সৈয়দ ঋয়াদ, ঢাকা

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের আমলে দেশের ব্যাংকগুলোয় নজিরবিহীন লুটপাট হয়েছে। অর্থ লোপাট ও পাচারের মূল হোতা হিসেবে নাম উঠে এসেছে এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল ইসলাম মাসুদ, বেক্সিমকো গ্রুপের সালমান এফ রহমান এবং আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) সংঘবদ্ধ একটি চক্রের। আর এই চক্রকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়তা করেছেন অর্থ পাচার ঠেকানোর গেটকিপারখ্যাত বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাস ও বিএফআইইউয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা। এই সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে দেশ থেকে ২৪ হাজার কোটি ডলার বা ২৮ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে।
শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি, দুদকের অনুসন্ধান এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
এসব প্রতিবেদনের তথ্য পর্যালোচনায় উঠে আসে, এই চক্রকে ঋণের নামে অর্থ লোপাটে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফজলে কবির, আব্দুর রউফ তালুকদার, সাবেক ডেপুটি গভর্নর ও নীতি উপদেষ্টা আবু মো. নাছের, কাজী ছাইদুর রহমান। এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংক পিএলসির এমডি মুহাম্মদ মনিরুল মওলা, সাবেক ডিএমডি মিফতাহ উদ্দীনসহ ডজনখানেক ব্যাংকের এমডি, ডিএমডিও পাচারের সঙ্গে যুক্ত।
দুদকের এক নথিতে বলা হয়, এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংক থেকে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা লুটপাটসহ আর্থিক অনিয়মের তদন্তের দায়িত্ব বিএফআইইউতে পাঠানো হলে মাসুদ বিশ্বাস গুরুতর অনিয়মকে গোয়েন্দা প্রতিবেদন হিসেবে দেখাননি। বরং তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে গোয়েন্দা প্রতিবেদনকে সাধারণ পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানোর অনুমতি দেন, যা পাচার এবং অনিয়মকে আশকারা দিয়েছে। একইভাবে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে রূপালী ব্যাংকের গ্রাহক ডলি কনস্ট্রাকশনকে একক গ্রাহক ঋণসীমা ভেঙে ৪০০ কোটি টাকার আর্থিক সুবিধা প্রদান, ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন ছাড়াই ব্যাংকটির চারটি শাখা থেকে অনিয়মের মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা সরানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়মুক্তির ব্যবস্থা করেন তিনি।
এদিকে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এস আলম গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, নাসা গ্রুপ, সাদ মুসা গ্রুপ, সাজিদা ফাউন্ডেশন, পি কে হালদারসহ কয়েকটি গ্রুপের মাধ্যমে ২৪০ বিলিয়ন ডলার বা ২৪ হাজার কোটি ডলার বিভিন্ন দেশে পাচার হয়েছে। দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ২৮ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। গড় হিসাবে প্রতিবছর ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও আর্থিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ অর্থ পাচার ঠেকাতে কোনো বাধা না দিয়ে বরং সহায়তা করেছে, যার দায় প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক খাতের এ দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থা এড়াতে পারে না।
দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ব্র্যাক ব্যাংকের গ্রাহক সাজিদা ফাউন্ডেশন ২০২১ সালে ৮২ হাজার ৪১৬ ডলার বিদেশে পাচার করেছে। যমুনা ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখার গ্রাহক শিরিন স্পিনিং মিলসের অনুকূলে কমপক্ষে ১০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স প্রেরণের ক্ষেত্রে অনিয়ম অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করেন মাসুদ বিশ্বাস। একইভাবে এনআরবিসি ব্যাংকের গ্রাহক টাইগার আইটির নামে ১ হাজার কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি প্রদানে প্রভাব বিস্তার করেন তিনি।
জানতে চাইলে বিএফআইইউর প্রথম প্রধান ও সাবেক ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহা. রাজী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজনৈতিক ও ওপরমহলের চাপ ও বাধা ছিল। এটা করা যাবে না, ওটা ধরা যাবে না, সব দেখা যাবে না ইত্যাদি। এর ওপর আমাদের আইনি ও নীতিমালার দুর্বলতা ছিল, পলিসি দুর্বল ছিল। ইমপ্লিমেন্টেশনে দুর্বলতা ছিল। সেই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ও প্রভাব খাটিয়ে যে অর্থ পাচার করা হচ্ছে, তা আমরা বুঝতে পারছিলাম। ব্যাংকারদের সাপোর্ট প্রয়োজন ছিল। একসময় অনেক ব্যাংকে এ জন্য জনবলও ছিল না। যার সুযোগ নিয়ে ব্যাংক খাতে অনিয়ম ও পাচার হয়েছে।’
দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, মাসুদ বিশ্বাস দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। স্কাই ক্যাপিটাল এয়ারলাইনসের বিমান কেনায় সন্দেহজনক অনিয়মের অভিযোগটি ঘুষের বিনিময়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে না পাঠিয়ে গুরুতর অপরাধ করেছেন। এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান তমাল পারভেজ ব্যাংক থেকে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা লুটপাটসহ আর্থিক অনিয়মের রিপোর্টকে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা-২০১৯-এর আওতায় গোয়েন্দা প্রতিবেদন হিসেবে না পাঠিয়ে সাধারণ পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন হিসেবে পাঠানোর অনুমতি দেন।
দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ২ জানুয়ারি মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। আর গত ১৮ জানুয়ারি তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রতিটি অভিযোগের তদন্ত চলমান। অভিযোগগুলোর প্রমাণ পেলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, বিএফআইইউর সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাস, সাবেক গভর্নর ফজলে কবির, আব্দুর রউফ তালুকদার, ইসলামী ব্যাংকের বর্তমান এমডি মুহাম্মদ মনিরুল মওলা, ডিএমডি মিফতাহ উদ্দীন আহমেদ, আকিজ উদ্দিন আওয়ামী লীগ আমলে এস আলমের মালিকানাধীন ৫টি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক থেকে অনিয়মের মাধ্যমে অর্থ সরাতে সহায়তা করে পাচারের পথ ঝামেলামুক্ত করেন। একই ভূমিকা ছিল অন্য ৫টি ব্যাংকের এমডি, ডিএমডি, অর্থ পাচার প্রতিরোধের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরও। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সময় বিএফআইইউর সাবেক ডেপুটি প্রধান, পরিচালক, অতিরিক্ত পরিচালক, যুগ্ম পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ-১, ২, বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ, বৈদেশিক মুদ্রা ট্রেজারি বিভাগ, বৈদেশিক মুদ্রা পরিদর্শন বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েকজন সমন্বয়ক ও পর্যবেক্ষক, অফসাইট সুপারভিশন ও পরিদর্শন বিভাগের কর্মকর্তাদের ওপর প্রভাব খাটিয়ে ইচ্ছেমতো নীতিমালা করতেন এস আলম ও বেক্সিমকোর কর্ণধারের নেতৃত্বাধীন সংঘবদ্ধ চক্র। এমনকি অর্থ লুটের সহায়ক প্রজ্ঞাপনও করাতেন তাঁরা। ওই চক্রের ইশারায় গভর্নর, বিএফআইইউ প্রধান, ডেপুটি প্রধানসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন, পদোন্নতিও হতো। আর ব্যাংকগুলো পরিদর্শন এস আলমের নির্দেশে বাইরে যাওয়ার সুযোগ ছিল না। কোনো কর্মকর্তা এস আলমের অনিয়ম ধরতে গেলে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হতো, দেখানো হতো চাকরিচ্যুতির ভয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম অফিসের নির্বাহী পরিচালকদের দেওয়া হতো গাড়ি উপহার। এ ছাড়া কর্মকর্তাদের জন্য স্তরভেদে ছিল মূল্যবান উপঢৌকন।
অর্থনীতিবিদ ড. এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, অবৈধ অর্থের উৎস বন্ধ না হলে অর্থ পাচার চলতেই থাকবে। বাংলাদেশে অবৈধ অর্থের উৎস বেশি। তাই তাঁরা তাঁদের অবৈধ অর্থ দেশে না রেখে বিদেশে পাচার করে দেন। যেহেতু এই টাকা অবৈধ, তাই তাঁদের পরিবারের কেউই নিরাপদ নন। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে বিভিন্ন কৌশলে তাঁরা অর্থ পাচার করে দেন।
২০১৬ সালের ১১ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক থেকে জানা গেছে, প্রতিবছর গড়ে ৫০০ কোটি টাকা করে পাচার হয়েছে। ওভার ইনভয়েস-আন্ডার ভয়েস করে টাকা পাচার হয়েছে। সেই পাচারের তথ্য জেনে নীরব ভূমিকা রেখেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান অর্থ পাচারের জন্য সরাসরি নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএফআইইউর কর্মকর্তাদের ভূমিকাকে দুষেছেন। আইনি দুর্বলতার চেয়ে তাঁদের দায় বেশি ছিল। তা পাচার ও অনিয়ম প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিলে পাচার উল্লেখযোগ্য হারে কমত।
বেসরকারি ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি)-এর চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ব্যাংক খাতের দুর্দশার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দায়ী করে বলেন, খেলাপি হওয়া ঋণকে নিয়মিত দেখাতে পুনর্গঠন (রিস্ট্রাকচার), পুনঃ তফসিল (রিশিডিউল) করার সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের আমলে দেশের ব্যাংকগুলোয় নজিরবিহীন লুটপাট হয়েছে। অর্থ লোপাট ও পাচারের মূল হোতা হিসেবে নাম উঠে এসেছে এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল ইসলাম মাসুদ, বেক্সিমকো গ্রুপের সালমান এফ রহমান এবং আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) সংঘবদ্ধ একটি চক্রের। আর এই চক্রকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়তা করেছেন অর্থ পাচার ঠেকানোর গেটকিপারখ্যাত বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাস ও বিএফআইইউয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা। এই সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে দেশ থেকে ২৪ হাজার কোটি ডলার বা ২৮ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে।
শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি, দুদকের অনুসন্ধান এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
এসব প্রতিবেদনের তথ্য পর্যালোচনায় উঠে আসে, এই চক্রকে ঋণের নামে অর্থ লোপাটে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফজলে কবির, আব্দুর রউফ তালুকদার, সাবেক ডেপুটি গভর্নর ও নীতি উপদেষ্টা আবু মো. নাছের, কাজী ছাইদুর রহমান। এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংক পিএলসির এমডি মুহাম্মদ মনিরুল মওলা, সাবেক ডিএমডি মিফতাহ উদ্দীনসহ ডজনখানেক ব্যাংকের এমডি, ডিএমডিও পাচারের সঙ্গে যুক্ত।
দুদকের এক নথিতে বলা হয়, এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংক থেকে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা লুটপাটসহ আর্থিক অনিয়মের তদন্তের দায়িত্ব বিএফআইইউতে পাঠানো হলে মাসুদ বিশ্বাস গুরুতর অনিয়মকে গোয়েন্দা প্রতিবেদন হিসেবে দেখাননি। বরং তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে গোয়েন্দা প্রতিবেদনকে সাধারণ পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানোর অনুমতি দেন, যা পাচার এবং অনিয়মকে আশকারা দিয়েছে। একইভাবে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে রূপালী ব্যাংকের গ্রাহক ডলি কনস্ট্রাকশনকে একক গ্রাহক ঋণসীমা ভেঙে ৪০০ কোটি টাকার আর্থিক সুবিধা প্রদান, ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন ছাড়াই ব্যাংকটির চারটি শাখা থেকে অনিয়মের মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা সরানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়মুক্তির ব্যবস্থা করেন তিনি।
এদিকে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এস আলম গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, নাসা গ্রুপ, সাদ মুসা গ্রুপ, সাজিদা ফাউন্ডেশন, পি কে হালদারসহ কয়েকটি গ্রুপের মাধ্যমে ২৪০ বিলিয়ন ডলার বা ২৪ হাজার কোটি ডলার বিভিন্ন দেশে পাচার হয়েছে। দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ২৮ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। গড় হিসাবে প্রতিবছর ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও আর্থিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ অর্থ পাচার ঠেকাতে কোনো বাধা না দিয়ে বরং সহায়তা করেছে, যার দায় প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক খাতের এ দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থা এড়াতে পারে না।
দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ব্র্যাক ব্যাংকের গ্রাহক সাজিদা ফাউন্ডেশন ২০২১ সালে ৮২ হাজার ৪১৬ ডলার বিদেশে পাচার করেছে। যমুনা ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখার গ্রাহক শিরিন স্পিনিং মিলসের অনুকূলে কমপক্ষে ১০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স প্রেরণের ক্ষেত্রে অনিয়ম অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করেন মাসুদ বিশ্বাস। একইভাবে এনআরবিসি ব্যাংকের গ্রাহক টাইগার আইটির নামে ১ হাজার কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি প্রদানে প্রভাব বিস্তার করেন তিনি।
জানতে চাইলে বিএফআইইউর প্রথম প্রধান ও সাবেক ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহা. রাজী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজনৈতিক ও ওপরমহলের চাপ ও বাধা ছিল। এটা করা যাবে না, ওটা ধরা যাবে না, সব দেখা যাবে না ইত্যাদি। এর ওপর আমাদের আইনি ও নীতিমালার দুর্বলতা ছিল, পলিসি দুর্বল ছিল। ইমপ্লিমেন্টেশনে দুর্বলতা ছিল। সেই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ও প্রভাব খাটিয়ে যে অর্থ পাচার করা হচ্ছে, তা আমরা বুঝতে পারছিলাম। ব্যাংকারদের সাপোর্ট প্রয়োজন ছিল। একসময় অনেক ব্যাংকে এ জন্য জনবলও ছিল না। যার সুযোগ নিয়ে ব্যাংক খাতে অনিয়ম ও পাচার হয়েছে।’
দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, মাসুদ বিশ্বাস দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। স্কাই ক্যাপিটাল এয়ারলাইনসের বিমান কেনায় সন্দেহজনক অনিয়মের অভিযোগটি ঘুষের বিনিময়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে না পাঠিয়ে গুরুতর অপরাধ করেছেন। এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান তমাল পারভেজ ব্যাংক থেকে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা লুটপাটসহ আর্থিক অনিয়মের রিপোর্টকে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা-২০১৯-এর আওতায় গোয়েন্দা প্রতিবেদন হিসেবে না পাঠিয়ে সাধারণ পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন হিসেবে পাঠানোর অনুমতি দেন।
দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ২ জানুয়ারি মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। আর গত ১৮ জানুয়ারি তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রতিটি অভিযোগের তদন্ত চলমান। অভিযোগগুলোর প্রমাণ পেলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, বিএফআইইউর সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাস, সাবেক গভর্নর ফজলে কবির, আব্দুর রউফ তালুকদার, ইসলামী ব্যাংকের বর্তমান এমডি মুহাম্মদ মনিরুল মওলা, ডিএমডি মিফতাহ উদ্দীন আহমেদ, আকিজ উদ্দিন আওয়ামী লীগ আমলে এস আলমের মালিকানাধীন ৫টি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক থেকে অনিয়মের মাধ্যমে অর্থ সরাতে সহায়তা করে পাচারের পথ ঝামেলামুক্ত করেন। একই ভূমিকা ছিল অন্য ৫টি ব্যাংকের এমডি, ডিএমডি, অর্থ পাচার প্রতিরোধের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরও। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সময় বিএফআইইউর সাবেক ডেপুটি প্রধান, পরিচালক, অতিরিক্ত পরিচালক, যুগ্ম পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ-১, ২, বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ, বৈদেশিক মুদ্রা ট্রেজারি বিভাগ, বৈদেশিক মুদ্রা পরিদর্শন বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েকজন সমন্বয়ক ও পর্যবেক্ষক, অফসাইট সুপারভিশন ও পরিদর্শন বিভাগের কর্মকর্তাদের ওপর প্রভাব খাটিয়ে ইচ্ছেমতো নীতিমালা করতেন এস আলম ও বেক্সিমকোর কর্ণধারের নেতৃত্বাধীন সংঘবদ্ধ চক্র। এমনকি অর্থ লুটের সহায়ক প্রজ্ঞাপনও করাতেন তাঁরা। ওই চক্রের ইশারায় গভর্নর, বিএফআইইউ প্রধান, ডেপুটি প্রধানসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন, পদোন্নতিও হতো। আর ব্যাংকগুলো পরিদর্শন এস আলমের নির্দেশে বাইরে যাওয়ার সুযোগ ছিল না। কোনো কর্মকর্তা এস আলমের অনিয়ম ধরতে গেলে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হতো, দেখানো হতো চাকরিচ্যুতির ভয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম অফিসের নির্বাহী পরিচালকদের দেওয়া হতো গাড়ি উপহার। এ ছাড়া কর্মকর্তাদের জন্য স্তরভেদে ছিল মূল্যবান উপঢৌকন।
অর্থনীতিবিদ ড. এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, অবৈধ অর্থের উৎস বন্ধ না হলে অর্থ পাচার চলতেই থাকবে। বাংলাদেশে অবৈধ অর্থের উৎস বেশি। তাই তাঁরা তাঁদের অবৈধ অর্থ দেশে না রেখে বিদেশে পাচার করে দেন। যেহেতু এই টাকা অবৈধ, তাই তাঁদের পরিবারের কেউই নিরাপদ নন। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে বিভিন্ন কৌশলে তাঁরা অর্থ পাচার করে দেন।
২০১৬ সালের ১১ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক থেকে জানা গেছে, প্রতিবছর গড়ে ৫০০ কোটি টাকা করে পাচার হয়েছে। ওভার ইনভয়েস-আন্ডার ভয়েস করে টাকা পাচার হয়েছে। সেই পাচারের তথ্য জেনে নীরব ভূমিকা রেখেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান অর্থ পাচারের জন্য সরাসরি নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএফআইইউর কর্মকর্তাদের ভূমিকাকে দুষেছেন। আইনি দুর্বলতার চেয়ে তাঁদের দায় বেশি ছিল। তা পাচার ও অনিয়ম প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিলে পাচার উল্লেখযোগ্য হারে কমত।
বেসরকারি ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি)-এর চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ব্যাংক খাতের দুর্দশার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দায়ী করে বলেন, খেলাপি হওয়া ঋণকে নিয়মিত দেখাতে পুনর্গঠন (রিস্ট্রাকচার), পুনঃ তফসিল (রিশিডিউল) করার সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের নতুন করে একটি সুযোগ দিয়েছে। অন্য জেনারেশন এই সুযোগ পাবে না। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারব। আর যদি না পারি, তাহলে জাতি মুখ থুবড়ে পড়বে। এর আগেও আমরা নির্বাচন দেখেছি। বিগত আমলে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, যেকোনো সুস্থ মানুষ
১ ঘণ্টা আগে
বাগেরহাটের ৪টি আসন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিতে এ আদেশ দেন।
২ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন। বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
৩ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী আগামী নির্বাচনকে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এই নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের মাধ্যমে স্মরণীয় করে রাখতে হবে।
রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা থেকে আজ বুধবার সারা দেশের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন দেশের সব জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা।
প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের নতুন করে একটি সুযোগ দিয়েছে। অন্য জেনারেশন এই সুযোগ পাবে না। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারব। আর যদি না পারি, তাহলে জাতি মুখ থুবড়ে পড়বে। এর আগেও আমরা নির্বাচন দেখেছি। বিগত আমলে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, যেকোনো সুস্থ মানুষ বলবে—এটা নির্বাচন নয়, প্রতারণা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন অন্যান্য দায়িত্বের মতো নয়; বরং একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব। আমরা যদি ভালোভাবে এই দায়িত্ব পালন করতে পারি, তাহলে আগামী নির্বাচনের দিনটি জনগণের জন্যও ঐতিহাসিক হবে।’
ইউএনওদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আপনারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে সরকার তার দায়িত্বটি সফলভাবে পালন করতে সক্ষম হবে।’
আগামী সংসদ নির্বাচন ও গণভোট দুটিই জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘নির্বাচন আগামী পাঁচ বছরের জন্য আর গণভোট শত বছরের জন্য। এর মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশটাকে স্থায়ীভাবে পাল্টে দিতে পারি। যে নতুন বাংলাদেশ আমরা তৈরি করতে চাই, তার ভিতটা এর মাধ্যমে গড়তে পারি।’
এ সময় সদ্য যোগদান করা ইউএনওদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনাদের প্রধান দায়িত্ব হলো একটি শান্তিপূর্ণ ও আনন্দমুখর নির্বাচন আয়োজন করা।’
প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের নিজ নিজ এলাকার সব পোলিং স্টেশন পরিদর্শনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ, এলাকাবাসী ও সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে সুন্দর নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেন।
গণভোট বিষয়ে ভোটারদের সচেতন করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘ভোটারদের বোঝাতে হবে, আপনারা মন ঠিক করে আসুন—“হ্যাঁ”-তে দেবেন নাকি “না”-তে ভোট দেবেন। মন ঠিক করে আসুন।’
কর্মকর্তাদের ধাত্রীর সঙ্গে তুলনা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ধাত্রী ভালো হলে জন্ম নেওয়া শিশুও ভালো হয়।
তিনি কর্মকর্তাদের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সৃজনশীল হওয়ার পাশাপাশি অপতথ্য ও গুজব প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন।
নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নারীরা যেন ঠিকভাবে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।
শিগগির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে উল্লেখ করে ড. ইউনূস ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত কখন, কীভাবে, কোন কাজটি করবেন—তার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি এখন থেকেই নিন।’
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম ও জনপ্রশাসন সচিব মো. এহছানুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী আগামী নির্বাচনকে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এই নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের মাধ্যমে স্মরণীয় করে রাখতে হবে।
রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা থেকে আজ বুধবার সারা দেশের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন দেশের সব জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা।
প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের নতুন করে একটি সুযোগ দিয়েছে। অন্য জেনারেশন এই সুযোগ পাবে না। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারব। আর যদি না পারি, তাহলে জাতি মুখ থুবড়ে পড়বে। এর আগেও আমরা নির্বাচন দেখেছি। বিগত আমলে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, যেকোনো সুস্থ মানুষ বলবে—এটা নির্বাচন নয়, প্রতারণা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন অন্যান্য দায়িত্বের মতো নয়; বরং একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব। আমরা যদি ভালোভাবে এই দায়িত্ব পালন করতে পারি, তাহলে আগামী নির্বাচনের দিনটি জনগণের জন্যও ঐতিহাসিক হবে।’
ইউএনওদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আপনারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে সরকার তার দায়িত্বটি সফলভাবে পালন করতে সক্ষম হবে।’
আগামী সংসদ নির্বাচন ও গণভোট দুটিই জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘নির্বাচন আগামী পাঁচ বছরের জন্য আর গণভোট শত বছরের জন্য। এর মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশটাকে স্থায়ীভাবে পাল্টে দিতে পারি। যে নতুন বাংলাদেশ আমরা তৈরি করতে চাই, তার ভিতটা এর মাধ্যমে গড়তে পারি।’
এ সময় সদ্য যোগদান করা ইউএনওদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনাদের প্রধান দায়িত্ব হলো একটি শান্তিপূর্ণ ও আনন্দমুখর নির্বাচন আয়োজন করা।’
প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের নিজ নিজ এলাকার সব পোলিং স্টেশন পরিদর্শনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ, এলাকাবাসী ও সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে সুন্দর নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেন।
গণভোট বিষয়ে ভোটারদের সচেতন করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘ভোটারদের বোঝাতে হবে, আপনারা মন ঠিক করে আসুন—“হ্যাঁ”-তে দেবেন নাকি “না”-তে ভোট দেবেন। মন ঠিক করে আসুন।’
কর্মকর্তাদের ধাত্রীর সঙ্গে তুলনা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ধাত্রী ভালো হলে জন্ম নেওয়া শিশুও ভালো হয়।
তিনি কর্মকর্তাদের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সৃজনশীল হওয়ার পাশাপাশি অপতথ্য ও গুজব প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন।
নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নারীরা যেন ঠিকভাবে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।
শিগগির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে উল্লেখ করে ড. ইউনূস ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত কখন, কীভাবে, কোন কাজটি করবেন—তার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি এখন থেকেই নিন।’
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম ও জনপ্রশাসন সচিব মো. এহছানুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের আমলে দেশের ব্যাংকগুলোয় নজিরবিহীন লুটপাট হয়েছে। অর্থ লোপাট ও পাচারের মূল হোতা হিসেবে নাম উঠে এসেছে এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল ইসলাম মাসুদ, বেক্সিমকো গ্রুপের সালমান এফ রহমান এবং আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) সংঘবদ্ধ একটি চক্রের।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাগেরহাটের ৪টি আসন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিতে এ আদেশ দেন।
২ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন। বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
৩ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাগেরহাটের ৪টি আসন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিতে এ আদেশ দেন।
এর ফলে বহাল থাকল বাগেরহাটের চারটি আসন। বাদ পড়েছে গাজীপুর-৬ আসনটিও।
এর আগে বাগেরহাটের আসন একটি কমিয়ে তিনটি করা এবং গাজীপুরে একটি বাড়ানো-সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের গেজেট চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত বাতিল করে গত ১০ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন।
হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পরপরই তা স্থগিত চেয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এবং গাজীপুর-৬ আসন থেকে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ড. হাফিজুর রহমান ও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মো. সালাহ উদ্দিন সরকার আপিল বিভাগে পৃথক আবেদন করেন।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ড. হাফিজুর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন।

বাগেরহাটের ৪টি আসন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিতে এ আদেশ দেন।
এর ফলে বহাল থাকল বাগেরহাটের চারটি আসন। বাদ পড়েছে গাজীপুর-৬ আসনটিও।
এর আগে বাগেরহাটের আসন একটি কমিয়ে তিনটি করা এবং গাজীপুরে একটি বাড়ানো-সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের গেজেট চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত বাতিল করে গত ১০ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন।
হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পরপরই তা স্থগিত চেয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এবং গাজীপুর-৬ আসন থেকে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ড. হাফিজুর রহমান ও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মো. সালাহ উদ্দিন সরকার আপিল বিভাগে পৃথক আবেদন করেন।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ড. হাফিজুর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের আমলে দেশের ব্যাংকগুলোয় নজিরবিহীন লুটপাট হয়েছে। অর্থ লোপাট ও পাচারের মূল হোতা হিসেবে নাম উঠে এসেছে এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল ইসলাম মাসুদ, বেক্সিমকো গ্রুপের সালমান এফ রহমান এবং আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) সংঘবদ্ধ একটি চক্রের।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের নতুন করে একটি সুযোগ দিয়েছে। অন্য জেনারেশন এই সুযোগ পাবে না। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারব। আর যদি না পারি, তাহলে জাতি মুখ থুবড়ে পড়বে। এর আগেও আমরা নির্বাচন দেখেছি। বিগত আমলে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, যেকোনো সুস্থ মানুষ
১ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন। বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
৩ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন।
বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের সার্বিক প্রস্তুতি ও তফসিল ঘোষণা বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে আলোচনা করতে বঙ্গভবনে গেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। সিইসি দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বঙ্গভবনে পৌঁছান।
এর আগে ১০টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে বঙ্গভবনের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে রয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ (অবসরপ্রাপ্ত), তাহমিদা বেগম, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও আব্দুর রহমানেল মাছউদ এবং ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। তফসিল-সংক্রান্ত ভাষণ রেকর্ড করতে ইতিমধ্যে বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারকে চিঠিও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন।
বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের সার্বিক প্রস্তুতি ও তফসিল ঘোষণা বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে আলোচনা করতে বঙ্গভবনে গেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। সিইসি দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বঙ্গভবনে পৌঁছান।
এর আগে ১০টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে বঙ্গভবনের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে রয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ (অবসরপ্রাপ্ত), তাহমিদা বেগম, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও আব্দুর রহমানেল মাছউদ এবং ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। তফসিল-সংক্রান্ত ভাষণ রেকর্ড করতে ইতিমধ্যে বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারকে চিঠিও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের আমলে দেশের ব্যাংকগুলোয় নজিরবিহীন লুটপাট হয়েছে। অর্থ লোপাট ও পাচারের মূল হোতা হিসেবে নাম উঠে এসেছে এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল ইসলাম মাসুদ, বেক্সিমকো গ্রুপের সালমান এফ রহমান এবং আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) সংঘবদ্ধ একটি চক্রের।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের নতুন করে একটি সুযোগ দিয়েছে। অন্য জেনারেশন এই সুযোগ পাবে না। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারব। আর যদি না পারি, তাহলে জাতি মুখ থুবড়ে পড়বে। এর আগেও আমরা নির্বাচন দেখেছি। বিগত আমলে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, যেকোনো সুস্থ মানুষ
১ ঘণ্টা আগে
বাগেরহাটের ৪টি আসন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিতে এ আদেশ দেন।
২ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৫ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই কনভেনশনের আওতায় এটি বাংলাদেশের ষষ্ঠ একক নিবন্ধন। সভায় প্রথমবারের মতো সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর বিগত চার বছরে এটি দ্বিতীয় নিবন্ধন।
সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান এবং ইউনেসকো সাধারণ পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য অসামান্য গৌরবের বিষয়। দীর্ঘ দুই শতকের বেশি সময় ধরে টাঙ্গাইলের তাঁতিদের অনবদ্য শিল্পকর্মের বৈশ্বিক স্বীকৃতি এটি।’
তিনি আরও বলেন, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের সকল নারীর নিত্য পরিধেয়, যা এই শাড়ি বুনন শিল্পের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের পেছনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।’
এই অর্জনকে বাংলাদেশের সকল তাঁতি ও নারীদের প্রতি উৎসর্গ করেছেন রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা।
বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সামগ্রিক সুরক্ষায় এই স্বীকৃতি নতুন মাত্রা যোগ করবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত তালহা বলেন, ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেসকোর স্বীকৃতি অর্জনের মতো বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক উপাদান রয়েছে।
নথি প্রস্তুত করার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কনভেনশন সংক্রান্ত অভিজ্ঞ জনবল তৈরি করার মাধ্যমে আরও অনেক ঐতিহ্যের ইউনেসকো-স্বীকৃতি অর্জনের সুযোগ রয়েছে।
এর আগে, গত ৭ ডিসেম্বর আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের চলমান ২০তম সভা উদ্বোধন করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শংকর। অনুষ্ঠানে ইউনেসকোর নবনিযুক্ত মহাপরিচালক খালেদ এল. এনানি উপস্থিত ছিলেন।

টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই কনভেনশনের আওতায় এটি বাংলাদেশের ষষ্ঠ একক নিবন্ধন। সভায় প্রথমবারের মতো সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর বিগত চার বছরে এটি দ্বিতীয় নিবন্ধন।
সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান এবং ইউনেসকো সাধারণ পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য অসামান্য গৌরবের বিষয়। দীর্ঘ দুই শতকের বেশি সময় ধরে টাঙ্গাইলের তাঁতিদের অনবদ্য শিল্পকর্মের বৈশ্বিক স্বীকৃতি এটি।’
তিনি আরও বলেন, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের সকল নারীর নিত্য পরিধেয়, যা এই শাড়ি বুনন শিল্পের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের পেছনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।’
এই অর্জনকে বাংলাদেশের সকল তাঁতি ও নারীদের প্রতি উৎসর্গ করেছেন রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা।
বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সামগ্রিক সুরক্ষায় এই স্বীকৃতি নতুন মাত্রা যোগ করবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত তালহা বলেন, ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেসকোর স্বীকৃতি অর্জনের মতো বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক উপাদান রয়েছে।
নথি প্রস্তুত করার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কনভেনশন সংক্রান্ত অভিজ্ঞ জনবল তৈরি করার মাধ্যমে আরও অনেক ঐতিহ্যের ইউনেসকো-স্বীকৃতি অর্জনের সুযোগ রয়েছে।
এর আগে, গত ৭ ডিসেম্বর আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের চলমান ২০তম সভা উদ্বোধন করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শংকর। অনুষ্ঠানে ইউনেসকোর নবনিযুক্ত মহাপরিচালক খালেদ এল. এনানি উপস্থিত ছিলেন।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের আমলে দেশের ব্যাংকগুলোয় নজিরবিহীন লুটপাট হয়েছে। অর্থ লোপাট ও পাচারের মূল হোতা হিসেবে নাম উঠে এসেছে এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল ইসলাম মাসুদ, বেক্সিমকো গ্রুপের সালমান এফ রহমান এবং আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) সংঘবদ্ধ একটি চক্রের।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের নতুন করে একটি সুযোগ দিয়েছে। অন্য জেনারেশন এই সুযোগ পাবে না। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারব। আর যদি না পারি, তাহলে জাতি মুখ থুবড়ে পড়বে। এর আগেও আমরা নির্বাচন দেখেছি। বিগত আমলে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, যেকোনো সুস্থ মানুষ
১ ঘণ্টা আগে
বাগেরহাটের ৪টি আসন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিতে এ আদেশ দেন।
২ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন। বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
৩ ঘণ্টা আগে