নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কখনোই প্রাইভেট খাতের হাতে ছেড়ে দেওয়ার মতো বিষয় নয়, এগুলো রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হওয়া উচিত। জাতীয় উন্নয়নের পথে এগোতে চাইলে জনগণকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এবং সুশিক্ষিত নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নিমো লার্নিং-এর আয়োজনে ‘সাক্ষরতায় বাংলাদেশের অর্জন এবং আগামীর পরিকল্পনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ক্রমেই স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো জাতীয় বিষয়কে প্রাইভেট বিষয় করে তুলেছি। এতে মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর লাভ হয়েছে। যদি জাতীয় স্বার্থের কথা চিন্তা করেন তা কখনোই রক্ষিত হয় না। শ্রমিক যদি শারীরিকভাবে সক্ষম না হয় তাহলে কীভাবে কারখানায় কাজ করবে। শ্রমিক যদি বেসিক শিক্ষায় শিক্ষিত না হয় তাহলে কীভাবে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন কারখানায় নিয়ে আসবে। উপযুক্ত শিক্ষা হচ্ছে না বলেই একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় সমাজে। তাই এটা নিয়ে আমাদের ভাবা দরকার।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সুস্বাস্থ্য ও সুশিক্ষা কখনোই প্রাইভেট বিষয় হতে পারে না, বরং রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হিসেবে দেখতে হবে। পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম বাড়াতে হবে। তবেই জাতি হিসেবে আমরা এগোতে পারব, না হলে একই চক্রে ঘুরপাক খেতে হবে।’
তিনি বলেন, আমাদের দেশে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাকে ধীরে ধীরে জাতীয় দায়িত্ব থেকে প্রাইভেট খাতে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে মুষ্টিমেয় গোষ্ঠী লাভবান হলেও জাতীয় স্বার্থ রক্ষা হয়নি। শিক্ষা ব্যবস্থায় বিভাজন তৈরি হয়েছে—একদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, অন্যদিকে প্রাইভেট ও ইংলিশ মিডিয়াম। এই বিভাজনই শিক্ষার ঐক্য নষ্ট করছে।
বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার মনে করেন, ১৯৯০ সালে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার আইন করা হলেও তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি। তার ভাষায়, ‘যদি প্রাথমিক শিক্ষা আইন অনুযায়ী বাধ্যতামূলক হয়, তবে এত বিপুলসংখ্যক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কেন গড়ে উঠল? সরকারি স্কুলগুলো কেন মানসম্পন্ন শিক্ষা দিতে পারল না? এর দায় রাষ্ট্রকেই নিতে হবে।’
উপদেষ্টা বলেন, উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর যেই পরিবর্তনগুলো দেখছেন সেই পরিবর্তনগুলো বর্তমান সময়েরই পরিবর্তন। কারণ আমাদের উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা বোর্ডকে বলতে পারেন একটি বাজে প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছিল। সেটাকে আমরা একটা নতুন পথে নিয়ে যাচ্ছি এবং সেটা আস্তে আস্তে আপনাদের সবার দৃষ্টিগোচর হয়ে উঠবে যখন চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে আমাদের কার্যক্রমগুলো।
যেই দেশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে তারাই এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘দক্ষ জনবল প্রয়োজনের মূলই হলো শিক্ষা। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ চীনের কথা কল্পনা করেন। যদিও দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছি ১৯৭১ সালে। কিন্তু আমরা স্বাধীন হয়েছি ব্রিটিশদের কাছ থেকে ১৯৪৭ সালে। চীন স্বাধীন হয়েছে দুই বছর পর ১৯৪৯ সালে। তারা কোথায় আজকে আর আমরা কোথায়। তাদের পলিসিতে তিনটা বিষয় তারা ঠিক রেখেছে, একটি হলো স্বাস্থ্য, দ্বিতীয়টি শিক্ষা আর তৃতীয়টি সামাজিক শৃঙ্খলা। এই তিনটা মূল মন্ত্রে চীন আজ এগিয়ে যাচ্ছে। যারা এটা পারছে না, তারা কোনো দিন এগোতে পারবে না। তারা বিশৃঙ্খলা মধ্যেই পড়ে থাকবে। ফলে জাতীয়ভাবে যদি চিন্তা করি, আমাদের প্রয়োজন জনগণকে সুস্বাস্থ্যবান এবং সুশিক্ষিত গড়ে তোলা। এছাড়া উন্নয়নের কোনো পথ নেই। দেশের উন্নয়নের জন্য শিক্ষার প্রয়োজন।’
উপদেষ্টা বলেন, কাগজে কলমে আমাদের মধ্যে এক ধরনের পরিবর্তন অবশ্যই ঘটেছে। কিন্তু আমরা প্রকৃত অর্থে ব্রিটিশরা আমাদের যা শিখিয়ে গেছে তার থেকে একচুলও এগোয়নি। আমাদের শিক্ষার উদ্দেশ্য কি কেরানি তৈরি করা। এখনো তাই, এর বেশি কিছুই না। বাস্তবিকভাবে বিষয়টি ভাবেন, আমাদের আয়ের বড় উৎস হলো প্রবাসীদের আয়। কিন্তু তারা সবচেয়ে কম আয় করেন কারণ তাদের শিক্ষার স্তরটা খুবই দুর্বল। তাহলে জাতীয়ভাবে চিন্তা করলে শিক্ষার প্রয়োজন।
নিমো লার্নিংয়ের চেয়ারম্যান জাফর রেজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান। পরে আলোচনায় অংশ নেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব সোহরাব হাসান, সাবেক শিক্ষিকা ও অভিনেত্রী দিলারা জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কুতুবউদ্দিন, বিএনসিসির সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) নাহিদুল ইসলাম খান।
সাংবাদিক সোহরাব হাসান বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা শিক্ষার ভিত তৈরি করে। বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষাকে বেশি অবহেলার চোখে দেখা হয়। এটা এখন বিশ্ববিদ্যালয়েও দেখা যাচ্ছে। তা না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা ছেড়ে কেন বিসিএসে যান। উন্নত দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে সমাজের অভিভাবক ভাবা হয়। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও আমরা শিক্ষকদের সেই মর্যাদা দিতে পারিনি।’
বিএনসিসির সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাহিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘আপনারা রাস্তায় বের হয়েই দেখেন শিশুরা কাজ করছে। আমরা তাদের শিক্ষা দিতে পারছি না। তাই হঠাৎ করে কি শিশুশ্রম বন্ধ করে দিতে পারবেন? তাদের খাবারটা দেবে কে? পথশিশুটিকে আনবেন পড়াশোনার জন্য, সে কি আসবে? তাঁকে ইনসেনটিভ দিতে হবে তাহলেই আসবে। যারা শিক্ষাটা দেবে তাদেরও ইনসেনটিভ দিতে হবে। তাহলেও সেই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘ন্যূনতম শিক্ষা না থাকায় বিদেশেও আমরা শ্রমিক পাঠাতে পারছি না। যদি এটা দেওয়া সম্ভব হতো তাহলে বিদেশেও লোক পাঠানো যেত।’
এ সময় দেশের নানা পদ্ধতির সমালোচনা করে বিএনসিসির সাবেক মহাপরিচালক বলেন, আমরা নিজেরা যদি সবকিছুর দায় নিয়ে কাজ করি, তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে। দেশে ভালো যত আইন ও ব্যবস্থা রয়েছে সেসব যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা দরকার।’
উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক দেবব্রত চক্রবর্তী বলেন, ‘কার্যকর সাক্ষরতা নিয়ে কাজ করছি। স্কুল থেকে শিক্ষার্থীরা নানা কারণে ঝরে যায়। তারা স্কুলে আসছে না। তাই আমরাই তাদের কাছে যাচ্ছি। তাদের শিক্ষার পাশাপাশি তাদের বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের কাজ শিখাচ্ছি। এতে দ্রুতই তারা চাকরিও পেয়ে যাচ্ছেন। আমরা এই শিক্ষার পরিসরটা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছি। মানসম্মত শিক্ষাটা বাড়াতে হবে। গ্রাম ও শহরের বৈষম্যটা অবশ্যই কমাতে হবে।’
অভিনেত্রী দিলারা জামান বলেন, ‘বাচ্চারা শিখবে আনন্দের ভেতর দিয়ে ভালোবাসার ভেতর দিয়ে। প্রচলিত পড়া ও পদ্ধতি আমি সেখান থেকে আলাদা হয়ে ক্লাসে সবাইকে নিয়ে হেসে নেচে গেয়ে বাচ্চাদের ভেতরে নতুন কিছু দিতে চেষ্টা করেছিলাম। সেখানে আসত খালি বাধা আর বাধা। অতঃপর সেই স্থান ত্যাগ করে আমি চলে এলাম জনগণের মাঝে। আমি জানি না সেটা আমার জন্য কতখানি অভিশাপের ব্যাপার হয়েছিল বা কষ্টের ব্যাপার হয়েছিল যার প্রায়শ্চিত্ত করার জন্যই আজকে এখানে ছুটে আসা।’
তিনি বলেন, ‘যত কমিশন হয়েছে, যা কিছু হয়েছে আমার মনে হয়েছে আমরা বাচ্চাদের কাছে যেতে পারছি না। কী কারণে যেতে পারিনি, তা নানা সময়ে আলোচনা হয়েছে।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কখনোই প্রাইভেট খাতের হাতে ছেড়ে দেওয়ার মতো বিষয় নয়, এগুলো রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হওয়া উচিত। জাতীয় উন্নয়নের পথে এগোতে চাইলে জনগণকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এবং সুশিক্ষিত নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নিমো লার্নিং-এর আয়োজনে ‘সাক্ষরতায় বাংলাদেশের অর্জন এবং আগামীর পরিকল্পনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ক্রমেই স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো জাতীয় বিষয়কে প্রাইভেট বিষয় করে তুলেছি। এতে মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর লাভ হয়েছে। যদি জাতীয় স্বার্থের কথা চিন্তা করেন তা কখনোই রক্ষিত হয় না। শ্রমিক যদি শারীরিকভাবে সক্ষম না হয় তাহলে কীভাবে কারখানায় কাজ করবে। শ্রমিক যদি বেসিক শিক্ষায় শিক্ষিত না হয় তাহলে কীভাবে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন কারখানায় নিয়ে আসবে। উপযুক্ত শিক্ষা হচ্ছে না বলেই একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় সমাজে। তাই এটা নিয়ে আমাদের ভাবা দরকার।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সুস্বাস্থ্য ও সুশিক্ষা কখনোই প্রাইভেট বিষয় হতে পারে না, বরং রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হিসেবে দেখতে হবে। পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম বাড়াতে হবে। তবেই জাতি হিসেবে আমরা এগোতে পারব, না হলে একই চক্রে ঘুরপাক খেতে হবে।’
তিনি বলেন, আমাদের দেশে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাকে ধীরে ধীরে জাতীয় দায়িত্ব থেকে প্রাইভেট খাতে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে মুষ্টিমেয় গোষ্ঠী লাভবান হলেও জাতীয় স্বার্থ রক্ষা হয়নি। শিক্ষা ব্যবস্থায় বিভাজন তৈরি হয়েছে—একদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, অন্যদিকে প্রাইভেট ও ইংলিশ মিডিয়াম। এই বিভাজনই শিক্ষার ঐক্য নষ্ট করছে।
বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার মনে করেন, ১৯৯০ সালে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার আইন করা হলেও তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি। তার ভাষায়, ‘যদি প্রাথমিক শিক্ষা আইন অনুযায়ী বাধ্যতামূলক হয়, তবে এত বিপুলসংখ্যক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কেন গড়ে উঠল? সরকারি স্কুলগুলো কেন মানসম্পন্ন শিক্ষা দিতে পারল না? এর দায় রাষ্ট্রকেই নিতে হবে।’
উপদেষ্টা বলেন, উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর যেই পরিবর্তনগুলো দেখছেন সেই পরিবর্তনগুলো বর্তমান সময়েরই পরিবর্তন। কারণ আমাদের উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা বোর্ডকে বলতে পারেন একটি বাজে প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছিল। সেটাকে আমরা একটা নতুন পথে নিয়ে যাচ্ছি এবং সেটা আস্তে আস্তে আপনাদের সবার দৃষ্টিগোচর হয়ে উঠবে যখন চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে আমাদের কার্যক্রমগুলো।
যেই দেশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে তারাই এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘দক্ষ জনবল প্রয়োজনের মূলই হলো শিক্ষা। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ চীনের কথা কল্পনা করেন। যদিও দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছি ১৯৭১ সালে। কিন্তু আমরা স্বাধীন হয়েছি ব্রিটিশদের কাছ থেকে ১৯৪৭ সালে। চীন স্বাধীন হয়েছে দুই বছর পর ১৯৪৯ সালে। তারা কোথায় আজকে আর আমরা কোথায়। তাদের পলিসিতে তিনটা বিষয় তারা ঠিক রেখেছে, একটি হলো স্বাস্থ্য, দ্বিতীয়টি শিক্ষা আর তৃতীয়টি সামাজিক শৃঙ্খলা। এই তিনটা মূল মন্ত্রে চীন আজ এগিয়ে যাচ্ছে। যারা এটা পারছে না, তারা কোনো দিন এগোতে পারবে না। তারা বিশৃঙ্খলা মধ্যেই পড়ে থাকবে। ফলে জাতীয়ভাবে যদি চিন্তা করি, আমাদের প্রয়োজন জনগণকে সুস্বাস্থ্যবান এবং সুশিক্ষিত গড়ে তোলা। এছাড়া উন্নয়নের কোনো পথ নেই। দেশের উন্নয়নের জন্য শিক্ষার প্রয়োজন।’
উপদেষ্টা বলেন, কাগজে কলমে আমাদের মধ্যে এক ধরনের পরিবর্তন অবশ্যই ঘটেছে। কিন্তু আমরা প্রকৃত অর্থে ব্রিটিশরা আমাদের যা শিখিয়ে গেছে তার থেকে একচুলও এগোয়নি। আমাদের শিক্ষার উদ্দেশ্য কি কেরানি তৈরি করা। এখনো তাই, এর বেশি কিছুই না। বাস্তবিকভাবে বিষয়টি ভাবেন, আমাদের আয়ের বড় উৎস হলো প্রবাসীদের আয়। কিন্তু তারা সবচেয়ে কম আয় করেন কারণ তাদের শিক্ষার স্তরটা খুবই দুর্বল। তাহলে জাতীয়ভাবে চিন্তা করলে শিক্ষার প্রয়োজন।
নিমো লার্নিংয়ের চেয়ারম্যান জাফর রেজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান। পরে আলোচনায় অংশ নেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব সোহরাব হাসান, সাবেক শিক্ষিকা ও অভিনেত্রী দিলারা জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কুতুবউদ্দিন, বিএনসিসির সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) নাহিদুল ইসলাম খান।
সাংবাদিক সোহরাব হাসান বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা শিক্ষার ভিত তৈরি করে। বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষাকে বেশি অবহেলার চোখে দেখা হয়। এটা এখন বিশ্ববিদ্যালয়েও দেখা যাচ্ছে। তা না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা ছেড়ে কেন বিসিএসে যান। উন্নত দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে সমাজের অভিভাবক ভাবা হয়। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও আমরা শিক্ষকদের সেই মর্যাদা দিতে পারিনি।’
বিএনসিসির সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাহিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘আপনারা রাস্তায় বের হয়েই দেখেন শিশুরা কাজ করছে। আমরা তাদের শিক্ষা দিতে পারছি না। তাই হঠাৎ করে কি শিশুশ্রম বন্ধ করে দিতে পারবেন? তাদের খাবারটা দেবে কে? পথশিশুটিকে আনবেন পড়াশোনার জন্য, সে কি আসবে? তাঁকে ইনসেনটিভ দিতে হবে তাহলেই আসবে। যারা শিক্ষাটা দেবে তাদেরও ইনসেনটিভ দিতে হবে। তাহলেও সেই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘ন্যূনতম শিক্ষা না থাকায় বিদেশেও আমরা শ্রমিক পাঠাতে পারছি না। যদি এটা দেওয়া সম্ভব হতো তাহলে বিদেশেও লোক পাঠানো যেত।’
এ সময় দেশের নানা পদ্ধতির সমালোচনা করে বিএনসিসির সাবেক মহাপরিচালক বলেন, আমরা নিজেরা যদি সবকিছুর দায় নিয়ে কাজ করি, তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে। দেশে ভালো যত আইন ও ব্যবস্থা রয়েছে সেসব যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা দরকার।’
উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক দেবব্রত চক্রবর্তী বলেন, ‘কার্যকর সাক্ষরতা নিয়ে কাজ করছি। স্কুল থেকে শিক্ষার্থীরা নানা কারণে ঝরে যায়। তারা স্কুলে আসছে না। তাই আমরাই তাদের কাছে যাচ্ছি। তাদের শিক্ষার পাশাপাশি তাদের বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের কাজ শিখাচ্ছি। এতে দ্রুতই তারা চাকরিও পেয়ে যাচ্ছেন। আমরা এই শিক্ষার পরিসরটা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছি। মানসম্মত শিক্ষাটা বাড়াতে হবে। গ্রাম ও শহরের বৈষম্যটা অবশ্যই কমাতে হবে।’
অভিনেত্রী দিলারা জামান বলেন, ‘বাচ্চারা শিখবে আনন্দের ভেতর দিয়ে ভালোবাসার ভেতর দিয়ে। প্রচলিত পড়া ও পদ্ধতি আমি সেখান থেকে আলাদা হয়ে ক্লাসে সবাইকে নিয়ে হেসে নেচে গেয়ে বাচ্চাদের ভেতরে নতুন কিছু দিতে চেষ্টা করেছিলাম। সেখানে আসত খালি বাধা আর বাধা। অতঃপর সেই স্থান ত্যাগ করে আমি চলে এলাম জনগণের মাঝে। আমি জানি না সেটা আমার জন্য কতখানি অভিশাপের ব্যাপার হয়েছিল বা কষ্টের ব্যাপার হয়েছিল যার প্রায়শ্চিত্ত করার জন্যই আজকে এখানে ছুটে আসা।’
তিনি বলেন, ‘যত কমিশন হয়েছে, যা কিছু হয়েছে আমার মনে হয়েছে আমরা বাচ্চাদের কাছে যেতে পারছি না। কী কারণে যেতে পারিনি, তা নানা সময়ে আলোচনা হয়েছে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কখনোই প্রাইভেট খাতের হাতে ছেড়ে দেওয়ার মতো বিষয় নয়, এগুলো রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হওয়া উচিত। জাতীয় উন্নয়নের পথে এগোতে চাইলে জনগণকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এবং সুশিক্ষিত নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নিমো লার্নিং-এর আয়োজনে ‘সাক্ষরতায় বাংলাদেশের অর্জন এবং আগামীর পরিকল্পনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ক্রমেই স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো জাতীয় বিষয়কে প্রাইভেট বিষয় করে তুলেছি। এতে মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর লাভ হয়েছে। যদি জাতীয় স্বার্থের কথা চিন্তা করেন তা কখনোই রক্ষিত হয় না। শ্রমিক যদি শারীরিকভাবে সক্ষম না হয় তাহলে কীভাবে কারখানায় কাজ করবে। শ্রমিক যদি বেসিক শিক্ষায় শিক্ষিত না হয় তাহলে কীভাবে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন কারখানায় নিয়ে আসবে। উপযুক্ত শিক্ষা হচ্ছে না বলেই একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় সমাজে। তাই এটা নিয়ে আমাদের ভাবা দরকার।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সুস্বাস্থ্য ও সুশিক্ষা কখনোই প্রাইভেট বিষয় হতে পারে না, বরং রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হিসেবে দেখতে হবে। পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম বাড়াতে হবে। তবেই জাতি হিসেবে আমরা এগোতে পারব, না হলে একই চক্রে ঘুরপাক খেতে হবে।’
তিনি বলেন, আমাদের দেশে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাকে ধীরে ধীরে জাতীয় দায়িত্ব থেকে প্রাইভেট খাতে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে মুষ্টিমেয় গোষ্ঠী লাভবান হলেও জাতীয় স্বার্থ রক্ষা হয়নি। শিক্ষা ব্যবস্থায় বিভাজন তৈরি হয়েছে—একদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, অন্যদিকে প্রাইভেট ও ইংলিশ মিডিয়াম। এই বিভাজনই শিক্ষার ঐক্য নষ্ট করছে।
বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার মনে করেন, ১৯৯০ সালে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার আইন করা হলেও তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি। তার ভাষায়, ‘যদি প্রাথমিক শিক্ষা আইন অনুযায়ী বাধ্যতামূলক হয়, তবে এত বিপুলসংখ্যক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কেন গড়ে উঠল? সরকারি স্কুলগুলো কেন মানসম্পন্ন শিক্ষা দিতে পারল না? এর দায় রাষ্ট্রকেই নিতে হবে।’
উপদেষ্টা বলেন, উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর যেই পরিবর্তনগুলো দেখছেন সেই পরিবর্তনগুলো বর্তমান সময়েরই পরিবর্তন। কারণ আমাদের উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা বোর্ডকে বলতে পারেন একটি বাজে প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছিল। সেটাকে আমরা একটা নতুন পথে নিয়ে যাচ্ছি এবং সেটা আস্তে আস্তে আপনাদের সবার দৃষ্টিগোচর হয়ে উঠবে যখন চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে আমাদের কার্যক্রমগুলো।
যেই দেশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে তারাই এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘দক্ষ জনবল প্রয়োজনের মূলই হলো শিক্ষা। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ চীনের কথা কল্পনা করেন। যদিও দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছি ১৯৭১ সালে। কিন্তু আমরা স্বাধীন হয়েছি ব্রিটিশদের কাছ থেকে ১৯৪৭ সালে। চীন স্বাধীন হয়েছে দুই বছর পর ১৯৪৯ সালে। তারা কোথায় আজকে আর আমরা কোথায়। তাদের পলিসিতে তিনটা বিষয় তারা ঠিক রেখেছে, একটি হলো স্বাস্থ্য, দ্বিতীয়টি শিক্ষা আর তৃতীয়টি সামাজিক শৃঙ্খলা। এই তিনটা মূল মন্ত্রে চীন আজ এগিয়ে যাচ্ছে। যারা এটা পারছে না, তারা কোনো দিন এগোতে পারবে না। তারা বিশৃঙ্খলা মধ্যেই পড়ে থাকবে। ফলে জাতীয়ভাবে যদি চিন্তা করি, আমাদের প্রয়োজন জনগণকে সুস্বাস্থ্যবান এবং সুশিক্ষিত গড়ে তোলা। এছাড়া উন্নয়নের কোনো পথ নেই। দেশের উন্নয়নের জন্য শিক্ষার প্রয়োজন।’
উপদেষ্টা বলেন, কাগজে কলমে আমাদের মধ্যে এক ধরনের পরিবর্তন অবশ্যই ঘটেছে। কিন্তু আমরা প্রকৃত অর্থে ব্রিটিশরা আমাদের যা শিখিয়ে গেছে তার থেকে একচুলও এগোয়নি। আমাদের শিক্ষার উদ্দেশ্য কি কেরানি তৈরি করা। এখনো তাই, এর বেশি কিছুই না। বাস্তবিকভাবে বিষয়টি ভাবেন, আমাদের আয়ের বড় উৎস হলো প্রবাসীদের আয়। কিন্তু তারা সবচেয়ে কম আয় করেন কারণ তাদের শিক্ষার স্তরটা খুবই দুর্বল। তাহলে জাতীয়ভাবে চিন্তা করলে শিক্ষার প্রয়োজন।
নিমো লার্নিংয়ের চেয়ারম্যান জাফর রেজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান। পরে আলোচনায় অংশ নেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব সোহরাব হাসান, সাবেক শিক্ষিকা ও অভিনেত্রী দিলারা জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কুতুবউদ্দিন, বিএনসিসির সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) নাহিদুল ইসলাম খান।
সাংবাদিক সোহরাব হাসান বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা শিক্ষার ভিত তৈরি করে। বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষাকে বেশি অবহেলার চোখে দেখা হয়। এটা এখন বিশ্ববিদ্যালয়েও দেখা যাচ্ছে। তা না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা ছেড়ে কেন বিসিএসে যান। উন্নত দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে সমাজের অভিভাবক ভাবা হয়। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও আমরা শিক্ষকদের সেই মর্যাদা দিতে পারিনি।’
বিএনসিসির সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাহিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘আপনারা রাস্তায় বের হয়েই দেখেন শিশুরা কাজ করছে। আমরা তাদের শিক্ষা দিতে পারছি না। তাই হঠাৎ করে কি শিশুশ্রম বন্ধ করে দিতে পারবেন? তাদের খাবারটা দেবে কে? পথশিশুটিকে আনবেন পড়াশোনার জন্য, সে কি আসবে? তাঁকে ইনসেনটিভ দিতে হবে তাহলেই আসবে। যারা শিক্ষাটা দেবে তাদেরও ইনসেনটিভ দিতে হবে। তাহলেও সেই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘ন্যূনতম শিক্ষা না থাকায় বিদেশেও আমরা শ্রমিক পাঠাতে পারছি না। যদি এটা দেওয়া সম্ভব হতো তাহলে বিদেশেও লোক পাঠানো যেত।’
এ সময় দেশের নানা পদ্ধতির সমালোচনা করে বিএনসিসির সাবেক মহাপরিচালক বলেন, আমরা নিজেরা যদি সবকিছুর দায় নিয়ে কাজ করি, তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে। দেশে ভালো যত আইন ও ব্যবস্থা রয়েছে সেসব যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা দরকার।’
উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক দেবব্রত চক্রবর্তী বলেন, ‘কার্যকর সাক্ষরতা নিয়ে কাজ করছি। স্কুল থেকে শিক্ষার্থীরা নানা কারণে ঝরে যায়। তারা স্কুলে আসছে না। তাই আমরাই তাদের কাছে যাচ্ছি। তাদের শিক্ষার পাশাপাশি তাদের বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের কাজ শিখাচ্ছি। এতে দ্রুতই তারা চাকরিও পেয়ে যাচ্ছেন। আমরা এই শিক্ষার পরিসরটা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছি। মানসম্মত শিক্ষাটা বাড়াতে হবে। গ্রাম ও শহরের বৈষম্যটা অবশ্যই কমাতে হবে।’
অভিনেত্রী দিলারা জামান বলেন, ‘বাচ্চারা শিখবে আনন্দের ভেতর দিয়ে ভালোবাসার ভেতর দিয়ে। প্রচলিত পড়া ও পদ্ধতি আমি সেখান থেকে আলাদা হয়ে ক্লাসে সবাইকে নিয়ে হেসে নেচে গেয়ে বাচ্চাদের ভেতরে নতুন কিছু দিতে চেষ্টা করেছিলাম। সেখানে আসত খালি বাধা আর বাধা। অতঃপর সেই স্থান ত্যাগ করে আমি চলে এলাম জনগণের মাঝে। আমি জানি না সেটা আমার জন্য কতখানি অভিশাপের ব্যাপার হয়েছিল বা কষ্টের ব্যাপার হয়েছিল যার প্রায়শ্চিত্ত করার জন্যই আজকে এখানে ছুটে আসা।’
তিনি বলেন, ‘যত কমিশন হয়েছে, যা কিছু হয়েছে আমার মনে হয়েছে আমরা বাচ্চাদের কাছে যেতে পারছি না। কী কারণে যেতে পারিনি, তা নানা সময়ে আলোচনা হয়েছে।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কখনোই প্রাইভেট খাতের হাতে ছেড়ে দেওয়ার মতো বিষয় নয়, এগুলো রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হওয়া উচিত। জাতীয় উন্নয়নের পথে এগোতে চাইলে জনগণকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এবং সুশিক্ষিত নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নিমো লার্নিং-এর আয়োজনে ‘সাক্ষরতায় বাংলাদেশের অর্জন এবং আগামীর পরিকল্পনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ক্রমেই স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো জাতীয় বিষয়কে প্রাইভেট বিষয় করে তুলেছি। এতে মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর লাভ হয়েছে। যদি জাতীয় স্বার্থের কথা চিন্তা করেন তা কখনোই রক্ষিত হয় না। শ্রমিক যদি শারীরিকভাবে সক্ষম না হয় তাহলে কীভাবে কারখানায় কাজ করবে। শ্রমিক যদি বেসিক শিক্ষায় শিক্ষিত না হয় তাহলে কীভাবে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন কারখানায় নিয়ে আসবে। উপযুক্ত শিক্ষা হচ্ছে না বলেই একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় সমাজে। তাই এটা নিয়ে আমাদের ভাবা দরকার।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সুস্বাস্থ্য ও সুশিক্ষা কখনোই প্রাইভেট বিষয় হতে পারে না, বরং রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হিসেবে দেখতে হবে। পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম বাড়াতে হবে। তবেই জাতি হিসেবে আমরা এগোতে পারব, না হলে একই চক্রে ঘুরপাক খেতে হবে।’
তিনি বলেন, আমাদের দেশে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাকে ধীরে ধীরে জাতীয় দায়িত্ব থেকে প্রাইভেট খাতে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে মুষ্টিমেয় গোষ্ঠী লাভবান হলেও জাতীয় স্বার্থ রক্ষা হয়নি। শিক্ষা ব্যবস্থায় বিভাজন তৈরি হয়েছে—একদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, অন্যদিকে প্রাইভেট ও ইংলিশ মিডিয়াম। এই বিভাজনই শিক্ষার ঐক্য নষ্ট করছে।
বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার মনে করেন, ১৯৯০ সালে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার আইন করা হলেও তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি। তার ভাষায়, ‘যদি প্রাথমিক শিক্ষা আইন অনুযায়ী বাধ্যতামূলক হয়, তবে এত বিপুলসংখ্যক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কেন গড়ে উঠল? সরকারি স্কুলগুলো কেন মানসম্পন্ন শিক্ষা দিতে পারল না? এর দায় রাষ্ট্রকেই নিতে হবে।’
উপদেষ্টা বলেন, উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর যেই পরিবর্তনগুলো দেখছেন সেই পরিবর্তনগুলো বর্তমান সময়েরই পরিবর্তন। কারণ আমাদের উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা বোর্ডকে বলতে পারেন একটি বাজে প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছিল। সেটাকে আমরা একটা নতুন পথে নিয়ে যাচ্ছি এবং সেটা আস্তে আস্তে আপনাদের সবার দৃষ্টিগোচর হয়ে উঠবে যখন চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে আমাদের কার্যক্রমগুলো।
যেই দেশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে তারাই এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘দক্ষ জনবল প্রয়োজনের মূলই হলো শিক্ষা। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ চীনের কথা কল্পনা করেন। যদিও দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছি ১৯৭১ সালে। কিন্তু আমরা স্বাধীন হয়েছি ব্রিটিশদের কাছ থেকে ১৯৪৭ সালে। চীন স্বাধীন হয়েছে দুই বছর পর ১৯৪৯ সালে। তারা কোথায় আজকে আর আমরা কোথায়। তাদের পলিসিতে তিনটা বিষয় তারা ঠিক রেখেছে, একটি হলো স্বাস্থ্য, দ্বিতীয়টি শিক্ষা আর তৃতীয়টি সামাজিক শৃঙ্খলা। এই তিনটা মূল মন্ত্রে চীন আজ এগিয়ে যাচ্ছে। যারা এটা পারছে না, তারা কোনো দিন এগোতে পারবে না। তারা বিশৃঙ্খলা মধ্যেই পড়ে থাকবে। ফলে জাতীয়ভাবে যদি চিন্তা করি, আমাদের প্রয়োজন জনগণকে সুস্বাস্থ্যবান এবং সুশিক্ষিত গড়ে তোলা। এছাড়া উন্নয়নের কোনো পথ নেই। দেশের উন্নয়নের জন্য শিক্ষার প্রয়োজন।’
উপদেষ্টা বলেন, কাগজে কলমে আমাদের মধ্যে এক ধরনের পরিবর্তন অবশ্যই ঘটেছে। কিন্তু আমরা প্রকৃত অর্থে ব্রিটিশরা আমাদের যা শিখিয়ে গেছে তার থেকে একচুলও এগোয়নি। আমাদের শিক্ষার উদ্দেশ্য কি কেরানি তৈরি করা। এখনো তাই, এর বেশি কিছুই না। বাস্তবিকভাবে বিষয়টি ভাবেন, আমাদের আয়ের বড় উৎস হলো প্রবাসীদের আয়। কিন্তু তারা সবচেয়ে কম আয় করেন কারণ তাদের শিক্ষার স্তরটা খুবই দুর্বল। তাহলে জাতীয়ভাবে চিন্তা করলে শিক্ষার প্রয়োজন।
নিমো লার্নিংয়ের চেয়ারম্যান জাফর রেজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান। পরে আলোচনায় অংশ নেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব সোহরাব হাসান, সাবেক শিক্ষিকা ও অভিনেত্রী দিলারা জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কুতুবউদ্দিন, বিএনসিসির সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) নাহিদুল ইসলাম খান।
সাংবাদিক সোহরাব হাসান বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা শিক্ষার ভিত তৈরি করে। বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষাকে বেশি অবহেলার চোখে দেখা হয়। এটা এখন বিশ্ববিদ্যালয়েও দেখা যাচ্ছে। তা না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা ছেড়ে কেন বিসিএসে যান। উন্নত দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে সমাজের অভিভাবক ভাবা হয়। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও আমরা শিক্ষকদের সেই মর্যাদা দিতে পারিনি।’
বিএনসিসির সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাহিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘আপনারা রাস্তায় বের হয়েই দেখেন শিশুরা কাজ করছে। আমরা তাদের শিক্ষা দিতে পারছি না। তাই হঠাৎ করে কি শিশুশ্রম বন্ধ করে দিতে পারবেন? তাদের খাবারটা দেবে কে? পথশিশুটিকে আনবেন পড়াশোনার জন্য, সে কি আসবে? তাঁকে ইনসেনটিভ দিতে হবে তাহলেই আসবে। যারা শিক্ষাটা দেবে তাদেরও ইনসেনটিভ দিতে হবে। তাহলেও সেই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘ন্যূনতম শিক্ষা না থাকায় বিদেশেও আমরা শ্রমিক পাঠাতে পারছি না। যদি এটা দেওয়া সম্ভব হতো তাহলে বিদেশেও লোক পাঠানো যেত।’
এ সময় দেশের নানা পদ্ধতির সমালোচনা করে বিএনসিসির সাবেক মহাপরিচালক বলেন, আমরা নিজেরা যদি সবকিছুর দায় নিয়ে কাজ করি, তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে। দেশে ভালো যত আইন ও ব্যবস্থা রয়েছে সেসব যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা দরকার।’
উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক দেবব্রত চক্রবর্তী বলেন, ‘কার্যকর সাক্ষরতা নিয়ে কাজ করছি। স্কুল থেকে শিক্ষার্থীরা নানা কারণে ঝরে যায়। তারা স্কুলে আসছে না। তাই আমরাই তাদের কাছে যাচ্ছি। তাদের শিক্ষার পাশাপাশি তাদের বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের কাজ শিখাচ্ছি। এতে দ্রুতই তারা চাকরিও পেয়ে যাচ্ছেন। আমরা এই শিক্ষার পরিসরটা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছি। মানসম্মত শিক্ষাটা বাড়াতে হবে। গ্রাম ও শহরের বৈষম্যটা অবশ্যই কমাতে হবে।’
অভিনেত্রী দিলারা জামান বলেন, ‘বাচ্চারা শিখবে আনন্দের ভেতর দিয়ে ভালোবাসার ভেতর দিয়ে। প্রচলিত পড়া ও পদ্ধতি আমি সেখান থেকে আলাদা হয়ে ক্লাসে সবাইকে নিয়ে হেসে নেচে গেয়ে বাচ্চাদের ভেতরে নতুন কিছু দিতে চেষ্টা করেছিলাম। সেখানে আসত খালি বাধা আর বাধা। অতঃপর সেই স্থান ত্যাগ করে আমি চলে এলাম জনগণের মাঝে। আমি জানি না সেটা আমার জন্য কতখানি অভিশাপের ব্যাপার হয়েছিল বা কষ্টের ব্যাপার হয়েছিল যার প্রায়শ্চিত্ত করার জন্যই আজকে এখানে ছুটে আসা।’
তিনি বলেন, ‘যত কমিশন হয়েছে, যা কিছু হয়েছে আমার মনে হয়েছে আমরা বাচ্চাদের কাছে যেতে পারছি না। কী কারণে যেতে পারিনি, তা নানা সময়ে আলোচনা হয়েছে।’
মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন মামলায় শুনানি শেষে আজ বুধবার ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর একই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেসেন্ট মার্টিন দ্বীপের অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, দ্বীপের , পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকার নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। আজ বুধবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ-২ শাখা হতে ১২টি নির্দেশনাসংবলিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেজামায়াত জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের লক্ষ্যে দলের নায়েবে আমির সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল যমুনায় গেছে।
১ ঘণ্টা আগেভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিসগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। গত সোমবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখা থেকে সব জেলা প্রশাসকদের পাঠানো এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন মামলায় শুনানি শেষে আজ বুধবার ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর একই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুনানি শেষে আসামিদের আইনজীবী এম সরোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাঁরা এই অপরাধ সংঘটিত করেন নাই। একজন আইজিপি এখানে অ্যাপ্রুভার (রাজসাক্ষী)। তিনি বলেছেন, যা কিছু হয়েছে তা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং শেখ হাসিনার নির্দেশে হয়েছে। এখানে কারও কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। তাঁদের এই ঘটনার ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না।’
তাঁদের কোন কারাগারে পাঠানো হয়েছে— প্রশ্নের জবাবে সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘যে সাবজেল ঘোষণা করা হয়েছে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে, সেখানে নেওয়া হবে বলে আমরা জেনেছি।’
বিগত আওয়ামী লীগের সরকারের আমলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন এবং জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় সাবেক-বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ ৩২ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের দিন ধার্য ছিল আজ ২২ অক্টোবর।
এর আগে ২৫ জন সাবেক-বর্তমান সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গত ৮ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। সেদিনই প্রসিকিউশন এই তিন মামলায় ট্রাইব্যুনালে ফরমাল চার্জ বা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে।
এরপর ১১ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানায়, ১৫ জন কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত এই সেনা কর্মকর্তারা হলেন— ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, মেজর জেনারেল মোস্তফা সরোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম, কর্নেল মশিউল রহমান জুয়েল, লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কবির আহম্মেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, লে. কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার ও কর্নেল কে এম আজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন মামলায় শুনানি শেষে আজ বুধবার ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর একই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুনানি শেষে আসামিদের আইনজীবী এম সরোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাঁরা এই অপরাধ সংঘটিত করেন নাই। একজন আইজিপি এখানে অ্যাপ্রুভার (রাজসাক্ষী)। তিনি বলেছেন, যা কিছু হয়েছে তা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং শেখ হাসিনার নির্দেশে হয়েছে। এখানে কারও কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। তাঁদের এই ঘটনার ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না।’
তাঁদের কোন কারাগারে পাঠানো হয়েছে— প্রশ্নের জবাবে সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘যে সাবজেল ঘোষণা করা হয়েছে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে, সেখানে নেওয়া হবে বলে আমরা জেনেছি।’
বিগত আওয়ামী লীগের সরকারের আমলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন এবং জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় সাবেক-বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ ৩২ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের দিন ধার্য ছিল আজ ২২ অক্টোবর।
এর আগে ২৫ জন সাবেক-বর্তমান সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গত ৮ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। সেদিনই প্রসিকিউশন এই তিন মামলায় ট্রাইব্যুনালে ফরমাল চার্জ বা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে।
এরপর ১১ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানায়, ১৫ জন কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত এই সেনা কর্মকর্তারা হলেন— ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, মেজর জেনারেল মোস্তফা সরোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম, কর্নেল মশিউল রহমান জুয়েল, লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কবির আহম্মেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, লে. কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার ও কর্নেল কে এম আজাদ।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কখনোই প্রাইভেট খাতের হাতে ছেড়ে দেওয়ার মতো বিষয় নয়, এগুলো রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হওয়া উচিত। জাতীয় উন্নয়নের পথে এগোতে চাইলে জনগণকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এবং সুশিক্ষিত নাগরিক হিসেবে...
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, দ্বীপের , পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকার নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। আজ বুধবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ-২ শাখা হতে ১২টি নির্দেশনাসংবলিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেজামায়াত জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের লক্ষ্যে দলের নায়েবে আমির সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল যমুনায় গেছে।
১ ঘণ্টা আগেভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিসগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। গত সোমবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখা থেকে সব জেলা প্রশাসকদের পাঠানো এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকার নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। আজ বুধবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ-২ শাখা হতে ১২টি নির্দেশনাসংবলিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সেন্ট মার্টিন দ্বীপে কোনো নৌযান চলাচলের অনুমতি দিতে পারবে না; পর্যটকদের অবশ্যই বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট ক্রয় করতে হবে, যেখানে প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস ও কিউআর কোড সংযুক্ত থাকবে। কিউআর কোড ছাড়া টিকিট নকল হিসেবে গণ্য হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, নভেম্বর মাসে পর্যটকেরা শুধু দিনের বেলায় ভ্রমণ করতে পারবেন, রাত যাপন করা যাবে না; ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে রাত যাপন করতে পারবেন; প্রতিদিন গড়ে দুই হাজারের বেশি পর্যটক দ্বীপে ভ্রমণ করতে পারবেন না; ফেব্রুয়ারি মাসে দ্বীপে পর্যটক যাতায়াত সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে; সেন্ট মার্টিনের প্রাকৃতিক পরিবেশ অক্ষুণ্ন রাখতে দ্বীপে রাতে সৈকতে আলো জ্বালানো, শব্দ সৃষ্টি বা বারবিকিউ পার্টি করা যাবে না।
আরও বলা হয়, কেয়া বনে প্রবেশ, কেয়া ফল সংগ্রহ বা ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না; কোনোভাবেই দ্বীপের জীববৈচিত্র্যের (সামুদ্রিক কাছিম, পাখি, প্রবাল, রাজকাঁকড়া, শামুক-ঝিনুক ও অন্যান্য জীববৈচিত্র্য) ক্ষতি করা যাবে না; সমুদ্রসৈকতে মোটরসাইকেল, সি-বাইকসহ যেকোনো মোটরচালিত যানবাহন চালানো যাবে না; নিষিদ্ধ পলিথিন বহন করা যাবে না এবং একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক যেমন চিপসের প্যাকেট, প্লাস্টিক চামচ, স্ট্র, সাবান ও শ্যাম্পুর মিনিপ্যাক, ৫০০ ও ১০০০ মিলিলিটারের প্লাস্টিক বোতল ইত্যাদি বহন নিরুৎসাহিত করা হয়েছে এবং প্লাস্টিকের পানির বোতলের পরিবর্তে পর্যটকদের নিজস্ব পানির ফ্লাস্ক সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকার নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। আজ বুধবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ-২ শাখা হতে ১২টি নির্দেশনাসংবলিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সেন্ট মার্টিন দ্বীপে কোনো নৌযান চলাচলের অনুমতি দিতে পারবে না; পর্যটকদের অবশ্যই বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট ক্রয় করতে হবে, যেখানে প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস ও কিউআর কোড সংযুক্ত থাকবে। কিউআর কোড ছাড়া টিকিট নকল হিসেবে গণ্য হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, নভেম্বর মাসে পর্যটকেরা শুধু দিনের বেলায় ভ্রমণ করতে পারবেন, রাত যাপন করা যাবে না; ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে রাত যাপন করতে পারবেন; প্রতিদিন গড়ে দুই হাজারের বেশি পর্যটক দ্বীপে ভ্রমণ করতে পারবেন না; ফেব্রুয়ারি মাসে দ্বীপে পর্যটক যাতায়াত সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে; সেন্ট মার্টিনের প্রাকৃতিক পরিবেশ অক্ষুণ্ন রাখতে দ্বীপে রাতে সৈকতে আলো জ্বালানো, শব্দ সৃষ্টি বা বারবিকিউ পার্টি করা যাবে না।
আরও বলা হয়, কেয়া বনে প্রবেশ, কেয়া ফল সংগ্রহ বা ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না; কোনোভাবেই দ্বীপের জীববৈচিত্র্যের (সামুদ্রিক কাছিম, পাখি, প্রবাল, রাজকাঁকড়া, শামুক-ঝিনুক ও অন্যান্য জীববৈচিত্র্য) ক্ষতি করা যাবে না; সমুদ্রসৈকতে মোটরসাইকেল, সি-বাইকসহ যেকোনো মোটরচালিত যানবাহন চালানো যাবে না; নিষিদ্ধ পলিথিন বহন করা যাবে না এবং একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক যেমন চিপসের প্যাকেট, প্লাস্টিক চামচ, স্ট্র, সাবান ও শ্যাম্পুর মিনিপ্যাক, ৫০০ ও ১০০০ মিলিলিটারের প্লাস্টিক বোতল ইত্যাদি বহন নিরুৎসাহিত করা হয়েছে এবং প্লাস্টিকের পানির বোতলের পরিবর্তে পর্যটকদের নিজস্ব পানির ফ্লাস্ক সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কখনোই প্রাইভেট খাতের হাতে ছেড়ে দেওয়ার মতো বিষয় নয়, এগুলো রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হওয়া উচিত। জাতীয় উন্নয়নের পথে এগোতে চাইলে জনগণকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এবং সুশিক্ষিত নাগরিক হিসেবে...
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন মামলায় শুনানি শেষে আজ বুধবার ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর একই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেজামায়াত জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের লক্ষ্যে দলের নায়েবে আমির সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল যমুনায় গেছে।
১ ঘণ্টা আগেভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিসগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। গত সোমবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখা থেকে সব জেলা প্রশাসকদের পাঠানো এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদল।
আজ বুধবার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে দলটি যমুনায় পৌঁছায়।
জামায়াত জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের লক্ষ্যে দলের নায়েবে আমির সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল যমুনায় গেছে।
বৈঠকে সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের সঙ্গে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাসুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ থাকবেন বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদল।
আজ বুধবার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে দলটি যমুনায় পৌঁছায়।
জামায়াত জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের লক্ষ্যে দলের নায়েবে আমির সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল যমুনায় গেছে।
বৈঠকে সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের সঙ্গে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাসুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ থাকবেন বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কখনোই প্রাইভেট খাতের হাতে ছেড়ে দেওয়ার মতো বিষয় নয়, এগুলো রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হওয়া উচিত। জাতীয় উন্নয়নের পথে এগোতে চাইলে জনগণকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এবং সুশিক্ষিত নাগরিক হিসেবে...
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন মামলায় শুনানি শেষে আজ বুধবার ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর একই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেসেন্ট মার্টিন দ্বীপের অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, দ্বীপের , পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকার নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। আজ বুধবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ-২ শাখা হতে ১২টি নির্দেশনাসংবলিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিসগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। গত সোমবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখা থেকে সব জেলা প্রশাসকদের পাঠানো এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিসগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। গত সোমবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখা থেকে সব জেলা প্রশাসকদের পাঠানো এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে আকস্মিক অগ্নি দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ডরুমে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের সব উপজেলা ভূমি অফিস, রাজস্ব সার্কেল, ইউনিয়ন ভূমি অফিসে এ ধরনের আকস্মিক দুর্ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ যাবতীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
চিঠিতে সব জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ডরুমে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ উপজেলা ভূমি অফিস, রাজস্ব সার্কেল, ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোতে আকস্মিক অগ্নি দুর্ঘটনা, যে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা বিপর্যয় এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ যাবতীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
সব বিভাগীয় কমিশনার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এবং সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিসগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। গত সোমবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখা থেকে সব জেলা প্রশাসকদের পাঠানো এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে আকস্মিক অগ্নি দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ডরুমে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের সব উপজেলা ভূমি অফিস, রাজস্ব সার্কেল, ইউনিয়ন ভূমি অফিসে এ ধরনের আকস্মিক দুর্ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ যাবতীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
চিঠিতে সব জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ডরুমে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ উপজেলা ভূমি অফিস, রাজস্ব সার্কেল, ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোতে আকস্মিক অগ্নি দুর্ঘটনা, যে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা বিপর্যয় এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ যাবতীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
সব বিভাগীয় কমিশনার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এবং সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কখনোই প্রাইভেট খাতের হাতে ছেড়ে দেওয়ার মতো বিষয় নয়, এগুলো রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হওয়া উচিত। জাতীয় উন্নয়নের পথে এগোতে চাইলে জনগণকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এবং সুশিক্ষিত নাগরিক হিসেবে...
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন মামলায় শুনানি শেষে আজ বুধবার ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর একই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেসেন্ট মার্টিন দ্বীপের অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, দ্বীপের , পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকার নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। আজ বুধবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ-২ শাখা হতে ১২টি নির্দেশনাসংবলিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেজামায়াত জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের লক্ষ্যে দলের নায়েবে আমির সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল যমুনায় গেছে।
১ ঘণ্টা আগে