে প্রাকৃতিক ইতিহাস বিভাগের কিপার ড. সুমনা আফরোজ জানান, বিষয়টি তাঁদের নজরে এসেছে। তাঁরা শিগগির এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
ইতিহাস ও ধ্রুপদি শিল্পকলা বিভাগের কিপার মোহাম্মদ মনিরুল হক জানান, ছোট ভাস্কর্যগুলো চুরি হওয়ার ভয় থাকায় গ্লাস-ঘরের মধ্যে থাকে। বড়গুলো থাকে বাইরে। তবে ধুলাবালু জমার বিষয়টি তাঁরা দেখবেন।
আন্তর্জাতিক জাদুঘর পরিষদের (আইকম) বাংলাদেশ জাতীয় কমিটির চেয়ারপারসন এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘জাতীয় জাদুঘরে নিদর্শন দেখে দেশের ইতিহাস, সমাজ ও সংস্কৃতির পরিচয় পাওয়া যায়। এই সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অন্যতম নিদর্শন হলো মৃৎপাত্র। সেগুলো কয়টি আছে জাদুঘরে? আড়াই হাজার বছরের উয়ারি-বটেশ্বর সময়ের কোনো মৃৎপাত্র আছে? এগুলো ভাবতে হবে। এখানে জাদুঘর বিশেষজ্ঞ থাকতে হবে। তা কি আছে? এতে বোঝা যায়, ব্যবস্থাপনার ঘাটতিটা কোথায়। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে এটি বুঝতে হবে।’ তিনি জাদুঘরের কাঠামোতে পরিবর্তন আনার তাগিদ দেন।

৪৪ ফুট দীর্ঘ তিমিটি কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকে প্রায় ৩০ মাইল দূরে শোয়ানখালী চরে আটকা পড়েছিল ১৯৮৫ সালে। সেই তিমির কঙ্কাল পরে এনে রাখা হয় জাতীয় জাদুঘরে। দর্শনার্থীরা চাইলেই সেটি ছুঁয়ে দেখতে পারেন। কারণ, অন্য অনেক নিদর্শন কাচের আবরণে ঢাকা থাকলেও তিমির কঙ্কালটি অনাবৃত। ফলে ধুলাবালুর আস্তর জমেছে কঙ্কালের গায়ে।
জাতীয় জাদুঘর দেশের ঐতিহ্য প্রদর্শনীর মাধ্যমে জাতির মানসিক বিকাশ ও উৎকর্ষ সাধন করবে—এমনটিই ছিল প্রত্যাশা। কিন্তু শত বছরের এই প্রতিষ্ঠান যেন নিজেই বুড়িয়ে গেছে! প্রদর্শনীর জন্য রাখা নিদর্শনগুলোর অযত্ন, অবহেলা তেমন ইঙ্গিতই দেয়। জাদুঘর ব্যবস্থাপনা ও প্রদর্শনী নিয়ে অভিযোগ বিস্তর। বিশ্ব অনেক এগিয়ে গেলেও জাতীয় জাদুঘর চলছে সেই সনাতনি ব্যবস্থাপনায়।
গতকাল শুক্রবার জাদুঘরে গিয়ে দেখা যায়, ভাস্কর্য-২ গ্যালারিতে দ্বিতীয় থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর হিন্দু ও জৈন ভাস্কর্য। কিন্তু ভাস্কর্যগুলোর উপস্থাপন সাদামাটা। সাধারণ একটি বাক্সের ওপর দেয়ালের গায়ে হেলান দিয়ে রাখা হয়েছে প্রত্নসম্পদগুলো। খোলা জায়গায় থাকায় গায়ে ধুলা জমেছে। দর্শনার্থীরা হাঁটছেন যে মেঝেতে, সেখানে কোনো পাটাতন ছাড়াই রাখা নবম শতাব্দীর একটি কালো পাথরের শিবলিঙ্গ। সেটি ভাঙা, তাই বেঁধে রাখা হয়েছে সাধারণ একটি তার দিয়ে।
এ রকমই বিভিন্ন গ্যালারিতে চোখে পড়ে অযত্নের ছাপ। একটি পুরোনো হুঁকায় ধুলার আস্তরণ। গ্যালারিতে অনেক নৌকায়ও জমেছে ধুলাবালু। সাধারণত এসব নিদর্শন একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রাখতে হয়। অনেক গ্যালারিতে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র থাকলেও সেগুলো বিকল হয়ে আছে। বন্ধুকে নিয়ে জাদুঘর দেখতে এসে প্রকৌশলী আবির হোসেন ঘেমে ভিজে গেছেন। তিনি বললেন, ‘খুব অস্বস্তি লাগছে। একে তো গরম, আবার ছুটির দিন বলে লোকজনও বেশি। অনেক গ্যালারির এসি বন্ধ। আমি দর্শনার্থী খাতায় অভিযোগ দিয়ে যাব।’
নিদর্শন ব্যবস্থাপনাও তেমন গোছানো নয়। কোনো কোনো নিদর্শনের শুধু নাম ও প্রাপ্তিস্থান লেখা। এক দর্শনার্থী বললেন, বিস্তারিত বর্ণনা থাকলে ভালো হতো। বস্ত্র ও পোশাক-পরিচ্ছদ গ্যালারিতে একটি বর্ণনা পড়ছিলেন এক বিদেশি। সেখানে বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্প নিয়ে লেখা—জামদানি, টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি, মসলিন, কাতান, বেনারসি ইত্যাদি। বর্ণনা লেখা সাধারণ একটি পিভিসি ব্যানারে। সেটিও অযত্নে ফেলে রাখা।
জাদুঘরের বাইরে কথা হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাকসুদুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বললেন, ‘আমাদের জাতীয় জাদুঘরে আমরা দেশের ঐতিহ্য দেখতে আসি। কিন্তু এর উপস্থাপনা এখনো সেকেলে। সাধারণত যারা একেবারেই বিনোদনের জন্য আসে, তারা আনন্দ পায়। কিন্তু যারা একটু বিশদ জানতে চায়, বুঝতে চায়, তারা বিরক্ত হয়। কারণ, এখানে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে কোনো কিছু সাজানো হয়নি—না তথ্য, না নিদর্শন।’ তিনি আরও বলেন, বিশ্ব এখন অনেক এগিয়ে। প্রযুক্তির উন্নয়নে সব কিছুই অসাধারণভাবে উপস্থাপন করা যায়। মানুষ যাতে আকৃষ্ট হতে পারে, সেদিকে কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া দরকার।
এ বিষয়ে জাদুঘর কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, নির্দিষ্ট গ্যালারির দায়িত্বে থাকে নির্দিষ্ট বিভাগ। কোনো নিদর্শন কীভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, তা সেই বিভাগই ভালো বলতে পারবে। তিমির কঙ্কাল প্রসঙ্গে প্রাকৃতিক ইতিহাস বিভাগের কিপার ড. সুমনা আফরোজ জানান, বিষয়টি তাঁদের নজরে এসেছে। তাঁরা শিগগির এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
ইতিহাস ও ধ্রুপদি শিল্পকলা বিভাগের কিপার মোহাম্মদ মনিরুল হক জানান, ছোট ভাস্কর্যগুলো চুরি হওয়ার ভয় থাকায় গ্লাস-ঘরের মধ্যে থাকে। বড়গুলো থাকে বাইরে। তবে ধুলাবালু জমার বিষয়টি তাঁরা দেখবেন।
আন্তর্জাতিক জাদুঘর পরিষদের (আইকম) বাংলাদেশ জাতীয় কমিটির চেয়ারপারসন এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘জাতীয় জাদুঘরে নিদর্শন দেখে দেশের ইতিহাস, সমাজ ও সংস্কৃতির পরিচয় পাওয়া যায়। এই সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অন্যতম নিদর্শন হলো মৃৎপাত্র। সেগুলো কয়টি আছে জাদুঘরে? আড়াই হাজার বছরের উয়ারি-বটেশ্বর সময়ের কোনো মৃৎপাত্র আছে? এগুলো ভাবতে হবে। এখানে জাদুঘর বিশেষজ্ঞ থাকতে হবে। তা কি আছে? এতে বোঝা যায়, ব্যবস্থাপনার ঘাটতিটা কোথায়। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে এটি বুঝতে হবে।’ তিনি জাদুঘরের কাঠামোতে পরিবর্তন আনার তাগিদ দেন।
শরীফ নাসরুল্লাহ, ঢাকা

৪৪ ফুট দীর্ঘ তিমিটি কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকে প্রায় ৩০ মাইল দূরে শোয়ানখালী চরে আটকা পড়েছিল ১৯৮৫ সালে। সেই তিমির কঙ্কাল পরে এনে রাখা হয় জাতীয় জাদুঘরে। দর্শনার্থীরা চাইলেই সেটি ছুঁয়ে দেখতে পারেন। কারণ, অন্য অনেক নিদর্শন কাচের আবরণে ঢাকা থাকলেও তিমির কঙ্কালটি অনাবৃত। ফলে ধুলাবালুর আস্তর জমেছে কঙ্কালের গায়ে।
জাতীয় জাদুঘর দেশের ঐতিহ্য প্রদর্শনীর মাধ্যমে জাতির মানসিক বিকাশ ও উৎকর্ষ সাধন করবে—এমনটিই ছিল প্রত্যাশা। কিন্তু শত বছরের এই প্রতিষ্ঠান যেন নিজেই বুড়িয়ে গেছে! প্রদর্শনীর জন্য রাখা নিদর্শনগুলোর অযত্ন, অবহেলা তেমন ইঙ্গিতই দেয়। জাদুঘর ব্যবস্থাপনা ও প্রদর্শনী নিয়ে অভিযোগ বিস্তর। বিশ্ব অনেক এগিয়ে গেলেও জাতীয় জাদুঘর চলছে সেই সনাতনি ব্যবস্থাপনায়।
গতকাল শুক্রবার জাদুঘরে গিয়ে দেখা যায়, ভাস্কর্য-২ গ্যালারিতে দ্বিতীয় থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর হিন্দু ও জৈন ভাস্কর্য। কিন্তু ভাস্কর্যগুলোর উপস্থাপন সাদামাটা। সাধারণ একটি বাক্সের ওপর দেয়ালের গায়ে হেলান দিয়ে রাখা হয়েছে প্রত্নসম্পদগুলো। খোলা জায়গায় থাকায় গায়ে ধুলা জমেছে। দর্শনার্থীরা হাঁটছেন যে মেঝেতে, সেখানে কোনো পাটাতন ছাড়াই রাখা নবম শতাব্দীর একটি কালো পাথরের শিবলিঙ্গ। সেটি ভাঙা, তাই বেঁধে রাখা হয়েছে সাধারণ একটি তার দিয়ে।
এ রকমই বিভিন্ন গ্যালারিতে চোখে পড়ে অযত্নের ছাপ। একটি পুরোনো হুঁকায় ধুলার আস্তরণ। গ্যালারিতে অনেক নৌকায়ও জমেছে ধুলাবালু। সাধারণত এসব নিদর্শন একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রাখতে হয়। অনেক গ্যালারিতে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র থাকলেও সেগুলো বিকল হয়ে আছে। বন্ধুকে নিয়ে জাদুঘর দেখতে এসে প্রকৌশলী আবির হোসেন ঘেমে ভিজে গেছেন। তিনি বললেন, ‘খুব অস্বস্তি লাগছে। একে তো গরম, আবার ছুটির দিন বলে লোকজনও বেশি। অনেক গ্যালারির এসি বন্ধ। আমি দর্শনার্থী খাতায় অভিযোগ দিয়ে যাব।’
নিদর্শন ব্যবস্থাপনাও তেমন গোছানো নয়। কোনো কোনো নিদর্শনের শুধু নাম ও প্রাপ্তিস্থান লেখা। এক দর্শনার্থী বললেন, বিস্তারিত বর্ণনা থাকলে ভালো হতো। বস্ত্র ও পোশাক-পরিচ্ছদ গ্যালারিতে একটি বর্ণনা পড়ছিলেন এক বিদেশি। সেখানে বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্প নিয়ে লেখা—জামদানি, টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি, মসলিন, কাতান, বেনারসি ইত্যাদি। বর্ণনা লেখা সাধারণ একটি পিভিসি ব্যানারে। সেটিও অযত্নে ফেলে রাখা।
জাদুঘরের বাইরে কথা হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাকসুদুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বললেন, ‘আমাদের জাতীয় জাদুঘরে আমরা দেশের ঐতিহ্য দেখতে আসি। কিন্তু এর উপস্থাপনা এখনো সেকেলে। সাধারণত যারা একেবারেই বিনোদনের জন্য আসে, তারা আনন্দ পায়। কিন্তু যারা একটু বিশদ জানতে চায়, বুঝতে চায়, তারা বিরক্ত হয়। কারণ, এখানে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে কোনো কিছু সাজানো হয়নি—না তথ্য, না নিদর্শন।’ তিনি আরও বলেন, বিশ্ব এখন অনেক এগিয়ে। প্রযুক্তির উন্নয়নে সব কিছুই অসাধারণভাবে উপস্থাপন করা যায়। মানুষ যাতে আকৃষ্ট হতে পারে, সেদিকে কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া দরকার।
এ বিষয়ে জাদুঘর কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, নির্দিষ্ট গ্যালারির দায়িত্বে থাকে নির্দিষ্ট বিভাগ। কোনো নিদর্শন কীভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, তা সেই বিভাগই ভালো বলতে পারবে। তিমির কঙ্কাল প্রসঙ্গে প্রাকৃতিক ইতিহাস বিভাগের কিপার ড. সুমনা আফরোজ জানান, বিষয়টি তাঁদের নজরে এসেছে। তাঁরা শিগগির এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
ইতিহাস ও ধ্রুপদি শিল্পকলা বিভাগের কিপার মোহাম্মদ মনিরুল হক জানান, ছোট ভাস্কর্যগুলো চুরি হওয়ার ভয় থাকায় গ্লাস-ঘরের মধ্যে থাকে। বড়গুলো থাকে বাইরে। তবে ধুলাবালু জমার বিষয়টি তাঁরা দেখবেন।
আন্তর্জাতিক জাদুঘর পরিষদের (আইকম) বাংলাদেশ জাতীয় কমিটির চেয়ারপারসন এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘জাতীয় জাদুঘরে নিদর্শন দেখে দেশের ইতিহাস, সমাজ ও সংস্কৃতির পরিচয় পাওয়া যায়। এই সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অন্যতম নিদর্শন হলো মৃৎপাত্র। সেগুলো কয়টি আছে জাদুঘরে? আড়াই হাজার বছরের উয়ারি-বটেশ্বর সময়ের কোনো মৃৎপাত্র আছে? এগুলো ভাবতে হবে। এখানে জাদুঘর বিশেষজ্ঞ থাকতে হবে। তা কি আছে? এতে বোঝা যায়, ব্যবস্থাপনার ঘাটতিটা কোথায়। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে এটি বুঝতে হবে।’ তিনি জাদুঘরের কাঠামোতে পরিবর্তন আনার তাগিদ দেন।

৪৪ ফুট দীর্ঘ তিমিটি কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকে প্রায় ৩০ মাইল দূরে শোয়ানখালী চরে আটকা পড়েছিল ১৯৮৫ সালে। সেই তিমির কঙ্কাল পরে এনে রাখা হয় জাতীয় জাদুঘরে। দর্শনার্থীরা চাইলেই সেটি ছুঁয়ে দেখতে পারেন। কারণ, অন্য অনেক নিদর্শন কাচের আবরণে ঢাকা থাকলেও তিমির কঙ্কালটি অনাবৃত। ফলে ধুলাবালুর আস্তর জমেছে কঙ্কালের গায়ে।
জাতীয় জাদুঘর দেশের ঐতিহ্য প্রদর্শনীর মাধ্যমে জাতির মানসিক বিকাশ ও উৎকর্ষ সাধন করবে—এমনটিই ছিল প্রত্যাশা। কিন্তু শত বছরের এই প্রতিষ্ঠান যেন নিজেই বুড়িয়ে গেছে! প্রদর্শনীর জন্য রাখা নিদর্শনগুলোর অযত্ন, অবহেলা তেমন ইঙ্গিতই দেয়। জাদুঘর ব্যবস্থাপনা ও প্রদর্শনী নিয়ে অভিযোগ বিস্তর। বিশ্ব অনেক এগিয়ে গেলেও জাতীয় জাদুঘর চলছে সেই সনাতনি ব্যবস্থাপনায়।
গতকাল শুক্রবার জাদুঘরে গিয়ে দেখা যায়, ভাস্কর্য-২ গ্যালারিতে দ্বিতীয় থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর হিন্দু ও জৈন ভাস্কর্য। কিন্তু ভাস্কর্যগুলোর উপস্থাপন সাদামাটা। সাধারণ একটি বাক্সের ওপর দেয়ালের গায়ে হেলান দিয়ে রাখা হয়েছে প্রত্নসম্পদগুলো। খোলা জায়গায় থাকায় গায়ে ধুলা জমেছে। দর্শনার্থীরা হাঁটছেন যে মেঝেতে, সেখানে কোনো পাটাতন ছাড়াই রাখা নবম শতাব্দীর একটি কালো পাথরের শিবলিঙ্গ। সেটি ভাঙা, তাই বেঁধে রাখা হয়েছে সাধারণ একটি তার দিয়ে।
এ রকমই বিভিন্ন গ্যালারিতে চোখে পড়ে অযত্নের ছাপ। একটি পুরোনো হুঁকায় ধুলার আস্তরণ। গ্যালারিতে অনেক নৌকায়ও জমেছে ধুলাবালু। সাধারণত এসব নিদর্শন একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রাখতে হয়। অনেক গ্যালারিতে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র থাকলেও সেগুলো বিকল হয়ে আছে। বন্ধুকে নিয়ে জাদুঘর দেখতে এসে প্রকৌশলী আবির হোসেন ঘেমে ভিজে গেছেন। তিনি বললেন, ‘খুব অস্বস্তি লাগছে। একে তো গরম, আবার ছুটির দিন বলে লোকজনও বেশি। অনেক গ্যালারির এসি বন্ধ। আমি দর্শনার্থী খাতায় অভিযোগ দিয়ে যাব।’
নিদর্শন ব্যবস্থাপনাও তেমন গোছানো নয়। কোনো কোনো নিদর্শনের শুধু নাম ও প্রাপ্তিস্থান লেখা। এক দর্শনার্থী বললেন, বিস্তারিত বর্ণনা থাকলে ভালো হতো। বস্ত্র ও পোশাক-পরিচ্ছদ গ্যালারিতে একটি বর্ণনা পড়ছিলেন এক বিদেশি। সেখানে বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্প নিয়ে লেখা—জামদানি, টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি, মসলিন, কাতান, বেনারসি ইত্যাদি। বর্ণনা লেখা সাধারণ একটি পিভিসি ব্যানারে। সেটিও অযত্নে ফেলে রাখা।
জাদুঘরের বাইরে কথা হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাকসুদুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বললেন, ‘আমাদের জাতীয় জাদুঘরে আমরা দেশের ঐতিহ্য দেখতে আসি। কিন্তু এর উপস্থাপনা এখনো সেকেলে। সাধারণত যারা একেবারেই বিনোদনের জন্য আসে, তারা আনন্দ পায়। কিন্তু যারা একটু বিশদ জানতে চায়, বুঝতে চায়, তারা বিরক্ত হয়। কারণ, এখানে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে কোনো কিছু সাজানো হয়নি—না তথ্য, না নিদর্শন।’ তিনি আরও বলেন, বিশ্ব এখন অনেক এগিয়ে। প্রযুক্তির উন্নয়নে সব কিছুই অসাধারণভাবে উপস্থাপন করা যায়। মানুষ যাতে আকৃষ্ট হতে পারে, সেদিকে কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া দরকার।
এ বিষয়ে জাদুঘর কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, নির্দিষ্ট গ্যালারির দায়িত্বে থাকে নির্দিষ্ট বিভাগ। কোনো নিদর্শন কীভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, তা সেই বিভাগই ভালো বলতে পারবে। তিমির কঙ্কাল প্রসঙ্গে প্রাকৃতিক ইতিহাস বিভাগের কিপার ড. সুমনা আফরোজ জানান, বিষয়টি তাঁদের নজরে এসেছে। তাঁরা শিগগির এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
ইতিহাস ও ধ্রুপদি শিল্পকলা বিভাগের কিপার মোহাম্মদ মনিরুল হক জানান, ছোট ভাস্কর্যগুলো চুরি হওয়ার ভয় থাকায় গ্লাস-ঘরের মধ্যে থাকে। বড়গুলো থাকে বাইরে। তবে ধুলাবালু জমার বিষয়টি তাঁরা দেখবেন।
আন্তর্জাতিক জাদুঘর পরিষদের (আইকম) বাংলাদেশ জাতীয় কমিটির চেয়ারপারসন এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘জাতীয় জাদুঘরে নিদর্শন দেখে দেশের ইতিহাস, সমাজ ও সংস্কৃতির পরিচয় পাওয়া যায়। এই সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অন্যতম নিদর্শন হলো মৃৎপাত্র। সেগুলো কয়টি আছে জাদুঘরে? আড়াই হাজার বছরের উয়ারি-বটেশ্বর সময়ের কোনো মৃৎপাত্র আছে? এগুলো ভাবতে হবে। এখানে জাদুঘর বিশেষজ্ঞ থাকতে হবে। তা কি আছে? এতে বোঝা যায়, ব্যবস্থাপনার ঘাটতিটা কোথায়। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে এটি বুঝতে হবে।’ তিনি জাদুঘরের কাঠামোতে পরিবর্তন আনার তাগিদ দেন।

প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের নতুন করে একটি সুযোগ দিয়েছে। অন্য জেনারেশন এই সুযোগ পাবে না। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারব। আর যদি না পারি, তাহলে জাতি মুখ থুবড়ে পড়বে। এর আগেও আমরা নির্বাচন দেখেছি। বিগত আমলে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, যেকোনো সুস্থ মানুষ
৩৫ মিনিট আগে
বাগেরহাটের ৪টি আসন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিতে এ আদেশ দেন।
২ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন। বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
২ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী আগামী নির্বাচনকে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এই নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের মাধ্যমে স্মরণীয় করে রাখতে হবে।
রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা থেকে আজ বুধবার সারা দেশের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন দেশের সব জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা।
প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের নতুন করে একটি সুযোগ দিয়েছে। অন্য জেনারেশন এই সুযোগ পাবে না। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারব। আর যদি না পারি, তাহলে জাতি মুখ থুবড়ে পড়বে। এর আগেও আমরা নির্বাচন দেখেছি। বিগত আমলে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, যেকোনো সুস্থ মানুষ বলবে—এটা নির্বাচন নয়, প্রতারণা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন অন্যান্য দায়িত্বের মতো নয়; বরং একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব। আমরা যদি ভালোভাবে এই দায়িত্ব পালন করতে পারি, তাহলে আগামী নির্বাচনের দিনটি জনগণের জন্যও ঐতিহাসিক হবে।’
ইউএনওদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আপনারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে সরকার তার দায়িত্বটি সফলভাবে পালন করতে সক্ষম হবে।’
আগামী সংসদ নির্বাচন ও গণভোট দুটিই জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘নির্বাচন আগামী পাঁচ বছরের জন্য আর গণভোট শত বছরের জন্য। এর মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশটাকে স্থায়ীভাবে পাল্টে দিতে পারি। যে নতুন বাংলাদেশ আমরা তৈরি করতে চাই, তার ভিতটা এর মাধ্যমে গড়তে পারি।’
এ সময় সদ্য যোগদান করা ইউএনওদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনাদের প্রধান দায়িত্ব হলো একটি শান্তিপূর্ণ ও আনন্দমুখর নির্বাচন আয়োজন করা।’
প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের নিজ নিজ এলাকার সব পোলিং স্টেশন পরিদর্শনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ, এলাকাবাসী ও সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে সুন্দর নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেন।
গণভোট বিষয়ে ভোটারদের সচেতন করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘ভোটারদের বোঝাতে হবে, আপনারা মন ঠিক করে আসুন—“হ্যাঁ”-তে দেবেন নাকি “না”-তে ভোট দেবেন। মন ঠিক করে আসুন।’
কর্মকর্তাদের ধাত্রীর সঙ্গে তুলনা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ধাত্রী ভালো হলে জন্ম নেওয়া শিশুও ভালো হয়।
তিনি কর্মকর্তাদের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সৃজনশীল হওয়ার পাশাপাশি অপতথ্য ও গুজব প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন।
নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নারীরা যেন ঠিকভাবে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।
শিগগির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে উল্লেখ করে ড. ইউনূস ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত কখন, কীভাবে, কোন কাজটি করবেন—তার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি এখন থেকেই নিন।’
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম ও জনপ্রশাসন সচিব মো. এহছানুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী আগামী নির্বাচনকে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এই নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের মাধ্যমে স্মরণীয় করে রাখতে হবে।
রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা থেকে আজ বুধবার সারা দেশের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন দেশের সব জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা।
প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের নতুন করে একটি সুযোগ দিয়েছে। অন্য জেনারেশন এই সুযোগ পাবে না। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারব। আর যদি না পারি, তাহলে জাতি মুখ থুবড়ে পড়বে। এর আগেও আমরা নির্বাচন দেখেছি। বিগত আমলে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, যেকোনো সুস্থ মানুষ বলবে—এটা নির্বাচন নয়, প্রতারণা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন অন্যান্য দায়িত্বের মতো নয়; বরং একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব। আমরা যদি ভালোভাবে এই দায়িত্ব পালন করতে পারি, তাহলে আগামী নির্বাচনের দিনটি জনগণের জন্যও ঐতিহাসিক হবে।’
ইউএনওদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আপনারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে সরকার তার দায়িত্বটি সফলভাবে পালন করতে সক্ষম হবে।’
আগামী সংসদ নির্বাচন ও গণভোট দুটিই জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘নির্বাচন আগামী পাঁচ বছরের জন্য আর গণভোট শত বছরের জন্য। এর মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশটাকে স্থায়ীভাবে পাল্টে দিতে পারি। যে নতুন বাংলাদেশ আমরা তৈরি করতে চাই, তার ভিতটা এর মাধ্যমে গড়তে পারি।’
এ সময় সদ্য যোগদান করা ইউএনওদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনাদের প্রধান দায়িত্ব হলো একটি শান্তিপূর্ণ ও আনন্দমুখর নির্বাচন আয়োজন করা।’
প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের নিজ নিজ এলাকার সব পোলিং স্টেশন পরিদর্শনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ, এলাকাবাসী ও সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে সুন্দর নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেন।
গণভোট বিষয়ে ভোটারদের সচেতন করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘ভোটারদের বোঝাতে হবে, আপনারা মন ঠিক করে আসুন—“হ্যাঁ”-তে দেবেন নাকি “না”-তে ভোট দেবেন। মন ঠিক করে আসুন।’
কর্মকর্তাদের ধাত্রীর সঙ্গে তুলনা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ধাত্রী ভালো হলে জন্ম নেওয়া শিশুও ভালো হয়।
তিনি কর্মকর্তাদের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সৃজনশীল হওয়ার পাশাপাশি অপতথ্য ও গুজব প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন।
নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নারীরা যেন ঠিকভাবে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।
শিগগির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে উল্লেখ করে ড. ইউনূস ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত কখন, কীভাবে, কোন কাজটি করবেন—তার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি এখন থেকেই নিন।’
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম ও জনপ্রশাসন সচিব মো. এহছানুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

৪৪ ফুট দীর্ঘ তিমিটি কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকে প্রায় ৩০ মাইল দূরে শোয়ানখালী চরে আটকা পড়েছিল ১৯৮৫ সালে। সেই তিমির কঙ্কাল পরে এনে রাখা হয় জাতীয় জাদুঘরে। দর্শনার্থীরা চাইলেই সেটি ছুঁয়ে দেখতে পারেন
১৮ মে ২০২৪
বাগেরহাটের ৪টি আসন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিতে এ আদেশ দেন।
২ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন। বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
২ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাগেরহাটের ৪টি আসন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিতে এ আদেশ দেন।
এর ফলে বহাল থাকল বাগেরহাটের চারটি আসন। বাদ পড়েছে গাজীপুর-৬ আসনটিও।
এর আগে বাগেরহাটের আসন একটি কমিয়ে তিনটি করা এবং গাজীপুরে একটি বাড়ানো-সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের গেজেট চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত বাতিল করে গত ১০ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন।
হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পরপরই তা স্থগিত চেয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এবং গাজীপুর-৬ আসন থেকে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ড. হাফিজুর রহমান ও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মো. সালাহ উদ্দিন সরকার আপিল বিভাগে পৃথক আবেদন করেন।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ড. হাফিজুর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন।

বাগেরহাটের ৪টি আসন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিতে এ আদেশ দেন।
এর ফলে বহাল থাকল বাগেরহাটের চারটি আসন। বাদ পড়েছে গাজীপুর-৬ আসনটিও।
এর আগে বাগেরহাটের আসন একটি কমিয়ে তিনটি করা এবং গাজীপুরে একটি বাড়ানো-সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের গেজেট চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত বাতিল করে গত ১০ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন।
হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পরপরই তা স্থগিত চেয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এবং গাজীপুর-৬ আসন থেকে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ড. হাফিজুর রহমান ও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মো. সালাহ উদ্দিন সরকার আপিল বিভাগে পৃথক আবেদন করেন।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ড. হাফিজুর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন।

৪৪ ফুট দীর্ঘ তিমিটি কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকে প্রায় ৩০ মাইল দূরে শোয়ানখালী চরে আটকা পড়েছিল ১৯৮৫ সালে। সেই তিমির কঙ্কাল পরে এনে রাখা হয় জাতীয় জাদুঘরে। দর্শনার্থীরা চাইলেই সেটি ছুঁয়ে দেখতে পারেন
১৮ মে ২০২৪
প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের নতুন করে একটি সুযোগ দিয়েছে। অন্য জেনারেশন এই সুযোগ পাবে না। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারব। আর যদি না পারি, তাহলে জাতি মুখ থুবড়ে পড়বে। এর আগেও আমরা নির্বাচন দেখেছি। বিগত আমলে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, যেকোনো সুস্থ মানুষ
৩৫ মিনিট আগে
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন। বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
২ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন।
বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের সার্বিক প্রস্তুতি ও তফসিল ঘোষণা বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে আলোচনা করতে বঙ্গভবনে গেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। সিইসি দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বঙ্গভবনে পৌঁছান।
এর আগে ১০টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে বঙ্গভবনের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে রয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ (অবসরপ্রাপ্ত), তাহমিদা বেগম, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও আব্দুর রহমানেল মাছউদ এবং ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। তফসিল-সংক্রান্ত ভাষণ রেকর্ড করতে ইতিমধ্যে বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারকে চিঠিও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন।
বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের সার্বিক প্রস্তুতি ও তফসিল ঘোষণা বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে আলোচনা করতে বঙ্গভবনে গেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। সিইসি দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বঙ্গভবনে পৌঁছান।
এর আগে ১০টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে বঙ্গভবনের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে রয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ (অবসরপ্রাপ্ত), তাহমিদা বেগম, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও আব্দুর রহমানেল মাছউদ এবং ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। তফসিল-সংক্রান্ত ভাষণ রেকর্ড করতে ইতিমধ্যে বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারকে চিঠিও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

৪৪ ফুট দীর্ঘ তিমিটি কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকে প্রায় ৩০ মাইল দূরে শোয়ানখালী চরে আটকা পড়েছিল ১৯৮৫ সালে। সেই তিমির কঙ্কাল পরে এনে রাখা হয় জাতীয় জাদুঘরে। দর্শনার্থীরা চাইলেই সেটি ছুঁয়ে দেখতে পারেন
১৮ মে ২০২৪
প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের নতুন করে একটি সুযোগ দিয়েছে। অন্য জেনারেশন এই সুযোগ পাবে না। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারব। আর যদি না পারি, তাহলে জাতি মুখ থুবড়ে পড়বে। এর আগেও আমরা নির্বাচন দেখেছি। বিগত আমলে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, যেকোনো সুস্থ মানুষ
৩৫ মিনিট আগে
বাগেরহাটের ৪টি আসন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিতে এ আদেশ দেন।
২ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই কনভেনশনের আওতায় এটি বাংলাদেশের ষষ্ঠ একক নিবন্ধন। সভায় প্রথমবারের মতো সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর বিগত চার বছরে এটি দ্বিতীয় নিবন্ধন।
সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান এবং ইউনেসকো সাধারণ পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য অসামান্য গৌরবের বিষয়। দীর্ঘ দুই শতকের বেশি সময় ধরে টাঙ্গাইলের তাঁতিদের অনবদ্য শিল্পকর্মের বৈশ্বিক স্বীকৃতি এটি।’
তিনি আরও বলেন, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের সকল নারীর নিত্য পরিধেয়, যা এই শাড়ি বুনন শিল্পের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের পেছনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।’
এই অর্জনকে বাংলাদেশের সকল তাঁতি ও নারীদের প্রতি উৎসর্গ করেছেন রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা।
বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সামগ্রিক সুরক্ষায় এই স্বীকৃতি নতুন মাত্রা যোগ করবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত তালহা বলেন, ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেসকোর স্বীকৃতি অর্জনের মতো বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক উপাদান রয়েছে।
নথি প্রস্তুত করার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কনভেনশন সংক্রান্ত অভিজ্ঞ জনবল তৈরি করার মাধ্যমে আরও অনেক ঐতিহ্যের ইউনেসকো-স্বীকৃতি অর্জনের সুযোগ রয়েছে।
এর আগে, গত ৭ ডিসেম্বর আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের চলমান ২০তম সভা উদ্বোধন করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শংকর। অনুষ্ঠানে ইউনেসকোর নবনিযুক্ত মহাপরিচালক খালেদ এল. এনানি উপস্থিত ছিলেন।

টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই কনভেনশনের আওতায় এটি বাংলাদেশের ষষ্ঠ একক নিবন্ধন। সভায় প্রথমবারের মতো সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর বিগত চার বছরে এটি দ্বিতীয় নিবন্ধন।
সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান এবং ইউনেসকো সাধারণ পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য অসামান্য গৌরবের বিষয়। দীর্ঘ দুই শতকের বেশি সময় ধরে টাঙ্গাইলের তাঁতিদের অনবদ্য শিল্পকর্মের বৈশ্বিক স্বীকৃতি এটি।’
তিনি আরও বলেন, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের সকল নারীর নিত্য পরিধেয়, যা এই শাড়ি বুনন শিল্পের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের পেছনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।’
এই অর্জনকে বাংলাদেশের সকল তাঁতি ও নারীদের প্রতি উৎসর্গ করেছেন রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা।
বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সামগ্রিক সুরক্ষায় এই স্বীকৃতি নতুন মাত্রা যোগ করবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত তালহা বলেন, ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেসকোর স্বীকৃতি অর্জনের মতো বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক উপাদান রয়েছে।
নথি প্রস্তুত করার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কনভেনশন সংক্রান্ত অভিজ্ঞ জনবল তৈরি করার মাধ্যমে আরও অনেক ঐতিহ্যের ইউনেসকো-স্বীকৃতি অর্জনের সুযোগ রয়েছে।
এর আগে, গত ৭ ডিসেম্বর আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের চলমান ২০তম সভা উদ্বোধন করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শংকর। অনুষ্ঠানে ইউনেসকোর নবনিযুক্ত মহাপরিচালক খালেদ এল. এনানি উপস্থিত ছিলেন।

৪৪ ফুট দীর্ঘ তিমিটি কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকে প্রায় ৩০ মাইল দূরে শোয়ানখালী চরে আটকা পড়েছিল ১৯৮৫ সালে। সেই তিমির কঙ্কাল পরে এনে রাখা হয় জাতীয় জাদুঘরে। দর্শনার্থীরা চাইলেই সেটি ছুঁয়ে দেখতে পারেন
১৮ মে ২০২৪
প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের নতুন করে একটি সুযোগ দিয়েছে। অন্য জেনারেশন এই সুযোগ পাবে না। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারব। আর যদি না পারি, তাহলে জাতি মুখ থুবড়ে পড়বে। এর আগেও আমরা নির্বাচন দেখেছি। বিগত আমলে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, যেকোনো সুস্থ মানুষ
৩৫ মিনিট আগে
বাগেরহাটের ৪টি আসন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিতে এ আদেশ দেন।
২ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন। বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
২ ঘণ্টা আগে