জাতীয় নির্বাচন
সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা
ভোটের মৃদু হাওয়া বইতে শুরু করেছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে রমজান শুরুর আগেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস। জাতির উদ্দেশে ভাষণে গত মঙ্গলবার এ ঘোষণা দেওয়ার পরদিন গতকাল বুধবারই তাঁর কার্যালয় থেকে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে ভোটের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এবং গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান উপদেষ্টার ভোটের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। তবে অন্য দুই গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মনে করছে, জুলাই সনদ না দিয়ে, সংস্কার না করে ও সুষ্ঠু ভোটের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত না করেই সরকার নির্বাচনের সময়সীমা দিয়ে দিয়েছে। কাজেই দল দুটির নেতাদের বক্তব্যে ভোট নিয়ে অস্বস্তি আছে।
আবার সরকার পতন আন্দোলনে সামনের সারিতে থাকা এবং বর্তমানে এনসিপি নেতৃত্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সক্রিয় সরকারের দুজন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে নিয়ে অস্বস্তি আছে বিএনপিতেও। এ বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে বিএনপির মহাসচিব গতকাল আশাবাদ ব্যক্ত করেন, নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে এমন কিছু ইউনূস সরকার করবে না।
তবে রাজনীতিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাংলাদেশ ও অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য দেশের ভেতর থেকে ও সীমান্তের ওপার থেকেও নানা রকম অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা চলছে। এই অবস্থায় নির্বাচন ছাড়া এ সংকট থেকে বেরোনো প্রায় অসম্ভব।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচন লাগবে। সংস্কার ও বিচারপ্রক্রিয়া দৃশ্যমান করে নির্বাচন হলে ভালো হতো। কিন্তু এর মধ্যে অনেক সময়ক্ষেপণ হয়ে গেছে।’
যদিও সরকারের ভেতরকার তথ্য অনুযায়ী, জুলাই সনদ তৈরির প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থায়, বহুল আলোচিত রাষ্ট্রীয় সংস্কার ন্যূনতম একটি পর্যায় পর্যন্ত এগিয়ে না নিয়ে এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার একটি গ্রহণযোগ্য পর্যায় পর্যন্ত সম্পন্ন না করে এখনই নির্বাচনের সময়সীমা বেঁধে না দেওয়ার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর একাংশ, সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা ও এই সরকারের আমলে বিভিন্ন বড় ও গুরুত্বপূর্ণ পদ ও দায়িত্বে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের অনেকের আপত্তি আছে।
অন্যদিকে, উপদেষ্টাদের কয়েকজন ও প্রভাবশালী কয়েকটি কর্তৃপক্ষ মনে করছে, সরকার ও দেশের ভেতরে–বাইরে নানামুখী অস্থিরতা বিরাজ করছে। নির্বাচিত সরকার দায়িত্বে এলে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা তুলনামূলকভাবে সহজ হতে পারে। মূলত এই মহলটির পরামর্শ আমলে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়সীমা নির্ধারণ ও নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রসঙ্গটি সামনে এনেছেন।
ভোটের প্রসঙ্গ টেনে মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার ‘এবার একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রক্রিয়া’ শুরু করবে।
মুহাম্মদ ইউনূসের ঘনিষ্ঠ ও তাঁর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে গতকাল বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিল মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এমন প্রতিশ্রুতি প্রধান উপদেষ্টার দিক থেকে ছিল। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তিনি (ইউনূস) এর মধ্যে প্রথমটি বেছে নিয়েছেন।
এই কর্মকর্তার বক্তব্য অনুযায়ী, নির্বাচনের সুস্পষ্ট ঘোষণা দেওয়ার মাধ্যমে মাঠে ভোটের হাওয়া এনে দেওয়া গেলে রাজনৈতিক মহলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চলমান অস্থিরতা অনেকটা কমে আসতে পারে, এমন ধারণা সরকারপ্রধানের আস্থাভাজন ব্যক্তিরা তাঁকে দিয়েছেন।
ড. ইউনূস তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বহু বছর ভোট দিতে পারিনি। এবার আমরা সবাই ভোট দেব। কেউ বাদ যাবে না।’
বিএনপি মনে করছে, ভোটের ঘোষণা আসায় রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটতে শুরু করবে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল সংবাদ সম্মেলনে আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে সরকার ও নির্বাচন কমিশন সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
শেখ হাসিনার গত প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলে ও তাঁর পতনের পর সৃষ্ট রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী, নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সংগঠনের মতভেদ থাকার বিষয়টিও স্পষ্ট। এই তিন সংগঠন মনে করে, ভবিষ্যতের আইনসভার গঠন ও নির্বাচনপ্রক্রিয়া কেমন হবে, সরকারপ্রধান তথা নির্বাহী বিভাগের সঙ্গে রাষ্ট্রের অন্যান্য বিভাগের ক্ষমতার ভারসাম্য কতটা থাকবে, এ প্রশ্নগুলোর মীমাংসা না করে শুধু নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে না। জুলাই সনদ চূড়ান্ত করে তা আইনি প্রক্রিয়াভুক্ত করার জন্যও দলগুলো চাপ দিয়ে চলেছে।
জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের গতকাল বলেন, ‘নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ সরকার এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি।’ তাঁর দাবি, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্যই জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যে জুলাই সনদ প্রণয়ন করছে, সরকারকে তার আইনে ভিত্তি দিতে হবে। এই সনদের ভিত্তিতেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে।
এমন অবস্থায় জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি আগামী নির্বাচনে যাবে কি না, এ বিষয়েও নানামুখী জল্পনাকল্পনা আছে। তবে জামায়াত নেতারা বলছেন, দলটি এরই মধ্যে আসনভিত্তিক প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণা করেছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা জনসংযোগ করছেন। এনসিপি নেতৃত্ব দল হিসেবে সারা দেশে ও নেতাদের অনেকে নিজেরাও এরই মধ্যে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় জনসংযোগ করছেন।
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তাঁর দল নির্বাচনের মাধ্যমে গণপরিষদ গঠন ও এ পরিষদের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান তৈরির দাবি করে আসছে। তাঁর দাবি, জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়কাল থেকেই কার্যকর করতে হবে এবং এর ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন হতে হবে।
ভোটের মৃদু হাওয়া বইতে শুরু করেছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে রমজান শুরুর আগেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস। জাতির উদ্দেশে ভাষণে গত মঙ্গলবার এ ঘোষণা দেওয়ার পরদিন গতকাল বুধবারই তাঁর কার্যালয় থেকে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে ভোটের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এবং গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান উপদেষ্টার ভোটের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। তবে অন্য দুই গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মনে করছে, জুলাই সনদ না দিয়ে, সংস্কার না করে ও সুষ্ঠু ভোটের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত না করেই সরকার নির্বাচনের সময়সীমা দিয়ে দিয়েছে। কাজেই দল দুটির নেতাদের বক্তব্যে ভোট নিয়ে অস্বস্তি আছে।
আবার সরকার পতন আন্দোলনে সামনের সারিতে থাকা এবং বর্তমানে এনসিপি নেতৃত্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সক্রিয় সরকারের দুজন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে নিয়ে অস্বস্তি আছে বিএনপিতেও। এ বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে বিএনপির মহাসচিব গতকাল আশাবাদ ব্যক্ত করেন, নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে এমন কিছু ইউনূস সরকার করবে না।
তবে রাজনীতিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাংলাদেশ ও অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য দেশের ভেতর থেকে ও সীমান্তের ওপার থেকেও নানা রকম অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা চলছে। এই অবস্থায় নির্বাচন ছাড়া এ সংকট থেকে বেরোনো প্রায় অসম্ভব।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচন লাগবে। সংস্কার ও বিচারপ্রক্রিয়া দৃশ্যমান করে নির্বাচন হলে ভালো হতো। কিন্তু এর মধ্যে অনেক সময়ক্ষেপণ হয়ে গেছে।’
যদিও সরকারের ভেতরকার তথ্য অনুযায়ী, জুলাই সনদ তৈরির প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থায়, বহুল আলোচিত রাষ্ট্রীয় সংস্কার ন্যূনতম একটি পর্যায় পর্যন্ত এগিয়ে না নিয়ে এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার একটি গ্রহণযোগ্য পর্যায় পর্যন্ত সম্পন্ন না করে এখনই নির্বাচনের সময়সীমা বেঁধে না দেওয়ার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর একাংশ, সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা ও এই সরকারের আমলে বিভিন্ন বড় ও গুরুত্বপূর্ণ পদ ও দায়িত্বে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের অনেকের আপত্তি আছে।
অন্যদিকে, উপদেষ্টাদের কয়েকজন ও প্রভাবশালী কয়েকটি কর্তৃপক্ষ মনে করছে, সরকার ও দেশের ভেতরে–বাইরে নানামুখী অস্থিরতা বিরাজ করছে। নির্বাচিত সরকার দায়িত্বে এলে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা তুলনামূলকভাবে সহজ হতে পারে। মূলত এই মহলটির পরামর্শ আমলে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়সীমা নির্ধারণ ও নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রসঙ্গটি সামনে এনেছেন।
ভোটের প্রসঙ্গ টেনে মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার ‘এবার একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রক্রিয়া’ শুরু করবে।
মুহাম্মদ ইউনূসের ঘনিষ্ঠ ও তাঁর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে গতকাল বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিল মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এমন প্রতিশ্রুতি প্রধান উপদেষ্টার দিক থেকে ছিল। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তিনি (ইউনূস) এর মধ্যে প্রথমটি বেছে নিয়েছেন।
এই কর্মকর্তার বক্তব্য অনুযায়ী, নির্বাচনের সুস্পষ্ট ঘোষণা দেওয়ার মাধ্যমে মাঠে ভোটের হাওয়া এনে দেওয়া গেলে রাজনৈতিক মহলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চলমান অস্থিরতা অনেকটা কমে আসতে পারে, এমন ধারণা সরকারপ্রধানের আস্থাভাজন ব্যক্তিরা তাঁকে দিয়েছেন।
ড. ইউনূস তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বহু বছর ভোট দিতে পারিনি। এবার আমরা সবাই ভোট দেব। কেউ বাদ যাবে না।’
বিএনপি মনে করছে, ভোটের ঘোষণা আসায় রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটতে শুরু করবে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল সংবাদ সম্মেলনে আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে সরকার ও নির্বাচন কমিশন সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
শেখ হাসিনার গত প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলে ও তাঁর পতনের পর সৃষ্ট রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী, নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সংগঠনের মতভেদ থাকার বিষয়টিও স্পষ্ট। এই তিন সংগঠন মনে করে, ভবিষ্যতের আইনসভার গঠন ও নির্বাচনপ্রক্রিয়া কেমন হবে, সরকারপ্রধান তথা নির্বাহী বিভাগের সঙ্গে রাষ্ট্রের অন্যান্য বিভাগের ক্ষমতার ভারসাম্য কতটা থাকবে, এ প্রশ্নগুলোর মীমাংসা না করে শুধু নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে না। জুলাই সনদ চূড়ান্ত করে তা আইনি প্রক্রিয়াভুক্ত করার জন্যও দলগুলো চাপ দিয়ে চলেছে।
জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের গতকাল বলেন, ‘নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ সরকার এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি।’ তাঁর দাবি, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্যই জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যে জুলাই সনদ প্রণয়ন করছে, সরকারকে তার আইনে ভিত্তি দিতে হবে। এই সনদের ভিত্তিতেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে।
এমন অবস্থায় জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি আগামী নির্বাচনে যাবে কি না, এ বিষয়েও নানামুখী জল্পনাকল্পনা আছে। তবে জামায়াত নেতারা বলছেন, দলটি এরই মধ্যে আসনভিত্তিক প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণা করেছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা জনসংযোগ করছেন। এনসিপি নেতৃত্ব দল হিসেবে সারা দেশে ও নেতাদের অনেকে নিজেরাও এরই মধ্যে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় জনসংযোগ করছেন।
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তাঁর দল নির্বাচনের মাধ্যমে গণপরিষদ গঠন ও এ পরিষদের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান তৈরির দাবি করে আসছে। তাঁর দাবি, জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়কাল থেকেই কার্যকর করতে হবে এবং এর ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন হতে হবে।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় বুধবার (৬ আগস্ট) আরও দুজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন...
৬ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রামপুরা এলাকায় একটি ভবনের কার্নিশে ঝুলে থাকা ছাত্রকে গুলি করার মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনের কাছে জমা দিয়েছে তদন্ত সংস্থা। গত ৩১ জুলাই এই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে বলে আজ বুধবার জানিয়েছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এটি আমরা যাচাই–বাছাই করছি।’
৮ ঘণ্টা আগেভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) গুরুত্বের বিষয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তির উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ বিষয়ে আজ বুধবার সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালককে আহ্বায়ক ও জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের সহকারী পরিচালককে (সঠিকতা যাচাইকরণ)
৮ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৮টি হত্যা মামলার মধ্যে ৩টি মামলা শেরপুর, ১টি ফেনী, ১টি চাঁদপুর, ১টি কুমিল্লা, ১টি কুড়িগ্রাম জেলার এবং ১টি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের।
৯ ঘণ্টা আগে