মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

আসছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা। জাতীয় নির্বাচনের আগে ও পরে স্থানীয় কিছু নির্বাচনের লক্ষ্যে মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনাও করেছে ইসি। এতে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন মিলিয়ে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা। ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমদের সভাপতিত্বে সর্বশেষ অনুষ্ঠিত সভায় ভোটের সম্ভাব্য ব্যয়সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত হয়।
দেশের অর্থনীতির যে অবস্থা, তাতে নির্বাচনের জন্য এমন ব্যয় যৌক্তিক কি না, জানতে চাইলে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই মুহূর্তে সবার অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশন নিশ্চয়ই অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে এই প্রস্তাবনা তৈরি করছে। তারাই বিশাল খরচের যৌক্তিকতা তুলে ধরবে।
২০২৫-২৬ থেকে ২০২৭-২৮ অর্থবছরের মধ্যমেয়াদি বাজেট প্রাক্কলন ও প্রক্ষেপণের এই সিদ্ধান্ত ইসির উপসচিব (বাজেট) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান অর্থ মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা কমিশনকে জানিয়েছেন। এতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকারের অন্যান্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ৫ হাজার ৯২১ কোটি ৭২ লাখ ৬৩ হাজার টাকা; এরপর ২০২৬-২৭ অর্থবছরে ২ হাজার ৮২৯ কোটি ৪৫ লাখ ৯৭ হাজার টাকা এবং ২০২৭-২৮ অর্থবছরে ৭২৪ কোটি ৩ লাখ ৩৭ হাজার টাকা ব্যয় রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনের জন্য পরিকল্পনা ও বাজেটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি প্রয়োজন ও পরিস্থিতি অনুসারে পরিবর্তন হতে পারে।
ইসি জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে ব্যয়ের পরিকল্পনায় ৯ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণ করলেও এই পরিমাণ অর্থ তাদের নেই। সংস্থাটি জানিয়েছে, সম্ভাব্য ব্যয়ের তুলনায় ৮ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা ঘাটতি আছে তাদের। ইসির ঘাটতি পূরণে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং অ্যাকসেস টু সার্ভিসেস প্রকল্পে’ সময় ও ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব, ‘নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আইসিটি ব্যবহারে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি’ এবং ‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয় অননুমোদিত প্রকল্পের জন্য সংরক্ষিত’ প্রকল্পের থোক বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
এদিকে আগামী ডিসেম্বরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ধরেই সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এই মুহূর্তে জাতীয় নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো নির্বাচনের প্রস্তুতি নেই নির্বাচন আয়োজনকারী সাংবিধানিক সংস্থাটির। গতকাল মঙ্গলবার ইউএনডিপিসহ উন্নয়ন সহযোগী ১৮টি দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘নির্বাচনে সময় কেমন লাগবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। স্থানীয় ও জাতীয়—দুটি নির্বাচন একসঙ্গে করা সম্ভব নয়। অতীতে আমরা দেখেছি, স্থানীয় নির্বাচন করতে গেলে এক বছর সময় লাগে। এতে জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে যাবে। ইসি জাতীয় নির্বাচন নিয়েই ভাবছে। তবে সরকার যদি ওইভাবে কিছু সিদ্ধান্ত নেয়, সেভাবে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকার যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবে, সেভাবেই হবে।’
একজন উপদেষ্টা আগে স্থানীয় নির্বাচন করার কথা বলেছেন, বিষয়টি নজরে আনতে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আবারও বলি, প্রধান উপদেষ্টা ১৬ ডিসেম্বরের বক্তব্যে বলেছিলেন, যদি অল্প পরিমাণে সংস্কারসহ নির্বাচন করতে হয়, সেখানেই যদি রাজনৈতিক মতৈক্য গিয়ে দাঁড়ায়, তাহলে এ বছরের শেষ নাগাদ ডিসেম্বরে নির্বাচন; আর যদি আরেকটু সংস্কার করার সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে ২০২৬-এর জুন নাগাদ নির্বাচন করা সম্ভব। আমরা বলেছিলাম, আমাদের নিকটতম তারিখ ধরে নিয়ে প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। আমাদের অবস্থান এখনো অপরিবর্তিত। আমরা ডিসেম্বরকে ধরে নিয়েই আমাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। আমাদের ভিন্ন প্রস্তুতি নেই, একটি প্রস্তুতি (জাতীয় নির্বাচন)।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, বড় আকারে পাঁচ স্তরের স্থানীয় নির্বাচন করতে হলে এক বছরের মতো সময় লাগে। আমাদের সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান অকার্যকর হয়নি, কিছু হয়েছে। এ কন্ডিশনাল বিষয়গুলো নিয়ে স্পেসিফিক টাইমলাইন দেওয়া সম্ভব নয়। আমরা ধারণা করি, সরকার তো আমাদের হাতের টাইমগুলো বিবেচনায় নেবে এবং তারা যদি মনে করে, জাতীয় নির্বাচনকে কোনো একটা টাইমে ফ্রেম করে তারপর কতটুকু অনুশীলন করা যায়, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে।’

আসছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা। জাতীয় নির্বাচনের আগে ও পরে স্থানীয় কিছু নির্বাচনের লক্ষ্যে মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনাও করেছে ইসি। এতে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন মিলিয়ে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা। ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমদের সভাপতিত্বে সর্বশেষ অনুষ্ঠিত সভায় ভোটের সম্ভাব্য ব্যয়সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত হয়।
দেশের অর্থনীতির যে অবস্থা, তাতে নির্বাচনের জন্য এমন ব্যয় যৌক্তিক কি না, জানতে চাইলে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই মুহূর্তে সবার অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশন নিশ্চয়ই অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে এই প্রস্তাবনা তৈরি করছে। তারাই বিশাল খরচের যৌক্তিকতা তুলে ধরবে।
২০২৫-২৬ থেকে ২০২৭-২৮ অর্থবছরের মধ্যমেয়াদি বাজেট প্রাক্কলন ও প্রক্ষেপণের এই সিদ্ধান্ত ইসির উপসচিব (বাজেট) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান অর্থ মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা কমিশনকে জানিয়েছেন। এতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকারের অন্যান্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ৫ হাজার ৯২১ কোটি ৭২ লাখ ৬৩ হাজার টাকা; এরপর ২০২৬-২৭ অর্থবছরে ২ হাজার ৮২৯ কোটি ৪৫ লাখ ৯৭ হাজার টাকা এবং ২০২৭-২৮ অর্থবছরে ৭২৪ কোটি ৩ লাখ ৩৭ হাজার টাকা ব্যয় রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনের জন্য পরিকল্পনা ও বাজেটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি প্রয়োজন ও পরিস্থিতি অনুসারে পরিবর্তন হতে পারে।
ইসি জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে ব্যয়ের পরিকল্পনায় ৯ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণ করলেও এই পরিমাণ অর্থ তাদের নেই। সংস্থাটি জানিয়েছে, সম্ভাব্য ব্যয়ের তুলনায় ৮ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা ঘাটতি আছে তাদের। ইসির ঘাটতি পূরণে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং অ্যাকসেস টু সার্ভিসেস প্রকল্পে’ সময় ও ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব, ‘নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আইসিটি ব্যবহারে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি’ এবং ‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয় অননুমোদিত প্রকল্পের জন্য সংরক্ষিত’ প্রকল্পের থোক বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
এদিকে আগামী ডিসেম্বরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ধরেই সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এই মুহূর্তে জাতীয় নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো নির্বাচনের প্রস্তুতি নেই নির্বাচন আয়োজনকারী সাংবিধানিক সংস্থাটির। গতকাল মঙ্গলবার ইউএনডিপিসহ উন্নয়ন সহযোগী ১৮টি দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘নির্বাচনে সময় কেমন লাগবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। স্থানীয় ও জাতীয়—দুটি নির্বাচন একসঙ্গে করা সম্ভব নয়। অতীতে আমরা দেখেছি, স্থানীয় নির্বাচন করতে গেলে এক বছর সময় লাগে। এতে জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে যাবে। ইসি জাতীয় নির্বাচন নিয়েই ভাবছে। তবে সরকার যদি ওইভাবে কিছু সিদ্ধান্ত নেয়, সেভাবে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকার যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবে, সেভাবেই হবে।’
একজন উপদেষ্টা আগে স্থানীয় নির্বাচন করার কথা বলেছেন, বিষয়টি নজরে আনতে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আবারও বলি, প্রধান উপদেষ্টা ১৬ ডিসেম্বরের বক্তব্যে বলেছিলেন, যদি অল্প পরিমাণে সংস্কারসহ নির্বাচন করতে হয়, সেখানেই যদি রাজনৈতিক মতৈক্য গিয়ে দাঁড়ায়, তাহলে এ বছরের শেষ নাগাদ ডিসেম্বরে নির্বাচন; আর যদি আরেকটু সংস্কার করার সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে ২০২৬-এর জুন নাগাদ নির্বাচন করা সম্ভব। আমরা বলেছিলাম, আমাদের নিকটতম তারিখ ধরে নিয়ে প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। আমাদের অবস্থান এখনো অপরিবর্তিত। আমরা ডিসেম্বরকে ধরে নিয়েই আমাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। আমাদের ভিন্ন প্রস্তুতি নেই, একটি প্রস্তুতি (জাতীয় নির্বাচন)।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, বড় আকারে পাঁচ স্তরের স্থানীয় নির্বাচন করতে হলে এক বছরের মতো সময় লাগে। আমাদের সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান অকার্যকর হয়নি, কিছু হয়েছে। এ কন্ডিশনাল বিষয়গুলো নিয়ে স্পেসিফিক টাইমলাইন দেওয়া সম্ভব নয়। আমরা ধারণা করি, সরকার তো আমাদের হাতের টাইমগুলো বিবেচনায় নেবে এবং তারা যদি মনে করে, জাতীয় নির্বাচনকে কোনো একটা টাইমে ফ্রেম করে তারপর কতটুকু অনুশীলন করা যায়, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে।’
মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

আসছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা। জাতীয় নির্বাচনের আগে ও পরে স্থানীয় কিছু নির্বাচনের লক্ষ্যে মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনাও করেছে ইসি। এতে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন মিলিয়ে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা। ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমদের সভাপতিত্বে সর্বশেষ অনুষ্ঠিত সভায় ভোটের সম্ভাব্য ব্যয়সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত হয়।
দেশের অর্থনীতির যে অবস্থা, তাতে নির্বাচনের জন্য এমন ব্যয় যৌক্তিক কি না, জানতে চাইলে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই মুহূর্তে সবার অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশন নিশ্চয়ই অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে এই প্রস্তাবনা তৈরি করছে। তারাই বিশাল খরচের যৌক্তিকতা তুলে ধরবে।
২০২৫-২৬ থেকে ২০২৭-২৮ অর্থবছরের মধ্যমেয়াদি বাজেট প্রাক্কলন ও প্রক্ষেপণের এই সিদ্ধান্ত ইসির উপসচিব (বাজেট) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান অর্থ মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা কমিশনকে জানিয়েছেন। এতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকারের অন্যান্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ৫ হাজার ৯২১ কোটি ৭২ লাখ ৬৩ হাজার টাকা; এরপর ২০২৬-২৭ অর্থবছরে ২ হাজার ৮২৯ কোটি ৪৫ লাখ ৯৭ হাজার টাকা এবং ২০২৭-২৮ অর্থবছরে ৭২৪ কোটি ৩ লাখ ৩৭ হাজার টাকা ব্যয় রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনের জন্য পরিকল্পনা ও বাজেটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি প্রয়োজন ও পরিস্থিতি অনুসারে পরিবর্তন হতে পারে।
ইসি জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে ব্যয়ের পরিকল্পনায় ৯ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণ করলেও এই পরিমাণ অর্থ তাদের নেই। সংস্থাটি জানিয়েছে, সম্ভাব্য ব্যয়ের তুলনায় ৮ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা ঘাটতি আছে তাদের। ইসির ঘাটতি পূরণে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং অ্যাকসেস টু সার্ভিসেস প্রকল্পে’ সময় ও ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব, ‘নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আইসিটি ব্যবহারে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি’ এবং ‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয় অননুমোদিত প্রকল্পের জন্য সংরক্ষিত’ প্রকল্পের থোক বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
এদিকে আগামী ডিসেম্বরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ধরেই সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এই মুহূর্তে জাতীয় নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো নির্বাচনের প্রস্তুতি নেই নির্বাচন আয়োজনকারী সাংবিধানিক সংস্থাটির। গতকাল মঙ্গলবার ইউএনডিপিসহ উন্নয়ন সহযোগী ১৮টি দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘নির্বাচনে সময় কেমন লাগবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। স্থানীয় ও জাতীয়—দুটি নির্বাচন একসঙ্গে করা সম্ভব নয়। অতীতে আমরা দেখেছি, স্থানীয় নির্বাচন করতে গেলে এক বছর সময় লাগে। এতে জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে যাবে। ইসি জাতীয় নির্বাচন নিয়েই ভাবছে। তবে সরকার যদি ওইভাবে কিছু সিদ্ধান্ত নেয়, সেভাবে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকার যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবে, সেভাবেই হবে।’
একজন উপদেষ্টা আগে স্থানীয় নির্বাচন করার কথা বলেছেন, বিষয়টি নজরে আনতে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আবারও বলি, প্রধান উপদেষ্টা ১৬ ডিসেম্বরের বক্তব্যে বলেছিলেন, যদি অল্প পরিমাণে সংস্কারসহ নির্বাচন করতে হয়, সেখানেই যদি রাজনৈতিক মতৈক্য গিয়ে দাঁড়ায়, তাহলে এ বছরের শেষ নাগাদ ডিসেম্বরে নির্বাচন; আর যদি আরেকটু সংস্কার করার সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে ২০২৬-এর জুন নাগাদ নির্বাচন করা সম্ভব। আমরা বলেছিলাম, আমাদের নিকটতম তারিখ ধরে নিয়ে প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। আমাদের অবস্থান এখনো অপরিবর্তিত। আমরা ডিসেম্বরকে ধরে নিয়েই আমাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। আমাদের ভিন্ন প্রস্তুতি নেই, একটি প্রস্তুতি (জাতীয় নির্বাচন)।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, বড় আকারে পাঁচ স্তরের স্থানীয় নির্বাচন করতে হলে এক বছরের মতো সময় লাগে। আমাদের সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান অকার্যকর হয়নি, কিছু হয়েছে। এ কন্ডিশনাল বিষয়গুলো নিয়ে স্পেসিফিক টাইমলাইন দেওয়া সম্ভব নয়। আমরা ধারণা করি, সরকার তো আমাদের হাতের টাইমগুলো বিবেচনায় নেবে এবং তারা যদি মনে করে, জাতীয় নির্বাচনকে কোনো একটা টাইমে ফ্রেম করে তারপর কতটুকু অনুশীলন করা যায়, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে।’

আসছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা। জাতীয় নির্বাচনের আগে ও পরে স্থানীয় কিছু নির্বাচনের লক্ষ্যে মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনাও করেছে ইসি। এতে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন মিলিয়ে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা। ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমদের সভাপতিত্বে সর্বশেষ অনুষ্ঠিত সভায় ভোটের সম্ভাব্য ব্যয়সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত হয়।
দেশের অর্থনীতির যে অবস্থা, তাতে নির্বাচনের জন্য এমন ব্যয় যৌক্তিক কি না, জানতে চাইলে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই মুহূর্তে সবার অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশন নিশ্চয়ই অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে এই প্রস্তাবনা তৈরি করছে। তারাই বিশাল খরচের যৌক্তিকতা তুলে ধরবে।
২০২৫-২৬ থেকে ২০২৭-২৮ অর্থবছরের মধ্যমেয়াদি বাজেট প্রাক্কলন ও প্রক্ষেপণের এই সিদ্ধান্ত ইসির উপসচিব (বাজেট) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান অর্থ মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা কমিশনকে জানিয়েছেন। এতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকারের অন্যান্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ৫ হাজার ৯২১ কোটি ৭২ লাখ ৬৩ হাজার টাকা; এরপর ২০২৬-২৭ অর্থবছরে ২ হাজার ৮২৯ কোটি ৪৫ লাখ ৯৭ হাজার টাকা এবং ২০২৭-২৮ অর্থবছরে ৭২৪ কোটি ৩ লাখ ৩৭ হাজার টাকা ব্যয় রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনের জন্য পরিকল্পনা ও বাজেটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি প্রয়োজন ও পরিস্থিতি অনুসারে পরিবর্তন হতে পারে।
ইসি জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে ব্যয়ের পরিকল্পনায় ৯ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণ করলেও এই পরিমাণ অর্থ তাদের নেই। সংস্থাটি জানিয়েছে, সম্ভাব্য ব্যয়ের তুলনায় ৮ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা ঘাটতি আছে তাদের। ইসির ঘাটতি পূরণে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং অ্যাকসেস টু সার্ভিসেস প্রকল্পে’ সময় ও ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব, ‘নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আইসিটি ব্যবহারে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি’ এবং ‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয় অননুমোদিত প্রকল্পের জন্য সংরক্ষিত’ প্রকল্পের থোক বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
এদিকে আগামী ডিসেম্বরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ধরেই সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এই মুহূর্তে জাতীয় নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো নির্বাচনের প্রস্তুতি নেই নির্বাচন আয়োজনকারী সাংবিধানিক সংস্থাটির। গতকাল মঙ্গলবার ইউএনডিপিসহ উন্নয়ন সহযোগী ১৮টি দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘নির্বাচনে সময় কেমন লাগবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। স্থানীয় ও জাতীয়—দুটি নির্বাচন একসঙ্গে করা সম্ভব নয়। অতীতে আমরা দেখেছি, স্থানীয় নির্বাচন করতে গেলে এক বছর সময় লাগে। এতে জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে যাবে। ইসি জাতীয় নির্বাচন নিয়েই ভাবছে। তবে সরকার যদি ওইভাবে কিছু সিদ্ধান্ত নেয়, সেভাবে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকার যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবে, সেভাবেই হবে।’
একজন উপদেষ্টা আগে স্থানীয় নির্বাচন করার কথা বলেছেন, বিষয়টি নজরে আনতে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আবারও বলি, প্রধান উপদেষ্টা ১৬ ডিসেম্বরের বক্তব্যে বলেছিলেন, যদি অল্প পরিমাণে সংস্কারসহ নির্বাচন করতে হয়, সেখানেই যদি রাজনৈতিক মতৈক্য গিয়ে দাঁড়ায়, তাহলে এ বছরের শেষ নাগাদ ডিসেম্বরে নির্বাচন; আর যদি আরেকটু সংস্কার করার সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে ২০২৬-এর জুন নাগাদ নির্বাচন করা সম্ভব। আমরা বলেছিলাম, আমাদের নিকটতম তারিখ ধরে নিয়ে প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। আমাদের অবস্থান এখনো অপরিবর্তিত। আমরা ডিসেম্বরকে ধরে নিয়েই আমাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। আমাদের ভিন্ন প্রস্তুতি নেই, একটি প্রস্তুতি (জাতীয় নির্বাচন)।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, বড় আকারে পাঁচ স্তরের স্থানীয় নির্বাচন করতে হলে এক বছরের মতো সময় লাগে। আমাদের সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান অকার্যকর হয়নি, কিছু হয়েছে। এ কন্ডিশনাল বিষয়গুলো নিয়ে স্পেসিফিক টাইমলাইন দেওয়া সম্ভব নয়। আমরা ধারণা করি, সরকার তো আমাদের হাতের টাইমগুলো বিবেচনায় নেবে এবং তারা যদি মনে করে, জাতীয় নির্বাচনকে কোনো একটা টাইমে ফ্রেম করে তারপর কতটুকু অনুশীলন করা যায়, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে।’

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।’ আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ‘হল অব প্রাইডে’ বাংলাদেশ পুলিশ আয়োজিত বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা
২ ঘণ্টা আগে
কমিশনের এক সদস্য বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তো কমিশনেরও সভাপতি। আমরা একটি সুপারিশ তৈরি করছি। সেখানে তো তাঁরও মতামত থাকবে। সে জন্য আজকে কমিশন সভাপতির সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং তাদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে সরকারের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ স্পষ্ট করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মোট ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯। এর মধ্যে পুরুষের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৭টি এবং নারীর জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি কক্ষ।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।’ আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ‘হল অব প্রাইডে’ বাংলাদেশ পুলিশ আয়োজিত বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এ দেশের আপামর জনগণ, রাজনৈতিক দলসহ সর্বমহলের প্রত্যাশা পূরণের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব পুলিশের কাঁধে। সবার প্রত্যাশা—বাংলাদেশ পুলিশ সামনের জাতীয় নির্বাচনে এমন এক মানদণ্ড স্থাপন করবে, যা শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রশংসিত হবে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশ সহ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আইনের প্রয়োগ শুধু শক্তি দিয়ে নয়, ন্যায়, নিষ্ঠা ও মানবিকতা দিয়েও প্রতিষ্ঠিত হয়।’ পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী মাঠে আপনারা কেবল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী নন; আপনারা জনগণের নিরাপত্তা, আস্থা ও গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার প্রতীক।’
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পুলিশের বিভিন্ন রেঞ্জের ডিআইজি, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও জেলার পুলিশ সুপারগণ অংশগ্রহণ করেন। এ সময় পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।’ আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ‘হল অব প্রাইডে’ বাংলাদেশ পুলিশ আয়োজিত বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এ দেশের আপামর জনগণ, রাজনৈতিক দলসহ সর্বমহলের প্রত্যাশা পূরণের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব পুলিশের কাঁধে। সবার প্রত্যাশা—বাংলাদেশ পুলিশ সামনের জাতীয় নির্বাচনে এমন এক মানদণ্ড স্থাপন করবে, যা শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রশংসিত হবে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশ সহ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আইনের প্রয়োগ শুধু শক্তি দিয়ে নয়, ন্যায়, নিষ্ঠা ও মানবিকতা দিয়েও প্রতিষ্ঠিত হয়।’ পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী মাঠে আপনারা কেবল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী নন; আপনারা জনগণের নিরাপত্তা, আস্থা ও গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার প্রতীক।’
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পুলিশের বিভিন্ন রেঞ্জের ডিআইজি, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও জেলার পুলিশ সুপারগণ অংশগ্রহণ করেন। এ সময় পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আসছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা। জাতীয় নির্বাচনের আগে ও পরে স্থানীয় কিছু নির্বাচনের লক্ষ্যে মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনাও করেছে ইসি।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
কমিশনের এক সদস্য বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তো কমিশনেরও সভাপতি। আমরা একটি সুপারিশ তৈরি করছি। সেখানে তো তাঁরও মতামত থাকবে। সে জন্য আজকে কমিশন সভাপতির সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং তাদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে সরকারের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ স্পষ্ট করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মোট ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯। এর মধ্যে পুরুষের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৭টি এবং নারীর জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি কক্ষ।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করবেন কমিশনের সদস্যরা। আজ সোমবার বিকেল ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
কমিশন সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশন সভাপতির সঙ্গে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে তৈরি করা সুপারিশের ড্রাফটের বিষয়ে আলোচনা হবে এই বৈঠকে। সভাপতির মতামতের ভিত্তিতে সুপারিশের খসড়ায় সংযোজন-বিয়োজন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায়ের পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ তৈরি করে পরে সরকারের কাছে জমা দেবে। অন্যদিকে খসড়ায় নতুন করে সংশোধনী না থাকলে আজই সেটি সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে।
কমিশনের এক সদস্য বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা তো কমিশনেরও সভাপতি। আমরা একটি সুপারিশ তৈরি করছি। সেখানে তো তাঁরও মতামত থাকবে। সে জন্য আজকে কমিশন সভাপতির সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।’
কমিশন সূত্র জানায়, সনদ বাস্তবায়নে কমিশন সুপারিশের যে রূপরেখা ঠিক করেছে, তাতে প্রথমে একটি আদেশ জারি করা হবে। গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ নামে এই আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে জারি হবে গণভোট-বিষয়ক একটি অধ্যাদেশ। এর ভিত্তিতেই হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে। বাস্তবায়নের পুরো প্রক্রিয়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে উল্লেখ থাকবে।
আদেশ জারির পর এর কিছু অংশ তাৎক্ষণিক এবং কিছু কিছু বিষয় পরবর্তীকালে কার্যকর হবে। আদেশের কোন ধারা কবে কার্যকর হবে তা উল্লেখ থাকবে।
জুলাই সনদের ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব আদেশের পরিশিষ্টে উল্লেখ থাকবে। তবে সেখানে কোনো দলের ভিন্নমতের বিষয় উল্লেখ থাকবে না। শুধু কমিশনের ৮৪টি প্রস্তাব অথবা সিদ্ধান্তের উল্লেখ থাকবে।

প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করবেন কমিশনের সদস্যরা। আজ সোমবার বিকেল ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
কমিশন সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশন সভাপতির সঙ্গে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে তৈরি করা সুপারিশের ড্রাফটের বিষয়ে আলোচনা হবে এই বৈঠকে। সভাপতির মতামতের ভিত্তিতে সুপারিশের খসড়ায় সংযোজন-বিয়োজন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায়ের পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ তৈরি করে পরে সরকারের কাছে জমা দেবে। অন্যদিকে খসড়ায় নতুন করে সংশোধনী না থাকলে আজই সেটি সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে।
কমিশনের এক সদস্য বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা তো কমিশনেরও সভাপতি। আমরা একটি সুপারিশ তৈরি করছি। সেখানে তো তাঁরও মতামত থাকবে। সে জন্য আজকে কমিশন সভাপতির সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।’
কমিশন সূত্র জানায়, সনদ বাস্তবায়নে কমিশন সুপারিশের যে রূপরেখা ঠিক করেছে, তাতে প্রথমে একটি আদেশ জারি করা হবে। গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ নামে এই আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে জারি হবে গণভোট-বিষয়ক একটি অধ্যাদেশ। এর ভিত্তিতেই হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে। বাস্তবায়নের পুরো প্রক্রিয়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে উল্লেখ থাকবে।
আদেশ জারির পর এর কিছু অংশ তাৎক্ষণিক এবং কিছু কিছু বিষয় পরবর্তীকালে কার্যকর হবে। আদেশের কোন ধারা কবে কার্যকর হবে তা উল্লেখ থাকবে।
জুলাই সনদের ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব আদেশের পরিশিষ্টে উল্লেখ থাকবে। তবে সেখানে কোনো দলের ভিন্নমতের বিষয় উল্লেখ থাকবে না। শুধু কমিশনের ৮৪টি প্রস্তাব অথবা সিদ্ধান্তের উল্লেখ থাকবে।

আসছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা। জাতীয় নির্বাচনের আগে ও পরে স্থানীয় কিছু নির্বাচনের লক্ষ্যে মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনাও করেছে ইসি।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।’ আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ‘হল অব প্রাইডে’ বাংলাদেশ পুলিশ আয়োজিত বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং তাদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে সরকারের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ স্পষ্ট করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মোট ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯। এর মধ্যে পুরুষের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৭টি এবং নারীর জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি কক্ষ।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং তাদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে সরকারের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ স্পষ্ট করা হয়।
গতকাল রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভা নভেম্বরেই শেষ হয়ে যাবে—বলে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মন্তব্য নিয়ে ‘বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ায়’ সরকার এই বিবৃতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে দেওয়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব মাহফুজ আলম উপদেষ্টা পরিষদের কার্যক্রম নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হবার পর কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘বস্তুত, সরকারের গৃহীত সংস্কার ও নীতিমালা প্রণয়নের কাজ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে এটা সঠিক নয়, বরং সংস্কার কার্যক্রম পূর্ণোদ্যমে চলমান থাকবে। এ ছাড়া, উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর না করা পর্যন্ত নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে।’
এর আগে, গতকাল তথ্য উপদেষ্টা ডিআরইউতে বলেছিলেন, ‘সংস্কার কমিশন থেকে ২৩টি আশু বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাব তোলা হয়েছে। মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা করে ১৩টি প্রস্তাব বাস্তবায়ন করছে। নভেম্বরে কেবিনেট ক্লোজ হয়ে যাবে, যা করার আগামী মাসের মধ্যে করতে চাই।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং তাদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে সরকারের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ স্পষ্ট করা হয়।
গতকাল রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভা নভেম্বরেই শেষ হয়ে যাবে—বলে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মন্তব্য নিয়ে ‘বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ায়’ সরকার এই বিবৃতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে দেওয়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব মাহফুজ আলম উপদেষ্টা পরিষদের কার্যক্রম নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হবার পর কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘বস্তুত, সরকারের গৃহীত সংস্কার ও নীতিমালা প্রণয়নের কাজ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে এটা সঠিক নয়, বরং সংস্কার কার্যক্রম পূর্ণোদ্যমে চলমান থাকবে। এ ছাড়া, উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর না করা পর্যন্ত নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে।’
এর আগে, গতকাল তথ্য উপদেষ্টা ডিআরইউতে বলেছিলেন, ‘সংস্কার কমিশন থেকে ২৩টি আশু বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাব তোলা হয়েছে। মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা করে ১৩টি প্রস্তাব বাস্তবায়ন করছে। নভেম্বরে কেবিনেট ক্লোজ হয়ে যাবে, যা করার আগামী মাসের মধ্যে করতে চাই।’

আসছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা। জাতীয় নির্বাচনের আগে ও পরে স্থানীয় কিছু নির্বাচনের লক্ষ্যে মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনাও করেছে ইসি।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।’ আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ‘হল অব প্রাইডে’ বাংলাদেশ পুলিশ আয়োজিত বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা
২ ঘণ্টা আগে
কমিশনের এক সদস্য বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তো কমিশনেরও সভাপতি। আমরা একটি সুপারিশ তৈরি করছি। সেখানে তো তাঁরও মতামত থাকবে। সে জন্য আজকে কমিশন সভাপতির সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মোট ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯। এর মধ্যে পুরুষের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৭টি এবং নারীর জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি কক্ষ।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মোট ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯। এর মধ্যে পুরুষের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৭টি এবং নারীর জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি কক্ষ।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
সচিব আরও জানান, অস্থায়ী ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা প্রাথমিকভাবে ১৪টি এবং প্রায় ১২ হাজার অস্থায়ী ভোটকক্ষ থাকবে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মোট ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯। এর মধ্যে পুরুষের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৭টি এবং নারীর জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি কক্ষ।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
সচিব আরও জানান, অস্থায়ী ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা প্রাথমিকভাবে ১৪টি এবং প্রায় ১২ হাজার অস্থায়ী ভোটকক্ষ থাকবে।

আসছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা। জাতীয় নির্বাচনের আগে ও পরে স্থানীয় কিছু নির্বাচনের লক্ষ্যে মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনাও করেছে ইসি।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।’ আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ‘হল অব প্রাইডে’ বাংলাদেশ পুলিশ আয়োজিত বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা
২ ঘণ্টা আগে
কমিশনের এক সদস্য বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তো কমিশনেরও সভাপতি। আমরা একটি সুপারিশ তৈরি করছি। সেখানে তো তাঁরও মতামত থাকবে। সে জন্য আজকে কমিশন সভাপতির সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং তাদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে সরকারের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ স্পষ্ট করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে