বাসস, ঢাকা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সপ্তাহব্যাপী ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা উদ্বোধন করেছেন। এই কার্যক্রম ত্রুটিমুক্ত ও সফল করতে দেশে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল পদ্ধতিতে গণনা পরিচালিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে এক অনুষ্ঠানে এই আদমশুমারির উদ্বোধন করেন।
সর্বশেষ ২০১১ সালে আদমশুমারি হয়। এর ১১ বছরের বেশি সময় পর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ডিজিটাল পদ্ধতিতে সপ্তাহব্যাপী আদমশুমারি পরিচালনা করছে।
আদমশুমারির জন্য মাঠ পর্যায়ে ১৫-২১ জুনের মধ্যে তথ্য সংগ্রহ করা হবে, যা ‘শুমারি সপ্তাহ’ হিসেবে বিবেচিত হবে।
এই আদমশুমারিকে দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এটি জাতির জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। কারণ, সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য আদমশুমারির তথ্য ও পরিসংখ্যান খুবই জরুরি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আদমশুমারির প্রশ্নপত্রে প্রায় ৩৫টি প্রশ্ন থাকবে, যেখানে গণনাকারী ট্যাব ব্যবহার করে মানুষের কাছ থেকে প্রশ্নের উত্তর নেবেন।
শামসুল আলম বলেন, জনগণকে আদমশুমারির আওতায় আনার জন্য গণসচেতনতা সৃষ্টির সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং প্রত্যেক ব্যক্তি যাতে গণনা প্রক্রিয়ার আওতায় আসে এবং কেউ যাতে বাদ না পড়ে, সেদিকেও জোর দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, একবার আদমশুমারি সম্পন্ন হলে প্রায় ২ কোটি লোক অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ প্রকল্পের পরিচালক মো. দিলদার হোসেন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, গৃহহীন ও অসহায় মানুষের তথ্য সংগ্রহের জন্য ইতিমধ্যে শহর ও গ্রাম উভয় ক্ষেত্রেই প্রায় ২ হাজার নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি জানান, যখন ডেটা এনক্রিপ্টেড আকারে থাকবে, তখন বিবিএস ছাড়া আর কারোরই আদমশুমারির সার্ভারে প্রবেশাধিকার থাকবে না। এ ছাড়া হ্যাকিংয়ের সম্ভাব্য কোনো প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে ডেটার জন্য ব্যাক আপ থাকবে।
প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গণনাকারীরা তাঁদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন এবং কোনো অনুরোধ থাকলে গণনাকারীরা রাতেও মানুষের বাড়িতে যাবেন। এ ছাড়া অনাবাসী বাংলাদেশিদের কাছ থেকেও মৌলিক তথ্য আদমশুমারিতে সংগ্রহ করা হবে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে দিলদার বলেন, তারা তিন মাসের মধ্যে আদমশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদন দেওয়ার চেষ্টা করবেন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।
আদমশুমারি সফল করার জন্য প্রায় ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯৭ জন গণনাকারী, ৬৩ হাজার ৫৪৮ জন সুপারভাইজার, ৩ হাজার ৭৭৯ জন আইটি সুপারভাইজার, ৩ হাজার ৭৭৯ জন জোনাল অফিসার, ১৬৩ জন জেলা আদমশুমারি সমন্বয়কারী এবং প্রায় ১২ জন বিভাগীয় আদমশুমারি সমন্বয়কারী বিভিন্ন স্তরে শুমারি কার্যক্রমে সক্রিয় থাকবেন।
বিবিএস সদর দপ্তরে ইতিমধ্যেই একটি অত্যাধুনিক কল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে, যেখান থেকে যে কেউ ০৯৬০২৯৯৮৮৭৭ নম্বরে ফোন করে আদমশুমারি সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য পাবেন।
দেশের প্রথম জনসংখ্যা ও গৃহ গণনা ১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত হয় এবং তারপর দ্বিতীয় গণনা ১৯৮১ সালে, তৃতীয় গণনা ১৯৯১ সালে, চতুর্থ গণনা ২০০১ সালে এবং পঞ্চম শুমারি ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত হয়।
আদমশুমারি পরিচালনার জন্য ওয়েবভিত্তিক ইন্টিগ্রেটেড সেন্সাস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইসিএমএস) এবং ভৌগোলিক তথ্য সিস্টেম (জিআইএস) ইতিমধ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে এবং গণনা এলাকার জন্য নিয়ন্ত্রণ মানচিত্রও প্রস্তুত করা হয়েছে।
এই আদমশুমারিতে ভৌগোলিক তথ্যব্যবস্থা ভিত্তিক ডিজিটাল মানচিত্র ব্যবহার, ডিজিটাল ডিভাইস ‘ট্যাব’ ব্যবহার করে কম্পিউটার-সহায়ক পদ্ধতির মাধ্যমে দেশের সব পরিবারের তথ্য একযোগে সংগ্রহ করা হবে।
আদমশুমারি কার্যক্রমের অধীনে জনসংখ্যাগত এবং আর্থসামাজিক তথ্য যেমন—পরিবারের সংখ্যা এবং তাদের ধরন, বাড়ির মালিকানা, পানীয় জলের প্রধান উৎস, টয়লেট সুবিধা, বিদ্যুৎ সুবিধা, রান্নার জন্য আগুনের প্রধান উৎস, অর্থনৈতিক কার্যক্রম, অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স, বয়স, পরিবারের সদস্য, লিঙ্গ, বৈবাহিক অবস্থা, ধর্ম, প্রতিবন্ধিতা, শিক্ষা, কাজ, প্রশিক্ষণ, মোবাইল ফোন, এবং ইন্টারনেট ব্যবহার, ব্যাংক/মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, জাতীয়তা এবং বিভিন্ন জেলাভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সপ্তাহব্যাপী ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা উদ্বোধন করেছেন। এই কার্যক্রম ত্রুটিমুক্ত ও সফল করতে দেশে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল পদ্ধতিতে গণনা পরিচালিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে এক অনুষ্ঠানে এই আদমশুমারির উদ্বোধন করেন।
সর্বশেষ ২০১১ সালে আদমশুমারি হয়। এর ১১ বছরের বেশি সময় পর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ডিজিটাল পদ্ধতিতে সপ্তাহব্যাপী আদমশুমারি পরিচালনা করছে।
আদমশুমারির জন্য মাঠ পর্যায়ে ১৫-২১ জুনের মধ্যে তথ্য সংগ্রহ করা হবে, যা ‘শুমারি সপ্তাহ’ হিসেবে বিবেচিত হবে।
এই আদমশুমারিকে দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এটি জাতির জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। কারণ, সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য আদমশুমারির তথ্য ও পরিসংখ্যান খুবই জরুরি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আদমশুমারির প্রশ্নপত্রে প্রায় ৩৫টি প্রশ্ন থাকবে, যেখানে গণনাকারী ট্যাব ব্যবহার করে মানুষের কাছ থেকে প্রশ্নের উত্তর নেবেন।
শামসুল আলম বলেন, জনগণকে আদমশুমারির আওতায় আনার জন্য গণসচেতনতা সৃষ্টির সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং প্রত্যেক ব্যক্তি যাতে গণনা প্রক্রিয়ার আওতায় আসে এবং কেউ যাতে বাদ না পড়ে, সেদিকেও জোর দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, একবার আদমশুমারি সম্পন্ন হলে প্রায় ২ কোটি লোক অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ প্রকল্পের পরিচালক মো. দিলদার হোসেন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, গৃহহীন ও অসহায় মানুষের তথ্য সংগ্রহের জন্য ইতিমধ্যে শহর ও গ্রাম উভয় ক্ষেত্রেই প্রায় ২ হাজার নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি জানান, যখন ডেটা এনক্রিপ্টেড আকারে থাকবে, তখন বিবিএস ছাড়া আর কারোরই আদমশুমারির সার্ভারে প্রবেশাধিকার থাকবে না। এ ছাড়া হ্যাকিংয়ের সম্ভাব্য কোনো প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে ডেটার জন্য ব্যাক আপ থাকবে।
প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গণনাকারীরা তাঁদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন এবং কোনো অনুরোধ থাকলে গণনাকারীরা রাতেও মানুষের বাড়িতে যাবেন। এ ছাড়া অনাবাসী বাংলাদেশিদের কাছ থেকেও মৌলিক তথ্য আদমশুমারিতে সংগ্রহ করা হবে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে দিলদার বলেন, তারা তিন মাসের মধ্যে আদমশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদন দেওয়ার চেষ্টা করবেন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।
আদমশুমারি সফল করার জন্য প্রায় ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯৭ জন গণনাকারী, ৬৩ হাজার ৫৪৮ জন সুপারভাইজার, ৩ হাজার ৭৭৯ জন আইটি সুপারভাইজার, ৩ হাজার ৭৭৯ জন জোনাল অফিসার, ১৬৩ জন জেলা আদমশুমারি সমন্বয়কারী এবং প্রায় ১২ জন বিভাগীয় আদমশুমারি সমন্বয়কারী বিভিন্ন স্তরে শুমারি কার্যক্রমে সক্রিয় থাকবেন।
বিবিএস সদর দপ্তরে ইতিমধ্যেই একটি অত্যাধুনিক কল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে, যেখান থেকে যে কেউ ০৯৬০২৯৯৮৮৭৭ নম্বরে ফোন করে আদমশুমারি সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য পাবেন।
দেশের প্রথম জনসংখ্যা ও গৃহ গণনা ১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত হয় এবং তারপর দ্বিতীয় গণনা ১৯৮১ সালে, তৃতীয় গণনা ১৯৯১ সালে, চতুর্থ গণনা ২০০১ সালে এবং পঞ্চম শুমারি ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত হয়।
আদমশুমারি পরিচালনার জন্য ওয়েবভিত্তিক ইন্টিগ্রেটেড সেন্সাস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইসিএমএস) এবং ভৌগোলিক তথ্য সিস্টেম (জিআইএস) ইতিমধ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে এবং গণনা এলাকার জন্য নিয়ন্ত্রণ মানচিত্রও প্রস্তুত করা হয়েছে।
এই আদমশুমারিতে ভৌগোলিক তথ্যব্যবস্থা ভিত্তিক ডিজিটাল মানচিত্র ব্যবহার, ডিজিটাল ডিভাইস ‘ট্যাব’ ব্যবহার করে কম্পিউটার-সহায়ক পদ্ধতির মাধ্যমে দেশের সব পরিবারের তথ্য একযোগে সংগ্রহ করা হবে।
আদমশুমারি কার্যক্রমের অধীনে জনসংখ্যাগত এবং আর্থসামাজিক তথ্য যেমন—পরিবারের সংখ্যা এবং তাদের ধরন, বাড়ির মালিকানা, পানীয় জলের প্রধান উৎস, টয়লেট সুবিধা, বিদ্যুৎ সুবিধা, রান্নার জন্য আগুনের প্রধান উৎস, অর্থনৈতিক কার্যক্রম, অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স, বয়স, পরিবারের সদস্য, লিঙ্গ, বৈবাহিক অবস্থা, ধর্ম, প্রতিবন্ধিতা, শিক্ষা, কাজ, প্রশিক্ষণ, মোবাইল ফোন, এবং ইন্টারনেট ব্যবহার, ব্যাংক/মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, জাতীয়তা এবং বিভিন্ন জেলাভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
বাসস, ঢাকা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সপ্তাহব্যাপী ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা উদ্বোধন করেছেন। এই কার্যক্রম ত্রুটিমুক্ত ও সফল করতে দেশে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল পদ্ধতিতে গণনা পরিচালিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে এক অনুষ্ঠানে এই আদমশুমারির উদ্বোধন করেন।
সর্বশেষ ২০১১ সালে আদমশুমারি হয়। এর ১১ বছরের বেশি সময় পর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ডিজিটাল পদ্ধতিতে সপ্তাহব্যাপী আদমশুমারি পরিচালনা করছে।
আদমশুমারির জন্য মাঠ পর্যায়ে ১৫-২১ জুনের মধ্যে তথ্য সংগ্রহ করা হবে, যা ‘শুমারি সপ্তাহ’ হিসেবে বিবেচিত হবে।
এই আদমশুমারিকে দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এটি জাতির জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। কারণ, সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য আদমশুমারির তথ্য ও পরিসংখ্যান খুবই জরুরি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আদমশুমারির প্রশ্নপত্রে প্রায় ৩৫টি প্রশ্ন থাকবে, যেখানে গণনাকারী ট্যাব ব্যবহার করে মানুষের কাছ থেকে প্রশ্নের উত্তর নেবেন।
শামসুল আলম বলেন, জনগণকে আদমশুমারির আওতায় আনার জন্য গণসচেতনতা সৃষ্টির সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং প্রত্যেক ব্যক্তি যাতে গণনা প্রক্রিয়ার আওতায় আসে এবং কেউ যাতে বাদ না পড়ে, সেদিকেও জোর দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, একবার আদমশুমারি সম্পন্ন হলে প্রায় ২ কোটি লোক অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ প্রকল্পের পরিচালক মো. দিলদার হোসেন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, গৃহহীন ও অসহায় মানুষের তথ্য সংগ্রহের জন্য ইতিমধ্যে শহর ও গ্রাম উভয় ক্ষেত্রেই প্রায় ২ হাজার নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি জানান, যখন ডেটা এনক্রিপ্টেড আকারে থাকবে, তখন বিবিএস ছাড়া আর কারোরই আদমশুমারির সার্ভারে প্রবেশাধিকার থাকবে না। এ ছাড়া হ্যাকিংয়ের সম্ভাব্য কোনো প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে ডেটার জন্য ব্যাক আপ থাকবে।
প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গণনাকারীরা তাঁদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন এবং কোনো অনুরোধ থাকলে গণনাকারীরা রাতেও মানুষের বাড়িতে যাবেন। এ ছাড়া অনাবাসী বাংলাদেশিদের কাছ থেকেও মৌলিক তথ্য আদমশুমারিতে সংগ্রহ করা হবে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে দিলদার বলেন, তারা তিন মাসের মধ্যে আদমশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদন দেওয়ার চেষ্টা করবেন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।
আদমশুমারি সফল করার জন্য প্রায় ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯৭ জন গণনাকারী, ৬৩ হাজার ৫৪৮ জন সুপারভাইজার, ৩ হাজার ৭৭৯ জন আইটি সুপারভাইজার, ৩ হাজার ৭৭৯ জন জোনাল অফিসার, ১৬৩ জন জেলা আদমশুমারি সমন্বয়কারী এবং প্রায় ১২ জন বিভাগীয় আদমশুমারি সমন্বয়কারী বিভিন্ন স্তরে শুমারি কার্যক্রমে সক্রিয় থাকবেন।
বিবিএস সদর দপ্তরে ইতিমধ্যেই একটি অত্যাধুনিক কল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে, যেখান থেকে যে কেউ ০৯৬০২৯৯৮৮৭৭ নম্বরে ফোন করে আদমশুমারি সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য পাবেন।
দেশের প্রথম জনসংখ্যা ও গৃহ গণনা ১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত হয় এবং তারপর দ্বিতীয় গণনা ১৯৮১ সালে, তৃতীয় গণনা ১৯৯১ সালে, চতুর্থ গণনা ২০০১ সালে এবং পঞ্চম শুমারি ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত হয়।
আদমশুমারি পরিচালনার জন্য ওয়েবভিত্তিক ইন্টিগ্রেটেড সেন্সাস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইসিএমএস) এবং ভৌগোলিক তথ্য সিস্টেম (জিআইএস) ইতিমধ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে এবং গণনা এলাকার জন্য নিয়ন্ত্রণ মানচিত্রও প্রস্তুত করা হয়েছে।
এই আদমশুমারিতে ভৌগোলিক তথ্যব্যবস্থা ভিত্তিক ডিজিটাল মানচিত্র ব্যবহার, ডিজিটাল ডিভাইস ‘ট্যাব’ ব্যবহার করে কম্পিউটার-সহায়ক পদ্ধতির মাধ্যমে দেশের সব পরিবারের তথ্য একযোগে সংগ্রহ করা হবে।
আদমশুমারি কার্যক্রমের অধীনে জনসংখ্যাগত এবং আর্থসামাজিক তথ্য যেমন—পরিবারের সংখ্যা এবং তাদের ধরন, বাড়ির মালিকানা, পানীয় জলের প্রধান উৎস, টয়লেট সুবিধা, বিদ্যুৎ সুবিধা, রান্নার জন্য আগুনের প্রধান উৎস, অর্থনৈতিক কার্যক্রম, অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স, বয়স, পরিবারের সদস্য, লিঙ্গ, বৈবাহিক অবস্থা, ধর্ম, প্রতিবন্ধিতা, শিক্ষা, কাজ, প্রশিক্ষণ, মোবাইল ফোন, এবং ইন্টারনেট ব্যবহার, ব্যাংক/মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, জাতীয়তা এবং বিভিন্ন জেলাভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সপ্তাহব্যাপী ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা উদ্বোধন করেছেন। এই কার্যক্রম ত্রুটিমুক্ত ও সফল করতে দেশে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল পদ্ধতিতে গণনা পরিচালিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে এক অনুষ্ঠানে এই আদমশুমারির উদ্বোধন করেন।
সর্বশেষ ২০১১ সালে আদমশুমারি হয়। এর ১১ বছরের বেশি সময় পর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ডিজিটাল পদ্ধতিতে সপ্তাহব্যাপী আদমশুমারি পরিচালনা করছে।
আদমশুমারির জন্য মাঠ পর্যায়ে ১৫-২১ জুনের মধ্যে তথ্য সংগ্রহ করা হবে, যা ‘শুমারি সপ্তাহ’ হিসেবে বিবেচিত হবে।
এই আদমশুমারিকে দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এটি জাতির জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। কারণ, সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য আদমশুমারির তথ্য ও পরিসংখ্যান খুবই জরুরি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আদমশুমারির প্রশ্নপত্রে প্রায় ৩৫টি প্রশ্ন থাকবে, যেখানে গণনাকারী ট্যাব ব্যবহার করে মানুষের কাছ থেকে প্রশ্নের উত্তর নেবেন।
শামসুল আলম বলেন, জনগণকে আদমশুমারির আওতায় আনার জন্য গণসচেতনতা সৃষ্টির সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং প্রত্যেক ব্যক্তি যাতে গণনা প্রক্রিয়ার আওতায় আসে এবং কেউ যাতে বাদ না পড়ে, সেদিকেও জোর দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, একবার আদমশুমারি সম্পন্ন হলে প্রায় ২ কোটি লোক অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ প্রকল্পের পরিচালক মো. দিলদার হোসেন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, গৃহহীন ও অসহায় মানুষের তথ্য সংগ্রহের জন্য ইতিমধ্যে শহর ও গ্রাম উভয় ক্ষেত্রেই প্রায় ২ হাজার নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি জানান, যখন ডেটা এনক্রিপ্টেড আকারে থাকবে, তখন বিবিএস ছাড়া আর কারোরই আদমশুমারির সার্ভারে প্রবেশাধিকার থাকবে না। এ ছাড়া হ্যাকিংয়ের সম্ভাব্য কোনো প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে ডেটার জন্য ব্যাক আপ থাকবে।
প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গণনাকারীরা তাঁদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন এবং কোনো অনুরোধ থাকলে গণনাকারীরা রাতেও মানুষের বাড়িতে যাবেন। এ ছাড়া অনাবাসী বাংলাদেশিদের কাছ থেকেও মৌলিক তথ্য আদমশুমারিতে সংগ্রহ করা হবে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে দিলদার বলেন, তারা তিন মাসের মধ্যে আদমশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদন দেওয়ার চেষ্টা করবেন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।
আদমশুমারি সফল করার জন্য প্রায় ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯৭ জন গণনাকারী, ৬৩ হাজার ৫৪৮ জন সুপারভাইজার, ৩ হাজার ৭৭৯ জন আইটি সুপারভাইজার, ৩ হাজার ৭৭৯ জন জোনাল অফিসার, ১৬৩ জন জেলা আদমশুমারি সমন্বয়কারী এবং প্রায় ১২ জন বিভাগীয় আদমশুমারি সমন্বয়কারী বিভিন্ন স্তরে শুমারি কার্যক্রমে সক্রিয় থাকবেন।
বিবিএস সদর দপ্তরে ইতিমধ্যেই একটি অত্যাধুনিক কল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে, যেখান থেকে যে কেউ ০৯৬০২৯৯৮৮৭৭ নম্বরে ফোন করে আদমশুমারি সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য পাবেন।
দেশের প্রথম জনসংখ্যা ও গৃহ গণনা ১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত হয় এবং তারপর দ্বিতীয় গণনা ১৯৮১ সালে, তৃতীয় গণনা ১৯৯১ সালে, চতুর্থ গণনা ২০০১ সালে এবং পঞ্চম শুমারি ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত হয়।
আদমশুমারি পরিচালনার জন্য ওয়েবভিত্তিক ইন্টিগ্রেটেড সেন্সাস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইসিএমএস) এবং ভৌগোলিক তথ্য সিস্টেম (জিআইএস) ইতিমধ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে এবং গণনা এলাকার জন্য নিয়ন্ত্রণ মানচিত্রও প্রস্তুত করা হয়েছে।
এই আদমশুমারিতে ভৌগোলিক তথ্যব্যবস্থা ভিত্তিক ডিজিটাল মানচিত্র ব্যবহার, ডিজিটাল ডিভাইস ‘ট্যাব’ ব্যবহার করে কম্পিউটার-সহায়ক পদ্ধতির মাধ্যমে দেশের সব পরিবারের তথ্য একযোগে সংগ্রহ করা হবে।
আদমশুমারি কার্যক্রমের অধীনে জনসংখ্যাগত এবং আর্থসামাজিক তথ্য যেমন—পরিবারের সংখ্যা এবং তাদের ধরন, বাড়ির মালিকানা, পানীয় জলের প্রধান উৎস, টয়লেট সুবিধা, বিদ্যুৎ সুবিধা, রান্নার জন্য আগুনের প্রধান উৎস, অর্থনৈতিক কার্যক্রম, অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স, বয়স, পরিবারের সদস্য, লিঙ্গ, বৈবাহিক অবস্থা, ধর্ম, প্রতিবন্ধিতা, শিক্ষা, কাজ, প্রশিক্ষণ, মোবাইল ফোন, এবং ইন্টারনেট ব্যবহার, ব্যাংক/মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, জাতীয়তা এবং বিভিন্ন জেলাভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি এবং গণভোটের সময় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক নিয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
১ ঘণ্টা আগে
পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তারা হলেন পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের এসপি মো. শাহরিয়ার, পুলিশের বিশেষ শাখার এসপি ড. মোহাম্মদ আবদুল কাদের, অপরাধ তদন্ত বিভাগের এসপি মো. মাসুম বিল্লাহ তালুকদার ও মো. জান্নাতুল হাসান।
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতীকের তালিকায় পরিবর্তন এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধন করে নতুন তালিকায় ‘শাপলা কলি’ যুক্ত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
টোয়াব আয়োজিত ১৩তম আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলার টাইটেল স্পনসর হিসেবে রয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেড। তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা চলবে আগামী শনিবার (১ নভেম্বর) রাত ৮টা পর্যন্ত।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি এবং গণভোটের সময় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক নিয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি এবং গণভোটের সময় নিয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে আমরা থাকব। আমরা উনাকে সহায়তা করার জন্য থাকব। সিদ্ধান্ত পার্টিকুলার কেউ নেবে না। এটা আপনারা নিশ্চিত থাকেন। এই সিদ্ধান্ত প্রধান উপদেষ্টা নেবেন। আমাদের সঙ্গে পরামর্শ করার প্রয়োজন হলে উনি পরামর্শ করবেন এবং আমরা যে সিদ্ধান্ত নেব, সেখানে আমরা দৃঢ় থাকব। সিদ্ধান্ত খুব দ্রুত হবে।’
আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ নিয়ে সাধারণ আলোচনা হয়েছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘অনৈক্যের বিষয়গুলোর একটি হচ্ছে, ঐকমত্য কমিশন দুইটা বিকল্প দিয়েছে। একটা হচ্ছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ—তারপর গণভোট; এরপরে ২৭০ দিনের মধ্যে না হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধান সংশোধন হয়ে যাবে। এ রকম কোনো নজির আছে কি না বা এটা আদৌ সম্ভব কি না, এটা আমরা দেখব। আরেকটা হচ্ছে, এই দায়দায়িত্ব নির্বাচিত সংসদের হাতে ছেড়ে দেওয়া। এই দুইটা বিকল্পের মধ্যে কোনটা আসলে বেশি গ্রহণযোগ্য, সেটা নিয়ে রাজনৈতিক দলের মধ্যে তীব্র মতবিরোধ রয়েছে। আর গণভোট কবে হবে, সেটা নিয়ে বিরোধ তীব্রতম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বোধ হয়।’
গণভোট নিয়ে বিএনপি, জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার তীব্র বিরোধ-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক। ২৭০ দিন যাবৎ আলাপ-আলোচনার পর প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্যে যে অনৈক্যের সুর দেখছি, এটা হতাশাব্যঞ্জক। এই তীব্র বিরোধের মধ্যে কীভাবে সমঝোতার দলিল পাস হবে? এটা খুব দুরূহ একটা চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে এনে দিয়েছে।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘উনাদের (রাজনৈতিক দল) তো আসলে ঐকমত্য হয় নাই। কিছু ভাইটাল (গুরুত্বপূর্ণ) প্রশ্নে এর আগে আমরা জেনেছিলাম, কনটেন্ট নিয়ে বিরোধ ছিল। যে সংস্কার হবে, সেই বিষয়বস্তু নিয়ে বিরোধ ছিল। এখন আবার দেখলাম, আরও দুই ধরনের বিরোধ তৈরি হয়েছে। একটা হচ্ছে, এটা (জুলাই সনদ) কী পদ্ধতিতে পাস করা হবে; আরেকটা হচ্ছে এর জন্য গণভোট হলে গণভোট কবে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধ তীব্রতম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এসব ব্যাপারে একটা সময় সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সিদ্ধান্ত নিবেন প্রধান উপদেষ্টা।’
এ সময় মতানৈক্য থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিরোধ এত দৃঢ় এবং পরস্পরবিরোধী—কী বলব? যে উত্তেজিত ভূমিকা নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো, যারা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষে ছিল, আপনারা যদি এ রকম একটা ভূমিকা নেন, তাহলে সরকার কী করবে? আমরা ঠিক বুঝতে পারছি না। এত দিন আলোচনার পর যদি আপনাদের মধ্যে ঐকমত্য না আসে, আমরা আসলে এখন কীভাবে কী করব—এটা নিয়ে সত্যি আমাদের একটু চিন্তা করতে হচ্ছে।’
রাজনৈতিক দলগুলোর আলটিমেটাম নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দল যদি এককভাবে তাদের অবস্থান নেওয়ার জন্য আমাদের আলটিমেটাম বেঁধে দেয় বা জোর করে, তার মানে হচ্ছে উনাদের মধ্যে ঐকমত্য নাই এবং উনারা চাচ্ছেন, উনাদের দলীয় পজিশনটা যেন এই সরকার আপহোল্ড (সমুন্নত) করে—এটা দুর্ভাগ্যজনক। উনাদেরকে তো যথেষ্ট আলোচনার সময় দেওয়া হয়েছে। উনারা যে অনৈক্য দেখাচ্ছেন, জুলাই স্পিরিটকে উনারা কোথায় নিয়ে গেছেন—এটা উনাদের বিবেচনা করা উচিত।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা তো কমিশনের সুপারিশ নিয়েছি। সুপারিশটা আমরা কীভাবে বাস্তবায়ন করব, সেখানে সরকারের স্বাধীনতা রয়েছে। এটা আমাদের প্রধান উপদেষ্টা সিদ্ধান্ত নেবেন।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি এবং গণভোটের সময় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক নিয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি এবং গণভোটের সময় নিয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে আমরা থাকব। আমরা উনাকে সহায়তা করার জন্য থাকব। সিদ্ধান্ত পার্টিকুলার কেউ নেবে না। এটা আপনারা নিশ্চিত থাকেন। এই সিদ্ধান্ত প্রধান উপদেষ্টা নেবেন। আমাদের সঙ্গে পরামর্শ করার প্রয়োজন হলে উনি পরামর্শ করবেন এবং আমরা যে সিদ্ধান্ত নেব, সেখানে আমরা দৃঢ় থাকব। সিদ্ধান্ত খুব দ্রুত হবে।’
আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ নিয়ে সাধারণ আলোচনা হয়েছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘অনৈক্যের বিষয়গুলোর একটি হচ্ছে, ঐকমত্য কমিশন দুইটা বিকল্প দিয়েছে। একটা হচ্ছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ—তারপর গণভোট; এরপরে ২৭০ দিনের মধ্যে না হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধান সংশোধন হয়ে যাবে। এ রকম কোনো নজির আছে কি না বা এটা আদৌ সম্ভব কি না, এটা আমরা দেখব। আরেকটা হচ্ছে, এই দায়দায়িত্ব নির্বাচিত সংসদের হাতে ছেড়ে দেওয়া। এই দুইটা বিকল্পের মধ্যে কোনটা আসলে বেশি গ্রহণযোগ্য, সেটা নিয়ে রাজনৈতিক দলের মধ্যে তীব্র মতবিরোধ রয়েছে। আর গণভোট কবে হবে, সেটা নিয়ে বিরোধ তীব্রতম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বোধ হয়।’
গণভোট নিয়ে বিএনপি, জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার তীব্র বিরোধ-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক। ২৭০ দিন যাবৎ আলাপ-আলোচনার পর প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্যে যে অনৈক্যের সুর দেখছি, এটা হতাশাব্যঞ্জক। এই তীব্র বিরোধের মধ্যে কীভাবে সমঝোতার দলিল পাস হবে? এটা খুব দুরূহ একটা চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে এনে দিয়েছে।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘উনাদের (রাজনৈতিক দল) তো আসলে ঐকমত্য হয় নাই। কিছু ভাইটাল (গুরুত্বপূর্ণ) প্রশ্নে এর আগে আমরা জেনেছিলাম, কনটেন্ট নিয়ে বিরোধ ছিল। যে সংস্কার হবে, সেই বিষয়বস্তু নিয়ে বিরোধ ছিল। এখন আবার দেখলাম, আরও দুই ধরনের বিরোধ তৈরি হয়েছে। একটা হচ্ছে, এটা (জুলাই সনদ) কী পদ্ধতিতে পাস করা হবে; আরেকটা হচ্ছে এর জন্য গণভোট হলে গণভোট কবে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধ তীব্রতম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এসব ব্যাপারে একটা সময় সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সিদ্ধান্ত নিবেন প্রধান উপদেষ্টা।’
এ সময় মতানৈক্য থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিরোধ এত দৃঢ় এবং পরস্পরবিরোধী—কী বলব? যে উত্তেজিত ভূমিকা নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো, যারা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষে ছিল, আপনারা যদি এ রকম একটা ভূমিকা নেন, তাহলে সরকার কী করবে? আমরা ঠিক বুঝতে পারছি না। এত দিন আলোচনার পর যদি আপনাদের মধ্যে ঐকমত্য না আসে, আমরা আসলে এখন কীভাবে কী করব—এটা নিয়ে সত্যি আমাদের একটু চিন্তা করতে হচ্ছে।’
রাজনৈতিক দলগুলোর আলটিমেটাম নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দল যদি এককভাবে তাদের অবস্থান নেওয়ার জন্য আমাদের আলটিমেটাম বেঁধে দেয় বা জোর করে, তার মানে হচ্ছে উনাদের মধ্যে ঐকমত্য নাই এবং উনারা চাচ্ছেন, উনাদের দলীয় পজিশনটা যেন এই সরকার আপহোল্ড (সমুন্নত) করে—এটা দুর্ভাগ্যজনক। উনাদেরকে তো যথেষ্ট আলোচনার সময় দেওয়া হয়েছে। উনারা যে অনৈক্য দেখাচ্ছেন, জুলাই স্পিরিটকে উনারা কোথায় নিয়ে গেছেন—এটা উনাদের বিবেচনা করা উচিত।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা তো কমিশনের সুপারিশ নিয়েছি। সুপারিশটা আমরা কীভাবে বাস্তবায়ন করব, সেখানে সরকারের স্বাধীনতা রয়েছে। এটা আমাদের প্রধান উপদেষ্টা সিদ্ধান্ত নেবেন।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সপ্তাহব্যাপী ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা উদ্বোধন করেছেন। এই কার্যক্রম ত্রুটিমুক্ত ও সফল করতে দেশে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল পদ্ধতিতে গণনা পরিচালিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে এক অনুষ্ঠানে এই আদমশুমারির উদ্বোধন করেন...
১৫ জুন ২০২২
পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তারা হলেন পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের এসপি মো. শাহরিয়ার, পুলিশের বিশেষ শাখার এসপি ড. মোহাম্মদ আবদুল কাদের, অপরাধ তদন্ত বিভাগের এসপি মো. মাসুম বিল্লাহ তালুকদার ও মো. জান্নাতুল হাসান।
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতীকের তালিকায় পরিবর্তন এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধন করে নতুন তালিকায় ‘শাপলা কলি’ যুক্ত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
টোয়াব আয়োজিত ১৩তম আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলার টাইটেল স্পনসর হিসেবে রয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেড। তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা চলবে আগামী শনিবার (১ নভেম্বর) রাত ৮টা পর্যন্ত।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) পদের চার কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখার উপসচিব মাহবুবুর রহমানের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তারা হলেন পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের এসপি মো. শাহরিয়ার, পুলিশের বিশেষ শাখার এসপি ড. মোহাম্মদ আবদুল কাদের, অপরাধ তদন্ত বিভাগের এসপি মো. মাসুম বিল্লাহ তালুকদার ও মো. জান্নাতুল হাসান।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পুলিশের এই চার কর্মকর্তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জ্যেষ্ঠ সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর পদোন্নতিপ্রাপ্ত পদে যোগদানপত্র পাঠাবেন। জনস্বার্থে জারি হওয়া এ আদেশ যোগদানের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
আরও খবর পড়ুন:

বাংলাদেশ পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) পদের চার কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখার উপসচিব মাহবুবুর রহমানের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তারা হলেন পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের এসপি মো. শাহরিয়ার, পুলিশের বিশেষ শাখার এসপি ড. মোহাম্মদ আবদুল কাদের, অপরাধ তদন্ত বিভাগের এসপি মো. মাসুম বিল্লাহ তালুকদার ও মো. জান্নাতুল হাসান।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পুলিশের এই চার কর্মকর্তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জ্যেষ্ঠ সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর পদোন্নতিপ্রাপ্ত পদে যোগদানপত্র পাঠাবেন। জনস্বার্থে জারি হওয়া এ আদেশ যোগদানের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
আরও খবর পড়ুন:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সপ্তাহব্যাপী ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা উদ্বোধন করেছেন। এই কার্যক্রম ত্রুটিমুক্ত ও সফল করতে দেশে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল পদ্ধতিতে গণনা পরিচালিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে এক অনুষ্ঠানে এই আদমশুমারির উদ্বোধন করেন...
১৫ জুন ২০২২
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি এবং গণভোটের সময় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক নিয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতীকের তালিকায় পরিবর্তন এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধন করে নতুন তালিকায় ‘শাপলা কলি’ যুক্ত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
টোয়াব আয়োজিত ১৩তম আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলার টাইটেল স্পনসর হিসেবে রয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেড। তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা চলবে আগামী শনিবার (১ নভেম্বর) রাত ৮টা পর্যন্ত।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতীকের তালিকায় পরিবর্তন এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধন করে নতুন তালিকায় ‘শাপলা কলি’ যুক্ত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এর আগে ১১৫টি প্রতীকের তালিকা করেছিল ইসি। সংশোধিত তালিকায় ১১৯টি প্রতীক রাখা হয়েছে। এ তালিকার ১০২ নম্বরে ‘শাপলা কলি’ যুক্ত করেছে ইসি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘১৯৭২-এর সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৪-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্বাচন কমিশন, ‘‘নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮’’-এর নিম্নরূপ অধিকতর সংশোধন করিল।’
এতে আরও বলা হয়, ‘উপরিউক্ত বিধিমালার বিধি ৯-এর উপবিধি (১)-এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপবিধি (১) প্রতিস্থাপিত হইবে। এই বিধির অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অনুচ্ছেদ ২০-এর দফা (১)-এর অধীন স্থগিতকৃত প্রতীক ব্যতীত নিম্নবর্ণিত প্রতীকগুলো হইতে প্রাপ্যতা সাপেক্ষে যেকোনো একটি প্রতীক বরাদ্দ করা যাইবে।’
সংশোধিত তালিকায় যেসব প্রতীক রাখা হয়েছে—
আপেল, আনারস, আম, আলমারি, ঈগল, উদীয়মান সূর্য, একতারা, কাঁচি, কবুতর, কলম, কলস, কলার ছড়ি, কাঁঠাল, কাপ-পিরিচ, কাস্তে, কেটলি, কুমির, কম্পিউটার, কুড়াল, কুলা, কুঁড়েঘর, কোদাল, খেজুরগাছ, গরুর গাড়ি, গাভি, গামছা, গোলাপ ফুল, ঘণ্টা, ঘুড়ি, ঘোড়া, চাকা, চাবি, চিংড়ি, চেয়ার, চশমা, ছড়ি, ছাতা, জগ, জাহাজ, টিউবওয়েল, টেবিল, টেবিল ঘড়ি, ট্রাক, টেলিফোন ও টেলিভিশন।
আরও রয়েছে ডাব, ঢেঁকি, তারা, থালা, দাঁড়িপাল্লা, দালান, দেওয়াল ঘড়ি, দোয়াত কলম, দোলনা, ধানের শীষ, নোঙর, নৌকা (স্থগিত), প্রজাপতি, ফুটবল, ফুলকপি, ফুলের মালা, বই, বক, বাঘ, বটগাছ, বাইসাইকেল, বালতি, বৈদ্যুতিক পাখা, মই, মগ, মাইক, মোটরগাড়ি (কার), মশাল, ময়ূর, মাছ, মাথাল, মিনার, মোমবাতি, মোবাইল ফোন, মোড়া, মোরগ, রকেট, রিকশা, লিচু, লাঙ্গল, সোনালি আঁশ, সেলাই মেশিন, সোফা, সিংহ, হরিণ, হাত (পাঞ্জা), হাতঘড়ি, হাতপাখা, হাঁস, হাতি, হাতুড়ি, হারিকেন, হুক্কা ও হেলিকপ্টার।
তালিকায় যেসব নতুন প্রতীক যোগ হয়েছে
উট, চিরুনি, টর্চলাইট, টেবিল ল্যাম্প, ট্রাক্টর, ড্রেসিং টেবিল, তালা, দোতলা বাস, পাগড়ি, পানির ট্যাব, পালকি, ফলের ঝুড়ি, বেবি টেক্সি, বৈদ্যুতিক বাল্ব, মোটরসাইকেল, সিঁড়ি, সূর্যমুখী, রেল ইঞ্জিন, শাপলা কলি ও হ্যান্ডশেক।
বাদ পড়া প্রতীক
কলা, খাট, উটপাখি, চার্জার লাইট, টিফিন ক্যারিয়ার, তবলা, তরমুজ, ফ্রিজ, বাঁশি, বেঞ্চ, বেগুন, বেলুন, লাউ, শঙ্খ, স্যুটকেস ও ফুলের টব।
প্রসঙ্গত, দলের নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে শুরু থেকেই শাপলা চেয়ে আসছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। রাজনৈতিক দল হিসেবে দলটির নিবন্ধন আটকে আছে এই ইস্যুতে। প্রতীক চূড়ান্ত হলে দলটিকে নিবন্ধন সনদ দেওয়া হবে। কিন্তু প্রতীক ইস্যুতে দুটি ভিন্ন অবস্থানে অনড় ছিল এনসিপি ও নির্বাচন কমিশন।
আরও খবর পড়ুন:

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতীকের তালিকায় পরিবর্তন এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধন করে নতুন তালিকায় ‘শাপলা কলি’ যুক্ত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এর আগে ১১৫টি প্রতীকের তালিকা করেছিল ইসি। সংশোধিত তালিকায় ১১৯টি প্রতীক রাখা হয়েছে। এ তালিকার ১০২ নম্বরে ‘শাপলা কলি’ যুক্ত করেছে ইসি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘১৯৭২-এর সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৪-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্বাচন কমিশন, ‘‘নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮’’-এর নিম্নরূপ অধিকতর সংশোধন করিল।’
এতে আরও বলা হয়, ‘উপরিউক্ত বিধিমালার বিধি ৯-এর উপবিধি (১)-এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপবিধি (১) প্রতিস্থাপিত হইবে। এই বিধির অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অনুচ্ছেদ ২০-এর দফা (১)-এর অধীন স্থগিতকৃত প্রতীক ব্যতীত নিম্নবর্ণিত প্রতীকগুলো হইতে প্রাপ্যতা সাপেক্ষে যেকোনো একটি প্রতীক বরাদ্দ করা যাইবে।’
সংশোধিত তালিকায় যেসব প্রতীক রাখা হয়েছে—
আপেল, আনারস, আম, আলমারি, ঈগল, উদীয়মান সূর্য, একতারা, কাঁচি, কবুতর, কলম, কলস, কলার ছড়ি, কাঁঠাল, কাপ-পিরিচ, কাস্তে, কেটলি, কুমির, কম্পিউটার, কুড়াল, কুলা, কুঁড়েঘর, কোদাল, খেজুরগাছ, গরুর গাড়ি, গাভি, গামছা, গোলাপ ফুল, ঘণ্টা, ঘুড়ি, ঘোড়া, চাকা, চাবি, চিংড়ি, চেয়ার, চশমা, ছড়ি, ছাতা, জগ, জাহাজ, টিউবওয়েল, টেবিল, টেবিল ঘড়ি, ট্রাক, টেলিফোন ও টেলিভিশন।
আরও রয়েছে ডাব, ঢেঁকি, তারা, থালা, দাঁড়িপাল্লা, দালান, দেওয়াল ঘড়ি, দোয়াত কলম, দোলনা, ধানের শীষ, নোঙর, নৌকা (স্থগিত), প্রজাপতি, ফুটবল, ফুলকপি, ফুলের মালা, বই, বক, বাঘ, বটগাছ, বাইসাইকেল, বালতি, বৈদ্যুতিক পাখা, মই, মগ, মাইক, মোটরগাড়ি (কার), মশাল, ময়ূর, মাছ, মাথাল, মিনার, মোমবাতি, মোবাইল ফোন, মোড়া, মোরগ, রকেট, রিকশা, লিচু, লাঙ্গল, সোনালি আঁশ, সেলাই মেশিন, সোফা, সিংহ, হরিণ, হাত (পাঞ্জা), হাতঘড়ি, হাতপাখা, হাঁস, হাতি, হাতুড়ি, হারিকেন, হুক্কা ও হেলিকপ্টার।
তালিকায় যেসব নতুন প্রতীক যোগ হয়েছে
উট, চিরুনি, টর্চলাইট, টেবিল ল্যাম্প, ট্রাক্টর, ড্রেসিং টেবিল, তালা, দোতলা বাস, পাগড়ি, পানির ট্যাব, পালকি, ফলের ঝুড়ি, বেবি টেক্সি, বৈদ্যুতিক বাল্ব, মোটরসাইকেল, সিঁড়ি, সূর্যমুখী, রেল ইঞ্জিন, শাপলা কলি ও হ্যান্ডশেক।
বাদ পড়া প্রতীক
কলা, খাট, উটপাখি, চার্জার লাইট, টিফিন ক্যারিয়ার, তবলা, তরমুজ, ফ্রিজ, বাঁশি, বেঞ্চ, বেগুন, বেলুন, লাউ, শঙ্খ, স্যুটকেস ও ফুলের টব।
প্রসঙ্গত, দলের নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে শুরু থেকেই শাপলা চেয়ে আসছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। রাজনৈতিক দল হিসেবে দলটির নিবন্ধন আটকে আছে এই ইস্যুতে। প্রতীক চূড়ান্ত হলে দলটিকে নিবন্ধন সনদ দেওয়া হবে। কিন্তু প্রতীক ইস্যুতে দুটি ভিন্ন অবস্থানে অনড় ছিল এনসিপি ও নির্বাচন কমিশন।
আরও খবর পড়ুন:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সপ্তাহব্যাপী ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা উদ্বোধন করেছেন। এই কার্যক্রম ত্রুটিমুক্ত ও সফল করতে দেশে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল পদ্ধতিতে গণনা পরিচালিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে এক অনুষ্ঠানে এই আদমশুমারির উদ্বোধন করেন...
১৫ জুন ২০২২
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি এবং গণভোটের সময় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক নিয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
১ ঘণ্টা আগে
পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তারা হলেন পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের এসপি মো. শাহরিয়ার, পুলিশের বিশেষ শাখার এসপি ড. মোহাম্মদ আবদুল কাদের, অপরাধ তদন্ত বিভাগের এসপি মো. মাসুম বিল্লাহ তালুকদার ও মো. জান্নাতুল হাসান।
২ ঘণ্টা আগে
টোয়াব আয়োজিত ১৩তম আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলার টাইটেল স্পনসর হিসেবে রয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেড। তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা চলবে আগামী শনিবার (১ নভেম্বর) রাত ৮টা পর্যন্ত।
৪ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক দূত লুৎফে সিদ্দিকী বলেছেন, ‘সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনামের মতো দেশগুলো পর্যটনকেন্দ্রিক অর্থনীতি গড়ে তুলেছে। বাংলাদেশেও পর্যটন খাতকে অগ্রাধিকার দিলে জিডিপিতে বড় অবদান রাখা সম্ভব। আমাদের দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহ্য কাজে লাগিয়ে এ খাতকে শক্তিশালী করা যেতে পারে।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বিমান বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড টুরিজম ফেয়ার-বিটিটিএফ ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘ট্যুরিজম সেক্টর যুব সমাজের মেধা বিকাশ ও কর্মসংস্থানের এক বিশাল ক্ষেত্র। এটি শুধু সংস্কৃতি ও জ্ঞান বিনিময়ের সুযোগই তৈরি করে না, দেশের অর্থনীতিতেও বড় অবদান রাখতে পারে।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) ট্যুর অ্যান্ড ফেয়ার বিভাগের পরিচালক মো. তাসলিম আমিন শুভ বলেন, বিটিটিএফ এখন বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের ব্র্যান্ড ইভেন্টে পরিণত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ড. মো. শফিকুর রহমান, বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মাইনুল হাসান, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সিইও নুজহাত ইয়াসমিন এবং বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়মা শাহিন সুলতানা।
নুজহাত ইয়াসমিন বলেন, ‘ট্যুরিজম এখন আর শখ নয়, এটি একটি পেশা এবং দেশের অর্থনীতিতে সরাসরি অবদান রাখছে। এই সেক্টরে লাখো মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে।’
সায়মা শাহিন সুলতানা বলেন, ‘পর্যটনের মাধ্যমে আমরা দেশের পণ্য ও সেবাকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করতে পারছি, যা অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।’
টোয়াবের প্রেসিডেন্ট মো. রাফিউজ্জামান অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য রাখেন।
টোয়াব আয়োজিত ১৩তম আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলায় টাইটেল স্পনসর হিসেবে রয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেড। তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা চলবে আগামী শনিবার (১ নভেম্বর) রাত ৮টা পর্যন্ত। এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন, শ্রীলঙ্কা, তুরস্কের জাতীয় পর্যটন সংস্থা এবং ট্যুর অপারেটরেরা।
মেলায় ৪টি হলে ২০টি প্যাভিলিয়নসহ মোট ২২০টি স্টল রয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক ও দেশি এয়ারলাইনস, ট্যুরিজম বোর্ড, ট্রাভেল এজেন্সি, হোটেল, রিসোর্ট, ক্রুজ লাইনার ও হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রদর্শক হিসেবে অংশ নিচ্ছে।
মেলার সাইড ইভেন্টে রয়েছে বিটুবি সেশন, সেমিনার, কান্ট্রি প্রেজেন্টেশন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পর্যটন গন্তব্যের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী। এ ছাড়া বিটিটিএফ অ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য থাকবে আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র, প্রবেশ মূল্যের ওপর বিকাশ ক্যাশব্যাক অফার এবং পর্যটন সচেতনতা ও টেকসই উন্নয়ন বিষয়ে বিশেষ প্রদর্শনী।
মেলার সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ, ন্যাশনাল স্কিলস ডেভেলপমেন্ট অথরিটি ও ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
মেলায় প্রবেশ মূল্য রাখা হয়েছে ৫০ টাকা। তবে ছাত্র-ছাত্রী, মুক্তিযোদ্ধা ও জুলাই যোদ্ধাদের জন্য প্রবেশ ফ্রি।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক দূত লুৎফে সিদ্দিকী বলেছেন, ‘সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনামের মতো দেশগুলো পর্যটনকেন্দ্রিক অর্থনীতি গড়ে তুলেছে। বাংলাদেশেও পর্যটন খাতকে অগ্রাধিকার দিলে জিডিপিতে বড় অবদান রাখা সম্ভব। আমাদের দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহ্য কাজে লাগিয়ে এ খাতকে শক্তিশালী করা যেতে পারে।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বিমান বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড টুরিজম ফেয়ার-বিটিটিএফ ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘ট্যুরিজম সেক্টর যুব সমাজের মেধা বিকাশ ও কর্মসংস্থানের এক বিশাল ক্ষেত্র। এটি শুধু সংস্কৃতি ও জ্ঞান বিনিময়ের সুযোগই তৈরি করে না, দেশের অর্থনীতিতেও বড় অবদান রাখতে পারে।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) ট্যুর অ্যান্ড ফেয়ার বিভাগের পরিচালক মো. তাসলিম আমিন শুভ বলেন, বিটিটিএফ এখন বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের ব্র্যান্ড ইভেন্টে পরিণত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ড. মো. শফিকুর রহমান, বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মাইনুল হাসান, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সিইও নুজহাত ইয়াসমিন এবং বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়মা শাহিন সুলতানা।
নুজহাত ইয়াসমিন বলেন, ‘ট্যুরিজম এখন আর শখ নয়, এটি একটি পেশা এবং দেশের অর্থনীতিতে সরাসরি অবদান রাখছে। এই সেক্টরে লাখো মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে।’
সায়মা শাহিন সুলতানা বলেন, ‘পর্যটনের মাধ্যমে আমরা দেশের পণ্য ও সেবাকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করতে পারছি, যা অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।’
টোয়াবের প্রেসিডেন্ট মো. রাফিউজ্জামান অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য রাখেন।
টোয়াব আয়োজিত ১৩তম আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলায় টাইটেল স্পনসর হিসেবে রয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেড। তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা চলবে আগামী শনিবার (১ নভেম্বর) রাত ৮টা পর্যন্ত। এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন, শ্রীলঙ্কা, তুরস্কের জাতীয় পর্যটন সংস্থা এবং ট্যুর অপারেটরেরা।
মেলায় ৪টি হলে ২০টি প্যাভিলিয়নসহ মোট ২২০টি স্টল রয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক ও দেশি এয়ারলাইনস, ট্যুরিজম বোর্ড, ট্রাভেল এজেন্সি, হোটেল, রিসোর্ট, ক্রুজ লাইনার ও হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রদর্শক হিসেবে অংশ নিচ্ছে।
মেলার সাইড ইভেন্টে রয়েছে বিটুবি সেশন, সেমিনার, কান্ট্রি প্রেজেন্টেশন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পর্যটন গন্তব্যের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী। এ ছাড়া বিটিটিএফ অ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য থাকবে আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র, প্রবেশ মূল্যের ওপর বিকাশ ক্যাশব্যাক অফার এবং পর্যটন সচেতনতা ও টেকসই উন্নয়ন বিষয়ে বিশেষ প্রদর্শনী।
মেলার সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ, ন্যাশনাল স্কিলস ডেভেলপমেন্ট অথরিটি ও ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
মেলায় প্রবেশ মূল্য রাখা হয়েছে ৫০ টাকা। তবে ছাত্র-ছাত্রী, মুক্তিযোদ্ধা ও জুলাই যোদ্ধাদের জন্য প্রবেশ ফ্রি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সপ্তাহব্যাপী ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা উদ্বোধন করেছেন। এই কার্যক্রম ত্রুটিমুক্ত ও সফল করতে দেশে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল পদ্ধতিতে গণনা পরিচালিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে এক অনুষ্ঠানে এই আদমশুমারির উদ্বোধন করেন...
১৫ জুন ২০২২
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি এবং গণভোটের সময় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক নিয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
১ ঘণ্টা আগে
পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তারা হলেন পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের এসপি মো. শাহরিয়ার, পুলিশের বিশেষ শাখার এসপি ড. মোহাম্মদ আবদুল কাদের, অপরাধ তদন্ত বিভাগের এসপি মো. মাসুম বিল্লাহ তালুকদার ও মো. জান্নাতুল হাসান।
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতীকের তালিকায় পরিবর্তন এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধন করে নতুন তালিকায় ‘শাপলা কলি’ যুক্ত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে