বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
বাংলাদেশের ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার সামুদ্রিক জলসীমায় মৎস্যসম্পদ ও বাস্তুতন্ত্র জরিপ করবে সরকার। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সহযোগিতায় নরওয়ের সামুদ্রিক গবেষণা জাহাজ আর ভি ড ফ্রিডজোফ নানসেন এই জরিপ করবে। ২১ আগস্ট থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই জরিপ কার্যক্রম চলবে।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ। এ জরিপের মাধ্যমে মৎস্যসম্পদের মজুত নিরূপণ, ইকোসিস্টেম পর্যবেক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বিশ্লেষণ করা হবে, যা ভবিষ্যতে টেকসই মৎস্য আহরণ নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গবেষণা জাহাজ ফ্রিডজোফ নানসেন প্রথম ১৯৭৯ সালে এবং দ্বিতীয়বার ১৯৮০ সালে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় জরিপ পরিচালনা করে। সর্বশেষ ২০১৮ সালে এফএও এবং নরওয়ের ইনস্টিটিউট অব মেরিন রিসার্চের সহযোগিতায় জাহাজটি বঙ্গোপসাগরে মাছের মজুত ও ইকোসিস্টেম গবেষণা চালায়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা জানান, এবারের জরিপে বাংলাদেশের ১৩ জনসহ বিভিন্ন দেশের ২৬ জন গবেষক অংশ নেবেন। গবেষকেরা উপকূলীয় এবং গভীর সমুদ্রে বিদ্যমান ছোট আকারের পেলাজিক ও মেসোপেলাজিক মাছের আপেক্ষিক প্রাচুর্যতা, মজুত নির্ধারণসহ ইকোসিস্টেমের সার্বিক অবস্থা নিরূপণ করবেন, যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে টেকসই আহরণের সীমা নির্ধারণের পাশাপাশি গভীর ও আন্তর্জাতিক সমুদ্র অঞ্চলে বাণিজ্যিক মৎস্যসম্পদের অনুসন্ধান ও আহরণে বিপুল সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। জরিপের সময় সমুদ্রের পানি স্তর ও কলামের তাপমাত্রা, লবণাক্ততা, পুষ্টি উপাদান, ঘোলাভাব, উৎপাদনশীলতা, স্রোতের দিক ও গতি পরিমাপ করা হবে।
মেসোপেলাজিক মাছ এবং প্ল্যাঙ্কটন সমুদ্রের খাদ্যশৃঙ্খলের মূল ভিত্তি। গভীর সমুদ্র অঞ্চলে এদের জৈবভর, প্রজাতিগত বিচিত্রতা ও বিতরণ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এটি সামুদ্রিক ইকোসিস্টেমের সুস্থতা এবং বাণিজ্যিক মাছের উৎপাদনশীলতা বোঝার জন্য জরুরি।
মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আশা করি, এই জরিপের মাধ্যমে গভীর সমুদ্রের সম্ভাবনা উন্মোচিত হবে, টেকসই মৎস্য আহরণের পথ সুগম হবে এবং সামুদ্রিক পরিবেশ রক্ষায় বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সমৃদ্ধ হবে।’
ফরিদা আখতার বলেন, এবারের জরিপ বাংলাদেশের সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবস্থাপনার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। জরিপ থেকে পাওয়া বৈজ্ঞানিক তথ্য বাংলাদেশের মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ, টেকসই আহরণ, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন এবং সামুদ্রিক পরিবেশ রক্ষায় জাতীয় নীতি প্রণয়নে সরাসরি সহায়তা করবে। এ ছাড়া এটি বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করবে। সমুদ্রের বিভিন্ন গভীরতা ও পরিবেশ অনুযায়ী আবাসস্থলের মানচিত্র তৈরি করা হবে, যা প্রজাতি সংরক্ষণ ও মৎস্য ব্যবস্থাপনায় সহায়ক হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জরিপ শেষে আগামী ছয় মাসের মধ্যে সরকারের কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হবে। ওই প্রতিবেদনের আলোকে সরকার পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে।
বাংলাদেশের ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার সামুদ্রিক জলসীমায় মৎস্যসম্পদ ও বাস্তুতন্ত্র জরিপ করবে সরকার। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সহযোগিতায় নরওয়ের সামুদ্রিক গবেষণা জাহাজ আর ভি ড ফ্রিডজোফ নানসেন এই জরিপ করবে। ২১ আগস্ট থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই জরিপ কার্যক্রম চলবে।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ। এ জরিপের মাধ্যমে মৎস্যসম্পদের মজুত নিরূপণ, ইকোসিস্টেম পর্যবেক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বিশ্লেষণ করা হবে, যা ভবিষ্যতে টেকসই মৎস্য আহরণ নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গবেষণা জাহাজ ফ্রিডজোফ নানসেন প্রথম ১৯৭৯ সালে এবং দ্বিতীয়বার ১৯৮০ সালে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় জরিপ পরিচালনা করে। সর্বশেষ ২০১৮ সালে এফএও এবং নরওয়ের ইনস্টিটিউট অব মেরিন রিসার্চের সহযোগিতায় জাহাজটি বঙ্গোপসাগরে মাছের মজুত ও ইকোসিস্টেম গবেষণা চালায়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা জানান, এবারের জরিপে বাংলাদেশের ১৩ জনসহ বিভিন্ন দেশের ২৬ জন গবেষক অংশ নেবেন। গবেষকেরা উপকূলীয় এবং গভীর সমুদ্রে বিদ্যমান ছোট আকারের পেলাজিক ও মেসোপেলাজিক মাছের আপেক্ষিক প্রাচুর্যতা, মজুত নির্ধারণসহ ইকোসিস্টেমের সার্বিক অবস্থা নিরূপণ করবেন, যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে টেকসই আহরণের সীমা নির্ধারণের পাশাপাশি গভীর ও আন্তর্জাতিক সমুদ্র অঞ্চলে বাণিজ্যিক মৎস্যসম্পদের অনুসন্ধান ও আহরণে বিপুল সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। জরিপের সময় সমুদ্রের পানি স্তর ও কলামের তাপমাত্রা, লবণাক্ততা, পুষ্টি উপাদান, ঘোলাভাব, উৎপাদনশীলতা, স্রোতের দিক ও গতি পরিমাপ করা হবে।
মেসোপেলাজিক মাছ এবং প্ল্যাঙ্কটন সমুদ্রের খাদ্যশৃঙ্খলের মূল ভিত্তি। গভীর সমুদ্র অঞ্চলে এদের জৈবভর, প্রজাতিগত বিচিত্রতা ও বিতরণ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এটি সামুদ্রিক ইকোসিস্টেমের সুস্থতা এবং বাণিজ্যিক মাছের উৎপাদনশীলতা বোঝার জন্য জরুরি।
মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আশা করি, এই জরিপের মাধ্যমে গভীর সমুদ্রের সম্ভাবনা উন্মোচিত হবে, টেকসই মৎস্য আহরণের পথ সুগম হবে এবং সামুদ্রিক পরিবেশ রক্ষায় বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সমৃদ্ধ হবে।’
ফরিদা আখতার বলেন, এবারের জরিপ বাংলাদেশের সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবস্থাপনার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। জরিপ থেকে পাওয়া বৈজ্ঞানিক তথ্য বাংলাদেশের মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ, টেকসই আহরণ, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন এবং সামুদ্রিক পরিবেশ রক্ষায় জাতীয় নীতি প্রণয়নে সরাসরি সহায়তা করবে। এ ছাড়া এটি বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করবে। সমুদ্রের বিভিন্ন গভীরতা ও পরিবেশ অনুযায়ী আবাসস্থলের মানচিত্র তৈরি করা হবে, যা প্রজাতি সংরক্ষণ ও মৎস্য ব্যবস্থাপনায় সহায়ক হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জরিপ শেষে আগামী ছয় মাসের মধ্যে সরকারের কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হবে। ওই প্রতিবেদনের আলোকে সরকার পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে।
দেশে ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। চলতি বছর চিকিৎসাধীন যত রোগীর মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের (৭৩ শতাংশ) বেশির মৃত্যু হয়েছে সরকারি সাত হাসপাতালে।
২ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ সাত মাসের আলোচনায় কোথাও মতৈক্য এসেছে, আবার কোথাও থেকে গেছে মতানৈক্য। এসব মত-দ্বিমত, দোলাচলের মধ্যেই তৈরি হয় জুলাই জাতীয় সনদ। রাজনৈতিক দলগুলোর মতপার্থক্যের কারণে সনদে স্বাক্ষর সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল শেষ দিন পর্যন্ত।
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্যের বহুল প্রতীক্ষিত ‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এ স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
৬ ঘণ্টা আগেসিপিবি-বাসদসহ চারটি বামপন্থী দলের আপত্তির পর জুলাই জাতীয় সনদ–২০২৫-এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর ফলে সংবিধান থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বাদ পড়ছে না। স্বাক্ষর শেষে রাজনৈতিক দল ও আমন্ত্রিত অতিথিদের দেওয়া জুলাই সনদে বিষয়টি উল্লেখ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
৬ ঘণ্টা আগে