রাহুল শর্মা, ঢাকা

চলতি বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে দিতে প্রায় তিন মাস দেরি হয়েছিল। আগামী শিক্ষাবর্ষেও সব শিক্ষার্থীর হাতে বছরের শুরুতে নতুন বই তুলে দেওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারণ, মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবই ছাপার দরপত্রপ্রক্রিয়া এখনো শেষ হয়নি। তবে প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই ছাপার কাজ চলছে পুরোদমে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা যায়, সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির ৩২তম সভায় নতুন শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির বইয়ের দরপত্র অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তাই নতুন করে আবার এই তিন শ্রেণির দরপত্রপ্রক্রিয়া শুরু করেছে এনসিটিবি। আর নবম-দশম শ্রেণির দরপত্র মূল্যায়নের কাগজপত্র এখনো অনুমোদন হয়নি।
অবশ্য এনসিটিবি কর্তৃপক্ষ জানুয়ারির শুরুতেই সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন পাঠ্যবই পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। একই আশা ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদও। গত ২১ সেপ্টেম্বর সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, চলতি বছর নতুন বই তুলে দিতে দেরি হলেও আগামী শিক্ষাবর্ষে জানুয়ারি মাসেই শিক্ষার্থীরা নতুন বই হাতে পাবে।
চলতি বছর সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে দিতে প্রায় তিন মাস দেরি হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার। সে পরিস্থিতির আলোকে এবার আগেভাগেই বই ছাপানোর কাজ শুরু করেছিল এনসিটিবি। কিন্তু অনিশ্চয়তা দানা বাঁধে সম্প্রতি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবই ছাপানোর দরপত্র বাতিলের ঘটনায়। তবে কী কারণে দরপত্র বাতিল করা হয়েছে, এনসিটিবিকে তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।
সূত্র বলছে, সব মিলিয়ে মোট ২৮০টি লটের ১২ কোটির বেশি বই ছাপানোর দরপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণির বইয়ের সংখ্যা ৪ কোটি ৪৩ লাখ ২১ হাজার ৯০৬, সপ্তম শ্রেণির ৪ কোটি ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ৬৯২ এবং অষ্টম শ্রেণির ৪ কোটি ২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯৮টি। দরপত্র বাতিল হওয়া তিন শ্রেণির মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণির দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল গত ১৯ মে, সপ্তম শ্রেণির ১৫ মে এবং অষ্টম শ্রেণির ২ জুন।
সরকার ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে নতুন পাঠ্যবই দিচ্ছে। করোনা মহামারি ছাড়া বাকি বছরগুলোতে শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনেই উৎসব করে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই তুলে দেওয়া হয়। তবে গত বছর বই
উৎসব ছাড়াই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়। আগামী বছরও প্রথম দিনে নতুন বই তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে এনসিটিবির।
জানা যায়, আগামী বছরের জন্য প্রাক্-প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে ৩০ কোটি ২ লাখ ৫৫ হাজার ৬৭৯ কপি পাঠ্যবই ছাপাতে হবে। এগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের জন্য ২১ কোটি ৪৩ লাখ ১৮ হাজার ৪০ ও প্রাথমিক স্তরের জন্য ৮ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ৬৭৯টি রয়েছে। এসব বই ছাপানো ও বিতরণে সম্ভাব্য খরচ ধরা হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি।
নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে মাত্র তিন মাস বাকি। কিন্তু এনসিটিবি এবং মুদ্রণকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তরের ৫৩৪টি লটের পাঠ্যবই ছাপানোর দরপত্রপ্রক্রিয়াই শেষ করা যায়নি। তবে প্রাথমিক স্তরের প্রায় ২২ লাখ পাঠ্যবই ছাপা শেষে বিতরণের জন্য উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে।
এনসিটিবির একাধিক সূত্র জানায়, সাধারণত নতুন করে দরপত্র আহ্বান করে এই তিন শ্রেণির পাঠ্যবই ছাপাতে পাঁচ মাস সময়ের প্রয়োজন। যদিও গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা বলছে, কোনো কোনো বছর এর চেয়ে সময় লেগেছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নভেম্বর-ডিসেম্বরে মুদ্রণকারীরা নোট-গাইড ছাপানোয় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আবার আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন ঘিরে পোস্টার ছাপানোর কাজও বাড়বে। সব মিলিয়ে জানুয়ারির শুরুতে সব শিক্ষার্থীর হাতে বই দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
এ বিষয়ে এনসিটিবির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, কোনোভাবেই ১ জানুয়ারি সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া সম্ভব হবে না। কাজের গতি অনুযায়ী মনে হচ্ছে, সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন পাঠ্যবই তুলে দিতে অন্তত ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত লাগতে পারে।
মান নিয়েও রয়েছে শঙ্কা
এনসিটিবি সূত্র বলছে, এবার প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই ছাপাতে সরকারের সম্ভাব্য ব্যয় ছিল প্রায় সাড়ে চার শ কোটি টাকা। কিন্তু ৬১টি মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছে ৪৩২ কোটি টাকায়। অর্থাৎ সম্ভাব্য ব্যয়ের চেয়েও কম দরে কাজ পেয়েছে মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। একই অবস্থা হওয়ার শঙ্কা রয়েছে মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবই ছাপানোর ক্ষেত্রেও।
সূত্র আরও বলছে, বিলম্বে কার্যাদেশ ও চুক্তি হলে শেষ সময়ে নিম্নমানের কাগজে বই দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী নাম প্রকাশ করার শর্তে বলেন, এবার প্রাক্কলিত দরের চেয়ে গড়ে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কম দামে কাজ বাগিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করছে অসাধু মুদ্রণকারীরা।
জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী বলেন, ‘আশা করছি, যথাসময়েই শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই তুলে দিতে পারব। আর মানের বিষয়ে এবারও এনসিটিবি কোনো আপস করবে না।’

চলতি বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে দিতে প্রায় তিন মাস দেরি হয়েছিল। আগামী শিক্ষাবর্ষেও সব শিক্ষার্থীর হাতে বছরের শুরুতে নতুন বই তুলে দেওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারণ, মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবই ছাপার দরপত্রপ্রক্রিয়া এখনো শেষ হয়নি। তবে প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই ছাপার কাজ চলছে পুরোদমে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা যায়, সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির ৩২তম সভায় নতুন শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির বইয়ের দরপত্র অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তাই নতুন করে আবার এই তিন শ্রেণির দরপত্রপ্রক্রিয়া শুরু করেছে এনসিটিবি। আর নবম-দশম শ্রেণির দরপত্র মূল্যায়নের কাগজপত্র এখনো অনুমোদন হয়নি।
অবশ্য এনসিটিবি কর্তৃপক্ষ জানুয়ারির শুরুতেই সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন পাঠ্যবই পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। একই আশা ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদও। গত ২১ সেপ্টেম্বর সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, চলতি বছর নতুন বই তুলে দিতে দেরি হলেও আগামী শিক্ষাবর্ষে জানুয়ারি মাসেই শিক্ষার্থীরা নতুন বই হাতে পাবে।
চলতি বছর সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে দিতে প্রায় তিন মাস দেরি হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার। সে পরিস্থিতির আলোকে এবার আগেভাগেই বই ছাপানোর কাজ শুরু করেছিল এনসিটিবি। কিন্তু অনিশ্চয়তা দানা বাঁধে সম্প্রতি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবই ছাপানোর দরপত্র বাতিলের ঘটনায়। তবে কী কারণে দরপত্র বাতিল করা হয়েছে, এনসিটিবিকে তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।
সূত্র বলছে, সব মিলিয়ে মোট ২৮০টি লটের ১২ কোটির বেশি বই ছাপানোর দরপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণির বইয়ের সংখ্যা ৪ কোটি ৪৩ লাখ ২১ হাজার ৯০৬, সপ্তম শ্রেণির ৪ কোটি ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ৬৯২ এবং অষ্টম শ্রেণির ৪ কোটি ২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯৮টি। দরপত্র বাতিল হওয়া তিন শ্রেণির মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণির দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল গত ১৯ মে, সপ্তম শ্রেণির ১৫ মে এবং অষ্টম শ্রেণির ২ জুন।
সরকার ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে নতুন পাঠ্যবই দিচ্ছে। করোনা মহামারি ছাড়া বাকি বছরগুলোতে শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনেই উৎসব করে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই তুলে দেওয়া হয়। তবে গত বছর বই
উৎসব ছাড়াই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়। আগামী বছরও প্রথম দিনে নতুন বই তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে এনসিটিবির।
জানা যায়, আগামী বছরের জন্য প্রাক্-প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে ৩০ কোটি ২ লাখ ৫৫ হাজার ৬৭৯ কপি পাঠ্যবই ছাপাতে হবে। এগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের জন্য ২১ কোটি ৪৩ লাখ ১৮ হাজার ৪০ ও প্রাথমিক স্তরের জন্য ৮ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ৬৭৯টি রয়েছে। এসব বই ছাপানো ও বিতরণে সম্ভাব্য খরচ ধরা হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি।
নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে মাত্র তিন মাস বাকি। কিন্তু এনসিটিবি এবং মুদ্রণকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তরের ৫৩৪টি লটের পাঠ্যবই ছাপানোর দরপত্রপ্রক্রিয়াই শেষ করা যায়নি। তবে প্রাথমিক স্তরের প্রায় ২২ লাখ পাঠ্যবই ছাপা শেষে বিতরণের জন্য উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে।
এনসিটিবির একাধিক সূত্র জানায়, সাধারণত নতুন করে দরপত্র আহ্বান করে এই তিন শ্রেণির পাঠ্যবই ছাপাতে পাঁচ মাস সময়ের প্রয়োজন। যদিও গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা বলছে, কোনো কোনো বছর এর চেয়ে সময় লেগেছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নভেম্বর-ডিসেম্বরে মুদ্রণকারীরা নোট-গাইড ছাপানোয় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আবার আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন ঘিরে পোস্টার ছাপানোর কাজও বাড়বে। সব মিলিয়ে জানুয়ারির শুরুতে সব শিক্ষার্থীর হাতে বই দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
এ বিষয়ে এনসিটিবির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, কোনোভাবেই ১ জানুয়ারি সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া সম্ভব হবে না। কাজের গতি অনুযায়ী মনে হচ্ছে, সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন পাঠ্যবই তুলে দিতে অন্তত ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত লাগতে পারে।
মান নিয়েও রয়েছে শঙ্কা
এনসিটিবি সূত্র বলছে, এবার প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই ছাপাতে সরকারের সম্ভাব্য ব্যয় ছিল প্রায় সাড়ে চার শ কোটি টাকা। কিন্তু ৬১টি মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছে ৪৩২ কোটি টাকায়। অর্থাৎ সম্ভাব্য ব্যয়ের চেয়েও কম দরে কাজ পেয়েছে মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। একই অবস্থা হওয়ার শঙ্কা রয়েছে মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবই ছাপানোর ক্ষেত্রেও।
সূত্র আরও বলছে, বিলম্বে কার্যাদেশ ও চুক্তি হলে শেষ সময়ে নিম্নমানের কাগজে বই দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী নাম প্রকাশ করার শর্তে বলেন, এবার প্রাক্কলিত দরের চেয়ে গড়ে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কম দামে কাজ বাগিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করছে অসাধু মুদ্রণকারীরা।
জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী বলেন, ‘আশা করছি, যথাসময়েই শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই তুলে দিতে পারব। আর মানের বিষয়ে এবারও এনসিটিবি কোনো আপস করবে না।’
রাহুল শর্মা, ঢাকা

চলতি বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে দিতে প্রায় তিন মাস দেরি হয়েছিল। আগামী শিক্ষাবর্ষেও সব শিক্ষার্থীর হাতে বছরের শুরুতে নতুন বই তুলে দেওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারণ, মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবই ছাপার দরপত্রপ্রক্রিয়া এখনো শেষ হয়নি। তবে প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই ছাপার কাজ চলছে পুরোদমে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা যায়, সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির ৩২তম সভায় নতুন শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির বইয়ের দরপত্র অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তাই নতুন করে আবার এই তিন শ্রেণির দরপত্রপ্রক্রিয়া শুরু করেছে এনসিটিবি। আর নবম-দশম শ্রেণির দরপত্র মূল্যায়নের কাগজপত্র এখনো অনুমোদন হয়নি।
অবশ্য এনসিটিবি কর্তৃপক্ষ জানুয়ারির শুরুতেই সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন পাঠ্যবই পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। একই আশা ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদও। গত ২১ সেপ্টেম্বর সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, চলতি বছর নতুন বই তুলে দিতে দেরি হলেও আগামী শিক্ষাবর্ষে জানুয়ারি মাসেই শিক্ষার্থীরা নতুন বই হাতে পাবে।
চলতি বছর সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে দিতে প্রায় তিন মাস দেরি হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার। সে পরিস্থিতির আলোকে এবার আগেভাগেই বই ছাপানোর কাজ শুরু করেছিল এনসিটিবি। কিন্তু অনিশ্চয়তা দানা বাঁধে সম্প্রতি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবই ছাপানোর দরপত্র বাতিলের ঘটনায়। তবে কী কারণে দরপত্র বাতিল করা হয়েছে, এনসিটিবিকে তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।
সূত্র বলছে, সব মিলিয়ে মোট ২৮০টি লটের ১২ কোটির বেশি বই ছাপানোর দরপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণির বইয়ের সংখ্যা ৪ কোটি ৪৩ লাখ ২১ হাজার ৯০৬, সপ্তম শ্রেণির ৪ কোটি ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ৬৯২ এবং অষ্টম শ্রেণির ৪ কোটি ২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯৮টি। দরপত্র বাতিল হওয়া তিন শ্রেণির মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণির দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল গত ১৯ মে, সপ্তম শ্রেণির ১৫ মে এবং অষ্টম শ্রেণির ২ জুন।
সরকার ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে নতুন পাঠ্যবই দিচ্ছে। করোনা মহামারি ছাড়া বাকি বছরগুলোতে শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনেই উৎসব করে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই তুলে দেওয়া হয়। তবে গত বছর বই
উৎসব ছাড়াই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়। আগামী বছরও প্রথম দিনে নতুন বই তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে এনসিটিবির।
জানা যায়, আগামী বছরের জন্য প্রাক্-প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে ৩০ কোটি ২ লাখ ৫৫ হাজার ৬৭৯ কপি পাঠ্যবই ছাপাতে হবে। এগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের জন্য ২১ কোটি ৪৩ লাখ ১৮ হাজার ৪০ ও প্রাথমিক স্তরের জন্য ৮ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ৬৭৯টি রয়েছে। এসব বই ছাপানো ও বিতরণে সম্ভাব্য খরচ ধরা হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি।
নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে মাত্র তিন মাস বাকি। কিন্তু এনসিটিবি এবং মুদ্রণকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তরের ৫৩৪টি লটের পাঠ্যবই ছাপানোর দরপত্রপ্রক্রিয়াই শেষ করা যায়নি। তবে প্রাথমিক স্তরের প্রায় ২২ লাখ পাঠ্যবই ছাপা শেষে বিতরণের জন্য উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে।
এনসিটিবির একাধিক সূত্র জানায়, সাধারণত নতুন করে দরপত্র আহ্বান করে এই তিন শ্রেণির পাঠ্যবই ছাপাতে পাঁচ মাস সময়ের প্রয়োজন। যদিও গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা বলছে, কোনো কোনো বছর এর চেয়ে সময় লেগেছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নভেম্বর-ডিসেম্বরে মুদ্রণকারীরা নোট-গাইড ছাপানোয় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আবার আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন ঘিরে পোস্টার ছাপানোর কাজও বাড়বে। সব মিলিয়ে জানুয়ারির শুরুতে সব শিক্ষার্থীর হাতে বই দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
এ বিষয়ে এনসিটিবির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, কোনোভাবেই ১ জানুয়ারি সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া সম্ভব হবে না। কাজের গতি অনুযায়ী মনে হচ্ছে, সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন পাঠ্যবই তুলে দিতে অন্তত ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত লাগতে পারে।
মান নিয়েও রয়েছে শঙ্কা
এনসিটিবি সূত্র বলছে, এবার প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই ছাপাতে সরকারের সম্ভাব্য ব্যয় ছিল প্রায় সাড়ে চার শ কোটি টাকা। কিন্তু ৬১টি মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছে ৪৩২ কোটি টাকায়। অর্থাৎ সম্ভাব্য ব্যয়ের চেয়েও কম দরে কাজ পেয়েছে মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। একই অবস্থা হওয়ার শঙ্কা রয়েছে মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবই ছাপানোর ক্ষেত্রেও।
সূত্র আরও বলছে, বিলম্বে কার্যাদেশ ও চুক্তি হলে শেষ সময়ে নিম্নমানের কাগজে বই দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী নাম প্রকাশ করার শর্তে বলেন, এবার প্রাক্কলিত দরের চেয়ে গড়ে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কম দামে কাজ বাগিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করছে অসাধু মুদ্রণকারীরা।
জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী বলেন, ‘আশা করছি, যথাসময়েই শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই তুলে দিতে পারব। আর মানের বিষয়ে এবারও এনসিটিবি কোনো আপস করবে না।’

চলতি বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে দিতে প্রায় তিন মাস দেরি হয়েছিল। আগামী শিক্ষাবর্ষেও সব শিক্ষার্থীর হাতে বছরের শুরুতে নতুন বই তুলে দেওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারণ, মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবই ছাপার দরপত্রপ্রক্রিয়া এখনো শেষ হয়নি। তবে প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই ছাপার কাজ চলছে পুরোদমে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা যায়, সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির ৩২তম সভায় নতুন শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির বইয়ের দরপত্র অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তাই নতুন করে আবার এই তিন শ্রেণির দরপত্রপ্রক্রিয়া শুরু করেছে এনসিটিবি। আর নবম-দশম শ্রেণির দরপত্র মূল্যায়নের কাগজপত্র এখনো অনুমোদন হয়নি।
অবশ্য এনসিটিবি কর্তৃপক্ষ জানুয়ারির শুরুতেই সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন পাঠ্যবই পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। একই আশা ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদও। গত ২১ সেপ্টেম্বর সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, চলতি বছর নতুন বই তুলে দিতে দেরি হলেও আগামী শিক্ষাবর্ষে জানুয়ারি মাসেই শিক্ষার্থীরা নতুন বই হাতে পাবে।
চলতি বছর সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে দিতে প্রায় তিন মাস দেরি হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার। সে পরিস্থিতির আলোকে এবার আগেভাগেই বই ছাপানোর কাজ শুরু করেছিল এনসিটিবি। কিন্তু অনিশ্চয়তা দানা বাঁধে সম্প্রতি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবই ছাপানোর দরপত্র বাতিলের ঘটনায়। তবে কী কারণে দরপত্র বাতিল করা হয়েছে, এনসিটিবিকে তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।
সূত্র বলছে, সব মিলিয়ে মোট ২৮০টি লটের ১২ কোটির বেশি বই ছাপানোর দরপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণির বইয়ের সংখ্যা ৪ কোটি ৪৩ লাখ ২১ হাজার ৯০৬, সপ্তম শ্রেণির ৪ কোটি ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ৬৯২ এবং অষ্টম শ্রেণির ৪ কোটি ২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯৮টি। দরপত্র বাতিল হওয়া তিন শ্রেণির মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণির দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল গত ১৯ মে, সপ্তম শ্রেণির ১৫ মে এবং অষ্টম শ্রেণির ২ জুন।
সরকার ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে নতুন পাঠ্যবই দিচ্ছে। করোনা মহামারি ছাড়া বাকি বছরগুলোতে শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনেই উৎসব করে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই তুলে দেওয়া হয়। তবে গত বছর বই
উৎসব ছাড়াই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়। আগামী বছরও প্রথম দিনে নতুন বই তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে এনসিটিবির।
জানা যায়, আগামী বছরের জন্য প্রাক্-প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে ৩০ কোটি ২ লাখ ৫৫ হাজার ৬৭৯ কপি পাঠ্যবই ছাপাতে হবে। এগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের জন্য ২১ কোটি ৪৩ লাখ ১৮ হাজার ৪০ ও প্রাথমিক স্তরের জন্য ৮ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ৬৭৯টি রয়েছে। এসব বই ছাপানো ও বিতরণে সম্ভাব্য খরচ ধরা হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি।
নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে মাত্র তিন মাস বাকি। কিন্তু এনসিটিবি এবং মুদ্রণকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তরের ৫৩৪টি লটের পাঠ্যবই ছাপানোর দরপত্রপ্রক্রিয়াই শেষ করা যায়নি। তবে প্রাথমিক স্তরের প্রায় ২২ লাখ পাঠ্যবই ছাপা শেষে বিতরণের জন্য উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে।
এনসিটিবির একাধিক সূত্র জানায়, সাধারণত নতুন করে দরপত্র আহ্বান করে এই তিন শ্রেণির পাঠ্যবই ছাপাতে পাঁচ মাস সময়ের প্রয়োজন। যদিও গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা বলছে, কোনো কোনো বছর এর চেয়ে সময় লেগেছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নভেম্বর-ডিসেম্বরে মুদ্রণকারীরা নোট-গাইড ছাপানোয় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আবার আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন ঘিরে পোস্টার ছাপানোর কাজও বাড়বে। সব মিলিয়ে জানুয়ারির শুরুতে সব শিক্ষার্থীর হাতে বই দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
এ বিষয়ে এনসিটিবির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, কোনোভাবেই ১ জানুয়ারি সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া সম্ভব হবে না। কাজের গতি অনুযায়ী মনে হচ্ছে, সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন পাঠ্যবই তুলে দিতে অন্তত ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত লাগতে পারে।
মান নিয়েও রয়েছে শঙ্কা
এনসিটিবি সূত্র বলছে, এবার প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই ছাপাতে সরকারের সম্ভাব্য ব্যয় ছিল প্রায় সাড়ে চার শ কোটি টাকা। কিন্তু ৬১টি মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছে ৪৩২ কোটি টাকায়। অর্থাৎ সম্ভাব্য ব্যয়ের চেয়েও কম দরে কাজ পেয়েছে মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। একই অবস্থা হওয়ার শঙ্কা রয়েছে মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবই ছাপানোর ক্ষেত্রেও।
সূত্র আরও বলছে, বিলম্বে কার্যাদেশ ও চুক্তি হলে শেষ সময়ে নিম্নমানের কাগজে বই দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী নাম প্রকাশ করার শর্তে বলেন, এবার প্রাক্কলিত দরের চেয়ে গড়ে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কম দামে কাজ বাগিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করছে অসাধু মুদ্রণকারীরা।
জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী বলেন, ‘আশা করছি, যথাসময়েই শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই তুলে দিতে পারব। আর মানের বিষয়ে এবারও এনসিটিবি কোনো আপস করবে না।’

বাগেরহাটের ৪টি আসন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিতে এ আদেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন। বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
২ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাগেরহাটের ৪টি আসন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিতে এ আদেশ দেন।
এর ফলে বহাল থাকল বাগেরহাটের চারটি আসন। বাদ পড়েছে গাজীপুর-৬ আসনটিও।
এর আগে বাগেরহাটের আসন একটি কমিয়ে তিনটি করা এবং গাজীপুরে একটি বাড়ানো-সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের গেজেট চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত বাতিল করে গত ১০ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন।
হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পরপরই তা স্থগিত চেয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এবং গাজীপুর-৬ আসন থেকে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ড. হাফিজুর রহমান ও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মো. সালাহ উদ্দিন সরকার আপিল বিভাগে পৃথক আবেদন করেন।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ড. হাফিজুর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন।

বাগেরহাটের ৪টি আসন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিতে এ আদেশ দেন।
এর ফলে বহাল থাকল বাগেরহাটের চারটি আসন। বাদ পড়েছে গাজীপুর-৬ আসনটিও।
এর আগে বাগেরহাটের আসন একটি কমিয়ে তিনটি করা এবং গাজীপুরে একটি বাড়ানো-সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের গেজেট চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত বাতিল করে গত ১০ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন।
হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পরপরই তা স্থগিত চেয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এবং গাজীপুর-৬ আসন থেকে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ড. হাফিজুর রহমান ও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মো. সালাহ উদ্দিন সরকার আপিল বিভাগে পৃথক আবেদন করেন।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ড. হাফিজুর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন।

চলতি বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে দিতে প্রায় তিন মাস দেরি হয়েছিল। আগামী শিক্ষাবর্ষেও সব শিক্ষার্থীর হাতে বছরের শুরুতে নতুন বই তুলে দেওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারণ, মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবই ছাপার দরপত্রপ্রক্রিয়া এখনো শেষ হয়নি।
১১ অক্টোবর ২০২৫
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন। বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
২ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন।
বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের সার্বিক প্রস্তুতি ও তফসিল ঘোষণা বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে আলোচনা করতে বঙ্গভবনে গেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। সিইসি দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বঙ্গভবনে পৌঁছান।
এর আগে ১০টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে বঙ্গভবনের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে রয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ (অবসরপ্রাপ্ত), তাহমিদা বেগম, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও আব্দুর রহমানেল মাছউদ এবং ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। তফসিল-সংক্রান্ত ভাষণ রেকর্ড করতে ইতিমধ্যে বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারকে চিঠিও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন।
বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের সার্বিক প্রস্তুতি ও তফসিল ঘোষণা বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে আলোচনা করতে বঙ্গভবনে গেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। সিইসি দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বঙ্গভবনে পৌঁছান।
এর আগে ১০টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে বঙ্গভবনের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে রয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ (অবসরপ্রাপ্ত), তাহমিদা বেগম, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও আব্দুর রহমানেল মাছউদ এবং ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। তফসিল-সংক্রান্ত ভাষণ রেকর্ড করতে ইতিমধ্যে বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারকে চিঠিও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

চলতি বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে দিতে প্রায় তিন মাস দেরি হয়েছিল। আগামী শিক্ষাবর্ষেও সব শিক্ষার্থীর হাতে বছরের শুরুতে নতুন বই তুলে দেওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারণ, মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবই ছাপার দরপত্রপ্রক্রিয়া এখনো শেষ হয়নি।
১১ অক্টোবর ২০২৫
বাগেরহাটের ৪টি আসন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিতে এ আদেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ।
৪ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই কনভেনশনের আওতায় এটি বাংলাদেশের ষষ্ঠ একক নিবন্ধন। সভায় প্রথমবারের মতো সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর বিগত চার বছরে এটি দ্বিতীয় নিবন্ধন।
সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান এবং ইউনেসকো সাধারণ পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য অসামান্য গৌরবের বিষয়। দীর্ঘ দুই শতকের বেশি সময় ধরে টাঙ্গাইলের তাঁতিদের অনবদ্য শিল্পকর্মের বৈশ্বিক স্বীকৃতি এটি।’
তিনি আরও বলেন, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের সকল নারীর নিত্য পরিধেয়, যা এই শাড়ি বুনন শিল্পের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের পেছনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।’
এই অর্জনকে বাংলাদেশের সকল তাঁতি ও নারীদের প্রতি উৎসর্গ করেছেন রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা।
বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সামগ্রিক সুরক্ষায় এই স্বীকৃতি নতুন মাত্রা যোগ করবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত তালহা বলেন, ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেসকোর স্বীকৃতি অর্জনের মতো বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক উপাদান রয়েছে।
নথি প্রস্তুত করার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কনভেনশন সংক্রান্ত অভিজ্ঞ জনবল তৈরি করার মাধ্যমে আরও অনেক ঐতিহ্যের ইউনেসকো-স্বীকৃতি অর্জনের সুযোগ রয়েছে।
এর আগে, গত ৭ ডিসেম্বর আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের চলমান ২০তম সভা উদ্বোধন করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শংকর। অনুষ্ঠানে ইউনেসকোর নবনিযুক্ত মহাপরিচালক খালেদ এল. এনানি উপস্থিত ছিলেন।

টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই কনভেনশনের আওতায় এটি বাংলাদেশের ষষ্ঠ একক নিবন্ধন। সভায় প্রথমবারের মতো সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর বিগত চার বছরে এটি দ্বিতীয় নিবন্ধন।
সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান এবং ইউনেসকো সাধারণ পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য অসামান্য গৌরবের বিষয়। দীর্ঘ দুই শতকের বেশি সময় ধরে টাঙ্গাইলের তাঁতিদের অনবদ্য শিল্পকর্মের বৈশ্বিক স্বীকৃতি এটি।’
তিনি আরও বলেন, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের সকল নারীর নিত্য পরিধেয়, যা এই শাড়ি বুনন শিল্পের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের পেছনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।’
এই অর্জনকে বাংলাদেশের সকল তাঁতি ও নারীদের প্রতি উৎসর্গ করেছেন রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা।
বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সামগ্রিক সুরক্ষায় এই স্বীকৃতি নতুন মাত্রা যোগ করবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত তালহা বলেন, ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেসকোর স্বীকৃতি অর্জনের মতো বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক উপাদান রয়েছে।
নথি প্রস্তুত করার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কনভেনশন সংক্রান্ত অভিজ্ঞ জনবল তৈরি করার মাধ্যমে আরও অনেক ঐতিহ্যের ইউনেসকো-স্বীকৃতি অর্জনের সুযোগ রয়েছে।
এর আগে, গত ৭ ডিসেম্বর আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের চলমান ২০তম সভা উদ্বোধন করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শংকর। অনুষ্ঠানে ইউনেসকোর নবনিযুক্ত মহাপরিচালক খালেদ এল. এনানি উপস্থিত ছিলেন।

চলতি বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে দিতে প্রায় তিন মাস দেরি হয়েছিল। আগামী শিক্ষাবর্ষেও সব শিক্ষার্থীর হাতে বছরের শুরুতে নতুন বই তুলে দেওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারণ, মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবই ছাপার দরপত্রপ্রক্রিয়া এখনো শেষ হয়নি।
১১ অক্টোবর ২০২৫
বাগেরহাটের ৪টি আসন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিতে এ আদেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন। বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
২ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তোড়জোড়ের মধ্যে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
সমসাময়িক বিষয়ে আজ বুধবার বেলা ৩টায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলনকক্ষে আসিফ মাহমুদের সংবাদ সম্মেলন হবে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
সমসাময়িক কোন বিষয়ে আসিফ মাহমুদ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলবেন, মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণপত্রে তা উল্লেখ করা হয়নি। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজকের সংবাদ সম্মেলন থেকে উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন তিনি।
আজ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার পর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য ভাষণের রেকর্ড করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। আজ সন্ধ্যায় বা আগামীকাল বৃহস্পতিবার এই তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমও আজ পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন বলে আলোচনা রয়েছে।
উপদেষ্টার পদে থেকে নির্বাচন করতে আইনি বাধা না থাকলেও তফসিল ঘোষণার আগে সরকারে থাকা দুজন ছাত্র উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ। তাঁদের আন্দোলন একপর্যায়ে সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে রূপ নেয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। এরপর ওই বছরের ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন আসিফ মাহমুদ।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তোড়জোড়ের মধ্যে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
সমসাময়িক বিষয়ে আজ বুধবার বেলা ৩টায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলনকক্ষে আসিফ মাহমুদের সংবাদ সম্মেলন হবে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
সমসাময়িক কোন বিষয়ে আসিফ মাহমুদ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলবেন, মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণপত্রে তা উল্লেখ করা হয়নি। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজকের সংবাদ সম্মেলন থেকে উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন তিনি।
আজ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার পর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য ভাষণের রেকর্ড করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। আজ সন্ধ্যায় বা আগামীকাল বৃহস্পতিবার এই তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমও আজ পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন বলে আলোচনা রয়েছে।
উপদেষ্টার পদে থেকে নির্বাচন করতে আইনি বাধা না থাকলেও তফসিল ঘোষণার আগে সরকারে থাকা দুজন ছাত্র উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ। তাঁদের আন্দোলন একপর্যায়ে সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে রূপ নেয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। এরপর ওই বছরের ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন আসিফ মাহমুদ।

চলতি বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে দিতে প্রায় তিন মাস দেরি হয়েছিল। আগামী শিক্ষাবর্ষেও সব শিক্ষার্থীর হাতে বছরের শুরুতে নতুন বই তুলে দেওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারণ, মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবই ছাপার দরপত্রপ্রক্রিয়া এখনো শেষ হয়নি।
১১ অক্টোবর ২০২৫
বাগেরহাটের ৪টি আসন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিতে এ আদেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন। বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
২ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগে