
আওয়ামী লীগ ভারতের মাটিতে সমাবেশ ও প্রবাসী সরকার ঘোষণা করতে যাচ্ছে বলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুজন সমন্বয়ক এমন দাবি করেছেন। তবে এর কোনো ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। একই সঙ্গে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত সরকারও।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে গণ–আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে দাবি করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। ওই সমাবেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশ নিতে পারেন বলেও তথ্য দিয়েছেন তাঁরা।
গত শনিবার সন্ধ্যায় নোয়াখালীতে এক অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদ বলেন, ‘ওই সমাবেশ থেকে তারা (আওয়ামী লীগ) একটি প্রবাসী সরকারের ঘোষণা দিতে এবং শেখ হাসিনা সেখানে নিজে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখতে পারেন বলে তথ্য রয়েছে।’
একই তথ্য দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
একই দিনে কুমিল্লার কান্দিরপাড় এলাকায় এক সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘পালিয়ে গিয়েও খুনি হাসিনা দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন। আমরা ফ্যাসিবাদের গংদের স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, তাদের ষড়যন্ত্র ও অপচেষ্টা কখনোই বাংলার মাটিতে সফল হবে না।’
তবে কয়েক দিন ধরে বিষয়টি নিয়ে কথাবার্তা হলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বশীল কেউ এখনো এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
সমন্বয়কেরা এমন একটি সময়ে এ ধরনের বক্তব্য দিলেন, যখন ‘গণহত্যার’ অভিযোগে বেশ কিছু রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি তোলা হয়েছে। এমনকি অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে যে, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ও তার মিত্রদের অংশগ্রহণে বাধা দেওয়া হবে। ফলে টিকে থাকতে দলটি সত্যিই ভারতের মাটিতে সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কি না, তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে বেশ আলোচনা হতে দেখা যাচ্ছে।
কিন্তু আওয়ামী লীগ আসলেই কি আগরতলায় সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে? দলটি যদি সমাবেশের প্রস্তুতি নেয়ও, ভারত সরকার কি ওই ধরনের দলীয় কর্মসূচি করার অনুমতি দেবে?
সমন্বয়কেরা বলছেন, তাঁদের কাছে তথ্য আছে যে, ভারতের মাটিতে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু এমন তথ্য তাঁরা পেলেন কোথা থেকে?
বিবিসি বাংলাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদ বলেছেন, ‘আমাদের নিজস্ব কানেকশনের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, শনিবার তারা কুমিল্লার কাছে সীমান্তের এক জায়গায় মিটিং করার চেষ্টা করেছিল, জানাজানি হওয়ার কারণে যা পরে আর সফল হয়নি।’
সমাবেশ করার বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে আওয়ামী লীগ নেতারা ইতিমধ্যে তৎপরতা শুরু করেছেন বলেও দাবি করেন এই সমন্বয়ক। তাঁদের দাবি অনুযায়ী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী অঞ্চলের যেসব আওয়ামী নেতা এখনো দেশে অবস্থান করছেন, তাঁরাই ওই বৈঠক করতে চেয়েছিলেন।
সমন্বয়ক মাসুদ দাবি করেন, ‘আগরতলায় একটা সমাবেশ করে তারা প্রবাসী সরকার ঘোষণা দিয়ে এই দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করতে চায়।’
কিন্তু, বাংলাদেশে যেখানে স্বাধীন সার্বভৌম একটি দেশ এবং আওয়ামী লীগ কোনো ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ গোষ্ঠী নয়, সেখানে তারা কেন প্রবাসী সরকার ঘোষণা করতে যাবে? এমন প্রশ্ন রাখা হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা তার জবাব দিয়েছেন।
সমন্বয়ক মাসুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ, কিন্তু তারা নিজেরা তো এখান থেকে পদত্যাগ করে পালিয়েছে গণ–অভ্যুত্থান ও গণবিপ্লবের মুখে জনরোষ থেকে বাঁচতে। মানুষ রক্ত দিয়ে এখন যে সরকারকে বসিয়েছে, তারা সেই সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে চাইছে। এ কারণেই তারা এমন উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে।’
এদিকে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বিভিন্ন সময়ে জানিয়েছেন, তাঁর মা আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেননি। ফলে আওয়ামী লীগ সভাপতিই এখনো বাংলাদেশের ‘বৈধ প্রধানমন্ত্রী’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সমন্বয়ক মাসুদ দাবি করেন, ‘এ রকম আলোচনা সামনে এনে এখন শেখ হাসিনা বিভিন্ন দেশ সফর করে নেতা–কর্মীদের মনোবল চাঙা করে পুনরায় সংগঠিত হওয়ার চেষ্টার পরিকল্পনা করছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।’ বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারকেও জানানো হয়েছে বলে এই সমন্বয়ক জানান।
মাসুদ আরও বলেন, ‘আমরা জানিয়েছি এবং এ ব্যাপারে সচেতন থাকার জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছি। আমরা এটাও বলেছি যে, সরকারের পক্ষ থেকে কথা বলে প্রয়োজনে ভারতকে এ ব্যাপারে সচেতন করতে হবে, যেন তাদের মাটি ব্যবহার করে কেউ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র না করতে পারে।’
কী বলছে আওয়ামী লীগ?
আওয়ামী লীগ ভারতের মাটিতে সমাবেশ ও প্রবাসী সরকার ঘোষণা করতে যাচ্ছে বলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুজন সমন্বয়ক যে দাবি করেছেন, তার কোনো ভিত্তি নেই, বলছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, ‘এগুলো সব ভিত্তিহীন, অসত্য এবং প্রোপাগান্ডা।’
দায়িত্ব গ্রহণের পর অন্তর্বর্তী সরকার এখন দেশ চালাতে পারছে না বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের নেতারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ আরেকজন নেতা বলেন, ‘দেশে এখন জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বলে কিছু নেই, আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে, অরাজকতা চলছে। মোটকথা, কোনো কিছুর ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ নেই।’
এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই সরকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই তারা এখন এসব প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। কিন্তু এসব করে পার পাওয়া যাবে না। ব্যর্থতার দায়–দায়িত্ব অবশ্যই অন্তর্বর্তীকালীন অবৈধ সরকারকে নিতে হবে।’
তবে, নেতা–কর্মীদের অনেকে যে ইতিমধ্যে দেশ ছেড়েছেন এবং এখনো ছাড়ার চেষ্টা করছেন, সেটি স্বীকার করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে নাছিম বলেছেন, ‘আমাদের নেতা–কর্মীদের ওপর যেভাবে অত্যাচার–নির্যাতন ও মামলা–হামলা চালানো হচ্ছে, তাতে করে জীবন বাঁচাতে কেউ যদি দেশের বাইরে আশ্রয় নেয়, সেটা কি সে পারে না?’
ভারত কী বলছে?
ভারত সরকারের কর্মকর্তারাও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের দাবিকে সম্পূর্ণ ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। ভারত অবশ্য বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করছে না বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে ভারত সরকারের একটি সূত্র প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, ‘কারা বলছেন এসব কথা? তারা কি কোনো দায়িত্বপূর্ণ পদে আছেন? পাশের দেশে যে কেউ একটা আজগুবি কথা বললেই আমরা কেন জবাব দিতে যাব?’
এ ধরনের দাবির যে কোনো ভিত্তি নেই, সেটা অবশ্য ত্রিপুরা ও দিল্লিতে নানা মহলে খোঁজখবর নিয়েও নিশ্চিত হওয়া গেছে।
কারণ, প্রথমত, আওয়ামী লীগের পালিয়ে আসা নেতা–কর্মীরা যদি ত্রিপুরার মাটিতে বড় মাপের কোনো সমাবেশ করতে চান, সেটা একেবারে গোপনে বা স্থানীয়দের কাউকে টের পেতে না দিয়ে করা সম্ভব নয়।
ত্রিপুরার সরকারি ও বেসরকারি একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, রাজধানী আগরতলায় এ ধরনের কোনো তৎপরতা গত কয়েক সপ্তাহে তাদের আদৌ চোখে পড়েনি।
দ্বিতীয়ত, আওয়ামী লীগ যদি ভারতের মাটিতে কোনো প্রকাশ্য সভা করেও, সেখানে ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনাকে ভাষণ দিতে দেওয়া হবে, সেই সম্ভাবনা একেবারেই নেই।
গত আড়াই মাসে ভারত বারবার বলেছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে নিজের সুরক্ষার জন্য শেখ হাসিনাকে ভারতে চলে আসতে হয়েছে এবং তখন তাঁকে আতিথেয়তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে তাঁকে প্রকাশ্য রাজনীতিতে অংশ নিতে দেওয়া হবে, ভারত এখনো এ রকম কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
ফলে প্রকাশ্য কোনো রাজনৈতিক সভায় তিনি ভাষণ দিলে বা তাঁর অডিও বার্তা প্রচার করা হলে দিল্লির জন্য তা কূটনৈতিকভাবে খুবই অস্বস্তিকর হবে। ফলে শেখ হাসিনাকে আপাতত সেটার সুযোগ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
তৃতীয়ত, ৫ আগস্টের পালাবদলের পর আওয়ামী লীগের বহু নেতা–কর্মী পালিয়ে ভারতে চলে এসেছেন এটা ঠিকই। তাঁদের অনেকেরই আগে থেকে ভারতের ভিসা ছিল, কেউ কেউ আবার এসেছেন ‘বিশেষ ব্যবস্থায়’।
জানা গেছে, ভারত তাঁদের সবাইকেই অনানুষ্ঠানিকভাবে ‘লো প্রোফাইল’ বজায় রেখে চলার নির্দেশ দিয়েছে, প্রকাশ্য কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়াতেও নিষেধ করা হয়েছে। রাতারাতি সেই অবস্থান পরিবর্তন করে ভারতের মাটিতে সমাবেশ করতে উৎসাহ দেওয়া হবে এমন কোনো কারণ ঘটেনি।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলেছে, ‘আওয়ামী লীগ ভারতের মাটিতে শক্তি সঞ্চয় করে বাংলাদেশে ফিরে আসতে চাইছে, এ জন্যই সীমান্তের খুব কাছে সভা–সমাবেশ করছে—বাংলাদেশের মানুষকে আওয়ামী জুজু দেখাতেই এগুলো বলা, তা তো বোঝাই যাচ্ছে। আমাদের সেই ফাঁদে পা দেওয়ার কোনো কারণ নেই!’

আওয়ামী লীগ ভারতের মাটিতে সমাবেশ ও প্রবাসী সরকার ঘোষণা করতে যাচ্ছে বলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুজন সমন্বয়ক এমন দাবি করেছেন। তবে এর কোনো ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। একই সঙ্গে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত সরকারও।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে গণ–আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে দাবি করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। ওই সমাবেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশ নিতে পারেন বলেও তথ্য দিয়েছেন তাঁরা।
গত শনিবার সন্ধ্যায় নোয়াখালীতে এক অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদ বলেন, ‘ওই সমাবেশ থেকে তারা (আওয়ামী লীগ) একটি প্রবাসী সরকারের ঘোষণা দিতে এবং শেখ হাসিনা সেখানে নিজে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখতে পারেন বলে তথ্য রয়েছে।’
একই তথ্য দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
একই দিনে কুমিল্লার কান্দিরপাড় এলাকায় এক সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘পালিয়ে গিয়েও খুনি হাসিনা দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন। আমরা ফ্যাসিবাদের গংদের স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, তাদের ষড়যন্ত্র ও অপচেষ্টা কখনোই বাংলার মাটিতে সফল হবে না।’
তবে কয়েক দিন ধরে বিষয়টি নিয়ে কথাবার্তা হলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বশীল কেউ এখনো এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
সমন্বয়কেরা এমন একটি সময়ে এ ধরনের বক্তব্য দিলেন, যখন ‘গণহত্যার’ অভিযোগে বেশ কিছু রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি তোলা হয়েছে। এমনকি অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে যে, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ও তার মিত্রদের অংশগ্রহণে বাধা দেওয়া হবে। ফলে টিকে থাকতে দলটি সত্যিই ভারতের মাটিতে সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কি না, তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে বেশ আলোচনা হতে দেখা যাচ্ছে।
কিন্তু আওয়ামী লীগ আসলেই কি আগরতলায় সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে? দলটি যদি সমাবেশের প্রস্তুতি নেয়ও, ভারত সরকার কি ওই ধরনের দলীয় কর্মসূচি করার অনুমতি দেবে?
সমন্বয়কেরা বলছেন, তাঁদের কাছে তথ্য আছে যে, ভারতের মাটিতে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু এমন তথ্য তাঁরা পেলেন কোথা থেকে?
বিবিসি বাংলাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদ বলেছেন, ‘আমাদের নিজস্ব কানেকশনের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, শনিবার তারা কুমিল্লার কাছে সীমান্তের এক জায়গায় মিটিং করার চেষ্টা করেছিল, জানাজানি হওয়ার কারণে যা পরে আর সফল হয়নি।’
সমাবেশ করার বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে আওয়ামী লীগ নেতারা ইতিমধ্যে তৎপরতা শুরু করেছেন বলেও দাবি করেন এই সমন্বয়ক। তাঁদের দাবি অনুযায়ী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী অঞ্চলের যেসব আওয়ামী নেতা এখনো দেশে অবস্থান করছেন, তাঁরাই ওই বৈঠক করতে চেয়েছিলেন।
সমন্বয়ক মাসুদ দাবি করেন, ‘আগরতলায় একটা সমাবেশ করে তারা প্রবাসী সরকার ঘোষণা দিয়ে এই দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করতে চায়।’
কিন্তু, বাংলাদেশে যেখানে স্বাধীন সার্বভৌম একটি দেশ এবং আওয়ামী লীগ কোনো ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ গোষ্ঠী নয়, সেখানে তারা কেন প্রবাসী সরকার ঘোষণা করতে যাবে? এমন প্রশ্ন রাখা হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা তার জবাব দিয়েছেন।
সমন্বয়ক মাসুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ, কিন্তু তারা নিজেরা তো এখান থেকে পদত্যাগ করে পালিয়েছে গণ–অভ্যুত্থান ও গণবিপ্লবের মুখে জনরোষ থেকে বাঁচতে। মানুষ রক্ত দিয়ে এখন যে সরকারকে বসিয়েছে, তারা সেই সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে চাইছে। এ কারণেই তারা এমন উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে।’
এদিকে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বিভিন্ন সময়ে জানিয়েছেন, তাঁর মা আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেননি। ফলে আওয়ামী লীগ সভাপতিই এখনো বাংলাদেশের ‘বৈধ প্রধানমন্ত্রী’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সমন্বয়ক মাসুদ দাবি করেন, ‘এ রকম আলোচনা সামনে এনে এখন শেখ হাসিনা বিভিন্ন দেশ সফর করে নেতা–কর্মীদের মনোবল চাঙা করে পুনরায় সংগঠিত হওয়ার চেষ্টার পরিকল্পনা করছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।’ বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারকেও জানানো হয়েছে বলে এই সমন্বয়ক জানান।
মাসুদ আরও বলেন, ‘আমরা জানিয়েছি এবং এ ব্যাপারে সচেতন থাকার জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছি। আমরা এটাও বলেছি যে, সরকারের পক্ষ থেকে কথা বলে প্রয়োজনে ভারতকে এ ব্যাপারে সচেতন করতে হবে, যেন তাদের মাটি ব্যবহার করে কেউ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র না করতে পারে।’
কী বলছে আওয়ামী লীগ?
আওয়ামী লীগ ভারতের মাটিতে সমাবেশ ও প্রবাসী সরকার ঘোষণা করতে যাচ্ছে বলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুজন সমন্বয়ক যে দাবি করেছেন, তার কোনো ভিত্তি নেই, বলছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, ‘এগুলো সব ভিত্তিহীন, অসত্য এবং প্রোপাগান্ডা।’
দায়িত্ব গ্রহণের পর অন্তর্বর্তী সরকার এখন দেশ চালাতে পারছে না বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের নেতারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ আরেকজন নেতা বলেন, ‘দেশে এখন জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বলে কিছু নেই, আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে, অরাজকতা চলছে। মোটকথা, কোনো কিছুর ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ নেই।’
এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই সরকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই তারা এখন এসব প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। কিন্তু এসব করে পার পাওয়া যাবে না। ব্যর্থতার দায়–দায়িত্ব অবশ্যই অন্তর্বর্তীকালীন অবৈধ সরকারকে নিতে হবে।’
তবে, নেতা–কর্মীদের অনেকে যে ইতিমধ্যে দেশ ছেড়েছেন এবং এখনো ছাড়ার চেষ্টা করছেন, সেটি স্বীকার করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে নাছিম বলেছেন, ‘আমাদের নেতা–কর্মীদের ওপর যেভাবে অত্যাচার–নির্যাতন ও মামলা–হামলা চালানো হচ্ছে, তাতে করে জীবন বাঁচাতে কেউ যদি দেশের বাইরে আশ্রয় নেয়, সেটা কি সে পারে না?’
ভারত কী বলছে?
ভারত সরকারের কর্মকর্তারাও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের দাবিকে সম্পূর্ণ ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। ভারত অবশ্য বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করছে না বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে ভারত সরকারের একটি সূত্র প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, ‘কারা বলছেন এসব কথা? তারা কি কোনো দায়িত্বপূর্ণ পদে আছেন? পাশের দেশে যে কেউ একটা আজগুবি কথা বললেই আমরা কেন জবাব দিতে যাব?’
এ ধরনের দাবির যে কোনো ভিত্তি নেই, সেটা অবশ্য ত্রিপুরা ও দিল্লিতে নানা মহলে খোঁজখবর নিয়েও নিশ্চিত হওয়া গেছে।
কারণ, প্রথমত, আওয়ামী লীগের পালিয়ে আসা নেতা–কর্মীরা যদি ত্রিপুরার মাটিতে বড় মাপের কোনো সমাবেশ করতে চান, সেটা একেবারে গোপনে বা স্থানীয়দের কাউকে টের পেতে না দিয়ে করা সম্ভব নয়।
ত্রিপুরার সরকারি ও বেসরকারি একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, রাজধানী আগরতলায় এ ধরনের কোনো তৎপরতা গত কয়েক সপ্তাহে তাদের আদৌ চোখে পড়েনি।
দ্বিতীয়ত, আওয়ামী লীগ যদি ভারতের মাটিতে কোনো প্রকাশ্য সভা করেও, সেখানে ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনাকে ভাষণ দিতে দেওয়া হবে, সেই সম্ভাবনা একেবারেই নেই।
গত আড়াই মাসে ভারত বারবার বলেছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে নিজের সুরক্ষার জন্য শেখ হাসিনাকে ভারতে চলে আসতে হয়েছে এবং তখন তাঁকে আতিথেয়তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে তাঁকে প্রকাশ্য রাজনীতিতে অংশ নিতে দেওয়া হবে, ভারত এখনো এ রকম কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
ফলে প্রকাশ্য কোনো রাজনৈতিক সভায় তিনি ভাষণ দিলে বা তাঁর অডিও বার্তা প্রচার করা হলে দিল্লির জন্য তা কূটনৈতিকভাবে খুবই অস্বস্তিকর হবে। ফলে শেখ হাসিনাকে আপাতত সেটার সুযোগ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
তৃতীয়ত, ৫ আগস্টের পালাবদলের পর আওয়ামী লীগের বহু নেতা–কর্মী পালিয়ে ভারতে চলে এসেছেন এটা ঠিকই। তাঁদের অনেকেরই আগে থেকে ভারতের ভিসা ছিল, কেউ কেউ আবার এসেছেন ‘বিশেষ ব্যবস্থায়’।
জানা গেছে, ভারত তাঁদের সবাইকেই অনানুষ্ঠানিকভাবে ‘লো প্রোফাইল’ বজায় রেখে চলার নির্দেশ দিয়েছে, প্রকাশ্য কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়াতেও নিষেধ করা হয়েছে। রাতারাতি সেই অবস্থান পরিবর্তন করে ভারতের মাটিতে সমাবেশ করতে উৎসাহ দেওয়া হবে এমন কোনো কারণ ঘটেনি।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলেছে, ‘আওয়ামী লীগ ভারতের মাটিতে শক্তি সঞ্চয় করে বাংলাদেশে ফিরে আসতে চাইছে, এ জন্যই সীমান্তের খুব কাছে সভা–সমাবেশ করছে—বাংলাদেশের মানুষকে আওয়ামী জুজু দেখাতেই এগুলো বলা, তা তো বোঝাই যাচ্ছে। আমাদের সেই ফাঁদে পা দেওয়ার কোনো কারণ নেই!’

বক্তারা বলেন, জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে ধনী দেশগুলোর গড়িমসির কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর কোটি কোটি মানুষ অস্তিত্ব সংকটে পড়ছে। বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি ও বাস্তব পদক্ষেপের মধ্যকার ব্যবধান ক্রমেই বাড়ছে বলে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
১৬ মিনিট আগে
জাতীয় নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ফ্যাসিস্ট টেররিস্টদের দমনের উদ্দেশ্যে অবিলম্বে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’ চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ
৪ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীকে ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে থাকা জুলাই যোদ্ধাদের বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ নস্যাৎ করার সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে, রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা এই অভ্যুত্থানের অর্জনকে ব্যর্থ করার সব অপচেষ্টা রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে থাকার...
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী ধনী দেশগুলোর জবাবদিহি, ক্ষতিপূরণ ও ন্যায্যতা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলেছেন, ঋণ নয়, অনুদান ও ক্ষতিপূরণের মাধ্যমেই জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর পাশে দাঁড়াতে হবে ধনী দেশগুলোকে।
রাজধানীতে শুরু হওয়া তৃতীয় জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ-২০২৫-এ বক্তারা এ আহ্বান জানান। আজ শনিবার রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দিনব্যাপী এই সমাবেশের উদ্বোধন করা হয়।
নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ধরিত্রী রক্ষায় আমরার (ধরা) আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে সরকারি প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক জলবায়ু আন্দোলনের কর্মী, গবেষক ও জলবায়ু-ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিসহ প্রায় দুই হাজার মানুষ অংশ নেন।
উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার। সঞ্চালনা করেন ধরার সদস্যসচিব শরীফ জামিল। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং।
বক্তারা বলেন, জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে ধনী দেশগুলোর গড়িমসির কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর কোটি কোটি মানুষ অস্তিত্ব সংকটে পড়ছে। বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি ও বাস্তব পদক্ষেপের মধ্যকার ব্যবধান ক্রমেই বাড়ছে বলে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
সমাবেশের উদ্বোধনকালে সমাজকল্যাণ এবং নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ বলেন, বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণে বাংলাদেশের দায় খুবই কম হলেও দেশটি জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম বড় ভুক্তভোগী।
তিনি বলেন, ‘আমরা ধনী দেশগুলোর কাছে ঋণী নই, বরং তারা আমাদের কাছে ঋণী। জলবায়ু ন্যায্যতা এখন জবাবদিহি ও কার্যকর পদক্ষেপের প্রশ্ন।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনকে কেবল প্রযুক্তিগত বা অর্থনৈতিক সমস্যা হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। জলবায়ু ন্যায্যতা মানে ন্যায়, টিকে থাকা এবং জবাবদিহি।’
জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা অব্যাহত রাখার সমালোচনা করে তিনি বলেন, প্যারিস জলবায়ু চুক্তিসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে এখনো বড় ঘাটতি রয়ে গেছে। গ্লোবাল নর্থ প্রায়ই ন্যায়বিচারের বদলে ঋণ চাপিয়ে দেয়।
ধরার সদস্যসচিব শরীফ জামিল বলেন, ‘জলবায়ু ন্যায্যতা বাংলাদেশের জন্য কেবল একটি দাবির বিষয় নয়, এটি দেশের টিকে থাকার প্রশ্ন। আমরা যদি নিজেদের ঘর থেকে ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে না পারি, তাহলে বৈশ্বিক পর্যায়ে ন্যায্যতার দাবি প্রতিষ্ঠা করা কঠিন হবে।’
অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিরাও ধনী দেশগুলোর জলবায়ু অর্থায়ন নীতির সমালোচনা করেন।

জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী ধনী দেশগুলোর জবাবদিহি, ক্ষতিপূরণ ও ন্যায্যতা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলেছেন, ঋণ নয়, অনুদান ও ক্ষতিপূরণের মাধ্যমেই জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর পাশে দাঁড়াতে হবে ধনী দেশগুলোকে।
রাজধানীতে শুরু হওয়া তৃতীয় জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ-২০২৫-এ বক্তারা এ আহ্বান জানান। আজ শনিবার রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দিনব্যাপী এই সমাবেশের উদ্বোধন করা হয়।
নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ধরিত্রী রক্ষায় আমরার (ধরা) আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে সরকারি প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক জলবায়ু আন্দোলনের কর্মী, গবেষক ও জলবায়ু-ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিসহ প্রায় দুই হাজার মানুষ অংশ নেন।
উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার। সঞ্চালনা করেন ধরার সদস্যসচিব শরীফ জামিল। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং।
বক্তারা বলেন, জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে ধনী দেশগুলোর গড়িমসির কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর কোটি কোটি মানুষ অস্তিত্ব সংকটে পড়ছে। বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি ও বাস্তব পদক্ষেপের মধ্যকার ব্যবধান ক্রমেই বাড়ছে বলে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
সমাবেশের উদ্বোধনকালে সমাজকল্যাণ এবং নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ বলেন, বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণে বাংলাদেশের দায় খুবই কম হলেও দেশটি জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম বড় ভুক্তভোগী।
তিনি বলেন, ‘আমরা ধনী দেশগুলোর কাছে ঋণী নই, বরং তারা আমাদের কাছে ঋণী। জলবায়ু ন্যায্যতা এখন জবাবদিহি ও কার্যকর পদক্ষেপের প্রশ্ন।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনকে কেবল প্রযুক্তিগত বা অর্থনৈতিক সমস্যা হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। জলবায়ু ন্যায্যতা মানে ন্যায়, টিকে থাকা এবং জবাবদিহি।’
জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা অব্যাহত রাখার সমালোচনা করে তিনি বলেন, প্যারিস জলবায়ু চুক্তিসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে এখনো বড় ঘাটতি রয়ে গেছে। গ্লোবাল নর্থ প্রায়ই ন্যায়বিচারের বদলে ঋণ চাপিয়ে দেয়।
ধরার সদস্যসচিব শরীফ জামিল বলেন, ‘জলবায়ু ন্যায্যতা বাংলাদেশের জন্য কেবল একটি দাবির বিষয় নয়, এটি দেশের টিকে থাকার প্রশ্ন। আমরা যদি নিজেদের ঘর থেকে ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে না পারি, তাহলে বৈশ্বিক পর্যায়ে ন্যায্যতার দাবি প্রতিষ্ঠা করা কঠিন হবে।’
অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিরাও ধনী দেশগুলোর জলবায়ু অর্থায়ন নীতির সমালোচনা করেন।

আওয়ামী লীগ ভারতের মাটিতে সমাবেশ ও প্রবাসী সরকার ঘোষণা করতে যাচ্ছে বলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুজন সমন্বয়কে যে দাবি করেছেন, তার কোনো ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। একই সঙ্গে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ভারতও সরকারও...
২২ অক্টোবর ২০২৪
জাতীয় নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ফ্যাসিস্ট টেররিস্টদের দমনের উদ্দেশ্যে অবিলম্বে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’ চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ
৪ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীকে ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে থাকা জুলাই যোদ্ধাদের বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ নস্যাৎ করার সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে, রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা এই অভ্যুত্থানের অর্জনকে ব্যর্থ করার সব অপচেষ্টা রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে থাকার...
৫ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

জাতীয় নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ফ্যাসিস্ট টেররিস্টদের দমনের উদ্দেশ্যে অবিলম্বে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’ চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, লুট হওয়া ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে। এটিকে আরও জোরদার ও বেগবান করার জন্য এবং ফ্যাসিস্ট টেররিস্টদের দমনের উদ্দেশ্যে কোর কমিটি ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’ অবিলম্বে চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যুর ক্ষেত্রে এত দিন শুধু সামরিক ও বেসামরিক কর্মচারীদের অনুকূলে ইস্যু করা হতো। তিনি বলেন, এখন জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থীদের মধ্যে যাঁরা আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স চাইবেন, তাঁদেরও লাইসেন্স ইস্যু করা হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরলে তাঁর নিরাপত্তায় কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে—এ-সংক্রান্ত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সরকার তারেক রহমানের নিরাপত্তায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে এবং তাঁর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, আইজিপি বাহারুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ফ্যাসিস্ট টেররিস্টদের দমনের উদ্দেশ্যে অবিলম্বে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’ চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, লুট হওয়া ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে। এটিকে আরও জোরদার ও বেগবান করার জন্য এবং ফ্যাসিস্ট টেররিস্টদের দমনের উদ্দেশ্যে কোর কমিটি ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’ অবিলম্বে চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যুর ক্ষেত্রে এত দিন শুধু সামরিক ও বেসামরিক কর্মচারীদের অনুকূলে ইস্যু করা হতো। তিনি বলেন, এখন জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থীদের মধ্যে যাঁরা আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স চাইবেন, তাঁদেরও লাইসেন্স ইস্যু করা হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরলে তাঁর নিরাপত্তায় কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে—এ-সংক্রান্ত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সরকার তারেক রহমানের নিরাপত্তায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে এবং তাঁর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, আইজিপি বাহারুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামী লীগ ভারতের মাটিতে সমাবেশ ও প্রবাসী সরকার ঘোষণা করতে যাচ্ছে বলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুজন সমন্বয়কে যে দাবি করেছেন, তার কোনো ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। একই সঙ্গে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ভারতও সরকারও...
২২ অক্টোবর ২০২৪
বক্তারা বলেন, জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে ধনী দেশগুলোর গড়িমসির কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর কোটি কোটি মানুষ অস্তিত্ব সংকটে পড়ছে। বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি ও বাস্তব পদক্ষেপের মধ্যকার ব্যবধান ক্রমেই বাড়ছে বলে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
১৬ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীকে ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে থাকা জুলাই যোদ্ধাদের বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ নস্যাৎ করার সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে, রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা এই অভ্যুত্থানের অর্জনকে ব্যর্থ করার সব অপচেষ্টা রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে থাকার...
৫ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারী আততায়ীকে ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে থাকা জুলাই যোদ্ধাদের বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
আজ শনিবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির জরুরি বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অন্তর্বর্তী সরকার গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে। এই বিষয়টিকে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। অবিলম্বে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারব। এই হামলায় জড়িত কাউকে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে আমরা জনগণের সার্বিক সহযোগিতা পাব বলে বিশ্বাস করি। হাদির ওপর আক্রমণের ঘটনা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার অপপ্রয়াস বলে আমরা মনে করি। নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত বা বানচাল করার সকল চেষ্টা সরকার দমন করবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর। সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। লুট হওয়া ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার চলমান। ডেভিল হান্ট ফেস-২ অবিলম্বে চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক হাদির ওপর হামলাকারী ফয়সালকে ধরিয়ে দিতে সরকার ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারী আততায়ীকে ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে থাকা জুলাই যোদ্ধাদের বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
আজ শনিবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির জরুরি বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অন্তর্বর্তী সরকার গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে। এই বিষয়টিকে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। অবিলম্বে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারব। এই হামলায় জড়িত কাউকে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে আমরা জনগণের সার্বিক সহযোগিতা পাব বলে বিশ্বাস করি। হাদির ওপর আক্রমণের ঘটনা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার অপপ্রয়াস বলে আমরা মনে করি। নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত বা বানচাল করার সকল চেষ্টা সরকার দমন করবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর। সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। লুট হওয়া ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার চলমান। ডেভিল হান্ট ফেস-২ অবিলম্বে চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক হাদির ওপর হামলাকারী ফয়সালকে ধরিয়ে দিতে সরকার ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

আওয়ামী লীগ ভারতের মাটিতে সমাবেশ ও প্রবাসী সরকার ঘোষণা করতে যাচ্ছে বলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুজন সমন্বয়কে যে দাবি করেছেন, তার কোনো ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। একই সঙ্গে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ভারতও সরকারও...
২২ অক্টোবর ২০২৪
বক্তারা বলেন, জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে ধনী দেশগুলোর গড়িমসির কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর কোটি কোটি মানুষ অস্তিত্ব সংকটে পড়ছে। বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি ও বাস্তব পদক্ষেপের মধ্যকার ব্যবধান ক্রমেই বাড়ছে বলে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
১৬ মিনিট আগে
জাতীয় নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ফ্যাসিস্ট টেররিস্টদের দমনের উদ্দেশ্যে অবিলম্বে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’ চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ
৪ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ নস্যাৎ করার সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে, রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা এই অভ্যুত্থানের অর্জনকে ব্যর্থ করার সব অপচেষ্টা রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে থাকার...
৫ ঘণ্টা আগেযমুনায় বৈঠক
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ নস্যাৎ করার সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে, রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা এই অভ্যুত্থানের অর্জনকে ব্যর্থ করার সব অপচেষ্টা রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে থাকার জোরালো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আজ শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর শীর্ষ নেতারা এ বিষয়ে মতৈক্য প্রকাশ করেন।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের এবং আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ওসমান হাদির ওপর হামলা পূর্ব-পরিকল্পিত ও গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ; এর পেছনে বিরাট শক্তি কাজ করছে।
তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচনটি হতে না দেওয়া। এই আক্রমণটি খুবই সিম্বলিক (প্রতীকী)। তারা তাদের শক্তি প্রদর্শন করতে চায়, নির্বাচনের সব আয়োজন ভেস্তে দিতে চায়। এগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে মনে হচ্ছে ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছে। তারা প্রশিক্ষিত শুটার নিয়ে মাঠে নেমেছে।’
বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে আমাদের অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কোনো অবস্থাতেই পরস্পরের দোষারোপ থেকে বিরত থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়াজ তুলতে হবে। কোনো ধরনের অপশক্তিকে আমরা বরদাশত করব না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মধ্যে যতই রাজনৈতিক বক্তব্যের বিরোধিতা থাকুক না কেন, জাতির স্বার্থে এবং জুলাইয়ের স্বার্থে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতেই হবে।’
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পরামর্শ দেন সালাহউদ্দিন।
জামায়াত নেতা গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের নানা বক্তব্য একে অন্যকে দোষারোপ করার প্রবণতা বাড়িয়েছে, যার ফলে আমাদের বিরোধীরা সুযোগ পেয়েছে। আমাদের পূর্বের ন্যায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে আমরা একে অন্যকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেলেছি। জাতিকে বিভক্ত করে এমন কথা আমরা কেন বলব? সব দলকে তাদের কমিটমেন্ট ঠিক করতে হবে।’
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকেই কিছু লোক এই অভ্যুত্থানকে খাটো করার জন্য নানা অপতৎপরতা চালিয়ে আসছে।’
তিনি বলেন, ‘সুসংগঠিতভাবে জুলাইয়ের বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন চলছে। মিডিয়া ও প্রশাসনের নানা স্তরে এই কাজ হচ্ছে। নির্বাচনের পর যারা ক্ষমতায় আসবে, তারাও এর ভুক্তভোগী হবে। কেউই একা সরকার চালাতে পারবে না।’
নাহিদ বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে যাতে মনে হয় যারা অভ্যুত্থান করেছে তারা অপরাধ করেছে। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নরমালাইজ করতে নানা চেষ্টা চলছে। টিভি টকশোতে তারা নিয়মিত অংশ নিচ্ছে, প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় বৈঠক করছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মিলিত হচ্ছে এবং আদালত প্রাঙ্গণে স্লোগান দিচ্ছে।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আমাদের বিশেষ কোনো নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই। আমরা এটা নেব না। জুলাইকে সবাই মিলে ওউন করতে হবে। জুলাইকে কে কী বলবে—এই টানাপোড়েনে আমরা জুলাইকে শেষ করে দিচ্ছি। ষড়যন্ত্রকারীরা আমাদের অনৈক্যকে আমাদের পরাজয় হিসেবে দেখছে। তারা ভারতে বসে যা ইচ্ছা তা-ই করছে, আর আমরা কিছুই করতে পারছি না।’
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী বেশে, সাংস্কৃতিক কর্মী বেশে আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নকারীদের থামাতে হবে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এ সময় এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা নিজেরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে না পারলে কোনো নিরাপত্তাই আমাদের কাজে আসবে না। রাজনৈতিক স্বার্থে দলগুলো আওয়ামী লীগকে নানা রকম সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের চিন্তা করতে হবে—ভবিষ্যতের জন্য আমরা কী করতে পারি।’ তিনি বলেন, ‘শুধু সরকার নয়, সবাইকে শক্ত থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে যেন দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্য থাকবে, কিন্তু কাউকে শত্রু ভাবা বা আক্রমণ করার সংস্কৃতি থেকে সরে আসতে হবে।’
‘নির্বাচনের সময় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, তবে মাথায় রাখতে হবে—এটি যেন একটি নির্দিষ্ট মাত্রার মধ্যে নিয়ন্ত্রণে থাকে, ’ দলগুলোর প্রতি এই পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
এ সময় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে হানাহানি শুরু হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগ শক্তিশালী হয়েছে।’
রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনাদের শুধু দলীয় স্বার্থ নয়, জাতীয় স্বার্থের বিষয়েও সজাগ থাকতে হবে।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ নস্যাৎ করার সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে, রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা এই অভ্যুত্থানের অর্জনকে ব্যর্থ করার সব অপচেষ্টা রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে থাকার জোরালো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আজ শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর শীর্ষ নেতারা এ বিষয়ে মতৈক্য প্রকাশ করেন।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের এবং আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ওসমান হাদির ওপর হামলা পূর্ব-পরিকল্পিত ও গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ; এর পেছনে বিরাট শক্তি কাজ করছে।
তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচনটি হতে না দেওয়া। এই আক্রমণটি খুবই সিম্বলিক (প্রতীকী)। তারা তাদের শক্তি প্রদর্শন করতে চায়, নির্বাচনের সব আয়োজন ভেস্তে দিতে চায়। এগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে মনে হচ্ছে ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছে। তারা প্রশিক্ষিত শুটার নিয়ে মাঠে নেমেছে।’
বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে আমাদের অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কোনো অবস্থাতেই পরস্পরের দোষারোপ থেকে বিরত থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়াজ তুলতে হবে। কোনো ধরনের অপশক্তিকে আমরা বরদাশত করব না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মধ্যে যতই রাজনৈতিক বক্তব্যের বিরোধিতা থাকুক না কেন, জাতির স্বার্থে এবং জুলাইয়ের স্বার্থে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতেই হবে।’
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পরামর্শ দেন সালাহউদ্দিন।
জামায়াত নেতা গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের নানা বক্তব্য একে অন্যকে দোষারোপ করার প্রবণতা বাড়িয়েছে, যার ফলে আমাদের বিরোধীরা সুযোগ পেয়েছে। আমাদের পূর্বের ন্যায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে আমরা একে অন্যকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেলেছি। জাতিকে বিভক্ত করে এমন কথা আমরা কেন বলব? সব দলকে তাদের কমিটমেন্ট ঠিক করতে হবে।’
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকেই কিছু লোক এই অভ্যুত্থানকে খাটো করার জন্য নানা অপতৎপরতা চালিয়ে আসছে।’
তিনি বলেন, ‘সুসংগঠিতভাবে জুলাইয়ের বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন চলছে। মিডিয়া ও প্রশাসনের নানা স্তরে এই কাজ হচ্ছে। নির্বাচনের পর যারা ক্ষমতায় আসবে, তারাও এর ভুক্তভোগী হবে। কেউই একা সরকার চালাতে পারবে না।’
নাহিদ বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে যাতে মনে হয় যারা অভ্যুত্থান করেছে তারা অপরাধ করেছে। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নরমালাইজ করতে নানা চেষ্টা চলছে। টিভি টকশোতে তারা নিয়মিত অংশ নিচ্ছে, প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় বৈঠক করছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মিলিত হচ্ছে এবং আদালত প্রাঙ্গণে স্লোগান দিচ্ছে।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আমাদের বিশেষ কোনো নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই। আমরা এটা নেব না। জুলাইকে সবাই মিলে ওউন করতে হবে। জুলাইকে কে কী বলবে—এই টানাপোড়েনে আমরা জুলাইকে শেষ করে দিচ্ছি। ষড়যন্ত্রকারীরা আমাদের অনৈক্যকে আমাদের পরাজয় হিসেবে দেখছে। তারা ভারতে বসে যা ইচ্ছা তা-ই করছে, আর আমরা কিছুই করতে পারছি না।’
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী বেশে, সাংস্কৃতিক কর্মী বেশে আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নকারীদের থামাতে হবে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এ সময় এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা নিজেরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে না পারলে কোনো নিরাপত্তাই আমাদের কাজে আসবে না। রাজনৈতিক স্বার্থে দলগুলো আওয়ামী লীগকে নানা রকম সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের চিন্তা করতে হবে—ভবিষ্যতের জন্য আমরা কী করতে পারি।’ তিনি বলেন, ‘শুধু সরকার নয়, সবাইকে শক্ত থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে যেন দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্য থাকবে, কিন্তু কাউকে শত্রু ভাবা বা আক্রমণ করার সংস্কৃতি থেকে সরে আসতে হবে।’
‘নির্বাচনের সময় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, তবে মাথায় রাখতে হবে—এটি যেন একটি নির্দিষ্ট মাত্রার মধ্যে নিয়ন্ত্রণে থাকে, ’ দলগুলোর প্রতি এই পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
এ সময় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে হানাহানি শুরু হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগ শক্তিশালী হয়েছে।’
রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনাদের শুধু দলীয় স্বার্থ নয়, জাতীয় স্বার্থের বিষয়েও সজাগ থাকতে হবে।’

আওয়ামী লীগ ভারতের মাটিতে সমাবেশ ও প্রবাসী সরকার ঘোষণা করতে যাচ্ছে বলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুজন সমন্বয়কে যে দাবি করেছেন, তার কোনো ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। একই সঙ্গে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ভারতও সরকারও...
২২ অক্টোবর ২০২৪
বক্তারা বলেন, জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে ধনী দেশগুলোর গড়িমসির কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর কোটি কোটি মানুষ অস্তিত্ব সংকটে পড়ছে। বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি ও বাস্তব পদক্ষেপের মধ্যকার ব্যবধান ক্রমেই বাড়ছে বলে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
১৬ মিনিট আগে
জাতীয় নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ফ্যাসিস্ট টেররিস্টদের দমনের উদ্দেশ্যে অবিলম্বে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’ চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ
৪ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীকে ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে থাকা জুলাই যোদ্ধাদের বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে