
রাখাইন রাজ্যে ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট ও সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে। জাতিসংঘ ও বিভিন্ন পক্ষের উদ্যোগে ‘মানবিক করিডর’ খোলার প্রস্তাব ঘিরে বিতর্ক চলছে। সেই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তার জন্য কিছু মৌলিক শর্ত ও নিরাপত্তা উদ্বেগ আছে।
রাখাইনে স্থিতিশীলতা ফেরানো এবং রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের পথ সুগম করা এই সহায়তার মূল উদ্দেশ্য হলেও সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হলে বা নিরপেক্ষতা নিশ্চিত না হলে, তা পুরো অঞ্চলের জন্য আরও জটিলতা তৈরি করতে পারে।
এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান ও ভূমিকা স্পষ্ট করতে সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার এক বিবৃতিতে কতগুলি সাধারণ জিজ্ঞাসার উত্তর দিয়েছে। মানবিক সহায়তা প্রদান, নিরাপত্তা ঝুঁকি, আরাকান বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন: রাখাইন রাজ্যে মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সর্বশেষ অবস্থান কী?
উত্তর: রাখাইন রাজ্যে তীব্র মানবিক সংকটের কারণে সেখানে মানবিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি উত্থাপিত হয়। ইউএনডিপির পূর্বাভাস অনুযায়ী, সেখানে আসন্ন দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ আশঙ্কা করছে যে, এমন পরিস্থিতি রাখাইন থেকে আরও মানুষকে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য করবে।
ইতিমধ্যেই মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষে আরও বাস্তুচ্যুত মানুষকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়। ইতিমধ্যেই এই বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় বোঝায় পরিণত হয়েছে।
রাখাইন রাজ্যের মানবিক সংকট বাড়ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ মানবিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে শুরু করে। যেহেতু সংঘাতের কারণে সাহায্য সরবরাহের অন্যান্য সব পথ বর্তমানে অকার্যকর, তাই বাংলাদেশই এখন একমাত্র সম্ভাব্য বিকল্প। প্রাথমিকভাবে চিন্তা করা হয়েছিল যে জাতিসংঘ তার চ্যানেলের মাধ্যমে রাখাইনে সহায়তা বিতরণের ব্যবস্থা করবে এবং মিয়ানমার সীমান্তজুড়ে সহায়তা পৌঁছাতে বাংলাদেশ লজিস্টিক সহায়তা দেবে।
এ ছাড়া বাংলাদেশ মনে করে, রাখাইনে সাহায্য দেওয়া রাজ্যটিকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে এবং রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির পথ প্রশস্ত করবে।
রাখাইনে সাহায্য দেওয়ার ব্যাপারে এখনো কোনো চুক্তি হয়নি, কারণ, এর জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সম্মতি ও সহায়তা প্রদানের জন্য বেশ কিছু পূর্বশর্ত পূরণের প্রয়োজন, যা বিশ্বের সবখানেই মানবিক সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে একইভাবে পূরণযোগ্য।
এর মধ্যে রয়েছে সহায়তা প্রদানকারী ও গ্রহীতাদের নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশাধিকার, সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে বৈষম্য না করা, সহায়তাকে সামরিক উদ্দেশে ব্যবহার না করা এবং সশস্ত্র কার্যকলাপ স্থগিত রাখা।
প্রশ্ন: আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগের কারণ, সংকট মোকাবিলায় মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে কি না।
উত্তর: আরাকান সশস্ত্র বাহিনী যখন মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অংশের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়, তখন বাংলাদেশ সরকার তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে। নিজ সীমান্ত রক্ষা ও শান্তিপূর্ণ রাখা বাংলাদেশের কর্তব্য। এ কারণেই বাংলাদেশ আরাকান সেনাবাহিনীর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগের সিদ্ধান্ত নেয়।
বাংলাদেশ সরকার রাখাইনে মানবিক সহায়তা দেওয়া, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ও আরাকানের শাসনব্যবস্থা ও নিরাপত্তা কাঠামোর সব স্তরে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ও অন্তর্ভুক্তির বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার স্বার্থে আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে।
বাস্তবিক প্রয়োজনেই আরাকান আর্মির সঙ্গে বাংলাদেশের এই যোগাযোগ। একই সঙ্গে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ বজায় রাখছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা সংকট টেকসইভাবে সমাধানের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: বাংলাদেশি কর্মকর্তারা সম্প্রতি বলেছেন যে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তার প্রস্তাবে বাংলাদেশের সম্মতির জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। সেই শর্তগুলো কী এবং এ বিষয়ে আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়েছে কি না।
উত্তর: প্রথম কথা হলো, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে একমত হতে হবে। পাশাপাশি আরাকান আর্মিকে নিশ্চিত করতে হবে যে সহায়তা প্রদানকারী ও গ্রহীতাদের প্রবেশাধিকার যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, সহায়তাকে সামরিক উদ্দেশে যেন ব্যবহার না করা হয় এবং কোনো সশস্ত্র কার্যকলাপ যেন না ঘটে।
আরাকান আর্মি রাখাইনের শাসনব্যবস্থা ও নিরাপত্তা কাঠামোর সব স্তরে রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্ত করে রাখাইনে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, এই প্রতিশ্রুতির প্রতি তাদের অবিচল থাকতে হবে। তা না হলে এটিকে সারা বিশ্বে জাতিগত নিধন হিসেবে দেখা হবে, যা বাংলাদেশ মেনে নেবে না। আমরা এ বিষয়ে আরাকান আর্মির প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।
প্রশ্ন: মানবিক সহায়তা প্রদানে নিরাপত্তা ঝুঁকি কী কী?
উত্তর: সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা যিনি দেবেন ও যিনি নেবেন উভয়ের জন্যই নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে। ল্যান্ডমাইন ও আইইডির মতো বিস্ফোরক নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য হুমকি। সহায়তা দেওয়ার আগে এই বিষয়গুলো সমাধান করা প্রয়োজন।
প্রশ্ন: রাখাইনে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সম্পর্কে আঞ্চলিক দেশগুলোর অবস্থান কী?
উত্তর: আসন্ন মানবিক বিপর্যয় থেকে মানুষের জীবন বাঁচানো বিশ্ব সম্প্রদায়ের একটি সম্মিলিত দায়িত্ব। এই সংকট মোকাবিলায় সবাইকে একযোগে প্রচেষ্টা চালাতে হবে। রাখাইনে স্থিতিশীলতা বাংলাদেশের অন্যতম অগ্রাধিকার। স্থিতিশীল না হলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে কোনো অগ্রগতির সম্ভাবনা একেবারেই কম।
প্রশ্ন: আমরা সাম্প্রতিককালে আরও রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আসতে দেখেছি। যদি এটি অব্যাহত থাকে, তাহলে বাংলাদেশ কীভাবে এটি মোকাবিলা করার পরিকল্পনা করছে?
উত্তর: বাংলাদেশের পক্ষে আরও বাস্তুচ্যুত মানুষকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়। ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মধ্যে তীব্র সংঘাতের সময় রাখাইন থেকে বিপুল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এরপরেও রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, যদিও সেটি সংখ্যায় কম।
আরও মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ না করে, সেটি ঠেকাতে বাংলাদেশ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় করছে। বিশেষ করে, বাংলাদেশ সরকার আরাকান আর্মিকে স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর আর কোনো সহিংসতা, বৈষম্য ও বাস্তুচ্যুতি যেন না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। আরাকান আর্মিকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনসহ সব আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে হবে। গোটা বিশ্ব তাদের কার্যক্রম দেখছে। বাংলাদেশ আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে কি না, তা এই অঞ্চলে তাদের কার্যক্রম ও রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্বের ওপর নির্ভর করবে।

রাখাইন রাজ্যে ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট ও সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে। জাতিসংঘ ও বিভিন্ন পক্ষের উদ্যোগে ‘মানবিক করিডর’ খোলার প্রস্তাব ঘিরে বিতর্ক চলছে। সেই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তার জন্য কিছু মৌলিক শর্ত ও নিরাপত্তা উদ্বেগ আছে।
রাখাইনে স্থিতিশীলতা ফেরানো এবং রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের পথ সুগম করা এই সহায়তার মূল উদ্দেশ্য হলেও সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হলে বা নিরপেক্ষতা নিশ্চিত না হলে, তা পুরো অঞ্চলের জন্য আরও জটিলতা তৈরি করতে পারে।
এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান ও ভূমিকা স্পষ্ট করতে সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার এক বিবৃতিতে কতগুলি সাধারণ জিজ্ঞাসার উত্তর দিয়েছে। মানবিক সহায়তা প্রদান, নিরাপত্তা ঝুঁকি, আরাকান বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন: রাখাইন রাজ্যে মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সর্বশেষ অবস্থান কী?
উত্তর: রাখাইন রাজ্যে তীব্র মানবিক সংকটের কারণে সেখানে মানবিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি উত্থাপিত হয়। ইউএনডিপির পূর্বাভাস অনুযায়ী, সেখানে আসন্ন দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ আশঙ্কা করছে যে, এমন পরিস্থিতি রাখাইন থেকে আরও মানুষকে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য করবে।
ইতিমধ্যেই মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষে আরও বাস্তুচ্যুত মানুষকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়। ইতিমধ্যেই এই বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় বোঝায় পরিণত হয়েছে।
রাখাইন রাজ্যের মানবিক সংকট বাড়ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ মানবিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে শুরু করে। যেহেতু সংঘাতের কারণে সাহায্য সরবরাহের অন্যান্য সব পথ বর্তমানে অকার্যকর, তাই বাংলাদেশই এখন একমাত্র সম্ভাব্য বিকল্প। প্রাথমিকভাবে চিন্তা করা হয়েছিল যে জাতিসংঘ তার চ্যানেলের মাধ্যমে রাখাইনে সহায়তা বিতরণের ব্যবস্থা করবে এবং মিয়ানমার সীমান্তজুড়ে সহায়তা পৌঁছাতে বাংলাদেশ লজিস্টিক সহায়তা দেবে।
এ ছাড়া বাংলাদেশ মনে করে, রাখাইনে সাহায্য দেওয়া রাজ্যটিকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে এবং রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির পথ প্রশস্ত করবে।
রাখাইনে সাহায্য দেওয়ার ব্যাপারে এখনো কোনো চুক্তি হয়নি, কারণ, এর জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সম্মতি ও সহায়তা প্রদানের জন্য বেশ কিছু পূর্বশর্ত পূরণের প্রয়োজন, যা বিশ্বের সবখানেই মানবিক সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে একইভাবে পূরণযোগ্য।
এর মধ্যে রয়েছে সহায়তা প্রদানকারী ও গ্রহীতাদের নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশাধিকার, সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে বৈষম্য না করা, সহায়তাকে সামরিক উদ্দেশে ব্যবহার না করা এবং সশস্ত্র কার্যকলাপ স্থগিত রাখা।
প্রশ্ন: আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগের কারণ, সংকট মোকাবিলায় মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে কি না।
উত্তর: আরাকান সশস্ত্র বাহিনী যখন মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অংশের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়, তখন বাংলাদেশ সরকার তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে। নিজ সীমান্ত রক্ষা ও শান্তিপূর্ণ রাখা বাংলাদেশের কর্তব্য। এ কারণেই বাংলাদেশ আরাকান সেনাবাহিনীর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগের সিদ্ধান্ত নেয়।
বাংলাদেশ সরকার রাখাইনে মানবিক সহায়তা দেওয়া, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ও আরাকানের শাসনব্যবস্থা ও নিরাপত্তা কাঠামোর সব স্তরে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ও অন্তর্ভুক্তির বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার স্বার্থে আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে।
বাস্তবিক প্রয়োজনেই আরাকান আর্মির সঙ্গে বাংলাদেশের এই যোগাযোগ। একই সঙ্গে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ বজায় রাখছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা সংকট টেকসইভাবে সমাধানের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: বাংলাদেশি কর্মকর্তারা সম্প্রতি বলেছেন যে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তার প্রস্তাবে বাংলাদেশের সম্মতির জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। সেই শর্তগুলো কী এবং এ বিষয়ে আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়েছে কি না।
উত্তর: প্রথম কথা হলো, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে একমত হতে হবে। পাশাপাশি আরাকান আর্মিকে নিশ্চিত করতে হবে যে সহায়তা প্রদানকারী ও গ্রহীতাদের প্রবেশাধিকার যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, সহায়তাকে সামরিক উদ্দেশে যেন ব্যবহার না করা হয় এবং কোনো সশস্ত্র কার্যকলাপ যেন না ঘটে।
আরাকান আর্মি রাখাইনের শাসনব্যবস্থা ও নিরাপত্তা কাঠামোর সব স্তরে রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্ত করে রাখাইনে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, এই প্রতিশ্রুতির প্রতি তাদের অবিচল থাকতে হবে। তা না হলে এটিকে সারা বিশ্বে জাতিগত নিধন হিসেবে দেখা হবে, যা বাংলাদেশ মেনে নেবে না। আমরা এ বিষয়ে আরাকান আর্মির প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।
প্রশ্ন: মানবিক সহায়তা প্রদানে নিরাপত্তা ঝুঁকি কী কী?
উত্তর: সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা যিনি দেবেন ও যিনি নেবেন উভয়ের জন্যই নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে। ল্যান্ডমাইন ও আইইডির মতো বিস্ফোরক নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য হুমকি। সহায়তা দেওয়ার আগে এই বিষয়গুলো সমাধান করা প্রয়োজন।
প্রশ্ন: রাখাইনে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সম্পর্কে আঞ্চলিক দেশগুলোর অবস্থান কী?
উত্তর: আসন্ন মানবিক বিপর্যয় থেকে মানুষের জীবন বাঁচানো বিশ্ব সম্প্রদায়ের একটি সম্মিলিত দায়িত্ব। এই সংকট মোকাবিলায় সবাইকে একযোগে প্রচেষ্টা চালাতে হবে। রাখাইনে স্থিতিশীলতা বাংলাদেশের অন্যতম অগ্রাধিকার। স্থিতিশীল না হলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে কোনো অগ্রগতির সম্ভাবনা একেবারেই কম।
প্রশ্ন: আমরা সাম্প্রতিককালে আরও রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আসতে দেখেছি। যদি এটি অব্যাহত থাকে, তাহলে বাংলাদেশ কীভাবে এটি মোকাবিলা করার পরিকল্পনা করছে?
উত্তর: বাংলাদেশের পক্ষে আরও বাস্তুচ্যুত মানুষকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়। ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মধ্যে তীব্র সংঘাতের সময় রাখাইন থেকে বিপুল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এরপরেও রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, যদিও সেটি সংখ্যায় কম।
আরও মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ না করে, সেটি ঠেকাতে বাংলাদেশ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় করছে। বিশেষ করে, বাংলাদেশ সরকার আরাকান আর্মিকে স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর আর কোনো সহিংসতা, বৈষম্য ও বাস্তুচ্যুতি যেন না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। আরাকান আর্মিকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনসহ সব আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে হবে। গোটা বিশ্ব তাদের কার্যক্রম দেখছে। বাংলাদেশ আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে কি না, তা এই অঞ্চলে তাদের কার্যক্রম ও রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্বের ওপর নির্ভর করবে।

দুদকের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে মোট ২ লাখ ৬৭ হাজার ২৭৬ জন শ্রমিকের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৪ হাজার ৫৪৫ কোটি ২০ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দালাল চক্র। এই অর্থ আত্মসাৎ করেছে দেশের ৬০টি রিক্রুটিং এজেন্সি। এসব এজেন্সির ১২৪ জনের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগও পেয়েছে দুদক।
২০ মিনিট আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে থাকা দুই ছাত্র প্রতিনিধি আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলম পদত্যাগ করেছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৫টা ৮ মিনিটে তাঁরা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারি বাসভবন যমুনায় গিয়ে তাঁর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্য।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করা হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর)। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জাতির উদ্দেশে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভাষণে তফসিল ঘোষণা করবেন।
১ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে থাকা দুই ছাত্র প্রতিনিধির মধ্যে একজন, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নেবেন। তবে এ বিষয়ে স্পষ্ট করে তিনি কিছু বলেননি।
২ ঘণ্টা আগেসৈয়দ ঋয়াদ, ঢাকা

পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে ঢাকার ছোট চায়ের দোকান ছেড়ে উন্নত জীবনের আশায় ২০২২ সালে মালয়েশিয়ার পথে পা বাড়ান কুমিল্লার চান্দিনার যুবক আকাশ। পরিবারকে একটু স্বস্তি দিতে শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে দেশে-বিদেশে দালালদের টাকা পরিশোধ করে বিদেশে গেলেও সেখানে গিয়ে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিল ভয়াবহ বাস্তবতা।
মালয়েশিয়ায় পৌঁছানোর পর আকাশ বুঝতে পারেন, যে বেতনের কথা বলা হয়েছিল, এর সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই। যেখানে খেয়ে-পরে টিকে থাকা কঠিন, সেখানে সঞ্চয়ের তো প্রশ্নই আসে না। ঢাকায় তাঁর আগের চায়ের দোকান থেকেও কম আয় হয় সেখানে। কয়েক মাসের মধ্যে বুঝে যান, বিদেশে আসা ছিল জীবনের বড় ভুল। নিজের সঙ্গে বিপদে ফেলেছেন পরিবারকেও।
অবশেষে ২০২৩ সালে দেশে ফিরে কমলাপুর ফুটপাতে আবার শুরু করেন চায়ের দোকান। দুই বছরে ধারদেনা শোধ করেছেন, তবে বাবার জমিটা উদ্ধার করতে পারেননি।
আকাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় যাওয়াই ছিল আমাদের জীবনের সবচেয়ে ভুল সিদ্ধান্ত। আমরা কয়েকজন একসঙ্গেই দেশে ফিরে এসেছি। আর কখনো বিদেশে যেতে চাই না।’
সম্প্রতি মালয়েশিয়াগামী শ্রমিকদের নিয়ে একটি জরিপ শুরু করেছে দেশের একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ নিয়ে তদন্তে নেমেছে। এতে ৬০টি রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে নতুন করে অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি উঠে এসেছে।
দুদকের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে মোট ২ লাখ ৬৭ হাজার ২৭৬ জন শ্রমিকের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৪ হাজার ৫৪৫ কোটি ২০ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দালাল চক্র। এই অর্থ আত্মসাৎ করেছে দেশের ৬০টি রিক্রুটিং এজেন্সি। এসব এজেন্সির ১২৪ জনের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগও পেয়েছে দুদক।
এই চার বছরে ১০০ এজেন্সির বিরুদ্ধে শ্রমিকদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফির চেয়ে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো শ্রমিকদের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছে ৭ হাজার ৯৮৪ কোটি ১৫ লাখ ৭ হাজার ৫০০ টাকা। এজেন্সিগুলোর ২৩২ জন দায়িত্বশীল ব্যক্তির বিরুদ্ধে টাকা আদায়ের সুস্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা।
দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে এসব অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের নাম। এর মধ্যে কয়েকটি হলো—জনতা ট্রাভেলস লিমিটেড, ত্রিবেনী ইন্টারন্যাশনাল, এমএস সান ওভারসিজ, কিসওয়া এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, নাতাশা ওভারসিজ, রমনা এয়ার ইন্টারন্যাশনাল, উইন ইন্টারন্যাশনাল, মৃধা ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন, প্রান্তিক ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম লিমিটেড, সুলতান ওভারসিজ ও প্রভাতী ইন্টারন্যাশনাল।
দুদকের একটি সূত্র জানায়, প্রবাসী শ্রমিকদের রক্ত-ঘামে উপার্জন করা টাকা বহু বছর ধরে হাতিয়ে নিচ্ছিল এ চক্র। তদন্ত শেষে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন অনিয়ম ও সিন্ডিকেটের কারণে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করেছিল মালয়েশিয়া। পরে ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর দেশটি পুনরায় বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার চুক্তি করে। তখন শ্রমিক ভিসায় যেতে সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার ৫৪০ টাকা ফি নির্ধারণ করে সরকার, যা ২০২২ সালে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত খরচের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি অর্থ আদায় করেছে।

পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে ঢাকার ছোট চায়ের দোকান ছেড়ে উন্নত জীবনের আশায় ২০২২ সালে মালয়েশিয়ার পথে পা বাড়ান কুমিল্লার চান্দিনার যুবক আকাশ। পরিবারকে একটু স্বস্তি দিতে শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে দেশে-বিদেশে দালালদের টাকা পরিশোধ করে বিদেশে গেলেও সেখানে গিয়ে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিল ভয়াবহ বাস্তবতা।
মালয়েশিয়ায় পৌঁছানোর পর আকাশ বুঝতে পারেন, যে বেতনের কথা বলা হয়েছিল, এর সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই। যেখানে খেয়ে-পরে টিকে থাকা কঠিন, সেখানে সঞ্চয়ের তো প্রশ্নই আসে না। ঢাকায় তাঁর আগের চায়ের দোকান থেকেও কম আয় হয় সেখানে। কয়েক মাসের মধ্যে বুঝে যান, বিদেশে আসা ছিল জীবনের বড় ভুল। নিজের সঙ্গে বিপদে ফেলেছেন পরিবারকেও।
অবশেষে ২০২৩ সালে দেশে ফিরে কমলাপুর ফুটপাতে আবার শুরু করেন চায়ের দোকান। দুই বছরে ধারদেনা শোধ করেছেন, তবে বাবার জমিটা উদ্ধার করতে পারেননি।
আকাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় যাওয়াই ছিল আমাদের জীবনের সবচেয়ে ভুল সিদ্ধান্ত। আমরা কয়েকজন একসঙ্গেই দেশে ফিরে এসেছি। আর কখনো বিদেশে যেতে চাই না।’
সম্প্রতি মালয়েশিয়াগামী শ্রমিকদের নিয়ে একটি জরিপ শুরু করেছে দেশের একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ নিয়ে তদন্তে নেমেছে। এতে ৬০টি রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে নতুন করে অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি উঠে এসেছে।
দুদকের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে মোট ২ লাখ ৬৭ হাজার ২৭৬ জন শ্রমিকের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৪ হাজার ৫৪৫ কোটি ২০ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দালাল চক্র। এই অর্থ আত্মসাৎ করেছে দেশের ৬০টি রিক্রুটিং এজেন্সি। এসব এজেন্সির ১২৪ জনের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগও পেয়েছে দুদক।
এই চার বছরে ১০০ এজেন্সির বিরুদ্ধে শ্রমিকদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফির চেয়ে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো শ্রমিকদের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছে ৭ হাজার ৯৮৪ কোটি ১৫ লাখ ৭ হাজার ৫০০ টাকা। এজেন্সিগুলোর ২৩২ জন দায়িত্বশীল ব্যক্তির বিরুদ্ধে টাকা আদায়ের সুস্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা।
দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে এসব অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের নাম। এর মধ্যে কয়েকটি হলো—জনতা ট্রাভেলস লিমিটেড, ত্রিবেনী ইন্টারন্যাশনাল, এমএস সান ওভারসিজ, কিসওয়া এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, নাতাশা ওভারসিজ, রমনা এয়ার ইন্টারন্যাশনাল, উইন ইন্টারন্যাশনাল, মৃধা ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন, প্রান্তিক ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম লিমিটেড, সুলতান ওভারসিজ ও প্রভাতী ইন্টারন্যাশনাল।
দুদকের একটি সূত্র জানায়, প্রবাসী শ্রমিকদের রক্ত-ঘামে উপার্জন করা টাকা বহু বছর ধরে হাতিয়ে নিচ্ছিল এ চক্র। তদন্ত শেষে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন অনিয়ম ও সিন্ডিকেটের কারণে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করেছিল মালয়েশিয়া। পরে ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর দেশটি পুনরায় বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার চুক্তি করে। তখন শ্রমিক ভিসায় যেতে সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার ৫৪০ টাকা ফি নির্ধারণ করে সরকার, যা ২০২২ সালে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত খরচের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি অর্থ আদায় করেছে।

‘রাখাইন রাজ্যের মানবিক সংকট বাড়ছে। জাতিসংঘ এবং বাংলাদেশ যৌথভাবে সহায়তা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করছে। যেহেতু অন্যান্য পথ অকার্যকর, বাংলাদেশই এখন একমাত্র বিকল্প হয়ে উঠেছে। তবে, সহায়তার ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক স্বচ্ছতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।’
২১ মে ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে থাকা দুই ছাত্র প্রতিনিধি আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলম পদত্যাগ করেছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৫টা ৮ মিনিটে তাঁরা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারি বাসভবন যমুনায় গিয়ে তাঁর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্য।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করা হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর)। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জাতির উদ্দেশে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভাষণে তফসিল ঘোষণা করবেন।
১ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে থাকা দুই ছাত্র প্রতিনিধির মধ্যে একজন, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নেবেন। তবে এ বিষয়ে স্পষ্ট করে তিনি কিছু বলেননি।
২ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে থাকা দুই ছাত্র প্রতিনিধি আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলম পদত্যাগ করেছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৫টা ৮ মিনিটে তাঁরা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারি বাসভবন যমুনায় গিয়ে তাঁর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর দুই উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সূত্র জানায়, আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করছেন। বৈঠকের বিষয়ে তাঁরা সাংবাদিকদের জানাবেন।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়, সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটের পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে সংবাদ সম্মেলন করা হবে। তবে সেখানে কে বক্তব্য রাখবেন তা জানানো হয়নি।
তফসিল ঘোষণার সম্ভাব্য সময় ঘোষণার পর থেকেই স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম শিগগির পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন আলোচনা চলছিল। কারণ, তাঁরা দুজনই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন।
এর মধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আজ সন্ধ্যায় বা আগামীকাল বৃহস্পতিবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারে বলে খবর আসার পর দুই উপদেষ্টা আজ পদত্যাগ করবেন বলে গুঞ্জন জোরালো হয়।
বেলা সাড়ে ৩টার দিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও পদত্যাগের বিষয়ে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
তিনি বলেন, তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন। তবে পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে। কোন দলের মনোনয়ন নেবেন, সেটি পরে জানাবেন।
গতবছর কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এক পর্যায়ে জুলাই–আগস্ট অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। একপর্যায়ে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতন হয়। ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।
শুরুতেই ওই সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পান আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও আসিফ। আর মাহফুজ আলম উপদেষ্টার পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পান। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাঁরা।
মাহফুজ পরে উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন, কিছুদিন দপ্তরবিহীন ছিলেন। নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের পর তিনি তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার দায়িত্ব পান।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে থাকা দুই ছাত্র প্রতিনিধি আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলম পদত্যাগ করেছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৫টা ৮ মিনিটে তাঁরা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারি বাসভবন যমুনায় গিয়ে তাঁর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর দুই উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সূত্র জানায়, আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করছেন। বৈঠকের বিষয়ে তাঁরা সাংবাদিকদের জানাবেন।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়, সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটের পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে সংবাদ সম্মেলন করা হবে। তবে সেখানে কে বক্তব্য রাখবেন তা জানানো হয়নি।
তফসিল ঘোষণার সম্ভাব্য সময় ঘোষণার পর থেকেই স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম শিগগির পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন আলোচনা চলছিল। কারণ, তাঁরা দুজনই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন।
এর মধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আজ সন্ধ্যায় বা আগামীকাল বৃহস্পতিবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারে বলে খবর আসার পর দুই উপদেষ্টা আজ পদত্যাগ করবেন বলে গুঞ্জন জোরালো হয়।
বেলা সাড়ে ৩টার দিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও পদত্যাগের বিষয়ে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
তিনি বলেন, তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন। তবে পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে। কোন দলের মনোনয়ন নেবেন, সেটি পরে জানাবেন।
গতবছর কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এক পর্যায়ে জুলাই–আগস্ট অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। একপর্যায়ে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতন হয়। ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।
শুরুতেই ওই সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পান আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও আসিফ। আর মাহফুজ আলম উপদেষ্টার পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পান। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাঁরা।
মাহফুজ পরে উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন, কিছুদিন দপ্তরবিহীন ছিলেন। নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের পর তিনি তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার দায়িত্ব পান।

‘রাখাইন রাজ্যের মানবিক সংকট বাড়ছে। জাতিসংঘ এবং বাংলাদেশ যৌথভাবে সহায়তা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করছে। যেহেতু অন্যান্য পথ অকার্যকর, বাংলাদেশই এখন একমাত্র বিকল্প হয়ে উঠেছে। তবে, সহায়তার ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক স্বচ্ছতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।’
২১ মে ২০২৫
দুদকের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে মোট ২ লাখ ৬৭ হাজার ২৭৬ জন শ্রমিকের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৪ হাজার ৫৪৫ কোটি ২০ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দালাল চক্র। এই অর্থ আত্মসাৎ করেছে দেশের ৬০টি রিক্রুটিং এজেন্সি। এসব এজেন্সির ১২৪ জনের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগও পেয়েছে দুদক।
২০ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করা হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর)। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জাতির উদ্দেশে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভাষণে তফসিল ঘোষণা করবেন।
১ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে থাকা দুই ছাত্র প্রতিনিধির মধ্যে একজন, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নেবেন। তবে এ বিষয়ে স্পষ্ট করে তিনি কিছু বলেননি।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করা হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর)। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জাতির উদ্দেশে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভাষণে তফসিল ঘোষণা করবেন।
আজ বুধবার বিকেলে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর আগে দুপুরে ইসি সচিব জানান, আজ বিকেল ৪টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষণ রেকর্ড করা হবে।
এবার সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এ দুটি নির্বাচনের তফসিল একই সঙ্গে ঘোষণা করা হবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করা হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর)। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জাতির উদ্দেশে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভাষণে তফসিল ঘোষণা করবেন।
আজ বুধবার বিকেলে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর আগে দুপুরে ইসি সচিব জানান, আজ বিকেল ৪টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষণ রেকর্ড করা হবে।
এবার সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এ দুটি নির্বাচনের তফসিল একই সঙ্গে ঘোষণা করা হবে।

‘রাখাইন রাজ্যের মানবিক সংকট বাড়ছে। জাতিসংঘ এবং বাংলাদেশ যৌথভাবে সহায়তা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করছে। যেহেতু অন্যান্য পথ অকার্যকর, বাংলাদেশই এখন একমাত্র বিকল্প হয়ে উঠেছে। তবে, সহায়তার ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক স্বচ্ছতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।’
২১ মে ২০২৫
দুদকের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে মোট ২ লাখ ৬৭ হাজার ২৭৬ জন শ্রমিকের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৪ হাজার ৫৪৫ কোটি ২০ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দালাল চক্র। এই অর্থ আত্মসাৎ করেছে দেশের ৬০টি রিক্রুটিং এজেন্সি। এসব এজেন্সির ১২৪ জনের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগও পেয়েছে দুদক।
২০ মিনিট আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে থাকা দুই ছাত্র প্রতিনিধি আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলম পদত্যাগ করেছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৫টা ৮ মিনিটে তাঁরা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারি বাসভবন যমুনায় গিয়ে তাঁর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্য।
১ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে থাকা দুই ছাত্র প্রতিনিধির মধ্যে একজন, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নেবেন। তবে এ বিষয়ে স্পষ্ট করে তিনি কিছু বলেননি।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে থাকা দুই ছাত্র প্রতিনিধির মধ্যে একজন, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নেবেন। তবে এ বিষয়ে স্পষ্ট করে তিনি কিছু বলেননি।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তাঁর অধীনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নানা উদ্যোগ ও উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরেন আসিফ মাহমুদ। শেষ দিকে সাংবাদিকদের কাছ থেকে প্রশ্ন চান। এ সময় পদত্যাগ ও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আসিফ মাহমুদ জানান, তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন। তবে পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে। কোন দলের মনোনয়ন নেবেন, সে প্রশ্নে বলেন, সেটি পরে জানাবেন।
আজ সন্ধ্যায় বা আগামীকাল বৃহস্পতিবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর আগেই দুই উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন বলে গুঞ্জন ছিল।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আজ বেলা ৩টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন বলে গতকাল জানিয়েছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন। উপদেষ্টা সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছিল।
আরেক ছাত্র প্রতিনিধি, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমও পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে এ বিষয়ে তিনি বা তাঁর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে থাকা দুই ছাত্র প্রতিনিধির মধ্যে একজন, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নেবেন। তবে এ বিষয়ে স্পষ্ট করে তিনি কিছু বলেননি।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তাঁর অধীনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নানা উদ্যোগ ও উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরেন আসিফ মাহমুদ। শেষ দিকে সাংবাদিকদের কাছ থেকে প্রশ্ন চান। এ সময় পদত্যাগ ও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আসিফ মাহমুদ জানান, তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন। তবে পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে। কোন দলের মনোনয়ন নেবেন, সে প্রশ্নে বলেন, সেটি পরে জানাবেন।
আজ সন্ধ্যায় বা আগামীকাল বৃহস্পতিবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর আগেই দুই উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন বলে গুঞ্জন ছিল।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আজ বেলা ৩টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন বলে গতকাল জানিয়েছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন। উপদেষ্টা সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছিল।
আরেক ছাত্র প্রতিনিধি, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমও পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে এ বিষয়ে তিনি বা তাঁর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

‘রাখাইন রাজ্যের মানবিক সংকট বাড়ছে। জাতিসংঘ এবং বাংলাদেশ যৌথভাবে সহায়তা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করছে। যেহেতু অন্যান্য পথ অকার্যকর, বাংলাদেশই এখন একমাত্র বিকল্প হয়ে উঠেছে। তবে, সহায়তার ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক স্বচ্ছতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।’
২১ মে ২০২৫
দুদকের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে মোট ২ লাখ ৬৭ হাজার ২৭৬ জন শ্রমিকের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৪ হাজার ৫৪৫ কোটি ২০ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দালাল চক্র। এই অর্থ আত্মসাৎ করেছে দেশের ৬০টি রিক্রুটিং এজেন্সি। এসব এজেন্সির ১২৪ জনের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগও পেয়েছে দুদক।
২০ মিনিট আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে থাকা দুই ছাত্র প্রতিনিধি আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলম পদত্যাগ করেছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৫টা ৮ মিনিটে তাঁরা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারি বাসভবন যমুনায় গিয়ে তাঁর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্য।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করা হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর)। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জাতির উদ্দেশে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভাষণে তফসিল ঘোষণা করবেন।
১ ঘণ্টা আগে