বাসস, ঢাকা

দেশে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদের প্রধান প্রধান জামাতের স্থান ও সময়সূচি তুলে ধরা হলো:
ঢাকায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান জামাত: সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। অপর দিকে এবারও এক ঘণ্টা পরপর অনুষ্ঠিত হবে এসব জামাত। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু বকর সিদ্দীক বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ঈদ জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন কারি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান কারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের পাঁচটি জামাত: বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৭টা থেকে পর্যায়ক্রমে জামাতগুলো অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রথম জামাত সকাল ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমাম হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের জ্যেষ্ঠ পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন কারি মো. ইসহাক।
দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।
তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আবদুল হাদী।
চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।
পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে বেলা পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুরের জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।
সাভারে ঈদ জামাত: ঢাকার সাভারের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত আয়োজনের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। ঈদের দিন সাভারের সরকারি কলেজ ছাত্রাবাস মাঠ ভাগলপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে সকাল ৮টায় প্রধান জামাত।
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহে জামাত: কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের জামাত আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থায় সাজানো হচ্ছে সব আয়োজন। মাঠে যেতে মুসল্লিদের জন্য থাকছে বিশেষ দুটি ট্রেন। শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা পর্ষদ সূত্র জানায়, শোলাকিয়ায় এবার ১৯৭তম ঈদের জামাত হবে। নামাজ শুরু হবে সকাল ১০টায়। মাওলানা মো. ফরিদ উদ্দিন মাসউদ ইমামতি করবেন। নারীদের জন্য সূর্যবালা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে আলাদা জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রেওয়াজ অনুযায়ী, বন্দুকের গুলি ফুটিয়ে ঈদ জামাত শুরুর সংকেত দেওয়া হয়। জামাত শুরুর ১৫ মিনিট আগে তিনটি, ১০ মিনিট আগে দুটি এবং পাঁচ মিনিট আগে একটি শটগানের গুলি ফোটানো হয়। শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, দূর-দূরান্তের মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য শোলাকিয়া স্পেশাল নামে দুটি ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে দুটি বিশেষ ট্রেন কিশোরগঞ্জে আসবে। মুসল্লিদের অজু ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা, মেডিকেল টিম, নিরাপত্তাব্যবস্থাসহ সব আয়োজনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।
নিরাপত্তার স্বার্থে ঈদের জামাতে কেবল জায়নামাজ নিয়ে মাঠে প্রবেশের অনুরোধ জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ছাতা, ব্যাগ, লাঠি কিংবা লাইটার জাতীয় কিছু নিয়ে মাঠে না আসায় ভালো। সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ জামাত আয়োজনে সবার সহযোগিতা চাই আমরা। মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে দুটি বিশেষ ট্রেন চালু করবে। এর একটি ভৈরব থেকে, আরেকটি ময়মনসিংহ থেকে শোলাকিয়ার উদ্দেশে ছাড়বে। ভৈরব-কিশোরগঞ্জ (স্পেশাল) নামের ট্রেনটি ভৈরব স্টেশন থেকে সকাল ৬টায় ছেড়ে আসবে। ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ (স্পেশাল) নামের অপর ট্রেনটি সকাল ৬টায় ময়মনসিংহ থেকে ছাড়বে। নামাজ শেষে দুপুর ১২টায় এসব ট্রেন কিশোরগঞ্জ স্টেশন থেকে ফিরে যাবে। বাসে করেও ঈদগাহে পৌঁছে দিতে বিশেষ সার্ভিস চালু করছে বিভিন্ন বাস কোম্পানি।
দিনাজপুরে গোর-এ শহীদ ময়দানে ঈদের জামাত: জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ জানান, গোর-এ শহীদ ময়দানে ঈদুল ফিতরের জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া যদি বৈরী আবহাওয়া হয় তাহলে বড় মাঠের পাশে মসজিদসহ আশপাশের এলাকার মসজিদগুলোতে একযোগে নামাজ আদায় করা হবে। ঈদগাহে প্রবেশের জন্য তৈরি হচ্ছে ১৯টি তোরণ। অন্যান্য উপজেলা থেকে বাস সার্ভিস ছাড়াও যেসব উপজেলার সঙ্গে শহরের ট্রেন যোগাযোগ রয়েছে সেসব উপজেলা থেকে মুসল্লিদের জন্য স্টেশনগুলো থেকে দু’টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
দেশের অন্যতম বড় এই ঈদের নামাজের ইমামতি করবেন দিনাজপুর সদর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শামসুল হক কাসেমী। দিনাজপুর পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ জানান, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে ঈদের জামাতকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। ঈদগাহের চার পাশে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে মুসল্লিদের তল্লাশির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ঈদগাহ প্রাঙ্গণে সক্রিয় থাকবেন সাদাপোশাকে পুলিশ ও র্যাব সদস্যসহ অন্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
সিলেটে শাহী ঈদগাহে ঈদের জামাত: শাহী ঈদগাহ ৭০০ বছরেরও পুরোনো ঐতিহ্যের এক প্রতীক। শাহী ঈদগাহের মুতাওয়াল্লি মো. শফিক বখত জানান, এবারের ঈদের একমাত্র জামাত সকাল ৮টায় শুরু হবে। যদি বৃষ্টি হয় তাহলে আশপাশের মসজিদে নামাজ হবে। শাহী ঈদগাহেও নামাজ যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে।
বাগেরহাটে ষাটগম্বুজ মসজিদে ৩টি জামাত: ঐতিহ্যবাহী ষাটগম্বুজ মসজিদে তিনটি জামাতে হবে ঈদের নামাজ। এর মধ্যে প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৭টায়, দ্বিতীয় জামাত ৮টায় এবং সর্বশেষ জামাত হবে সাড়ে ৮টায়। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় এসব তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালিদ হোসেন। ঈদুল ফিতরের প্রথম ও প্রধান জামাতে ইমামতি করবেন বাগেরহাট আলিয়া (কামিল) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন ষাটগম্বুজ মসজিদের ভারপ্রাপ্ত ইমাম মাওলানা মো. নাসির উদ্দিন এবং তৃতীয় ও সর্বশেষ জামাতে ইমামতি করবেন সিঙ্গাইড় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোজাহিদুল ইসলাম। ঈদে মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন বলেও জানান তিনি।
গোপালগঞ্জে ঈদের প্রধান জামাত: জেলায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায় পাচুড়িয়ার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। এ ছাড়া দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় থানাপাড়া জামে মসজিদে,তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় এস কে আলিয়া মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হবে।
আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকলে সকাল ৮টায় স্থানীয় লঞ্চঘাটে অবস্থিত জেলা মডেল মসজিদে এবং একই সময়ে স্থানীয় কেন্দ্রীয় কোর্ট মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া মুকসুদপুর, কাশিয়ানী, টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া উপজেলা সদরে প্রধান প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
কুমিল্লায় ঈদের জামাত: জেলার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। মেয়র তাহসীন বাহার সূচনা জানান, সকাল সাড়ে ৮টায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া বৈরী থাকলে ঈদগাহের পাশের জিমনেসিয়ামে একই সময়ে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জায়গা না হলে একাধিক বার জামাতের ব্যবস্থা করা হবে। কুমিল্লা তথ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ছাড়াও শহরের ২৭টি ওয়ার্ডের ঈদের জামাত পৃথকভাবে সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে মৌলভীপাড়া ঈদগাহ, ভাটপাড়া পূর্বপাড়া জামে মসজিদ, ভাটপাড়া পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদ, রেসকোর্স নূর মসজিদ, মোগলটুলী শাহসুজা মসজিদ, শুভপুর শাহী ঈদগাহ ময়দান, অশোকতলা জামে মসজিদ, উত্তর আশরাফপুর (হালুয়াপাড়া) জামে মসজিদ, উত্তর চর্থা মিরসাঈদুর জামে মসজিদ, দক্ষিণ চর্থা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ, দক্ষিণ চর্থা কবরস্থান মসজিদ, টিক্কারচর কারবালা মাঠ, নূরপুর গুধীরপুকুরপাড় জামে মসজিদ ঈদগাহ, দিশাবন্দ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, সদরগাজী জামে মসজিদ, পুরাতন পদুয়ার বাজার ঈদগাহ, কোটবাড়ী গন্ধমতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ এবং চৌয়ারা বাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টায় ঈদের জামাত হবে। দেখা গেছে, ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের প্রস্তুতি শতভাগ শেষ হয়েছে। কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে রয়েছে ছয়টি গেট। সবগুলোকে সাজানো হয়ে বিভিন্ন রঙের কাপড় দিয়ে। ঈদগাহ মাঠের চারপাশে রয়েছে দেয়াল। চার দেয়ালে এখন লাগানো হচ্ছে নতুন রং এবং আঁকা হচ্ছে ইসলামিক কারুকার্য। কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগার ইমাম মুফতি মো. ইব্রাহীম ক্বাদেরী জানান, এবার ঈদের প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় হবে। যদি মুসল্লি সংখ্যা বেশি হয়, তবে পরপর আর দু’টি জামাত করার প্রস্তুতি রয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ সরকারি নির্দেশনা মেনে ঈদের নামাজ আদায় করা হবে।
ফেনীতে প্রধান ঈদ জামাত: ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মীর মোহাম্মদ নেয়ামত উল্ল্যাহ জানান, জেলার প্রধান ঈদ জামাত মিজান ময়দানে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। তিনি জানান, অন্যান্য জামাতের মধ্যে ফেনী জামে মসজিদে ৮টা ১৫ মিনিটে, জহিরিয়া মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, পুলিশ লাইনস মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, সার্কিট হাউস মসজিদে ৮টায়, মহিপাল চৌধুরী বাড়ি জামে মসজিদে ৮টায়, পুরাতন রেজিস্ট্রি অফিস জামে মসজিদে ৮টায়, শান্তি কোম্পানি মসজিদে ৮টায়, ফেনী রেলস্টেশন মসজিদে ৮টা ১৫ মিনিটে, উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড জামে মসজিদে ৮টায়, উত্তর চাড়িপুর মুক্তারবাড়ি জামে মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, বদরুন্নেছা জামে মসজিদে ৮টায়, জিএ একাডেমি হাই স্কুল মাঠে ৮টা ১৫ মিনিট, সহদেবপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ৮টায়, লমী হাজারী জামে মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, হাজারীপাড়া জামে মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, তাকিয়া বাড়ি মসজিদে ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
মাগুরায় ঈদের জামাত: পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল ৮টায় শহরের ঐতিহাসিক নোমানী ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। জামাত পরিচালনা করবেন মাগুরা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি হাবিবুর রহমান। জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মেহেরপুরে ঈদের জামাত: মেহেরপুরে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল ৮টায় মেহেরপুর পৌর ঈদগাহে এবং দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে পুরাতন ঈদগা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া নগর উদ্যানে আহলে হাদিসের প্রধান জামাত সকাল ৭টায়। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক প্রস্তুতি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মো. শামীম হাসান ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক এ জে এম সিরাজুম মুনির।
শেরপুরে ঈদের জামাত: জেলায় প্রধান ঈদ জামাত পৌর ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টায়। জেলা ইসলামি ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক এস এম মোহাইমোনুল ইসলাম জানান, এবার জেলার বিভিন্ন ঈদগাহ মাঠের পরিচালনা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে ঈদুল ফিতরের ঈদ জামাত আদায়ের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে শেরপুর পৌরসভার আয়োজনে মাও. হজরত আলীর পরিচালনায় পৌর ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে পৌর ঈদগাহ মাঠে ঈদ জামাত আদায় সম্ভব না হলে জেলা কালেক্টরেট মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি জানান, জামিয়া সিদ্দিকিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় সকাল সাড়ে ৯টায়, মাইসাহেবা মসজিদ মাঠে সকাল ১০টায়, চাপাতলি ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায়, বাটারাঘাট ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টায়, চান্দেরনগর বড় ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায়, পাকুড়িয়া পূর্বপাড়া মিন্নতিয়া হাফিজিয়া কওমি মাদ্রাসা মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায় এবং কামারিয়া ইউনিয়নের সূর্যদী ঈদগাহ মাঠে সকাল ১০টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া ইদ্রিসিয়া আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে মহিলাদের জন্য আলাদা স্থানে সকাল ৯টায় ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়েছে। পৌর মেয়র আলহাজ গোলাম কিবরিয়া লিটন বলেন, পৌরসভার আয়োজনে পৌর ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত হবে সকাল ৯টায়। পৌর ঈদগাহ মাঠটি পরিষ্কারকরণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে এবং শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে জাতীয় পতাকাসহ বিভিন্ন স্থাপনা আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে।
নীলফামারীতে ঈদের জামাত: জেলায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। এর আগে পুলিশ লাইনস ঈদগাহ মাঠে সকাল সোয়া ৮টায় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া সকাল সাড়ে ৮টায় নীলফামারী মডেল মসজিদ, নীলফামারী উপজেলা মডেল মসজিদ, গাছবাড়ি পঞ্চপুকুরপাড়া ঈদগাহ মাঠ, মুন্সিপাড়া আহলে হাদিস মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সকাল পৌনে ৯টায় সার্কিট হাউস ঈদগাহ ও বাড়াইপাড়া নতুন জামে মসজিদ ঈদগাহ মাঠে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৯টায় জামাত অনুষ্ঠিত হবে জোরদরগাহ ঈদগাহ মাঠ ও কলেজ স্টেশন ঈদগাহ মাঠে।

দেশে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদের প্রধান প্রধান জামাতের স্থান ও সময়সূচি তুলে ধরা হলো:
ঢাকায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান জামাত: সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। অপর দিকে এবারও এক ঘণ্টা পরপর অনুষ্ঠিত হবে এসব জামাত। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু বকর সিদ্দীক বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ঈদ জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন কারি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান কারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের পাঁচটি জামাত: বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৭টা থেকে পর্যায়ক্রমে জামাতগুলো অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রথম জামাত সকাল ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমাম হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের জ্যেষ্ঠ পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন কারি মো. ইসহাক।
দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।
তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আবদুল হাদী।
চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।
পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে বেলা পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুরের জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।
সাভারে ঈদ জামাত: ঢাকার সাভারের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত আয়োজনের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। ঈদের দিন সাভারের সরকারি কলেজ ছাত্রাবাস মাঠ ভাগলপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে সকাল ৮টায় প্রধান জামাত।
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহে জামাত: কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের জামাত আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থায় সাজানো হচ্ছে সব আয়োজন। মাঠে যেতে মুসল্লিদের জন্য থাকছে বিশেষ দুটি ট্রেন। শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা পর্ষদ সূত্র জানায়, শোলাকিয়ায় এবার ১৯৭তম ঈদের জামাত হবে। নামাজ শুরু হবে সকাল ১০টায়। মাওলানা মো. ফরিদ উদ্দিন মাসউদ ইমামতি করবেন। নারীদের জন্য সূর্যবালা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে আলাদা জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রেওয়াজ অনুযায়ী, বন্দুকের গুলি ফুটিয়ে ঈদ জামাত শুরুর সংকেত দেওয়া হয়। জামাত শুরুর ১৫ মিনিট আগে তিনটি, ১০ মিনিট আগে দুটি এবং পাঁচ মিনিট আগে একটি শটগানের গুলি ফোটানো হয়। শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, দূর-দূরান্তের মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য শোলাকিয়া স্পেশাল নামে দুটি ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে দুটি বিশেষ ট্রেন কিশোরগঞ্জে আসবে। মুসল্লিদের অজু ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা, মেডিকেল টিম, নিরাপত্তাব্যবস্থাসহ সব আয়োজনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।
নিরাপত্তার স্বার্থে ঈদের জামাতে কেবল জায়নামাজ নিয়ে মাঠে প্রবেশের অনুরোধ জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ছাতা, ব্যাগ, লাঠি কিংবা লাইটার জাতীয় কিছু নিয়ে মাঠে না আসায় ভালো। সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ জামাত আয়োজনে সবার সহযোগিতা চাই আমরা। মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে দুটি বিশেষ ট্রেন চালু করবে। এর একটি ভৈরব থেকে, আরেকটি ময়মনসিংহ থেকে শোলাকিয়ার উদ্দেশে ছাড়বে। ভৈরব-কিশোরগঞ্জ (স্পেশাল) নামের ট্রেনটি ভৈরব স্টেশন থেকে সকাল ৬টায় ছেড়ে আসবে। ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ (স্পেশাল) নামের অপর ট্রেনটি সকাল ৬টায় ময়মনসিংহ থেকে ছাড়বে। নামাজ শেষে দুপুর ১২টায় এসব ট্রেন কিশোরগঞ্জ স্টেশন থেকে ফিরে যাবে। বাসে করেও ঈদগাহে পৌঁছে দিতে বিশেষ সার্ভিস চালু করছে বিভিন্ন বাস কোম্পানি।
দিনাজপুরে গোর-এ শহীদ ময়দানে ঈদের জামাত: জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ জানান, গোর-এ শহীদ ময়দানে ঈদুল ফিতরের জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া যদি বৈরী আবহাওয়া হয় তাহলে বড় মাঠের পাশে মসজিদসহ আশপাশের এলাকার মসজিদগুলোতে একযোগে নামাজ আদায় করা হবে। ঈদগাহে প্রবেশের জন্য তৈরি হচ্ছে ১৯টি তোরণ। অন্যান্য উপজেলা থেকে বাস সার্ভিস ছাড়াও যেসব উপজেলার সঙ্গে শহরের ট্রেন যোগাযোগ রয়েছে সেসব উপজেলা থেকে মুসল্লিদের জন্য স্টেশনগুলো থেকে দু’টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
দেশের অন্যতম বড় এই ঈদের নামাজের ইমামতি করবেন দিনাজপুর সদর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শামসুল হক কাসেমী। দিনাজপুর পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ জানান, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে ঈদের জামাতকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। ঈদগাহের চার পাশে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে মুসল্লিদের তল্লাশির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ঈদগাহ প্রাঙ্গণে সক্রিয় থাকবেন সাদাপোশাকে পুলিশ ও র্যাব সদস্যসহ অন্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
সিলেটে শাহী ঈদগাহে ঈদের জামাত: শাহী ঈদগাহ ৭০০ বছরেরও পুরোনো ঐতিহ্যের এক প্রতীক। শাহী ঈদগাহের মুতাওয়াল্লি মো. শফিক বখত জানান, এবারের ঈদের একমাত্র জামাত সকাল ৮টায় শুরু হবে। যদি বৃষ্টি হয় তাহলে আশপাশের মসজিদে নামাজ হবে। শাহী ঈদগাহেও নামাজ যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে।
বাগেরহাটে ষাটগম্বুজ মসজিদে ৩টি জামাত: ঐতিহ্যবাহী ষাটগম্বুজ মসজিদে তিনটি জামাতে হবে ঈদের নামাজ। এর মধ্যে প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৭টায়, দ্বিতীয় জামাত ৮টায় এবং সর্বশেষ জামাত হবে সাড়ে ৮টায়। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় এসব তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালিদ হোসেন। ঈদুল ফিতরের প্রথম ও প্রধান জামাতে ইমামতি করবেন বাগেরহাট আলিয়া (কামিল) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন ষাটগম্বুজ মসজিদের ভারপ্রাপ্ত ইমাম মাওলানা মো. নাসির উদ্দিন এবং তৃতীয় ও সর্বশেষ জামাতে ইমামতি করবেন সিঙ্গাইড় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোজাহিদুল ইসলাম। ঈদে মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন বলেও জানান তিনি।
গোপালগঞ্জে ঈদের প্রধান জামাত: জেলায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায় পাচুড়িয়ার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। এ ছাড়া দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় থানাপাড়া জামে মসজিদে,তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় এস কে আলিয়া মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হবে।
আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকলে সকাল ৮টায় স্থানীয় লঞ্চঘাটে অবস্থিত জেলা মডেল মসজিদে এবং একই সময়ে স্থানীয় কেন্দ্রীয় কোর্ট মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া মুকসুদপুর, কাশিয়ানী, টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া উপজেলা সদরে প্রধান প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
কুমিল্লায় ঈদের জামাত: জেলার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। মেয়র তাহসীন বাহার সূচনা জানান, সকাল সাড়ে ৮টায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া বৈরী থাকলে ঈদগাহের পাশের জিমনেসিয়ামে একই সময়ে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জায়গা না হলে একাধিক বার জামাতের ব্যবস্থা করা হবে। কুমিল্লা তথ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ছাড়াও শহরের ২৭টি ওয়ার্ডের ঈদের জামাত পৃথকভাবে সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে মৌলভীপাড়া ঈদগাহ, ভাটপাড়া পূর্বপাড়া জামে মসজিদ, ভাটপাড়া পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদ, রেসকোর্স নূর মসজিদ, মোগলটুলী শাহসুজা মসজিদ, শুভপুর শাহী ঈদগাহ ময়দান, অশোকতলা জামে মসজিদ, উত্তর আশরাফপুর (হালুয়াপাড়া) জামে মসজিদ, উত্তর চর্থা মিরসাঈদুর জামে মসজিদ, দক্ষিণ চর্থা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ, দক্ষিণ চর্থা কবরস্থান মসজিদ, টিক্কারচর কারবালা মাঠ, নূরপুর গুধীরপুকুরপাড় জামে মসজিদ ঈদগাহ, দিশাবন্দ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, সদরগাজী জামে মসজিদ, পুরাতন পদুয়ার বাজার ঈদগাহ, কোটবাড়ী গন্ধমতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ এবং চৌয়ারা বাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টায় ঈদের জামাত হবে। দেখা গেছে, ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের প্রস্তুতি শতভাগ শেষ হয়েছে। কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে রয়েছে ছয়টি গেট। সবগুলোকে সাজানো হয়ে বিভিন্ন রঙের কাপড় দিয়ে। ঈদগাহ মাঠের চারপাশে রয়েছে দেয়াল। চার দেয়ালে এখন লাগানো হচ্ছে নতুন রং এবং আঁকা হচ্ছে ইসলামিক কারুকার্য। কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগার ইমাম মুফতি মো. ইব্রাহীম ক্বাদেরী জানান, এবার ঈদের প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় হবে। যদি মুসল্লি সংখ্যা বেশি হয়, তবে পরপর আর দু’টি জামাত করার প্রস্তুতি রয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ সরকারি নির্দেশনা মেনে ঈদের নামাজ আদায় করা হবে।
ফেনীতে প্রধান ঈদ জামাত: ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মীর মোহাম্মদ নেয়ামত উল্ল্যাহ জানান, জেলার প্রধান ঈদ জামাত মিজান ময়দানে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। তিনি জানান, অন্যান্য জামাতের মধ্যে ফেনী জামে মসজিদে ৮টা ১৫ মিনিটে, জহিরিয়া মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, পুলিশ লাইনস মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, সার্কিট হাউস মসজিদে ৮টায়, মহিপাল চৌধুরী বাড়ি জামে মসজিদে ৮টায়, পুরাতন রেজিস্ট্রি অফিস জামে মসজিদে ৮টায়, শান্তি কোম্পানি মসজিদে ৮টায়, ফেনী রেলস্টেশন মসজিদে ৮টা ১৫ মিনিটে, উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড জামে মসজিদে ৮টায়, উত্তর চাড়িপুর মুক্তারবাড়ি জামে মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, বদরুন্নেছা জামে মসজিদে ৮টায়, জিএ একাডেমি হাই স্কুল মাঠে ৮টা ১৫ মিনিট, সহদেবপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ৮টায়, লমী হাজারী জামে মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, হাজারীপাড়া জামে মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, তাকিয়া বাড়ি মসজিদে ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
মাগুরায় ঈদের জামাত: পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল ৮টায় শহরের ঐতিহাসিক নোমানী ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। জামাত পরিচালনা করবেন মাগুরা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি হাবিবুর রহমান। জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মেহেরপুরে ঈদের জামাত: মেহেরপুরে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল ৮টায় মেহেরপুর পৌর ঈদগাহে এবং দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে পুরাতন ঈদগা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া নগর উদ্যানে আহলে হাদিসের প্রধান জামাত সকাল ৭টায়। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক প্রস্তুতি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মো. শামীম হাসান ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক এ জে এম সিরাজুম মুনির।
শেরপুরে ঈদের জামাত: জেলায় প্রধান ঈদ জামাত পৌর ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টায়। জেলা ইসলামি ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক এস এম মোহাইমোনুল ইসলাম জানান, এবার জেলার বিভিন্ন ঈদগাহ মাঠের পরিচালনা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে ঈদুল ফিতরের ঈদ জামাত আদায়ের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে শেরপুর পৌরসভার আয়োজনে মাও. হজরত আলীর পরিচালনায় পৌর ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে পৌর ঈদগাহ মাঠে ঈদ জামাত আদায় সম্ভব না হলে জেলা কালেক্টরেট মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি জানান, জামিয়া সিদ্দিকিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় সকাল সাড়ে ৯টায়, মাইসাহেবা মসজিদ মাঠে সকাল ১০টায়, চাপাতলি ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায়, বাটারাঘাট ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টায়, চান্দেরনগর বড় ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায়, পাকুড়িয়া পূর্বপাড়া মিন্নতিয়া হাফিজিয়া কওমি মাদ্রাসা মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায় এবং কামারিয়া ইউনিয়নের সূর্যদী ঈদগাহ মাঠে সকাল ১০টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া ইদ্রিসিয়া আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে মহিলাদের জন্য আলাদা স্থানে সকাল ৯টায় ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়েছে। পৌর মেয়র আলহাজ গোলাম কিবরিয়া লিটন বলেন, পৌরসভার আয়োজনে পৌর ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত হবে সকাল ৯টায়। পৌর ঈদগাহ মাঠটি পরিষ্কারকরণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে এবং শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে জাতীয় পতাকাসহ বিভিন্ন স্থাপনা আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে।
নীলফামারীতে ঈদের জামাত: জেলায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। এর আগে পুলিশ লাইনস ঈদগাহ মাঠে সকাল সোয়া ৮টায় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া সকাল সাড়ে ৮টায় নীলফামারী মডেল মসজিদ, নীলফামারী উপজেলা মডেল মসজিদ, গাছবাড়ি পঞ্চপুকুরপাড়া ঈদগাহ মাঠ, মুন্সিপাড়া আহলে হাদিস মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সকাল পৌনে ৯টায় সার্কিট হাউস ঈদগাহ ও বাড়াইপাড়া নতুন জামে মসজিদ ঈদগাহ মাঠে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৯টায় জামাত অনুষ্ঠিত হবে জোরদরগাহ ঈদগাহ মাঠ ও কলেজ স্টেশন ঈদগাহ মাঠে।
বাসস, ঢাকা

দেশে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদের প্রধান প্রধান জামাতের স্থান ও সময়সূচি তুলে ধরা হলো:
ঢাকায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান জামাত: সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। অপর দিকে এবারও এক ঘণ্টা পরপর অনুষ্ঠিত হবে এসব জামাত। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু বকর সিদ্দীক বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ঈদ জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন কারি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান কারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের পাঁচটি জামাত: বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৭টা থেকে পর্যায়ক্রমে জামাতগুলো অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রথম জামাত সকাল ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমাম হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের জ্যেষ্ঠ পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন কারি মো. ইসহাক।
দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।
তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আবদুল হাদী।
চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।
পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে বেলা পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুরের জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।
সাভারে ঈদ জামাত: ঢাকার সাভারের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত আয়োজনের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। ঈদের দিন সাভারের সরকারি কলেজ ছাত্রাবাস মাঠ ভাগলপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে সকাল ৮টায় প্রধান জামাত।
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহে জামাত: কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের জামাত আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থায় সাজানো হচ্ছে সব আয়োজন। মাঠে যেতে মুসল্লিদের জন্য থাকছে বিশেষ দুটি ট্রেন। শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা পর্ষদ সূত্র জানায়, শোলাকিয়ায় এবার ১৯৭তম ঈদের জামাত হবে। নামাজ শুরু হবে সকাল ১০টায়। মাওলানা মো. ফরিদ উদ্দিন মাসউদ ইমামতি করবেন। নারীদের জন্য সূর্যবালা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে আলাদা জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রেওয়াজ অনুযায়ী, বন্দুকের গুলি ফুটিয়ে ঈদ জামাত শুরুর সংকেত দেওয়া হয়। জামাত শুরুর ১৫ মিনিট আগে তিনটি, ১০ মিনিট আগে দুটি এবং পাঁচ মিনিট আগে একটি শটগানের গুলি ফোটানো হয়। শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, দূর-দূরান্তের মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য শোলাকিয়া স্পেশাল নামে দুটি ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে দুটি বিশেষ ট্রেন কিশোরগঞ্জে আসবে। মুসল্লিদের অজু ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা, মেডিকেল টিম, নিরাপত্তাব্যবস্থাসহ সব আয়োজনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।
নিরাপত্তার স্বার্থে ঈদের জামাতে কেবল জায়নামাজ নিয়ে মাঠে প্রবেশের অনুরোধ জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ছাতা, ব্যাগ, লাঠি কিংবা লাইটার জাতীয় কিছু নিয়ে মাঠে না আসায় ভালো। সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ জামাত আয়োজনে সবার সহযোগিতা চাই আমরা। মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে দুটি বিশেষ ট্রেন চালু করবে। এর একটি ভৈরব থেকে, আরেকটি ময়মনসিংহ থেকে শোলাকিয়ার উদ্দেশে ছাড়বে। ভৈরব-কিশোরগঞ্জ (স্পেশাল) নামের ট্রেনটি ভৈরব স্টেশন থেকে সকাল ৬টায় ছেড়ে আসবে। ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ (স্পেশাল) নামের অপর ট্রেনটি সকাল ৬টায় ময়মনসিংহ থেকে ছাড়বে। নামাজ শেষে দুপুর ১২টায় এসব ট্রেন কিশোরগঞ্জ স্টেশন থেকে ফিরে যাবে। বাসে করেও ঈদগাহে পৌঁছে দিতে বিশেষ সার্ভিস চালু করছে বিভিন্ন বাস কোম্পানি।
দিনাজপুরে গোর-এ শহীদ ময়দানে ঈদের জামাত: জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ জানান, গোর-এ শহীদ ময়দানে ঈদুল ফিতরের জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া যদি বৈরী আবহাওয়া হয় তাহলে বড় মাঠের পাশে মসজিদসহ আশপাশের এলাকার মসজিদগুলোতে একযোগে নামাজ আদায় করা হবে। ঈদগাহে প্রবেশের জন্য তৈরি হচ্ছে ১৯টি তোরণ। অন্যান্য উপজেলা থেকে বাস সার্ভিস ছাড়াও যেসব উপজেলার সঙ্গে শহরের ট্রেন যোগাযোগ রয়েছে সেসব উপজেলা থেকে মুসল্লিদের জন্য স্টেশনগুলো থেকে দু’টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
দেশের অন্যতম বড় এই ঈদের নামাজের ইমামতি করবেন দিনাজপুর সদর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শামসুল হক কাসেমী। দিনাজপুর পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ জানান, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে ঈদের জামাতকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। ঈদগাহের চার পাশে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে মুসল্লিদের তল্লাশির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ঈদগাহ প্রাঙ্গণে সক্রিয় থাকবেন সাদাপোশাকে পুলিশ ও র্যাব সদস্যসহ অন্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
সিলেটে শাহী ঈদগাহে ঈদের জামাত: শাহী ঈদগাহ ৭০০ বছরেরও পুরোনো ঐতিহ্যের এক প্রতীক। শাহী ঈদগাহের মুতাওয়াল্লি মো. শফিক বখত জানান, এবারের ঈদের একমাত্র জামাত সকাল ৮টায় শুরু হবে। যদি বৃষ্টি হয় তাহলে আশপাশের মসজিদে নামাজ হবে। শাহী ঈদগাহেও নামাজ যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে।
বাগেরহাটে ষাটগম্বুজ মসজিদে ৩টি জামাত: ঐতিহ্যবাহী ষাটগম্বুজ মসজিদে তিনটি জামাতে হবে ঈদের নামাজ। এর মধ্যে প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৭টায়, দ্বিতীয় জামাত ৮টায় এবং সর্বশেষ জামাত হবে সাড়ে ৮টায়। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় এসব তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালিদ হোসেন। ঈদুল ফিতরের প্রথম ও প্রধান জামাতে ইমামতি করবেন বাগেরহাট আলিয়া (কামিল) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন ষাটগম্বুজ মসজিদের ভারপ্রাপ্ত ইমাম মাওলানা মো. নাসির উদ্দিন এবং তৃতীয় ও সর্বশেষ জামাতে ইমামতি করবেন সিঙ্গাইড় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোজাহিদুল ইসলাম। ঈদে মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন বলেও জানান তিনি।
গোপালগঞ্জে ঈদের প্রধান জামাত: জেলায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায় পাচুড়িয়ার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। এ ছাড়া দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় থানাপাড়া জামে মসজিদে,তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় এস কে আলিয়া মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হবে।
আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকলে সকাল ৮টায় স্থানীয় লঞ্চঘাটে অবস্থিত জেলা মডেল মসজিদে এবং একই সময়ে স্থানীয় কেন্দ্রীয় কোর্ট মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া মুকসুদপুর, কাশিয়ানী, টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া উপজেলা সদরে প্রধান প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
কুমিল্লায় ঈদের জামাত: জেলার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। মেয়র তাহসীন বাহার সূচনা জানান, সকাল সাড়ে ৮টায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া বৈরী থাকলে ঈদগাহের পাশের জিমনেসিয়ামে একই সময়ে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জায়গা না হলে একাধিক বার জামাতের ব্যবস্থা করা হবে। কুমিল্লা তথ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ছাড়াও শহরের ২৭টি ওয়ার্ডের ঈদের জামাত পৃথকভাবে সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে মৌলভীপাড়া ঈদগাহ, ভাটপাড়া পূর্বপাড়া জামে মসজিদ, ভাটপাড়া পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদ, রেসকোর্স নূর মসজিদ, মোগলটুলী শাহসুজা মসজিদ, শুভপুর শাহী ঈদগাহ ময়দান, অশোকতলা জামে মসজিদ, উত্তর আশরাফপুর (হালুয়াপাড়া) জামে মসজিদ, উত্তর চর্থা মিরসাঈদুর জামে মসজিদ, দক্ষিণ চর্থা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ, দক্ষিণ চর্থা কবরস্থান মসজিদ, টিক্কারচর কারবালা মাঠ, নূরপুর গুধীরপুকুরপাড় জামে মসজিদ ঈদগাহ, দিশাবন্দ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, সদরগাজী জামে মসজিদ, পুরাতন পদুয়ার বাজার ঈদগাহ, কোটবাড়ী গন্ধমতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ এবং চৌয়ারা বাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টায় ঈদের জামাত হবে। দেখা গেছে, ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের প্রস্তুতি শতভাগ শেষ হয়েছে। কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে রয়েছে ছয়টি গেট। সবগুলোকে সাজানো হয়ে বিভিন্ন রঙের কাপড় দিয়ে। ঈদগাহ মাঠের চারপাশে রয়েছে দেয়াল। চার দেয়ালে এখন লাগানো হচ্ছে নতুন রং এবং আঁকা হচ্ছে ইসলামিক কারুকার্য। কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগার ইমাম মুফতি মো. ইব্রাহীম ক্বাদেরী জানান, এবার ঈদের প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় হবে। যদি মুসল্লি সংখ্যা বেশি হয়, তবে পরপর আর দু’টি জামাত করার প্রস্তুতি রয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ সরকারি নির্দেশনা মেনে ঈদের নামাজ আদায় করা হবে।
ফেনীতে প্রধান ঈদ জামাত: ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মীর মোহাম্মদ নেয়ামত উল্ল্যাহ জানান, জেলার প্রধান ঈদ জামাত মিজান ময়দানে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। তিনি জানান, অন্যান্য জামাতের মধ্যে ফেনী জামে মসজিদে ৮টা ১৫ মিনিটে, জহিরিয়া মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, পুলিশ লাইনস মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, সার্কিট হাউস মসজিদে ৮টায়, মহিপাল চৌধুরী বাড়ি জামে মসজিদে ৮টায়, পুরাতন রেজিস্ট্রি অফিস জামে মসজিদে ৮টায়, শান্তি কোম্পানি মসজিদে ৮টায়, ফেনী রেলস্টেশন মসজিদে ৮টা ১৫ মিনিটে, উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড জামে মসজিদে ৮টায়, উত্তর চাড়িপুর মুক্তারবাড়ি জামে মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, বদরুন্নেছা জামে মসজিদে ৮টায়, জিএ একাডেমি হাই স্কুল মাঠে ৮টা ১৫ মিনিট, সহদেবপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ৮টায়, লমী হাজারী জামে মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, হাজারীপাড়া জামে মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, তাকিয়া বাড়ি মসজিদে ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
মাগুরায় ঈদের জামাত: পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল ৮টায় শহরের ঐতিহাসিক নোমানী ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। জামাত পরিচালনা করবেন মাগুরা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি হাবিবুর রহমান। জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মেহেরপুরে ঈদের জামাত: মেহেরপুরে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল ৮টায় মেহেরপুর পৌর ঈদগাহে এবং দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে পুরাতন ঈদগা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া নগর উদ্যানে আহলে হাদিসের প্রধান জামাত সকাল ৭টায়। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক প্রস্তুতি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মো. শামীম হাসান ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক এ জে এম সিরাজুম মুনির।
শেরপুরে ঈদের জামাত: জেলায় প্রধান ঈদ জামাত পৌর ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টায়। জেলা ইসলামি ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক এস এম মোহাইমোনুল ইসলাম জানান, এবার জেলার বিভিন্ন ঈদগাহ মাঠের পরিচালনা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে ঈদুল ফিতরের ঈদ জামাত আদায়ের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে শেরপুর পৌরসভার আয়োজনে মাও. হজরত আলীর পরিচালনায় পৌর ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে পৌর ঈদগাহ মাঠে ঈদ জামাত আদায় সম্ভব না হলে জেলা কালেক্টরেট মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি জানান, জামিয়া সিদ্দিকিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় সকাল সাড়ে ৯টায়, মাইসাহেবা মসজিদ মাঠে সকাল ১০টায়, চাপাতলি ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায়, বাটারাঘাট ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টায়, চান্দেরনগর বড় ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায়, পাকুড়িয়া পূর্বপাড়া মিন্নতিয়া হাফিজিয়া কওমি মাদ্রাসা মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায় এবং কামারিয়া ইউনিয়নের সূর্যদী ঈদগাহ মাঠে সকাল ১০টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া ইদ্রিসিয়া আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে মহিলাদের জন্য আলাদা স্থানে সকাল ৯টায় ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়েছে। পৌর মেয়র আলহাজ গোলাম কিবরিয়া লিটন বলেন, পৌরসভার আয়োজনে পৌর ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত হবে সকাল ৯টায়। পৌর ঈদগাহ মাঠটি পরিষ্কারকরণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে এবং শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে জাতীয় পতাকাসহ বিভিন্ন স্থাপনা আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে।
নীলফামারীতে ঈদের জামাত: জেলায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। এর আগে পুলিশ লাইনস ঈদগাহ মাঠে সকাল সোয়া ৮টায় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া সকাল সাড়ে ৮টায় নীলফামারী মডেল মসজিদ, নীলফামারী উপজেলা মডেল মসজিদ, গাছবাড়ি পঞ্চপুকুরপাড়া ঈদগাহ মাঠ, মুন্সিপাড়া আহলে হাদিস মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সকাল পৌনে ৯টায় সার্কিট হাউস ঈদগাহ ও বাড়াইপাড়া নতুন জামে মসজিদ ঈদগাহ মাঠে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৯টায় জামাত অনুষ্ঠিত হবে জোরদরগাহ ঈদগাহ মাঠ ও কলেজ স্টেশন ঈদগাহ মাঠে।

দেশে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদের প্রধান প্রধান জামাতের স্থান ও সময়সূচি তুলে ধরা হলো:
ঢাকায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান জামাত: সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। অপর দিকে এবারও এক ঘণ্টা পরপর অনুষ্ঠিত হবে এসব জামাত। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু বকর সিদ্দীক বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ঈদ জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন কারি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান কারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের পাঁচটি জামাত: বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৭টা থেকে পর্যায়ক্রমে জামাতগুলো অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রথম জামাত সকাল ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমাম হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের জ্যেষ্ঠ পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন কারি মো. ইসহাক।
দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।
তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আবদুল হাদী।
চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।
পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে বেলা পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুরের জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।
সাভারে ঈদ জামাত: ঢাকার সাভারের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত আয়োজনের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। ঈদের দিন সাভারের সরকারি কলেজ ছাত্রাবাস মাঠ ভাগলপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে সকাল ৮টায় প্রধান জামাত।
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহে জামাত: কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের জামাত আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থায় সাজানো হচ্ছে সব আয়োজন। মাঠে যেতে মুসল্লিদের জন্য থাকছে বিশেষ দুটি ট্রেন। শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা পর্ষদ সূত্র জানায়, শোলাকিয়ায় এবার ১৯৭তম ঈদের জামাত হবে। নামাজ শুরু হবে সকাল ১০টায়। মাওলানা মো. ফরিদ উদ্দিন মাসউদ ইমামতি করবেন। নারীদের জন্য সূর্যবালা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে আলাদা জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রেওয়াজ অনুযায়ী, বন্দুকের গুলি ফুটিয়ে ঈদ জামাত শুরুর সংকেত দেওয়া হয়। জামাত শুরুর ১৫ মিনিট আগে তিনটি, ১০ মিনিট আগে দুটি এবং পাঁচ মিনিট আগে একটি শটগানের গুলি ফোটানো হয়। শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, দূর-দূরান্তের মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য শোলাকিয়া স্পেশাল নামে দুটি ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে দুটি বিশেষ ট্রেন কিশোরগঞ্জে আসবে। মুসল্লিদের অজু ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা, মেডিকেল টিম, নিরাপত্তাব্যবস্থাসহ সব আয়োজনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।
নিরাপত্তার স্বার্থে ঈদের জামাতে কেবল জায়নামাজ নিয়ে মাঠে প্রবেশের অনুরোধ জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ছাতা, ব্যাগ, লাঠি কিংবা লাইটার জাতীয় কিছু নিয়ে মাঠে না আসায় ভালো। সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ জামাত আয়োজনে সবার সহযোগিতা চাই আমরা। মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে দুটি বিশেষ ট্রেন চালু করবে। এর একটি ভৈরব থেকে, আরেকটি ময়মনসিংহ থেকে শোলাকিয়ার উদ্দেশে ছাড়বে। ভৈরব-কিশোরগঞ্জ (স্পেশাল) নামের ট্রেনটি ভৈরব স্টেশন থেকে সকাল ৬টায় ছেড়ে আসবে। ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ (স্পেশাল) নামের অপর ট্রেনটি সকাল ৬টায় ময়মনসিংহ থেকে ছাড়বে। নামাজ শেষে দুপুর ১২টায় এসব ট্রেন কিশোরগঞ্জ স্টেশন থেকে ফিরে যাবে। বাসে করেও ঈদগাহে পৌঁছে দিতে বিশেষ সার্ভিস চালু করছে বিভিন্ন বাস কোম্পানি।
দিনাজপুরে গোর-এ শহীদ ময়দানে ঈদের জামাত: জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ জানান, গোর-এ শহীদ ময়দানে ঈদুল ফিতরের জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া যদি বৈরী আবহাওয়া হয় তাহলে বড় মাঠের পাশে মসজিদসহ আশপাশের এলাকার মসজিদগুলোতে একযোগে নামাজ আদায় করা হবে। ঈদগাহে প্রবেশের জন্য তৈরি হচ্ছে ১৯টি তোরণ। অন্যান্য উপজেলা থেকে বাস সার্ভিস ছাড়াও যেসব উপজেলার সঙ্গে শহরের ট্রেন যোগাযোগ রয়েছে সেসব উপজেলা থেকে মুসল্লিদের জন্য স্টেশনগুলো থেকে দু’টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
দেশের অন্যতম বড় এই ঈদের নামাজের ইমামতি করবেন দিনাজপুর সদর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শামসুল হক কাসেমী। দিনাজপুর পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ জানান, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে ঈদের জামাতকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। ঈদগাহের চার পাশে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে মুসল্লিদের তল্লাশির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ঈদগাহ প্রাঙ্গণে সক্রিয় থাকবেন সাদাপোশাকে পুলিশ ও র্যাব সদস্যসহ অন্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
সিলেটে শাহী ঈদগাহে ঈদের জামাত: শাহী ঈদগাহ ৭০০ বছরেরও পুরোনো ঐতিহ্যের এক প্রতীক। শাহী ঈদগাহের মুতাওয়াল্লি মো. শফিক বখত জানান, এবারের ঈদের একমাত্র জামাত সকাল ৮টায় শুরু হবে। যদি বৃষ্টি হয় তাহলে আশপাশের মসজিদে নামাজ হবে। শাহী ঈদগাহেও নামাজ যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে।
বাগেরহাটে ষাটগম্বুজ মসজিদে ৩টি জামাত: ঐতিহ্যবাহী ষাটগম্বুজ মসজিদে তিনটি জামাতে হবে ঈদের নামাজ। এর মধ্যে প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৭টায়, দ্বিতীয় জামাত ৮টায় এবং সর্বশেষ জামাত হবে সাড়ে ৮টায়। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় এসব তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালিদ হোসেন। ঈদুল ফিতরের প্রথম ও প্রধান জামাতে ইমামতি করবেন বাগেরহাট আলিয়া (কামিল) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন ষাটগম্বুজ মসজিদের ভারপ্রাপ্ত ইমাম মাওলানা মো. নাসির উদ্দিন এবং তৃতীয় ও সর্বশেষ জামাতে ইমামতি করবেন সিঙ্গাইড় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোজাহিদুল ইসলাম। ঈদে মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন বলেও জানান তিনি।
গোপালগঞ্জে ঈদের প্রধান জামাত: জেলায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায় পাচুড়িয়ার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। এ ছাড়া দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় থানাপাড়া জামে মসজিদে,তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় এস কে আলিয়া মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হবে।
আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকলে সকাল ৮টায় স্থানীয় লঞ্চঘাটে অবস্থিত জেলা মডেল মসজিদে এবং একই সময়ে স্থানীয় কেন্দ্রীয় কোর্ট মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া মুকসুদপুর, কাশিয়ানী, টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া উপজেলা সদরে প্রধান প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
কুমিল্লায় ঈদের জামাত: জেলার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। মেয়র তাহসীন বাহার সূচনা জানান, সকাল সাড়ে ৮টায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া বৈরী থাকলে ঈদগাহের পাশের জিমনেসিয়ামে একই সময়ে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জায়গা না হলে একাধিক বার জামাতের ব্যবস্থা করা হবে। কুমিল্লা তথ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ছাড়াও শহরের ২৭টি ওয়ার্ডের ঈদের জামাত পৃথকভাবে সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে মৌলভীপাড়া ঈদগাহ, ভাটপাড়া পূর্বপাড়া জামে মসজিদ, ভাটপাড়া পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদ, রেসকোর্স নূর মসজিদ, মোগলটুলী শাহসুজা মসজিদ, শুভপুর শাহী ঈদগাহ ময়দান, অশোকতলা জামে মসজিদ, উত্তর আশরাফপুর (হালুয়াপাড়া) জামে মসজিদ, উত্তর চর্থা মিরসাঈদুর জামে মসজিদ, দক্ষিণ চর্থা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ, দক্ষিণ চর্থা কবরস্থান মসজিদ, টিক্কারচর কারবালা মাঠ, নূরপুর গুধীরপুকুরপাড় জামে মসজিদ ঈদগাহ, দিশাবন্দ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, সদরগাজী জামে মসজিদ, পুরাতন পদুয়ার বাজার ঈদগাহ, কোটবাড়ী গন্ধমতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ এবং চৌয়ারা বাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টায় ঈদের জামাত হবে। দেখা গেছে, ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের প্রস্তুতি শতভাগ শেষ হয়েছে। কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে রয়েছে ছয়টি গেট। সবগুলোকে সাজানো হয়ে বিভিন্ন রঙের কাপড় দিয়ে। ঈদগাহ মাঠের চারপাশে রয়েছে দেয়াল। চার দেয়ালে এখন লাগানো হচ্ছে নতুন রং এবং আঁকা হচ্ছে ইসলামিক কারুকার্য। কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগার ইমাম মুফতি মো. ইব্রাহীম ক্বাদেরী জানান, এবার ঈদের প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় হবে। যদি মুসল্লি সংখ্যা বেশি হয়, তবে পরপর আর দু’টি জামাত করার প্রস্তুতি রয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ সরকারি নির্দেশনা মেনে ঈদের নামাজ আদায় করা হবে।
ফেনীতে প্রধান ঈদ জামাত: ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মীর মোহাম্মদ নেয়ামত উল্ল্যাহ জানান, জেলার প্রধান ঈদ জামাত মিজান ময়দানে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। তিনি জানান, অন্যান্য জামাতের মধ্যে ফেনী জামে মসজিদে ৮টা ১৫ মিনিটে, জহিরিয়া মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, পুলিশ লাইনস মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, সার্কিট হাউস মসজিদে ৮টায়, মহিপাল চৌধুরী বাড়ি জামে মসজিদে ৮টায়, পুরাতন রেজিস্ট্রি অফিস জামে মসজিদে ৮টায়, শান্তি কোম্পানি মসজিদে ৮টায়, ফেনী রেলস্টেশন মসজিদে ৮টা ১৫ মিনিটে, উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড জামে মসজিদে ৮টায়, উত্তর চাড়িপুর মুক্তারবাড়ি জামে মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, বদরুন্নেছা জামে মসজিদে ৮টায়, জিএ একাডেমি হাই স্কুল মাঠে ৮টা ১৫ মিনিট, সহদেবপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ৮টায়, লমী হাজারী জামে মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, হাজারীপাড়া জামে মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, তাকিয়া বাড়ি মসজিদে ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
মাগুরায় ঈদের জামাত: পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল ৮টায় শহরের ঐতিহাসিক নোমানী ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। জামাত পরিচালনা করবেন মাগুরা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি হাবিবুর রহমান। জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মেহেরপুরে ঈদের জামাত: মেহেরপুরে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল ৮টায় মেহেরপুর পৌর ঈদগাহে এবং দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে পুরাতন ঈদগা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া নগর উদ্যানে আহলে হাদিসের প্রধান জামাত সকাল ৭টায়। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক প্রস্তুতি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মো. শামীম হাসান ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক এ জে এম সিরাজুম মুনির।
শেরপুরে ঈদের জামাত: জেলায় প্রধান ঈদ জামাত পৌর ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টায়। জেলা ইসলামি ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক এস এম মোহাইমোনুল ইসলাম জানান, এবার জেলার বিভিন্ন ঈদগাহ মাঠের পরিচালনা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে ঈদুল ফিতরের ঈদ জামাত আদায়ের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে শেরপুর পৌরসভার আয়োজনে মাও. হজরত আলীর পরিচালনায় পৌর ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে পৌর ঈদগাহ মাঠে ঈদ জামাত আদায় সম্ভব না হলে জেলা কালেক্টরেট মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি জানান, জামিয়া সিদ্দিকিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় সকাল সাড়ে ৯টায়, মাইসাহেবা মসজিদ মাঠে সকাল ১০টায়, চাপাতলি ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায়, বাটারাঘাট ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টায়, চান্দেরনগর বড় ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায়, পাকুড়িয়া পূর্বপাড়া মিন্নতিয়া হাফিজিয়া কওমি মাদ্রাসা মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায় এবং কামারিয়া ইউনিয়নের সূর্যদী ঈদগাহ মাঠে সকাল ১০টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া ইদ্রিসিয়া আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে মহিলাদের জন্য আলাদা স্থানে সকাল ৯টায় ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়েছে। পৌর মেয়র আলহাজ গোলাম কিবরিয়া লিটন বলেন, পৌরসভার আয়োজনে পৌর ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত হবে সকাল ৯টায়। পৌর ঈদগাহ মাঠটি পরিষ্কারকরণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে এবং শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে জাতীয় পতাকাসহ বিভিন্ন স্থাপনা আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে।
নীলফামারীতে ঈদের জামাত: জেলায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। এর আগে পুলিশ লাইনস ঈদগাহ মাঠে সকাল সোয়া ৮টায় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া সকাল সাড়ে ৮টায় নীলফামারী মডেল মসজিদ, নীলফামারী উপজেলা মডেল মসজিদ, গাছবাড়ি পঞ্চপুকুরপাড়া ঈদগাহ মাঠ, মুন্সিপাড়া আহলে হাদিস মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সকাল পৌনে ৯টায় সার্কিট হাউস ঈদগাহ ও বাড়াইপাড়া নতুন জামে মসজিদ ঈদগাহ মাঠে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৯টায় জামাত অনুষ্ঠিত হবে জোরদরগাহ ঈদগাহ মাঠ ও কলেজ স্টেশন ঈদগাহ মাঠে।

আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি...
৬ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়।
৯ ঘণ্টা আগে
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
১২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বৃহস্পতিবারের পর ঐকমত্য কমিশন গতকালও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বৈঠক করলেও কোনো সমাধান মেলেনি। এমন প্রেক্ষাপটে আজ রোববার কমিশন আবার নিজেরা বৈঠক করবে এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আবার বসবে।
ঐকমত্য কমিশনের জাতীয় সংসদ ভবনের কার্যালয়ে গতকাল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকটি বেলা দেড়টার পর শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টার পরে শেষ হয়। প্রায় চার ঘণ্টার বৈঠকেও সংবিধান নিয়ে সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করার উপায় বের হয়নি।
সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত জুলাই সনদ বাস্তবায়নে কমিশনের সিদ্ধান্ত হলো, গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে জারি হবে গণভোট-বিষয়ক একটি অধ্যাদেশ। এর ভিত্তিতেই হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে। প্রসঙ্গত, একই সময় এ পরিষদ নিয়মিত সংসদ হিসেবেও কাজ করবে। সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায়ই সংবিধান সংস্কার হবে।
গতকালের আলোচনা বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘সংসদ সদস্যরা ২৭০ দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন না করলে সনদে থাকা বিষয়গুলো কী হবে—সেখানেই আটকে যাচ্ছে আলোচনা। কারণ আমরা তেমন সমাধান দিতে পারছি না। দেশে অতীতে এ-সংক্রান্ত কোনো উদাহরণ নেই। দেশের বাইরেও এ ধরনের উদাহরণ পাইনি।’
কোনো দল আগামী নির্বাচনে সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে সংবিধান সংস্কার কীভাবে হবে, এ প্রশ্নও আছে। বিষয়টি তখন মূলত নির্ভর করবে বেশি আসন পাওয়া কয়েকটি দলের সদিচ্ছার ওপর। কিন্তু কমিশন চাইছে এ অনিশ্চয়তার অবকাশ না রেখে এমন কোনো বিধান করা, যা সনদ বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দেবে।
গতকালের বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা একাধিক মত দিয়ে বলেছেন, সেগুলো আইনগত ও রাজনৈতিকভাবে পুরোপুরি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন না তাঁ। একটি মত হলো,নির্ধারিত সময়ে সংস্কার বাস্তবায়ন করা না হলে সংসদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এটি আইনগতভাবে ঠিক হলেও রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। সংসদ এভাবে বিলুপ্ত হলে নতুন সংকট তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন তাঁরা।
আরও যে কয়েকটি মত গতকাল এসেছে তার মধ্যে রয়েছে, প্রথমত, পরিষদে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সনদের বিষয়গুলো বাস্তবায়ন না হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাওয়া এবং দ্বিতীয়ত, আগে সংবিধান সংস্কার পরিষদ বৈঠকে বসে সনদের সংযুক্তি বাস্তবায়ন করবে এবং তারপর সংসদ বসবে। কিন্তু এগুলোও কার্যকর বা বাস্তবসম্মত মনে করেননি বিশেষজ্ঞদের সবাই।
একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, সময়সীমার মধ্যে না সম্পন্ন করলে আপনা থেকেই সংবিধানে বিষয়গুলো যুক্ত হওয়ার ধারণা বাস্তবসম্মত না। কারণ বিলগুলোর খসড়া তৈরি করা নেই। এটা করা বিশেষজ্ঞদের কাজ না। সংসদে আলোচনা করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই এ সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি আরও বলেন, সনদের একটি বিধান হচ্ছে, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ করা হবে। কিন্তু কোন মৌলিক অধিকারটি সম্প্রসারণ করা হবে, তা বলা নেই। সংসদ সদস্যদের আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘এসব কারণে আমরা সিদ্ধান্ত দিতে পারিনি। কমিশন জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা বৈঠক করবেন, প্রয়োজনে আমাদের সহযোগিতা নেবেন।’
গতকালের বৈঠকে আগে সংবিধান সংস্কার পরিষদ বসে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করার যে প্রস্তাব আসে তার পক্ষে বলা হয়, এতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা দ্রুত সনদ বাস্তবায়নে কাজ করবেন। কারণ তাঁরা বিলম্ব না করে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে চাইবেন। একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা হলেও বেশির ভাগের মত, এটিও বাস্তবসম্মত নয়। কারণ জনপ্রতিনিধিদের শপথের মাধ্যমে সংসদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়িত্বে থেকে যেতে হবে। এটা প্রধান উপদেষ্টাই মানবেন না।
এ অবস্থায় সমাধান কী হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমরা আদৌ কোনো বাধ্যবাধকতা তৈরি করে দিতে পারব কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ এমন আইনি ও রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্য সমাধান পাইনি। তাই বিষয়টি আমাদের সুপারিশে না-ও থাকতে পারে।’
সনদ-বিষয়ক আদেশের খুঁটিনাটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। গণভোটের দিনক্ষণ সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কমিশন সূত্র জানায়, আজ সকালে নিজেরা বৈঠক করার পর প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও আবার বৈঠক করা হবে। ৩১ অক্টোবরের মেয়াদের মধ্যেই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন।
এনসিপির সঙ্গে বৈঠক
গতকাল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসার আগে কমিশনের সদস্যরা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বৈঠক করেন। ১৭ অক্টোবর জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হলেও দলটি সই করেনি। এনসিপি বলেছিল, বাস্তবায়নের আদেশের চূড়ান্ত খসড়া না দেখে তারা স্বাক্ষর করবে না।
কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, গতকালের বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিরা ‘স্পষ্টভাবে’ জানিয়েছেন যে তাঁরা স্বাক্ষর করতে চান। তাঁরা কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন, যা কমিশন আইনি বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠিয়েছে। এনসিপির প্রস্তাবে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই দিকই আছে। সেই বিষয়গুলো বিবেচনা করে কমিশন এগোচ্ছে। মূল লক্ষ্য হচ্ছে, যেন সবাই স্বাক্ষরের দিকে আসে।
বিশেষজ্ঞ হিসেবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক ও ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন।
আলোচনায় কমিশনের পক্ষে অংশ নেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বৃহস্পতিবারের পর ঐকমত্য কমিশন গতকালও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বৈঠক করলেও কোনো সমাধান মেলেনি। এমন প্রেক্ষাপটে আজ রোববার কমিশন আবার নিজেরা বৈঠক করবে এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আবার বসবে।
ঐকমত্য কমিশনের জাতীয় সংসদ ভবনের কার্যালয়ে গতকাল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকটি বেলা দেড়টার পর শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টার পরে শেষ হয়। প্রায় চার ঘণ্টার বৈঠকেও সংবিধান নিয়ে সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করার উপায় বের হয়নি।
সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত জুলাই সনদ বাস্তবায়নে কমিশনের সিদ্ধান্ত হলো, গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে জারি হবে গণভোট-বিষয়ক একটি অধ্যাদেশ। এর ভিত্তিতেই হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে। প্রসঙ্গত, একই সময় এ পরিষদ নিয়মিত সংসদ হিসেবেও কাজ করবে। সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায়ই সংবিধান সংস্কার হবে।
গতকালের আলোচনা বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘সংসদ সদস্যরা ২৭০ দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন না করলে সনদে থাকা বিষয়গুলো কী হবে—সেখানেই আটকে যাচ্ছে আলোচনা। কারণ আমরা তেমন সমাধান দিতে পারছি না। দেশে অতীতে এ-সংক্রান্ত কোনো উদাহরণ নেই। দেশের বাইরেও এ ধরনের উদাহরণ পাইনি।’
কোনো দল আগামী নির্বাচনে সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে সংবিধান সংস্কার কীভাবে হবে, এ প্রশ্নও আছে। বিষয়টি তখন মূলত নির্ভর করবে বেশি আসন পাওয়া কয়েকটি দলের সদিচ্ছার ওপর। কিন্তু কমিশন চাইছে এ অনিশ্চয়তার অবকাশ না রেখে এমন কোনো বিধান করা, যা সনদ বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দেবে।
গতকালের বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা একাধিক মত দিয়ে বলেছেন, সেগুলো আইনগত ও রাজনৈতিকভাবে পুরোপুরি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন না তাঁ। একটি মত হলো,নির্ধারিত সময়ে সংস্কার বাস্তবায়ন করা না হলে সংসদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এটি আইনগতভাবে ঠিক হলেও রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। সংসদ এভাবে বিলুপ্ত হলে নতুন সংকট তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন তাঁরা।
আরও যে কয়েকটি মত গতকাল এসেছে তার মধ্যে রয়েছে, প্রথমত, পরিষদে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সনদের বিষয়গুলো বাস্তবায়ন না হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাওয়া এবং দ্বিতীয়ত, আগে সংবিধান সংস্কার পরিষদ বৈঠকে বসে সনদের সংযুক্তি বাস্তবায়ন করবে এবং তারপর সংসদ বসবে। কিন্তু এগুলোও কার্যকর বা বাস্তবসম্মত মনে করেননি বিশেষজ্ঞদের সবাই।
একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, সময়সীমার মধ্যে না সম্পন্ন করলে আপনা থেকেই সংবিধানে বিষয়গুলো যুক্ত হওয়ার ধারণা বাস্তবসম্মত না। কারণ বিলগুলোর খসড়া তৈরি করা নেই। এটা করা বিশেষজ্ঞদের কাজ না। সংসদে আলোচনা করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই এ সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি আরও বলেন, সনদের একটি বিধান হচ্ছে, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ করা হবে। কিন্তু কোন মৌলিক অধিকারটি সম্প্রসারণ করা হবে, তা বলা নেই। সংসদ সদস্যদের আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘এসব কারণে আমরা সিদ্ধান্ত দিতে পারিনি। কমিশন জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা বৈঠক করবেন, প্রয়োজনে আমাদের সহযোগিতা নেবেন।’
গতকালের বৈঠকে আগে সংবিধান সংস্কার পরিষদ বসে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করার যে প্রস্তাব আসে তার পক্ষে বলা হয়, এতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা দ্রুত সনদ বাস্তবায়নে কাজ করবেন। কারণ তাঁরা বিলম্ব না করে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে চাইবেন। একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা হলেও বেশির ভাগের মত, এটিও বাস্তবসম্মত নয়। কারণ জনপ্রতিনিধিদের শপথের মাধ্যমে সংসদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়িত্বে থেকে যেতে হবে। এটা প্রধান উপদেষ্টাই মানবেন না।
এ অবস্থায় সমাধান কী হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমরা আদৌ কোনো বাধ্যবাধকতা তৈরি করে দিতে পারব কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ এমন আইনি ও রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্য সমাধান পাইনি। তাই বিষয়টি আমাদের সুপারিশে না-ও থাকতে পারে।’
সনদ-বিষয়ক আদেশের খুঁটিনাটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। গণভোটের দিনক্ষণ সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কমিশন সূত্র জানায়, আজ সকালে নিজেরা বৈঠক করার পর প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও আবার বৈঠক করা হবে। ৩১ অক্টোবরের মেয়াদের মধ্যেই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন।
এনসিপির সঙ্গে বৈঠক
গতকাল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসার আগে কমিশনের সদস্যরা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বৈঠক করেন। ১৭ অক্টোবর জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হলেও দলটি সই করেনি। এনসিপি বলেছিল, বাস্তবায়নের আদেশের চূড়ান্ত খসড়া না দেখে তারা স্বাক্ষর করবে না।
কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, গতকালের বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিরা ‘স্পষ্টভাবে’ জানিয়েছেন যে তাঁরা স্বাক্ষর করতে চান। তাঁরা কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন, যা কমিশন আইনি বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠিয়েছে। এনসিপির প্রস্তাবে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই দিকই আছে। সেই বিষয়গুলো বিবেচনা করে কমিশন এগোচ্ছে। মূল লক্ষ্য হচ্ছে, যেন সবাই স্বাক্ষরের দিকে আসে।
বিশেষজ্ঞ হিসেবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক ও ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন।
আলোচনায় কমিশনের পক্ষে অংশ নেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

দেশে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদের প্রধান প্রধান জামাতের স্থান ও সময়সূচি তুলে ধরা হলো:
১০ এপ্রিল ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়।
৯ ঘণ্টা আগে
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
১২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে, যুক্ত করা হয়েছে নতুন বিধান, আবার কিছু কিছু বিধান আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—ইভিএম ব্যবহার বাতিল, ‘না ভোট’ পুনর্বহাল, প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি আয় ও সম্পত্তির বিবরণ প্রকাশের বাধ্যবাধকতা এবং পলাতক আসামিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা।
সংশোধিত আরপিওর গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:
আদালত কর্তৃক ফেরারি বা পলাতক আসামি নির্বাচনে অংশ নিতে না পারার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে তাঁকে না ভোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। নির্বাচনে না ভোট বেশি হলে সেখানে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন হবে। তবে দ্বিতীয়বারও একক প্রার্থী হলে সেই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হলে তাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
ভোট গণনার সময় সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকার বিধানটিও যুক্ত করা হয়েছে। তবে ভোট গণনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী তথা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জেলাভিত্তিক নির্বাচন অফিসগুলোতে দায়িত্ব পালন করবেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। প্রার্থীদের দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে আয় ও সম্পত্তির বিবরণ হলফনামায় দিতে হবে, যা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে উন্মুক্তভাবে প্রকাশ করা হবে।
আগে দলগুলো জোটবদ্ধ হয়ে জোটের যেকোনো দলের প্রতীক ব্যবহার করতে পারত। সেটি সংশোধন করা হয়েছে। জোটভুক্ত হলেও প্রার্থীকে নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। ভোটের সময় অনেকে জোটভুক্ত হলে জনপ্রিয় বা বড় দলের মার্কায় ভোট করতেন। এখন আর সে সুযোগ থাকছে না।
প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোটের বিধানটি আরপিওতে যুক্ত করা হয়েছে। এবার আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিং চালু করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের পাশাপাশি আইনি হেফাজতে থাকা, সরকারি কর্মকর্তা, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা ভোট দিতে পারবেন।
প্রার্থীর জামানত বাড়ানো হয়েছে। আগে ২০ হাজার টাকা ছিল, তা বাড়িয়ে ৫০ হাজার করা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো রাজনৈতিক দলকে ৫০ হাজার টাকার বেশি অনুদান দিতে চাইলে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেওয়ার বিধান করা হয়েছে। যিনি অনুদান দেবেন, তাঁর ট্যাক্স রিটার্নও দিতে হবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন পুরো আসনের ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা কমিয়েছিল। সংশোধিত আরপিওতে শুধু ভোটকেন্দ্র নয়, অনিয়ম হলে ইসি পুরো আসনের ভোট বন্ধ করতে পারবে, সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রার্থীর হলফনামায় আগে শুধু দেশের সম্পদের হিসাব দেওয়া হতো। সংশোধিত আরপিওতে শুধু দেশের নয়, বিদেশের আয়ের উৎস, সম্পত্তির বিবরণ দিতে হবে।
এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-সংক্রান্ত বিধানটি সংশোধিত আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে, যুক্ত করা হয়েছে নতুন বিধান, আবার কিছু কিছু বিধান আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—ইভিএম ব্যবহার বাতিল, ‘না ভোট’ পুনর্বহাল, প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি আয় ও সম্পত্তির বিবরণ প্রকাশের বাধ্যবাধকতা এবং পলাতক আসামিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা।
সংশোধিত আরপিওর গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:
আদালত কর্তৃক ফেরারি বা পলাতক আসামি নির্বাচনে অংশ নিতে না পারার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে তাঁকে না ভোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। নির্বাচনে না ভোট বেশি হলে সেখানে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন হবে। তবে দ্বিতীয়বারও একক প্রার্থী হলে সেই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হলে তাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
ভোট গণনার সময় সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকার বিধানটিও যুক্ত করা হয়েছে। তবে ভোট গণনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী তথা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জেলাভিত্তিক নির্বাচন অফিসগুলোতে দায়িত্ব পালন করবেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। প্রার্থীদের দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে আয় ও সম্পত্তির বিবরণ হলফনামায় দিতে হবে, যা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে উন্মুক্তভাবে প্রকাশ করা হবে।
আগে দলগুলো জোটবদ্ধ হয়ে জোটের যেকোনো দলের প্রতীক ব্যবহার করতে পারত। সেটি সংশোধন করা হয়েছে। জোটভুক্ত হলেও প্রার্থীকে নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। ভোটের সময় অনেকে জোটভুক্ত হলে জনপ্রিয় বা বড় দলের মার্কায় ভোট করতেন। এখন আর সে সুযোগ থাকছে না।
প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোটের বিধানটি আরপিওতে যুক্ত করা হয়েছে। এবার আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিং চালু করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের পাশাপাশি আইনি হেফাজতে থাকা, সরকারি কর্মকর্তা, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা ভোট দিতে পারবেন।
প্রার্থীর জামানত বাড়ানো হয়েছে। আগে ২০ হাজার টাকা ছিল, তা বাড়িয়ে ৫০ হাজার করা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো রাজনৈতিক দলকে ৫০ হাজার টাকার বেশি অনুদান দিতে চাইলে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেওয়ার বিধান করা হয়েছে। যিনি অনুদান দেবেন, তাঁর ট্যাক্স রিটার্নও দিতে হবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন পুরো আসনের ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা কমিয়েছিল। সংশোধিত আরপিওতে শুধু ভোটকেন্দ্র নয়, অনিয়ম হলে ইসি পুরো আসনের ভোট বন্ধ করতে পারবে, সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রার্থীর হলফনামায় আগে শুধু দেশের সম্পদের হিসাব দেওয়া হতো। সংশোধিত আরপিওতে শুধু দেশের নয়, বিদেশের আয়ের উৎস, সম্পত্তির বিবরণ দিতে হবে।
এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-সংক্রান্ত বিধানটি সংশোধিত আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

দেশে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদের প্রধান প্রধান জামাতের স্থান ও সময়সূচি তুলে ধরা হলো:
১০ এপ্রিল ২০২৪
আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি...
৬ ঘণ্টা আগে
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
১২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গুম হত্যার চেয়েও নিকৃষ্টতম অপরাধ। গুম প্রতিরোধে শুধু আইনগত সংস্কার নয়, প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারও।
আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত ‘Ensuring Justice: The Role of the Judiciary in Addressing Enforced Disappearances’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গুম-সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির উদ্যোগে এবং ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় আসিফ নজরুল বলেন, ‘অনেক প্রাণ ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ একটি পরিবর্তিত পরিবেশে অবস্থান করছি। এই পরিবর্তন স্থায়ী করতে হলে গুমের বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য।’
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রায় লেখা একটি সৃজনশীল শিল্প। তাই বিচারকেরা হলেন সৃজনশীল শিল্পী। তাঁদের শিল্পকর্মই তাঁদের রায়।
তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধে বিচার বিভাগ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও মানবাধিকার কাঠামোর মধ্যে সমন্বিত সহযোগিতা অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও তদন্ত সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি গুমের বিচার নিশ্চিতের মূল চাবিকাঠি।
কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী বলেন, গুম-সংক্রান্ত মামলাগুলোর কার্যকর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এখন সময়ের দাবি। কমিশন এরই মধ্যে বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা করে গুম-সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, সাক্ষী সুরক্ষা ও ভুক্তভোগী পরিবারের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা এবং ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকার-বিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান।

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গুম হত্যার চেয়েও নিকৃষ্টতম অপরাধ। গুম প্রতিরোধে শুধু আইনগত সংস্কার নয়, প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারও।
আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত ‘Ensuring Justice: The Role of the Judiciary in Addressing Enforced Disappearances’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গুম-সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির উদ্যোগে এবং ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় আসিফ নজরুল বলেন, ‘অনেক প্রাণ ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ একটি পরিবর্তিত পরিবেশে অবস্থান করছি। এই পরিবর্তন স্থায়ী করতে হলে গুমের বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য।’
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রায় লেখা একটি সৃজনশীল শিল্প। তাই বিচারকেরা হলেন সৃজনশীল শিল্পী। তাঁদের শিল্পকর্মই তাঁদের রায়।
তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধে বিচার বিভাগ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও মানবাধিকার কাঠামোর মধ্যে সমন্বিত সহযোগিতা অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও তদন্ত সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি গুমের বিচার নিশ্চিতের মূল চাবিকাঠি।
কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী বলেন, গুম-সংক্রান্ত মামলাগুলোর কার্যকর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এখন সময়ের দাবি। কমিশন এরই মধ্যে বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা করে গুম-সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, সাক্ষী সুরক্ষা ও ভুক্তভোগী পরিবারের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা এবং ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকার-বিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান।

দেশে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদের প্রধান প্রধান জামাতের স্থান ও সময়সূচি তুলে ধরা হলো:
১০ এপ্রিল ২০২৪
আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি...
৬ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়।
৯ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
১৩ ঘণ্টা আগেসিনেটে শুনানিতে ট্রাম্প–মনোনীত রাষ্ট্রদূত
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা বলেন ক্রিস্টেনসেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মমোনীত এই কূটনীতিক বলেন, রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেলে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে সামরিক সহযোগিতা, সামুদ্রিক কর্মকাণ্ড এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে সম্পৃক্ততাসহ চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরবনে। পাশাপাশি সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারত্ব ঘনিষ্ঠ করার জন্য কাজ করারও প্রতিশ্রুতি দেন ক্রিস্টেনসেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দেন। সিনেট কমিটির অনুমোদনের পরই তাঁর নিয়োগ চূড়ান্ত হবে। এই মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে চার রাষ্ট্রদূত প্রার্থী লিখিত বিবৃতি তুলে ধরেন। পরে তাঁরা সিনেট সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ তুলে ধরে নেব্রাস্কার রিপাবলিকান সিনেটর জন পিটার রিকেটস শুনানিতে বলেন, ‘আমরা এখন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মুখে। বাংলাদেশ ও চীনের সামরিক সহযোগিতা দ্রুত বাড়ছে। যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন রাখার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি কৌশলগত সাবমেরিন ঘাঁটি আধুনিকায়ন করেছে চীন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার চীনের তৈরি ২০টি জে-১০ যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি নতুন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ও দূরপাল্লার রাডার কেনার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ পেলে চীনা সামরিক সরঞ্জামের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা কমাতে বাংলাদেশের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে ক্রিস্টেনসেন কীভাবে কাজ করবেন, তা জানতে চান সিনেটর রিকেটস।

জবাবে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব নিয়ে আপনাদের মতো উদ্বেগ আমারও। রাষ্ট্রদূত নিয়োগ আমি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থেকে চীনের কার্যক্রমের ঝুঁকি ব্যাখ্যা করব। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গভীর অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা তুলে ধরব, যা দুই দেশের সামরিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে।’
এ সময় সিনেটর রিকেটস বলেন, ‘এই শুনানির আগের দিনই সিনেট পররাষ্ট্র কমিটি সর্বসম্মতভাবে ‘থিংক টোয়াইস অ্যাক্ট’ পাস করেছে। এই আইন যুক্তরাষ্ট্রকে পূর্ণাঙ্গ কৌশল নিতে বাধ্য করবে, যাতে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশকে চীনা অস্ত্র কেনা থেকে বিরত রাখা যায়। আমরা আশা করি, আপনিও এই আইনের সহায়তা নিয়ে কাজ করবেন। তাহলে অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধ সম্ভব হবে।’
তাঁর এই মন্তব্যের সূত্র ধরে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘সামরিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চমূল্যের সামরিক সরঞ্জামের বিকল্প হিসেবে মিত্রদেশগুলোর তৈরি সাশ্রয়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা বাংলাদেশকে জানাতে পারি। পাশাপাশি যৌথ সামরিক মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্ল্যাটফর্মগুলোকে অন্যান্য মিত্র বাহিনীর সঙ্গে আরও সমন্বিত ও কার্যকর করতে পারি।’
শুনানির শুরুতে লিখিত বিবৃতিতে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে যে গণআন্দোলন হয়েছিল, তা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সরকারকে পতন ঘটায়। আগামী বছর বাংলাদেশের জনগণ ভোটে যাবে, যা দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের যাত্রায় পাশে থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অনেক সময় তাঁর প্রাপ্য মনোযোগ পায় না, বড় প্রতিবেশীদের আড়ালে গুরুত্ব হারিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রসেবায় আমার দুই দশকের অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে ঢাকার কর্মকালও রয়েছে। তাই, আমি বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সম্পর্কে গভীরভাবে অবগত। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থান বাংলাদেশকে উন্মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার করে তুলেছে।’

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা বলেন ক্রিস্টেনসেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মমোনীত এই কূটনীতিক বলেন, রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেলে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে সামরিক সহযোগিতা, সামুদ্রিক কর্মকাণ্ড এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে সম্পৃক্ততাসহ চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরবনে। পাশাপাশি সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারত্ব ঘনিষ্ঠ করার জন্য কাজ করারও প্রতিশ্রুতি দেন ক্রিস্টেনসেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দেন। সিনেট কমিটির অনুমোদনের পরই তাঁর নিয়োগ চূড়ান্ত হবে। এই মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে চার রাষ্ট্রদূত প্রার্থী লিখিত বিবৃতি তুলে ধরেন। পরে তাঁরা সিনেট সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ তুলে ধরে নেব্রাস্কার রিপাবলিকান সিনেটর জন পিটার রিকেটস শুনানিতে বলেন, ‘আমরা এখন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মুখে। বাংলাদেশ ও চীনের সামরিক সহযোগিতা দ্রুত বাড়ছে। যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন রাখার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি কৌশলগত সাবমেরিন ঘাঁটি আধুনিকায়ন করেছে চীন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার চীনের তৈরি ২০টি জে-১০ যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি নতুন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ও দূরপাল্লার রাডার কেনার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ পেলে চীনা সামরিক সরঞ্জামের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা কমাতে বাংলাদেশের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে ক্রিস্টেনসেন কীভাবে কাজ করবেন, তা জানতে চান সিনেটর রিকেটস।

জবাবে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব নিয়ে আপনাদের মতো উদ্বেগ আমারও। রাষ্ট্রদূত নিয়োগ আমি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থেকে চীনের কার্যক্রমের ঝুঁকি ব্যাখ্যা করব। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গভীর অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা তুলে ধরব, যা দুই দেশের সামরিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে।’
এ সময় সিনেটর রিকেটস বলেন, ‘এই শুনানির আগের দিনই সিনেট পররাষ্ট্র কমিটি সর্বসম্মতভাবে ‘থিংক টোয়াইস অ্যাক্ট’ পাস করেছে। এই আইন যুক্তরাষ্ট্রকে পূর্ণাঙ্গ কৌশল নিতে বাধ্য করবে, যাতে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশকে চীনা অস্ত্র কেনা থেকে বিরত রাখা যায়। আমরা আশা করি, আপনিও এই আইনের সহায়তা নিয়ে কাজ করবেন। তাহলে অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধ সম্ভব হবে।’
তাঁর এই মন্তব্যের সূত্র ধরে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘সামরিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চমূল্যের সামরিক সরঞ্জামের বিকল্প হিসেবে মিত্রদেশগুলোর তৈরি সাশ্রয়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা বাংলাদেশকে জানাতে পারি। পাশাপাশি যৌথ সামরিক মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্ল্যাটফর্মগুলোকে অন্যান্য মিত্র বাহিনীর সঙ্গে আরও সমন্বিত ও কার্যকর করতে পারি।’
শুনানির শুরুতে লিখিত বিবৃতিতে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে যে গণআন্দোলন হয়েছিল, তা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সরকারকে পতন ঘটায়। আগামী বছর বাংলাদেশের জনগণ ভোটে যাবে, যা দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের যাত্রায় পাশে থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অনেক সময় তাঁর প্রাপ্য মনোযোগ পায় না, বড় প্রতিবেশীদের আড়ালে গুরুত্ব হারিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রসেবায় আমার দুই দশকের অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে ঢাকার কর্মকালও রয়েছে। তাই, আমি বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সম্পর্কে গভীরভাবে অবগত। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থান বাংলাদেশকে উন্মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার করে তুলেছে।’

দেশে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদের প্রধান প্রধান জামাতের স্থান ও সময়সূচি তুলে ধরা হলো:
১০ এপ্রিল ২০২৪
আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি...
৬ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়।
৯ ঘণ্টা আগে
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
১২ ঘণ্টা আগে