Ajker Patrika

মানবিক করিডর নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে জাতিসংঘের কোনো আলোচনা হয়নি: গোয়েন লুইস

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৪ জুন ২০২৫, ১৬: ২৮
জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাখাইনে মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য করিডর হতে হলে বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের চুক্তি হতে হবে। এমন চুক্তি হলে জাতিসংঘ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। আজ বুধবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস।

ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতিসংঘ আবাসিক প্রতিনিধির সঙ্গে ‘ডিক্যাব টক’ শীর্ষক এই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

গোয়েন লুইস বলেন, মানবিক করিডর একটি আইনি বিষয়। এ বিষয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কোনো আলোচনা হয়নি। করিডর বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের আনুষ্ঠানিক সম্মতি প্রয়োজন। সেটি হলেই কেবল জাতিসংঘ সহায়তা করতে পারে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গত এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে রাখাইনে অভাব-অনটনের কারণে ত্রাণ পৌঁছাতে ‘মানবিক করিডর’ চালুর কথা সাংবাদিকদের জানান।

সশস্ত্র বাহিনীসহ বিভিন্ন মহল থেকে আপত্তি উঠলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান বলেন, করিডর নয়, ‘মানবিক চ্যানেল’ চালু করার বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় আছে।

দুই উপদেষ্টা বলেন, সরকার রাখাইনে মানবিক সহায়তা দেওয়ার সঙ্গে সেখান থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি যুক্ত করার চেষ্টা করছে। তাঁরা বলেন, রাখাইনে মানবিক সহায়তা দেওয়া গেলে সেখানকার পরিস্থিতি ভালো হতে পারে। এতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব হতে পারে।

মিয়ানমার সামরিক বাহিনী ও তাদের স্থানীয় দোসরদের নির্যাতনের মুখে রাখাইনের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় ১২ লাখ মানুষ গত ৯ বছরে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়। তাদের ফেরত পাঠাতে মিয়ানমারের সঙ্গে ২০১৭ সালে বাংলাদেশের চুক্তি হলেও এ পর্যন্ত একজনও সেখানে যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গুমের মামলায় শেখ হাসিনা ও ১২ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা এবং সাবেক ও বর্তমান ১২ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

তাঁদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন।

এর আগে এ মামলায় উপস্থিত তিন আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়। এরপর অভিযোগ স্বীকার করেন কি না—ট্রাইব্যুনাল জানতে চাইলে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।

গত রোববার অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য আজ দিন ঠিক করা হয়েছিল। সে অনুযায়ী তিন সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

তাঁরা হলেন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজহার সিদ্দিকী।

এ মামলার পলাতক আসামিরা হলেন জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা, মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আবেদিন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী, মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক, মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ তৌহিদুল উল ইসলাম, মেজর জেনারেল (অব.) কবীর আহাম্মদ ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মখচুরুল হক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সুইজারল্যান্ডের বার্নে হচ্ছে বাংলাদেশের নতুন দূতাবাস

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ছবি : পিআইডি
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ছবি : পিআইডি

সুইজারল্যান্ডের রাজধানী বার্নে বাংলাদেশের নতুন একটি দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পরে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাধীনতার পর থেকেই সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বাংলাদেশের একটি পারমানেন্ট মিশন কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। বার্নে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের দূতাবাস থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের দূতাবাস না থাকায় এত দিন জেনেভার পারমানেন্ট মিশন থেকেই জাতিসংঘ-সংক্রান্ত কাজের পাশাপাশি কূটনৈতিক ও কনস্যুলার কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছিল। সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী ও কৌশলগত অংশীদার হওয়ায় এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বার্নে দূতাবাস স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক পর্যায়ে একজন রাষ্ট্রদূত, একজন ফার্স্ট সেক্রেটারি এবং প্রয়োজনীয় কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে দূতাবাসের কার্যক্রম শুরু হবে বলে বৈঠকে জানানো হয়। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের মোট ৮২টি মিশন অফিস রয়েছে।

এদিকে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়।

বৈঠকে জানানো হয়, হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। তাঁর চিকিৎসার বিষয়ে সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান নিয়মিতভাবে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে খোঁজখবর নিচ্ছেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গতকাল সিঙ্গাপুরে পৌঁছে সরাসরি চিকিৎসা কার্যক্রম তদারকি করছেন।

বৈঠকে আরও জানানো হয়, এ বছর মহান বিজয় দিবস সুন্দর ও সুচারুভাবে উদ্‌যাপনের জন্য মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভূমিকার প্রশংসা করেছে উপদেষ্টা পরিষদ এবং এ জন্য মন্ত্রণালয়কে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গুম ও হাওর-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ০০
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: পিআইডি
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: পিআইডি

গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ ও বাংলাদেশ হাওড় ও জলাভূমি সংরক্ষণ অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে গুম ও হাওর-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ।

পরে প্রধান উপদেষ্টা প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রেস উইং জানায়, বৈঠকে গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এর ফলে ব্যক্তি অন্যূন পাঁচ বছর ধরে গুম থাকলে এবং জীবিত ফিরে না এলে ট্রাইবুন্যাল তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ডিসাপিয়ার্ড’ বা ‘গুম’ ঘোষণা করতে পারবে।

সরকার ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইবুনাল’-এর জন্য মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয়সংখ্যক পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ দিতে পারবে। ভুক্তভোগী বা অভিযোগকারীও ব্যক্তিগত উদ্যোগে ট্রাইব্যুনাল আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন এবং গুম হওয়া ব্যক্তির স্ত্রী বা তাঁর ওপর নির্ভরশীল পরিবারের কোনো সদস্য কমিশনের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে গুম হওয়া ব্যক্তির সম্পত্তি ব্যবহার করতে পারবেন।

এদিকে, বাংলাদেশ হাওড় ও জলাভূমি সংরক্ষণ অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়াও নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। বাংলাদেশের হাওর অঞ্চলের ইকোসিস্টেম বিশ্বে বিরল ও অনন্য। কিন্তু নদী ও নদীপথের বাধা সৃষ্টি করে অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ, বিষ ও কীটনাশকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার এবং পর্যটনের বিরূপ প্রভাবের কারণে এই ইকোসিস্টেম ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে পড়ছে। অন্যদিক, জলাশয় রক্ষায় আইনি কাঠামোরও অপ্রতুলতা রয়েছে।

এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশে হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব, কর্তৃত্ব ও অধিক্ষেত্র সুস্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা হবে। হাওর ও জলাভূমি এলাকার জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ, প্রতিবেশ ও বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণের লক্ষ্যে সুরক্ষা অধ্যাদেশ জারির বিধান রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, হাওর ও জলাভূমি এলাকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংরক্ষিত হাওর ও জলাভূমি এলাকা ঘোষণা করার বিধানও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এ ছাড়া, হাওর ও জলাভূমি এলাকায় নিষিদ্ধ কার্যক্রমের বিবরণ প্রদান, নিষিদ্ধ কার্যক্রম সংঘটিত হলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা এবং ওই অপরাধের জন্য আরোপনীয় দণ্ডের বিধান করা হয়েছে।

হাওর ও জলাভূমি এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নির্ধারিত ব্যতিক্রম সাপেক্ষে অধিদপ্তরের মতামত গ্রহণের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অন্যান্য কর্তৃপক্ষ/দপ্তর/সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়, স্থানীয় অংশীজনদের সম্পৃক্ততা এবং সংরক্ষণ কার্যক্রমে তাদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিধি, প্রবিধান ও নির্দেশিকা প্রণয়নের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

২২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ: আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আসাদুজ্জামান খান কামাল। ছবি: সংগৃহীত
আসাদুজ্জামান খান কামাল। ছবি: সংগৃহীত

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগপত্রে তাঁদের বিরুদ্ধে ২২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও ৮৭ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন আজ বৃহস্পতিবার চার্জশিট অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসাদুজ্জামান খান একজন পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে অসাধু উপায়ে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ২২ কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার ১৬২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।

এ ছাড়া এই আসামি ৯টি ব্যাংক হিসাবে ৮৭ কোটি ৪৬ লাখ ২৬ হাজার ৯৩৩ টাকা লেনদেন করে মানি লন্ডারিংয়ে সম্পৃক্ত অপরাধ ‘দুর্নীতি ও ঘুষ’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে তা রূপান্তর বা স্থানান্তর বা হস্তান্তর করেছেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে কমিশন কর্তৃক দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারাসহ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত বছরের ৯ অক্টোবর আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। তদন্তে আসাদুজ্জামান খানের স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খান, তাঁর ছেলে শাফি মোদ্দাছির খান জ্যোতি ও মেয়ে শাফিয়া তাসনিম খানের সম্পৃক্ততা পায় সংস্থাটি।

জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ১৭ নভেম্বর আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত