Ajker Patrika

নৃশংসতার ১৭টি ভিডিও দেখলেন ট্রাইব্যুনাল, টিস্যু দিয়ে চোখ মুছলেন সাবেক আইজিপি মামুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২: ৩৩
নৃশংসতার ১৭টি ভিডিও দেখলেন ট্রাইব্যুনাল, টিস্যু দিয়ে চোখ মুছলেন সাবেক আইজিপি মামুন

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সারা দেশে ছাত্র-জনতার ওপর চালানো হয় ভয়াবহ নৃশংসতা। ওই নৃশংসতার ১৭টি ভিডিও ট্রাইব্যুনালে দেখানো হয়; যা সরাসরি সম্প্রচার করা হয় বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাধ্যমে।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলায় সর্বশেষ সাক্ষী হিসেবে আজ রোববার ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার উপপরিচালক মো. আলমগীর জবানবন্দি দেওয়ার সময় ভিডিওগুলো প্রচার করা হয়। তিনি এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। তবে জবানবন্দি শেষ না হওয়ায় আগামীকাল সোমবার পরবর্তী দিন ধার্য করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

এর আগে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া সদ্যপ্রয়াত লেখক, গবেষক ও রাজনীতিবিদ বদরুদ্দীন উমরের জবানবন্দি সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করার জন্য ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেদন করেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।

তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালের আইনে এর বিধান রয়েছে এবং অতীতে তা হয়েছে। পরে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন।

শেখ হাসিনা ছাড়া এই মামলার অপর দুই আসামি হলেন আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। শেখ হাসিনা ও কামাল পলাতক। আর চৌধুরী মামুন এরই মধ্যে রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

ট্রাইব্যুনালে প্রথমে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের একটি ডকুমেন্টারি দেখানো হয়। এরপর দেখানো হয় শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনের ভিডিও; যেখানে তিনি আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকারের নাতি-পুতি’ হিসেবে সম্বোধন করেন।

শেখ হাসিনার বক্তব্যের সূত্র ধরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং সেখানে ছাত্রলীগের হামলা, রংপুরে আবু সাঈদের ওপর পুলিশের গুলির দৃশ্য দেখানো হয়।

র‍্যাবের হেলিকপ্টার থেকে গুলি করার ভিডিও দেখানোর পর প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, টেলিফোনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী গুলি ও বোম্বিং করা হচ্ছে।

তখন আপত্তি জানান হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।

তিনি বলেন, ‘আমি হেলিকপ্টার থেকে গুলি করতে দেখিনি।’

তখন ভিডিও আবার দেখানো হয়; যেখানে গুলি করা এবং বোম্বিং করার ফুটেজ দেখে প্রসিকিউশনের বক্তব্য মেনে নেন তিনি।

ট্রাইব্যুনালে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আসাদুজ্জামানকে দেখানো (‘গুলি করি মরে একটা, বাকিগুলো যায় না’) ভিডিও; যাত্রাবাড়ীতে এক পুলিশ কর্মকর্তার ছেলেকে কাছ থেকে গুলি করে হত্যা; যাত্রাবাড়ীতে খোকন চন্দ্র বর্মণকে গুলি করে মুখমণ্ডল বিকৃত করা; সাভারে তরুণকে এপিসি থেকে ফেলে দেওয়া ও কাছ থেকে আন্দোলনকারীদের পুলিশের গুলি; আশুলিয়ায় পাঁচ মরদেহ ও জীবন্ত একজনকে পুলিশের গাড়িতে তুলে অগ্নিসংযোগ; চানখাঁরপুলে কাছ থেকে আন্দোলনকারীদের গুলি করে হত্যা; রামপুরায় কার্নিশে ঝুলে থাকা একজনকে গুলি; ফার্মগেটে গুলি করে হত্যা এবং যাত্রাবাড়ী থানার সামনে খুব কাছ থেকে গুলি করে বেশ কয়েকজনকে হত্যার ভিডিও দেখানো হয়।

সবচেয়ে নৃশংস ছিল ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানার সামনে চালানো ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের দৃশ্য; যেখানে দাঁড়িয়ে থাকা জনতার মাঝে গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে দেখা যায় এক পুলিশ সদস্যকে। পরে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশ গুলিবর্ষণ করেছে বৃষ্টির মতো। মাত্র কয়েক গজ দূর থেকেও গুলি করা হয়। এমনকি গুলিতে আহত হয়ে কাতরাতে থাকা ব্যক্তিকে আবারও গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করতে দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের।

ভিডিওগুলো দেখানোর সময় অনেককে চোখ মুছতে দেখা যায়। অনেকের চোখে পানি ছলছল করছিল। এমনকি কাঠগড়ায় বসে থাকা পুলিশের সাবেক আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে টিস্যু দিয়ে চোখ মুছতে দেখা গেছে। এ সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ফার্মগেটে পুলিশের গুলিতে মারা যাওয়া গোলাম নাফিজের মা-বাবাকে কাঁদতে দেখা যায়।

ভিডিও ফুটেজ দেখানো শেষ হলে জবানবন্দি দেন তদন্ত কর্মকর্তা আলমগীর।

তিনি জবানবন্দিতে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে প্রকাশিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াসহ বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনার কথা জানান।

সেই সঙ্গে আন্দোলন দমনে আদেশ, নির্দেশ ও উসকানিমূলক বিবৃতি, লেখনী, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত পোস্ট ও মন্তব্য পর্যালোচনা, আন্দোলনে শহীদ ব্যক্তিদের পরিবার, আন্দোলনে আহত জুলাই যোদ্ধাসহ সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদপূর্বক তাঁদের বক্তব্য লিপিবদ্ধ করা, পত্রপত্রিকা, ভিডিও ফুটেজসহ আলামত জব্দ করা, ভিন্ন সরকারি-বেসরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংবলিত প্রতিবেদন সংগ্রহ করা এবং বিভিন্ন ঘটনাস্থলসহ আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা প্রদানকারী কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল পরিদর্শন করে তথ্য সংগ্রহের কথা জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ৫৯
খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশ পুলিশের দুই উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি), সাত অতিরিক্ত ডিআইজি, ১৩ পুলিশ সুপারসহ (এসপি) মোট ২২ জন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।

আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখা থেকে জারি করা দুটি পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনগুলোতে সই করেন উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমান।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, খুলনা মহানগর পুলিশের কমিশনার মোহা. জুলফিকার আলী হায়দারকে বদলি করে শিল্পাঞ্চল পুলিশের ডিআইজি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও সম্প্রতি ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত মোহাম্মদ জাহিদুল হাসানকে খুলনা মহানগর পুলিশের কমিশনার হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

এ ছাড়া নির্বাচনকে সামনে রেখে নিয়মিত রদবদলের অংশ হিসেবে সাত অতিরিক্ত ডিআইজি ও ১৩ পুলিশ সুপারকে বিভিন্ন ইউনিটে বদলি করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা রিট খারিজ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের সব কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী ও বিচারপতি রাজিউদ্দিন আহমেদের বেঞ্চ আজ সোমবার আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।

এর আগে ৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ কংগ্রেস নামের একটি দলের মহাসচিব ইয়ারুল ইসলাম রিটটি করেন। নির্বাহী বিভাগ থেকে নির্বাচন কমিশনের সচিব, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা এবং ইলেকটোরাল সার্ভিস কমিশন গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল রিটে।

আইনজীবী ইয়ারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আদালত বলেছেন—দেশে এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। এখন এই রিট করার উপযুক্ত সময় নয়। পরে আমি রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ চাইলে আদালত খারিজ করে দেন।’

রিটে বলা হয়, নির্বাহী বিভাগের লোক দিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও নির্বাচন পরিচালনা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিচার বিভাগের ন্যায় স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনেরও নিজস্ব লোকবল থাকতে হবে। এর জন্য রিটে ‘ইলেকটোরাল সার্ভিস কমিশন’ গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল।

বাংলাদেশ কংগ্রেস দলের মহাসচিব ইয়ারুল ইসলাম রিট করার পর বলেন, সংবিধান অনুসারে নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাহী বিভাগ নির্বাচন কমিশনকে সব প্রকার সহযোগিতা দেবে। কিন্তু সংবিধান লঙ্ঘন করে প্রতিটি নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাহী বিভাগকে দেওয়া হয়। নির্বাহী বিভাগ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারের চাহিদা মোতাবেক নির্বাচন পরিচালনা করে। ফলে নির্বাচন নিয়ে নানামুখী বিতর্ক তৈরি হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বুধবার সিইসির তফসিল ঘোষণা রেকর্ড হবে, বিটিভি–বেতারকে ইসির চিঠি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৪
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা রেকর্ড করার জন্য বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বাংলাদেশ বেতারকে প্রস্তুতি নিতে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ১০ ডিসেম্বর (বুধবার) ভাষণ রেকর্ড করার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান।

তফসিলের ভাষণ রেকর্ড প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, ‘আমাদের মাননীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনার তফসিলের বিষয়ে ভাষণ দেবেন। এটা ১০ ডিসেম্বর (বুধবার) রেকর্ড করা হবে। এই বিষয়ে বিটিভি ও বেতারকে ইসির পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’

ইসি জানায়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে কমিশন। ভাষণে সিইসি জনগণকে সংসদ ও গণভোট দেওয়া এবং সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রার্থীদের প্রতি আহ্বান জানাবেন।

গতকাল রোববার নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানিয়েছিলেন, আজ বিটিভি ও বেতারকে চিঠি পাঠানো হবে।

এদিকে, আগামী বুধবার দুপুর ১২টার দিকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে কমিশন। এর পরের দিন বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণা করতে পারে কমিশন। তবে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বুধবারও তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৫০
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: আজকের পত্রিকা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয় পার্টিকে (জাপা) মাঠে নামতে না দেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। দলটির কার্যালয় নিয়ে নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ১৭তম সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন তিনি।

নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা সংক্রান্ত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই। জাতীয় পার্টিকে মাঠে নামতে দেওয়া হচ্ছে না—এই অভিযোগ সঠিক নয়। জাতীয় পার্টির কার্যালয় নিয়ে তাদের নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা রয়েছে।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য প্রশিক্ষণ, বডি ওর্ন ক্যামেরা কেনা, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে বিদ্যুতের ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণসহ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চলমান প্রশিক্ষণ আগামী জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘যেকোনো প্রস্তুতি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য প্রশিক্ষণ অনস্বীকার্য। প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। তাই আমরা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, নিরাপদ, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য প্রশিক্ষণ চলমান রেখেছি, যা আগামী জানুয়ারিতে সম্পূর্ণ শেষ হবে।’

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এই নির্বাচনে ভোট গ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে, যা সকাল সাড়ে ৭টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চলবে। তাই এবার সূর্যের আলো চলে গেলেও ভোট গণনা করতে হবে। সে জন্য সব ভোটকেন্দ্রে যেন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ থাকে, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

জুলাই জাদুঘর উন্মুক্ত করে দেওয়ার বিষয়ে নিরাপত্তার ব্যাপারটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে জানিয়ে উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘জুলাই জাদুঘর জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার আগে আমরা এর নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলাপ করেছি, যাতে দর্শনার্থীরা নিরাপদে জাদুঘরে আসা-যাওয়া করতে পারে।’

রংপুরে এক পুলিশ সদস্যের বাবা-মাকে হত্যার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।

ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, আইজিপি বাহারুল আলম ও বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত