নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের একাধিকবার বলেছেন এ বছরের জুনেই পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকেও এমন কথাই বলা হয়েছে। তবে গতকাল বুধবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী চলতি বছরের শেষ নাগাদ পদ্মা সেতু উদ্বোধনের কথা বলেছেন। বিষয়টি নিয়ে পরে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। আজ বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আবার বললেন, জুনেই চালু হবে পদ্মা সেতু।
ফলে পদ্মা সেতুতে আসলে কবে থেকে গাড়ি চলবে, এ নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে।
আজ বিকেলে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এ বছরের শেষের দিকে পদ্মা সেতু চালু হবে। আমরা প্রত্যাশা করে আছি এ বছরের শেষ নাগাদ এটি চালু করতে পারব, এটা আমাদের প্রত্যাশা। আমাদের বছরটি শেষ হবে জুন মাসে। আমাদের ফিন্যান্সিয়াল (অর্থবছর) বছর যেটি জুনে শেষ হবে। আমরা বিশ্বাস করি, এর মধ্যে আমরা এটি চালু করতে পারব।’
চলতি বছরের শেষ নাগাদ পদ্মা সেতু চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে দ্রুতগতিতে কাজ এগিয়ে চলছে বলে গতকাল বুধবার সংসদে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সাংসদ শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু প্রকল্পের উভয় প্রান্তে অ্যাপ্রোচ রোড ও সার্ভিস এরিয়ার কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। মূল সেতুর ভৌত অগ্রগতি ৯৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। বর্তমানে সেতুতে কার্পেটিং, ভায়াডাক্ট কার্পেটিং, ওয়াটারপ্রুফ মেমব্রেন, মূল সেতু ও ভায়াডাক্টের মুভমেন্ট জয়েন্ট, ল্যাম্পপোস্ট, অ্যালুমিনিয়াম রেলিং, গ্যাসের পাইপলাইন, ৪০০ কেভিএ বিদ্যুৎ এবং রেললাইন নির্মাণের কাজ চলমান। ২০২২ সালের শেষ নাগাদ পদ্মা সেতু চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।’
পদ্মা সেতু প্রকল্পের সংশোধিত ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে গত ৩ মার্চ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে উদ্ধৃত করে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি বছরের জুনে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
পদ্মা সেতুর সর্বশেষ অগ্রগতির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকল্পের সার্বিক কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৯২ শতাংশ এবং নদীশাসনের কাজ শেষ হয়েছে ৯০ দশমিক ৫০ শতাংশ। মূল সেতুর কার্পেটিং কাজ হয়েছে ৬৬ শতাংশ। গ্যাস পাইপলাইনের কাজের অগ্রগতি ৯৯ শতাংশ এবং ৪০০ কেভি বিদ্যুৎ লাইনের কাজের অগ্রগতি ৭৯ শতাংশ।
এ ছাড়া আগামী জুন মাসের মধ্যে পদ্মা বহুমুখী সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে একাধিকবার জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর মুখে সেই সময়সীমা পেছানোর তথ্যের ব্যাখ্যা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। উদ্বোধনের সময়সীমা পেছানোর বিষয়ে গতকাল বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক নিয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বলেছি ৩০ জুনের মধ্যে পদ্মা সেতু ওপেন করে দেব।’
তবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে পদ্মা সেতু চালু হবে বলে প্রধানমন্ত্রী সংসদে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আসলে তো পদ্মা সেতু শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময় ২০২২ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত। আমরা চেষ্টা করছি যে, যদি সম্ভব হয়, দেখা যাক, আমি ওনার (প্রধানমন্ত্রী) সঙ্গেও কথা বলব যে উনি কী বলেন।’
সচিব আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘উনি (প্রধানমন্ত্রী) যে কথাটি বলেছেন তার একটি লজিক হলো, রিসেন্টলি কিছু মালামাল আসতে সমস্যা হচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য। এই মালামালগুলো মার্চ মাসে আসার কথা ছিল, কিন্তু এখন কিছুটা অনিশ্চয়তা চলে এসেছে। এ জন্য আমার মনে হয়, আমাদের একটি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। আমাদের টাইম আছে ২০২২ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত।’ খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে এসব মালামাল আসবে। কিছু কিছু মালামাল আছে যেগুলো পৃথিবীতে একটা বা দু’টো দেশই বানায়। এখন এমনিতেও কোভিডের জন্য আসতে দেরি হচ্ছিল, এখন যুদ্ধের কারণে দেরি হচ্ছে।’
এদিকে পদ্মা সেতুর টোল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আজ অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে আমরা যে পরিমাণ খরচ করেছি, সেটা পূর্ণমাত্রায় টোল বাবদ আদায় করব। আমরা অন্য প্রজেক্টগুলো থেকেও কিন্তু টোল আদায় করছি। টোলের হার এখনো ঠিক হয়নি। হলে আপনারা জানতে পারবেন।’
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে হঠাৎ করে বাংলাদেশের অর্থনীতির তুলনা করছেন অনেকে। এ নিয়ে অস্বস্তিবোধ করছেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এ আলোচনা তো আমরা করিনি। কেউ যদি আলোচনা করে সেটি তারা করতে পারে। সেটি আমাদের জন্য প্রযোজ্য কি না তা আপনারা ভালোভাবে বুঝতে পারছেন। এটি আমাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। আপনারা ভালোভাবেই জানেন আমাদের ফরেন এক্সচেঞ্জ (বৈদেশিক মুদ্রা) রিজার্ভও অনেক ওপরে আছে। আমাদের রেভিনিউ (রাজস্ব) বাড়ছে, রিজার্ভ বাড়ছে, ইনফ্লেশনও (মুদ্রাস্ফীতি) নিয়ন্ত্রিত। তাহলে সমস্যা কোথায়, আমাদের তো সমস্যা নাই। আমি মনে করি আমরা নিরাপদ।’
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের একাধিকবার বলেছেন এ বছরের জুনেই পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকেও এমন কথাই বলা হয়েছে। তবে গতকাল বুধবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী চলতি বছরের শেষ নাগাদ পদ্মা সেতু উদ্বোধনের কথা বলেছেন। বিষয়টি নিয়ে পরে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। আজ বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আবার বললেন, জুনেই চালু হবে পদ্মা সেতু।
ফলে পদ্মা সেতুতে আসলে কবে থেকে গাড়ি চলবে, এ নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে।
আজ বিকেলে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এ বছরের শেষের দিকে পদ্মা সেতু চালু হবে। আমরা প্রত্যাশা করে আছি এ বছরের শেষ নাগাদ এটি চালু করতে পারব, এটা আমাদের প্রত্যাশা। আমাদের বছরটি শেষ হবে জুন মাসে। আমাদের ফিন্যান্সিয়াল (অর্থবছর) বছর যেটি জুনে শেষ হবে। আমরা বিশ্বাস করি, এর মধ্যে আমরা এটি চালু করতে পারব।’
চলতি বছরের শেষ নাগাদ পদ্মা সেতু চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে দ্রুতগতিতে কাজ এগিয়ে চলছে বলে গতকাল বুধবার সংসদে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সাংসদ শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু প্রকল্পের উভয় প্রান্তে অ্যাপ্রোচ রোড ও সার্ভিস এরিয়ার কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। মূল সেতুর ভৌত অগ্রগতি ৯৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। বর্তমানে সেতুতে কার্পেটিং, ভায়াডাক্ট কার্পেটিং, ওয়াটারপ্রুফ মেমব্রেন, মূল সেতু ও ভায়াডাক্টের মুভমেন্ট জয়েন্ট, ল্যাম্পপোস্ট, অ্যালুমিনিয়াম রেলিং, গ্যাসের পাইপলাইন, ৪০০ কেভিএ বিদ্যুৎ এবং রেললাইন নির্মাণের কাজ চলমান। ২০২২ সালের শেষ নাগাদ পদ্মা সেতু চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।’
পদ্মা সেতু প্রকল্পের সংশোধিত ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে গত ৩ মার্চ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে উদ্ধৃত করে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি বছরের জুনে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
পদ্মা সেতুর সর্বশেষ অগ্রগতির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকল্পের সার্বিক কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৯২ শতাংশ এবং নদীশাসনের কাজ শেষ হয়েছে ৯০ দশমিক ৫০ শতাংশ। মূল সেতুর কার্পেটিং কাজ হয়েছে ৬৬ শতাংশ। গ্যাস পাইপলাইনের কাজের অগ্রগতি ৯৯ শতাংশ এবং ৪০০ কেভি বিদ্যুৎ লাইনের কাজের অগ্রগতি ৭৯ শতাংশ।
এ ছাড়া আগামী জুন মাসের মধ্যে পদ্মা বহুমুখী সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে একাধিকবার জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর মুখে সেই সময়সীমা পেছানোর তথ্যের ব্যাখ্যা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। উদ্বোধনের সময়সীমা পেছানোর বিষয়ে গতকাল বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক নিয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বলেছি ৩০ জুনের মধ্যে পদ্মা সেতু ওপেন করে দেব।’
তবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে পদ্মা সেতু চালু হবে বলে প্রধানমন্ত্রী সংসদে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আসলে তো পদ্মা সেতু শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময় ২০২২ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত। আমরা চেষ্টা করছি যে, যদি সম্ভব হয়, দেখা যাক, আমি ওনার (প্রধানমন্ত্রী) সঙ্গেও কথা বলব যে উনি কী বলেন।’
সচিব আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘উনি (প্রধানমন্ত্রী) যে কথাটি বলেছেন তার একটি লজিক হলো, রিসেন্টলি কিছু মালামাল আসতে সমস্যা হচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য। এই মালামালগুলো মার্চ মাসে আসার কথা ছিল, কিন্তু এখন কিছুটা অনিশ্চয়তা চলে এসেছে। এ জন্য আমার মনে হয়, আমাদের একটি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। আমাদের টাইম আছে ২০২২ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত।’ খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে এসব মালামাল আসবে। কিছু কিছু মালামাল আছে যেগুলো পৃথিবীতে একটা বা দু’টো দেশই বানায়। এখন এমনিতেও কোভিডের জন্য আসতে দেরি হচ্ছিল, এখন যুদ্ধের কারণে দেরি হচ্ছে।’
এদিকে পদ্মা সেতুর টোল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আজ অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে আমরা যে পরিমাণ খরচ করেছি, সেটা পূর্ণমাত্রায় টোল বাবদ আদায় করব। আমরা অন্য প্রজেক্টগুলো থেকেও কিন্তু টোল আদায় করছি। টোলের হার এখনো ঠিক হয়নি। হলে আপনারা জানতে পারবেন।’
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে হঠাৎ করে বাংলাদেশের অর্থনীতির তুলনা করছেন অনেকে। এ নিয়ে অস্বস্তিবোধ করছেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এ আলোচনা তো আমরা করিনি। কেউ যদি আলোচনা করে সেটি তারা করতে পারে। সেটি আমাদের জন্য প্রযোজ্য কি না তা আপনারা ভালোভাবে বুঝতে পারছেন। এটি আমাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। আপনারা ভালোভাবেই জানেন আমাদের ফরেন এক্সচেঞ্জ (বৈদেশিক মুদ্রা) রিজার্ভও অনেক ওপরে আছে। আমাদের রেভিনিউ (রাজস্ব) বাড়ছে, রিজার্ভ বাড়ছে, ইনফ্লেশনও (মুদ্রাস্ফীতি) নিয়ন্ত্রিত। তাহলে সমস্যা কোথায়, আমাদের তো সমস্যা নাই। আমি মনে করি আমরা নিরাপদ।’
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহিনুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে চাকরিচ্যুতির আগেই তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
সরকারের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ দিতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সুপারিশ পেশ করা হবে।
৫ ঘণ্টা আগেদুই দশক পর জেইসি বৈঠক
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন অর্থ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আর পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন দেশটির জ্বালানি (পেট্রোলিয়াম বিভাগ) মন্ত্রী আলী পারভেজ মালিক। বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
২০০৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সর্বশেষ জেইসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘ দুই দশক পর আবার বৈঠক বসল, যা দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন গতি এনেছে। বিশেষ করে গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগ উষ্ণ হতে শুরু করেছে।
সভা শেষে সাংবাদিকদের পাকিস্তানের পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী বলেন, ‘দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ এখনো ১ বিলিয়ন ডলারের নিচে, এর পরিমাণ বাড়ানো উচিত। আমরা বাংলাদেশ থেকে পাটসহ কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে চাই। ২০ বছর পর এই জেইসি বৈঠক হলো। একটি ইতিবাচক আলোচনার ধারা সৃষ্টি হয়েছে। দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ সম্প্রসারণে কোথায় সম্ভাবনা আছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও আলোচনা হবে।’
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আকাশ ও নৌপথে সরাসরি যোগাযোগ আবার চালু, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তিনি বৈঠকটিকে ‘অত্যন্ত সফল’ বলে উল্লেখ করেন।
বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, জ্বালানি, উচ্চশিক্ষা, ব্যাংকিং, পর্যটন, ক্রীড়া ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। উভয় দেশই বন্দর ও লজিস্টিক সুবিধা ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবহন ব্যয় হ্রাস ও আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহ প্রকাশ করে।
একই বৈঠকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এবং পাকিস্তান হালাল অথরিটির (পিএইচএ) মধ্যে ‘হালাল বাণিজ্য সহযোগিতা’ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাকসুরা নূর এবং পাকিস্তানের পক্ষে ঢাকায় হাইকমিশনার ইমরান হায়দার।
বৈঠক শেষে উভয় দেশই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার ও অর্থনৈতিক অংশীদারত্বকে নতুন উচ্চতায় নেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে। সিদ্ধান্ত হয়, পরবর্তী (দশম) জেইসি বৈঠক পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন অর্থ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আর পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন দেশটির জ্বালানি (পেট্রোলিয়াম বিভাগ) মন্ত্রী আলী পারভেজ মালিক। বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
২০০৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সর্বশেষ জেইসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘ দুই দশক পর আবার বৈঠক বসল, যা দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন গতি এনেছে। বিশেষ করে গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগ উষ্ণ হতে শুরু করেছে।
সভা শেষে সাংবাদিকদের পাকিস্তানের পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী বলেন, ‘দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ এখনো ১ বিলিয়ন ডলারের নিচে, এর পরিমাণ বাড়ানো উচিত। আমরা বাংলাদেশ থেকে পাটসহ কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে চাই। ২০ বছর পর এই জেইসি বৈঠক হলো। একটি ইতিবাচক আলোচনার ধারা সৃষ্টি হয়েছে। দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ সম্প্রসারণে কোথায় সম্ভাবনা আছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও আলোচনা হবে।’
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আকাশ ও নৌপথে সরাসরি যোগাযোগ আবার চালু, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তিনি বৈঠকটিকে ‘অত্যন্ত সফল’ বলে উল্লেখ করেন।
বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, জ্বালানি, উচ্চশিক্ষা, ব্যাংকিং, পর্যটন, ক্রীড়া ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। উভয় দেশই বন্দর ও লজিস্টিক সুবিধা ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবহন ব্যয় হ্রাস ও আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহ প্রকাশ করে।
একই বৈঠকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এবং পাকিস্তান হালাল অথরিটির (পিএইচএ) মধ্যে ‘হালাল বাণিজ্য সহযোগিতা’ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাকসুরা নূর এবং পাকিস্তানের পক্ষে ঢাকায় হাইকমিশনার ইমরান হায়দার।
বৈঠক শেষে উভয় দেশই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার ও অর্থনৈতিক অংশীদারত্বকে নতুন উচ্চতায় নেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে। সিদ্ধান্ত হয়, পরবর্তী (দশম) জেইসি বৈঠক পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এ বছরের শেষের দিকে পদ্মা সেতু চালু হবে। আমরা প্রত্যাশা করে আছি এ বছরের শেষ নাগাদ এটি চালু করতে পারব, এটা আমাদের প্রত্যাশা। আমাদের বছরটি শেষ হবে জুন মাসে।
০৭ এপ্রিল ২০২২
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহিনুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে চাকরিচ্যুতির আগেই তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
সরকারের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ দিতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সুপারিশ পেশ করা হবে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে ইসি সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদও উপস্থিত ছিলেন। তবে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে কথা বলেননি ইইউ রাষ্ট্রদূত।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘ইইউ আমাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। এ ছাড়া তারা আগামী সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে। এ জন্য তারা একটি প্রাক-নির্বাচনী মূল্যায়ন দল পাঠাবে।’
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইইউর সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ইসির সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠক শেষে ইসি সচিব জানান, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে ইইউর একটি বড় দল বাংলাদেশে আসবে। প্রায় ১৫০ সদস্যের এই পর্যবেক্ষক দল নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে ধাপে ধাপে বাংলাদেশে আসবে।
ইসি সচিব আরও জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে পর্যবেক্ষক মিশন বাস্তবায়ন করা হবে। পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষে গেজেট প্রকাশ পর্যন্ত তারা পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম চালাবে।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে ইসি সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদও উপস্থিত ছিলেন। তবে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে কথা বলেননি ইইউ রাষ্ট্রদূত।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘ইইউ আমাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। এ ছাড়া তারা আগামী সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে। এ জন্য তারা একটি প্রাক-নির্বাচনী মূল্যায়ন দল পাঠাবে।’
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইইউর সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ইসির সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠক শেষে ইসি সচিব জানান, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে ইইউর একটি বড় দল বাংলাদেশে আসবে। প্রায় ১৫০ সদস্যের এই পর্যবেক্ষক দল নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে ধাপে ধাপে বাংলাদেশে আসবে।
ইসি সচিব আরও জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে পর্যবেক্ষক মিশন বাস্তবায়ন করা হবে। পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষে গেজেট প্রকাশ পর্যন্ত তারা পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম চালাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এ বছরের শেষের দিকে পদ্মা সেতু চালু হবে। আমরা প্রত্যাশা করে আছি এ বছরের শেষ নাগাদ এটি চালু করতে পারব, এটা আমাদের প্রত্যাশা। আমাদের বছরটি শেষ হবে জুন মাসে।
০৭ এপ্রিল ২০২২
বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক
৩ ঘণ্টা আগে
অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহিনুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে চাকরিচ্যুতির আগেই তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
সরকারের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ দিতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সুপারিশ পেশ করা হবে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহিনুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে চাকরিচ্যুতির আগেই তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগারগাঁও বিভাগীয় অফিসের সহকারী পরিচালক শাহিনুর রহমানকে গত বছরের ৩০ মে গোপালগঞ্জের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে বদলি করা হয়। বদলি আদেশের পর কর্মস্থলে যোগদানের জন্য গত বছরের ৮ জুলাই আগের কর্মস্থল থেকে রিলিজ লেটার বা ছাড়পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি বদলি করা কর্মস্থলে যোগদান করেননি।
পরে তিনি ৯ জুলাই চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। আবেদন মঞ্জুর হওয়ার আগেই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন। এ জন্য ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর হতে গত বছরের ৩ আগস্ট কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি নোটিশের জবাব দেননি। এরপর কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে ১৪১ দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, শাহিনুর রহমান বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে কর্মরত থাকাকালে নিজ পেশা ‘সরকারি চাকরি’ গোপন করে ‘শিক্ষক’ পেশা উল্লেখ করে নিজেই নিজের পাসপোর্টের আবেদন করেন। পরে তা নিজেই গ্রহণ করেন। তাঁর এই আচরণ ২০১৮ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ৩(খ) বিধি মোতাবেক ‘অসদাচরণ’ এবং ৩(গ) বিধি মোতাবেক ‘পলায়ন’-এর শামিল। এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি অভিযোগনামা দেওয়া হয়। তিনি অভিযোগনামার জবাব দেননি এবং ব্যক্তিগত শুনানির জন্য আবেদন করেননি।
গত ২৭ এপ্রিল তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আনীত ‘অসদাচরণ’ ও ‘পলায়ন’-এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিধিমালার ৪(৩)(ঘ) অনুযায়ী ‘চাকরি হতে বরখাস্তকরণ’-এর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে পাঠানো হলে সেখান থেকে তাঁকে ‘বরখাস্তকরণ’-এর বিষয়ে একমত পোষণ করে গুরুদণ্ডের পরামর্শ দেওয়া হয়।

অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহিনুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে চাকরিচ্যুতির আগেই তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগারগাঁও বিভাগীয় অফিসের সহকারী পরিচালক শাহিনুর রহমানকে গত বছরের ৩০ মে গোপালগঞ্জের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে বদলি করা হয়। বদলি আদেশের পর কর্মস্থলে যোগদানের জন্য গত বছরের ৮ জুলাই আগের কর্মস্থল থেকে রিলিজ লেটার বা ছাড়পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি বদলি করা কর্মস্থলে যোগদান করেননি।
পরে তিনি ৯ জুলাই চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। আবেদন মঞ্জুর হওয়ার আগেই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন। এ জন্য ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর হতে গত বছরের ৩ আগস্ট কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি নোটিশের জবাব দেননি। এরপর কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে ১৪১ দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, শাহিনুর রহমান বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে কর্মরত থাকাকালে নিজ পেশা ‘সরকারি চাকরি’ গোপন করে ‘শিক্ষক’ পেশা উল্লেখ করে নিজেই নিজের পাসপোর্টের আবেদন করেন। পরে তা নিজেই গ্রহণ করেন। তাঁর এই আচরণ ২০১৮ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ৩(খ) বিধি মোতাবেক ‘অসদাচরণ’ এবং ৩(গ) বিধি মোতাবেক ‘পলায়ন’-এর শামিল। এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি অভিযোগনামা দেওয়া হয়। তিনি অভিযোগনামার জবাব দেননি এবং ব্যক্তিগত শুনানির জন্য আবেদন করেননি।
গত ২৭ এপ্রিল তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আনীত ‘অসদাচরণ’ ও ‘পলায়ন’-এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিধিমালার ৪(৩)(ঘ) অনুযায়ী ‘চাকরি হতে বরখাস্তকরণ’-এর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে পাঠানো হলে সেখান থেকে তাঁকে ‘বরখাস্তকরণ’-এর বিষয়ে একমত পোষণ করে গুরুদণ্ডের পরামর্শ দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এ বছরের শেষের দিকে পদ্মা সেতু চালু হবে। আমরা প্রত্যাশা করে আছি এ বছরের শেষ নাগাদ এটি চালু করতে পারব, এটা আমাদের প্রত্যাশা। আমাদের বছরটি শেষ হবে জুন মাসে।
০৭ এপ্রিল ২০২২
বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
সরকারের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ দিতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সুপারিশ পেশ করা হবে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ দিতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সুপারিশ পেশ করা হবে।
আজ সোমবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে কমিশনের সমাপনী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
সমাপনী বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের পর থেকে চূড়ান্ত সুপারিশ প্রদান পর্যন্ত সব ডকুমেন্ট, আলোচনার ভিডিও, অডিও, ছবি সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এগুলো মহামূল্যবান সম্পদ। জাতি হিসেবে আমরা কোন প্রেক্ষাপটে কী প্রক্রিয়ায় কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছালাম, তা সবার জন্য দীর্ঘ মেয়াদে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং উন্মুক্ত থাকা দরকার। যত বৈঠক হয়েছে, সেগুলোর ছবি ও ভিডিও, যত চিঠি চালাচালি হয়েছে—সব ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করতে হবে এবং ক্যাটাগরি করে রাখতে হবে। টেলিভিশনে যেসব আলোচনা লাইভ প্রচার হয়েছে, সেগুলো খণ্ড খণ্ড আকারে সংরক্ষণ করতে হবে। কারণ, এগুলো হবে ইতিহাসের চিরজীবন্ত দলিল। যারা গবেষণা করতে চায় তারা যেন এগুলো দেখে কাজে লাগাতে পারে। প্রজন্মের পর প্রজন্মে এই ডকুমেন্ট থেকে যাবে। এ দলিলগুলোই ভবিষ্যতের রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।’
এ সময় রাজনৈতিক দল, ঐকমত্য কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী, গবেষক ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রধান উপদেষ্টা।
সমাপনী বৈঠকে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা চূড়ান্ত করার পাশাপাশি অন্য সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়নেও সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কমিশনের সদস্যরা।
‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বাংলাদেশে একটি স্থায়ী জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপনের জন্য কাজ করেছে’ উল্লেখ করে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি আইন বিশেষজ্ঞ, বিচারপতি, শিক্ষাবিদসহ নাগরিক সমাজের বিশিষ্টজনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করা হয়েছে।’
কমিশনের সহসভাপতি আরও বলেন, ‘চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের তিনটি মূল দায়িত্বের (বিচার, সংস্কার, নির্বাচন) একটি কাঠামোগত সংস্কার। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান দায়িত্ব ছিল সংস্কারের একটি রূপরেখা তৈরি করা। মিল-অমিল সত্ত্বেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা দৃশ্যমান ছিল। তারা বরাবরই আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন। দিনের পর দিন অত্যন্ত ধৈর্য ও বিচক্ষণতার সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়েছেন।’
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘চব্বিশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থান আমাদের যে সুযোগ দিয়েছে, সেটা যেন হারিয়ে না ফেলি। কমিশন সংস্কারকেই অগ্রাধিকার দিয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে জনগণ কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন দেখতে পারে। কমিশন দায়িত্ব শেষ করল। কাল আনুষ্ঠানিকভাবে সুপারিশ হস্তান্তর করা হবে। কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে ৩১ অক্টোবর। এরপরও সরকারের প্রয়োজন হলে এ দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা প্রদানের চেষ্টা করব।’
নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান ও কমিশন সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে সবাই সরকারের নিবিষ্টতা ও সাহসিকতা প্রত্যাশা করে। গণ-অভ্যুত্থানে এত তাজা প্রাণ ঝরে গেল, এত মানুষ আহত হলো—এটা স্মরণে রেখে প্রয়োজনীয় সংস্কার যাতে নিশ্চিত হয়। এ সুযোগ যেন না হারাই।’
কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য ছিল একই রকম আন্তরিকতার প্রতিফলন ছিল কমিশনের বৈঠকগুলোতে। এটা খুবই ইতিবাচক দিক।’
পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান ও কমিশন সদস্য সফর রাজ বলেন, ‘প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলো বসে ধৈর্যের সঙ্গে আলোচনা করেছে। ভবিষ্যতেও যেন এ ধরনের সৌহার্দ্য থাকে, এটিই আমাদের প্রত্যাশা।’
দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ও কমিশন সদস্য ড. ইফতেখারুজ্জামান জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পাশাপাশি দুদক সংস্কারেও সরকারকে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার বলেন, ‘যতগুলো শহীদ পরিবারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, তাঁরা প্রত্যেকে আমাদের জানিয়েছেন সংস্কার নিশ্চিত করা না হলে তাঁদের সন্তানদের জীবন উৎসর্গ করা বৃথা যাবে বলে তাঁরা মনে করেন। যারা জুলাইয়ে জীবন দিল তারাই এর মূল ভিত্তি।’
আগামীকাল দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ হস্তান্তর করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

সরকারের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ দিতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সুপারিশ পেশ করা হবে।
আজ সোমবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে কমিশনের সমাপনী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
সমাপনী বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের পর থেকে চূড়ান্ত সুপারিশ প্রদান পর্যন্ত সব ডকুমেন্ট, আলোচনার ভিডিও, অডিও, ছবি সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এগুলো মহামূল্যবান সম্পদ। জাতি হিসেবে আমরা কোন প্রেক্ষাপটে কী প্রক্রিয়ায় কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছালাম, তা সবার জন্য দীর্ঘ মেয়াদে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং উন্মুক্ত থাকা দরকার। যত বৈঠক হয়েছে, সেগুলোর ছবি ও ভিডিও, যত চিঠি চালাচালি হয়েছে—সব ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করতে হবে এবং ক্যাটাগরি করে রাখতে হবে। টেলিভিশনে যেসব আলোচনা লাইভ প্রচার হয়েছে, সেগুলো খণ্ড খণ্ড আকারে সংরক্ষণ করতে হবে। কারণ, এগুলো হবে ইতিহাসের চিরজীবন্ত দলিল। যারা গবেষণা করতে চায় তারা যেন এগুলো দেখে কাজে লাগাতে পারে। প্রজন্মের পর প্রজন্মে এই ডকুমেন্ট থেকে যাবে। এ দলিলগুলোই ভবিষ্যতের রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।’
এ সময় রাজনৈতিক দল, ঐকমত্য কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী, গবেষক ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রধান উপদেষ্টা।
সমাপনী বৈঠকে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা চূড়ান্ত করার পাশাপাশি অন্য সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়নেও সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কমিশনের সদস্যরা।
‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বাংলাদেশে একটি স্থায়ী জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপনের জন্য কাজ করেছে’ উল্লেখ করে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি আইন বিশেষজ্ঞ, বিচারপতি, শিক্ষাবিদসহ নাগরিক সমাজের বিশিষ্টজনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করা হয়েছে।’
কমিশনের সহসভাপতি আরও বলেন, ‘চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের তিনটি মূল দায়িত্বের (বিচার, সংস্কার, নির্বাচন) একটি কাঠামোগত সংস্কার। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান দায়িত্ব ছিল সংস্কারের একটি রূপরেখা তৈরি করা। মিল-অমিল সত্ত্বেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা দৃশ্যমান ছিল। তারা বরাবরই আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন। দিনের পর দিন অত্যন্ত ধৈর্য ও বিচক্ষণতার সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়েছেন।’
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘চব্বিশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থান আমাদের যে সুযোগ দিয়েছে, সেটা যেন হারিয়ে না ফেলি। কমিশন সংস্কারকেই অগ্রাধিকার দিয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে জনগণ কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন দেখতে পারে। কমিশন দায়িত্ব শেষ করল। কাল আনুষ্ঠানিকভাবে সুপারিশ হস্তান্তর করা হবে। কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে ৩১ অক্টোবর। এরপরও সরকারের প্রয়োজন হলে এ দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা প্রদানের চেষ্টা করব।’
নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান ও কমিশন সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে সবাই সরকারের নিবিষ্টতা ও সাহসিকতা প্রত্যাশা করে। গণ-অভ্যুত্থানে এত তাজা প্রাণ ঝরে গেল, এত মানুষ আহত হলো—এটা স্মরণে রেখে প্রয়োজনীয় সংস্কার যাতে নিশ্চিত হয়। এ সুযোগ যেন না হারাই।’
কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য ছিল একই রকম আন্তরিকতার প্রতিফলন ছিল কমিশনের বৈঠকগুলোতে। এটা খুবই ইতিবাচক দিক।’
পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান ও কমিশন সদস্য সফর রাজ বলেন, ‘প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলো বসে ধৈর্যের সঙ্গে আলোচনা করেছে। ভবিষ্যতেও যেন এ ধরনের সৌহার্দ্য থাকে, এটিই আমাদের প্রত্যাশা।’
দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ও কমিশন সদস্য ড. ইফতেখারুজ্জামান জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পাশাপাশি দুদক সংস্কারেও সরকারকে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার বলেন, ‘যতগুলো শহীদ পরিবারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, তাঁরা প্রত্যেকে আমাদের জানিয়েছেন সংস্কার নিশ্চিত করা না হলে তাঁদের সন্তানদের জীবন উৎসর্গ করা বৃথা যাবে বলে তাঁরা মনে করেন। যারা জুলাইয়ে জীবন দিল তারাই এর মূল ভিত্তি।’
আগামীকাল দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ হস্তান্তর করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এ বছরের শেষের দিকে পদ্মা সেতু চালু হবে। আমরা প্রত্যাশা করে আছি এ বছরের শেষ নাগাদ এটি চালু করতে পারব, এটা আমাদের প্রত্যাশা। আমাদের বছরটি শেষ হবে জুন মাসে।
০৭ এপ্রিল ২০২২
বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহিনুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে চাকরিচ্যুতির আগেই তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগে