আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ধর্ষণ একটি জঘন্য অপরাধ। এ ধরনের সহিংসতার শিকার ব্যক্তিরা দীর্ঘকাল শারীরিক ও মানসিক ট্রমায় ভোগেন। বাংলাদেশে ধর্ষণ মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা একটি উদ্বেগের বিষয়। ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে বাধ্য হন। এটি এ ধরনের ভুক্তভোগীদের কষ্ট আরও বাড়িয়ে দেয়। এই প্রেক্ষাপট, ধর্ষণ মামলার বিচারের রায় ২১ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হওয়াটা আশা দেখাচ্ছে।
বাংলাদেশে ধর্ষণ মামলার বিচার প্রক্রিয়া বেশ সময়সাপেক্ষ। তদন্ত, অভিযোগপত্র দাখিল, সাক্ষ্য গ্রহণ, যুক্তিতর্ক এবং রায় ঘোষণার প্রতিটি স্তরে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। মামলার আধিক্য, তদন্তে দুর্বলতা, সাক্ষীদের অনুপস্থিতি, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব, আইনজীবীদের অসহযোগিতা এবং বিচারকের স্বল্পতা—এসব কারণ বিচার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করে। ফলে অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হন এবং অপরাধীরা পার পেয়ে যায়।
তবে মাগুরার ঘটনার পর তীব্র বিক্ষোভের মুখে সরকার আইন পরিবর্তন করেছে। ধর্ষণের মামলায় তদন্তের সময় ৩০ থেকে কমিয়ে ১৫ দিন এবং অভিযোগ গঠনের পর বিচার শেষ করতে ৯০ দিন নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া উপযুক্ত ক্ষেত্রে বিচারক যদি মনে করেন ডিএনএ প্রতিবেদন ছাড়াই চিকিৎসা সনদের ভিত্তিতে এবং পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যের ভিত্তিতে মামলার বিচারকাজ চালাতে পারবেন—এমন বিধান রেখে আইন সংশোধন করা হয়েছে।
আজ শনিবার (১৭ মে) মাগুরার চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় প্রধান আসামি হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। এ ছাড়া বাকি তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। অভিযোগ গঠন বা বিচার শুরুর ২১ দিনের মাথায় এবং মাত্র ১২ কার্যদিবসের মধ্যে আলোচিত এই মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হলো। ঘটনার মাত্র দুই মাস ১১ দিনের মাথায় এই মামলার রায় হলো।
এর আগে ২০২০ সালে মোংলায় সাত বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণের ঘটনায় অভিযোগ গঠনের সাত কার্যদিবসের মধ্যে রায় ঘোষণা করা হয়েছিল। ওই বছরের অক্টোবরের গোড়ার দিকে বন্দর শহর মোংলায় ৭ বছর বয়সী একটি শিশুকে বিস্কুটের প্রলোভন দিয়ে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ ও নির্যাতন করেন তারই প্রতিবেশী ৫৩ বছর বয়সী আব্দুল মান্নান সরদার। ঘটনার রাতেই শিশুটির মামা বাদী হয়ে মামলা করলে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১১ অক্টোবর জুডিশিয়াল আদালত মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এ পাঠায়। পরদিন অভিযোগ গঠন করা হয়। ১৩ অক্টোবর বাদীপক্ষের সাক্ষ্য নেওয়া হয় এবং ১৪ অক্টোবর সাক্ষী, চিকিৎসক, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সদস্য ও তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য নেওয়া হয়। যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করেন জেলা ও দায়রা জজ। মামলা দায়েরের মাত্র ছয় কার্যদিবসে বিচারকাজ শেষ করে সাত দিনের মাথায় রায় ঘোষণা করা হয়।
ধর্ষণ মামলার বিচার ২১ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করার ধারণাটি নিঃসন্দেহে একটি সাহসী পদক্ষেপ। দ্রুত বিচার ভুক্তভোগীদের দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে এবং অপরাধীদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করবে। এর ফলে সমাজে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ কমতে পারে এবং আইনি ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা বাড়বে।
এই মামলার বিচার সম্পন্ন করতে সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিল। জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ কৌঁসুলি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদাপ্রাপ্ত আইনজীবী এহসানুল হক সমাজীকে। তিনিও শুনানিতে অংশ নেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ মামলায় আসামির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, মেডিকেল অ্যাভিডেন্স ও সাক্ষীদের জবানবন্দিতে আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। আমরা আশা করছি, আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে। এ ধরনের অপরাধ যাতে আর না ঘটে, এ রায় সেটার একটা দৃষ্টান্ত তৈরি করবে।’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, ‘এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ২৯ জন সাক্ষী উপস্থাপন করেছে। আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামিদের শনাক্ত করা ও তাঁদের বক্তব্য শুনেছেন।’
গত ১৩ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ১৭ এপ্রিল মামলাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। ২০ এপ্রিল অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়। ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। গত ২৭ এপ্রিল মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। ছুটির দিন বাদে টানা শুনানি চলে। আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে এ শুনানি হয়।
মামলায় শিশুটির বোনের শ্বশুরকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯/ ২ ধারায় (ধর্ষণের ফলে মৃত্যুর অপরাধ), শিশুটির বোনের স্বামী ও ভাশুরকে দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারার দ্বিতীয় অংশ (ভয়ভীতি প্রদর্শন) এবং বোনের শাশুড়ির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় (অপরাধের আলামত নষ্টের অভিযোগ) অভিযোগ গঠন করা হয়।
গত ১৫ মার্চ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায়ের আদালতে শিশুটির বোনের শ্বশুর ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ৬ মার্চ সকালে ছোট ছেলের কক্ষে (শিশুটির বোনের স্বামীর কক্ষে) শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করেন তিনি। শিশুটি বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে অচেতন অবস্থায় মাগুরার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ১৩ মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়। এর আগে ৮ মার্চ শিশুটির মা মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।
তবে, ২১ দিনের মধ্যে ধর্ষণ মামলার বিচার সম্পন্ন করা বেশ চ্যালেঞ্জিং। এর জন্য বিচার ব্যবস্থার প্রতিটি স্তরে ব্যাপক পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। যেমন:
তদন্তকারী সংস্থাকে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এবং নির্ভুলভাবে তদন্ত সম্পন্ন করতে হবে। এর জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রশিক্ষিত পুলিশ কর্মকর্তা, আধুনিক ফরেনসিক ল্যাব এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। তদন্তের প্রতিটি ধাপে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বজায় রাখতে হবে।
অনেক ক্ষেত্রে সাক্ষীরা ভয় বা হুমকির কারণে সাক্ষ্য দিতে দ্বিধা করেন। দ্রুত বিচারের জন্য সাক্ষীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং তাঁদের আদালতে উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষ্য গ্রহণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ায় সরকারি ও বেসরকারি উভয় পক্ষের আইনজীবীদের সক্রিয় ও আন্তরিক সহযোগিতা অপরিহার্য। মামলার প্রস্তুতি এবং শুনানিতে তাঁদের সময়ানুবর্তিতা এবং সহযোগিতা বিচার প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করতে সহায়ক হবে। আইনজীবীদের দক্ষতাও বিবেচনায় নেওয়া দরকার।
দ্রুত বিচারের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারক এবং আদালতের অবকাঠামো নিশ্চিত করতে হবে। মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ আদালত গঠন এবং বিদ্যমান আদালতগুলোতে অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। আদালতের দৈনন্দিন কার্যক্রমের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোও জরুরি।
এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে সরকার, বিচার বিভাগ, পুলিশ প্রশাসন, আইনজীবী এবং নাগরিক সমাজ—সবার সম্মিলিত ও সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তার যথাযথ বাস্তবায়ন জরুরি।
মনে রাখতে হবে, দ্রুত বিচারের লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে কিছু ঝুঁকিও রয়েছে। তাড়াহুড়ো করে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে গিয়ে ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অভিযুক্তের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ এবং নিরপেক্ষ বিচার নিশ্চিত করতে হবে। কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন ভুলক্রমে শাস্তি না পায়, তা নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক।
পরিশেষে বলা যায়, বাংলাদেশে ধর্ষণ মামলার বিচার ২১ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হওয়া নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো উচিত। তবে, এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে বিচার ব্যবস্থার প্রতিটি স্তরে গুণগত পরিবর্তন আনা এবং পর্যাপ্ত সম্পদ ও সহযোগিতা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। দ্রুত বিচার যেমন ভুক্তভোগীদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে, তেমনি একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার প্রক্রিয়া আইনের শাসনের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়াতে সহায়ক হবে। সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে–এটাই প্রত্যাশা।
লেখক: জাহাঙ্গীর আলম, জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

ধর্ষণ একটি জঘন্য অপরাধ। এ ধরনের সহিংসতার শিকার ব্যক্তিরা দীর্ঘকাল শারীরিক ও মানসিক ট্রমায় ভোগেন। বাংলাদেশে ধর্ষণ মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা একটি উদ্বেগের বিষয়। ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে বাধ্য হন। এটি এ ধরনের ভুক্তভোগীদের কষ্ট আরও বাড়িয়ে দেয়। এই প্রেক্ষাপট, ধর্ষণ মামলার বিচারের রায় ২১ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হওয়াটা আশা দেখাচ্ছে।
বাংলাদেশে ধর্ষণ মামলার বিচার প্রক্রিয়া বেশ সময়সাপেক্ষ। তদন্ত, অভিযোগপত্র দাখিল, সাক্ষ্য গ্রহণ, যুক্তিতর্ক এবং রায় ঘোষণার প্রতিটি স্তরে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। মামলার আধিক্য, তদন্তে দুর্বলতা, সাক্ষীদের অনুপস্থিতি, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব, আইনজীবীদের অসহযোগিতা এবং বিচারকের স্বল্পতা—এসব কারণ বিচার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করে। ফলে অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হন এবং অপরাধীরা পার পেয়ে যায়।
তবে মাগুরার ঘটনার পর তীব্র বিক্ষোভের মুখে সরকার আইন পরিবর্তন করেছে। ধর্ষণের মামলায় তদন্তের সময় ৩০ থেকে কমিয়ে ১৫ দিন এবং অভিযোগ গঠনের পর বিচার শেষ করতে ৯০ দিন নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া উপযুক্ত ক্ষেত্রে বিচারক যদি মনে করেন ডিএনএ প্রতিবেদন ছাড়াই চিকিৎসা সনদের ভিত্তিতে এবং পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যের ভিত্তিতে মামলার বিচারকাজ চালাতে পারবেন—এমন বিধান রেখে আইন সংশোধন করা হয়েছে।
আজ শনিবার (১৭ মে) মাগুরার চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় প্রধান আসামি হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। এ ছাড়া বাকি তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। অভিযোগ গঠন বা বিচার শুরুর ২১ দিনের মাথায় এবং মাত্র ১২ কার্যদিবসের মধ্যে আলোচিত এই মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হলো। ঘটনার মাত্র দুই মাস ১১ দিনের মাথায় এই মামলার রায় হলো।
এর আগে ২০২০ সালে মোংলায় সাত বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণের ঘটনায় অভিযোগ গঠনের সাত কার্যদিবসের মধ্যে রায় ঘোষণা করা হয়েছিল। ওই বছরের অক্টোবরের গোড়ার দিকে বন্দর শহর মোংলায় ৭ বছর বয়সী একটি শিশুকে বিস্কুটের প্রলোভন দিয়ে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ ও নির্যাতন করেন তারই প্রতিবেশী ৫৩ বছর বয়সী আব্দুল মান্নান সরদার। ঘটনার রাতেই শিশুটির মামা বাদী হয়ে মামলা করলে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১১ অক্টোবর জুডিশিয়াল আদালত মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এ পাঠায়। পরদিন অভিযোগ গঠন করা হয়। ১৩ অক্টোবর বাদীপক্ষের সাক্ষ্য নেওয়া হয় এবং ১৪ অক্টোবর সাক্ষী, চিকিৎসক, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সদস্য ও তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য নেওয়া হয়। যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করেন জেলা ও দায়রা জজ। মামলা দায়েরের মাত্র ছয় কার্যদিবসে বিচারকাজ শেষ করে সাত দিনের মাথায় রায় ঘোষণা করা হয়।
ধর্ষণ মামলার বিচার ২১ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করার ধারণাটি নিঃসন্দেহে একটি সাহসী পদক্ষেপ। দ্রুত বিচার ভুক্তভোগীদের দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে এবং অপরাধীদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করবে। এর ফলে সমাজে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ কমতে পারে এবং আইনি ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা বাড়বে।
এই মামলার বিচার সম্পন্ন করতে সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিল। জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ কৌঁসুলি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদাপ্রাপ্ত আইনজীবী এহসানুল হক সমাজীকে। তিনিও শুনানিতে অংশ নেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ মামলায় আসামির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, মেডিকেল অ্যাভিডেন্স ও সাক্ষীদের জবানবন্দিতে আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। আমরা আশা করছি, আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে। এ ধরনের অপরাধ যাতে আর না ঘটে, এ রায় সেটার একটা দৃষ্টান্ত তৈরি করবে।’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, ‘এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ২৯ জন সাক্ষী উপস্থাপন করেছে। আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামিদের শনাক্ত করা ও তাঁদের বক্তব্য শুনেছেন।’
গত ১৩ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ১৭ এপ্রিল মামলাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। ২০ এপ্রিল অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়। ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। গত ২৭ এপ্রিল মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। ছুটির দিন বাদে টানা শুনানি চলে। আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে এ শুনানি হয়।
মামলায় শিশুটির বোনের শ্বশুরকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯/ ২ ধারায় (ধর্ষণের ফলে মৃত্যুর অপরাধ), শিশুটির বোনের স্বামী ও ভাশুরকে দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারার দ্বিতীয় অংশ (ভয়ভীতি প্রদর্শন) এবং বোনের শাশুড়ির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় (অপরাধের আলামত নষ্টের অভিযোগ) অভিযোগ গঠন করা হয়।
গত ১৫ মার্চ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায়ের আদালতে শিশুটির বোনের শ্বশুর ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ৬ মার্চ সকালে ছোট ছেলের কক্ষে (শিশুটির বোনের স্বামীর কক্ষে) শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করেন তিনি। শিশুটি বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে অচেতন অবস্থায় মাগুরার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ১৩ মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়। এর আগে ৮ মার্চ শিশুটির মা মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।
তবে, ২১ দিনের মধ্যে ধর্ষণ মামলার বিচার সম্পন্ন করা বেশ চ্যালেঞ্জিং। এর জন্য বিচার ব্যবস্থার প্রতিটি স্তরে ব্যাপক পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। যেমন:
তদন্তকারী সংস্থাকে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এবং নির্ভুলভাবে তদন্ত সম্পন্ন করতে হবে। এর জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রশিক্ষিত পুলিশ কর্মকর্তা, আধুনিক ফরেনসিক ল্যাব এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। তদন্তের প্রতিটি ধাপে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বজায় রাখতে হবে।
অনেক ক্ষেত্রে সাক্ষীরা ভয় বা হুমকির কারণে সাক্ষ্য দিতে দ্বিধা করেন। দ্রুত বিচারের জন্য সাক্ষীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং তাঁদের আদালতে উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষ্য গ্রহণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ায় সরকারি ও বেসরকারি উভয় পক্ষের আইনজীবীদের সক্রিয় ও আন্তরিক সহযোগিতা অপরিহার্য। মামলার প্রস্তুতি এবং শুনানিতে তাঁদের সময়ানুবর্তিতা এবং সহযোগিতা বিচার প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করতে সহায়ক হবে। আইনজীবীদের দক্ষতাও বিবেচনায় নেওয়া দরকার।
দ্রুত বিচারের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারক এবং আদালতের অবকাঠামো নিশ্চিত করতে হবে। মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ আদালত গঠন এবং বিদ্যমান আদালতগুলোতে অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। আদালতের দৈনন্দিন কার্যক্রমের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোও জরুরি।
এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে সরকার, বিচার বিভাগ, পুলিশ প্রশাসন, আইনজীবী এবং নাগরিক সমাজ—সবার সম্মিলিত ও সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তার যথাযথ বাস্তবায়ন জরুরি।
মনে রাখতে হবে, দ্রুত বিচারের লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে কিছু ঝুঁকিও রয়েছে। তাড়াহুড়ো করে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে গিয়ে ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অভিযুক্তের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ এবং নিরপেক্ষ বিচার নিশ্চিত করতে হবে। কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন ভুলক্রমে শাস্তি না পায়, তা নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক।
পরিশেষে বলা যায়, বাংলাদেশে ধর্ষণ মামলার বিচার ২১ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হওয়া নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো উচিত। তবে, এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে বিচার ব্যবস্থার প্রতিটি স্তরে গুণগত পরিবর্তন আনা এবং পর্যাপ্ত সম্পদ ও সহযোগিতা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। দ্রুত বিচার যেমন ভুক্তভোগীদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে, তেমনি একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার প্রক্রিয়া আইনের শাসনের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়াতে সহায়ক হবে। সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে–এটাই প্রত্যাশা।
লেখক: জাহাঙ্গীর আলম, জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ধর্ষণ একটি জঘন্য অপরাধ। এ ধরনের সহিংসতার শিকার ব্যক্তিরা দীর্ঘকাল শারীরিক ও মানসিক ট্রমায় ভোগেন। বাংলাদেশে ধর্ষণ মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা একটি উদ্বেগের বিষয়। ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে বাধ্য হন। এটি এ ধরনের ভুক্তভোগীদের কষ্ট আরও বাড়িয়ে দেয়। এই প্রেক্ষাপট, ধর্ষণ মামলার বিচারের রায় ২১ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হওয়াটা আশা দেখাচ্ছে।
বাংলাদেশে ধর্ষণ মামলার বিচার প্রক্রিয়া বেশ সময়সাপেক্ষ। তদন্ত, অভিযোগপত্র দাখিল, সাক্ষ্য গ্রহণ, যুক্তিতর্ক এবং রায় ঘোষণার প্রতিটি স্তরে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। মামলার আধিক্য, তদন্তে দুর্বলতা, সাক্ষীদের অনুপস্থিতি, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব, আইনজীবীদের অসহযোগিতা এবং বিচারকের স্বল্পতা—এসব কারণ বিচার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করে। ফলে অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হন এবং অপরাধীরা পার পেয়ে যায়।
তবে মাগুরার ঘটনার পর তীব্র বিক্ষোভের মুখে সরকার আইন পরিবর্তন করেছে। ধর্ষণের মামলায় তদন্তের সময় ৩০ থেকে কমিয়ে ১৫ দিন এবং অভিযোগ গঠনের পর বিচার শেষ করতে ৯০ দিন নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া উপযুক্ত ক্ষেত্রে বিচারক যদি মনে করেন ডিএনএ প্রতিবেদন ছাড়াই চিকিৎসা সনদের ভিত্তিতে এবং পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যের ভিত্তিতে মামলার বিচারকাজ চালাতে পারবেন—এমন বিধান রেখে আইন সংশোধন করা হয়েছে।
আজ শনিবার (১৭ মে) মাগুরার চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় প্রধান আসামি হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। এ ছাড়া বাকি তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। অভিযোগ গঠন বা বিচার শুরুর ২১ দিনের মাথায় এবং মাত্র ১২ কার্যদিবসের মধ্যে আলোচিত এই মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হলো। ঘটনার মাত্র দুই মাস ১১ দিনের মাথায় এই মামলার রায় হলো।
এর আগে ২০২০ সালে মোংলায় সাত বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণের ঘটনায় অভিযোগ গঠনের সাত কার্যদিবসের মধ্যে রায় ঘোষণা করা হয়েছিল। ওই বছরের অক্টোবরের গোড়ার দিকে বন্দর শহর মোংলায় ৭ বছর বয়সী একটি শিশুকে বিস্কুটের প্রলোভন দিয়ে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ ও নির্যাতন করেন তারই প্রতিবেশী ৫৩ বছর বয়সী আব্দুল মান্নান সরদার। ঘটনার রাতেই শিশুটির মামা বাদী হয়ে মামলা করলে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১১ অক্টোবর জুডিশিয়াল আদালত মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এ পাঠায়। পরদিন অভিযোগ গঠন করা হয়। ১৩ অক্টোবর বাদীপক্ষের সাক্ষ্য নেওয়া হয় এবং ১৪ অক্টোবর সাক্ষী, চিকিৎসক, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সদস্য ও তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য নেওয়া হয়। যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করেন জেলা ও দায়রা জজ। মামলা দায়েরের মাত্র ছয় কার্যদিবসে বিচারকাজ শেষ করে সাত দিনের মাথায় রায় ঘোষণা করা হয়।
ধর্ষণ মামলার বিচার ২১ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করার ধারণাটি নিঃসন্দেহে একটি সাহসী পদক্ষেপ। দ্রুত বিচার ভুক্তভোগীদের দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে এবং অপরাধীদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করবে। এর ফলে সমাজে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ কমতে পারে এবং আইনি ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা বাড়বে।
এই মামলার বিচার সম্পন্ন করতে সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিল। জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ কৌঁসুলি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদাপ্রাপ্ত আইনজীবী এহসানুল হক সমাজীকে। তিনিও শুনানিতে অংশ নেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ মামলায় আসামির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, মেডিকেল অ্যাভিডেন্স ও সাক্ষীদের জবানবন্দিতে আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। আমরা আশা করছি, আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে। এ ধরনের অপরাধ যাতে আর না ঘটে, এ রায় সেটার একটা দৃষ্টান্ত তৈরি করবে।’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, ‘এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ২৯ জন সাক্ষী উপস্থাপন করেছে। আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামিদের শনাক্ত করা ও তাঁদের বক্তব্য শুনেছেন।’
গত ১৩ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ১৭ এপ্রিল মামলাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। ২০ এপ্রিল অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়। ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। গত ২৭ এপ্রিল মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। ছুটির দিন বাদে টানা শুনানি চলে। আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে এ শুনানি হয়।
মামলায় শিশুটির বোনের শ্বশুরকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯/ ২ ধারায় (ধর্ষণের ফলে মৃত্যুর অপরাধ), শিশুটির বোনের স্বামী ও ভাশুরকে দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারার দ্বিতীয় অংশ (ভয়ভীতি প্রদর্শন) এবং বোনের শাশুড়ির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় (অপরাধের আলামত নষ্টের অভিযোগ) অভিযোগ গঠন করা হয়।
গত ১৫ মার্চ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায়ের আদালতে শিশুটির বোনের শ্বশুর ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ৬ মার্চ সকালে ছোট ছেলের কক্ষে (শিশুটির বোনের স্বামীর কক্ষে) শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করেন তিনি। শিশুটি বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে অচেতন অবস্থায় মাগুরার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ১৩ মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়। এর আগে ৮ মার্চ শিশুটির মা মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।
তবে, ২১ দিনের মধ্যে ধর্ষণ মামলার বিচার সম্পন্ন করা বেশ চ্যালেঞ্জিং। এর জন্য বিচার ব্যবস্থার প্রতিটি স্তরে ব্যাপক পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। যেমন:
তদন্তকারী সংস্থাকে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এবং নির্ভুলভাবে তদন্ত সম্পন্ন করতে হবে। এর জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রশিক্ষিত পুলিশ কর্মকর্তা, আধুনিক ফরেনসিক ল্যাব এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। তদন্তের প্রতিটি ধাপে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বজায় রাখতে হবে।
অনেক ক্ষেত্রে সাক্ষীরা ভয় বা হুমকির কারণে সাক্ষ্য দিতে দ্বিধা করেন। দ্রুত বিচারের জন্য সাক্ষীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং তাঁদের আদালতে উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষ্য গ্রহণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ায় সরকারি ও বেসরকারি উভয় পক্ষের আইনজীবীদের সক্রিয় ও আন্তরিক সহযোগিতা অপরিহার্য। মামলার প্রস্তুতি এবং শুনানিতে তাঁদের সময়ানুবর্তিতা এবং সহযোগিতা বিচার প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করতে সহায়ক হবে। আইনজীবীদের দক্ষতাও বিবেচনায় নেওয়া দরকার।
দ্রুত বিচারের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারক এবং আদালতের অবকাঠামো নিশ্চিত করতে হবে। মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ আদালত গঠন এবং বিদ্যমান আদালতগুলোতে অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। আদালতের দৈনন্দিন কার্যক্রমের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোও জরুরি।
এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে সরকার, বিচার বিভাগ, পুলিশ প্রশাসন, আইনজীবী এবং নাগরিক সমাজ—সবার সম্মিলিত ও সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তার যথাযথ বাস্তবায়ন জরুরি।
মনে রাখতে হবে, দ্রুত বিচারের লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে কিছু ঝুঁকিও রয়েছে। তাড়াহুড়ো করে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে গিয়ে ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অভিযুক্তের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ এবং নিরপেক্ষ বিচার নিশ্চিত করতে হবে। কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন ভুলক্রমে শাস্তি না পায়, তা নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক।
পরিশেষে বলা যায়, বাংলাদেশে ধর্ষণ মামলার বিচার ২১ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হওয়া নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো উচিত। তবে, এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে বিচার ব্যবস্থার প্রতিটি স্তরে গুণগত পরিবর্তন আনা এবং পর্যাপ্ত সম্পদ ও সহযোগিতা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। দ্রুত বিচার যেমন ভুক্তভোগীদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে, তেমনি একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার প্রক্রিয়া আইনের শাসনের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়াতে সহায়ক হবে। সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে–এটাই প্রত্যাশা।
লেখক: জাহাঙ্গীর আলম, জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

ধর্ষণ একটি জঘন্য অপরাধ। এ ধরনের সহিংসতার শিকার ব্যক্তিরা দীর্ঘকাল শারীরিক ও মানসিক ট্রমায় ভোগেন। বাংলাদেশে ধর্ষণ মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা একটি উদ্বেগের বিষয়। ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে বাধ্য হন। এটি এ ধরনের ভুক্তভোগীদের কষ্ট আরও বাড়িয়ে দেয়। এই প্রেক্ষাপট, ধর্ষণ মামলার বিচারের রায় ২১ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হওয়াটা আশা দেখাচ্ছে।
বাংলাদেশে ধর্ষণ মামলার বিচার প্রক্রিয়া বেশ সময়সাপেক্ষ। তদন্ত, অভিযোগপত্র দাখিল, সাক্ষ্য গ্রহণ, যুক্তিতর্ক এবং রায় ঘোষণার প্রতিটি স্তরে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। মামলার আধিক্য, তদন্তে দুর্বলতা, সাক্ষীদের অনুপস্থিতি, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব, আইনজীবীদের অসহযোগিতা এবং বিচারকের স্বল্পতা—এসব কারণ বিচার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করে। ফলে অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হন এবং অপরাধীরা পার পেয়ে যায়।
তবে মাগুরার ঘটনার পর তীব্র বিক্ষোভের মুখে সরকার আইন পরিবর্তন করেছে। ধর্ষণের মামলায় তদন্তের সময় ৩০ থেকে কমিয়ে ১৫ দিন এবং অভিযোগ গঠনের পর বিচার শেষ করতে ৯০ দিন নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া উপযুক্ত ক্ষেত্রে বিচারক যদি মনে করেন ডিএনএ প্রতিবেদন ছাড়াই চিকিৎসা সনদের ভিত্তিতে এবং পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যের ভিত্তিতে মামলার বিচারকাজ চালাতে পারবেন—এমন বিধান রেখে আইন সংশোধন করা হয়েছে।
আজ শনিবার (১৭ মে) মাগুরার চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় প্রধান আসামি হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। এ ছাড়া বাকি তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। অভিযোগ গঠন বা বিচার শুরুর ২১ দিনের মাথায় এবং মাত্র ১২ কার্যদিবসের মধ্যে আলোচিত এই মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হলো। ঘটনার মাত্র দুই মাস ১১ দিনের মাথায় এই মামলার রায় হলো।
এর আগে ২০২০ সালে মোংলায় সাত বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণের ঘটনায় অভিযোগ গঠনের সাত কার্যদিবসের মধ্যে রায় ঘোষণা করা হয়েছিল। ওই বছরের অক্টোবরের গোড়ার দিকে বন্দর শহর মোংলায় ৭ বছর বয়সী একটি শিশুকে বিস্কুটের প্রলোভন দিয়ে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ ও নির্যাতন করেন তারই প্রতিবেশী ৫৩ বছর বয়সী আব্দুল মান্নান সরদার। ঘটনার রাতেই শিশুটির মামা বাদী হয়ে মামলা করলে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১১ অক্টোবর জুডিশিয়াল আদালত মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এ পাঠায়। পরদিন অভিযোগ গঠন করা হয়। ১৩ অক্টোবর বাদীপক্ষের সাক্ষ্য নেওয়া হয় এবং ১৪ অক্টোবর সাক্ষী, চিকিৎসক, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সদস্য ও তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য নেওয়া হয়। যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করেন জেলা ও দায়রা জজ। মামলা দায়েরের মাত্র ছয় কার্যদিবসে বিচারকাজ শেষ করে সাত দিনের মাথায় রায় ঘোষণা করা হয়।
ধর্ষণ মামলার বিচার ২১ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করার ধারণাটি নিঃসন্দেহে একটি সাহসী পদক্ষেপ। দ্রুত বিচার ভুক্তভোগীদের দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে এবং অপরাধীদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করবে। এর ফলে সমাজে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ কমতে পারে এবং আইনি ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা বাড়বে।
এই মামলার বিচার সম্পন্ন করতে সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিল। জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ কৌঁসুলি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদাপ্রাপ্ত আইনজীবী এহসানুল হক সমাজীকে। তিনিও শুনানিতে অংশ নেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ মামলায় আসামির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, মেডিকেল অ্যাভিডেন্স ও সাক্ষীদের জবানবন্দিতে আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। আমরা আশা করছি, আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে। এ ধরনের অপরাধ যাতে আর না ঘটে, এ রায় সেটার একটা দৃষ্টান্ত তৈরি করবে।’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, ‘এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ২৯ জন সাক্ষী উপস্থাপন করেছে। আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামিদের শনাক্ত করা ও তাঁদের বক্তব্য শুনেছেন।’
গত ১৩ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ১৭ এপ্রিল মামলাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। ২০ এপ্রিল অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়। ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। গত ২৭ এপ্রিল মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। ছুটির দিন বাদে টানা শুনানি চলে। আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে এ শুনানি হয়।
মামলায় শিশুটির বোনের শ্বশুরকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯/ ২ ধারায় (ধর্ষণের ফলে মৃত্যুর অপরাধ), শিশুটির বোনের স্বামী ও ভাশুরকে দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারার দ্বিতীয় অংশ (ভয়ভীতি প্রদর্শন) এবং বোনের শাশুড়ির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় (অপরাধের আলামত নষ্টের অভিযোগ) অভিযোগ গঠন করা হয়।
গত ১৫ মার্চ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায়ের আদালতে শিশুটির বোনের শ্বশুর ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ৬ মার্চ সকালে ছোট ছেলের কক্ষে (শিশুটির বোনের স্বামীর কক্ষে) শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করেন তিনি। শিশুটি বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে অচেতন অবস্থায় মাগুরার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ১৩ মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়। এর আগে ৮ মার্চ শিশুটির মা মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।
তবে, ২১ দিনের মধ্যে ধর্ষণ মামলার বিচার সম্পন্ন করা বেশ চ্যালেঞ্জিং। এর জন্য বিচার ব্যবস্থার প্রতিটি স্তরে ব্যাপক পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। যেমন:
তদন্তকারী সংস্থাকে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এবং নির্ভুলভাবে তদন্ত সম্পন্ন করতে হবে। এর জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রশিক্ষিত পুলিশ কর্মকর্তা, আধুনিক ফরেনসিক ল্যাব এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। তদন্তের প্রতিটি ধাপে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বজায় রাখতে হবে।
অনেক ক্ষেত্রে সাক্ষীরা ভয় বা হুমকির কারণে সাক্ষ্য দিতে দ্বিধা করেন। দ্রুত বিচারের জন্য সাক্ষীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং তাঁদের আদালতে উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষ্য গ্রহণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ায় সরকারি ও বেসরকারি উভয় পক্ষের আইনজীবীদের সক্রিয় ও আন্তরিক সহযোগিতা অপরিহার্য। মামলার প্রস্তুতি এবং শুনানিতে তাঁদের সময়ানুবর্তিতা এবং সহযোগিতা বিচার প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করতে সহায়ক হবে। আইনজীবীদের দক্ষতাও বিবেচনায় নেওয়া দরকার।
দ্রুত বিচারের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারক এবং আদালতের অবকাঠামো নিশ্চিত করতে হবে। মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ আদালত গঠন এবং বিদ্যমান আদালতগুলোতে অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। আদালতের দৈনন্দিন কার্যক্রমের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোও জরুরি।
এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে সরকার, বিচার বিভাগ, পুলিশ প্রশাসন, আইনজীবী এবং নাগরিক সমাজ—সবার সম্মিলিত ও সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তার যথাযথ বাস্তবায়ন জরুরি।
মনে রাখতে হবে, দ্রুত বিচারের লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে কিছু ঝুঁকিও রয়েছে। তাড়াহুড়ো করে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে গিয়ে ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অভিযুক্তের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ এবং নিরপেক্ষ বিচার নিশ্চিত করতে হবে। কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন ভুলক্রমে শাস্তি না পায়, তা নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক।
পরিশেষে বলা যায়, বাংলাদেশে ধর্ষণ মামলার বিচার ২১ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হওয়া নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো উচিত। তবে, এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে বিচার ব্যবস্থার প্রতিটি স্তরে গুণগত পরিবর্তন আনা এবং পর্যাপ্ত সম্পদ ও সহযোগিতা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। দ্রুত বিচার যেমন ভুক্তভোগীদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে, তেমনি একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার প্রক্রিয়া আইনের শাসনের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়াতে সহায়ক হবে। সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে–এটাই প্রত্যাশা।
লেখক: জাহাঙ্গীর আলম, জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়।
৪০ মিনিট আগে
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
৪ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে, যুক্ত করা হয়েছে নতুন বিধান, আবার কিছু কিছু বিধান আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—ইভিএম ব্যবহার বাতিল, ‘না ভোট’ পুনর্বহাল, প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি আয় ও সম্পত্তির বিবরণ প্রকাশের বাধ্যবাধকতা এবং পলাতক আসামিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা।
সংশোধিত আরপিওর গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:
আদালত কর্তৃক ফেরারি বা পলাতক আসামি নির্বাচনে অংশ নিতে না পারার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে তাঁকে না ভোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। নির্বাচনে না ভোট বেশি হলে সেখানে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন হবে। তবে দ্বিতীয়বারও একক প্রার্থী হলে সেই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হলে তাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
ভোট গণনার সময় সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকার বিধানটিও যুক্ত করা হয়েছে। তবে ভোট গণনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী তথা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জেলাভিত্তিক নির্বাচন অফিসগুলোতে দায়িত্ব পালন করবেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। প্রার্থীদের দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে আয় ও সম্পত্তির বিবরণ হলফনামায় দিতে হবে, যা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে উন্মুক্তভাবে প্রকাশ করা হবে।
আগে দলগুলো জোটবদ্ধ হয়ে জোটের যেকোনো দলের প্রতীক ব্যবহার করতে পারত। সেটি সংশোধন করা হয়েছে। জোটভুক্ত হলেও প্রার্থীকে নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। ভোটের সময় অনেকে জোটভুক্ত হলে জনপ্রিয় বা বড় দলের মার্কায় ভোট করতেন। এখন আর সে সুযোগ থাকছে না।
প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোটের বিধানটি আরপিওতে যুক্ত করা হয়েছে। এবার আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিং চালু করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের পাশাপাশি আইনি হেফাজতে থাকা, সরকারি কর্মকর্তা, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা ভোট দিতে পারবেন।
প্রার্থীর জামানত বাড়ানো হয়েছে। আগে ২০ হাজার টাকা ছিল, তা বাড়িয়ে ৫০ হাজার করা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো রাজনৈতিক দলকে ৫০ হাজার টাকার বেশি অনুদান দিতে চাইলে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেওয়ার বিধান করা হয়েছে। যিনি অনুদান দেবেন, তাঁর ট্যাক্স রিটার্নও দিতে হবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন পুরো আসনের ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা কমিয়েছিল। সংশোধিত আরপিওতে শুধু ভোটকেন্দ্র নয়, অনিয়ম হলে ইসি পুরো আসনের ভোট বন্ধ করতে পারবে, সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রার্থীর হলফনামায় আগে শুধু দেশের সম্পদের হিসাব দেওয়া হতো। সংশোধিত আরপিওতে শুধু দেশের নয়, বিদেশের আয়ের উৎস, সম্পত্তির বিবরণ দিতে হবে।
এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-সংক্রান্ত বিধানটি সংশোধিত আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে, যুক্ত করা হয়েছে নতুন বিধান, আবার কিছু কিছু বিধান আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—ইভিএম ব্যবহার বাতিল, ‘না ভোট’ পুনর্বহাল, প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি আয় ও সম্পত্তির বিবরণ প্রকাশের বাধ্যবাধকতা এবং পলাতক আসামিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা।
সংশোধিত আরপিওর গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:
আদালত কর্তৃক ফেরারি বা পলাতক আসামি নির্বাচনে অংশ নিতে না পারার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে তাঁকে না ভোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। নির্বাচনে না ভোট বেশি হলে সেখানে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন হবে। তবে দ্বিতীয়বারও একক প্রার্থী হলে সেই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হলে তাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
ভোট গণনার সময় সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকার বিধানটিও যুক্ত করা হয়েছে। তবে ভোট গণনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী তথা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জেলাভিত্তিক নির্বাচন অফিসগুলোতে দায়িত্ব পালন করবেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। প্রার্থীদের দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে আয় ও সম্পত্তির বিবরণ হলফনামায় দিতে হবে, যা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে উন্মুক্তভাবে প্রকাশ করা হবে।
আগে দলগুলো জোটবদ্ধ হয়ে জোটের যেকোনো দলের প্রতীক ব্যবহার করতে পারত। সেটি সংশোধন করা হয়েছে। জোটভুক্ত হলেও প্রার্থীকে নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। ভোটের সময় অনেকে জোটভুক্ত হলে জনপ্রিয় বা বড় দলের মার্কায় ভোট করতেন। এখন আর সে সুযোগ থাকছে না।
প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোটের বিধানটি আরপিওতে যুক্ত করা হয়েছে। এবার আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিং চালু করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের পাশাপাশি আইনি হেফাজতে থাকা, সরকারি কর্মকর্তা, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা ভোট দিতে পারবেন।
প্রার্থীর জামানত বাড়ানো হয়েছে। আগে ২০ হাজার টাকা ছিল, তা বাড়িয়ে ৫০ হাজার করা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো রাজনৈতিক দলকে ৫০ হাজার টাকার বেশি অনুদান দিতে চাইলে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেওয়ার বিধান করা হয়েছে। যিনি অনুদান দেবেন, তাঁর ট্যাক্স রিটার্নও দিতে হবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন পুরো আসনের ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা কমিয়েছিল। সংশোধিত আরপিওতে শুধু ভোটকেন্দ্র নয়, অনিয়ম হলে ইসি পুরো আসনের ভোট বন্ধ করতে পারবে, সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রার্থীর হলফনামায় আগে শুধু দেশের সম্পদের হিসাব দেওয়া হতো। সংশোধিত আরপিওতে শুধু দেশের নয়, বিদেশের আয়ের উৎস, সম্পত্তির বিবরণ দিতে হবে।
এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-সংক্রান্ত বিধানটি সংশোধিত আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

ধর্ষণ মামলার বিচার ২১ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করার ধারণাটি নিঃসন্দেহে একটি সাহসী পদক্ষেপ। দ্রুত বিচার ভুক্তভোগীদের দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে এবং অপরাধীদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করবে। এর ফলে সমাজে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ কমতে পারে এবং আইনি ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা বাড়বে।
১৭ মে ২০২৫
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
৪ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গুম হত্যার চেয়েও নিকৃষ্টতম অপরাধ। গুম প্রতিরোধে শুধু আইনগত সংস্কার নয়, প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারও।
আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত ‘Ensuring Justice: The Role of the Judiciary in Addressing Enforced Disappearances’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গুম-সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির উদ্যোগে এবং ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় আসিফ নজরুল বলেন, ‘অনেক প্রাণ ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ একটি পরিবর্তিত পরিবেশে অবস্থান করছি। এই পরিবর্তন স্থায়ী করতে হলে গুমের বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য।’
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রায় লেখা একটি সৃজনশীল শিল্প। তাই বিচারকেরা হলেন সৃজনশীল শিল্পী। তাঁদের শিল্পকর্মই তাঁদের রায়।
তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধে বিচার বিভাগ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও মানবাধিকার কাঠামোর মধ্যে সমন্বিত সহযোগিতা অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও তদন্ত সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি গুমের বিচার নিশ্চিতের মূল চাবিকাঠি।
কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী বলেন, গুম-সংক্রান্ত মামলাগুলোর কার্যকর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এখন সময়ের দাবি। কমিশন এরই মধ্যে বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা করে গুম-সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, সাক্ষী সুরক্ষা ও ভুক্তভোগী পরিবারের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা এবং ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকার-বিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান।

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গুম হত্যার চেয়েও নিকৃষ্টতম অপরাধ। গুম প্রতিরোধে শুধু আইনগত সংস্কার নয়, প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারও।
আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত ‘Ensuring Justice: The Role of the Judiciary in Addressing Enforced Disappearances’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গুম-সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির উদ্যোগে এবং ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় আসিফ নজরুল বলেন, ‘অনেক প্রাণ ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ একটি পরিবর্তিত পরিবেশে অবস্থান করছি। এই পরিবর্তন স্থায়ী করতে হলে গুমের বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য।’
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রায় লেখা একটি সৃজনশীল শিল্প। তাই বিচারকেরা হলেন সৃজনশীল শিল্পী। তাঁদের শিল্পকর্মই তাঁদের রায়।
তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধে বিচার বিভাগ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও মানবাধিকার কাঠামোর মধ্যে সমন্বিত সহযোগিতা অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও তদন্ত সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি গুমের বিচার নিশ্চিতের মূল চাবিকাঠি।
কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী বলেন, গুম-সংক্রান্ত মামলাগুলোর কার্যকর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এখন সময়ের দাবি। কমিশন এরই মধ্যে বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা করে গুম-সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, সাক্ষী সুরক্ষা ও ভুক্তভোগী পরিবারের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা এবং ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকার-বিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান।

ধর্ষণ মামলার বিচার ২১ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করার ধারণাটি নিঃসন্দেহে একটি সাহসী পদক্ষেপ। দ্রুত বিচার ভুক্তভোগীদের দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে এবং অপরাধীদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করবে। এর ফলে সমাজে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ কমতে পারে এবং আইনি ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা বাড়বে।
১৭ মে ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়।
৪০ মিনিট আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
৪ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১১ ঘণ্টা আগেসিনেটে শুনানিতে ট্রাম্প–মনোনীত রাষ্ট্রদূত
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা বলেন ক্রিস্টেনসেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মমোনীত এই কূটনীতিক বলেন, রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেলে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে সামরিক সহযোগিতা, সামুদ্রিক কর্মকাণ্ড এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে সম্পৃক্ততাসহ চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরবনে। পাশাপাশি সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারত্ব ঘনিষ্ঠ করার জন্য কাজ করারও প্রতিশ্রুতি দেন ক্রিস্টেনসেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দেন। সিনেট কমিটির অনুমোদনের পরই তাঁর নিয়োগ চূড়ান্ত হবে। এই মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে চার রাষ্ট্রদূত প্রার্থী লিখিত বিবৃতি তুলে ধরেন। পরে তাঁরা সিনেট সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ তুলে ধরে নেব্রাস্কার রিপাবলিকান সিনেটর জন পিটার রিকেটস শুনানিতে বলেন, ‘আমরা এখন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মুখে। বাংলাদেশ ও চীনের সামরিক সহযোগিতা দ্রুত বাড়ছে। যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন রাখার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি কৌশলগত সাবমেরিন ঘাঁটি আধুনিকায়ন করেছে চীন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার চীনের তৈরি ২০টি জে-১০ যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি নতুন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ও দূরপাল্লার রাডার কেনার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ পেলে চীনা সামরিক সরঞ্জামের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা কমাতে বাংলাদেশের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে ক্রিস্টেনসেন কীভাবে কাজ করবেন, তা জানতে চান সিনেটর রিকেটস।

জবাবে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব নিয়ে আপনাদের মতো উদ্বেগ আমারও। রাষ্ট্রদূত নিয়োগ আমি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থেকে চীনের কার্যক্রমের ঝুঁকি ব্যাখ্যা করব। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গভীর অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা তুলে ধরব, যা দুই দেশের সামরিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে।’
এ সময় সিনেটর রিকেটস বলেন, ‘এই শুনানির আগের দিনই সিনেট পররাষ্ট্র কমিটি সর্বসম্মতভাবে ‘থিংক টোয়াইস অ্যাক্ট’ পাস করেছে। এই আইন যুক্তরাষ্ট্রকে পূর্ণাঙ্গ কৌশল নিতে বাধ্য করবে, যাতে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশকে চীনা অস্ত্র কেনা থেকে বিরত রাখা যায়। আমরা আশা করি, আপনিও এই আইনের সহায়তা নিয়ে কাজ করবেন। তাহলে অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধ সম্ভব হবে।’
তাঁর এই মন্তব্যের সূত্র ধরে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘সামরিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চমূল্যের সামরিক সরঞ্জামের বিকল্প হিসেবে মিত্রদেশগুলোর তৈরি সাশ্রয়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা বাংলাদেশকে জানাতে পারি। পাশাপাশি যৌথ সামরিক মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্ল্যাটফর্মগুলোকে অন্যান্য মিত্র বাহিনীর সঙ্গে আরও সমন্বিত ও কার্যকর করতে পারি।’
শুনানির শুরুতে লিখিত বিবৃতিতে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে যে গণআন্দোলন হয়েছিল, তা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সরকারকে পতন ঘটায়। আগামী বছর বাংলাদেশের জনগণ ভোটে যাবে, যা দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের যাত্রায় পাশে থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অনেক সময় তাঁর প্রাপ্য মনোযোগ পায় না, বড় প্রতিবেশীদের আড়ালে গুরুত্ব হারিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রসেবায় আমার দুই দশকের অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে ঢাকার কর্মকালও রয়েছে। তাই, আমি বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সম্পর্কে গভীরভাবে অবগত। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থান বাংলাদেশকে উন্মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার করে তুলেছে।’

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা বলেন ক্রিস্টেনসেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মমোনীত এই কূটনীতিক বলেন, রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেলে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে সামরিক সহযোগিতা, সামুদ্রিক কর্মকাণ্ড এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে সম্পৃক্ততাসহ চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরবনে। পাশাপাশি সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারত্ব ঘনিষ্ঠ করার জন্য কাজ করারও প্রতিশ্রুতি দেন ক্রিস্টেনসেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দেন। সিনেট কমিটির অনুমোদনের পরই তাঁর নিয়োগ চূড়ান্ত হবে। এই মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে চার রাষ্ট্রদূত প্রার্থী লিখিত বিবৃতি তুলে ধরেন। পরে তাঁরা সিনেট সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ তুলে ধরে নেব্রাস্কার রিপাবলিকান সিনেটর জন পিটার রিকেটস শুনানিতে বলেন, ‘আমরা এখন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মুখে। বাংলাদেশ ও চীনের সামরিক সহযোগিতা দ্রুত বাড়ছে। যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন রাখার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি কৌশলগত সাবমেরিন ঘাঁটি আধুনিকায়ন করেছে চীন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার চীনের তৈরি ২০টি জে-১০ যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি নতুন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ও দূরপাল্লার রাডার কেনার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ পেলে চীনা সামরিক সরঞ্জামের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা কমাতে বাংলাদেশের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে ক্রিস্টেনসেন কীভাবে কাজ করবেন, তা জানতে চান সিনেটর রিকেটস।

জবাবে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব নিয়ে আপনাদের মতো উদ্বেগ আমারও। রাষ্ট্রদূত নিয়োগ আমি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থেকে চীনের কার্যক্রমের ঝুঁকি ব্যাখ্যা করব। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গভীর অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা তুলে ধরব, যা দুই দেশের সামরিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে।’
এ সময় সিনেটর রিকেটস বলেন, ‘এই শুনানির আগের দিনই সিনেট পররাষ্ট্র কমিটি সর্বসম্মতভাবে ‘থিংক টোয়াইস অ্যাক্ট’ পাস করেছে। এই আইন যুক্তরাষ্ট্রকে পূর্ণাঙ্গ কৌশল নিতে বাধ্য করবে, যাতে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশকে চীনা অস্ত্র কেনা থেকে বিরত রাখা যায়। আমরা আশা করি, আপনিও এই আইনের সহায়তা নিয়ে কাজ করবেন। তাহলে অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধ সম্ভব হবে।’
তাঁর এই মন্তব্যের সূত্র ধরে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘সামরিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চমূল্যের সামরিক সরঞ্জামের বিকল্প হিসেবে মিত্রদেশগুলোর তৈরি সাশ্রয়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা বাংলাদেশকে জানাতে পারি। পাশাপাশি যৌথ সামরিক মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্ল্যাটফর্মগুলোকে অন্যান্য মিত্র বাহিনীর সঙ্গে আরও সমন্বিত ও কার্যকর করতে পারি।’
শুনানির শুরুতে লিখিত বিবৃতিতে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে যে গণআন্দোলন হয়েছিল, তা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সরকারকে পতন ঘটায়। আগামী বছর বাংলাদেশের জনগণ ভোটে যাবে, যা দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের যাত্রায় পাশে থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অনেক সময় তাঁর প্রাপ্য মনোযোগ পায় না, বড় প্রতিবেশীদের আড়ালে গুরুত্ব হারিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রসেবায় আমার দুই দশকের অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে ঢাকার কর্মকালও রয়েছে। তাই, আমি বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সম্পর্কে গভীরভাবে অবগত। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থান বাংলাদেশকে উন্মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার করে তুলেছে।’

ধর্ষণ মামলার বিচার ২১ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করার ধারণাটি নিঃসন্দেহে একটি সাহসী পদক্ষেপ। দ্রুত বিচার ভুক্তভোগীদের দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে এবং অপরাধীদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করবে। এর ফলে সমাজে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ কমতে পারে এবং আইনি ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা বাড়বে।
১৭ মে ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়।
৪০ মিনিট আগে
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
৪ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১১ ঘণ্টা আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল গেটে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অব্যবস্থাপনার বিষয়টি তদন্তের জন্য আমরা চারটি দেশকে ইনভাইট করেছি। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও তুরস্ককে আসতে বলেছি। তাদের স্পেশালিস্ট আমরা আনতে চাচ্ছি। তারা তদন্ত করে কারণটা কী এবং কে দায়ী বের করবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দরের ভেতরে চারটি ইউনিট আছে। চারটি ইউনিটই কাজ করছে। আমরা আশা করছিলাম তাড়াতাড়ি কন্ট্রোলে আসবে। কন্ট্রোলে আসতে একটু সময় লাগছে। যেহেতু বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থা চিন্তা করতে হয়। যেহেতু দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। অনেক সময় বাতাস থাকলে নেভাতে সময় লাগে।’
কার্গো ভিলেজে বিশেষায়িত ফায়ার সার্ভিস ইউনিট কেন ছিল না—এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আগুন নেভানোর জন্য বিমানে যে ইউনিট থাকে, সেটা কার্গো ভিলেজেও কাজ করতে পারে। এটিতে কোনো অসুবিধা নাই।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, ‘আগুন নেভাতে কেউ ফেল করেনি। কিন্তু সময় লাগছে। ফেল করলে সব জ্বলে যেত। ওই দিন রাত ৯টার সময় বিমানবন্দর চালু করে দিয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দর অথরিটির চারটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আছে। সেগুলো ৩০ সেকেন্ডের ভেতরে চলে আসছিল। ফায়ার সার্ভিসের যে ইউনিটগুলো আছে, তার একটি দিয়াবাড়ির মেট্রোরেলের ওখানে, আরেকটি কুর্মিটোলায়। সেগুলো ২০ মিনিটের ভেতরে চলে আসছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যেখানে আগুন ধরেছে, সেখানে কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস ম্যাটেরিয়াল ছিল। দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। যার কারণে আগুনটা ছড়িয়ে গেছে তাড়াতাড়ি। কন্ট্রোল করতে সময় নিয়েছে।’
১৮ অক্টোবর বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট-সংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিটের চেষ্টায় রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু পুরোপুরি নির্বাপণ হয় ২৬ ঘণ্টা পর ১৯ অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে।
আরও খবর পড়ুন:

বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল গেটে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অব্যবস্থাপনার বিষয়টি তদন্তের জন্য আমরা চারটি দেশকে ইনভাইট করেছি। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও তুরস্ককে আসতে বলেছি। তাদের স্পেশালিস্ট আমরা আনতে চাচ্ছি। তারা তদন্ত করে কারণটা কী এবং কে দায়ী বের করবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দরের ভেতরে চারটি ইউনিট আছে। চারটি ইউনিটই কাজ করছে। আমরা আশা করছিলাম তাড়াতাড়ি কন্ট্রোলে আসবে। কন্ট্রোলে আসতে একটু সময় লাগছে। যেহেতু বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থা চিন্তা করতে হয়। যেহেতু দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। অনেক সময় বাতাস থাকলে নেভাতে সময় লাগে।’
কার্গো ভিলেজে বিশেষায়িত ফায়ার সার্ভিস ইউনিট কেন ছিল না—এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আগুন নেভানোর জন্য বিমানে যে ইউনিট থাকে, সেটা কার্গো ভিলেজেও কাজ করতে পারে। এটিতে কোনো অসুবিধা নাই।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, ‘আগুন নেভাতে কেউ ফেল করেনি। কিন্তু সময় লাগছে। ফেল করলে সব জ্বলে যেত। ওই দিন রাত ৯টার সময় বিমানবন্দর চালু করে দিয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দর অথরিটির চারটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আছে। সেগুলো ৩০ সেকেন্ডের ভেতরে চলে আসছিল। ফায়ার সার্ভিসের যে ইউনিটগুলো আছে, তার একটি দিয়াবাড়ির মেট্রোরেলের ওখানে, আরেকটি কুর্মিটোলায়। সেগুলো ২০ মিনিটের ভেতরে চলে আসছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যেখানে আগুন ধরেছে, সেখানে কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস ম্যাটেরিয়াল ছিল। দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। যার কারণে আগুনটা ছড়িয়ে গেছে তাড়াতাড়ি। কন্ট্রোল করতে সময় নিয়েছে।’
১৮ অক্টোবর বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট-সংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিটের চেষ্টায় রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু পুরোপুরি নির্বাপণ হয় ২৬ ঘণ্টা পর ১৯ অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে।
আরও খবর পড়ুন:

ধর্ষণ মামলার বিচার ২১ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করার ধারণাটি নিঃসন্দেহে একটি সাহসী পদক্ষেপ। দ্রুত বিচার ভুক্তভোগীদের দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে এবং অপরাধীদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করবে। এর ফলে সমাজে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ কমতে পারে এবং আইনি ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা বাড়বে।
১৭ মে ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়।
৪০ মিনিট আগে
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
৪ ঘণ্টা আগে