নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিদেশে অবৈধ সম্পদ অর্জনের আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, দুবাই ও সিঙ্গাপুরে তাঁর সম্পদের প্রমাণ আগেই পাওয়া গিয়েছিল। এবার উদ্ধার হওয়া নথিতে দেখা গেছে—ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, কম্বোডিয়ায়ও সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে।
আজ রোববার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে দুদকের অনুসন্ধান টাস্কফোর্সের সদস্যরা জানিয়েছেন, গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ৪টা ১৫ মিনিটে (২১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের একটি বাড়ি থেকে ২২ বস্তা নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।
দুদক সূত্র জানায়, এসব নথি আরামিট গ্রুপের মালিকানাধীন শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে সরিয়ে সেখানে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। উদ্ধারের সময় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, কর্ণফুলী থানার পুলিশ এবং এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। প্রাথমিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দেশি-বিদেশি বহু সম্পত্তি কেনা, ভাড়া বাবদ আয়, বাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়সহ বিভিন্ন তথ্য রয়েছে এসব নথিতে। তাতে বিদেশে বিপুল অর্থ পাচার তথা মানিলন্ডারিংয়ের প্রমাণও মিলেছে বলে জানিয়েছে টাস্কফোর্স।
টাস্কফোর্স কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এত বিপুল পরিমাণ নথি পর্যালোচনা করতে সময় লাগবে। ধাপে ধাপে সব যাচাই করে সুনির্দিষ্ট প্রমাণসহ প্রতিবেদন দুদকের কাছে জমা দেওয়া হবে।
দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মশিউর রহমান জানান, সাবেক ভূমিমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ দুই সহযোগীর পাঁচ দিনের রিমান্ড চলছে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, অনেক নথিপত্র গায়েব করা হয়েছে। এগুলো জাবেদের স্ত্রী রুকমিলা জামানের গাড়িচালক ইলিয়াসের বাসায় রাখা ছিল। গত শুক্রবার সেখানে অভিযান চালায় দুদক। কিন্তু আগেই তথ্য পেয়ে বস্তাগুলো সরিয়ে ফেলা হয়। ওই দিন ওই বাসার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, দুদকের দল যাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে আলামতগুলো সরিয়ে ফেলা হয়।
মশিউর রহমান বলেন, ‘পরে আমরা একটি ছোট বাসা থেকে ২২ বস্তা আলামত জব্দ করেছি। কয়েকটি বস্তা খুলে দেখা গেছে, বিদেশে সম্পদ অর্জনের ক্রয়সংক্রান্ত পেমেন্ট, বাড়ি ভাড়া আদায়ের তথ্য, বিভিন্ন বিল পরিশোধ, কোর্টের আদেশসংক্রান্ত ডকুমেন্টস রয়েছে।’
এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে দুদকের একটি দল অভিযান চালিয়ে জাবেদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী উৎপল পাল ও আব্দুল আজিজকে গ্রেপ্তার করে। ১৮ সেপ্টেম্বর ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবিএল) থেকে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা একটি মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাঁদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার হওয়া উৎপল পাল আরামিট গ্রুপের এজিএম হলেও দীর্ঘদিন ধরে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে বিদেশে সম্পদ ক্রয় ও দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করতেন। দুদকের হাতে আটক হওয়ার সময় তাঁর কাছ থেকে দুটি ল্যাপটপ ও দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। প্রাথমিক অনুসন্ধানে এসব ডিভাইস থেকে বিপুল পরিমাণ তথ্য পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
দুদক জানায়, উৎপল পাল দেশ থেকে দুবাই হয়ে যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার প্রক্রিয়ার মূল হোতা বা মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করতেন। অন্যদিকে আব্দুল আজিজ, আরামিট থাই অ্যালুমিনিয়াম লিমিটেডের এজিএম হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পত্তি কেনাবেচা, ভাড়া ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন।
এর আগে, গত ২৪ জুলাই দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মশিউর রহমান বাদী হয়ে ভূমিমন্ত্রী জাবেদসহ ৩১ জনকে আসামি করে মামলাটি করেছিলেন। মামলায় জাবেদ ছাড়াও উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন—জাবেদের স্ত্রী ও ইউসিবিএল ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান রুকমিলা জামান (৪৬), ব্যাংকের পরিচালক আসিফুজ্জামান চৌধুরী (৪৬), জাবেদের বোন রোকসানা জামান চৌধুরী (৫৬) এবং ইউসিবিএল ব্যাংকের সাবেক পরিচালক বশির আহমেদ (৫৫)।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, সাবেক ভূমিমন্ত্রী জাবেদের মালিকানাধীন আরামিট গ্রুপের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামে খুলে দেওয়া হয় পাঁচটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান-ভিশন ট্রেডিং, আলফা ট্রেডার্স, ক্ল্যাসিক ট্রেডিং, মডেল ট্রেডিং ও ইম্পেরিয়াল ট্রেডিং। এরপর ইউসিবিএল ব্যাংকের চট্টগ্রাম বন্দর শাখায় এসব প্রতিষ্ঠানের নামে হিসাব খুলে গম, ছোলা, হলুদ ও মটরশুঁটি আমদানির নামে ২৫ কোটি টাকার টাইম লোন (নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য নেওয়া ঋণ যা কিস্তিতে পরিশোধ করতে হয়) অনুমোদন করানো হয়। ব্যাংকের নিজস্ব ‘ক্রেডিট কমিটি’র ১৭টি নেতিবাচক পর্যবেক্ষণ উপেক্ষা করে ২০২০ সালের ৮ মার্চ পরিচালনা পর্ষদ ওই ঋণ অনুমোদন দেয়। এরপর সেই টাকা ভাগ করে একই ব্যাংকে খোলা চারটি হিসাব নম্বরে স্থানান্তর করে পাচার করা হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ব্যাংক পরিচালক, ঋণ আবেদনকারী এবং অনুমোদনকারী সবাই একে অপরের আত্মীয় বা ঘনিষ্ঠ হওয়ায় সমন্বিত চক্রের মাধ্যমে এই ঋণ নেওয়া ও টাকা পাচার করা সম্ভব হয়।
ইউসিবিএল ব্যাংকের ‘করপোরেট ব্যাংকিং ডিভিশন ও ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ডিভিশন’-এর কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত প্রধান কার্যালয়ের ক্রেডিট কমিটি ওই ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ১৭টি নেতিবাচক পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছিল। তা সত্ত্বেও ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদ ঋণ অনুমোদন করে। ঋণের টাকাগুলো ‘নামসর্বস্ব’ চারটি প্রতিষ্ঠান—আলফা ট্রেডার্স, ক্ল্যাসিক ট্রেডার্স, মডেল ট্রেডিং ও ইম্পেরিয়াল ট্রেডিংয়ের ব্যাংক হিসাবে পে-অর্ডারের মাধ্যমে স্থানান্তর করা হয়। পরে নগদে উত্তোলন করা হয়। টাকা স্থানান্তর করা এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা আরামিট গ্রুপের কর্মচারী।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, এসব টাকা নগদে উত্তোলনের পর উত্তোলনকারী আরামিট গ্রুপের কর্মচারীরা পে-অর্ডার, ভাউচারের মাধ্যমে ইউসিবিএল ব্যাংকের বহদ্দারহাট শাখায় সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান আরামিট গ্রুপের হিসাবে বিভিন্ন সময়ে জমা করেন।
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিদেশে অবৈধ সম্পদ অর্জনের আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, দুবাই ও সিঙ্গাপুরে তাঁর সম্পদের প্রমাণ আগেই পাওয়া গিয়েছিল। এবার উদ্ধার হওয়া নথিতে দেখা গেছে—ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, কম্বোডিয়ায়ও সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে।
আজ রোববার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে দুদকের অনুসন্ধান টাস্কফোর্সের সদস্যরা জানিয়েছেন, গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ৪টা ১৫ মিনিটে (২১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের একটি বাড়ি থেকে ২২ বস্তা নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।
দুদক সূত্র জানায়, এসব নথি আরামিট গ্রুপের মালিকানাধীন শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে সরিয়ে সেখানে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। উদ্ধারের সময় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, কর্ণফুলী থানার পুলিশ এবং এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। প্রাথমিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দেশি-বিদেশি বহু সম্পত্তি কেনা, ভাড়া বাবদ আয়, বাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়সহ বিভিন্ন তথ্য রয়েছে এসব নথিতে। তাতে বিদেশে বিপুল অর্থ পাচার তথা মানিলন্ডারিংয়ের প্রমাণও মিলেছে বলে জানিয়েছে টাস্কফোর্স।
টাস্কফোর্স কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এত বিপুল পরিমাণ নথি পর্যালোচনা করতে সময় লাগবে। ধাপে ধাপে সব যাচাই করে সুনির্দিষ্ট প্রমাণসহ প্রতিবেদন দুদকের কাছে জমা দেওয়া হবে।
দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মশিউর রহমান জানান, সাবেক ভূমিমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ দুই সহযোগীর পাঁচ দিনের রিমান্ড চলছে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, অনেক নথিপত্র গায়েব করা হয়েছে। এগুলো জাবেদের স্ত্রী রুকমিলা জামানের গাড়িচালক ইলিয়াসের বাসায় রাখা ছিল। গত শুক্রবার সেখানে অভিযান চালায় দুদক। কিন্তু আগেই তথ্য পেয়ে বস্তাগুলো সরিয়ে ফেলা হয়। ওই দিন ওই বাসার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, দুদকের দল যাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে আলামতগুলো সরিয়ে ফেলা হয়।
মশিউর রহমান বলেন, ‘পরে আমরা একটি ছোট বাসা থেকে ২২ বস্তা আলামত জব্দ করেছি। কয়েকটি বস্তা খুলে দেখা গেছে, বিদেশে সম্পদ অর্জনের ক্রয়সংক্রান্ত পেমেন্ট, বাড়ি ভাড়া আদায়ের তথ্য, বিভিন্ন বিল পরিশোধ, কোর্টের আদেশসংক্রান্ত ডকুমেন্টস রয়েছে।’
এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে দুদকের একটি দল অভিযান চালিয়ে জাবেদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী উৎপল পাল ও আব্দুল আজিজকে গ্রেপ্তার করে। ১৮ সেপ্টেম্বর ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবিএল) থেকে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা একটি মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাঁদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার হওয়া উৎপল পাল আরামিট গ্রুপের এজিএম হলেও দীর্ঘদিন ধরে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে বিদেশে সম্পদ ক্রয় ও দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করতেন। দুদকের হাতে আটক হওয়ার সময় তাঁর কাছ থেকে দুটি ল্যাপটপ ও দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। প্রাথমিক অনুসন্ধানে এসব ডিভাইস থেকে বিপুল পরিমাণ তথ্য পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
দুদক জানায়, উৎপল পাল দেশ থেকে দুবাই হয়ে যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার প্রক্রিয়ার মূল হোতা বা মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করতেন। অন্যদিকে আব্দুল আজিজ, আরামিট থাই অ্যালুমিনিয়াম লিমিটেডের এজিএম হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পত্তি কেনাবেচা, ভাড়া ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন।
এর আগে, গত ২৪ জুলাই দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মশিউর রহমান বাদী হয়ে ভূমিমন্ত্রী জাবেদসহ ৩১ জনকে আসামি করে মামলাটি করেছিলেন। মামলায় জাবেদ ছাড়াও উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন—জাবেদের স্ত্রী ও ইউসিবিএল ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান রুকমিলা জামান (৪৬), ব্যাংকের পরিচালক আসিফুজ্জামান চৌধুরী (৪৬), জাবেদের বোন রোকসানা জামান চৌধুরী (৫৬) এবং ইউসিবিএল ব্যাংকের সাবেক পরিচালক বশির আহমেদ (৫৫)।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, সাবেক ভূমিমন্ত্রী জাবেদের মালিকানাধীন আরামিট গ্রুপের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামে খুলে দেওয়া হয় পাঁচটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান-ভিশন ট্রেডিং, আলফা ট্রেডার্স, ক্ল্যাসিক ট্রেডিং, মডেল ট্রেডিং ও ইম্পেরিয়াল ট্রেডিং। এরপর ইউসিবিএল ব্যাংকের চট্টগ্রাম বন্দর শাখায় এসব প্রতিষ্ঠানের নামে হিসাব খুলে গম, ছোলা, হলুদ ও মটরশুঁটি আমদানির নামে ২৫ কোটি টাকার টাইম লোন (নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য নেওয়া ঋণ যা কিস্তিতে পরিশোধ করতে হয়) অনুমোদন করানো হয়। ব্যাংকের নিজস্ব ‘ক্রেডিট কমিটি’র ১৭টি নেতিবাচক পর্যবেক্ষণ উপেক্ষা করে ২০২০ সালের ৮ মার্চ পরিচালনা পর্ষদ ওই ঋণ অনুমোদন দেয়। এরপর সেই টাকা ভাগ করে একই ব্যাংকে খোলা চারটি হিসাব নম্বরে স্থানান্তর করে পাচার করা হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ব্যাংক পরিচালক, ঋণ আবেদনকারী এবং অনুমোদনকারী সবাই একে অপরের আত্মীয় বা ঘনিষ্ঠ হওয়ায় সমন্বিত চক্রের মাধ্যমে এই ঋণ নেওয়া ও টাকা পাচার করা সম্ভব হয়।
ইউসিবিএল ব্যাংকের ‘করপোরেট ব্যাংকিং ডিভিশন ও ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ডিভিশন’-এর কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত প্রধান কার্যালয়ের ক্রেডিট কমিটি ওই ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ১৭টি নেতিবাচক পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছিল। তা সত্ত্বেও ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদ ঋণ অনুমোদন করে। ঋণের টাকাগুলো ‘নামসর্বস্ব’ চারটি প্রতিষ্ঠান—আলফা ট্রেডার্স, ক্ল্যাসিক ট্রেডার্স, মডেল ট্রেডিং ও ইম্পেরিয়াল ট্রেডিংয়ের ব্যাংক হিসাবে পে-অর্ডারের মাধ্যমে স্থানান্তর করা হয়। পরে নগদে উত্তোলন করা হয়। টাকা স্থানান্তর করা এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা আরামিট গ্রুপের কর্মচারী।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, এসব টাকা নগদে উত্তোলনের পর উত্তোলনকারী আরামিট গ্রুপের কর্মচারীরা পে-অর্ডার, ভাউচারের মাধ্যমে ইউসিবিএল ব্যাংকের বহদ্দারহাট শাখায় সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান আরামিট গ্রুপের হিসাবে বিভিন্ন সময়ে জমা করেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, অংশগ্রহণমূলক এবং সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
২ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদ নিয়ে ‘বিশেষ আদেশ’ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট এবং আগামী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা দেওয়ার সুপারিশের পরিকল্পনা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিশেষ আদেশের ভিত্তি কী হবে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।
১১ ঘণ্টা আগেআজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন এই নির্দেশ দেন।
১৫ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই, বরিশাল-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর নামে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
১৫ ঘণ্টা আগে