নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন বাজেট বাংলাদেশের মৌলিক শিল্প রক্ষায় বন্ধ সব পাটকল-চিনিকল চালু ও তার বিকাশের লক্ষ্যে মহাপরিকল্পনা গ্রহণসহ সাত দফা সুপারিশ করেছে দেশের প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ, গবেষক, সাংবাদিক ও শ্রমিক নেতারা। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীতে আয়োজিত এক সেমিনারে এ সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
শনিবার রাজধানীর সেগুন বাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে পাটকল চিনিকল রক্ষায় শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্যের উদ্যোগে ‘২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট বাংলাদেশের মৌলিক শিল্প রক্ষায় বন্ধ সকল পাটকল চিনিকল চালু ও তার বিকাশে আমাদের প্রস্তাবনা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
দেশের অর্থনীতি, মৌলিক শিল্প, জনগণের সম্পদ, শ্রমিকের কর্মসংস্থান, স্থানীয় অর্থনীতি ও চিনি এবং পাটচাষিদের কথা বিবেচনা করে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল ও চিনিকল রাষ্ট্রীয়ভাবে চালু করার লক্ষ্যে আসন্ন বাজেটে মহাপরিকল্পনা গ্রহণের সুপারিশ জানানো হয় সেমিনারে। এ ছাড়া মাথাভারী প্রশাসনের আকার ছোট করে জবাবদিহি নিশ্চিত করা, পাটকলগুলোকে অতি দ্রুত আধুনিকায়ন করে চালু করা, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোকে সচল করতে এককালীন বরাদ্দ দেওয়া, সরকারি দপ্তরের সব খাতে পাটজাত দ্রবের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা, যন্ত্রপাতি নষ্ট হতে না দিয়ে অবিলম্বে মিলগুলো চালুর উদ্যোগ নেওয়া এবং বকেয়া বেতন-ভাতা, পিএফ বকেয়া ও গ্র্যাচুইটি বকেয়া পরিশোধে বাজেটে বরাদ্দ দেওয়ার সুপারিশ জানানো হয়।
সেমিনারে উত্থাপিত মূল প্রবন্ধে বলা হয়, স্বাধীনতার পর রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের সংখ্যা ক্রমাগত কমেছে। করোনার মধ্যে লোকসানের অজুহাতে ২৬টি পাটকল বন্ধ করা হয়। অন্যদিকে বেসরকারি পাটকলের সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে বেসরকারি পাটকলের সংখ্যা ২৮১টি। পাটকল বন্ধের সময় পাটমন্ত্রী দুই মাসের মধ্যে শ্রমিকদের সব বকেয়া পরিশোধ করে তিন মাসের মধ্যে মিল চালুর কথা বললেও এখনো পর্যন্ত পাঁচটি জুটমিলের ৮,৪৬৩ অস্থায়ী শ্রমিক একটি টাকাও পাননি। ২০টি জুটমিলের প্রায় ১৮ হাজার শ্রমিকের বকেয়া এরিয়ার টাকা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ছাড় হলেও এখনো শ্রমিকদের দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৫টি চিনিকলে ৮২ হাজার টন উৎপাদন হয়েছিল। ছয়টি মিল বন্ধের পর ২০২০-২১ অর্থবছরে ৪৮ হাজার টন এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে উৎপাদন কমে ২৪ হাজার টনে এসে নেমেছে।
সেমিনারে লেখক ও গবেষক ড. মাহা মির্জা বাংলাদেশ প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে বেসরকারি মালিকানায় ছেড়ে দেওয়া দেশের ৭৫টি সরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠান পরবর্তীতে আর চালুই করা যায়নি। বেসরকারিকরণ করলেই শিল্পের বিকাশ হবে এবং প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি হবে-বাংলাদেশের বেসরকারিকরণের ইতিহাস তা বলে না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, ‘পাটকল-চিনিকলগুলো পুনরায় চালু করলেই হবে না এগুলো দক্ষতার সঙ্গে চালাতে হবে। সে জন্য যন্ত্রপাতি নবায়ন এবং নতুনভাবে বিনিয়োগ করতে হবে। মাথাভারী প্রশাসন ও দুর্নীতি কমাতে হবে।’
রাষ্ট্রীয় ছয়টি চিনিকল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কথা বলে উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা বলেন, ‘এই উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির বড় কারণ ছিল পুঞ্জীভূত ঋণ। অথচ যথেষ্ট পদক্ষেপ নিলেই উৎপাদন খরচ কমানো যেত। এখনো চেষ্টা করলে এবং সরকার উদ্যোগী হলে চিনিকলগুলোকে সাফল্যের সঙ্গে পরিচালনা করা সম্ভব।’
গত এক যুগে পাটশিল্প থেকে দশ হাজার কোটি টাকা রপ্তানিমূলক আয় হয়েছে জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. তানজিমউদ্দিন খান বলেন, ‘পাটকল এবং চিনিকল বন্ধ হয়ে যাওয়ার এই সমস্যা শ্রমিকের সমস্যা নয়। এখানে সরকারি প্রতিষ্ঠানের কোনো প্রকার জবাবদিহি নেই। তাই শ্রমিকের আন্দোলনকে বিশৃঙ্খলা হিসেবে না দেখে এটিকে সরকারের সংকট এবং শ্রমজীবী মানুষের অধিকার হরণ হিসেবে দেখে উদ্যোগ নেওয়া উচিত। সরকার এই শিল্প টিকিয়ে রাখার জন্য ভর্তুকি দিতে বাধ্য।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘পাটকল-চিনিকলগুলোতে শ্রমিকের কারণে নয়, রাষ্ট্র এবং সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণে লোকসান হচ্ছে। পাটকল চিনিকল চালুসহ শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা করতে হলে এই সরকারকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে উৎখাত করতে হবে।’
প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক এবং বিশিষ্ট কলামিস্ট সোহরাব হোসেন বলেন, ‘পাটকল, চিনিকল বন্ধ করার আগে বিজেএমসিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে জবাবদিহি করতে হবে। কেন পাটকলগুলোতে লোকসান হচ্ছে, শ্রমিকেরা ঠিকমতো তাদের পাওনা পাচ্ছে না, তা খুঁজে বের করতে অবিলম্বে একটি গণতদন্ত কমিশন গঠন এবং কমিশনের প্রতিবেদন জনসম্মুখে উন্মোচন করতে হবে।’
বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ‘পাটকল আধুনিকায়নের জন্য ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়নি, কিন্তু ৫ হাজার কোটি টাকা দিয়ে মিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ, সরকারের চোখ পড়েছে জমির দিকে। এই মহামূল্যবান পাটকল এবং চিনিকলের জমি ব্যবসায়ীদের হাতে দিয়ে দেওয়ায় সরকারের লক্ষ্য।’
পাটের বিশাল সম্ভাবনার দিকগুলো তুলে ধরে সারা পৃথিবীতে পাটজাত শিল্পের চাহিদা দিন দিন বাড়বে জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘এমন একটি সম্ভাবনাময় এবং কৌশলগত খাত বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিলে বেসরকারি মালিক নিশ্চিত ভাবেই মুনাফার দিকে যাবে। পাটশিল্প শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করালে গার্মেন্টস শিল্পের মতো অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীল হতে হতো না। কিন্তু রাষ্ট্র, সরকার নাগরিকের প্রতি দায়িত্ব পালন করছে না। পাটকলে লোকসানের জন্য যারা দায়ী তাদেরই আবার পাটকলগুলো বেসরকারিভাবে দেওয়া হচ্ছে।’
পাটকল চিনিকল রক্ষায় শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্যের সমন্বয়ক রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল্লাহ্ চৌধুরী, বাংলাদেশ সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালাসহ পাটকল ও চিনিকল শ্রমিক নেতারা।

আসন্ন বাজেট বাংলাদেশের মৌলিক শিল্প রক্ষায় বন্ধ সব পাটকল-চিনিকল চালু ও তার বিকাশের লক্ষ্যে মহাপরিকল্পনা গ্রহণসহ সাত দফা সুপারিশ করেছে দেশের প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ, গবেষক, সাংবাদিক ও শ্রমিক নেতারা। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীতে আয়োজিত এক সেমিনারে এ সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
শনিবার রাজধানীর সেগুন বাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে পাটকল চিনিকল রক্ষায় শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্যের উদ্যোগে ‘২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট বাংলাদেশের মৌলিক শিল্প রক্ষায় বন্ধ সকল পাটকল চিনিকল চালু ও তার বিকাশে আমাদের প্রস্তাবনা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
দেশের অর্থনীতি, মৌলিক শিল্প, জনগণের সম্পদ, শ্রমিকের কর্মসংস্থান, স্থানীয় অর্থনীতি ও চিনি এবং পাটচাষিদের কথা বিবেচনা করে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল ও চিনিকল রাষ্ট্রীয়ভাবে চালু করার লক্ষ্যে আসন্ন বাজেটে মহাপরিকল্পনা গ্রহণের সুপারিশ জানানো হয় সেমিনারে। এ ছাড়া মাথাভারী প্রশাসনের আকার ছোট করে জবাবদিহি নিশ্চিত করা, পাটকলগুলোকে অতি দ্রুত আধুনিকায়ন করে চালু করা, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোকে সচল করতে এককালীন বরাদ্দ দেওয়া, সরকারি দপ্তরের সব খাতে পাটজাত দ্রবের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা, যন্ত্রপাতি নষ্ট হতে না দিয়ে অবিলম্বে মিলগুলো চালুর উদ্যোগ নেওয়া এবং বকেয়া বেতন-ভাতা, পিএফ বকেয়া ও গ্র্যাচুইটি বকেয়া পরিশোধে বাজেটে বরাদ্দ দেওয়ার সুপারিশ জানানো হয়।
সেমিনারে উত্থাপিত মূল প্রবন্ধে বলা হয়, স্বাধীনতার পর রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের সংখ্যা ক্রমাগত কমেছে। করোনার মধ্যে লোকসানের অজুহাতে ২৬টি পাটকল বন্ধ করা হয়। অন্যদিকে বেসরকারি পাটকলের সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে বেসরকারি পাটকলের সংখ্যা ২৮১টি। পাটকল বন্ধের সময় পাটমন্ত্রী দুই মাসের মধ্যে শ্রমিকদের সব বকেয়া পরিশোধ করে তিন মাসের মধ্যে মিল চালুর কথা বললেও এখনো পর্যন্ত পাঁচটি জুটমিলের ৮,৪৬৩ অস্থায়ী শ্রমিক একটি টাকাও পাননি। ২০টি জুটমিলের প্রায় ১৮ হাজার শ্রমিকের বকেয়া এরিয়ার টাকা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ছাড় হলেও এখনো শ্রমিকদের দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৫টি চিনিকলে ৮২ হাজার টন উৎপাদন হয়েছিল। ছয়টি মিল বন্ধের পর ২০২০-২১ অর্থবছরে ৪৮ হাজার টন এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে উৎপাদন কমে ২৪ হাজার টনে এসে নেমেছে।
সেমিনারে লেখক ও গবেষক ড. মাহা মির্জা বাংলাদেশ প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে বেসরকারি মালিকানায় ছেড়ে দেওয়া দেশের ৭৫টি সরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠান পরবর্তীতে আর চালুই করা যায়নি। বেসরকারিকরণ করলেই শিল্পের বিকাশ হবে এবং প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি হবে-বাংলাদেশের বেসরকারিকরণের ইতিহাস তা বলে না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, ‘পাটকল-চিনিকলগুলো পুনরায় চালু করলেই হবে না এগুলো দক্ষতার সঙ্গে চালাতে হবে। সে জন্য যন্ত্রপাতি নবায়ন এবং নতুনভাবে বিনিয়োগ করতে হবে। মাথাভারী প্রশাসন ও দুর্নীতি কমাতে হবে।’
রাষ্ট্রীয় ছয়টি চিনিকল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কথা বলে উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা বলেন, ‘এই উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির বড় কারণ ছিল পুঞ্জীভূত ঋণ। অথচ যথেষ্ট পদক্ষেপ নিলেই উৎপাদন খরচ কমানো যেত। এখনো চেষ্টা করলে এবং সরকার উদ্যোগী হলে চিনিকলগুলোকে সাফল্যের সঙ্গে পরিচালনা করা সম্ভব।’
গত এক যুগে পাটশিল্প থেকে দশ হাজার কোটি টাকা রপ্তানিমূলক আয় হয়েছে জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. তানজিমউদ্দিন খান বলেন, ‘পাটকল এবং চিনিকল বন্ধ হয়ে যাওয়ার এই সমস্যা শ্রমিকের সমস্যা নয়। এখানে সরকারি প্রতিষ্ঠানের কোনো প্রকার জবাবদিহি নেই। তাই শ্রমিকের আন্দোলনকে বিশৃঙ্খলা হিসেবে না দেখে এটিকে সরকারের সংকট এবং শ্রমজীবী মানুষের অধিকার হরণ হিসেবে দেখে উদ্যোগ নেওয়া উচিত। সরকার এই শিল্প টিকিয়ে রাখার জন্য ভর্তুকি দিতে বাধ্য।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘পাটকল-চিনিকলগুলোতে শ্রমিকের কারণে নয়, রাষ্ট্র এবং সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণে লোকসান হচ্ছে। পাটকল চিনিকল চালুসহ শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা করতে হলে এই সরকারকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে উৎখাত করতে হবে।’
প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক এবং বিশিষ্ট কলামিস্ট সোহরাব হোসেন বলেন, ‘পাটকল, চিনিকল বন্ধ করার আগে বিজেএমসিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে জবাবদিহি করতে হবে। কেন পাটকলগুলোতে লোকসান হচ্ছে, শ্রমিকেরা ঠিকমতো তাদের পাওনা পাচ্ছে না, তা খুঁজে বের করতে অবিলম্বে একটি গণতদন্ত কমিশন গঠন এবং কমিশনের প্রতিবেদন জনসম্মুখে উন্মোচন করতে হবে।’
বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ‘পাটকল আধুনিকায়নের জন্য ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়নি, কিন্তু ৫ হাজার কোটি টাকা দিয়ে মিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ, সরকারের চোখ পড়েছে জমির দিকে। এই মহামূল্যবান পাটকল এবং চিনিকলের জমি ব্যবসায়ীদের হাতে দিয়ে দেওয়ায় সরকারের লক্ষ্য।’
পাটের বিশাল সম্ভাবনার দিকগুলো তুলে ধরে সারা পৃথিবীতে পাটজাত শিল্পের চাহিদা দিন দিন বাড়বে জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘এমন একটি সম্ভাবনাময় এবং কৌশলগত খাত বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিলে বেসরকারি মালিক নিশ্চিত ভাবেই মুনাফার দিকে যাবে। পাটশিল্প শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করালে গার্মেন্টস শিল্পের মতো অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীল হতে হতো না। কিন্তু রাষ্ট্র, সরকার নাগরিকের প্রতি দায়িত্ব পালন করছে না। পাটকলে লোকসানের জন্য যারা দায়ী তাদেরই আবার পাটকলগুলো বেসরকারিভাবে দেওয়া হচ্ছে।’
পাটকল চিনিকল রক্ষায় শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্যের সমন্বয়ক রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল্লাহ্ চৌধুরী, বাংলাদেশ সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালাসহ পাটকল ও চিনিকল শ্রমিক নেতারা।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন বাজেট বাংলাদেশের মৌলিক শিল্প রক্ষায় বন্ধ সব পাটকল-চিনিকল চালু ও তার বিকাশের লক্ষ্যে মহাপরিকল্পনা গ্রহণসহ সাত দফা সুপারিশ করেছে দেশের প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ, গবেষক, সাংবাদিক ও শ্রমিক নেতারা। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীতে আয়োজিত এক সেমিনারে এ সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
শনিবার রাজধানীর সেগুন বাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে পাটকল চিনিকল রক্ষায় শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্যের উদ্যোগে ‘২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট বাংলাদেশের মৌলিক শিল্প রক্ষায় বন্ধ সকল পাটকল চিনিকল চালু ও তার বিকাশে আমাদের প্রস্তাবনা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
দেশের অর্থনীতি, মৌলিক শিল্প, জনগণের সম্পদ, শ্রমিকের কর্মসংস্থান, স্থানীয় অর্থনীতি ও চিনি এবং পাটচাষিদের কথা বিবেচনা করে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল ও চিনিকল রাষ্ট্রীয়ভাবে চালু করার লক্ষ্যে আসন্ন বাজেটে মহাপরিকল্পনা গ্রহণের সুপারিশ জানানো হয় সেমিনারে। এ ছাড়া মাথাভারী প্রশাসনের আকার ছোট করে জবাবদিহি নিশ্চিত করা, পাটকলগুলোকে অতি দ্রুত আধুনিকায়ন করে চালু করা, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোকে সচল করতে এককালীন বরাদ্দ দেওয়া, সরকারি দপ্তরের সব খাতে পাটজাত দ্রবের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা, যন্ত্রপাতি নষ্ট হতে না দিয়ে অবিলম্বে মিলগুলো চালুর উদ্যোগ নেওয়া এবং বকেয়া বেতন-ভাতা, পিএফ বকেয়া ও গ্র্যাচুইটি বকেয়া পরিশোধে বাজেটে বরাদ্দ দেওয়ার সুপারিশ জানানো হয়।
সেমিনারে উত্থাপিত মূল প্রবন্ধে বলা হয়, স্বাধীনতার পর রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের সংখ্যা ক্রমাগত কমেছে। করোনার মধ্যে লোকসানের অজুহাতে ২৬টি পাটকল বন্ধ করা হয়। অন্যদিকে বেসরকারি পাটকলের সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে বেসরকারি পাটকলের সংখ্যা ২৮১টি। পাটকল বন্ধের সময় পাটমন্ত্রী দুই মাসের মধ্যে শ্রমিকদের সব বকেয়া পরিশোধ করে তিন মাসের মধ্যে মিল চালুর কথা বললেও এখনো পর্যন্ত পাঁচটি জুটমিলের ৮,৪৬৩ অস্থায়ী শ্রমিক একটি টাকাও পাননি। ২০টি জুটমিলের প্রায় ১৮ হাজার শ্রমিকের বকেয়া এরিয়ার টাকা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ছাড় হলেও এখনো শ্রমিকদের দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৫টি চিনিকলে ৮২ হাজার টন উৎপাদন হয়েছিল। ছয়টি মিল বন্ধের পর ২০২০-২১ অর্থবছরে ৪৮ হাজার টন এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে উৎপাদন কমে ২৪ হাজার টনে এসে নেমেছে।
সেমিনারে লেখক ও গবেষক ড. মাহা মির্জা বাংলাদেশ প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে বেসরকারি মালিকানায় ছেড়ে দেওয়া দেশের ৭৫টি সরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠান পরবর্তীতে আর চালুই করা যায়নি। বেসরকারিকরণ করলেই শিল্পের বিকাশ হবে এবং প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি হবে-বাংলাদেশের বেসরকারিকরণের ইতিহাস তা বলে না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, ‘পাটকল-চিনিকলগুলো পুনরায় চালু করলেই হবে না এগুলো দক্ষতার সঙ্গে চালাতে হবে। সে জন্য যন্ত্রপাতি নবায়ন এবং নতুনভাবে বিনিয়োগ করতে হবে। মাথাভারী প্রশাসন ও দুর্নীতি কমাতে হবে।’
রাষ্ট্রীয় ছয়টি চিনিকল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কথা বলে উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা বলেন, ‘এই উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির বড় কারণ ছিল পুঞ্জীভূত ঋণ। অথচ যথেষ্ট পদক্ষেপ নিলেই উৎপাদন খরচ কমানো যেত। এখনো চেষ্টা করলে এবং সরকার উদ্যোগী হলে চিনিকলগুলোকে সাফল্যের সঙ্গে পরিচালনা করা সম্ভব।’
গত এক যুগে পাটশিল্প থেকে দশ হাজার কোটি টাকা রপ্তানিমূলক আয় হয়েছে জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. তানজিমউদ্দিন খান বলেন, ‘পাটকল এবং চিনিকল বন্ধ হয়ে যাওয়ার এই সমস্যা শ্রমিকের সমস্যা নয়। এখানে সরকারি প্রতিষ্ঠানের কোনো প্রকার জবাবদিহি নেই। তাই শ্রমিকের আন্দোলনকে বিশৃঙ্খলা হিসেবে না দেখে এটিকে সরকারের সংকট এবং শ্রমজীবী মানুষের অধিকার হরণ হিসেবে দেখে উদ্যোগ নেওয়া উচিত। সরকার এই শিল্প টিকিয়ে রাখার জন্য ভর্তুকি দিতে বাধ্য।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘পাটকল-চিনিকলগুলোতে শ্রমিকের কারণে নয়, রাষ্ট্র এবং সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণে লোকসান হচ্ছে। পাটকল চিনিকল চালুসহ শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা করতে হলে এই সরকারকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে উৎখাত করতে হবে।’
প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক এবং বিশিষ্ট কলামিস্ট সোহরাব হোসেন বলেন, ‘পাটকল, চিনিকল বন্ধ করার আগে বিজেএমসিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে জবাবদিহি করতে হবে। কেন পাটকলগুলোতে লোকসান হচ্ছে, শ্রমিকেরা ঠিকমতো তাদের পাওনা পাচ্ছে না, তা খুঁজে বের করতে অবিলম্বে একটি গণতদন্ত কমিশন গঠন এবং কমিশনের প্রতিবেদন জনসম্মুখে উন্মোচন করতে হবে।’
বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ‘পাটকল আধুনিকায়নের জন্য ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়নি, কিন্তু ৫ হাজার কোটি টাকা দিয়ে মিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ, সরকারের চোখ পড়েছে জমির দিকে। এই মহামূল্যবান পাটকল এবং চিনিকলের জমি ব্যবসায়ীদের হাতে দিয়ে দেওয়ায় সরকারের লক্ষ্য।’
পাটের বিশাল সম্ভাবনার দিকগুলো তুলে ধরে সারা পৃথিবীতে পাটজাত শিল্পের চাহিদা দিন দিন বাড়বে জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘এমন একটি সম্ভাবনাময় এবং কৌশলগত খাত বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিলে বেসরকারি মালিক নিশ্চিত ভাবেই মুনাফার দিকে যাবে। পাটশিল্প শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করালে গার্মেন্টস শিল্পের মতো অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীল হতে হতো না। কিন্তু রাষ্ট্র, সরকার নাগরিকের প্রতি দায়িত্ব পালন করছে না। পাটকলে লোকসানের জন্য যারা দায়ী তাদেরই আবার পাটকলগুলো বেসরকারিভাবে দেওয়া হচ্ছে।’
পাটকল চিনিকল রক্ষায় শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্যের সমন্বয়ক রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল্লাহ্ চৌধুরী, বাংলাদেশ সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালাসহ পাটকল ও চিনিকল শ্রমিক নেতারা।

আসন্ন বাজেট বাংলাদেশের মৌলিক শিল্প রক্ষায় বন্ধ সব পাটকল-চিনিকল চালু ও তার বিকাশের লক্ষ্যে মহাপরিকল্পনা গ্রহণসহ সাত দফা সুপারিশ করেছে দেশের প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ, গবেষক, সাংবাদিক ও শ্রমিক নেতারা। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীতে আয়োজিত এক সেমিনারে এ সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
শনিবার রাজধানীর সেগুন বাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে পাটকল চিনিকল রক্ষায় শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্যের উদ্যোগে ‘২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট বাংলাদেশের মৌলিক শিল্প রক্ষায় বন্ধ সকল পাটকল চিনিকল চালু ও তার বিকাশে আমাদের প্রস্তাবনা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
দেশের অর্থনীতি, মৌলিক শিল্প, জনগণের সম্পদ, শ্রমিকের কর্মসংস্থান, স্থানীয় অর্থনীতি ও চিনি এবং পাটচাষিদের কথা বিবেচনা করে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল ও চিনিকল রাষ্ট্রীয়ভাবে চালু করার লক্ষ্যে আসন্ন বাজেটে মহাপরিকল্পনা গ্রহণের সুপারিশ জানানো হয় সেমিনারে। এ ছাড়া মাথাভারী প্রশাসনের আকার ছোট করে জবাবদিহি নিশ্চিত করা, পাটকলগুলোকে অতি দ্রুত আধুনিকায়ন করে চালু করা, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোকে সচল করতে এককালীন বরাদ্দ দেওয়া, সরকারি দপ্তরের সব খাতে পাটজাত দ্রবের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা, যন্ত্রপাতি নষ্ট হতে না দিয়ে অবিলম্বে মিলগুলো চালুর উদ্যোগ নেওয়া এবং বকেয়া বেতন-ভাতা, পিএফ বকেয়া ও গ্র্যাচুইটি বকেয়া পরিশোধে বাজেটে বরাদ্দ দেওয়ার সুপারিশ জানানো হয়।
সেমিনারে উত্থাপিত মূল প্রবন্ধে বলা হয়, স্বাধীনতার পর রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের সংখ্যা ক্রমাগত কমেছে। করোনার মধ্যে লোকসানের অজুহাতে ২৬টি পাটকল বন্ধ করা হয়। অন্যদিকে বেসরকারি পাটকলের সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে বেসরকারি পাটকলের সংখ্যা ২৮১টি। পাটকল বন্ধের সময় পাটমন্ত্রী দুই মাসের মধ্যে শ্রমিকদের সব বকেয়া পরিশোধ করে তিন মাসের মধ্যে মিল চালুর কথা বললেও এখনো পর্যন্ত পাঁচটি জুটমিলের ৮,৪৬৩ অস্থায়ী শ্রমিক একটি টাকাও পাননি। ২০টি জুটমিলের প্রায় ১৮ হাজার শ্রমিকের বকেয়া এরিয়ার টাকা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ছাড় হলেও এখনো শ্রমিকদের দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৫টি চিনিকলে ৮২ হাজার টন উৎপাদন হয়েছিল। ছয়টি মিল বন্ধের পর ২০২০-২১ অর্থবছরে ৪৮ হাজার টন এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে উৎপাদন কমে ২৪ হাজার টনে এসে নেমেছে।
সেমিনারে লেখক ও গবেষক ড. মাহা মির্জা বাংলাদেশ প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে বেসরকারি মালিকানায় ছেড়ে দেওয়া দেশের ৭৫টি সরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠান পরবর্তীতে আর চালুই করা যায়নি। বেসরকারিকরণ করলেই শিল্পের বিকাশ হবে এবং প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি হবে-বাংলাদেশের বেসরকারিকরণের ইতিহাস তা বলে না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, ‘পাটকল-চিনিকলগুলো পুনরায় চালু করলেই হবে না এগুলো দক্ষতার সঙ্গে চালাতে হবে। সে জন্য যন্ত্রপাতি নবায়ন এবং নতুনভাবে বিনিয়োগ করতে হবে। মাথাভারী প্রশাসন ও দুর্নীতি কমাতে হবে।’
রাষ্ট্রীয় ছয়টি চিনিকল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কথা বলে উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা বলেন, ‘এই উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির বড় কারণ ছিল পুঞ্জীভূত ঋণ। অথচ যথেষ্ট পদক্ষেপ নিলেই উৎপাদন খরচ কমানো যেত। এখনো চেষ্টা করলে এবং সরকার উদ্যোগী হলে চিনিকলগুলোকে সাফল্যের সঙ্গে পরিচালনা করা সম্ভব।’
গত এক যুগে পাটশিল্প থেকে দশ হাজার কোটি টাকা রপ্তানিমূলক আয় হয়েছে জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. তানজিমউদ্দিন খান বলেন, ‘পাটকল এবং চিনিকল বন্ধ হয়ে যাওয়ার এই সমস্যা শ্রমিকের সমস্যা নয়। এখানে সরকারি প্রতিষ্ঠানের কোনো প্রকার জবাবদিহি নেই। তাই শ্রমিকের আন্দোলনকে বিশৃঙ্খলা হিসেবে না দেখে এটিকে সরকারের সংকট এবং শ্রমজীবী মানুষের অধিকার হরণ হিসেবে দেখে উদ্যোগ নেওয়া উচিত। সরকার এই শিল্প টিকিয়ে রাখার জন্য ভর্তুকি দিতে বাধ্য।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘পাটকল-চিনিকলগুলোতে শ্রমিকের কারণে নয়, রাষ্ট্র এবং সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণে লোকসান হচ্ছে। পাটকল চিনিকল চালুসহ শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা করতে হলে এই সরকারকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে উৎখাত করতে হবে।’
প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক এবং বিশিষ্ট কলামিস্ট সোহরাব হোসেন বলেন, ‘পাটকল, চিনিকল বন্ধ করার আগে বিজেএমসিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে জবাবদিহি করতে হবে। কেন পাটকলগুলোতে লোকসান হচ্ছে, শ্রমিকেরা ঠিকমতো তাদের পাওনা পাচ্ছে না, তা খুঁজে বের করতে অবিলম্বে একটি গণতদন্ত কমিশন গঠন এবং কমিশনের প্রতিবেদন জনসম্মুখে উন্মোচন করতে হবে।’
বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ‘পাটকল আধুনিকায়নের জন্য ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়নি, কিন্তু ৫ হাজার কোটি টাকা দিয়ে মিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ, সরকারের চোখ পড়েছে জমির দিকে। এই মহামূল্যবান পাটকল এবং চিনিকলের জমি ব্যবসায়ীদের হাতে দিয়ে দেওয়ায় সরকারের লক্ষ্য।’
পাটের বিশাল সম্ভাবনার দিকগুলো তুলে ধরে সারা পৃথিবীতে পাটজাত শিল্পের চাহিদা দিন দিন বাড়বে জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘এমন একটি সম্ভাবনাময় এবং কৌশলগত খাত বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিলে বেসরকারি মালিক নিশ্চিত ভাবেই মুনাফার দিকে যাবে। পাটশিল্প শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করালে গার্মেন্টস শিল্পের মতো অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীল হতে হতো না। কিন্তু রাষ্ট্র, সরকার নাগরিকের প্রতি দায়িত্ব পালন করছে না। পাটকলে লোকসানের জন্য যারা দায়ী তাদেরই আবার পাটকলগুলো বেসরকারিভাবে দেওয়া হচ্ছে।’
পাটকল চিনিকল রক্ষায় শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্যের সমন্বয়ক রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল্লাহ্ চৌধুরী, বাংলাদেশ সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালাসহ পাটকল ও চিনিকল শ্রমিক নেতারা।

সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
১২ মিনিট আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে করা সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই সুপারিশ হস্তান্তর করেন।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর (শনিবার) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে কিছু দুষ্কৃতকারী নির্বাচন ভবনের সামনের ভাস্কর্যের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ভবনটির নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর গভীর ও মৌলিক সংস্কার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন’ পদ্ধতির চূড়ান্ত সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
প্রস্তাবিত আদেশের প্রারম্ভিক ঘোষণায় স্পষ্ট করা হয়েছে, এই পদক্ষেপের মূল ভিত্তি হলো ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-শ্রমিক-জনতার সফল গণ-অভ্যুত্থান। এই অভ্যুত্থানের মাধ্যমেই বাংলাদেশের জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটে।
৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনার পর সংবিধান সংস্কারসহ অন্যান্য সংস্কারের সুপারিশ সংবলিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ প্রণয়ন করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রধান রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো সম্মিলিতভাবে ওই সনদে স্বাক্ষর করে, তা দ্রুত বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের জন্য জনগণের সর্বোচ্চ অনুমোদন প্রয়োজন। এই অনুমোদন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে: সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী জনগণের অনুমোদন গ্রহণের উদ্দেশ্যে গণভোট অনুষ্ঠান অপরিহার্য। সংবিধান সংস্কারের জন্য সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন ও উক্ত পরিষদ কর্তৃক সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন করা অত্যাবশ্যক।
ঐকমত্য কমিশন মনে করে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন সম্পন্ন করার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক আইনি দলিল আবশ্যক ছিল। সেই কারণেই সরকার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে এই বাস্তবায়ন আদেশ জারি করবে।
প্রস্তাবিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ - এ যা বলা হয়েছে:

বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর গভীর ও মৌলিক সংস্কার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন’ পদ্ধতির চূড়ান্ত সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
প্রস্তাবিত আদেশের প্রারম্ভিক ঘোষণায় স্পষ্ট করা হয়েছে, এই পদক্ষেপের মূল ভিত্তি হলো ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-শ্রমিক-জনতার সফল গণ-অভ্যুত্থান। এই অভ্যুত্থানের মাধ্যমেই বাংলাদেশের জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটে।
৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনার পর সংবিধান সংস্কারসহ অন্যান্য সংস্কারের সুপারিশ সংবলিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ প্রণয়ন করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রধান রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো সম্মিলিতভাবে ওই সনদে স্বাক্ষর করে, তা দ্রুত বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের জন্য জনগণের সর্বোচ্চ অনুমোদন প্রয়োজন। এই অনুমোদন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে: সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী জনগণের অনুমোদন গ্রহণের উদ্দেশ্যে গণভোট অনুষ্ঠান অপরিহার্য। সংবিধান সংস্কারের জন্য সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন ও উক্ত পরিষদ কর্তৃক সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন করা অত্যাবশ্যক।
ঐকমত্য কমিশন মনে করে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন সম্পন্ন করার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক আইনি দলিল আবশ্যক ছিল। সেই কারণেই সরকার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে এই বাস্তবায়ন আদেশ জারি করবে।
প্রস্তাবিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ - এ যা বলা হয়েছে:

আসন্ন বাজেট বাংলাদেশের মৌলিক শিল্প রক্ষায় বন্ধ সব পাটকল-চিনিকল চালু ও তার বিকাশের লক্ষ্যে মহাপরিকল্পনা গ্রহণসহ সাত দফা সুপারিশ করেছে দেশের প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ, গবেষক, সাংবাদিক ও শ্রমিক নেতারা। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীতে আয়োজিত এক সেমিনারে এ সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
২১ মে ২০২২
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে করা সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই সুপারিশ হস্তান্তর করেন।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর (শনিবার) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে কিছু দুষ্কৃতকারী নির্বাচন ভবনের সামনের ভাস্কর্যের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ভবনটির নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে করা সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই সুপারিশ হস্তান্তর করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ জমা দেওয়ার পরে বেলা ২টার দিকে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
সেখানে আলী রীয়াজ বলেন, ‘সুপারিশের তিনটি ভাগ আছে। অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশের বাস্তবায়ন দ্রুততার সঙ্গে করা সম্ভব। সংবিধান-সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে দুটো বিকল্প প্রস্তাব আমরা দিয়েছি। প্রস্তাবগুলো হচ্ছে—সরকার যেন অবিলম্বে একটি আদেশ জারি করে। এ আদেশের বিষয় হবে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ। আদেশের অধীনে একটি গণভোট হবে।’
আলী রীয়াজ আরও বলেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ একই সঙ্গে সংবিধান সংস্কার পরিষদের দায়িত্ব পালন করবে। তারা ২৭০ দিন এমন দায়িত্ব পালন করবে।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে করা সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই সুপারিশ হস্তান্তর করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ জমা দেওয়ার পরে বেলা ২টার দিকে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
সেখানে আলী রীয়াজ বলেন, ‘সুপারিশের তিনটি ভাগ আছে। অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশের বাস্তবায়ন দ্রুততার সঙ্গে করা সম্ভব। সংবিধান-সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে দুটো বিকল্প প্রস্তাব আমরা দিয়েছি। প্রস্তাবগুলো হচ্ছে—সরকার যেন অবিলম্বে একটি আদেশ জারি করে। এ আদেশের বিষয় হবে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ। আদেশের অধীনে একটি গণভোট হবে।’
আলী রীয়াজ আরও বলেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ একই সঙ্গে সংবিধান সংস্কার পরিষদের দায়িত্ব পালন করবে। তারা ২৭০ দিন এমন দায়িত্ব পালন করবে।

আসন্ন বাজেট বাংলাদেশের মৌলিক শিল্প রক্ষায় বন্ধ সব পাটকল-চিনিকল চালু ও তার বিকাশের লক্ষ্যে মহাপরিকল্পনা গ্রহণসহ সাত দফা সুপারিশ করেছে দেশের প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ, গবেষক, সাংবাদিক ও শ্রমিক নেতারা। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীতে আয়োজিত এক সেমিনারে এ সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
২১ মে ২০২২
সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
১২ মিনিট আগে
আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর (শনিবার) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে কিছু দুষ্কৃতকারী নির্বাচন ভবনের সামনের ভাস্কর্যের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ভবনটির নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরে আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনে আনসারদের অবদান সবচেয়ে বেশি। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে মোট ১৩ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবে। এই ১৩ জনের মধ্যে তিনজন থাকবে অস্ত্রসহ আর বাকি ১০ জন থাকবে অস্ত্র ছাড়া। অস্ত্রবিহীন ১০ জনের মধ্যে ৬ জন থাকবে পুরুষ আর ৪ জন থাকবে নারী। তা ছাড়া এবারই প্রথম প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে অস্ত্রসহ একজন আনসার সদস্য থাকবে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে মোট ৯ দিন আনসার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। আগামী নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে আনসার সদস্যরা।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি বাহিনী দেশের নিরাপত্তা, শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং জাতীয় উন্নয়নের প্রতিটি পর্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। নিজেদের জীবন ও স্বার্থের পরোয়া না করে তারা নিষ্ঠা, দায়িত্ববোধ ও দেশপ্রেমের সঙ্গে জাতির সেবায় নিয়োজিত থাকে। তাই বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের কর্মজীবনের মানোন্নয়ন ও কল্যাণ নিশ্চিত করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব এবং রাষ্ট্রীয় অঙ্গীকারের অংশ। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের নিজস্ব অর্থায়নে মোট ৩১টি যানবাহন কেনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ৯টি ট্রুপস ক্যারিয়ার, ১৪টি কাভার্ড ভ্যান, ৪২ আসনবিশিষ্ট ৪টি বড় বাস, ২৪ আসনবিশিষ্ট ২টি মিনিবাস এবং ২টি অ্যাম্বুলেন্স।
দেশের সর্ববৃহৎ এ বাহিনীর সদস্যদের ছুটি, বিনোদন ভ্রমণ এবং অন্যান্য বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রায়ই নানা ধরনের যাতায়াতজনিত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তাঁদের এই ভোগান্তি লাঘব ও সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই আজকের এই ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
উপদেষ্টা এ সময় ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসটি সর্বোচ্চ পেশাদারি ও দক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত হবে এবং বাহিনীর বৈধ পরিচয়পত্রধারী সব সদস্যের জন্য নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাইরে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, প্রতিদিনই অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। গত পরশুদিনও আটটি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তিনি বলেন, এ রকম উদ্ধার হতেই থাকবে এবং নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে অস্ত্র উদ্ধার আরও বাড়তে থাকবে এবং একসময় দেখবেন যে বাইরে আর কোনো অস্ত্র বা হাতিয়ার নেই।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরে আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনে আনসারদের অবদান সবচেয়ে বেশি। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে মোট ১৩ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবে। এই ১৩ জনের মধ্যে তিনজন থাকবে অস্ত্রসহ আর বাকি ১০ জন থাকবে অস্ত্র ছাড়া। অস্ত্রবিহীন ১০ জনের মধ্যে ৬ জন থাকবে পুরুষ আর ৪ জন থাকবে নারী। তা ছাড়া এবারই প্রথম প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে অস্ত্রসহ একজন আনসার সদস্য থাকবে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে মোট ৯ দিন আনসার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। আগামী নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে আনসার সদস্যরা।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি বাহিনী দেশের নিরাপত্তা, শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং জাতীয় উন্নয়নের প্রতিটি পর্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। নিজেদের জীবন ও স্বার্থের পরোয়া না করে তারা নিষ্ঠা, দায়িত্ববোধ ও দেশপ্রেমের সঙ্গে জাতির সেবায় নিয়োজিত থাকে। তাই বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের কর্মজীবনের মানোন্নয়ন ও কল্যাণ নিশ্চিত করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব এবং রাষ্ট্রীয় অঙ্গীকারের অংশ। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের নিজস্ব অর্থায়নে মোট ৩১টি যানবাহন কেনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ৯টি ট্রুপস ক্যারিয়ার, ১৪টি কাভার্ড ভ্যান, ৪২ আসনবিশিষ্ট ৪টি বড় বাস, ২৪ আসনবিশিষ্ট ২টি মিনিবাস এবং ২টি অ্যাম্বুলেন্স।
দেশের সর্ববৃহৎ এ বাহিনীর সদস্যদের ছুটি, বিনোদন ভ্রমণ এবং অন্যান্য বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রায়ই নানা ধরনের যাতায়াতজনিত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তাঁদের এই ভোগান্তি লাঘব ও সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই আজকের এই ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
উপদেষ্টা এ সময় ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসটি সর্বোচ্চ পেশাদারি ও দক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত হবে এবং বাহিনীর বৈধ পরিচয়পত্রধারী সব সদস্যের জন্য নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাইরে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, প্রতিদিনই অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। গত পরশুদিনও আটটি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তিনি বলেন, এ রকম উদ্ধার হতেই থাকবে এবং নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে অস্ত্র উদ্ধার আরও বাড়তে থাকবে এবং একসময় দেখবেন যে বাইরে আর কোনো অস্ত্র বা হাতিয়ার নেই।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আসন্ন বাজেট বাংলাদেশের মৌলিক শিল্প রক্ষায় বন্ধ সব পাটকল-চিনিকল চালু ও তার বিকাশের লক্ষ্যে মহাপরিকল্পনা গ্রহণসহ সাত দফা সুপারিশ করেছে দেশের প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ, গবেষক, সাংবাদিক ও শ্রমিক নেতারা। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীতে আয়োজিত এক সেমিনারে এ সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
২১ মে ২০২২
সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
১২ মিনিট আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে করা সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই সুপারিশ হস্তান্তর করেন।
১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর (শনিবার) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে কিছু দুষ্কৃতকারী নির্বাচন ভবনের সামনের ভাস্কর্যের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ভবনটির নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ককটেল বিস্ফোরণের পর আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন ভবন ঘিরে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ মঙ্গলবার প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সহিদ আব্দুস ছালাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশের এক চিঠি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর (শনিবার) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে কিছু দুষ্কৃতকারী নির্বাচন ভবনের সামনের ভাস্কর্যের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ভবনটির নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন ভবনের চারপাশে অফিস সময়ের পর ও ছুটির দিনগুলোতে বিভিন্ন ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলমান থাকায় নিরাপত্তা হুমকি আরও বাড়ছে বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এ অবস্থায় ভবনের আশপাশের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ রাখা এবং নির্বাচন ভবনের সামনে ও আশপাশে পুলিশের টহল বাড়ানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অগ্রাধিকার বিবেচনায় নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।

ককটেল বিস্ফোরণের পর আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন ভবন ঘিরে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ মঙ্গলবার প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সহিদ আব্দুস ছালাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশের এক চিঠি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর (শনিবার) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে কিছু দুষ্কৃতকারী নির্বাচন ভবনের সামনের ভাস্কর্যের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ভবনটির নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন ভবনের চারপাশে অফিস সময়ের পর ও ছুটির দিনগুলোতে বিভিন্ন ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলমান থাকায় নিরাপত্তা হুমকি আরও বাড়ছে বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এ অবস্থায় ভবনের আশপাশের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ রাখা এবং নির্বাচন ভবনের সামনে ও আশপাশে পুলিশের টহল বাড়ানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অগ্রাধিকার বিবেচনায় নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।

আসন্ন বাজেট বাংলাদেশের মৌলিক শিল্প রক্ষায় বন্ধ সব পাটকল-চিনিকল চালু ও তার বিকাশের লক্ষ্যে মহাপরিকল্পনা গ্রহণসহ সাত দফা সুপারিশ করেছে দেশের প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ, গবেষক, সাংবাদিক ও শ্রমিক নেতারা। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীতে আয়োজিত এক সেমিনারে এ সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
২১ মে ২০২২
সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
১২ মিনিট আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে করা সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই সুপারিশ হস্তান্তর করেন।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগে